Satya Meva Jayate

Satya Meva Jayate Natural beauty

22/09/2025

গানটা কি?

17/09/2025

গতকাল মা মনসার পুজো করেছেন? করুন, আপত্তি নেই, খাঁটি বাঙালি সংস্কৃতি। খালি মনে রাখবেন সাপে কাটলে মা মনসা কিন্তু বেহুলার প্রার্থনায় আজকাল আর সাড়া দেন না। লখিন্দর এর ভেলা ভেসেই যাবে অবেলায়। যমের অরুচি ডাক্তারগুলো কি বলে শুনবেন নাকি ? সাপে কাটা নিয়ে দু'চার কথা ?
১ সাপ নিয়ে অতিকথন ও বাস্তব:
👉সাপ মানুষের মতো সামাজিক প্রাণী নয়। সুতরাং সাপের যুগল বা জোড়া একটি অতিকথন।
👉গরুর বাঁট থেকে দুধ খাওয়ার মত সাপের মুখের গঠন নেই।
👉দুধ বা দুগ্ধ জাত পদার্থ সাপের খাদ্য নয়। দুধকলা দিয়ে কালসাপ কেন কোনো সাপই পোষা যাবে না।
👉সাপের স্মৃতি শক্তি খুবই দুর্বল। সাপের প্রতিহিংসা নেবার সব গল্পই অতিকথন।
👉সাপ মোটেই হিংস্র নয়। একাকী, নির্জনে থাকতে ভালোবাসে।
হটাৎ মানুষের মুখোমুখি হলে মানুষ যেমন পালাতে চায়, সাপও তেমনি ভয় পেয়ে পালাতে চায়।
👉তাড়া করে করে কামড়ানোর ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম দু একটি প্রজাতির সাপের স্বভাব।

২ কামড় এড়ানোর উপায়
👉যে কোনো সাপের সামনাসামনি পড়ে গেলে, একদম স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকুন । যেহেতু সাপের দৃষ্টি ও ঘ্রান শক্তি অতি ক্ষীন, আপনার 'অবস্থান' বুঝতে না পারলে এমনিই চলে যাবে ।
👉সাপের তীব্রতম অনুভুতির স্থান তার পেটের 'সাদা' অংশ , আপনি ছুটলে মাটির কম্পন থেকে সাপ আপনার 'অবস্থান' বুঝে নেবে ।
👉যে অঞ্চলে সাপের আধিক্য , সেখানে চলাচলের সময় হাতে লাঠি জাতীয় কিছু রাখুন,এবং সেটি মাটিতে ঠুকতে ঠুকতে হাঁটুন ,সাপ তার স্বাভাবিক জৈব প্রবৃত্তি বশে,পালিয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে সাপ অত্যন্ত ভীতু, আত্মরক্ষার তাগিদ ছাড়া সে কামড়ায় না ।
👉দুটি একই প্রজাতির সাপকে পাশাপাশি দেখলে এড়িয়ে চলুন। সম্ভবতঃ পুরুষ ও স্ত্রী , যৌন মিলনের তাগিদে কাছাকাছি ( সাপ স্বভাবত একা থাকতে পছন্দ করে ) এই অবস্থায় তাদের প্রতিক্রিয়া আন্দাজ করা শক্ত।

৩ সাপ কামড়ালে স্থানীয় লক্ষণ:
👉দংশন চিহ্ন থাকতে পারে। আদৌ নাও থাকতে পারে। একটি বা দুটি দাঁতের দাগ থাকতে পারে। ছড়ে যাওয়ার দাগ থাকতে পারে। ওই দাগ দেখে বোঝা অসম্ভব যে কি ধরণের সাপে কামড় দিয়েছে।
👉দংশন স্থানে ফোলা ও ব্যথা থাকবে। ফোলা টি আকার আয়তনে বাড়তে থাকবে।

৪ অন্যান্য লক্ষণ:
👉চোখ ঢুলু ঢুলু বা শিবনেত্র, চোখে ঝাপসা দেখা, কথা জড়িয়ে আসা। রুগী আচ্ছন্ন হতে থাকলে তার সাথে অনবরত কথা বলে তাকে জাগিয়ে রাখতে হবে।
👉গলা ব্যথা।
👉পেটে ব্যথা
👉শরীরের নানা জায়গা থেকে রক্ত ক্ষরণ।

৫ ক্ষত স্থানের পরিচর্যা:
👉ক্ষতস্থানে বরফ ঘষবেন না। ঠান্ডা বা গরম সেঁক দেবেন না।
👉ক্ষতস্থানটিকে চেরা-কাটা করবেন না, তাতে শিরা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওভাবে বিষ বের হয় না।
👉ক্ষতস্থান থেকে চুষে বা পাম্প করে রক্ত বের করবেন না।
👉ক্ষত স্থানে কোনও রকম কেমিক্যাল, চুন ইত্যাদি লাগাবেন না। এতে রোগ নির্ণয়ে অসুবিধে হয়।

