Sristisukh

Sristisukh Sristisukh Prokashan is a leading publishing house based in Kolkata, India.

আজ জয়দীপ মৈত্র-র শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে জয়দীপ মৈত্র-র কবিতা সংকলন 'অপাবৃণু'।==========আয়নার প্রতিবিম...
29/08/2025

আজ জয়দীপ মৈত্র-র শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে জয়দীপ মৈত্র-র কবিতা সংকলন 'অপাবৃণু'।

==========

আয়নার প্রতিবিম্ব যেমন

পাথরের স্রোত থেকে অবয়ব তার
ভেসে যায় যে নদী কখনও ছিল না

অন্ধ চারণভূমি ক্ষয়ে ক্ষয়ে পিপাসা ও পশুজন্ম আসে
জলের পরে আর যা কিছু
তাই দিয়ে কাচ ভেঙে যাচ্ছে

ভাবি পাথরের প্রতিবিম্ব
যখন আয়না অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছিল

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সুজয় চক্রবর্তী-র গল্পগ্রন্থ 'সূর্য এখনও অস্ত যায়নি'।প্রচ্ছদশিল্পী - রোকু==========সুজয়,তু...
28/08/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সুজয় চক্রবর্তী-র গল্পগ্রন্থ 'সূর্য এখনও অস্ত যায়নি'।

প্রচ্ছদশিল্পী - রোকু

==========

সুজয়,

তুমি বলার পর হাতের কাছে পেলাম "সূর্য এখনো অস্ত যায়নি"। আমার প্রচ্ছদটি বড় ভালো লেগেছে। দ্রাবিড় জঙ্গলের ভেতর সূর্য অস্ত যাচ্ছে। চার পাশ জুড়ে ক্লান্ত দিন শেষের ছবি। যে জীবনগুলি তুমি গল্পে তুলে এনেছো সেই জীবনগুলি ছেঁড়া খোঁড়া, দারিদ্র, অনটন, অসহায়তায় অস্তাচলগামী। কিন্তু এখনো অস্ত যায়নি।
'বেলা শেষের গল্প'টি হালকা মেজাজের। এমন গল্প শেষ করার পর মন ভালো হয়ে যায়। পরবর্তী গল্প 'অসুখ'। এইসব 'অসুখ' নিয়েই আমাদের প্রতিদিনের দিন যাপন। ভালো লাগে। তবে গল্পটি একমাত্রিক। 'নারানের বউ' বড্ড বেশি চরিত্রের ভিড়ে একমাত্রিকতা নষ্ট হয়েছে। বেশ লাগল 'কুশীলব, এই গল্পে মজাটা খুব চমৎকার এসেছে। 'সিদ্ধান্ত' গল্পটি সুলিখিত হলেও সিদ্ধান্ত যেন আরোপিত মনে হয়। চমৎকার গল্প 'হাঁড়ির খবর' ----এ আমাদের ঘরের গল্প, প্রাণের গল্প।
তোমার কলমে জাদু আছে। যা দিয়ে জীবন, জীবন হয়। তাতে প্রতিষ্ঠা হয় প্রাণের। 'তিনটে শালিখ'ও তাই। সুন্দর এক টুকরো মনের ছবি দেখতে পেলাম। 'ডান হাত' গল্পটি বেশ ভালো। এই সময়ের ঘটনা বলবার ভঙ্গিটি বড় সাবলীল। 'ভালো কথা' গল্পে এক গভীর বেদনা ছড়িয়ে আছে। আধুনিকতার লক্ষণ।
সুজয়, বেশ কিছু গল্প পড়ে মনে হল তোমার হাত তৈরি। সামান্য আঁচড়ে তুমি তৈরি করতে জানো চরিত্র, ঘটনা। আর গল্প বলাটা বেশ করায়ত্ত করতে পেরেছ তুমি। অযথা জটিলতা সৃষ্টি করে, নকল আধুনিকতা রপ্ত করার থেকে তুমি বিরত আছো এটা জেনে ভালো লাগল।
ভালো থেকো। আরো ভালো লেখো।

