Bolo Story Story Bol

Bolo Story Story Bol This is an entertainment page where we will be uploading some videos every few days. The story time limit is around 3 min. We need all of you,thank you.

The content of this video will be love story, social story, family story etc.

12/11/2024

গল্পের নাম - 'কচুরি ও দুধ চা' !

দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না। বড় একা লাগে। সত্যি তাই। এই উপলব্ধি লাল্টু বাবু করলেন শ্যামবাজার মোড়ে দাঁড়িয়ে। আসলে সকালে কচুরি টা খাওয়ার পর গরম মালাই চা টা পেটে পড়তেই পেটের ভিতর টা কেমন গুড় গুড় করতে শুরু করলো। থাইল্যান্ড এর ম্যাসাজারদের মত কেউ যেন পেটে মোচড় দিচ্ছে। এদিকে সুলভ শৌচালয় যে যাবে তার জন্য তার কাছে টাকা নেই, নেই বলা ভুল। পকেটে তার 500 টাকার নোট। সুলবে গিয়ে দুর্লভ 500 টাকা দিলে সেখানের কর্মরত লোকটি যে চ্যাঁচা মিচি করবেন তাতে এই প্রকৃতির ডাক আরো প্রকট হতে পারে । এর পর তাকে ঢুকতে না দিলে পুরো ল্যাজে গোবরে অবস্থা হবে , মানে ল্যাজে সত্যি গোবর লেগে যাবে এমন অবস্থা। ঠিক এই সময় লাল্টু বাবুর বুদ্ধি খুললো , তার মাথায় এলো তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি তো কাছেই, মানিকতলায়। সেখানে গিয়ে কাজ টা সেরে নিলেই হয়। শ্যামবাজার থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করে 50 টাকা বেশি দিয়ে লাল্টু বাবু পৌঁছলেন মেয়ের শ্বশুর বাড়ি। বাবাকে দেখে মেয়ে আনন্দে আত্মহারা, তার শাশুড়ি মা বলছে বাবা কে বসতে দাও, জল মিষ্টি দাও। কিন্তু লাল্টু বাবুর সেসব দিকে কান নেই। সে মেয়ে কে জিজ্ঞেস করলো হ্যাঁ রে মা তোদের বাথরুম টা কোনদিকে? মেয়ে বললো বাবা বাথরুম তো এই দিকে কিন্তু আমার শ্বশুর মশাই ঢুকেছেন , ওনার একটু টাইম লাগে, চিন্তা নেই পা ধুতে হবে না। লাল্টু বাবুর তো এই কথা শুনে মাথা বন বন করে ঘুরছে, কপাল ঘামে ভিজে যাচ্ছে ,মুখ টা বেঁকে বাংলার 5 এর মত হয়ে যাচ্ছে। মেয়ে জিজ্ঞেস করলো বাবা খুব গরম লাগছে বলো??? এসি চালিয়ে দেব???? লাল্টু বাবুর মুখে কোনো কথা নেই।
পা দুটো কে আঁটোসাঁটো করে দাঁত চেপে ঢোক গিলে বললেন তোদের একটাই বাথরুম?
মেয়ে বললো না আরেকটা আছে তিন তলায় । এই কথা শোনা মাত্র মেয়ে কে পিছনে ফেলে বাবা দৌড়োলো তিন তলায়। বাথরুম ফাঁকা পেয়ে কোনো রকমে জামা কাপড় ছেড়ে বসতেই , উফঃ কি শান্তি। এই শান্তি যেন কোনো কিছুতে নেই। দু দিন আগেই তার বউ তাকে বলেছিল পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে যা শান্তি তা আর অন্য কিছুতে নেই। লাল্টু বাবু সেই কথায় সম্মতি জানিয়েছিলেন, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে কোনো পাহাড় টাহার নয় , কমোডের উপর বসার মত শান্তি আর কোনো কিছুতে নেই। যাই হোক কাজ তো হলো , কিন্তু এই শান্তি যে আবার অশান্তি তে পরিণত হবে সেটা লাল্টু বাবু জানতেন না। ফ্ল্যাশ করলেন কিন্তু পুরো জিনিস টা গেল না। অর্ধেক থেকে গেল। এদিকে বাইরে থেকে জামাই বাবাজি হাঁক পেরেছেন - বাবা আপনার হলে বলবেন উপরের বাথরুমে আমি যাবো। মহা মুশকিল জামাই বাথরুমে ঢুকে শ্বশুরের প্রসাদ দেখবে তা কি করে হয়। লাল্টু বাবু আবার ফ্লাশ করলেন তাতেও গেল না, বালতি করে জল দিলেন তাতেও গেল না আবার ফ্ল্যাশ করলেন কিন্তু একি! জল নেই। কল খুললেন জল নেই। ট্যাঙ্কের জল উনি মনে একাই এই কাজে শেষ করে দিয়েছেন। কি করবেন বুঝতে পারছেন না লাল্টু বাবু, একটু আগে যেই বাথরুম কে শান্তির জায়গা মনে হচ্ছিল নিমেষে সেই বাথরুম টাই সব থেকে ভয়ের জায়গায় পরিণত হল।
জল কোথায় পাবেন লাল্টু বাবু এখন ???? কি বলবেন বাইরে অপেক্ষা করা জামাই কে??? কিছু বুঝতে না পেরে নিজের লাইফলাইন বউ কে ফোন করে ফিস ফিস করে সব টা বললেন। বউ সব টা শুনে মুখ ঝামটা দিয়ে বললো- কতবার বলেছি কচুরির সঙ্গে দুধ চা খাবে না কিছুতে তো শুনবে না। ঠিক হয়েছে।
লাল্টু বাবু - ঠিক বেঠিক পরে বিচার করবে, আগে আমায় বাঁচাও । আমি ফেরার পথে তোমার জন্য ভালো ক্লিপ, লিপস্টিক নিয়ে যাবো।
বউ- ঠিক আছে দেখছি।
বউ ফোন টা রেখে দেওয়ার 5 মিনিটের মধ্যে বাথরুম এর দরজায় ঠক ঠক
লাল্টু বাবু - কে ?? আমার একটু টাইম লাগছে আর কি।
মেয়ের শ্বশুর - কেন লাগছে শুনেছি । 3 বালতি জল এনেছি নিয়ে নিন। আর শুনুন এই পরম পূজনীয় জিনিসটার ব্যাপারে কিছু বলতে লজ্জা করবেন না। এমন ঘটনা আপনার মত আমার ও হয়েছিল। আরে দাদা এই কমোড টায় জল ঢাললে একবারে যায়না বলেই তো আমরা নিচের বাথরুম টা বেশি ব্যবহার করি। যাক হাত বাড়িয়ে নিয়ে নিন।
লাল্টু বাবু তাই করলো। তার পর নিচে নেমে দেখে সে কি দারুন খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। প্লেট ভর্তি কচুরি আর সঙ্গে এক কাপ দুধ চা !!!!