৬ অন্যান্য পরিচর্যা:
👉শান্ত থাকতে হবে। দৌড়ানো বা সাইকেল চালানো বারণ। এসবে বিষ আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
👉হাঁটাচলা যথা সম্ভব কম। যে হাতে বা পায়ে দংশন হয়েছে সেই অঙ্গটিকে স্প্লিন্ট ব্যবহার করে তার নাড়াচাড়া বন্ধ রাখতে হবে যেমনটি করা হয় হাত পা ভেঙে গেলে।
👉কোনো অবস্থাতেই শক্ত বাঁধন বা ট্যুরনিকেট বা তাগা ব্যবহার করবেন না। এভাবে বিষ ছড়ানো আটকানো যায় না। বরঞ্চ রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে মারাত্নক ক্ষতি, যেমন গ্যাংগ্রিন হতে পারে। চুড়ি, বলা, আংটি খুলে রাখবেন।
👉রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে। আমাদের দেশের ৭০% সাপ বিষহীন। কামড়ের সময় সাপের বিষ থলিতে পূর্ন মাত্রায় বিষ নাও থাকতে পারে। ছোবল দিলেই বিষ ঢালবে এমনটা নয়।
👉রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়াবেন না। 👉দংশনের পর মদ খাবেন না।

৭ নির্দিষ্ট চিকিৎসা:
👉রুগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (১০০ মিনিট) এর মধ্যে শয্যা বিশিষ্ট কোনো হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
👉ঝাড়ফুঁক, বিষ পাথর, কবিরাজি, হোমিওপ্যাথি ইত্যাদি চিকিৎসার শরণাপন্ন হবেন না। ওসব করে কোনো ফল পাওয়া যায় না। মূল্যবান সময়ের অপচয় হয় যার ফলে মৃত্যু হতে পারে।
👉আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে সাপে কাটা রোগীর শারীরিক লক্ষণ দেখে কি জাতীয় বিষ ঢুকেছে বা আদৌ ঢুকেছে কিনা তা স্থির করা হয়। তাই সাপ, জ্যান্ত বা মৃত, ধরে আনলে বা মোবাইলে ছবি তুলে আনলে সেটা চিকিৎসকের কোনো কাজে লাগে না।। মনে রাখবেন চিকিৎসক তার শাস্ত্র বিশেষজ্ঞ, তিনি সর্প বিশারদ নন। সাপের ফনা দেখে বিষ আছে কি নেই চেনা যায় না। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য দেখতে হয়।

৮ সব সরকারি হাসপাতালে সাপের বিষ এর প্রতিষেধক বা এন্টি স্নেক ভেনাম বিনে পয়সায় পাওয়া যায়।
রোগী জটিল হলে ভেন্টিলেটর বা ডায়ালিসিস এর প্রয়োজন হয় যে গুলি কেবলমাত্র বাছাই করা হাসপাতালে পাওয়া যায়।
৯ টুর্নিকেট এর ব্যবহার:-
◆ সাধারণ মানুষতো বটেই বিদ্বান শিক্ষিত মানুষদের মধ্যেও এ বিষয়ে ভুল ধারণা আছে। কোনো অবস্থাতেই শক্ত বাঁধন বা ট্যুরনিকেট বা তাগা ব্যবহার করবেন না। এভাবে বিষ ছড়ানো আটকানো যায় না। বরঞ্চ রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে মারাত্নক ক্ষতি, যেমন গ্যাংগ্রিন হতে পারে। চুড়ি, বলা, আংটি খুলে রাখবেন।
◆ অধিকাংশ সাপের কামড়ই হাতে বা পায়ে হয়। যে হাতে বা পায়ে দংশন হয়েছে সেই অঙ্গটিকে স্প্লিন্ট ব্যবহার করে তার নাড়াচাড়া বন্ধ রাখতে হবে, যেমনটি করা হয় হাত পা ভেঙে গেলে বা মচকে গেলে।
◆ একটি কাঠের স্কেল, না পেলে গাছের ডাল এর সাহায্যে হাত বা পা কে সোজা রাখুন। ১০ সেমি চওড়া ও ৫ মিটার লম্বা ক্রেপ ব্যান্ডেজ, বা কাপড়ের চওড়া ফালি ব্যবহার করে চাপ দিয়ে পাক মেরে বেঁধে রাখুন। এতটা টানটান থাকবে যে কষ্ট করে একটা আঙ্গুল ঢোকানো যেতে পারে। পা মচকে গেলে অনেকেরই বাঁধার অভ্যেস আছে।
◆ কেউ পালস বা নাড়ি দেখতে জানলে একবার পরীক্ষা করে নেবেন যে বাঁধন দেওয়ার পরে নাড়ি পাওয়া যাচ্ছে কি না। না পাওয়া গেলে আঁটোসাঁটো ভাবটা কমিয়ে একটু ঢিলে করে দিন।
◆ একে বলে PIM বা প্রেসার ইমমোবিলাইজেশন মেথড।

১০ ব্যবস্থাপনা:
👉সাপের বিষ এর প্রতিষেধক (এন্টি স্নেক ভেনাম। সিরাম) তৈরী হয় দক্ষিণ ভারতে। সেগুলি আজকাল কিছু ক্ষেত্রে বাংলার সাপের বিষ এর বিরুদ্ধে কাজ করছে না। বাংলায় ওই প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু করা আশু প্রয়োজন।
👉গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ হাসপাতালে সাপের কামড়ের। চিকিৎসার প্রাথমিক ওষুধগুলির সরবরাহ সুনিশ্চিত করা আশু প্রয়োজন।
👉জেলা স্তরের পাশাপাশি মহকুমা স্তরেও ডায়ালিসিস এর ব্যবস্থা করা ও আশু প্রয়োজন।
১১ প্রচার:
সরকার, অসরকারী সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ যুক্তিবাদী মানুষ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে প্রচারের জন্য।

