ঋতবাক

ঋতবাক Discover a curated collection of new & exciting books. Fast shipping & great deals.

বঙ্গসংস্কৃতির চর্চার ক্ষেত্রে সমাজ ও সাহিত্যের প্রেক্ষাপটে মননশীল নান্দনিক ও বৌদ্ধিক চেতনা বিকাশে এক বলিষ্ঠ প্রতিভাস রূপে আত্মপ্রকাশ ঋতবাক এর। রুচিশীল সকল বন্ধুদের স্বাগত ঋতবাকের সাথে সহযাত্রায়।

বাংলা ই-ম্যাগাজিন ঋতবাক –এর ফেসবুক মুখপাত্র এই পেজে সকলের সাদর আমন্ত্রণ।

  এক ফালি কাগজ বই তো নয়। কিন্তু উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে টিসি অজানা উড়ন্ত এক জুজু। কতক বুঝে কতক না-বুঝে এই টিসি-র ভয়ে...
05/08/2025


এক ফালি কাগজ বই তো নয়। কিন্তু উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে টিসি অজানা উড়ন্ত এক জুজু। কতক বুঝে কতক না-বুঝে এই টিসি-র ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত সবাই। এখনও থাকে। মাস্টারমশাই মনে করার চেষ্টা করলেন এই পনেরো বছরে এই ইশকুলে শান্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে টি সি-র প্রয়োগ হয়েছে একবারই। কিন্তু কোনও না কোনও ক্লাসরুমে টি সি-র প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়নি এমন দিন বুঝি একটাও যায়নি।

নিখিলেশবাবুর গায়ে কালি ছিটোনো হয়েছিল। নিজের চোখেই দেখেছিলেন মাস্টারমশাই। কে ছিটিয়েছিল? তথ্যপ্রমাণ ছিল না। প্রিটেস্টের খাতা দেখাচ্ছিলেন ঊনষাটের প্রবীণ। তাঁর টেবিল ঘিরে দাঁড়িয়েছিল জনা কুড়ি ছেলে। তাদের কেউ হবে। সব ব্যাটাকে ছেড়ে বেঁড়ে ব্যাটাকে ধর। ডানপিটে ছেলে হিসেবে ইমতিয়াজের নামডাক ছিল। ইশকুলে ঢুকেই টুয়েলভের দাদাদের সঙ্গে মারপিট করে সংবাদ শিরোনামে আসে সে। একদিন টিফিনের সময় ক্লাস সেভেনের এক দঙ্গল ছেলে কাঁদতে কাঁদতে নালিশ ঠুকেছিল ইমতিয়াজদাদার নামে। তারা নাকি ক্যামবিস বলে ক্রিকেট খেলছিলা। ইমতিয়াজ নাকি কী করে পুল মারতে হয় শেখানোর নাম করে এমন ব্যাট হাঁকড়েছে যে বল ইশকুলের তেতলার ছাদে উঠে গেছে নাকি রাসবিহারী অ্যাভেনিউর ট্রামলাইনে গড়াগড়ি খাচ্ছে কেউ জানে না। অভিযুক্তকে ডেকে পাঠানো হল। এক হাত লম্বা জিভ কেটে ইমতিয়াজ বলেছিল, 'সরি স্যার!'

ঋতবাক সম্পাদিত অংশুমান ভৌমিক রচিত 'সিলেবাসে নেই' বইটির প্রথম প্রকাশ আগস্ট ২০২২।

ইশকুল তো শুধুই ইট কাঠ কংক্রিট নয়, বা পাশ-ফেলের উপলক্ষ নয়। ইশকুল এক জীবন্ত স্পন্দমান অস্তিত্ব। তার একদিকে মাস্টারমশাই-দিদিমণিরা। অন্যদিকে ছেলেমেয়েরা, তাদের বাবা-মায়েরা। এই বাংলার এই সময়ের ইশকুলের বাইরেটাই

সবাই দেখে। শোনে। তাদের অন্দরমহলের কথা সচরাচর লেখা হয় না। কত অজানা গল্প, কত দুরন্ত গুজব, কত অচিন রহস্য, কত অদ্ভুত শিহরণ ঘিরে আছে একেকটা ইশকুলকে। সহানুভূতি নিয়ে দেখলে, সংবেদী মন দিয়ে ভাবলে এইসব হাঁড়ির খবর খুলে দিতে পারে অনেক অবাক পৃথিবীর জানলা।

'সিলেবাসে নেই' এমনই কিছু জানলার ঠিকানা।
বইটির মূল্য : ৪৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

 ゚ মানুষ মরে গিয়ে শান্তি পেতে চায়। মৃত্যুর পর নাকি পরম শান্তি মেলে! যে মরে সে শান্তি পায় কিনা জানা নেই! তা জীবিত মানুষের...
28/07/2025