-- গৌর দা।

(২০/০৬/২০২৪)

(চিঠির আকারে 'সূর্য এখনও অস্ত যায়নি' গল্পগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত পাঠপ্রতিক্রিয়া জানালেন বিশিষ্ট কথাকার ও আলোচক শ্রী গৌর বৈরাগী।)

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে বিতস্তা ঘোষাল-র প্রেমের আলোকিত উপাখ্যান 'আলোর উপাখ্যান'।প্রচ্ছদ – অভিব্রত সরকার==========প...
27/08/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে বিতস্তা ঘোষাল-র প্রেমের আলোকিত উপাখ্যান 'আলোর উপাখ্যান'।

প্রচ্ছদ – অভিব্রত সরকার

==========

প্রেম এক অতীন্দ্রীয় অনুভূতি। কেবল সম্পর্কই যে তা ধারণ করতে পারে, তা নয়। সমাজনির্দিষ্ট সম্পর্কের চিরচেনা সমীকরণ আর বিশেষণের বাইরে গেলেই যে আবার তাকে দুয়ো দিতে হবে, তা-ও নয়। প্রেম প্রেম-ই। যা আলো দেয়। যা মানুষকে ফিরিয়ে দেয় আলোর সমীপে। নারী-পুরুষ যখন হৃদয়ে ছুঁয়ে ফেলেন প্রেমের শীর্ষবিন্দু, তখন চেনা কাঠামোর সকল অভিধা খসে পড়ে। জেগে থাকে অনির্বচনীয় আলো। এই আলোর সন্ধানেই এগিয়ে চলেছে মানবসভ্যতা। বস্তুত প্রেম যেন সেই নদী, যা আপন তটে সভ্যতা ধারণ করতে পারে। এভাবেই সম্পর্কের জন্ম হয়। কিন্তু সম্পর্কের অধীন হয়ে প্রেম থাকতে পারে না। এই বইয়ের দুই উপন্যাসে সে কথাই আখ্যানের বিস্তারে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিতস্তা ঘোষাল। কখনও মনে হয়, তা পরকীয়া। কখনও মনে হয় সীমারেখা পেরিয়ে গেলেই বোধ হয় তা চেনা ধারণার কাছে দোষের হয়ে উঠবে। কাহিনিকার সফল নিয়ন্ত্রণ এবং সংযমে তাঁর চরিত্রদের এই পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছেন, যাচাই করে নিয়েছেন, এবং শেষমেশ পৌঁছে দিয়েছেন প্রেমের অগ্নিশুদ্ধিতে– যেখানে কেবল আলোর সাম্রাজ্য। এই বই তাই সম্পর্কের উদযাপন নয়, বরং প্রেমের আলোকিত উপাখ্যান।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

আজ হারুণ আল রশিদ-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে হারুণ আল রশিদ-এর ফেসবুকে প্রকাশিত পোস্টের সংকলন 'দারুণ আল...
26/08/2025

আজ হারুণ আল রশিদ-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে হারুণ আল রশিদ-এর ফেসবুকে প্রকাশিত পোস্টের সংকলন 'দারুণ আল কিতাব'।