07/11/2024

গল্প : ছাতা
লেখা : শান্তনু ভট্টাচার্য
মীরা:ধুস! বাড়িতে আজ হেব্বি বকা খেতে হবে জানিস তো ঈশু বেকার লেট হয়ে গেলো এই জঘন্য বৃষ্টিটার জন্য ....দেখ কেমন শয়তান বৃষ্টি আরো জোরে নামছে কমার কোনো নাম নেই....বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় মা বারবার বলছিলো ছাতাটা নিতে কেন যে নিলাম না,আর তুইও তেমনি বদমাশ ! জীবনে ব্যাগে একটা ছাতা রাখিস না।বই,পত্রও তো থাকে না শুধু বিড়ি,সিগারেট ,লাইটার ছাইপাস যতো...
ঈশান: ভালোই হয়েছে আনিস নি ছাতা আনলে এরকম সুন্দর দোকানের সেডের তলায় দাঁড়িয়ে মিষ্টি বৃষ্টি টা উপভোগই করা হতো না!
মীরা:চুপ কর বদমাশ !!তোদের যে কী করে এত বৃষ্টি ভালো লাগে বুঝিনা বাপু।প্যাঁচপ্যাঁচে কাদায় নাকি প্রেম!মা গো আমার ওমন প্রেমের দরকার নেই।অখিলেশ টাও এক।ওনার বৃষ্টি আসলেই নাকি লেখা পায়!আদিখ্যেতা!!!!
ঈশান:ভুল করছিস।আমার বৃষ্টিতে প্রেমট্রেম পায় না! শুধু উপভোগ করি।
মীরা:ঢপ দিস না ঈশু তোকে খুব ভালো চিনি।
ঈশান:তাই নাকি!বাবা...
( মীরা কিছু বলতে যায়, ওকে থামিয়ে ঈশান হঠাৎই বলে )
ঈশান - তুই অখিলেশকে খুব ভালোবাসিস তাই না রে মীরা?
মীরা:হ্যাঁ রে। ওকে ছাড়া আমি বাঁচবোই না।
ঈশান: উহঃ বাবা কী করে পারিস ?আমার তো ওত প্রেম কোনোদিন এলো না কারুর প্রতি...
মীরা:তুই ভালোবাসার বুঝিসই বা কি?বলতো ভালোবাসা কাকে বলে?
ঈশান:জানি না রে...
একটা রিক্সাকে দূর থেকে আস্তে দেখে ঈশান ডেকে ওঠে
ঈশান - ও কাকু যাবে নাকি?
রিকশা টা এসে থামে।
ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে একটা মোটা খাতা বের করে ঈশান
এই নে, খাতাটা মাথায় নিয়ে রিক্সাতে উঠে পড় এরপর রিক্সা চলে গেলে আমাকে বলতে পারবি না।বাই দ্য ওয়ে বাড়ি পৌঁছে মনে করে জানাবি.....