মানুষ মরে গিয়ে শান্তি পেতে চায়। মৃত্যুর পর নাকি পরম শান্তি মেলে! যে মরে সে শান্তি পায় কিনা জানা নেই! তা জীবিত মানুষের পক্ষে জানবারও কথা নয়। তবে মিন্টু মরে গিয়ে ওর বাবা-মাকে শান্তি দিয়ে গেল না।
পড়ন্ত বিকেলে ওদের উঠোনে বসেছে গ্রামের শালিশিসভা। দু'গ্রামের মাতব্বরের দল সভায় উপস্থিত। সঙ্গে আরও অনেকে। কারও কারও মুখে জলন্ত বিড়ি। কেউবা ঠোঁট সরু করে তার ধোঁয়া শূন্যপানে আপনমনে কায়দায় ছেড়ে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কেউবা মুখের কাছে দু-আঙুলে টুসকি মেরে হাই তুলছে লম্বা লম্বা। দু-চারটে কথা এদিক ওদিক দিয়ে ভেসে আসছে মাঝে মাঝে। আর তাদের মাঝখানে সাদা থান পরে বসে আছে এক অল্প বয়সী মেয়ে। কতই বা বয়স হবে? ষোলো কি সতেরো। চুল উস্কোখুস্কো। আলুথালু বেশ। মাথা নীচু করে বসে কী একটা দিয়ে মাটিতে আঁচড় কেটে চলেছে আনমনে।

ঋতবাক সম্পাদিত সনাতন সিংহের লেখা 'শেষ রাগিণীর বীণ' বইটির প্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০২২।
জীবনের নিকষ কালো অন্ধকারগুলো বড়ো ভয়ংকর-নৃশংস। ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় হঠাৎই। দম বন্ধ হয়ে আসে বিশ্বাসের। অসহায়তায় ছটফট করে। আর তখনই যবনিকা পতন। তার ছেঁড়ে। নিমেষেই কঁকিয়ে ওঠে জীবন। চেনা বাস্তব হয়ে যায় অচেনা। বেরিয়ে আসে অমানুষের দল। কেবল যেন নিষ্ঠুরতার ও পাশবিকতার নাগপাশ। কোথাও বা নিংড়ানো হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি, কোথাও বেঁচে না বাঁচার, বা বিকিয়ে যাওয়ার। ফিকে হয়ে যায় সব কিছুই। বাঁচার আকুতি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় শেষ ধাপে। ভয়, শূন্যতা, সংশয় জাঁকিয়ে বসে প্রাণ ভোমরায়। প্রকৃতিও যেন তারই সহায়ক হয়ে আসন পেতে রাখে অগোচরে। বুঁদ হয়ে যায় নীরব শীতলতায়। আর জীবন গিলে খায় জীবনকে। বারোটি গল্পই তার এক একটা সুনিপুণ চিত্রপট। রূঢ় বাস্তবের মর্মান্তিক জীবন্ত দলিল ।

বইটির মূল্য : ৩২৫/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  অস্তিত্ববাদী সাহিত্য এখন পথের পাশে বিলীন, যেহেতু নিজস্ব শিল্প সৃজনে বাধ্যতামূলক সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই...
28/07/2025


অস্তিত্ববাদী সাহিত্য এখন পথের পাশে বিলীন, যেহেতু নিজস্ব শিল্প সৃজনে বাধ্যতামূলক সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই ঘটা সম্ভব, যখন লেখক সৃজনের প্রাধান্য দর্শনের থেকে বেশি মনে করেন। কেননা একজন দার্শনিকই ব্যাখ্যা করতে পারেন যে, কীভাবে শিল্পের বাধ্যবাধকতা দর্শনের মডেল হিসেবে কাজ করে। এমনকি এও হতে পারে যে, যিনি লেখক তিনিই এক অর্থে দার্শনিক। এই সূত্রটি দসতয়েভস্কি ও কাফকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আবার কামু ও জেনের ব্যাখ্যায়ও এই সূত্র কার্যকরী। দসতয়েভস্কি ও কাফকা আমাদের মনে করিয়ে দেন যে, ভাষার ওপরে লেখকের প্রাধান্য সন্দেহাতীত। ভাষার এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে লেখক নির্ভুলভাবে এই বার্তা পাঠায় যে, মানব চরিত্রের ভাঙাচোরা ভাষা ব্যবহারে প্রকাশ করতে গিয়ে সর্বোচ্চ চিন্তার পরিসীমায় লেখক ও চিন্তক একই সঙ্গে দ্যুতিময়। এই প্রসঙ্গে দৃশ্যমান হয় যে, দসতয়েভস্কি ও কাফকার নায়কেরা আমাদের পরিচিত নায়কদের অন্য ভঙ্গিতে প্রতিবিম্বিত করে। আমাদের সময়ের যে লেখকটি ভাষার প্রায়োগিক কর্তৃত্বে ঐ দুই লেখকদের সমগোত্রে আলোচিত, তার নাম স্যামুয়েল বেকেট। ইদানীং মানুষ বলতে যে দৃশ্যকল্প চোখে ভাসে, তা হলো বেকেটের নায়ক। বলতে বাধ্য হচ্ছি, লেখকদের গায়ে এই যে দার্শনিক লেবেল আটার খেলা, এ শুধু সাময়িক কালক্ষয়-হেথিংওয়েকে কী বলবো-একজন আচরণ বিশ্লেষক আর 'রোেব গ্রিয়ে'-উনি দর্শন ভাবনাচরিত্র ব্যাখ্যা করেন? যদি আমরা পাঠক হিসেবে বুদ্ধিদীপ্তভাবে রসজ্ঞ হতে পারতাম-তবে এই ভাবনা একপ্রকার মান্যতা পায়।

