Sristisukh

Sristisukh Sristisukh Prokashan is a leading publishing house based in Kolkata, India.

আজ তন্ময় মুখার্জী-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর  গদ্য সংকলন 'বংপেন'।প্রচ্ছদ - দেবর্ষি সরকারবইটির প...
22/10/2025

আজ তন্ময় মুখার্জী-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গদ্য সংকলন 'বংপেন'।

প্রচ্ছদ - দেবর্ষি সরকার

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে  রূপঙ্কর সরকারের উপন্যাস 'আলো চালের ভাত'।প্রচ্ছদ - বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত==========২০২০ সালের ম...
22/10/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে রূপঙ্কর সরকারের উপন্যাস
'আলো চালের ভাত'।

প্রচ্ছদ - বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত

==========

২০২০ সালের মার্চ মাস। দেশে মারণব্যাধি ধেয়ে এল। তখন সবে শুরু। সে-মাসের ঠিক মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হল ‘লক-ডাউন’ বা গৃহবন্দি দশা। ভয়ঙ্কর একটা অস্বস্তি ও আশঙ্কার মধ্যে কাটছে জীবন। যত দিন যাচ্ছে, শুনেছি একের পর এক মানুষের অকাল প্রয়াণের খবর। যে যে উপায় অবলম্বন করলে নিরাপদ থাকা যায় শুনেছিলাম, তারও বেশ কিছু দেখা গেল হিসেবে মিলছে না। এই অবস্থায় কিছু একটা আঁকড়ে ধরতে চেয়েছেন অনেকেই। আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিছুটা পরীক্ষামূলক ভাবেই শুরু করলাম একটা লেখা। নাম দিলাম ‘কল্পবিন্যাস’। কেন, তা বলি— প্রথমেই নাম দিয়ে ফেললাম ‘আলো চালের ভাত’। এ নাম কেন দিলাম, কী ভাবে এই নামের ব্যাখ্যায় পৌঁছব, কিছুই জানা ছিল না। কিছু কিছু ছোটগল্প লেখার সময়ে আমি এমন কাণ্ড আগে করেছি। উপন্যাসের মাঝামাঝি পৌঁছে একসময়ে নামটির ব্যাখ্যা দিতে পেরে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।
কোনও প্লট ভাবিনি, কোনও স্টোরিলাইন ছিল না। এক কিশোর ও এক ফুলওয়ালিকে নিয়ে কাহিনি শুরু করলাম। তাঁরা পরদিন কী করবেন, তাঁরাও জানতেন না, আমিও। প্রতিদিন পাঠকরা উৎসাহ যুগিয়ে গেছেন এবং বহু ক্ষেত্রে, তাঁরাই বলে দিয়েছেন কাহিনির গতিপথ। সকলের কথা যে শুনেছি, তা বলতে পারি না, কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই নিজের মাথায় যা এসেছিল, তা বদলে ফেলেছি পাঠকদের সেন্টিমেন্টের কথা চিন্তা করে। কাহিনি শেষ করার অব্যবহিত আগেও ঘুরিয়েছি গল্পের মোড়।
এ উপন্যাস যদি সফল হয়, তার কৃতিত্ব আমার একার নয়, অনেকের। ডিটেল জিনিসটার ব্যাপারে আমি নিজে খুব খুঁতখুঁতে। আমার ফেসবুক বন্ধুবৃত্তে নানা পেশার মানুষ আছেন, অ্যাডভোকেট, পুলিশ, টিচার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নানা শ্রেণির কর্মী ও আধিকারিক, সকলের মতামত চেয়েছি ফোনে, বিভিন্ন কাজ কী ভাবে হয়, সবই জেনে নিয়েছি। এ লেখার পেছনে কৃতিত্ব তাঁদেরও। সকলের নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। লেখার ঝোঁকে কিছু ডিটেলে ভুল করেছিলাম, পরে বদলেছি সে সব।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে আয়েশা রহমান-এর স্মৃতিকথা 'জীবন ঝরার শব্দ'।প্রচ্ছদশিল্পী - প্রশান্ত সরকার==========আমার কাছ...
18/10/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে আয়েশা রহমান-এর স্মৃতিকথা 'জীবন ঝরার শব্দ'।