সাপের কামড়ে এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি কালে কেউ বিনাচিকিৎসায় বা ভুল চিকিৎসায় মারা যাবেন এটা মানা যাবে না।
লিখেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ Dr Samudra Sengupta
সাপের ছবিটি তুলেছেন আমার প্রিয় এক ভাই Keshab Ghosh
#সাপসমস্যাওসমাধানকথা
#বিজ্ঞানকথা
#বিজ্ঞানমনস্কতা

12/09/2025

KALYANI AIIMS এখন পুরোপুরি রেডি।
ডক্টর বললেন, একটা টেস্ট করাতে হবে। ভাবলাম সর্বনাশ। সঙ্গে সঙ্গে মাথায় এলো কোথা থেকে করাবো, কত টাকা লাগবে এবং কতদিন লাগবে।
ডক্টর বললেন, এক্ষুনি টেস্ট হবে। এবং সঙ্গে সঙ্গে একটি ছেলেকে ডাকলেন। ছেলেটি এলো এবং একটি অত্যন্ত কঠিন টেস্ট ১০ মিনিটের মধ্যে রেডি করে রিপোর্ট দিলেন। একদম ফ্রি। এরপর ডক্টর ওষুধ লিখলেন।
এটি কোন সাউথের হসপিটালের ঘটনা নয়, কল্যাণী এইমসের। এমনই পরিষেবা পেলাম গতকাল।
এইমস এখন পুরোপুরি তৈরি।
সবাই ফ্রি এই পরিষেবা পেতে পারেন। কিভাবে?
1. AIIMS KALYANI অ্যাপস ডাউনলোড করুন। (অবশ্যই আপনার মোবাইল থেকে) নাম ঠিকানা আধার নম্বর পূরণ করুন।
2. ABHA (Ayushman Bharat health account) ADDRESS তৈরি করুন। এটি করবেন ক্রোম থেকে। প্রয়োজনে ইউটিউব দেখে নিন।
3. Kalyani AIIMS app এ আপনার abha এড্রেস এড করুন। প্রয়োজনে ইউটিউব দেখে নিন।
4. এই AIIMS KALYANI অ্যাপ থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট অপশনে যান।
5. আপনার যে রোগ হয়েছে সেটি চুজ করুন।
6. ডেট চুজ করে বুক করুন। (আপনি আপনার মনোমতো ডেট নাও পেতে পারেন)
7. সাধারণত এক সপ্তাহ পরের ডেট পাওয়া যায়। মানে সাত দিন পরের। রাত্রি ঠিক ১২ টায় মোবাইল নিয়ে বসুন। রেল টিকিটের মত। দ্রুত বুক করুন।
8. মোবাইল বুক না করেও (যেকোনো দিন রবিবার বাদে) যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে খুব ভোরে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে। (আগে এলে আগে পাবেন এই শর্তে ২০০ জন) আপনারা ওয়াকিং (W) পার্টি হিসেবে পরিচিতই পাবেন। এদের লাইনে দাঁড়িয়ে AIIMS KALYANI অ্যাপ খুলতে হবে, abha এড্রেস এড করতে হবে। অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সেজন্য বাড়ি থেকে এগুলো করুন। (বৃদ্ধ এবং বাচ্চাদের অগ্রাধিকার) শুধু ওপিডি রোগীদের জন্য।
9. সকাল ৮ থেকে ১১ টা পর্যন্ত নাম এন্ট্রি হয়। নাম এন্ট্রির সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তার বাবুরা উপলব্ধ থাকেন।
10. বহির্বিভাগ রবিবার এবং অন্যান্য জাতীয় ছুটির দিন বন্ধ থাকে। ছুটির লিস্ট ছবিতে পাবেন।
11. দুপুরে ক্যান্টিনে উৎকৃষ্ট মানের খাবার পাওয়া যায়। সমস্ত রকমের খাবার। বিরিয়ানি পর্যন্ত।
12. First time registration দশ টাকা লাগে।
13. কিছু কিছু টেস্টে পয়সা লাগে, সেটি অত্যন্ত কম।
14. একটি মোবাইল থেকে দুজন রোগী রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
15. আপনাকে একটি বুকলেট দেওয়া হবে। ওখানেই সব ডক্টর বাবুরা লিখবেন। যত্ন করে রাখবেন। পরে হারিয়ে গেলে অবশ্যই ডায়েরি করে ডায়েরী নম্বর আনবেন।
16. আপনি যদি মোবাইলে বুক করে যান তাহলে গিয়ে নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে (ভিড় থাকে না) নাম লিখিয়ে টোকেন নিয়ে AIIMS KALYANI app থেকে scan এবং share অপশনে গিয়ে হসপিটালের কিউআর কোড থেকে স্ক্যান করে শেয়ার করে দিন।
17. টোকেনের নাম্বার অনুযায়ী ভেতরে যান। সেখানে আভা এড্রেস দেখান। আরেকটি টোকেন এবং ১০ টাকা দিয়ে বহির্বি বিভাগ পুস্তিকা নিন। এবার চলে যান নির্দিষ্ট ডাক্তারের কাছে।
18. যখনই যাবেন হাতে বেশ সময় নিয়ে যাবেন।
19. বিদেশি রোগীরাও ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন।
20. কোন দালাল নেই।
21. সর্বত্র আধার কার্ড দেখতে চাইবে। সঙ্গে রাখবেন। অবশ্যই অরিজিনাল।

