নবজাগরণ

নবজাগরণ নবজাগরণ একটি ফেসবুক ম্যাগাজিন
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক: কৌস্তুভ গুপ্ত
সহ-সম্পাদক: সুনিত ঘোষ
+ সহ সম্পাদিকা: স্বাগতা মুখার্জী
সমন্বয়কারী: অভিজিত রায়

নববর্ষের হালখাতা: একটি বিলুপ্তপ্রায় রেয়াজের স্মৃতিচারণলেখা: গোধূলী রায়বাংলা নববর্ষ—এই দিনটি বাঙালির জীবনে শুধু একটি নত...
15/04/2025

নববর্ষের হালখাতা: একটি বিলুপ্তপ্রায় রেয়াজের স্মৃতিচারণ
লেখা: গোধূলী রায়

বাংলা নববর্ষ—এই দিনটি বাঙালির জীবনে শুধু একটি নতুন বছরের সূচনা নয়, বরং এটি ছিল উৎসব, মিলন এবং ব্যবসায়িক সৌহার্দ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। আর এই নববর্ষকেন্দ্রিক অন্যতম প্রধান রেওয়াজ ছিল "হালখাতা"। এটি ছিল ব্যবসায়ীদের জন্য বছরের হিসাব-নিকাশ গুছিয়ে নতুন করে শুরু করার দিন। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই রেওয়াজটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজ থেকে।

বাংলা সনের সূচনা মূলত মোগল আমলে কৃষি কর সংগ্রহের সুবিধার্থে চালু হলেও, তা সময়ের সাথে সাথে বাঙালির সংস্কৃতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে ওঠে। হালখাতা সেই সময় থেকেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচলিত হয়। দোকানদাররা নববর্ষের দিনে পুরোনো খাতা বন্ধ করে নতুন খাতা খোলেন। গ্রাহকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি মুখ করানো, কিছু উপহার দেয়া—এসব ছিল এই রেয়াজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদিকে যেমন ব্যবসায়িক সম্পর্ক মজবুত হতো, তেমনি সামাজিক বন্ধনও গড়ে উঠত।

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ এখন ডিজিটাল মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। কম্পিউটার, সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপ—সবই করে ফেলছে আগের দিনের খাতা-কলমের কাজ। ফলে হালখাতার মূল উদ্দেশ্যটাই আজ বিলুপ্তপ্রায়।

শুধু প্রযুক্তিই নয়, ভেঙে পড়ছে সেই পারস্পরিক সম্পর্কও। ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে যে এক ধরনের সৌহার্দ্য ছিল, তা এখন অনেকটাই সীমাবদ্ধ ঠান্ডা ব্যবসায়িক লেনদেনে। শহুরে জীবনের ব্যস্ততা, সাংস্কৃতিক উদাসীনতা এবং ভোক্তাবাদের প্রভাবে হালখাতার মতো ঐতিহ্য আজ শুধুই স্মৃতি।

তবে সব জায়গায় একেবারে মুছে যায়নি এই রীতি। এখনও কিছু মফস্বল শহর কিংবা গ্রামাঞ্চলে ছোট ছোট দোকানে হালখাতার কিছু চিহ্ন দেখা যায়। স্থানীয়ভাবে ছোট পরিসরে হালখাতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে পুরোনো দিনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টাও লক্ষণীয়।

প্রশ্ন উঠছে—এই রেওয়াজ কি শুধুই অতীত হয়ে যাবে? নাকি আমরা চাইলেই এটি আবার ফিরিয়ে আনতে পারি? যদি আমরা হালখাতাকে শুধুই ব্যবসার হিসাব নয়, সামাজিক বন্ধনের এক উপলক্ষ হিসেবে দেখি, তবে এর মধ্যে এখনও প্রাণ সঞ্চার সম্ভব।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন, এমনকি স্থানীয় সরকার যদি ঐতিহ্যবাহী এই রীতিকে উৎসবের অংশ হিসেবে গ্রহণ করে, তবে নতুন প্রজন্মের কাছে হালখাতা আবারও পরিচিত হয়ে উঠতে পারে।

হালখাতা আমাদের সংস্কৃতির এক অমূল্য ধন, যা হারিয়ে গেলে শুধু একটি রেওয়াজ নয়, হারাবে এক ধরনের মানবিক সম্পর্ক ও ঐতিহ্য। পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা যদি আমাদের শেকড়কে স্মরণে রাখি, তবে হালখাতার মতো রীতিও নতুনভাবে প্রাণ ফিরে পেতে পারে।
ছবি: এডিট অভিজিত রায়
, , , , , , , , , ,