কেটে যায় বেশ কিছু বছর, আবার এক বর্ষাকালের সন্ধে, ঈশান দাঁড়িয়ে আছে আর তাকে সঙ্গ দিচ্ছে এক শহর বৃষ্টি। ফোনটা বেজে ওঠে ঈশানের
"আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতিস...."রিংটোনটা কানে আসছে ঈশানের কিন্তু হুট করে এই প্রবল বৃষ্টিতে কিছুতেই ফোনটা বের করতে পারছে না পকেট থেকে,ব্যাগ থেকে ছাতাও বের করতে হবে,দৌড়ে কোনো রকমে একটা সেডের তলায় আশ্রয় নেয় সে ,হঠাৎ পাশের মানুষটিকে দেখে চমকে উঠল....
ঈশান:মীরা তুই???!!!
মীরা:তুই এখানে?
ঈশান:অফিস থেকে ফিরছি ।
তুই এদিকে হঠাৎ কী মনে করে?শুনছিলাম তুই কলকাতায় থাকিস না আর এখন!
মীরা: হুম।ঠিক শুনেছিলিস,অখিলেশের সঙ্গে সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়াটা মেনে নিতে পারিনি মুভ অন করার জন্য কলকাতা ছেড়েছিলাম।মাসির খুব শরীর খারাপ শুনে কলকাতায় এসেছি পরশু ।মাসির বাড়ি থেকে ফিরছিলাম এই বৃষ্টিটা আটকে দিল।কেন যে ছাতা ছাড়া বেরোলাম!!!
ঈশান:(হালকা হেসে)এখনও বৃষ্টিটাকে আগের মতোই অপছন্দ করিস দেখছি!
মীরা: হি হি!সত্যি আমরা কতটা পাগল ছিলাম না রে?!অখিলেশের জন্য তোর সঙ্গে ঝগড়া করে কথা বলাই বন্ধ করে দিলাম।
ঈশান:আর আজ এত বছর পর সেই অসভ্য বৃষ্টিটাই আবার তোকে আমার সাথে দাঁড় করিয়ে গল্প করতে বাধ্য করছে।
মীরা:ঈশান,তুই না!ছাড় না সেসব কথা।হ্যাঁ রে তুই এখনও বৃষ্টি ভালোবাসিস?
ঈশান:না,আমি কোনোদিন বৃষ্টি ভালোবাসি না।বৃষ্টি উপভোগ করি...
মীরা:আবার সেই মিথ্যে কথা!আচ্ছা ঈশান বলতো ভালোবাসা কাকে বলে?
ঈশান:জানি না রে!(ব্যাগ থেকে ছাতা বের করে)তুই এখনো ছাতা বাড়িতে ভুলিস কিন্তু আমি ব্যাগে সিগারেট,লাইটার,
ছাইপাস গুলোর সাথে এখন ছাতাটাও রাখি।
আয়,ছাতার নীচে আয়....
তোকে রিক্সাস্টান্ড অব্দি এগিয়ে দিই,ভিজিস না ঠান্ডা লাগবে......!