#সংগৃহীত_সংকলিত🙏 #জনস্বার্থে_প্রচারিত🙏

11/09/2025

দুঃখজনক হলেও সত্য

জাপান – একটি দেশ, যাকে দুটি পরমাণু বোমা ধ্বংস করেছিল।
কিন্তু তারা কখনও ভিক্ষা চায়নি। কখনও দয়া ভিক্ষা করে হাত পাতেনি।
নিজেদের আত্মসম্মান ও অটল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে তারা আবার গড়ে তুলেছে নিজেদের।
আজও ইতিহাসে কোথাও নেই যে, জাপান আমেরিকার কাছে ভিক্ষা চেয়েছে।

একজন ভারতীয়, যিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জাপানে বাস করছিলেন, একটি অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করলেন।
মানুষজন সদয়, ভদ্র, সাহায্যপ্রবণ।
কিন্তু একজনও তাকে বাড়িতে ডেকে এক কাপ চা খাওয়াল না।

তিনি অবাক ও কষ্ট পেলেন।
অবশেষে তিনি এক জাপানি বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলেন:
“কেন?”

দীর্ঘ নীরবতার পর জাপানি বন্ধু বললেন:
“আমরা ভারতীয় ইতিহাস পড়ি… অনুপ্রেরণার জন্য নয়, সতর্কবার্তা হিসেবে।”

ভারতীয় হতভম্ব হয়ে বললেন: “সতর্কবার্তা?”

জাপানি উত্তর দিলেন:
“তুমি জানো, কতজন ব্রিটিশ ভারতে শাসন করেছিল?”
তিনি একটু ভেবে বললেন: “হয়তো… ১০ হাজার?”
জাপানি গম্ভীরভাবে মাথা নাড়লেন।
“আর ভারতের জনসংখ্যা? ৩০ কোটির বেশি, তাই না?”

“তাহলে আসল শাসক কারা ছিল? কে তোমাদের মারল, শোষণ করল, গুলি চালাল? কেবল ব্রিটিশ নয়। তোমাদের নিজেদের মানুষ।”

“যখন জেনারেল ডায়ার চিৎকার করে বলল ‘ফায়ার’, তখন কারা ট্রিগার টিপেছিল? ব্রিটিশ নয় — ভারতীয় সৈন্যরা।
একজনও বন্দুক ফিরিয়ে অত্যাচারীর দিকে তাক করেনি।”

“দাসত্বের কথা বলছ? দাসত্ব ছিল দেহের নয়, আত্মার।”

জাপানি আবার বললেন:
“কতজন মোগল ভারতে এসেছিল? কয়েক হাজার মাত্র।
তবুও তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী শাসন করেছে। সংখ্যার জোরে নয়, তোমাদের নিজেদের দাসত্বের কারণে।
বাঁচার জন্য… কিংবা রূপোর মুদ্রার জন্য, তোমরাই মাথা নোয়ালে।”

“তোমাদের নিজেদের মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছে।
নিজের ভাইরাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
নিজেরাই তোমাদের বীরদের ধরিয়ে দিয়েছে।
চন্দ্রশেখর আজাদকে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছিল।
ভগত সিংকে ফাঁসি দেওয়া হল, অথচ তথাকথিত দেশপ্রেমিকদের মধ্যে একজনও এগিয়ে এল না।”

“তোমাদের শত্রুর দরকার নেই।
বারবার তোমাদের নিজেদের মানুষই বিক্রি করে দেয় ক্ষমতার জন্য, পদমর্যাদার জন্য, স্বার্থের জন্য।
এই কারণেই আমরা দূরত্ব বজায় রাখি।”

“যখন ব্রিটিশরা হংকং বা সিঙ্গাপুরে গিয়েছিল, স্থানীয়রা কখনও তাদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়নি।
কিন্তু ভারতে? তোমরা শত্রুর সেনায় যোগ দিয়েছিলে।
তাদের সেবা করেছিলে। তাদের পূজা করেছিলে।
নিজেদের মানুষ হত্যা করেছিলে তাদের খুশি করার জন্য।”

“আজও কিছু বদলায়নি।
একটু বিনামূল্যের বিদ্যুৎ, এক বোতল মদ, বা একটা কম্বলের জন্য—
তোমাদের ভোট, তোমাদের মন, তোমাদের কণ্ঠ বিক্রি হয়ে যায়।
তোমাদের আনুগত্য দেশের প্রতি নয়, পেটের প্রতি।”

“তোমরা স্লোগান দাও। মিছিলে হাঁটো।
কিন্তু যখন দেশ তোমাদের চরিত্র চায়, তখন কোথায় থাকো?
তোমাদের প্রথম আনুগত্য আজও পরিবার ও ব্যক্তিস্বার্থের প্রতি।
অন্য সব—সমাজ, ধর্ম, দেশ—বিলীন হতে পারে।”

