06/09/2025
ঈদে মিলাদুন্নবী নামে কোন ঈদ নেই, ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা অন্যায় :জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালিক।
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা স্পষ্ট বিদআত । ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে র্যালি করা, মিছিল করা, কিয়াম করা, সিন্নি করা ইত্যাদি এই গুলা স্পষ্ট বিদআত।
প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা, আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৫৩৫, নাসায়ি, হাদিস: ১৫৬০) ।
অনেকে আবার শ্লোগান দেয়— ‘সকল ঈদের সেরা ঈদ, ঈদে মিলাদুন্নবী।’ কিন্তু ইসলামে ঈদ দুটো তৃতীয় কোন ঈদ নেই। যদি থাকত তাহলে নবিজি( সাঃ) আমাদের জানিয়ে দিতেন।
‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ পালন করা যদি জায়েজ কিংবা সওয়াবের কাজ হতো তাহলে রসূলুল্লাহ ( সাঃ) তা জানিয়ে দিতেন। তার জীবদ্দশায় সাহাবিদের পালন করার নির্দেশ দিতেন। আমরা কি সাহাবিদের থেকে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বেশি ভালোবাসতে পারব? যদি না পারি তাহলে যেখানে সাহাবিরা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করেননি, তাবে-তাবেঈনগন পালন করেননি চার মাযহাবের কোন ইমাম পালন করেননি সেখানে আমরা মনগড়া ইবাদত কিভাবে পালন করি। যার ভিত্তি শরীয়তে নেই।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন — “বলুন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দেব তাদের যারা কর্মে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত?’ দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে করছে যে, তারা ভাল কাজই করছে’!” [সূরা কাহাফ : ১০৩-১০৪]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন — “আল্লাহ তায়ালা বিদআতী ব্যক্তির সালাত, সাওম, যাকাত, হাজ্জ, উমরাহ, জিহাদ, সদকাহ, ন্যায় বিচার, তাওবাহ, আমল ইত্যাদি কিছুই কবুল করবেন না। সে ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেভাবে আটার খামির থেকে চুল বের হয়ে যায়।” [ইবনে মাজাহ : ৪৯]
শরীয়তবিহীন যেই আমল করে রসূলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করছেন, তার শাফায়াত কামনা করছেন কিংবা হাউজে কাউছার থেকে পানি পানের স্বপ্ন দেখছেন। তা কিন্তু সম্ভব নয় কেননা সেদিন নতুন এই কর্ম তৈরি করার জন্য আল্লাহর রাসূল আপনাকে হাউজ থেকে তাড়িয়ে দিবেন এবং বলবেন— ‘দূর হও! দূর হও! যারা আমার পরে আমার দ্বীনে বিকৃতি তৈরি করেছ।’ [বুখারী : ৬৫৮৩]
আর শাফায়াত সেটাও মিলবেনা সেদিন। রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বলেছেন — “আমার উম্মতের জন্য আমার সুপারিশ হালাল। কিন্তু বিদআতীর জন্য আমার সুপারিশ হালাল নয়। [আল বিদাউ, ইবনে উদ্দাহ : ৮৫]
আমল সেটাই যেটা নবী রসুলুল্লাহ ( সাঃ) করেছেন এবং তার উম্মতকে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। শরীয়তে যেটা নেই মনগড়া সেই আমল করলে কবূল হওয়া ত দূরে থাক বরং সেটা হবে গুনাহ