মহা কুম্ভ লেখা- সায়ন সরকার---মহাকুম্ভ মেলা,মহামিলন তীর্থ ---  "কেহ নাহি জানে কার আহ্বানে কত মানুষের ধারাদুর্বার স্রোতে এ...
03/04/2025

মহা কুম্ভ
লেখা- সায়ন সরকার

---মহাকুম্ভ মেলা,মহামিলন তীর্থ --- "কেহ নাহি জানে কার আহ্বানে কত মানুষের ধারা
দুর্বার স্রোতে এল কোথা হতে সমুদ্রে হল হারা।
হেথায় আর্য, হেথা অনার্য হেথায় দ্রাবিড়, চীন--
শক-হুন-দল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন।"................... ভারত তীর্থ কবিতা
আজ আমার বিষয় হল 'মহাকুম্ভ মেলা '। কথিত আছে প্রতি ছয় বছরে হয় অর্ধ কুম্ভ ১২ বছরে হয় পূর্ণ কুম্ভ এবং ১৪৪ বছরে হয় মহাকুম্ভ মেলা। এক বিশাল ধর্মীয় মিলন ক্ষেত্র। ২০২৫ সালের এই মিলন মেলায় আনুমানিক ৪৫ থেকে ৫০ কোটি মানুষ একত্রিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।। সবার উদ্দেশ্য পুণ্য স্নান করা। কিন্তু বাস্তবে কি সবার উদ্দেশ্য এক অর্থাৎ শাহী স্নানে অংশগ্রহণ করা? আমরা অনেকেই মনে করি কিছু বিশেষ তিথিতে পুন্য স্নান বা শাহী স্নান করলে মোক্ষ লাভ হবে বা সমস্ত পাপ ধুয়ে যাবে। আবার বেশ খানিকটা পুণ্য সঞ্চয় হবে।। প্রশ্ন হল মোক্ষ কি? বৌদ্ধ দর্শন অনুসারে 'মোক্ষ' লাভ মানে হলো জন্ম মৃত্যুর এই দুঃখ- চক্র থেকে চিরকালের জন্য মুক্তি লাভ করা। সে যাই হোক মূল বিষয়ে আসে যাক আমরা মানে সাধারন মানুষ হলাম গিয়ে 'God Fearing People' We are not God Loving People. ঈশ্বরের প্রতি টান বা ভালোবাসার কারণে নয় আমরা আমাদের কৃতকর্মের জন্য ঈশ্বরের শাস্তিকে ভয় পাই। সেই কারণেই বোধহয় ছুটে যাওয়া। আবার কিছু মানুষ আছে তারা যাচ্ছেন কারণ তাদের প্রতিবেশীরা যাচ্ছেন। তাদের কাছে যাওয়াটা একটা হুজুক মাত্র। আবার কিছু মানুষ আছেন তারা প্রচারের আলোতে আসার জন্য পুণ্য স্নানের নাটক করছেন। আবার কিছু মানুষ আছে যারা সকল ধর্মের উর্ধ্বে মানবতাকে খুঁজেছেন এই মিলন মেলায়। কিছু মানুষ আছেন তারা এত মানুষের সমাগমকে উপলব্ধি করতে বা ভারত তীর্থকে জানতে এই মেলায় উপস্থিত হয়েছেন। সেই সব মানুষের উপলব্ধি হল......................
"হেথায় দাঁড়ায়ে দু-বাহু বাড়ায়ে নমি নর-দেবতারে,
উদার ছন্দে পরমানন্দে বন্দন করি তাঁরে"।।
আবার কিছু মানুষ জীবিকার সন্ধানে এই মেলায় উপস্থিত হয়েছেন। কিছু মানুষ এমনও আছেন যারা ভাবছেন এত মানুষ যখন ওখানে যাচ্ছেন নিশ্চয়ই কিছু একটা আছে।কিন্তু ঠিক কি আছে সেটা তারা সঠিক জানেন না। বাস্তবে এই মেলায় সব ধর্মের মানুষই অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা দেখেছি সেখানে ঝাড়খন্ড বিহার থেকে বহু খ্রিস্টান পরিবার স্নান করতে এসেছেন। কারো মনে আকাঙ্ক্ষা আছে তার দুরারোগ্য ব্যাধি এই স্নানের মধ্যে দিয়ে সেরে যাবে আবার কেউ কেউ মনে এই ধারণা নিয়ে এসেছেন হয়তো তার যে খারাপ সময় চলছে সেই সময়ে কেটে যাবে এই পুণ্য স্নান করে। "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর " আমরা টিভিতে বা ইন্টারনেটে দেখতে পাচ্ছি বহু বিদেশি শিল্পী, শিল্পপতি ব্যবসায়ী এবং উচ্চশিক্ষিত বিদগ্ধ মানুষ সুদূর আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেন প্রভৃতি দেশ থেকে এই পুণ্য স্থানে অংশগ্রহণ করতে এসেছেন। এসব মানুষদের কাছে সাফল্য,অর্থ /সম্পদ হলো পায়ের ভৃত্যর মতো।তাদের আছে কোটি কোটি ডলার। তাদের পকেটে আছে বিশ্বের সমস্ত সুখ সম্পদ এবং সাফল্য। তবু তারা কেন ছুটে এসেছেন এই ভারত তীর্থে? কারণ হয়তো তাদের কাছে নেই 'সুখ ' এবং 'শান্তি' নামক অমূল্য সম্পদ দুটি। এই শব্দ দুটি হলো মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Priceless। বহু ইংরেজ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান, প্রশ্ন করেন How India Run অর্থাৎ ১৪০ কোটি জনগণ নিয়ে একটা দেশ কিভাবে চলতে পারে? তাদের কাছে এটা বিরাট প্রশ্ন। উত্তর হল আমাদের কাছে( ভারতবর্ষে ) আছে "প্রাণ"। সেই প্রাণের সন্ধানে হাজার হাজার কোটিপতি আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান, ইংরেজ, ডাচ, সুইডিশ, ইটালিয়ান ইসকনে এসে ভিড় করেন। আর কি আছে ভারতবর্ষতে? Spiritualism বা আধ্যাত্মিকতাবাদ যে আধ্যাত্মিকতা হলো শান্তি বা প্রশান্তির মূল উৎস। এই ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার বলেই স্বামী বিবেকানন্দ আজও আমেরিকার শিকাগো শহরের বুকে হয়ে আছেন এক মৃত্যুহীন প্রাণ। আর এই মৃত্যুহীন প্রানের তত্ত্বই ভারতবর্ষকে করে তুলেছে ভারত তীর্থ। সবশেষে কবির ভাষাতেই শেষ করি..... "এসো হে আর্য, এসো অনার্য, হিন্দু মুসলমান।
এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ, এসো এসো খৃস্টান।
এসো ব্রাহ্মণ শুচি করি মন ধরো হাত সবাকার,
এসো হে পতিত করো অপনীত সব অপমানভার।
মার অভিষেকে এসো এসো ত্বরা মঙ্গলঘট হয় নি যে ভরা,
সবারে-পরশে-পবিত্র-করা তীর্থনীরে।
আজি ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।।"
ছবি এডিট- অভিজিত রায়
নবজাগরণ
, , , , , , ,