শেষে তিনি বললেন:
“যদি দেশ শক্তিশালী না হয়, তোমার ঘরও নিরাপদ হবে না।
যদি চরিত্র দুর্বল হয়, কোনো পতাকাই তোমাকে রক্ষা করবে না।”

এটা রসিকতা নয়। এটা আয়না।

আমাদের এখন চুপ থাকা চলবে না।
ভারতের দরকার বক্তৃতাবাজ দেশপ্রেমিক নয়।
ভারতের দরকার অটল চরিত্রের নাগরিক।

শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামী নয়, স্বাধীনতা রক্ষক।
শুধু হাতে পতাকা নয়, হৃদয়ে আনুগত্য।

এটা তেতো। কিন্তু সত্য।

সংগৃহীত

06/09/2025

* পুরো লেখাটা পড়ার অনুরোধ করছি। সোনিয়া গান্ধী যে দেশের শত্রু বুঝতে পারবেন।

*পুরোনো তিনটি ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। লেখক এখানে আগেই স্পষ্ট করে দিতে চান যে ঘটনাগুলি যেমন ঘটেছিল, কেবল সেভাবেই লেখা হচ্ছে।**

1. **জ্ঞানি জেল সিং**, যিনি ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং Z সিকিউরিটি প্রাপ্ত ছিলেন, দিল্লিতে ঘোষণা করেছিলেন - "কাল আমি চণ্ডীগড়ে পৌঁছে বোফর্স কেলেঙ্কারির সমস্ত গোপন তথ্য প্রকাশ করব।" এরপর যা হলো, তা এই যে দিল্লি-চণ্ডীগড় হাইওয়েতে একটি ট্রাক তার গাড়িকে সামনাসামনি ধাক্কা মেরে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। কোনো তদন্ত হয়নি।

2. **রাজেশ পাইলট** কংগ্রেস নেত্রীর উপদেশ মানেননি এবং ঘোষণা করেছিলেন - "কাল আমি কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেব।" তারপর, তার গাড়িকে সামনে থেকে একটি বাস ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। কোনো তদন্ত হয়নি।

উপরের দুটি ঘটনার **modus operandi** এক রকম ছিল। কিন্তু তৃতীয় ঘটনায় পদ্ধতি আলাদা ছিল।

3. **মাধবরাও সিন্দিয়া**, যিনি লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের অন্যতম জনপ্রিয় ও কর্মঠ নেতা ছিলেন। তিনি পরপর নবমবার লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং লোকসভায় বিরোধী দলের নেতাও ছিলেন। কংগ্রেস নেত্রী উত্তর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে বলেছিলেন - "আমি প্রচার করতে আসছি।"
কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন - "আপনি আসবেন না। মাধবরাওজিকে পাঠিয়ে দিন। তিনি ভোট আনতে পারবেন।" এরপর, মাধবরাওজিকে ব্যক্তিগত বিমান নয়, বরং নির্দিষ্ট বিমানে ভ্রমণ করতে বলা হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী কৃষক জানিয়েছিলেন - "বিমানে প্রথমে বোমা বিস্ফোরণ হয়, তারপর আগুন লাগে।" বিমানে থাকা আটজনই মারা যান। কিন্তু কোনো তদন্ত হয়নি। অল্প সময় পর কংগ্রেস সভাপতি মৃত পাওয়া যায়।
(ড. ঈশ্বর চন্দ্র করকরের কলম থেকে সংগৃহীত)

---

# # # **সোনিয়া গান্ধী দেশের জন্য কী কাজ করেছেন?**

■ **রাজীব গান্ধী** তার পুরো জীবনে মোট ১৮১টি জনসভা করেছেন। এর মধ্যে ১৮০টিতেই সোনিয়া গান্ধী তার সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু যেদিন রাজীব গান্ধীর জীবনের শেষ জনসভা ছিল, সেদিন তিনি তার সঙ্গে ছিলেন না।

■ রাজীব গান্ধীর হত্যার সময় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, নিহতদের মধ্যে একজনও কংগ্রেস নেতা ছিলেন না। তারা সবাই সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় কোনো বড় কংগ্রেস নেতা উপস্থিত ছিলেন না, এটি কি সম্ভব?

■ রাজীব গান্ধীর সঙ্গে কোনো বড় বা ছোট কংগ্রেস নেতা মারা যাননি, এমনকি সোনিয়া গান্ধীও না, যিনি সবসময় তার সভায় উপস্থিত থাকতেন। সেদিন তিনি "মাথাব্যথা"র কারণে হোটেলে থেকে গিয়েছিলেন। এটি অফিসিয়াল বিবৃতি।

■ পরে নিজেই **প্রিয়াঙ্কা গান্ধী** আদালতে তার বাবার হত্যাকারীকে ক্ষমা করার আবেদন করেছিলেন।

■ **সোনিয়া মানিও** যখন থেকে গান্ধী পরিবারের বউ হয়ে আসেন, তখন থেকে এখন পর্যন্ত এই পরিবারে কেউই প্রাকৃতিক মৃত্যু পাননি। সবাই অস্বাভাবিকভাবে মারা গিয়েছেন।