06/11/2024

গল্প - '৭ মাস পর'
ঘরের মধ্যে একটা সোফায় বসে আছে সুমনা। মনের মধ্যে অদ্ভুত একটা অস্বাস্তি কাজ করছে তার, যেন কত কী বলতে চায় কিন্তু পারছে না...
আসলে সুমনার বিয়ের ৭ মাস কেটে গেছে কিন্তু আসল সত্যি টা পলাশ কে বলতে পারেনি সে। তাই ভিতর ভিতর খুবই অস্বস্তি হচ্ছে। নিজেকে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত মনে হচ্ছে | কিন্তু বলতে না পাড়ার কারণ পলাশ যদি সুমনাকে ভুল বোঝে!!! দূরে সরিয়ে দেয়!!!
( এমন সময় সেই ঘরে ঢোকে পলাশ )
পলাশ - কি নিজের মনে বির বির করছো?
(সুমনা কোনো কথা বলে না )
পলাশ - চুপ করে গেলে কেন কি বলছিলে বলো?
এই বলে ঘরের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মনে চুল আঁচড়াতে থাকে পলাশ
সুমনা - তোমার সাথে একটা ইম্পরট্যান্ট কথা আছে..

পলাশ -বুঝেছি শপিং তো, ঠিক আছে সন্ধ্যে বেলা বলছি

সুমনা -না
পলাশ - ও তবে নিশ্চ্য়ই ব্লগ দেখে ভালো কোনো ডিস্টিনেশন পেয়েছো, ঘুরতে যাবে...
সুমনা - না পলাশ একটু শোনো একটা জরুরি কথা।
পলাশ - তাহলে কারুর পিএনপিসি?
সুমনা - সিরিয়াসলি বলছি প্লিজ একটু শোনো..
সুমনার ধরে আসা গলা শুনে ঘুরে তাকায় পলাশ, পাশে বসে
পলাশ - কি হয়েছে?
সুমনা - ৭ মাসে যে কথা টা বলতে পারিনি সেটা বলতে চাই..আমি... আমি..
পলাশ - এতো সংকোচ কোরো না বলো
সুমনা - আমি অন্য একজনকে ভালোবাসতাম পলাশ .. তোমায় আমি কোনোদিন ভালোবাসতে পারিনি...
পলাশ - ও এই কথা.... আমি ভাবলাম কি না কি..
ইশ রে ছেলেটা কি মিস করছে তোমায় এখন সেটাই ভাবছি...
সুমনা -আমি সত্যি বলছি, ইয়ার্কি নয়। ছেলেটা আমায় ছেড়ে চলে গেছিল তাই রাগ করে ওকে দেখানোর জন্য আমি তোমায় বিয়ে করি কিন্তু তোমায় কখনো ভালোবাসতে পারিনি....
পলাশ - দেখেছো এটা শুনে তো আমার কাঁদার কথা, তুমি কাঁদছ কেন? আচ্ছা ছেলেটার সঙ্গে কথা বলবে? নম্বর আছে??