প্রচ্ছদ ও অলংকরণ - অর্ণব দে

==========

একসময় হারুণ আল রশিদ ফেসবুকে আমার বন্ধুর বন্ধুর বন্ধু ছিলেন। তাঁর প্রথম লেখা কবে পড়েছিলাম আর মনে নেই। তবে ফেসবুক পোস্টগুলো এক জায়গায় করে তাঁর এই বইটা করার ব্যাপারে হাতেপায়ে ধরাধরি করতে হয়েছিল মনে আছে। চেয়েচিন্তে ফোন নাম্বার জোগাড় করেছিলাম। সেদিন নতুন একটা ফ্ল্যাট খোঁজার চেষ্টায় বেরিয়েছি ব্যাঙ্গালোরের রাস্তায়। তার মাঝেই ফুটপাতে হাঁটতে হাঁটতে তাঁকে ফোনে ধরলাম। কারণ সেদিন রোববার। তিনি জানিয়েছিলেন রোববার সকালে তিনি ফ্রি (বিনামূল্য নন, ফাঁকা আর কী)। তা জিজ্ঞাসা করলেন – “আমায় কী করতে হবে?” আমি জানালাম, ওঁর পছন্দসই ফেসবুক পোস্টগুলো একটা ওয়ার্ড ডকুমেন্টে গুছিয়ে পাঠাতে হবে। তদ্দিনে প্রকাশক হিসাবে আমার বদনাম তিনি শুনেছেন। তাই একটু গড়িমসি করছেন ফোনের ওদিকে। আর আমি এদিকে চিঁড়ে ভেজানোর চেষ্টা করছি। সেটা বুঝতে পেরে দু-একটা শর্ত চাপানোর চেষ্টা করলেন। “আমার লেখায় কিন্তু স্মাইলি থাকে। ওগুলো থাকবে তো?” আমি জানালাম, থাকবে। তারপর আবার বললেন, “আমি টমটম আর জিয়াকে বইটা উৎসর্গ করতে চাই।” টমটম আর জিয়া কারা আমার জানার কথা নয়। তবু ঘাঁটালাম না। ওঁর বই, উনি মার্গারেট থ্যাচার আর বাবা রামদেবকেও উৎসর্গ করতে পারেন। সংক্ষেপে জানালাম, “ডান।” আবার জিজ্ঞাসা, “আর কী থাকবে?” আমি একটু ঘাড় চুলকে বললাম, “কৃতজ্ঞতা থাকতে পারে। তবে আপনি কারও প্রতি কৃতজ্ঞ না হলে সেটা বাদ দেওয়া যায়।” ওদিক থেকে হাসলেন খানিক। বুঝলাম, কথাটা মনে ধরেছে। যাই হোক, এইভাবে শুরু হল বইয়ের কাজ।
একদিন ফোন করে বললাম, “বইয়ের নাম দারুণ আল কিতাব থাক। হারুণ আল রশিদের সঙ্গে মিলবে বেশ।” উনি বললেন, “থাক।” আরেকদিন বললাম, “বইয়ের শুরুতে ওই লেখাটা দিতে চাই।” জানালাম কোন লেখাটা। উনি কল্পতরু – “থাক।” মনে আছে, কলকাতা বইমেলা ২০১৭-য় এক প্রৌঢ়া আমায় পাকড়াও করে শুরুর সেই লেখাটা পড়িয়েছিলেন – “তুমি পড়েছ বইয়ের শুরুতে কী লেখা আছে?” আমিও একই রকম উৎসাহে জিজ্ঞাসা করলাম, “কী লেখা আছে বলুন তো।” উনি পড়ে শোনালেন – “সৎ লেখা মানে কী? বলি তাহলে। যে লেখা টাকা ধার নিয়ে শোধ দেয়। মানে লিখতে ছাপতে পয়সা তো লাগে। সেই পয়সা যে লাগায়, সে যখন সেই নগদরাশি ফেরত পায়, তখন বলা হয়ে থাকে ‘এই লেখা সৎ’। ইয়ার্কি না!”