ঋতবাক সম্পাদিত উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা 'স্ট্রবেরি জংশন 'বইটির প্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০১৯।
মার্কসবাদ থেকে মনস্তত্ব, কবিতার অসীম সম্ভাবনা থেকে দর্শন ও তত্ত্ববিশ্বে সমগ্রতা, অথবা সিনেমার অন্তর্ঘাত, সবই অন্যরূপান্তরিত ভাবনার ইমেজ, রইলো একই মলাটের আড়ালে।
অতিসরলীকরণের প্রবণতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সমস্ত মহান ভাবুকেরা মেধার অসম্পূর্ণতা থেকে মুক্ত করে আমাদের এনে ফেলেছিলেন মানবিক উচ্চতর অভিজ্ঞতায়, তাঁদের সঙ্গেই উতরোল আড্ডা স্ট্রবেরী জংশনে।
আঁলে বাদিউ, ওক্তাবিও পাস্, সিগমুন্ড ফ্রয়েড,ইতালো ক্যালভিনো,হার্বাট রিড,অঁতোনা আর্ত, বার্টন্ড রাসেল- এঁর মতো কিংবদন্তি মানুষদের কথা থাকছে এই বইয়ে।

বইটির মূল্য : ২৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  এপ্রিলের প্রথমদিকে যখন চন্দননগর ছাড়ার ব্যবস্থা প্রায় পাকা তখন একদিন হতোদ্যম, ক্লান্ত হীরালাল বাবাকে লিখল তার মনের কথা।...
25/07/2025


এপ্রিলের প্রথমদিকে যখন চন্দননগর ছাড়ার ব্যবস্থা প্রায় পাকা তখন একদিন হতোদ্যম, ক্লান্ত হীরালাল বাবাকে লিখল তার মনের কথা। যা লিখল তা সংক্ষেপে এই রকম যে সে সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং ঈশ্বর জানেন যে দিল্লি ষড়যন্ত্রে তার কোনও হাত ছিল না। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে আজ সে ব্রিটিশের শত্রু। সমাজের চোখে সে অপরাধী। কিন্তু মানুষের জীবন নক্ষত্রনিয়ন্ত্রিত। সেই কারণেই তার অনিচ্ছাসত্ত্বেও সে বিপ্লবীতে রূপান্তরিত। কিন্তু সেও ভাগ্যচক্রে। আজ আর তার বাঁচার কোনও উপায় নেই। সে চিন্তিত এই ভেবে যে তার পরিণতির কথা ভেবে তার বাবার কী অবস্থা হবে। তবুও তার জন্য কোনও উকিল নিয়োগ করার দরকার নেই। ভাগ্য তাকে যে পথে নিয়ে যাবে সে সেই পথেই যাবে। কেন লিখল এই চিঠি হীরালাল? বড় অদ্ভুত এই চিঠি। যে ঘটনার নেপথ্যনায়ক থেকে নায়ক হতে চেয়েছিল সে পরবর্তীকালে সেই ঘটনার দায় সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়াই নয় সেই ঘটনা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এমন কথা বাবাকে বলতে গেল কেন? তবে কি চিঠি পড়ে তার বাবা উকিল লাগিয়ে তাকে এই বিপদ থেকে বের করে আনুক এমন কোনও প্রচ্ছন্ন ঈঙ্গিত দিতে চেয়েছিল হীরালাল এই চিঠিতে? হীরালালের এই ঈঙ্গিত বুঝেও হয়তো কিছু করার ক্ষমতা ছিল না তার বাবার। তবে অপারগ অক্ষম বাবার সঙ্গে আর কোনও দিন দেখা হয়নি হীরালালের। এবারের গন্তব্য বেনারস।

ঋতবাক সম্পাদিত মনোজ কর রচিত 'হীরালালের বিপ্লবযাপন' বইটি প্রথম প্রকাশ পায় বইমেলা ২০২৩।
অর্দ্ধশতকব্যাপী এই সশস্ত্র সংগ্রামের সময়কাল জুড়ে এই বিপ্লব ক্রমাগত বিঘ্নিত হয়েছে তারই গর্ভে নিহিত প্রতিবিপ্লবের হীন স্বার্থপরতা এবং কুটিল চক্রান্তে। ঘাত-প্রতিঘাতলাঞ্ছিত সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই উপন্যাস। এই সময়েরই এক দিশাহীন, দ্বিধাদীর্ণ বিপ্লবী চরিত্র যে মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে বিপ্লবকে জীবনের ব্রত হিসাবে বরণ করে নিতে পারেনি সেই হীরালালকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত এই উপন্যাসের কাহিনী।
বইটির মূল্য : ৩০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

 ゚ ওপরের ঘরে গিয়ে পানু রায় পচাকে জিগ্যেস করলেন, 'কি করা উচিৎ বলে মনে হয় তোর?' পচা কিছুমাত্র না ভেবে বললো, 'আমাকে যা বলে ...
25/07/2025