“ মায়ের ভাষা ”  লেখা- ✍ প্রিয়ম দত্ত------------------বট ! ধন্য তুমি ! পেয়েছ বর, হয়েছ অক্ষয় - সেদিন সীতা মায়েরে দিয়...
31/03/2025

“ মায়ের ভাষা ”
লেখা- ✍ প্রিয়ম দত্ত
------------------

বট ! ধন্য তুমি ! পেয়েছ বর, হয়েছ অক্ষয়
- সেদিন সীতা মায়েরে দিয়েছিলে অভয় !
মায়ের প্রয়োজন হয়েছিল এক সাক্ষী;
সাক্ষী হয়ে তুমি দিয়েছিলে মায়েরে ভরসা,
গাছ হয়েও যে বুঝেছিলে মায়ের ভাষা।

হনুমানজী ! তুমিও ধন্য ! তুমি তো আদতে ছিলে দক্ষিণ ভারতের অধিবাসী !
লঙ্কার অশোকবনে সেদিন ছিল না কোন দোভাষী !
তা সত্ত্বেও, নেপালের জনকপুরীর মেয়ে ও উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার রাজবধু সীতামাতার মনে জাগিয়েছিলে আশা
– দোভাষী ছাড়াও তুমি বুঝে গিয়েছিলে মায়ের ভাষা ।