যাক, আমি বাদেও একজন অন্তত নির্মল আনন্দ পেয়েছিলেন। তা তাঁকে আরও কিছুটা আনন্দ দিতে সুজিতের ফিল্মের ঘটনাটা পড়তে বললাম। তিনি স্টলের বাইরে পাতা চেয়ার বসে পড়তে শুরু করলেন। আর মাঝে মাঝেই হাসি। সেই যে একটা জায়গায় আছে না – “একদম কচি পাঁঠা। কখনও ফিলিমে পার্ট তো করেইনি, প্লাস জীবনে কোনও প্রেশার সিচুয়েশানেরও সামাল দেয়নি। সে একদম ঝোল হবার জন্য রেডি পাঁঠা।” সেটা পড়ে তিনি আবার আমায় ডেকে শোনাতে গেলেন। আমি অন্য কার সঙ্গে কথা বলছিলাম, দেখি তিনি পাশে বসা ভদ্রলোককে শোনাতে শুরু করলেন। তারপর আরেক প্রস্থ হাসি। আমি যেমন ফেসবুকে কয়েকটা পোস্ট পড়ে তাঁর লেখাগুলো আরও অনেকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলাম, তেমনই অনেক পাঠক তাঁর পাশের জনের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন হারুণ আল রশিদের লোক হাসানো কাজ-কারবার।
কোথা থেকে কী যে হয়ে যায় তাঁর লেখায়। মূলত স্মৃতিকথা। কিন্তু “ভূত কিছুতেই রান্না থামাতে না পেরে ওপর থেকে সেই মাংসের কড়াইয়ের ওপর ছ্যার ছ্যার করে মুতে দিল...” এমন কথা অবলীলায় আর কাউকে লিখতে দেখি না। বা সেই হড়পা বানের অভিজ্ঞতা, তাঁবুর মধ্যে বসে গঞ্জিকাসেবন চলছে আর বৃষ্টির জল পা-হাঁটু-পেট ছাপিয়ে উঠছে। খুবই সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে গড়া সুর‍্যিয়াল সব ফ্রেম।
অর্ণব জানা নিজের মতো করে বইটার প্রচ্ছদ আর অলংকরণ করেছিল। পুরো কাজটাই সুন্দর হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে প্রচ্ছদটা ঠিক মনের মতো হচ্ছিল না। কী যেন একটা নেই। একটু এদিক সেদিক ঘুরে শেষের দ্বারস্থ হলাম সুমিত রায়ের। সুমিতদা আরবি ক্যালিগ্রাফির টানে বইটার নামাঙ্কণ করে দিয়েছিলেন। পঞ্চাশে পঞ্চাশের আগের পর্বে লিখেছিলাম বইয়ের প্রচ্ছদ দেব না। কিন্তু এই বই তার প্রচ্ছদ ছাড়া কোনোমতেই সম্পূর্ণ নয়। তাই বইটার প্রচ্ছদ আর নামাঙ্কণ রইল।
শেষে বলি, অনেক পাঠকেরই কৌতূহল হারুণ আল রশিদ আসলে কে, কী তাঁর আসল নাম? সত্যি বলতে কী, ভদ্রলোক তাঁর নাম বলেছিলেন বটে, কিন্তু আমার মনে নেই। কারণ ওই কেজো নামটা মনে রাখতে চাইনি। আমার মতো আরও কিছু পাঠকের কাছে তিনি খলিফা। ওইভাবেই থাকুন।