ওপরের ঘরে গিয়ে পানু রায় পচাকে জিগ্যেস করলেন, 'কি করা উচিৎ বলে মনে হয় তোর?' পচা কিছুমাত্র না ভেবে বললো, 'আমাকে যা বলে দলে নিয়েছো সেই কথাই বলতে হবে। স্যুটকেশের টাকা এখন আর দু'ভাগ নয়, চারভাগ করতে হবে।' পচার কথা শেষ হবার আগেই পানু রায় বলে উঠলেন, 'আমারও ঠিক একই কথা মাথায় এসেছে। এই টাকা সমানভাবে ভাগ না করলে আগে এগুবার আর কোনও পথ নেই। ঠিক আছে স্যুটকেশ নিয়ে নীচে চল। যা কথা বলার আমি বলবো। যেহেতু টাকার অধিকার আমাদের দুজনের সুতরাং সেই টাকার ভাগ দেবার সিদ্ধান্ত আমরা দুজনে নিলাম। ঠিক?' পচা বললো, 'একদম ঠিক।' পানু রায় আগে আগে এবং পিছন পিছন পচা স্যুটকেশ নিয়ে নীচে এসে খাবার ঘরে ঢুকলো। সুন্দরী একটু অবাক হয়েই জিগ্যেস করলো, 'স্যুটকেশ কেন? আপনাদের তো এখনও আমি কোথাও যেতে বলিনি।' পানু রায় বললেন, 'একটু ধৈর্য ধরুন। সব বলবো। গল্পটা বলার আগে স্যুটকেশটা আপনাদের দেখাতে চাই এবং এই সম্বন্ধে কয়েকটা কথা বলতে চাই।' সুন্দরী বললো, 'ঠিক আছে, বলুন।' পানু রায় বললেন, 'এই স্যুটকেশের ভেতর দু'কোটি টাকা আছে, আই মিন দু'কোটি।' সুন্দরী আর জগাই কয়েক মুহূর্তের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো। তারপর জগাই বিশাল বিশাল চোখ বের করে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো, 'কি বললেন? দু কোটি!' পানু রায় বললেন, 'তুমি ঠিক শুনেছো জগাই, দু'কোটি!' এতক্ষণে কিছুটা ধাতস্থ হয়ে সুন্দরী জিগ্যেস করলো, 'এত টাকা আপনি কোথায় পেলেন? সব টাকা আপনার? খুলে বলুন আমায়।' পানু রায় বললেন, 'নিশ্চয়ই। সব বলবো বলেই তো এসেছি। কিন্তু তার আগে বলে রাখি যদি আমি আর পচা দোষী সাব্যস্ত হই তবে সমস্ত টাকা পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে। কারণ এই টাকা বেওয়ারিশ। এর মালিক কে, কেউ জানে না ।
ঋতবাক সম্পাদিত মনোজ করে লেখা শতবর্ষে পানুর রায় বইটির প্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০২০।
জোনাস জোনাসনের "দ্য হান্ড্রেড ইয়ার ওল্ড ম্যান" বইয়ের ছায়া অবলম্বনে রচিত উপন্যাস "শতবর্ষে পানু রায়” মনোজ করের এক অনন্য সৃষ্টি।
শতায়ু পানু রায় আর পাঁচজনের মতো জীবনযাপন করেন না। উনি এই দুর্লভ জীবনকে উদযাপন করেন প্রতি মুহূর্তে ওঁর নিজস্ব ভঙ্গিমায়, যুক্তিতে এবং ঈর্ষণীয় স্টাইলে। এই উদযাপনের পথে পথে ছড়িয়ে থাকা বিচিত্র সব চরিত্র আর ঘটনা ।
শততম জন্মদিনের দিন বিকেলবেলা কেক কাটার ঠিক আগের মুহূর্তে জানালা টপকে বাগানের রাস্তা দিয়ে নিরাশ্রয় থেকে পালালেন পানু রায়।

বইটির মূল্য : ৩৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

 ゚ দেখতে দেখতে সেই ছোট্ট দুখি এখন চোদ্দোয় পা দিয়েছে। পড়াশোনায় সে খারাপ নয়। কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি চুপচাপ হয়ে গেছে সে...
25/07/2025


দেখতে দেখতে সেই ছোট্ট দুখি এখন চোদ্দোয় পা দিয়েছে। পড়াশোনায় সে খারাপ নয়। কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি চুপচাপ হয়ে গেছে সে। সতীশ স্যারের সঙ্গে তার নিত্য যোগাযোগ। সে ছাড়াও আরও কিছু ছেলে সতীশ স্যারের কাছে গোপনে যাওয়া আসা করে এখন। সতীশ স্যার মাঝে মাঝে কোথাও উধাও হয়ে যান, জানে না কেউ। দুখি জিজ্ঞেস করলেও বলতে চান না সতীশ স্যার। রূপা আর অপূর্ব ভয়ে সবসময় সিঁটিয়ে থাকে। তারা বেশ ভালোভাবেই বোঝে দুখির জীবন অন্যখাতে বইছে যা আর পাঁচজনের চেয়ে আলাদা। সে যে কোনও স্বদেশী দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তা আর কেউ বুঝতে না পারলেও রূপা আর অপূর্ব বুঝতে পারে। দুখির কথাবার্তায় চালচলনে সেটা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে আজকাল। আজ হোক বা কাল হোক দুখি যে পরানগাছি ছেড়ে চলে যাবে, তা বেশ পরিষ্কার বুঝতে পারে রূপা। মাঝে মাঝে রাগ অভিমান ঢেলে দিতে চায় নিজের সন্তানের অধিক দুখির ওপর। কিন্তু অপূর্বর কথায় চুপ করে যায়। তার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হৃদয়ের মধ্যেই জমাট বেঁধে থাকে। সাবধান করে অপূর্ব, 'দুখি এখন আমাদের নয়, রূপা। অন্য কেউ ওর অভিভাবক। জোর করতে গেলে যাও বা এখন আমাদের কাছে আছে তাও আর থাকবে না। মনের দুঃখ মনের মধ্যে রেখে চুপ করে থাকো। চারদিকে যা সব খবর, শুনলেও ভয়ে বুক কাঁপে।'

