
24/05/2025
যারা যারা সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুতে সিভিক ভলান্টিয়ারের ছবি ভাইরাল করছেন, তারা কয়েকটা ব্যাপার ভেবে দেখেছেন?
১) মৃত ছেলেটির সৎ বাবা, আবার বলছি সৎ বাবা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন, "অভিযোগ করবো কিনা ভাবছি!"
২) মৃত বালকের দাদু অশোককুমার দাস বলেছেন, "ছেলেটির বাবা ও মা এই মৃত্যুর জন্য দায়ী"। আবার বলছি, মৃত বালকের দাদু বলেছেন, ছেলেটির বাবা অর্থাৎ সৎ বাবা ও মা , ছেলেটির মৃত্যুর জন্য দায়ী।
৩) সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ছেলেটি চুরি করেনি। সিসিটিভি ফুটেজে এইটাও দেখা গিয়েছে যে ছেলেটিকে দোকানের সামনে গালে চড় মেরেছেন তার মা, কান ধরে উঠবোস করিয়েছে তার মা
একসময় উক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত, মায়ের শাসন থেকে বাঁচাতে ছেলেটিকে রক্ষা করতে জড়িয়ে ধরেছে।
৪) ঘটনার এত সময় ঘটে যাওয়ার পরেও ছেলেটির মা একটা FIR করার সময় পান নি
৫)। চোর অপবাদটি সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত রটায়নি, এইটি রটিয়েছে, পাড়ার আরেকটি ছেলে, পাড়ায় তার নাম "জামাই"। ঘটনার পর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এইবার সবচেয়ে স্ট্রাইকিং ব্যাপার যেটা, সৎ বাবা এবং মায়ের সংসারে থাকতে থাকতে, ছেলেটির মনে দীর্ঘদিন ধরে কী এমন অভিমান জমে উঠেছিল যে সবার সামনে মায়ের শাসনে সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে বসলো?
দায়ী আসলে কে তাহলে?
মা FIR করতে চাইছে না কেন?
মব হিস্টিরিয়ার বাইরে বেরিয়ে ভাবুন।
আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই, ছেলেটির মা এখন হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছেন। আসল দোষী উনি। একদিনের ঘটনায় কেউ এইভাবে আত্মহত্যা করে না। ছেলেটির মনে দীর্ঘদিনের অভিমান জমা হয়ে ছিল।
উপরের সবকয়টি পয়েন্টের সোর্স, খবরের কাগজ। পেজশট কমেন্ট বক্সে রইলো।