প্রচ্ছদশিল্পী - প্রশান্ত সরকার

==========

আমার কাছে একটা পাণ্ডুলিপি এসেছিল বছর দুয়েক আগে। আমার কাছে এসেছিল বলাটা ভুল হল। এসেছিল সৃষ্টিসুখের দপ্তরে। এক শনিবার গিয়ে নিয়ে আসি।
খামটা খুলে ভেবেছিলাম কেউ মশকরা করেছেন। পাণ্ডুলিপির শুরুতে একটা ফুলস্ক্যাপ কাগজে খুবই অপটু হাতে বলপেনে একটি মুখ আঁকা। আন্দাজ করা যায় একটি মেয়ের মুখ। তার দুটো চোখ (বলাই বাহুল্য, সে দুটো অসমান) থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরছে। পাশে তিরচিহ্ন দিয়ে লেখা-- "এটা আমি"। তার পরে লেখা-- "আমি কাঁদছি।" পাণ্ডুলিপিটা সরিয়ে রেখেছিলাম।
কয়েকদিন পরে ফেসবুক বন্ধু পার্থ কর জানান তিনি একটি পাণ্ডুলিপি ব্যবস্থা করে পাঠিয়েছেন। এক তরুণী তার নিজের জীবনের কাহিনি তার শিক্ষিকাকে বলেছে। সেই শিক্ষিকা অনুলিখনের কাজ করেছেন। মেয়েটির বাড়ি বাংলাদেশের অজ পাড়া গাঁয়ে। ছোটোবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছে। 'কুঞ্জে অলি গুঞ্জে তবু'-- ভালোবেসে একজনের সঙ্গে ঘর ছাড়ে। নিজের দেশ ছেড়ে হাজির হয় ভারতে। জানত না, আড়ালে রয়েছে কুটিল এক ষড়যন্ত্র। যার বুকে মাথা রেখে নিশ্চিন্তির আশ্রয় খুঁজেছিল, সে তাকে পাচার করে এনে ফেলল নরককুণ্ডে। দিন-রাত তাকে আটকে রেখে চলল চরম শারীরিক লাঞ্ছনা। একজন নয়, অনেকে মিলে। ভোগের নৃশংসতা রক্তাক্ত মেয়েটির কোনও তোয়াক্কাই করেনি।
তবু সে নিস্তার পেল একদিন আচমকা। তারপর ঠাঁই হল এক হোমে। অকূল পাথারের ভেতরে ডুবে যেতে যেতে আরও একবার শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করল এই মেয়ে। সেই হোম থেকেই সে লিখিয়ে পাঠিয়েছে তার কথা। এ কাহিনি শুধু তার একার নয়। তারই মতো আরও অনেকের।
আয়েশা রহমান তার আসল নাম নয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেই তরুণী নিরাপদে ফিরে গেছে বাংলাদেশে। সেখানে নতুন করে জীবন শুরু করতে চলেছে সে।

ভালো থেকো মেয়ে।

--- রোহণ কুদ্দুস

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

আজ সমৃদ্ধ দত্ত-র শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ভারতের ৫টি দেবস্থান নিয়ে তাঁর তথ্যসমৃদ্ধ অনুসন্ধান 'মন্দির ম...
17/10/2025

আজ সমৃদ্ধ দত্ত-র শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ভারতের ৫টি দেবস্থান নিয়ে তাঁর তথ্যসমৃদ্ধ অনুসন্ধান 'মন্দির মিস্ট্রি' ।

প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতিম দাস

==========

সমৃদ্ধ দত্ত তাঁর 'মন্দির মিস্ট্রি' বইটিতে সন্ধানী আলো ফেলেছেন ভারতের ৫টি দেবতীর্থে। প্রথমেই আছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের বিপুল ধনরাশির কথা। সেই ভাণ্ডারে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। সরকারি উদ্যোগে দরজা খোলার ব্যবস্থা হলে চাবি উধাও হয়ে যায় হঠাৎ করে। ভেতর থেকে আসে ফোঁস ফোঁস আওয়াজ। কথিত, দুই কাল সর্প পাহারা দেয় ভগবানের ধনরাশি।
দ্বিতীয় প্রবন্ধ পুত্তাপুর্তিতে অবস্থিত সাঁইবাবার আশ্রম নিয়ে। কোটি কোটি টাকা মূল্যের সেই সাম্রাজ্যের রয়েছে নিজস্ব এয়ারপোর্টও। জীবিত অবস্থায় যেমন বর্ণময় চরিত্র ছিলেন, মৃত্যুর পরেও সাঁইবাবা ছিলেন একাধিক রহস্যের কেন্দ্রে।
এর পরের প্রবন্ধ কেদারনাথ নিয়ে। ২০১৩-তে উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দেবাদিদেবের মন্দির। অগণিত মানুষ, ঘরবাড়ি ভেসে গেলেও রক্ষা পেয়েছিল মন্দিরটি। কীভাবে? লেখক সরেজমিনে দেখে এসে লিখেছিলেন সেই কাহিনি।
এর পরে আছে বেনারস এবং উজ্জয়িনী নিয়ে দুটো প্রবন্ধ। বেনারসের অলিগলিতে ছড়িয়ে থাকা নানা মন্দির নিয়ে অন্তরঙ্গ বর্ণনার শেষে আছে কাশীর তিনটি মন্দির নিয়ে রোমহর্ষক কাহিনি। আর উজ্জয়িনী? ওটা পাঠককেই পড়ে নিতে হবে।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