লোকমাতা নিবেদিতা ! সেদিন তোমার গুরুর মনে জেগেছিল আশা;
পেয়েছিলেন ভরসা –
যাক, দোভাষী ছাড়াই শ্রীশ্রী মা বুঝতে পেরেছেন, গ্রেট-ব্রিটেন হতে সদ্য-আগত তাঁর নিবেদিতার ভাষা ! দোভাষী ছাড়া, তুমিও বুঝে গিয়েছিল - ইংরেজী না জানা মায়ের ভাষা ।

এ এক অদ্ভুত ভাষা – যার আক্ষরিক নাম “মায়ের ভাষা” ।

মূক বধিরও তো বোঝে – তাঁর মায়ের ভাষা ।।

কৃত্তিবাস ওঝা কিংবা মাইকেল মধুসূদন দত্তর কবিতার ভাষা কি
– সব বাঙালি মায়ের ভাষা ?
নাকি লালনগীতি কিংবা রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাষা
– সব বাঙালি মায়ের ভাষা ?
নাকি বঙ্কিমবাবু কিংবা শরৎবাবুর সাহিত্যের ভাষা
– সব বাঙালি মায়ের ভাষা ?
নাকি আসানসোল কিংবা খড়্গপুরের ভাষা
– সব বাঙালি মায়ের ভাষা ??

ভাষাবিদগণ করলেন বহু অন্বেষণ;
জানতে, অঞ্চলভেদে বাংলা মায়ের ভাষা ।
তত্ত্ব যদিও নানারকম, বললেন বেশীরভাগ মনীষীগণ একইরকম
– করতে চাইলে, করা যাবে বিভক্ত বহুরকম
উপভাষা;
তাও করতেই হবে বিভক্ত অন্তত পাঁচ রকম
উপভাষা
যথা রাঢ়ী, বঙ্গালী, বরেন্দ্রী, ঝাড়খন্ডী, কামরূপী উপভাষা ।।

সবাই বলে মাতৃদুগ্ধর মতো নাকি মায়ের ভাষা
মা তো করালেন সন্তানেরে দুগ্ধ পান না করে বিনিময়ের আশা;
সন্তান কিংবা সমাজ কি বুঝিল – মায়ের চোখের জলের ভাষা ??

বহু ঘরে আজও তো ফুঁপিয়ে কাঁদে মা; বুঝিব কি করে – সন্তান বা সমাজ বুঝেছে, মায়ের চোখের জলের ভাষা ?
উনিশো বাহান্নর সেই তারিখটাও তো ছিল একুশে ফেব্রুয়ারি; শহীদরা মুক্ত করালেন – মায়ের ভাষা;
তাঁরা যে বুঝেছিল মায়ের চোখের জলের ভাষা।।

আজ তো অনেকেই বলবে : “শহীদ স্মরণে আপন মরণে, রক্ত ঋণ শোধ কর…..”; এ কি হয়েই থাকবে কথার কথা ….. ?
একুশ তারিখের শহীদ - আবুল বরকত ভাই ! আবদুল জব্বার ভাই ! রফিক উদ্দীন আহমদ ভাই ! আবদুস সালাম ভাই !
কথা দিচ্ছি তোমাদের – সমাজ আবার জাগিবে !
কথা দিচ্ছি - মায়ের চোখের জলের মূল্য, সন্তান ও সমাজ দিবে !
কথা দিচ্ছি – কোন মা আর নাহি ফুঁপিয়ে কাঁদিবে; সমস্ত অবরুদ্ধ-মা স্বাধীন হবে; মায়ের কন্ঠ ফাঁস মুক্ত হবে; জড়তাহীন, সংকোচ-বিহীন হবে মায়ের ভাষা ।

অমর একুশের অমর শহীদ !
সত্যিই তোমাদের ভুলব না গো !
বিশ্বাস কর – শুধুমাত্র দিবস উদযাপন করব না;
কাজ গুলো করব !
হাসিতে, খুশিতে, মান্যতায় ভরিয়ে দেব মায়ের ভাষা ।।
ছবি এডিট - অভিজিত রায়