-না আ আ আ | কোনো যোগাযোগ নেই রাখতেও চাইনা কিন্তু তোমার কাছে আমি কথাটা লুকিয়েছি তাই... আমার খুব কষ্ট হচ্ছে |
পলাশ - আচ্ছা তোমার খুব কস্ট হচ্ছে তো এসো তো আমার কাছে, বুকে মাথা রেখে কাঁদো কষ্ট একটু হলেও কম হবে...
সুমনা -তুমি কি পাথর? তোমার কষ্ট হয়না?
পলাশ - না, আমি পাথর না, আমি তোমার একটা অত্যন্ত কম্ফর্টেবল জায়গা যেখানে তোমার যখন খুব কষ্ট হবে, কাঁদতে ইচ্ছা করবে, আসবে।আর আমি গুনে রাখব তোমার প্রতিটা জলের ফোঁটা |
চোখ ভরা জল নিয়ে সুমনা জড়িয়ে ধরে পলাশ কে।
সুমনা এমন ভালোবাসার স্পর্শ কখনো পায়নি আগে, অনেকটা হালকা লাগছে তার। পলাশ কে সে জিজ্ঞেস করে
- এই কথাটা জানার পরও তুমি আমায় ভালোবাসবে?
হাসি মুখে পলাশ বলে
- তোমার মান, অভিমান, রাগ, তোমার ভালো, তোমার খারাপ, তোমার সবটুকু কে ভালোবাসি বলেই মানুষ সুমনাকে আমি ভালোবাসতে পারি। আর কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে হাজার ঝড় ঝাপ্টা এলেও ভালোবাসার ভালো বাসার কোনো ক্ষতি হয় না। তোমার আগের জীবন নিয়ে আমি কখনো ভাবইনি সুমনা, আমি শুধু এটুকু জানি তুমিই আমার বর্তমান, তুমিই আমার ভবিষ্যৎ।
সুমনা আরো জোরে চেপে ধরে পলাশ কে।
- ইস্ত্রি করা জামাটা ঘেঁটে দিলে তো, অফিসের সুন্দর মেয়েগুলোকে এবার কী করে ইমপ্রেস করবো?
সুমনা আরো আরো জোরে চেপে ধরে পলাশ কে।
- বাজে লোক। যেতে দেব না আজ অফিসে।

01/11/2024

গল্পের নাম - ভাইফোঁটা স্পেশাল

চাকরি নিয়ে মারপিট চলছে এখন, অনেকেরই চাকরি গেছে, কাজ চলে গেছে । এরকমই কাজ চলে গেছে বিল্টুর। কিন্তু বাড়িতে সে কিছু বলতে পারেনি, সবাই জানে সে একটা বড় কোম্পানি তে কাজ করে। কাজ টা চলে যাওয়ার সময় বিল্টুর কলিগ রা হঠাৎ করেই যেন পাশ থেকে সরে যায়, আগে যারা বিল্টু কে দু বেলা ফোন করতো তারা হঠাৎ করেই চুপ মেরে গেছে। যাবেই তো ওই কোম্পানি তে বিল্টুর প্রয়োজন আর নেই... কিন্তু কাজের জায়গার কেউ বিল্টু কে ফোন না করলেও বিল্টুর বোন তাকে রোজ ফোন করে আর ইদানিং তো একটু বেশিই ফোন করছে কারণ সামনে ভাইফোঁটা। বিল্টু বোন কে বলেছিল এবার ভাইফোঁটায় একটা মোবাইল কিনে দেবে কিন্তু হঠাৎ চাকরি টা চলে যাওয়ায় বিল্টু একটু চিন্তায় পড়েছে। বোন কে বলতে পারছে না চাকরি টা আর নেই, মোবাইল যে কিনবে তার পয়সা টাও নেই.. এদিকে আস্তে আস্তে দিন গড়িয়ে ভাইফোঁটা চলে এসেছে.. ব্যাগ পত্তর গুছিয়ে খানিক লজ্জা নিয়েই বাড়ির পথে কলকাতা থেকে রওনা দিল বিল্টু.. ভাইফোঁটা শুরু হলো.. বোন পাত সাজিয়ে মিষ্টি দিয়েছে , সঙ্গে দারুন দু রকমের চকোলেট কেক। ফোঁটা দিয়ে বোন হাত পাতলো দাদার সামনে...
বিল্টু অনেকটা লজ্জা নিয়েই পকেট থেকে একটা চকলেট আর একটা পারফিউম ধরিয়ে দিল বোন কে...
বোন একটু অবাক চোখেই বিল্টুর দিকে তাকিয়ে বলল আর আমার মোবাইল টা???
বিল্টু কিন্তু কিন্তু করে বলল - না মানে আসলে ..
বোন বলল - চাকরি টা চলে গেছে বলে আনতে পরিসনি তো??
বিল্টু একটু অবাক হল
- তুই জানলি কি করে???
-দাদা আমি আমার জন্ম থেকে তোকে দেখছি, জানছি, বুঝছি ... লাস্ট 1 মাস ধরে তোর কথা শুনেই আন্দাজ করেছিলাম কিছুটা। চাকরি তোর আসবে যাবে কিন্তু এই বোনটা তো সারাজীবনের ... মোবাইল টা তাই পরের বছর নেব তোর থেকে... আর হ্যাঁ আমার তরফ থেকে একটা গিফট আছে তোর জন্য।