■ **ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র সঞ্জয় গান্ধীর শ্বশুর কর্নেল আনন্দ** তার ফার্মহাউসের কাছাকাছি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত পাওয়া গিয়েছিলেন।

■ **সঞ্জয় গান্ধী** বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।
**ইন্দিরা গান্ধী** নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন।
**রাজীব গান্ধী** বোমা বিস্ফোরণে মারা যান।
**প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর শ্বশুর রাজেন্দ্র ভদ্রা** দিল্লির একটি গেস্টহাউসে মৃত পাওয়া যায়।
**প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ননদ** একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
**প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দেওর** মোরাদাবাদের একটি হোটেলে মৃত পাওয়া যায়।

■ রাজীব গান্ধীর বিশেষ দুই বন্ধু **মাধবরাও সিন্দিয়া ও রাজেশ পাইলট** যে বারটিতে যেতেন, সেটি সেই বার যেখানে সোনিয়া বিয়ের আগে ডান্সার ছিলেন।
**রাজেশ পাইলট** সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান এবং **মাধবরাও সিন্দিয়া** বিমান দুর্ঘটনায়।

■ আমরা নিজেরাই দেখতে পাই, কেরালায় নম্বি নারায়ণের কারাদণ্ড, গোধরা ও মালেগাঁও কান্ডে হিন্দুদের ফাঁসানো, পাকিস্তানি জঙ্গিদের মুক্তি, **"হিন্দু সন্ত্রাসবাদ"** শব্দের সৃষ্টি, দেশের দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকাণ্ড, সেনার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ না করা, **২৬/১১-এর সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া**, এবং অন্য বহু ঘটনা—এগুলি স্পষ্টভাবে দেশের ক্ষতি করেছে।

**বিশেষ:** সংসদে হামলার দিন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী সংসদে যাননি।
দেখুন, পর্দা সরান

30/08/2025

"আরে জিডিপি দেখলে হবে? এইসব শুধু ভালো লাগে খাতায় কলমে দেখতে। আসল সত্যটা হলো জিডিপি পার ক্যাপিটা। বুঝলেন দাদা?"

আমি আজ অবধি যতবার অর্থনীতি নিয়ে পোস্ট করেছি প্রত্যেকবার এই কমেন্ট দেখেছি। কিন্তু এরা গুলে দেওয়া গ্লুকন্ডি বমি করা ছাড়া কিছুই করছে না। কিন্তু প্রকৃত অর্থে তারা বাস্তবতার থেকে অনেক দূরে। জিডিপি পার ক্যাপিটা দেখে আমেরিকার বাইরে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বা অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করা যায় না। হ্যাঁ এটা সত্যি। যদি তাই হতো তাহলে জিডিপি (পিপিপি) নামক জিনিসটার অস্তিত্ব থাকতো না।

আগে আপনাকে সাধারণ জিনিসটা বুঝতে হবে। জিডিপি পার ক্যাপিটা আর জিডিপি পিপিপি এর মধ্যে পার্থক্য টা কি!

ভারতের জিডিপি পার ক্যাপিটা $২৮০০! আমেরিকার $৮০০০০ ! কত গুণ? ২৮.৫+ গুণ!

কিন্তু এখানে একটা গল্প আছে। আপনি আমেরিকায় গিয়ে একটি পাউরুটি কিনবেন $৪ ডলারে (ওয়ালমার্ট এ দেখলাম) । ভারতীয় টাকায় কত? প্রায় ৩৫০ টাকা।

আর আপনি ভারতে কত টাকা দিয়ে পাউরুটি কেনেন?

৭-১০টাকায়? হয়তো কোন কোন পাউরুটি ১৫ থেকে ১৮টাকা! কত ভাগ আমেরিকার তুলনায় ? আমেরিকার ৩৫ভাগের এক ভাগ!

এবার বলুন! ক্রয় ক্ষমতার পার্থক্য বুঝতে পারছেন?

আমরা যখন জিডিপি পার ক্যাপিটা বলি। সেটা কিন্তু ভারতের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কে বোঝায় না। এটা কিন্তু ডলারভিত্তিক আন্তর্জাতিক মূল্যমান বিচার করা হয়। আপনি যেখানে থাকছেন যেখানে থাকছেন সেখানকার তুলনায় আপনার অর্থনৈতিক সক্ষমতা কেমন সেটি বিচার নয়।

অর্থাৎ আমেরিকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বিচার করতে জিডিপি পার ক্যাপিটা আর জিডিপি পিপিপি দুটোই এক। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। আমাদের ২৮০০ ডলার পারক্যপিটা যেটা নমিনাল জিডিপি তে হলে পিপিপি তে সেটা $১২,১০০! যেটা পৃথিবীতে তৃতীয় বৃহত্তম।

অর্থাৎ আপনাকে বা আপনার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের $১২,১০০!