আজ অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়-এর লেখা গল্প 'টুরা, তৃষা, দেবাং...
17/10/2025

আজ অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়-এর লেখা গল্প 'টুরা, তৃষা, দেবাং-এর গল্প' – ছোটোদের গল্প কী করে শোনাতে হয়, তারই গল্প।

প্রচ্ছদ - রোকু

==========

…সমরেশ বসুর ‘গোগোল’, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সন্তু’, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সাধু কালাচাঁদ’, এমনকি সত্যজিৎ রায়ের ‘তোপ‌সে’ তো বাঙালি পাঠক পিতামাতার— কেবল টার্গেট অডিয়েন্স কিশোরদের নয়— হৃদয়ে অক্ষয়-অব্যয় হয়ে আছেন ও থাকবেন। কিন্তু ভানু ব্যানার্জির দেশে অনায়াসে ‘স’ বাদ দিয়েও বলা যায় এর পরও ‘দুইখান কথা আছে’। প্রথমটা হল, বাৎসল্য রসকেন্দ্রিক রচনায় উপলক্ষ্য শিশু বা বৎস হতে পারে, কিন্তু লক্ষ্য ‘বৎসল’-রা, অর্থাৎ দাদু-দিদা (উভয়ার্থে), বাবা-মা, জ্যাঠা-জেঠি, কাকা-কাকি, পিসে-পিসি, মামা-মাসি— যাদের একসঙ্গে আঙ্কল বা আন্টি বলা হবে না কেন, এই নিয়ে অধুনা মোর এক আমেরিকা-প্রবাসিনী তরুণী আত্মীয়া আপত্তি করেন। আমার ‘আপইত্ত’ এখানেই— এই সম্বোধনে তাঁরা তো ধরা পড়েনই না, এমনকি বাদ রয়ে যান আগেকার দিনে অনেক বয়সে বড় দাদা-দিদিরাও, যাঁরা এদের আদর দিয়ে বাঁদর করতে করতে চোখে হারাতেন। সেই লেখা কি আজও অনেক লেখা হয়? তবে তত চোখে পড়ে না কেন? আর হলেও তো শৈশব-হারানো, আত্মীয়-পরিজন-বিচ্ছিন্ন, মা-বাবার সদাজাগ্রত সযত্ন প্রহরার ‘প্যানপ্টিসিজম’-এ দুরারোগ্যভাবে আক্রান্ত, টেক-স্যাভি কিশোর-কিশোরীরা, সেখানে খুব বেশি হলে গোয়েন্দাগল্প বা কল্পবিজ্ঞান কাহিনির নায়ক-নায়িকা কিংবা চরিত্র হয়, বা তাদের পড়ে। সিনেমায়, নাটকেও তো একই আকাল, যার কথা এক টিভি চ্যানেলের এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেই দিলেন। দ্বিতীয় কথাটা হল, এমন অনেক বাৎসল্য রসকেন্দ্রিক রচনা আছে, যেগুলি শিশুরা পুরোপুরি বুঝবে না। পড়ে ভালো লাগলেও সম্পূর্ণ অর্থ বা রসগ্রহণ করতে পারবে না। যেমন রবীন্দ্রনাথের ‘সে’ বা ‘গল্পস্বল্প’। সত্যি কথা বলতে হলে, কোনও বাচ্চা কি ‘অ্যালিস ইন দি ওয়ান্ডারল্যান্ড’ এন্ড ‘থ্রু দি লুকিং-গ্লাস’-এর পূর্ণ অর্থ ও রসগ্রহণ করতে পেরেছে? বিশেষ করে দ্বিতীয়টিতে, যেখানে গোটা কাহিনিক্রিয়াটাই এগোচ্ছে একটি দাবার চালের সমস্যার ভিত্তিতে, যেখানে অ্যালিস এগোচ্ছে দাবার ছক বরাবর এক সাদা ঘুঁটি হিসেবে, যে পরে সাদা কুইনে প্রোমোশন পাবে, আর রেড কিংকে কিস্তিমাত করবে। এমনকি লিউইস ক্যারল নিজেও তো বইটির ১৮৯৬ সালের ভূমিকায় বলে দিয়েছিলেন যে এই কাহিনিতে সাদা আর লালের চালের পালটাপালটি (‘alternation’) হয়তো ততটা কঠোরভাবে মানা হয়নি, যতটা উচিৎ ছিল; আর তিন কুইনের ‘ক্যাসলিং’-এর মাধ্যমে হয়তো কেবল রানিরা প্রাসাদে গেলেন, এই কথাটাই অন্যভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু এ ছাড়া ছয় নম্বর চালে সাদা রাজার ‘কিস্তি’, সাত নম্বর চালে কালো ঘোড়াকে খাওয়া, আর সবশেষে কালো রাজার কিস্তিমাত একেবারেই খেলার নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। যে কেউ ছক পেতে, ঘুঁটি বসিয়ে খেলে মিলিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু এ কি ‘বৎস’দের কাজ? লিউইস ক্যারলের বাৎসল্যরস যতই মনস্তত্ত্বসাপেক্ষ হোক‍ না কেন।
প্রিয় পাঠক, আমার এই ক্ষুদ্র বইতেও লক্ষিত আপনি। আপনার শিশুপুত্র কী কন্যা, কী তাদের স্থানীয়-স্থানীয়ারা অবশ্যই পড়তে পারে এই বই। বই পড়ে কেউ খারাপ হয়েছে তা এই মতদ্বৈধ-দীর্ণ পশ্চিমবঙ্গেও কেউ বলবে না! কিন্তু বাৎসল্য রসে জারিত এই ক্ষুদ্র কাহিনিগুলিতে আমার স্বভাবদোষেই হোক আর অভ্যাসগুণেই হোক, সাহিত্য, দর্শন, (বিশেষত আধুনিক বাংলা) কবিতা, সমকাল ও সমসমাজের যে ছায়াপাত ঘটেছে তা হয়তো শিশুদের পক্ষে একটু ‘রিচ ব্রু’।
এই বইটিতে দুরকমের লেখা আছে। এক তিনটি শিশুকে দেখে, আর তাদের আজব চিন্তাভাবনা দেখে আমার তাৎক্ষণিক কিছু প্রতিক্রিয়া আর গপ্প বানানো, অথবা ওদেরকে বলা আমার কিছু মৌলিক গল্প। আর শেষ কথা, কাহিনিগুলিতে আমার কিছু পরমাত্মীয়দের স্পষ্ট ছায়া পড়লেও চরিত্রগুলি ঠিক তারা নয়, তাদের ছায়া। তুলনা করা যায় পাড়ার সোনার দোকানের গয়নার সঙ্গে সোনা কম, খাদ বেশি।

--– অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে অরুণ কর-এর উপন্যাস 'আধেক স্বপন আধেক দুয়ার'।প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতিম দাস==========একটা ছিন্নমূ...
16/10/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে অরুণ কর-এর উপন্যাস 'আধেক স্বপন আধেক দুয়ার'।

প্রচ্ছদ - পার্থপ্রতিম দাস

==========

একটা ছিন্নমূল পরিবার ওপার বাংলা থেকে এসে বাসা বেঁধেছে একটা পোড়ো বাড়িতে। সামনে একটা খোলা জায়গায় চালা বাঁধা কিছু খোলামেলা কাঠামো। সেখানে সপ্তায় দুদিন হাট বসে। বাকি সময় সেখানে কিছু হতদরিদ্র মানুষ বাস করে। তাদের বুনো নামে ডাকে সবাই। হাটের দিনে তারা এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে। জায়গাটাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় চান্নি। চান্নির সেই বুনোরা এবং সেই এলাকার আরও কিছু চরিত্র নিয়ে একটা লোকালয়ের গল্প বলে চলেছে এক কিশোর। পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে মনে পড়ে যায় রাস্কিন বন্ডের কথা। এভাবে তুলনা হয়তো চলে না। তবু যাঁরা বইটা পড়বেন, তাঁরা বুঝবেন কেন এই তুলনাটা মাথায় এল।

অরুণ কর নিয়মিত গল্প লিখে চলেছেন নানা পত্র-পত্রিকায়। এটাই তাঁর প্রথম উপন্যাস। প্রকাশক হিসাবে এমন একটা পাণ্ডুলিপি থেকে বই প্রকাশ করতে পেরে আমি আনন্দিত এবং উত্তেজিত। একই সঙ্গে ঈর্ষান্বিত সরাসরি বই থেকে এই উপন্যাস যাঁরা পড়ছেন, তাঁদের প্রথম পাঠ-অভিজ্ঞতার প্রতি।

--- রোহণ কুদ্দুস

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ (হ য ব র ল) থেকে প্রকাশিত হয়েছে  রোহণ কুদ্দুস-এর লেখা ছোটদের নভেলা 'উত্তমকুমার : এক বন্দুকবাজ বাঘের গল্প'।প্রচ...
15/10/2025