31/01/2025

নবজাগরণ এর পঞ্চম বর্ষপূর্তি সংখ্যা তথা প্রথম।মুদ্রিত সংখ্যা— অবকাশের কলম সংকলনটি পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলার অভিনব মন পাবলিকেশনের ৬৬৫ নম্বর স্টলে।
পাঠকদের অনুরোধ আপনারা আসুন এবং স্টল থেকে বইটির পাতা উল্টে দেখে বইটি সংগ্রহ করুন। অনেক নবীন সম্ভাবনাময় লেখক লেখিকা এ বইতে তাদের সৃষ্ট লেখা কে আপনাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছেন। পাঠকের সমাদরেই ওরা পাবে আরও উৎসাহ নতুন কিছু রচনা করার।
বই: অবকাশের কলম
প্রকাশক: অভিনব মন পাবলিকেশন
মুদ্রিত মূল্য: ₹২৪০.০০
আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলা স্টল নং: ৬৬৫ [৯ নং গেট দিয়ে ঢুকে বাঁ দিকে]
#অবকাশের_কলম

ফার্স্ট লাভ(অন্তিম পর্ব)লেখা: Anindita B Biswas-কিরে শুনতে পাচ্ছিস? কি বলছি আমি?-হ্যাঁ বল।এতক্ষণ যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছি...
29/11/2024

ফার্স্ট লাভ
(অন্তিম পর্ব)
লেখা: Anindita B Biswas

-কিরে শুনতে পাচ্ছিস? কি বলছি আমি?

-হ্যাঁ বল।

এতক্ষণ যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল অনির্বান। বিক্রমের ধাক্কায় হুঁশ ফিরল।

-রুমানার সিনিয়র পল্লবীর সঙ্গে সেদিন আলাপ হলো জানিস। খুব সাধারণ তবুও যেন সহজে ভোলা যায় না।

বিক্রমের কথায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও হালকা হাসল অনির্বান। বন্ধুর মন রাখার জন্য পাল্টা প্রশ্ন করল...

-তোর গার্লফ্রেন্ড এর জন্মদিন ছিল তো। কি গিফ্ট দিলি?

-পারফিউম, ফার্স্ট লাভ। রুমানার ভীষণ পছন্দের।

শব্দটা শুনেই চমকে উঠল অনির্বান। মুহূর্তে মৃণালিনীর মুখটা আবার চোখের সামনে ভেসে উঠল। ফার্স্ট লাভ তো মৃণালিনীরও পছন্দ। মনে পড়ল অনির্বানের।

********************************************

-মৃণালিনী কে? উনি তো পল্লবী।

বিক্রমের অবাক দৃষ্টি অনির্বানের দিকে। মুহূর্তেই নিজেকে সামলে নিলো অনির্বান। ও জানে ওদের পেশায় এরকম ছেলেমানুষি আবেগী কথার কোনো জায়গা নেই। ক্ষণিকের ভুলে প্রাণটাও চলে যেতে পারে।

-সরি, আমারই ভুল।

আজও মৃণালিনীর হাতে উপহার; ফার্স্ট লাভ এর শিশি। আজকের মিশনের টার্গেট দেশের অন্য এক শত্রু। খবর আছে, বেসমেন্টে পাওয়া যাবে। এবারেও তৈরী মৃণালিনী।

বেসমেন্টে অপেক্ষা করছে ওরা চারজন। কয়েক মিনিট পরই কি যে হলো, সেটা অনির্বান বুঝে ওঠার আগেই মৃণালিনীর গলা শুনতে পেলো...

-ওটা ভেঙে কোনো লাভ নেই রুমানা। তুমি যেটা চাইছো সেটা আমার কাছে। ওটা শুধুই পারফিউম।

তির্যক হাসি মৃণালিনীর ঠোঁটে। ও আবার বলল...

-তোমার ওপর আমাদের অনেকদিন থেকেই সন্দেহ ছিল। তাই সেদিন তোমার ঘরের ফুলদানিতে বাগ লাগিয়ে এসেছিলাম। এরপর তো বাকিটা জলের মতো পরিষ্কার।

