31/08/2025
🌸 – “ঈদে মিলাদুন্নবী (১২ রবিউল আউয়ালে নবিজির জন্মদিন পালন) – এটা কি সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত?” প্রমাণ সহ দেখুন ⬇️⬇️⬇️
---
✦ ১) কুরআন ও সহিহ হাদিসে প্রমাণ
👉 কুরআন বা সহিহ হাদিসে নবিজির জন্মদিন পালনের নির্দেশ বা আমল নেই।
রাসূলুল্লাহ ﷺ, সাহাবা, তাবেয়ী বা চার ইমামের যুগে কখনো মিলাদুন্নবী পালন করার দৃষ্টান্ত নেই।
সহিহ হাদিসে শুধু এতটুকু আছে যে নবিজি ﷺ সোমবারে জন্মেছেন, আর সোমবারে ইন্তেকাল করেছেন।
নবিজি ﷺ বলেছেন:
> "এটা সেই দিন, যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং যেদিন আমার উপর ওহি নাযিল হয়েছে। তাই আমি এই দিনে রোজা রাখি।"
(সহিহ মুসলিম, হাদিস: 1162)
👉 এখানে নবিজি ﷺ জন্মদিনে রোজা রেখেছেন, কিন্তু কোনো উৎসব, মিছিল, মিলাদ মাহফিল, কাব্যপাঠ, খাবার বিতরণ এসব করেননি বা শিখাননি।
---
✦ ২) ইতিহাসে মিলাদুন্নবীর সূচনা
প্রথম ৩ শতাব্দী (সাহাবা, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ী) কালে কেউ মিলাদ উদযাপন করেনি।
ইতিহাসবিদ ইবনে কাসীর (রহ.) লিখেছেন: মিলাদ প্রথম শুরু হয়েছিল ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে মিসরের ফাতেমীয় শিয়াদের হাত ধরে।
(আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, খণ্ড 13, পৃষ্ঠা 136)
পরে কিছু সুফি ও মুসলিম শাসক এটি জনপ্রিয় করে।
---
✦ ৩) উলামাদের মতামত
ইমাম মালিক (রহ.), ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ইমাম শাফেয়ী (রহ.), ইমাম আহমদ (রহ.) – কারও আমলে মিলাদের কথা নেই।
অনেক আলেম একে বিদআত বলেছেন। যেমন:
ইবনে হাজার (রহ.) বলেন: “রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবারা না করলে আমরাও করব না।”
শাইখ ইবনে তাইমিয়াহ (রহ.) বলেন: “এটি বিদআত, তবে কেউ যদি শুধু নবিজির প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে করে, তাহলে তার নিয়ত অনুযায়ী আল্লাহ হয়তো প্রতিদান দেবেন।” (ইকতিদাউস সিরাত)
---
✦ ৪) সংক্ষেপে হুকুম
মিলাদুন্নবী উদযাপন কুরআন-হাদিসে নেই।
রাসূল ﷺ ও সাহাবারা করেননি। তাই শরীয়তের দৃষ্টিতে এটি বিদআত।
তবে কেউ যদি এই দিনে কেবল নবিজির জীবনী পড়ে, সালাত-দরূদ বেশি পড়ে, রোজা রাখে – এটা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত (কারণ নবিজি সোমবারে রোজা রাখতেন)।
কিন্তু মিছিল, গান-বাজনা, নতুন উৎসব বানানো – এগুলো শরীয়তে অনুমোদিত নয়।
---
✅ উপসংহার:
ঈদে মিলাদুন্নবী সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
রাসূল ﷺ জন্মদিনে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান রাখেননি, বরং সোমবারে রোজা রাখতেন।