--- রোহণ কুদ্দুস

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সুকান্ত ঘোষ-এর খাদ্য-সংস্কৃতি বিষয়ক রম্য গদ্যের বই 'চাষার ভোজন দর্শন'।প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতি...
25/08/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সুকান্ত ঘোষ-এর খাদ্য-সংস্কৃতি বিষয়ক রম্য গদ্যের বই 'চাষার ভোজন দর্শন'।

প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতিম দাস

==========

এই বই এক কৌতূহলী মানুষের খাদ্যপ্রীতির দলিল। এইটুকু বললে অবশ্য কিছুই বলা হয় না। মাঝে মাঝে মজলিশি কায়দায় পিকিং ডাক, চকোলেট বা পিজ্জার ইতিহাসও শুনিয়েছেন লেখক সুকান্ত ঘোষ। মালটায় গিয়ে তিনি দেশি কায়দায় রান্না করছেন ঘোড়ার মাংস। আবার কখনও হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের ট্রেনের হকারদের বিক্রি করা খাবারদাবারের তুল্যমূল্য বিশ্লেষণ করছেন। এই বইতে বিষয়ের কোনও ধারাবাহিকতা রাখা হয়নি। প্রতিটি অধ্যায় হই হই করে শুরু হচ্ছে একেবারে অপ্রত্যাশিত কোনও জায়গা থেকে। জীবিকার কারণে সুকান্ত ইন্দোনেশিয়া, ইউ কে, নেদারল্যান্ড থেকে শুরু করে আমেরিকা, চিন, মালয়েশিয়া– দুনিয়া চষে বেড়িয়েছেন এবং চেখেছেন স্থানীয় খাবারদাবার। এবং সেই স্বাদ ভাগ করে নিয়েছেন এই বইয়ের পাতায় পাতায়।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

আজ পাপড়ি গঙ্গোপাধ্যায়-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে পাপড়ি গঙ্গোপাধ্যায়-এর কবিতার বই 'হেঁটমুণ্ড লৌকিক জল'...
23/08/2025

আজ পাপড়ি গঙ্গোপাধ্যায়-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে পাপড়ি গঙ্গোপাধ্যায়-এর কবিতার বই 'হেঁটমুণ্ড লৌকিক জল'।

==========

মাতৃগর্ভে মানুষ থাকে হেঁটমুণ্ড,
জন্ম নেবার পর থেকে পা নিচে মাথা ওপরে।
মাধ্যাকর্ষণে মাথা নুয়ে নুয়ে পড়ে এখানে ওখানে,
মস্তিষ্কের স্মৃতিকোষ জানে, হেঁটমুণ্ড ভঙ্গি দেয়
মাতৃগর্ভের নিরাপত্তা।
কিছু মানুষ মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে রাখতে চায় তার মাথা
তখন মাধ্যাকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় সমস্ত আঁকশি।
বুদ্ধিমানেরা জানে, পৃথিবীর তিনভাগ মাতৃগর্ভের মতো জল,
এক ভাগের এই চরখণ্ডে প্রত্যেককে থাকতে হবে হেঁটমুণ্ড।
হেঁটমুণ্ডই স্বাভাবিক ভঙ্গি।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে শাশ্বতী গঙ্গোপাধ্যায়-এর গদ্য সংকলন 'প্রিয় অমল'।প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতিম দাস==========সকলের মধ...
22/08/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে শাশ্বতী গঙ্গোপাধ্যায়-এর গদ্য সংকলন
'প্রিয় অমল'।

প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতিম দাস

==========

সকলের মধ্যেই ঘুমিয়ে আছে ছেলেবেলার অমল। আর আমরা যারা জীবনের মধ্যযামে পৌঁছেছি তাদের প্রত্যেকের মনের মধ্যে প্রতীক্ষারত এক চিরন্তন ডাকঘর।
এমনই এক সময় এল লকডাউন। কবিরাজ বাইরে বেরোতে বারণ করে দিলেন সবাইকে। সুধার কিন্তু জীবনের পুষ্পসম্ভার দেওয়া হল না অমলকে। কী চায় অমল? কোথায় থাকে সে? দইওয়ালাদের গ্রামে, না কি ‘হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোথা, অন্য কোনখানে।’ সুধা জানে না। সে শুধু জানে, অমল তাকে ভুলে যেতে বারণ করেছে। তাই চিরঅম্লান ডাকঘরের সুরভিমাখা সুধা আজও দাঁড়িয়ে আছে তার প্রিয় অমলের জন্য।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে রূপক বর্ধন রায়-এর ভ্রমণ সংকলন 'অন্য শহর, অন্য শরীর'।প্রচ্ছদ – আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়==========ব...
21/08/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে রূপক বর্ধন রায়-এর ভ্রমণ সংকলন
'অন্য শহর, অন্য শরীর'।