ঋতবাক সম্পাদিত মনোজ কর এর লেখা 'সুখি দুখির গল্প' প্রথম প্রকাশ পায় আগস্ট ২০২১।
প্রায় একশো বছরব্যাপী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যে শত শত মহান ব্যক্তিত্ব জড়িত ছিলেন আমাদের দেশের ইতিহাসে। আমরা জেনেছি এইসব মানুষদের জীবনযাপন, জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনের অন্তিম পরিণতি আটপৌরে মানুষদের মতো স্বার্থমগ্নতা এবং আত্মসুখের সীমায় আবদ্ধ ছিলো না। শুধু দিনযাপনের, শুধু প্রাণধারণের গ্লানি বহন করে তাঁদের জীবন অতিবাহিত হয়নি। একথার সত্যতা মেনে নিয়েও বলতে হয় যে পার্থিব নিয়মেই এইসব মহান ব্যক্তিদের দৈনন্দিনতাও ছিলো তাঁদের একান্ত নিজস্ব সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-বঞ্চনা, মান-অভিমানের অনুভূতিসিক্ত; যার হদিশ আমরা ইতিহাসে পাই না।
এই উপন্যাসের দুই মুখ্য চরিত্র সুখি আর দুখি এইরকমই দুই মানুষ। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগের প্রেক্ষাপটে পরিবার, পারিপার্শ্বিকতা এবং একটু একটু করে গড়ে ওঠা জীবনবোধের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই দুই চরিত্রের জীবনপ্রবাহ এবং তার পরিণতির আধারে নির্মিত এই উপন্যাস।

বইটির মূল্য : ৩৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  ১৮৮৪ সাল থেকেই 'বামাবোধিনী' পত্রিকা বিশেষ বিশেষ রন্ধন প্রণালী প্রকাশ করতে আরম্ভ করে। ১৮৯৫ সালে 'মহিলা' নামের আর একটা স...
25/07/2025



১৮৮৪ সাল থেকেই 'বামাবোধিনী' পত্রিকা বিশেষ বিশেষ রন্ধন প্রণালী প্রকাশ করতে আরম্ভ করে। ১৮৯৫ সালে 'মহিলা' নামের আর একটা সাময়িকীও নানারকম রান্নার পদ্ধতি শেখাতে উদ্যোগী হয়। ১৮৯৭ থেকে 'পুণ্য' নামের এক পত্রিকার সম্পাদিকা হিসেবে রান্না শেখাতে আরম্ভ করেন রবীন্দ্রনাথের মেজদাদা হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয়া কন্যা, প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী। ১৮৯১ সালে প্রজ্ঞাসুন্দরীর বিয়ে হয় আসামের লক্ষ্মীকান্ত বেজবড়ুয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর স্বামীর সাহায্য আর উৎসাহে রান্না নিয়ে রীতিমত গবেষণা আরম্ভ করেন প্রজ্ঞাসুন্দরী। এই গবেষণার ফল হিসেবে ১৩০৭ বঙ্গাব্দ বা ১৯০০-০১ সালে প্রকাশিত হয় 'আমিষ ও নিরামিষ আহার - প্রথম খণ্ড'। এই বইতে ছিল শুধু নিরামিষ রান্নার প্রণালী। শোনা যায়, কাছাকাছি সময়ে আরও নিরামিষ রান্না নিয়ে একটা দ্বিতীয় খণ্ডও প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩১৪ সন বা ১৯০৭-০৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বইয়ের তৃতীয় খণ্ড। বেশ হৃষ্টপুষ্ট বইটি। সম্পূর্ণ ভাবে আমিষ রন্ধনপ্রণালী নিয়ে লেখা।

এই বই এক কথোপকথন। কথা গড়িয়ে গেছে কথায়, আর তার থেকে উঠে এসেছে শোভাবাজার রাজপরিবারে প্রচলিত মোট পঁয়তাল্লিশটি রান্নার রন্ধনপ্রণালী। এই বই নিছক এক রান্নার বই নয়। এই আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে দেখা দেয় সময়ের জলছবি, অনেক নাম না জানা রন্ধনশিল্পীর হাতের ছাপ। পাওয়া যায় হেঁশেলের অন্তরঙ্গ স্বাদ-গন্ধ। এই বই বহু ভিন্ন স্বরের সংলাপ।

নন্দিনী দেব বউরাণী এক রন্ধনশিল্পী। শোভাবাজার রাজবাড়ীর বউ হয়ে এসে তিনি এ বাড়ীর প্রচলিত রান্না শিখেছেন এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নিজেও আবিষ্কার করেছেন বহু নতুন নতুন রান্না। নামীদামী রেস্তোঁরার শেফরা তাঁর কাছ থেকে রান্না শিখে গেছেন, নানা পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে তাঁর নিজস্ব রন্ধনপ্রণালী।
তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্রী সুস্মিতা বসু সিং ঋতবাক প্রকাশনার কর্ণধার তথা ঋতবাক ই-ম্যাগাজিনের সম্পাদক।

বইটির মূল্য : ১৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  টেরি ইগলটন (জন্ম ১৯৪৩) বহুদিনের চেনা লেখক। ক্যাথলিক ধর্মবিশ্বাস থেকে আস্তে আস্তে তিনি পৌঁছেছিলেন মার্কসবাদে। আর সেখানে...
25/07/2025