আপনি যখন ভারতে ইনকাম করবেন, ভারতের পরিবেশে থাকবেন, তখন আপনার অর্থনৈতিক মাপকাঠিটাও ভারতের স্ট্যান্ডার্ডে হওয়া উচিত। আপনি পার ক্যাপিটা বললেই সেটা ডলারভিত্তিক আন্তর্জাতিক মূল্যমান স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে। ভারতের নয়।

তার মানে আমি এটা বলছি না যে ভারত ভীষণ বড় লোক হয়ে গেছে। আমেরিকা তুলনায় ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। এটা একদম নয়। ভারতের এখনো অনেক উন্নতি করতে হবে। কিন্তু পরিস্থিতিটা খারাপ দেখানোর জন্য যে স্কেলে আপনাদের বোঝানো হচ্ছে সেটা ভুল।
| |♠

25/08/2025

একটা ছোটো ঘটনা বলি, বেশ কয়েক বছর আগের কথা যাদবপুরের এক প্রাক্তনী ইয়াং ইংরাজির অধ্যাপক বেশ নামডাক করেছেন৷ একটি সরকারি কলেজে পড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি সরকারি চাকরির প্রস্তুতির ইংরাজি পড়াতেন। তাতে তাঁর যা আয় হত, তিনি চাইলে নিজেই একটা ছোটোখাটো কলেজ খুলে নিতে পারতেন৷ সারা বাংলা থেকে তাঁর কাছে ছাত্রছাত্রীর পড়তে আসত (মে বি এখনও আসে) তাঁর ব্যাচে জায়গা পেতে গেলে কয়েক মাস আগে নাম লেখাতে হত। আমার এক বান্ধবী তাঁর কাছে ভর্তি হয়। গরীব বাড়ির মেয়ে, পড়াশুনোয় দারুণ। পরিশ্রম করে এম এ কমপ্লিট করেছে৷ পড়াশুনো ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমি ফেসবুকে রাজনীতি নিয়ে লিখতাম বলে আমাকেও বকাঝকা করত৷ পড়াশুনো নিয়ে থাকতে বলত৷ হঠাৎ দেখলাম সে কথায় কথায় সব কিছুর জন্য রাষ্ট্রকে দোষারোপ করা শুরু করেছে৷

পরীক্ষা হচ্ছে না, রাষ্ট্র দায়ী। বাবার চোখের অপারেশন হচ্ছে না রাষ্ট্র দায়ী৷ বৃষ্টি হচ্ছে না, রাষ্ট্র দায়ী। এমনকি মাঝে একবার তার প্রেমিকের বিশ্বাসঘাতকতার জন্যও রাষ্ট্রকে দায়ী করল!
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কী ভাবে?
বলল
-এই যে মানুষের মরালিটি এখন তলানিতে এটাও পুঁজিবাদের এফেক্ট। পুঁজিবাদ মানুষ অসৎ করে।
- কিন্তু তোর প্রেমিক তো SFI করত কলেজে! ও কী করে পুঁজিবাদী হল!

একটু থেমে বলল,
- পুঁজিবাদের হাত থেকে কেউই ছাড় পায় না!

এই সিম্পটমগুলো আমি বেশ চিনি। হঠাৎ কী মনে করে বললাম,
- শোন না আমিও না ইংরাজিটা পড়তে যাবো, তোদের স্যারকে বলে একদিন ব্যবস্থা করা যায়? জাস্ট একটা দিন এই একটা চ্যাপ্টার আমার একটু বুঝতে হত...

কয়েকদিন পর বান্ধবীর ব্যবস্থা মতো ক্লাসে ঢোকার সুযোগ হল। ভদ্রলোক যুবক, সপ্রতিভ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। গলায় একটা টোন তৈরি করে স্পষ্ট ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন। মানতে অসুবিধে নেই ভদ্রলোক বেশ ভালো পড়ান। আমার মতো সাহিত্যফ্রিক ছেলেও বেশ তন্ময় হয়ে গেল পড়ানো শুনতে শুনতে। কথা বলা, উদাহরণ, এক্সপ্লানেশন এর মাধ্যমে এক অদ্ভুত জগৎ তৈরি করতে পারেন ভদ্রলোক, যেন চোখের সামনে সব জিনিসগুলো ঘটছে৷ ইংরাজি সাহিত্যে ভারতীয় লেখক মুলক রাজ আনন্দের একটি অসাধারণ কাজ আছে, 'আনটাচেবল' সেটার রেফারেন্স টেনে কিছু জিনিস বেশ ভালো করে বোঝাচ্ছিলেন ভদ্রলোক। তারপর সেখান থেকে অযোধ্যা, রামমন্দির, আরএসএস, হিন্দুত্বে ঢুকলেন৷ তারপর দারুন সব প্রোপাগাণ্ডা দিয়ে হিন্দুত্ব, রাম, রাষ্ট্র, আরএসএস সবার বাপবাপান্ত করতে শুরু করলেন।

রাম মন্দির গড়তে চাওয়া কতবড় অপরাধ, একটা জাতি কতটা অসভ্য হলে এসবে টাকা নষ্ট করতে চায়, ইত্যাদি প্রভৃতি৷ লেনিনের মতো মানুষ থাকলে এসবকে শায়েস্তা করে দিত৷ লেনিনের দেশ আজও কতটা শিক্ষিত, মানবিক ও উন্নত এসব বলতে লাগলেন৷
লেনিন শব্দটা শুনেই আমার মাথায় সুমমমম করে একটা বুদ্ধি খেলে গেল৷

জিজ্ঞেস করলাম, স্যার এসব মন্দির বানানোতে টাকা পয়সা প্রচুর নষ্ট হয় বলছেন?

