
16/09/2025
গল্প: সীমান্তের সেই রাত
শারদীয়ার পূজোর রাত। চারিদিকে ঢাকের আওয়াজ, আলোর ঝলকানি, মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ভিড়। দেশের প্রতিটি ঘরে উৎসবের আনন্দ, কিন্তু সীমান্তের অন্ধকারে এক সৈনিক দাঁড়িয়ে আছে একা।
সৈনিক অরিন্দমের চোখে ভেসে উঠছে গ্রামের মণ্ডপ, মায়ের শাড়ির আঁচল, স্ত্রীর সিঁদুর, আর ছোট্ট ছেলের হাত ধরে মেলা ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন। কিন্তু তার হাতে এখন শুধু বন্দুক, আর চোখে সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব।
দূরে চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে কাঁটাতারের বেড়া। হাওয়ায় বাজছে ঢাকের মতোই তার বুকের ধ্বনি। সে জানে, পূজোয় মানুষ নির্ভয়ে আনন্দ করতে পারছে কেবল এজন্য যে সে আর তার সঙ্গীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
এক মুহূর্তের জন্য চোখ বন্ধ করে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল—
"আমি যদি আজ ঘরে না ফিরতে পারি, তবুও আমার ঘর, আমার দেশ, আমার মানুষ যেন নিরাপদ থাকে। সেটাই আমার সবচেয়ে বড় পূজা।"
আর সেই রাতটিকে আকাশের চাঁদও যেন সাক্ষী হয়ে রইল—
একজন সৈনিকের নিঃশব্দ উৎসর্গের, যিনি নিজের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে দেশের প্রতিটি ঘরে আনন্দ পৌঁছে দিলেন।
゚viralシfypシ゚viralシal 💔