টেরি ইগলটন (জন্ম ১৯৪৩) বহুদিনের চেনা লেখক। ক্যাথলিক ধর্মবিশ্বাস থেকে আস্তে আস্তে তিনি পৌঁছেছিলেন মার্কসবাদে। আর সেখানেই তিনি অনড় হয়ে আছেন। বয়েস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এককালের আগুনখেকোরা অনেকেই এখন সংশয়ী উদারপন্থী বা পাক্কা রক্ষণশীল। কিন্তু ইগলটন আজও উঁচু গলায় নিজের মত ঘোষণা করে চলেছেন : "ন্যাটো থেকে বেরিয়ে এসো। পুঁজিবাদ ছাড়ো। ব্যক্তিগত মালিকানা মুর্দাবাদ।” তাঁর বক্তব্য খুবই চাঁচাছোলা। "জীবনে নিশ্চয়ই টাকা ছাড়াও অনেক বড় বড় জিনিস আছে,” তাঁর স্মৃতিকথায় (দ্বাররক্ষী, ২০০১) তিনি লিখেছেন। তার সঙ্গে অবশ্য এও যোগ করেছেন, তবে কিনা "টাকাই সেগুলোর বেশির ভাগকে আমাদের নাগালে আনে।” অর্থাৎ অর্থনীতির ভিতটাকে কিছুতেই এড়ানো যায় না।

অনেক বছর ধরেই ইগলটন একাধিক যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পোস্টমর্ডানিজকে তিনি ছাপ মেরেছেন "রুণ রসিকতা” বলে। অন্যদিকে রিচার্ড ডকিন্‌স্-এর বিরুদ্ধেও তাঁর জেহাদ। স্বভাবসিদ্ধ কড়া ভাষায় তিনি বলেছেন: "ঈশ্বর নিয়ে ডকিন্‌স্-এর বইটিকে আমি আক্রমণ করেছিলাম কারণ আমি মনে করি ধর্মতাত্ত্বিক দিক দিয়ে তিনি নিরক্ষর।"

ঋতবাক সম্পাদিত রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা 'খোলা চোখে খোলা মনে' বইটির প্রথম প্রকাশ নভেম্বর 2017।
অনুবাদ-কবিতা, দর্শন, ধর্ম, বাঙালি সমাজ, ভারতীয় ও পাশ্চাত্য সাহিত্য, যুক্তিবাদ- এমনতর বহু বিচিত্র বিষয়ে এই পাঁচমেশালি রচনা-সংকলন।
লঘু-গুরু, ছোটো-বড় রচনাগুলির মধ্যে মিল একটিই খোলা চোখে খোলা মনে সবকটি বিষয় দেখা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটিই পাঠকরাও রচনাগুলি-সেইভাবেই বিচার করুন।
বইটির মূল্য :২৫০ /-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

 ゚ 'দু ঘণ্টার মতো হয়ে গেল, ওরা গান করে যাচ্ছে!' আমার যখন ঘুমভাঙে, আমি শুনতে পাই ফোনে আবা কাকে যেন এই কথাটা বলছে।'মারিয়ান...
09/07/2025


'দু ঘণ্টার মতো হয়ে গেল, ওরা গান করে যাচ্ছে!' আমার যখন ঘুম
ভাঙে, আমি শুনতে পাই ফোনে আবা কাকে যেন এই কথাটা বলছে।
'মারিয়ান্না? আমার সন্দেহ যে ও এখনও ওই মিলিশিয়া বিল্ডিঙেই আছে।'
ফোনের রিসিভার নামিয়ে রেখে, বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। লোহার দরজাটার দিকে তাকায়, যার ভেতরে ওর মেয়ে ঢুকে গেছে। এই ব্যাপারে আমার কোনও সন্দেহ নেই যে আবা এখন এই সোভিয়েত বাক্যটা মনে মনে বলছে: 'একটা লোক ছিল, সেই লোকটি আর নেই।' কিছুক্ষণ আবার মনে হল যে সরু রাস্তায় যারা জড় হয়েছে, তারা একটা লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে। এই দেশে, যেখানে সব কিছুরই আকাল রয়েছে, সেখানে এই দৃশ্য স্বাভাবিক। কিন্তু এবারে ওরা সসেজ, মাখন বা পলিয়ামাইডের টাইটস কেনার জন্য তো এখানে দাঁড়ায়নি। এখানে ওরা জেল ভরো আন্দোলনের জন্য দাঁড়িয়েছে। সাইবেরিয়া, কাজাখস্তান মানসিক রুগীদের হাসপাতাল, এরা সব কিছু সহ্য করে এসেছে এতদিন, কিন্তু এখন স্বাধীনতার নামে এখানে যে সব ঘটনা ঘটে চলেছে, সেগুলোকে আর নিতে পারছে না।
'এতক্ষণে ও কোথায় পৌঁছল? ওরা তো ওকে বলাৎকার করবে, অত্যাচার করবে, ঘাড় মুচকে দেবে, মনে রাখিস!' বড়দিদুভাই এইটুকু বলেই একদম অদ্ভুত চুপ করে গেলেন। বেশ বোঝা গেল কারণটা। উনি সব সময় এটা করতেন, কারণ 'গ্রেফতার', 'নিপীড়ন', '১৯৩৭'- এই শব্দগুলো উনি কখনও উচ্চারণ করতে ভুলতেন না।
উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত, Zanna Sloniowska রচিত উপন্যাস রঙিন শার্সিওয়ালা বাড়ি থেকে নেওয়া।
উপন্যাসটির বাংলা ভাষান্তর করেছেন সুলগ্না মুখোপাধ্যায়।
বিগত শতকের নয়ের দশকের শুরু। ভাঙনের শব্দ ইউরোপ জুড়ে। ইউক্রেন আর রাশিয়ার লড়াই চলছিল সেদিনও। ইউক্রেনের লিয়াভ্যুভ শহরে খুন হল এক অপেরাগায়ক। তার বারো বছরের মেয়ের মুখে আত্মকথনের ভঙ্গিতে ইতিহাসের সেই রক্তভেজা অধ্যায়। প্রেম, যৌনতা, স্খলন আর রাজনীতির রশ্মিগুলি আলাদা আলাদা বিন্দু-নিঃসৃত হয়েও যেন একটি বিনুনির মতো এই আখ্যানে প্রতিভাত হয়েছে। পরিবারটির সুখ-সমৃদ্ধির প্রতীক, তাদের রঙিন শার্সিওয়ালা বাড়িটির একেকটি কাচ ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে যাচ্ছিল মানুষগুলির স্মৃতি, সত্তা আর ভবিষ্যৎ...
বইটির মূল্য : ৪০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  নিঝুম রাত, দূরে দূরে শিয়াল ডাকছে। যামিনী দেখছেন গোয়ালের আশেপাশে টুপ টাপ জোনাকি উড়ে বেড়াচ্ছে।। দশ বারো হাত তফাতে আসশ্যা...
09/07/2025


