09/07/2025
M nag&son ❤️ 🙏 ❤️HP GHOSH HOSPITAL প্রবীণ নাগরিক বা
৬০ বছরের উর্ধ্বের নাগরিকদের জন্য এক অসাধারণ প্রকল্প ওচিকিৎসা প্রতিষ্ঠা করলো। সমস্ত জায়গা থেকে এই সুবিধা পাবেন (জনস্বার্থে)
যে সমস্ত প্রবীণ মহিলা ও পুরুষ বয়সের দিক থেকে গৌরবময় হীরক জয়ন্তী বর্ষ অতিক্রম করেছেন অর্থাৎ ৬০ বছর পার করে সিনিয়র সিটিজেনের তকমা পেয়েছেন তাদের জন্য একটি সুখবর জানাই।
সল্টলেকের সকলে অবগত আছেন
বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা মাননীয় চন্দ্রশেখর ঘোষ তার প্রয়াত পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে একটি Hospital তৈরি করেছেন।
সুশ্রুত হসপিটালের পাশেই এই হসপিটাল।
নাম HP GHOSH HOSPITAL.
গতকাল দুপুরবেলা তারা একটি সেমিনারের আয়োজন করে Senior Citizen Card Launch করেছেন। তার নামটি ভারি চমৎকার-'স্নেহ বন্ধন।'
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন নামকরা সব বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞা স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত। আরও ছিলেন অসংখ্য সাংবাদিক।
এই Card দিয়ে কি হবে?
তিন বছরের জন্য মাত্র তিন শত টাকা দিয়ে এই কার্ড করালে কয়েকটি বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে।
অসুস্থ হলে ফোন করা মাত্র অ্যাম্বুলেন্স রুগীকে বাড়ি থেকে বিনামূল্যে তুলে নিয়ে আসবে। যেহেতু আগেই ঠিকানা নথি ভুক্ত করা থাকবে তাই ঠিকানা বলতে হবে না।
আজকাল সমৃদ্ধ উপনগরী সল্টলেক সিটি এক বৃহৎ বৃদ্ধাশ্রম। অধিকাংশ বাড়ি বা ফ্ল্যাটে শুধুমাত্র বৃদ্ধ বৃদ্ধা বাস করেন।
একাকী নিঃসঙ্গ অবস্থায় বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা বাস করেন এমন ঠিকানা ও কম নেই। সেক্ষেত্রে অসুস্থ হলে পাড়া প্রতিবেশীরা হসপিটালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে দেবেন ঠিক কথা, কিন্তু তিনি কোন রোগের জন্য কি ওষুধ খান, তার কি কি অসুখ আছে, কোনো অপারেশন হয়েছিল কিনা, কোনো ওষুধে এলার্জি আছে কিনা এই সব ইনফরমেশন কে দেবেন? অসুস্থ ব্যক্তির তখন কথা বলার মতো অবস্থা থাকবে না ধরে নেওয়া যায়।
সুতরাং হসপিটালে আগে থেকেই যদি সব ইতিবৃত্তান্ত নথি ভুক্ত করা থাকে তাহলে চিকিৎসকেরা দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারেন।
এমন অনেক অসুখ আছে যেখানে প্রতিটি মিনিট খুব মূল্যবান।
অযথা সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দিলে আরোগ্য লাভের আশা থাকে অধিকতর বেশি রকম।
এই কার্ডের অধিকারীরা নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত চেকআপ করাতে পারবেন।
তাদের জন্য শয্যা নির্দিষ্ট থাকবে। Bed নেই এই অজুহাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বা ফিরিয়ে দেওয়া চলবে না।
সব রকম Test করার সময় বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে।
বিভিন্ন ডক্টররা তাদের বক্তব্যে বারবার একটি কথাই বললেন যে "আমরা কেউ চাই না অসুস্থ হয়ে আপনি হসপিটালে ভর্তি হোন। আমরা চাই কিভাবে সুস্থ সবল সতেজ থাকা সম্ভব সে বিষয়ে আপনারা অবহিত হোন। আপনারা সুস্থ শরীরে এসে জেনে যান কোন্ রোগের কি শারীরিক লক্ষণ বা উপসর্গ। সেই সব লক্ষণ দেখা মাত্র আপনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। মুমূর্ষু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।"
সমবেত সাংবাদিকবৃন্দের কাছে আবেদন রাখা হলো তারা যেন সকলকে এই "স্নেহ বন্ধন "প্রকল্পটির কথা জানিয়ে দেন। মানুষের কাছে খবরটি না পৌঁছালে তারা কিভাবে এই Card সংগ্রহ করবেন অথবা সুযোগ সুবিধাগুলো গ্রহণ করবেন? তাই আমি সাংবাদিক না হলে ও যেহেতু ঐ সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম, সকলের কাছে এই সুখবরটা পৌঁছে দেবার নৈতিক দায়িত্ব পালন করা উচিত বলে মনে করছি।
যারা আগ্রহী হবেন তাদের জন্য আমি ফোন নম্বর দিয়ে দিচ্ছি। আপনাদের শারীরিক ভাবে উপস্থিত হতে হবে না অর্থাৎ হসপিটালে যেতে হবে না। শুধু মাত্র ফোন করলেই তারা আপনার বাড়িতে এসে ফর্ম ফিলাপ করে আপনার কার্ড আপনার হাতে তুলে দিয়ে যাবেন। আপনার সব কিছু নথিভুক্ত করে নেবেন।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তারা প্রবীণ নাগরিকদের হিতার্থে
এই প্রকল্পটি গ্রহণ করেছেন।
আপনার সব রকম Medi claim ওনারা নেবেন।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মান্যতা পাবে।
প্রণাম বা অন্য কোন সংস্থার সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন সেটাও গ্রহণযোগ্য হবে।
"স্নেহ বন্ধন" নামকরণটি আমার কাছে খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। প্রবীণরা সকলেই চান স্নেহমাখা বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকতে। বাস্তবে যেটার এখন একান্ত অভাব।
শুধু মাত্র সল্টলেকের বাসিন্দারা নন, আপনি যতদূরে যেখানেই থাকুন না কেন, আপনি এই প্রকল্পে সর্বদা স্বাগত। তবে ডাক্তারদের অভিমত, আচমকা অসুস্থ হলে আপনি সব সময় পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত কোনো হসপিটালে
যাবার চেষ্টা করবেন কারণ তখন প্রতিটি মুহূর্ত মহার্ঘ।
অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে সকলের অনুরোধে স্বাগতা লক্ষ্মী দাশগুপ্ত মহাশয়া এই প্রকল্পটিকে স্বাগত জানিয়ে মধুক্ষরা কন্ঠে গাইলেন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত -
"অন্ধজনে দেহো আলো, মৃতজনে দেহো প্রাণ-তুমি করুণামৃতসিন্ধু করো করুণাকণা দান।।"
ছোট্ট ঘরোয়া অনুষ্ঠানটি আন্তরিকতায় ভরপুর ছিল। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের বক্তব্য ছিল খুবই সংবেদনশীল এবং হৃদয়গ্রাহী। দুই ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে সব দিক থেকে ঋদ্ধ হলাম।
HP GHOSH HOSPITAL য়ের দুটি ফোন নম্বর :-
1. 9147065100
2. 033 66 34 66 34.
পরিশেষে বলি, সবাই সুস্থ থাকুন। আনন্দে থাকুন। হসপিটালে যাবার প্রয়োজন যেন না হয় এই রইলো মোর প্রার্থনা।