প্রচ্ছদ – আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

==========

বিগত এগারো বছরের প্রবাস যাপনে গবেষণার কাজ ছাড়া আর যে দু-একটা ব্যাপার নিয়ে অল্পবিস্তর মাথা ঘামানোর সুযোগ পেয়েছি, ইউরোপীয় সাহিত্য এবং ইতিহাস তাদের মধ্যে অন্যতম। সেই ইতিহাসের টানেই পিএইচডি জীবনের পকেটের টান সামলেও বারবার ছুটে গেছি এমন কিছু জায়গায় যা মধ্যবিত্ত ভ্রমণপিপাসু বাঙালির ‘ইউরোপীয় বাকেট লিস্টের’ খানিকটা বাইরে। এই সমস্ত শহরের স্বল্প-জানা বা না-জানা ইতিহাসোন্মচন ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে গেছে প্রত্যেকবার। মনে হয়েছে এই ইতিহাস ও স্থানাঙ্ক নির্ণয়ের গল্পগুলো যদি কোনও প্রকারে বাঙালি পাঠকের কাছে সহজ উপায়ে পৌঁছে দেওয়া যায় তবে মন্দ হয় না। সেই প্রেরণা থেকেই তৈরি করা ‘অন্য শহর, অন্য শরীর-জানা অজানা শহরের লৌকিক সফরনামা’-র লেখাগুলি। প্রায় প্রত্যেকটি লেখাতেই আঞ্চলিক ইতিহাস, সাহিত্য, টুকরো টুকরো আঞ্চলিক মানসিকতা ও প্রচলনকে ট্রাভেলগ তথা ডায়েরির আকারে ক্ষেত্রবিশেষে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

--- রূপক বর্ধন রায়

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে  অলকা মুখোপাধ্যায়-এর কবিতা সংকলন 'ইচ্ছাপূরণ'।প্রচ্ছদ - দেবমাল্য মুখোপাধ্যায়==========প্রকা...
20/08/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে অলকা মুখোপাধ্যায়-এর কবিতা সংকলন 'ইচ্ছাপূরণ'।

প্রচ্ছদ - দেবমাল্য মুখোপাধ্যায়

==========

প্রকাশনা সংস্থা ‘সৃষ্টিসুখ’-কে ঠিক কী কী বলে কৃতজ্ঞতা জানালে
যথেষ্ট হবে তা আমি ভাবতে পারছি না। আমি এই ব্যাপারে সত্যি
অনভিজ্ঞ। রোহণ কুদ্দুস এবং তার প্রকাশনা সংস্থাকে আমি ধন্যবাদ
দিতে পারব না।
এদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার আর-এক সন্তান সুস্থভাবে
পৃথিবীর আলো দেখবে এদের হাত ধরে, এ যে কত বড় প্রাপ্তি।

--- অলকা মুখোপাধ্যায়

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

আজ সুকুমার রুজ-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সুকুমার রুজ-এর নির্বাচিত ৫০টি গল্পের সংকলন 'নির্বাচিত ৫০ গল...
19/08/2025

আজ সুকুমার রুজ-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সুকুমার রুজ-এর নির্বাচিত ৫০টি গল্পের সংকলন 'নির্বাচিত ৫০ গল্প'।