নিঝুম রাত, দূরে দূরে শিয়াল ডাকছে। যামিনী দেখছেন গোয়ালের আশেপাশে টুপ টাপ জোনাকি উড়ে বেড়াচ্ছে।। দশ বারো হাত তফাতে আসশ্যাওড়ার বনের পাশে একটা তুলসীর ঝোপ। চাঁদের আলোয় অন্তত তেমনটাই লাগছে। খানিক পর যামিনীর মনে হল ঝোপটা যেন কিছুটা এগিয়ে এসেছে। 'যাঃ, গাছ কি এগোতে পারে নাকি?' নিজের বোকামিতে লজ্জা পান যামিনী। তিনি অন্য দিকে তাকান। কিন্তু তার যষ্ঠেন্দ্রিয় তাকে সজাগ করে। আবার দৃষ্টি যায় ঝোপে। ওমা! ঝোপটা যে সত্যি এগিয়ে আসছে!
প্রথমে ধীরে ধীরে গুড়ি মেরে এলেও, পরে সেটা যেন লাফাতে লাফাতে যামিনীর দিকে আসতে থাকে। শেষে গতি বাড়িয়ে কয়েক মুহূর্তে ছ'হাতের মধ্যে এসে হাজির। আর ঠিক তখনই যামিনী দেখলেন এতক্ষণ যেটাকে ঝোপ ভাবছিলেন সেটা আসলে একটা বিরাট কাটা মুন্ড। কি ভয়ঙ্কর!
উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত, রুমা মুখার্জি রচিত দেশ "বিদেশের ১৪ ভূত" ভৌতিক গল্পসংকলনের কাটা মুন্ডু গল্পটি থেকে নেওয়া।
অতিরিক্ত নগর সম্প্রসারণের জন্য বর্তমানে ভূতেরা বেশিরভাগই বেঁচে আছে কেবল লেখকদের কলমে। তবে এ কথাও সত্যি ভূতেদের আমরা ভালোবাসি। নাহলে প্রতিনিয়ত আমাদের সঙ্গে যে এত মানুষের আলাপ হয়, সেসব আমরা মনেও রাখি না। কিন্তু ভূতের সঙ্গে যদি কারও কোনওদিন সাক্ষাৎ হয়, তা সে জীবনে ভোলে না। আর সেই সাক্ষাৎকারের ঘটনাই পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠে দারুণ এক গল্প।
বইটির মূল্য : ২২৫/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

 ゚ চন্দ্রালোকে উপস্থিত জনতার কারও কারও যাও বা সন্দেহ হচ্ছিল, ছায়ামূর্তি দেশলাই এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার চাইতেই সম্বিত ফি...
23/06/2025


চন্দ্রালোকে উপস্থিত জনতার কারও কারও যাও বা সন্দেহ হচ্ছিল, ছায়ামূর্তি দেশলাই এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার চাইতেই সম্বিত ফিরল। মানুষ হাত ধুয়ে ফেলতে পারে। চিরদিনের স্বভাব। কিন্তু ভূত নিশ্চয়ই হাত ধুয়ে ফেলবে না। এ ডাক্তারবাবু না হয়ে যায় না। ভোলা খুচরো ফেরত দিতে গিয়ে ছায়ামূর্তিকে জড়িয়ে ধরল।
ডাক্তারবাবু আপনি আমার টিবি অসুখটা যেভাবে সারিয়েছিলেন! নয়তো মরেই যেতাম।
ঠিক ধরেছ, ভোলা। আমি এখন ডাক্তার আত্মা প্রসাদ। তোমাদের জন্য সার্ভিস দিয়ে আজ নিজেই আত্মা হয়ে গেলাম। জানো কেন এমন হল?
ভোলার চোখ ছলছলে।
মাসখানেক আগের কথা। চেম্বারে এক রোগী এল। মোটাসোটা, ডায়াবেটিস। জ্বর। আমি দেখতে চাইছিলাম না। কিন্তু ঐ যে একটা শপথ নিতে হয়েছিল পাশ করার সময়। হিপোক্রেটিসের শপথ। অসহায় রুগী ফেরানো যাবে না। দেখলাম। ওষুধ পত্তর দিলাম।"
তারপর?
পরদিন খবর পেলাম রোগী মারা গেছেন। ভয়ে বুক কেঁপে উঠল। তবে কি রোগীর করোনা হয়েছিল? তবে কি আমারও?
জানি স্যার, উনি কৃষ্ণনগরের বিরাট বড় বিজনেসম্যান ছিলেন। শেষটা খুব খারাপ। মারা যাওয়ার পর ফ্যামিলির কাছে বডি যায়নি। এমনকী যেভাবে লুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে যেন ক্রিমিনাল।
ঠিক। বাস্তবটা এতটাই নিষ্ঠুর যে আমাকেও সেই ভয় তাড়া করল। আমার যদি রোগীর থেকে করোনা হয়, তাহলে আমারও কি একই পরিণতি? পাড়ায় লোকে আড়চোখে দেখবে, ফিসফাস করবে। মরে গেলে বউ, ছেলে, মেয়ে দেখতে পর্যন্ত পাবে না। এত বছর ধরে মানুষকে সেবা করার এই পুরস্কার?