-তোমাকে আজ কেউ বাঁচাতে পারবে না আমাদের হাত থেকে। টাকা নিয়েছি আমরা।

হিসহিসিয়ে বলল রুমানা।

-সঙ্গে অনির্বানটাও যাবে।

বিক্রমের চাপা গলা শুনতে পেলো অনির্বান।

-সবটাই আমি আগে থেকে জানতাম। এই জন্যই আমি তোমাদের সিনিয়র, বস।

গলায় জড়ানো চেক প্রিন্টের কাপড়ের নেকপিসটা এক টানে খুলে কথা বলতে বলতেই রুমানার হাত দুটো বেঁধে ফেলেছে মৃণালিনী। আর চুলে বাঁধা ফিতেটা খুলে ছুঁড়ে দিয়েছে অনির্বানের দিকে। কোনো বাক্যব্যয় না করেই অনির্বানও বেঁধে ফেলেছে বিক্রমের হাত। এমন সময় গাড়ির শব্দে সজাগ হয়ে ওঠে মৃণালিনী। নিজেদের রুমাল দিয়ে বন্ধ করে দেয় বিশ্বাসঘাতকদের মুখ। এরপর আড়াল থেকে একটু উঁকি দিতেই দেখতে পায় আজকের টার্গেটকে। মনে মনে ভাবে, এতো মেঘ না চাইতেই জল। নিঃশব্দে বেরিয়ে এসে একটা পাঞ্চ দিতেই টার্গেট ছিটকে পড়ে মাটিতে।

-অনির্বান, মুভ ফাস্ট

কথা শেষ হওয়ার আগেই অনির্বান টার্গেটের সামনে ছুঁড়ে ফেলে দেয় বিক্রম আর রুমানাকে। আর তখনই শুনতে পায় কাঁচ ভাঙার শব্দটাও। পারফিউমের শিশিটার শত টুকরো হওয়ার আওয়াজ বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার আগেই তিনজন মৃতদেহে পরিণত হলো।

-মিশন সাকসেসফুল।

যুদ্ধ জয়ী মৃণালিনীকে দেখল অনির্বান।

********************************************

ভিড় রাস্তায় পাশাপাশি হাঁটছে মৃণালিনী আর অনির্বান। এখনও যেন ঘোর কাটছে না। এতো বড় ধোঁকা। এসবই এলোমেলো ভাবছিল অনির্বান। মৃণালিনীর গলা...

-আমার জন্য খুব অসুবিধে হচ্ছিল ওদের। তাই এতো আয়োজন।

বিস্ময়ে তাকাল অনির্বান। ওর মনকে পড়ে ফেলেছে মৃণালিনী।

-তুমি জানতে তারপরেও এলে...

-তুমি ছিলে তো

অনির্বানের চোখে চোখ রাখল মৃণালিনী।

-আমি তোমাকে কত খুঁজেছি জানো? কোথায় ছিলে তুমি এতদিন?

-আমাদের কাজটাই তো এরকম। সেটা তো জানোই। আমি কখন কোথায় কি রূপে থাকবো আমি নিজেও সেটা আগে থেকে জানিনা।

-এই তুমি মৃণালিনী নাকি পল্লবী?

-কিছু কিছু সত্যি না জানাই মনে হয় ভালো। আমি নাহয় তোমার কাছে মৃণালিনী হয়েই থাকলাম।

কথা শেষ করে মৃণালিনী অনির্বানের হাতে রাখল পারফিউম এর শিশিটা, ফার্স্ট লাভ।

-আমি না থাকলেও এটা তো থাকল। আমাদের ফার্স্ট লাভ।

ছোট্ট হেসে অনির্বানের হাতটা আলতো ছুঁয়েই রাস্তার জনজোয়ারে মিশে গেলো মৃণালিনী। আর ওকে খুঁজে পেলো না অনির্বান। বাতাসে তখনও মিশে ফার্স্ট লাভের মিষ্টি গন্ধ। আর হাতের পাতায় পারফিউমের শিশিটা। মৃণালিনীর পছন্দের পারফিউম ফার্স্ট লাভ। আর ওর ফার্স্ট লাভ মৃণালিনী। একটা পারফিউম একসূত্রে গেঁথে দিলো ওদের দুজনকে।

অনির্বান হাঁটছে ওর ভালোবাসাকে মুঠোয় বন্দী করে। আর পাশের ফুটপাথে তখন কিছু খামখেয়ালি ছেলেমেয়েরা গলা ছেড়ে গাইছে...

“স্মৃতিরা গেছে পরবাস, কথারা হয়েছে নিঝুম
এ বুকে তবু বারোমাস, ভালোবাসারই মরশুম”।

সমাপ্ত

প্রথম পর্বের লিংক : https://www.facebook.com/share/p/1EUvF86asn/

🟢“অবকাশের কলম” এর প্রি-বুকিং এর পরেও বইটি তে আপনি পাবেন আকর্ষণীয় ছাড়।🟢এখন অর্ডার দিলেই পেয়ে যাবেন ২৫% ছাড়।বইটির মুদ্রি...
06/10/2024