প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতিম দাস

==========

একালের এক উল্লেখযোগ্য কথাকার সুকুমার রুজ। তাঁর গল্পের সঙ্গে পাঠক দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। পাঠককে এ কথা আর বলে দিতে হয় না যে, গ্রাম্য সমাজ ও নাগরিক জীবনের বিভিন্ন স্তর থেকে তাঁর গল্প অনায়াসে উঠে আসে। কারণ, গ্রামে জন্মগ্রহণ করা ও বেড়ে ওঠা লেখক যেমন গ্রামের জনজীবন ও প্রকৃতি-পরিবেশকে চেনেন হাতের তালুর মতো; তেমনই দীর্ঘদিন শহরে কর্মজীবন অতিবাহিত করার সুবাদে নাগরিক জীবনের জটিলতা, সুখ-দুঃখের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই তাঁর সঙ্গে পাঠক যেমন পান কাঁচামাটি ও বুনোফুলের গন্ধ, তেমনই শুনতে পান রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে পাক খাওয়া সাধারণ মানুষের জীবন-যন্ত্রণার আর্তনাদ। সম্পর্কের টানাপোড়েন, প্রেম-ভালোবাসার বিবর্তন, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতার জন্য সামাজিক সঙ্কট — এ সমস্ত বিষয় সুকুমারের গল্পের প্রধান উপজীব্য।
শ্লেষ, হাস্যরস, ব্যঙ্গ, তির্যকতার এক অভূতপূর্ব রসায়ন সুকুমারের গল্পকে অন্যের চেয়ে স্বতন্ত্র করে তোলে। প্রতীক ও রূপকের ব্যবহার, অসাধারণ ডিটেলিং এবং প্রকৃতির মায়ামায় উপস্থিতি তাঁর গল্পকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়। কালের দর্পণ হয়ে ওঠা বেশ কিছু গল্প কালকে জয় করার দাবি রাখে।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

গত ১৫ই আগস্ট ছিল সুদীপ্ত ঘোষ-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে  সুদীপ্ত ঘোষ-এর ভ্রমণ সংকলন 'এক ভবঘুরের ডায়রি...
18/08/2025

গত ১৫ই আগস্ট ছিল সুদীপ্ত ঘোষ-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সুদীপ্ত ঘোষ-এর ভ্রমণ সংকলন 'এক ভবঘুরের ডায়রি'।

==========

আমি একজন ব্যাকপ্যাকার।

আমি একাকী এবং গ্রুপ-ভ্রমণ দুই-ই ভালোবাসি।

আমার মত যাঁরা নিজের থেকে বেশি ঘুরতে ভালোবাসেন, সুযোগ
পেলেই হতে চান নিরুদ্দেশ, সে দেশে হোক বা বিদেশে, তাঁদের সঙ্গে
বেরিয়ে পড়া আমার নেশা।

নেশাটা ছেলেবেলা থেকে হলেও বহু লোকেশনে ঘুরতে গিয়ে বা
তার প্রস্তুতিপর্বে বেশ কিছু সমস্যা বারবার বোধ করেছি। বহু ব্যক্তি
আবার ইচ্ছা থাকলেও পিছিয়ে যান প্রপার গাইডলাইন আর খরচের
ভয়ে। আমার এই ব্যক্তিগত ভ্রমণ-ডায়েরি লেখার মূল উদ্দেশ্য বাকিদের
সঙ্গে তাঁদেরও ভ্রমণে উৎসাহিত করা। এখানে আমি সুলভে ভারতের
পাশাপাশি বিদেশে ভ্রমণ করারও পরামর্শদেবার চেষ্টা করেছি।

আমার এই ভ্রমণ ডায়েরিটি বিশেষভাবে ব্যাকপ্যাকারদের জন্য
উৎসর্গীকৃত। কারণ আমি আমার বেশ কিছু ব্যাকপ্যাকিং ট্রিপের অভিজ্ঞতা,
সঙ্গে কিছু ব্যক্তিগত টিপস এবং পরামর্শলিখিত রূপে সরবরাহ করার
চেষ্টা করেছি।

এটি আমার ভার্চুয়াল ভ্রমণ ডায়েরি। এখানে ক্যালাইডোস্কোপের
মাধ্যমে আসল অভিজ্ঞতাকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এখানে, আমি আমার সম্পূর্ণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা জানানোর চেষ্টা
করেছি, যাতে এটি আপনার সফরকে মসৃণ, সহজ এবং নিরাপদ করে
তুলতে সহায়তা করে।

--- সুদীপ্ত ঘোষ

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

গত ১৬ই আগস্ট ছিল রূপঙ্কর সরকার-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে রূপঙ্কর সরকার-এর গদ্য সংকলন 'আমার কলকাতা'।প...
18/08/2025