- তা নয়ত? এর আউটকাম কী?
- ঠিক, স্যার, আরও জানেন স্যার এমনও লোক আছে তাদের ধর্মগুরুর মৃত্যুর পরও বছরের পর বছর তার শরীর সংরক্ষণ করতে ৫-৬ কোটিটাকা করে খরচ করে।
- ভাবো, কতটা ইউসলেস। এই টাকা ২০ বছর জমলে একটা হাসপাতাল হয়ে যায়। প্রতিবছর কিছু দামী চিকিৎসা সামগ্রী কেনা যায়...
- হ্যাঁ স্যার
- আচ্ছা, এটা কোন ধর্মগুরুর শরীর বলতো?
- বাবা লেনিন, রেডস্কোয়ার মস্কোতে আছে এই লেনিন টম্ব৷ প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে লেনিনের দেশ, লেনিনের শরীর সংরক্ষণে...

হঠাৎ করে রুমে পিন ড্রপ সাইলেন্স তৈরি হয়েছিল। বাম অধ্যাপকের মুখটা থ্রিইডিয়টস সিনেমায় ভাইরাসের মতো হয়ে গিয়েছিল। পেনসিল নিয়ে র‍্যাঞ্চোর প্রশ্ন শুনে ভাইরাসের যে রকম অবস্থা হয়েছিল।

এবার বিষয় হচ্ছে, মাওবাদী, নকশাল, অতিবামদের বড় হা রা মি পনা হচ্ছে, এরা যখন ২০ টা কু কুরের মতো ঘিরে ধরে কাউকে মা রে তখন সেটা বিপ্লব, শ্রেণী সংগ্রাম। এদের কেউ পাল্টা মা রলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা হয়ে যায় মানবতার হ ত্যা, শিক্ষাঙ্গনে হা ম লা৷

বাংলায় ABVP শেষ ৬০ বছরে যদি ভালো কিছু করে থাকতে পারে তাহলে সেটা হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী, নকশালদের ঠিক ওদের ভাষাতে জবাব দেওয়া৷

কিন্তু প্রশ্নটা হল যাদবপুরের মতো গুটি কয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর মাওবাদী তৈরি করছে কারা? ক্যানসারের পচা সেলটা কোথায়?
অপারেশনটা সেখানে জরুরি৷

এরা কেউ শিক্ষক, কেউ সাংবাদিক, কেউ চিকিৎসক, কেউ অধ্যাপক, কেউ নাট্যকার, কেউ অভিনেতা, কেউ গায়ক, কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ ইতিহাসবিদ।

এরা ভয়ঙ্কর, এরা কখনও গান বাঁধবে আমরা অন্য কোথাও যাবো না এদেশেতেই থাকবো, অথচ হিন্দুরা নিজের দেশে মাটি হারা হলে চুপ থাকবে।
এদের মধ্যে কোনও রোমিলা থাপার, সমস্ত ইতিহাসকে মিথ্যে প্রমাণ করে লিখবে, কাশ্মীর বরাবর মু স লিম দের ছিল...

ঠিক ভোট আসার আগেই দেখবেন, এরা অ্যাক্টিভ হয়ে যায়। এদের একটু ধোঁয়া দেওয়া হয়, শাসক দলের তরফ থেকে। বাবা বাছা করা হয়। কারণ এরাই তো ভোটের আগে লেসার ইভিল তৃণমূলের হয়ে 'নো ভোট্টু বিজেপি' ক্যাম্পেন করবে। তাই এদের বাঁচিয়ে রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তাঙ্গন করে দেওয়া তো তৃণমূলেরই দান।

অনেকেই জানেন, তাও একটা মজার তথ্য দিই

পড়াশোনা, গবেষণা নয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বারবার খবরে এসেছে খুন, মারপিট, ঘেরাওয়ের জন্য।

ওয়েবকুপার অনুষ্ঠান ঘিরে বাম-তৃণমূল মারপিট ভাঙচুর করা হল শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি৷

কয়েকদিন আগেই যাদবপুরের উপাচার্য ও অধ্যাপকদের ঘেরাও করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামের পুজো করতে গিয়ে বাম-অতি ছাত্রদের আক্রমণের মুখে পড়ে ABVP


গত বছর সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে ঝামেলা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

২০২৩ এ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে আক্রান্ত হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী..

২০২৩ সালে র‍্যাগিং-এ খুন হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডু

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসাতে না দেওয়ার অভিযোগ অতিবামদের বিরুদ্ধে!

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে টবে গাঁজা চাষের অভিযোগ ওঠে!

২০১৯ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র গাড়িতে হামলা..

'বুদ্ধা ইন আ ট্রাফিক জ্যাম' ছবি দেখাতে গিয়ে যাদবপুর ক্যাম্পাসে আক্রান্ত হন বিবেক অগ্নিহোত্রী...

শে খ র ভা র তী য়

01/08/2025
Don't try that
31/07/2025

Don't try that

28/06/2024

Beauty of raindrops

Address

Sonarpur Chakbaria Road
Kolkata
700150

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Satya Meva Jayate posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share