একটু আবেগপ্রবণ হয়ে বিল্টু জিজ্ঞেস করলো কি গিফট দিবি তুই???
বোন হাসি মুখে প্লেট থেকে একটা চকোলেট কেক বিল্টুর মুখে দিয়ে বললো... এই যে কেক গুলো আমি নিজে হাতে বানিয়েছি.. আমি এই বিজনেস টা শুরু করেছি খুব রিসেন্টলি .. একটা আউটলেট ও খুলেছি লাস্ট উইক। তোকে সারপ্রাইজ দেব বলে কিছু বলিনি...তুই কি আমার বিজনেস পার্টনার হবি??? ভাইফোঁটা স্পেশাল অফার।
এই বলে বোন হাসে।
আলতো ভেজা চোখে কেক টা খেতে খেতে বিল্টু আর কিছু বলতে পারলো না।
বলার কিই বা দরকার ....

31/10/2024

গল্পের নাম - শুভ দীপাবলি

বাজি কিনে ফিরছে বিট্টু, সন্ধে হয়েছে। রাস্তার ধারে দেখে একজন বয়স্ক লোক বির বির করছে।
- কী জেঠু কিছু সমস্যা?
- হ্যাঁ সে তো হবেই এই দেখো না এত বাজি ফাটছে রাস্তায় একটাও কুকুর বিড়াল নেই।
- জেঠু এই একদিনই তো। একদিন মানুষ একটু আনন্দ করবে না?
- তুমিও কিনেছো না? বোম আছে?
- হ্যাঁ এক প্যাকেট কিনেছি, আর কয়েকটা সেল কিনেছি।
- আমার ছেলে হলে না তোমায় কানের ডগায় দিতাম।
- জেঠু বেকার রাগ করছেন। আজ কিছু করার নেই। একদিনের আনন্দ তো মাটি হতে দেওয়া যায়না। আপনিও বাড়ি যান আর চেষ্টা করবেন একটু ভদ্র ভাবে কথা বলতে।
- উঃ ভদ্রতা শেখাচ্ছে। কেন তোমরা ফুলঝুরি, চড়কি এগুলো জ্বালাতে পারো না?
- ওগুলো বাচ্চারা জ্বালায় জেঠু, এসব রাগ টাগ না করে আসুন একসাথে একটা সেল ফাটাই।
- জুতো খুলে মারবো হতচ্ছাড়া।
- রাগছেন কেন? একটা ফাটান না। বের করবো?
- এবার কিন্তু কাঁচা খিস্তি দেব। শান্তি দেবে না এরা। লোকে বলে মরলে শান্তি, আমার তো দেখছি সেটাও নেই।
- কী?
- কী আবার গত বছর এই বাজি শব্দ সহ্য করতে না পেরে পেসমেকার লাগানো বুক টা কেঁপে উঠলো, গেলাম মরে। ভাবলাম ভূত হলে একটু শান্তি শব্দ কানে আসবে না ও মা এবার বাজির শব্দ যেন ডবল হয়ে উঠলো। গাছে থাকবো কী উড়োনতুবড়ি গুলো গাছে এসে ফাটছে। রকেট গুলো গাছে এসেছে ফাটছে। হতচ্ছাড়া কে একটা গাছে বোম ছুঁড়ছে।
- ভূত!!!!!!!!!!!
বিট্টু অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়, ভদ্রলোক বিট্টুর বাজির ব্যাগ টা তুলে ছুঁড়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। তার পর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে
- এই নিয়ে আজ ৫ জনের বাজি বাজেয়াপ্ত করলাম বুঝলি। কেল্টু, গদাই , চুন্নু, টিপু তোদের তো বাঁচাতে পারলাম না এখন নকল ভূত সেজে যদি তোদের দু একটা বন্ধুকেও বাঁচাতে পারি অন্তত তোদের বন্ধুদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব টা আরো কটা দিন বেশি থাকবে। যাই ভোলা টা বসে আছে বাড়িতে একটু মাছ মেখে ভাত দেব। তোরা ভালো থাকিস। শুভ দীপাবলি।

Address

118 A Anandapally Jadavpur
Kolkata
700032

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bolo Story Story Bol posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category