গত ১৬ই আগস্ট ছিল রূপঙ্কর সরকার-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে রূপঙ্কর সরকার-এর গদ্য সংকলন 'আমার কলকাতা'।

প্রচ্ছদ - বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত

==========

‘এ কলকাতার মধ্যে আছে আর একটা কলকাতা/ হেঁটে দেখতে শিখুন।’– শঙ্খবাবুর এ পঙক্তি বাঙালির মুখস্থ বটে। কিন্তু কতজন ওই পেটের ভিতরের কলকাতাকে আবিষ্কার করতে হাঁটতে শিখেছেন বা চান তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। তাছাড়া বিশ্বায়নের বদলে যাওয়া পৃথিবীতে আজ আর বলা যায় না, কলকাতা আছে কলকাতাতেই। একদা যে কলকাতা ছিল সাহেবদের, যে কলকাতা ট্রাম আর টেস্ট ক্রিকেটের, যে কলকাতা মেট্রো সিনেমা আর স্যাক্সোফোনের, তা তো আজ আর নেই। তবে সত্যিই কি নেই? আছে, শ্রুতিতে আর স্মৃতিতে। সকলেই নন, কেউ কেউ নিরন্তর প্রেমে সেই কলকাতাকে আগলে রাখতে পারেন। যেমন পেরেছেন রূপঙ্কর সরকার। তিনি শুধু কলকাতাতে থেকেছেন, বড় হয়েছেন, চাকরি করেছেন– তা-ই নয়। তিনি এই কলকাতাকে হেঁটে দেখতে শিখেছেন। প্রতিটি ইট-কাঠ, ফুটপাথ, প্রতি বাস-ট্রাম, খাওয়া-দাওয়া, গানে-বাজনায় কলকাতাকে আত্মস্থ করেছেন। অথবা নিজেকে মিশিয়ে দিয়েছেন এই শহরের হাওয়ায়। আজ সবকিছু, এমনকী কালার প্যালেট পালটে যাওয়া শহরে স্বাভাবিকভাবেই নস্ট্যালজিয়া আর বিষণ্ণতা তাঁকে ঘিরে ধরে। কখনও বিপন্নতাও। কিন্তু সময়কে তো কিছুতেই উপেক্ষা করা যায় না। তবে সেই বহমান সময়কেই চুরি করে অক্ষরবন্দি করে রাখা যায় অবশ্যই। সে কাজটিই নিপুণ মুনশিয়ানায় করেছেন লেখক। ফলে বাঁধা পড়ে গিয়েছে এক অতীত কলকাতা। যে কলকাতা আমাদের এই সেদিনও ছিল, কিন্তু আজ ইতিহাসেও দেখা মেলে না তেমন। লেখক, অবশ্য ডিসক্লেমার দিয়ে বলেন, তিনি ইতিহাস লিখতে বসেননি। শুধু তাঁর স্মৃতির কলকাতাকে তুলে ধরছেন মাত্র। কিন্তু সেই স্মৃতির খননে যে শহর প্রতিভাত হয়েছে, যে ঘটনা, যে মুহূর্ত, যে তথ্যাদি ধরা পড়েছে তার ঐতিহাসিক মূল্যও যে বিন্দুমাত্র কম নয়, তা সমঝদার পাঠকমাত্রই বুঝবেন। নিছকই গল্প করার আঙ্গিকে এই ধরে রাখা ইতিহাস ভবিষ্যৎ জিজ্ঞাসুর অবশ্যপাঠ্য তো হয়ে উঠবেই, এমনকী আমাদেরও দেবে স্মৃতির শহরে সুহানা সফরের সুযোগ।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

Address

72/2a Potuatola Lane
Kolkata
700009

Opening Hours

Monday 10am - 6pm
Tuesday 10am - 6pm
Wednesday 10am - 6pm
Thursday 10am - 6pm
Friday 10am - 6pm
Saturday 10am - 6pm

Telephone

+918961237050

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sristisukh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sristisukh:

Share

Category