সৃষ্টিসুখ (হ য ব র ল) থেকে প্রকাশিত হয়েছে রোহণ কুদ্দুস-এর লেখা ছোটদের নভেলা 'উত্তমকুমার : এক বন্দুকবাজ বাঘের গল্প'।

প্রচ্ছদ – তন্ময় বিশ্বাস

==========

এবার আর একটি ভালো লাগা বইয়ের কথা লিখি। বইটা ছোটদের, কিন্তু ছোট বড় সবার ভালো লাগবে। আমি তো পড়েছি এক নিঃশ্বাসে। যেমন লেখা, তেমন ছবি! বইটির নাম উত্তমকুমার এক বন্দুকবাজ বাঘের গল্প।
যতই এগিয়েছে উত্তমকুমার নামে বন্দুকবাজ বাঘের গল্পটা, ততই জীবনের রঙ গাঢ় হয়েছে, ততই ছেলে-ভোলানো গপ্প থেকে হয়ে উঠেছে ছোট বড় সকলের মন-ভোলানো কাহিনি। সত্যি কথা বলতে কী কিছুদূর এগোবার পর সন্দেহ হচ্ছিল উত্তমকুমারের চূড়ান্ত গন্তব্য নিয়ে। তখনও জানি না ওস্তাদের মার শেষ রাতে আর সেই মার অনায়াসে যার করায়ত্ব, তিনি লেখক রোহণ কুদ্দুস, ওর জন্য এক বিষণ্ণ কিন্তু অমোঘ ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করে রেখেছেন।
অবশ্য পাশাপাশি উচ্চারণ করতেই হয় তন্ময় বিশ্বাসের নাম। কী সব অসাধারণ ছবি এঁকেছেন পাতার পর পাতায়! এই বইয়ের কাহিনিসূত্রকে চোখের সামনে রঙে রঙে সাকার হয়ে উঠতে দেখাটা ভারী ভাল লাগার ব্যাপার৷ বিশেষত অনেক চরিত্রই যখন বাস্তব থেকে নেওয়া আর চেহারাও আঁকা হয়েছে তাদেরই আদলে।
সবাই জানি শিশুসাহিত্য ব্যাপারটা মোটেই শিশুসুলভ নয়। কল্পনা, রোম্যান্স, সচেতনতা, কোমল অনুভূতির বিকাশ, মননশীলতা, নিজের পারিপার্শ্বিককে ভালবাসা, এডভেঞ্চার, সব নির্দিষ্ট মাপে মিশিয়ে দুরূহ, কিন্তু স্বর্গীয় ককটেল এক। সব বারটেন্ডারের আয়ত্বে নয় ব্যাপারটি। কঠিন কাজ, কিন্তু কিক ধাঁ করে মাথায় চড়ে বসে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ।
আমাদের উত্তমকুমারও এইরকম। উনি মোটামুটি এলেন, দেখলেন, জয় করলেন টাইপ। আবার শিখর জয়ের পর যে বৈরাগ্য তাও শেখালেন যখন কোথায় চললে এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বাঘ 'দূরের ঘন বনের দিকে তাকাল একবার।… আমি আর হারুণ আল রশিদ উত্তমকুমার নামের সেই বাঘের পার্থিব কিছু সম্পত্তি হাতে দাঁড়িয়ে রইলাম। আর সূর্যের পড়ন্ত আলোয় দেখলাম, একটা হলুদ বাঘ কালো রঙের একটা ছাতা কাঁধে জঙ্গলের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।' তার আগেই অবশ্য ছোটরা কী বড়রা আশ্বাসিত হয়েছে, 'আমরা সবাই মনে মনে জানি, কোথাও না কোথাও গিয়ে ঠিকই পৌঁছে যায় সবাই। নিরুদ্দেশ তো আর সত্যি করেই কেউ হয় না।'
সত্যি সত্যি যাইই জেনে থাকি, মূলত যাদের জন্য এই বই তাদের মধ্যে চারিয়ে যাক এই দুর্মর আশাবাদ যে কোনো না কোনো গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়াই যায়, চাঁদের পাহাড় বা সুন্দরবন হারিয়ে যাবার জন্য নয়।
এই যে বড়রা একরকম বুঝবে, ছোটরা আরেকরকম, অথচ দু পক্ষের খুশি এসে মিলে যাবে বইটি পড়ার আনন্দে, পাশাপাশি এই দুটো ধারা উত্তমকুমারের শুরু থেকে শেষ অব্দি বহমান। কামালের দাদির পাঠানো লেবুর আচারে ফিদা বাঘ তার রোহণদাকে আচার মাখিয়ে খরগোশের মাংস খাওয়াতে চাইলে রোহণ আপত্তি জানিয়ে বলে, "আমার আসলে খুব তাড়াতাড়ি হাঁটার অভ্যাস, ডাক্তার তাই খরগোশের মাংস খেতে বারণ করেছেন!" ভালোমানুষ এই বাঘকে একমাত্র ভয় দেখাতে পারে টিভিতে গর্জনরত একমেবাদ্বিতীয়ম রোদ্দুর রায় (আর একবার তন্ময় বিশ্বাসের ছবির কথা না বলে পারলাম না, অসাধারণ, অপূর্ব, কোনো বিশেষণই যথেষ্ট নয়)। 'ঘরে রোদ্দুর রায়ের গান, বাথরুমে বাঘের গান। হোটেলের সেই ফ্লোরে যত লোক ছিল, সবাই একযোগে ফোন করে রুম সার্ভিসে খবর দিল হোটেলে হয় ডাকাত পড়েছে, নয়ত ভূমিকম্প হচ্ছে।'
অথচ এই বাঘও নদীনালা সাঁতরে মনুষ্য বসতিতে ভুল করেই এসে উঠেছিল। তারপর তার যেমন খারাপ লাগেনি দোপেয়েদের বিচিত্র জীবনধারা, মানুষও তাকে প্রথমে ভয় পেলেও আপন করে নিতে দেরি করেনি। এমনকি বাঘকে সার্কাসে খেলা দেখিয়ে প্রভূত পয়সা রোজগার করা হারুণ আল রশিদও শেষ অব্দি তাকে সসম্মানে নিজ বাসভূমিতে ছেড়ে দিয়ে আসে৷ তবে অনেক অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ উত্তম কুমার এখন বিবাগী হবে না সংসারী, সে সকল তো তারই ইচ্ছা।
একশ মজা পাতায় পাতায়, গল্পে ছবিতে। অবাক করে দেওয়া ঘটনার ঘনঘটা। তবু দুঃখী উত্তম কুমারের ধীর চলে যাওয়া যেন পেছন থেকে দাঁড়িয়ে আমিও দেখি। এমন প্রস্থানকে পিছু ডাকতে নেই, বড়রা তো বটেই, বাচ্চারাও তা বুঝবে। নৈঃশব্দকে সঙ্গী করে আমরা শেষ পাতায় বইটি বন্ধ করব। কিন্তু উত্তমকুমার বাঘের মতোই কাহিনিটি চিরকাল হরিষে বিষাদে মনে ছায়া ফেলবে৷
হযবরল শিশুসাহিত্যে উল্লেখযোগ্য একটি সংযোজনের অধিকারী হলেন। কাহিনি, ছবি ছাড়াও এই বইয়ের কাগজ আর ছাপার মান অতুলনীয়। এতো কম মূল্য ওরা ধার্য করলেন কোন মন্ত্রবলে, কে জানে!