🟢“অবকাশের কলম” এর প্রি-বুকিং এর পরেও বইটি তে আপনি পাবেন আকর্ষণীয় ছাড়।
🟢এখন অর্ডার দিলেই পেয়ে যাবেন ২৫% ছাড়।
বইটির মুদ্রিত মূল্য: ₹ ২৪০
📢অফারের বিক্রয় মূল্য: ₹ ১৮০
🔖🔖🔖 তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বুকমার্ক থাকছে বিনামূল্যে
* ডেলিভারি চার্জ আলাদা
প্রকাশক: অভিনব মন পাবলিকেশন
--------------------------------------
বইটি নিজ সংগ্রহে রাখতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের উল্লেখিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজের মাধ্যমে।
হোয়াটসঅ্যাপ: 087772 97920
অথবা, অর্ডার করতে পোস্টের নিচে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ বটন এ ক্লিক করুন।
---------------------------------------
*অফারটি অফলাইন স্টোরে প্রযোজ্য নয়।
অফলাইনে বইটি পেয়ে যাবেন অভিযান বুক ক্যাফে তে।
নবজাগরণ

স্থান: ভাটিন্ডা জলপ্রপাতলেন্স বন্দি করেছেন: SUnanda KUnduনবজাগরণ               Jharkhand Tourism
05/10/2024

স্থান: ভাটিন্ডা জলপ্রপাত
লেন্স বন্দি করেছেন: SUnanda KUndu
নবজাগরণ
Jharkhand Tourism

স্থান: কুমোরটুলিক্যামেরায়: SUnanda KUnduনবজাগরণ
05/10/2024

স্থান: কুমোরটুলি
ক্যামেরায়: SUnanda KUndu
নবজাগরণ

30/09/2024

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল নবজাগরণ এর সংকলন “অবকাশের কলম” এই সংকলনে রয়েছে কবিতা, গল্প এবং প্রবন্ধ। অনেকের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এই প্রচেষ্টাটি সফল হয়েছে তাই এই সুন্দর মুহূর্তে তাদের সকলকে জানাই কৃতজ্ঞতা। সকল লেখক/লেখিকা কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই নবজাগরণ এর সহ-সম্পাদক Sunit Ghosh , সহ-সম্পাদিকা Swagata Mukherjee , সমন্বয়কারী Abhijit Roy , প্রচ্ছদ শিল্পী Sanchayita Ghosh কে এছাড়াও ধন্যবাদ জানাই প্রকাশনা সংস্থা ObhinoboMon Pvt. Ltd. কে।
সেই সকল সাধারণ সদস্যগণ যারা পেজটি এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছেন তাদেরকেও জানাই কৃতজ্ঞতা। আগামীতেও নবজাগরণ এর পাশে থেকে আপনারা অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবেন আরও ভালো কাজ করবার। নবজাগরণ ফেসবুক পেজের অন্যান্য সকল ফলোয়ার কে জানাই ধন্যবাদ— আপনাদের ভালোবাসায় পেজটি দিনে দিনে প্রসারিত হচ্ছে, এভাবেই পাশে থাকুন।

ধন্যবাদান্তে,
কৌস্তুভ গুপ্ত
প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক

“গনেশ”আঁকা: SUnanda KUndu নবজাগরণ Please like and share
21/09/2024

“গনেশ”
আঁকা: SUnanda KUndu

নবজাগরণ
Please like and share

|| ক্রাশ ||লেখা: Kaustuv Gupta ক্রাশ শুধু মানুষ খায় কে বলল! মহাজাগতিক ঘটনাক্রমও মাঝে মাঝে জানান দিয়ে যায় যে ক্রাশ খাও...
18/09/2024

|| ক্রাশ ||
লেখা: Kaustuv Gupta
ক্রাশ শুধু মানুষ খায় কে বলল! মহাজাগতিক ঘটনাক্রমও মাঝে মাঝে জানান দিয়ে যায় যে ক্রাশ খাওয়ার কোনও বয়স তো হয়েই না এমনকি হতে পারে, এটা শুধুমাত্র মানুষ বা প্রাণীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে যেন ছড়িয়ে গেছে এই ব্রহ্মাণ্ডে। অন্তত, যে ঘটনার কথা বলতে চলেছি সেখানে এইভাবে ভাবা যেতেও পারে।