--- প্রতিভা সরকার

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়-এর গদ্য সংকলন 'কথামেঘ'।প্রচ্ছদ - রোকু==========ফেসবুকে স্বাতী নিয়মিত...
14/10/2025

সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়-এর গদ্য সংকলন 'কথামেঘ'।

প্রচ্ছদ - রোকু

==========

ফেসবুকে স্বাতী নিয়মিত কথামেঘ নামে যে সিরিজটি লিখে থাকেন, তার থেকে নির্বাচিত বাহান্নটি গদ্য নিয়ে এই সংকলনটি প্রকাশিত হল। একান্তই ব্যক্তিগত কিছু গদ্যের সম্ভার, সমষ্টির প্রবণতাকেও চিহ্নিত করে তা। কিছু কথা, ভারহীন নয় মোটেও, তাই মেঘের মতোই নেমে আসে একান্তে।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

গতকাল ছিল সরিতা আহমেদ-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গল্প সংকলন 'দহনবেলা'।প্রচ্ছদ - রোহণ কুদ্দুস====...
13/10/2025

গতকাল ছিল সরিতা আহমেদ-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গল্প সংকলন 'দহনবেলা'।

প্রচ্ছদ - রোহণ কুদ্দুস

==========

যন্ত্রণাদগ্ধ কলমই হয়ে উঠতে পারে প্রতিরোধের অস্ত্র। সরিতা আহমেদের প্রথম বই ‘ভেবলির ডায়রি’র পাতায়-পাতায় ছিল সেই সাক্ষ্য। শাণিত মুখর সেই ব্যতিক্রমী কলমই এবার সজাগ ‘দহনবেলা’র প্রেক্ষিতে। এই সমাজের অযুত ঘটনা আমাদের পীড়া দেয়। আবার প্রাত্যহিকতায় আমরা তা ভুলেও যাই। সরিতার কলম বিস্মরণের পর্দা সরিয়ে সেই আগুন স্পর্শ করে। ভুলে-থাকার গ্লানি এসে যখন আমাদের বিদ্ধ করে, তখনই হয়তো খুলে যায় উত্তরণের দরজা। আমরা আবিষ্কার করি, প্রত্যেকেই আমরা দহনবেলার বাসিন্দা। এ-দহন বাইরের, অন্তরেরও।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

গতকাল ছিল স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর রম্য গদ্য সংকলন 'বাজে কথা'।প্রচ্ছদ - ...
12/10/2025

গতকাল ছিল স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর রম্য গদ্য সংকলন 'বাজে কথা'।

প্রচ্ছদ - জয়ন্ত বিশ্বাস

==========

আচ্ছা কারও কাছে ‘খুন করিবার সহজ ১০১ টি ঘরোয়া উপায়’ বা ড. লাল ও ড. গুপ্তের লেখা ‘গুপ্ত খুন সুপ্ত রাখুন’ বই দুটো পাওয়া যাবে?

না পাওয়া গেলেও ক্ষতি নেই। আপনার হাতের কাছে ‘বাজে কথা’ বইটি আছে? সেটা থেকে নিচের ছড়াটা মুখস্থ করুন এবং যাঁকে খুন করতে চান, তাঁর কানের গোড়ায় সাত চোদ্দোং তিপান্ন বার আওড়াতে থাকুন।

ব্যাটাকে ধয়ো ধয়ো ধয়ো
ব্যাটাকে মায়ো মায়ো মায়ো
ব্যাটাকে পিটাও
ব্যাটাকে কিলাও
ব্যাটাকে মুন্ডিমনি করো।

বাড়িতে এমু পাখি পোষা থেকে অসময়ের ইলিশ, দেবী সরস্বতীর টিপস থেকে গুলজারের লুঙ্গি– নরক গুলজারের সমস্ত শর্টকাট এক বইতে। সঙ্গে রয়েছে জয়ন্ত বিশ্বাসের যথাযথ অলংকরণ।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

গতকাল ছিল অরুণাভ দাস-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ভিলেজ ট্যুরিজম নিয়ে ভ্রমণ সংকলন 'গ্রামে টইটই'।==...
12/10/2025

গতকাল ছিল অরুণাভ দাস-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ভিলেজ ট্যুরিজম নিয়ে ভ্রমণ সংকলন 'গ্রামে টইটই'।

==========

গ্রামীণ পর্যটন বা ভিলেজ ট্যুরিজম একটি সাম্প্রতিক ধারণা। যতদিন আমাদের দেশে শহর গ্রামকে গ্রাস করেনি, ততদিন গ্রামেও যে বেড়াতে যাওয়া যায়, এমন কেউ ভাবেনি। নিজের জীবন দিয়ে এই সত্যিটা অনুভব করেছি। আমার যেখানে জন্ম ও বড়ো হওয়া, সে জায়গা গ্রাম ছিল। নয়ের দশকের শেষদিক থেকে সে জায়গা ক্রমশ শহর হতে শুরু করল এবং কয়েক বছরের মধ্যে বৃহত্তর কলকাতার পিনকোডে ঢুকে পড়ল। ঠিক একই সময়ে ভিলেজ ট্যুরিজমের বিকাশ ঘটতে আরম্ভ করে উত্তর বাংলায়। প্রথম দুটি গন্তব্য ছিল দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি গ্রাম তিনচুলে এবং জলপাইগুড়ির ডুয়ার্স অঞ্চলে গরুমারা অভয়ারণ্যের প্রবেশপথ লাটাগুড়ি। সে ইতিহাস লিখেছি অভিযান পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত ‘ডুয়ার্সঃ একটি অফুরান ভালোবাসার গল্প’ বইতে। ক্রমশ দক্ষিণবঙ্গে গ্রামীণ পর্যটনের বিস্তার ঘটে। সুন্দরবনের নানা গ্রামে ও শান্তিনিকেতনের আশেপাশে বেশ কিছু গ্রামে পর্যটকরা যেতে শুরু করেন। কয়েক বছর আগে ভারত সরকার ইউএনডিপি-র আর্থিক সহায়তায় সারা দেশের ৩২টি স্থানকে চিহ্নিত করে আধুনিক গ্রামীণ পর্যটনের মডেল কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য। এইসব পরিবর্তনের আগে থেকে আমার গ্রামে ঘোরা শুরু, দূষণহীন আবহাওয়া ও যন্ত্রসভ্যতার প্লাস্টিক সার্জারিবিহীন প্রকৃতির অমোঘ টানে। গ্রামের মেলায় উৎসবে প্রাণের ছোঁয়া পেতে। চেনা, অচেনা ও অল্পচেনা কত যে গ্রামে বেড়িয়েছি, তার হিসেব নেই। সচিত্র ভ্রমণকথা লিখেছি নানা পত্র-পত্রিকায়। তার থেকে নির্বাচিত কয়েকটি লেখা নিয়ে এই বই। এই সুযোগে সেই সব পত্রিকার সম্পাদক ও বিভাগীয় সম্পাদককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পত্রিকাগুলি হল ভ্রমণ, সানন্দা, বর্তমান, লংজার্নি, আজকের সম্পূর্ণা, লেটস গো ইত্যাদি। বইটি সুন্দর করে সাজিয়ে প্রকাশ করার জন্য প্রকাশক, ভ্রাতৃপ্রতিম রোহণ কুদ্দুস ও সৃষ্টিসুখের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। প্রিয় পাঠক, বইটি পড়ে শিকড়ের টান বিন্দুমাত্র অনুভব করলে ধন্য বোধ করব।