পৃথিবী ছাড়া— মঙ্গল, বুধ, শুক্র, বৃহস্পতি সহ প্রভৃতি গ্রহের একাধিক প্রাকৃতিক উপগ্রহ আছে তা আমরা সকলেই জানি। আর সবার প্রিয় চাঁদ আমাদের পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ। এই চাঁদ নিজেও কি জানে তাঁকে নিয়ে এত যে রোমান্টিসিজম! চাঁদনি রাতের জ্যোৎস্নায়— অভিসারের গপ্পো তো কতই শুনেছি। তারপর, নিশি রাতের বাঁকা চাঁদ নিয়ে গান লিখে কত গুণীজন বিখ্যাত হয়ে গেলেন। কোটি কোটি প্রেমিক তাদের প্রেয়সীর রূপ মাধূর্য বর্ণনায় বারংবার চাঁদ কে উদাহরণ স্বরুপ বলেছেন। এবার সেটা কতটা বৈজ্ঞানিক চিন্তা থেকে বলা, তাই আবার ভাবতে আছে নাকি! চাঁদের এই এত চাহিদা দেখে মনে হয় পৃথিবীর একটু গোঁসা হয়েছে। মানছি চাঁদ কে আমরা মামা বলি...সে তো পুলিশকেও মামা বলা হয়, কিন্তু মামা হয় কয়জন? সম্পর্কের জটিল সমীকরণে না হয় এই লেখায় ঢুকছি না। যাইহোক, পৃথিবীর কিছু একটা মনে হয়েছে, হয়তো মনে হয়েছে একটু প্রমাণ দেওয়ার যে পৃথিবীও কম কিছু যায়না, সে মানুষ যতই চাঁদের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হোক না কেন। ব্যাপার কী? — ব্যাপার হচ্ছে, একটি গ্রহাণু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের মায়ায় বাঁধা পড়তে চলেছে, তাও আবার কিছুদিনের জন্য। সে কী করবে? তেমন কিছুই না— সে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করবে। বিজ্ঞানীরা একে ‘মিনি মুন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
আসল মুন অর্থাৎ চাঁদের নাক কুচকানোর তাই যথেষ্ট কারণ আছে। এই মিনি মুন কত দিন থাকবে? উত্তরটি আশা করি সবাই জানেন তবে এর মধ্যেও বাঙালিরা বিশেষ কৌতুক রসদ খুঁজে পাবেন। মিনি মুন যার আরেকটা নাম পিটি৫ পৃথিবীর মায়ায় থাকবে ২৯ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪। কিছু বুঝলেন? মানছি পুজোর সময় সঙ্গীহীন থাকার যন্ত্রণা বড়ই বেদনা দায়ক। তাই খুঁজে নেওয়া হয় কাউকে ‘পুজোর প্রেমের’ বাহানায়, তার আগমনের দিন থেকেই ঠিক হয়ে গেছে তার মেয়াদ বড় জোর লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত কিংবা খুব জড়িয়ে গেলে তারপর আরও একমাস। হ্যাঁ ব্যতিক্রমী ঘটনা এখানে আলোচ্য নয়। এই পিটি৫ বা মিনি মুন (নাম টা কিন্তু বেশ ছোট্ট কিন্তু ভালো) কে এই দেড় মাস দেখা যাবে আকাশে। চাঁদের সঙ্গেই থাকবে সেও বিরাজমান। তবে এইসময়কালে মানুষ যদি চাঁদের সাথে তুলনা না করে ছোট চাঁদের সাথে করে এই ভেবে চাঁদের মনেও বোধ হয় ইন্সিকিউরিটি হচ্ছে অল্প অল্প। মানুষে বলতেই পারে, “তোমায় আজ মিনি মুনের মতো লাগছে।” মিনি মুন আবার পুরো প্রদক্ষিণ করবে না, তার আগেই সে আবার মায়া কাটিয়ে হারিয়ে যাবে। তবে হারিয়ে যাওয়ার আগে এই যে পৃথিবীর স্মৃতিটুকু নিয়ে যাবে এই তো অনেক!

চাঁদ এ বিষয়ে আবার কনস্ট্যান্ট, সে ছিল আছে থাকবে। দুষ্টু প্রেমিক বা প্রেমিকার যেমন কড়া প্রেমিকা বা প্রেমিক থাকে— সবসময় নজরে রাখে আবার ভালোও বাসে, থেকে যায় কনস্ট্যান্ট হয়ে, জীবন কে সুন্দর করে তুলতে।
নবজাগরণ
Please like this page and keep supporting us.

Address

Deshbandhu Nagar
Kolkata
700059

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নবজাগরণ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to নবজাগরণ:

Share

Category