--- অরুণাভ দাস
শান্তিনিকেতন, ০১/০১/২০১৭

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

আজ অর্পণ পাল-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রবন্ধ সংকলন 'বিজ্ঞানচর্চার সেকাল একাল'।প্রচ্ছদ - রোহণ ...
11/10/2025

আজ অর্পণ পাল-এর শুভ জন্মদিন। সৃষ্টিসুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রবন্ধ সংকলন 'বিজ্ঞানচর্চার সেকাল একাল'।

প্রচ্ছদ - রোহণ কুদ্দুস

==========

“…থিয়োরি অফ রিলেটিভিটির কথাই ধরি। এডিংটনকে একবার লুডভিগ সিলভারস্টাইন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বিশ্বে নাকি মাত্র তিনজন এটা বোঝেন?’ অনেক ভেবে এডিংটন বললেন, ‘আসলে আমি ভাবছি তৃতীয় জনটা কে?’ আবার ধরুন ম্যাক্সওয়েলের থিয়োরি। পড়তে গেলে শুরুতেই কাপা, ল্যামডা, আলফায় সজ্জিত হয়ে গোদা একটা সমীকরণ পথ আটকে দাঁড়ায়। সে ভেদ করে ভিতরে ঢোকে কার সাধ্যি! হকিং যখন ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম লিখেছিলেন, শুরুতে নাকি সব অঙ্ক আর সমীকরণ দিয়ে ঠেসে দিয়েছিলেন। প্রথম খসড়া দেখে তাঁর প্রকাশকের চোখ কপালে। ‘করেছেন কী স্যার? এ বই লোকে পাতা উলটেই আবার রেখে দেবে। সমীকরণ কমান।’ কমাতে কমাতে এমন দশা হল, ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়। শেষে নাকি প্রকাশকের আপত্তি সত্ত্বেও হকিং একটা সমীকরণ রেখেই দিয়েছিলেন। বলেছিলেন এটা না দিলে বই লেখার মানেই হয় না। গোটা বই এই একটা সমীকরণে লুকানো। কোন সমীকরণ? E= mc2
পেশায় শিক্ষক অর্পণ ঠিক ওই কাজটাই করেছেন। বিখ্যাত বা অখ্যাত বিজ্ঞানীদের কথা, অজানা গল্প, অচেনা দিক তুলে ধরেছেন দারুণভাবে। আর্যভট্ট, আল খোয়ারিজামির পাশাপাশিই আছেন মারি কুরি, লিজা মেইটনার, মারিও মিশেলরা। ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের সঙ্গে দিব্যি জায়গাভাগ করে নিয়েছেন মেঘনাদ সাহা। আছে অদ্ভুত কণা নিউট্রিনো, বোর-আইনস্টাইন বিতর্ক কিংবা বিগ ব্যাং-এর গল্প। জানি, আমাদের রোজকার ডাল-ভাত, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের জীবন আর পেঁয়াজের দামে এসবের কোনও গুরুত্ব নেই, তবু এই লেখাগুলো আপনার মনে অদ্ভুত এক জিজ্ঞাসার জন্ম দেবে। আর হয়তো আপনি প্রাণিত হবেন আরও একটু, আরও একটু জানার জন্য।”

অর্পণ পালের বিজ্ঞানচর্চার সেকাল একাল-এর ভূমিকাতে বইটা সম্পর্কে বিজ্ঞানী এবং লেখক কৌশিক মজুমদার এমনটাই বলেছেন।

==========

বইটির প্রাপ্তিস্থান ও অন্যান্য বিবরণী কমেন্টে রইল।

Address

72/2a Potuatola Lane
Kolkata
700009

Opening Hours

Monday 10am - 6pm
Tuesday 10am - 6pm
Wednesday 10am - 6pm
Thursday 10am - 6pm
Friday 10am - 6pm
Saturday 10am - 6pm

Telephone

+918961237050

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sristisukh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sristisukh:

Share

Category