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত দোলনচাঁপা দাসগুপ্ত রচিত 'সুন্দরী' গল্পসংকলনের 'আত্মপ্রসাদ' গল্প থেকে গৃহীত ।
বইটিতে লেখিকা যা বলতে চেয়েছেন তা হলো প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক--- যে কোনও দুর্যোগে দুঃসময়ে মেয়েরাই ভোগে বেশি। করোনাকালেও ভুগেছে। এমনিতে মেয়েরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নিরন্তর নির্যাতনের শিকার। বঞ্চনা, লাঞ্ছনা তাদের নিত্যসঙ্গী। করোনার লকডাউনে মেয়েরা শুধু হতাশা আর দুশ্চিন্তায় নিমজ্জিত থাকেনি, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনেও ভুগেছে কম নয়।
করোনাসময়ের নানা শ্রেণীর নানা নারীর জীবন লেখিকা তুলে ধরেছেন ছোট ছোট গল্পের মধ্যে। নারীর জীবনকে নারী যতটা দেখতে পায়, তত আর কেউ পায় না। নারীর সংগ্রামকে, নারীর বেদনাকে নারীই বুঝতে পারে বেশি।

বইটির মূল্য : ২৭৫/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  'ফিরে এসো তুমি! তুমি যদি আমার হাতের তলায় মারা যাও, আমি সাঁতার শেখানো ছেড়ে দেবো। ফিরে এসো এবার!' খুব আস্তে আস্তে ছেলেটি...
23/06/2025


'ফিরে এসো তুমি! তুমি যদি আমার হাতের তলায় মারা যাও, আমি সাঁতার শেখানো ছেড়ে দেবো। ফিরে এসো এবার!' খুব আস্তে আস্তে ছেলেটির জ্ঞান ফিরল। যখন অ্যাম্বুলেন্স এসে দাঁড়াল, তখন ও নিশ্বাস নিচ্ছে। 'ফিরে এসো তুমি!' নাকের ক্ষত পরীক্ষা করার যন্ত্র আর মুখে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে ছেলেটিকে পুল থেকে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেওয়া হল। আমি ছেলেটির বাবাকে ফোন করলাম। প্রত্যুত্তরে আমার স্ত্রী আর আমাকে তিনি ওঁদের বাড়িতে যেতে বললেন। ছেলেটি তখন হাসপাতালে শুয়ে, নাকে অক্সিজেনের নল আর আমরা ওদের বাগানে কাচের ঘরে বসে। আমরা একটা ভালো খবরের আশা করছিলাম। আমি বুড়ো আঙুলের নখগুলো চিবোচ্ছিলাম। বুঝতে পারিনি কখন ছাল উঠে রক্ত বেরিয়ে গেছে। প্রায় মধ্যরাতে আমার মোবাইলটা বেজে উঠল। আমার সারা শরীর কাঁপতে শুরু করল। খবরটা অস্পষ্টভাবে আমার কানে ভেসে এল। ছেলেটির বাবার হাতে তখন 'রেমি-মার্টিন' আর শৌখিন সিগারের বাক্সটা। সারা ঘরটায় তখন উৎসবের আবহাওয়া।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত, মার্কুস কির্শহফার রচিত 'কাঁটা' গল্প সংকলনের ঘড়িয়াল গল্পটি থেকে নেওয়া। বাংলায় বইটির ভাষান্তর করেছেন সুলগ্না মুখোপাধ্যায়।
দশটি ছবি নিয়ে গল্প, এছাড়া দুটি খণ্ডে প্রকাশিত কবিতার পর DER STACHEL মার্কস কির্শহফারের প্রথম ছোটো গল্পের সংকলন। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর সতেরোটি গল্পের প্রত্যেকটিতেই প্রধান উপাদান নিয়তিময়তা। কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটছে সব কাহিনীতেই- কোথাও হিমবাহের ধ্বস নামছে, কোথাও বা সাঁতারের সময় শিশুর দুর্ঘটনা ঘটছে। এক অদ্ভুত, তরতরে গদ্যে লেখা গল্পগুলিতে সুইস সংস্কৃতি, মনস্তত্ব, অর্থনীতি, এমনকি আল্পস পর্বতমালাকে ঘিরে সুইস প্রকৃতির যে অপরূপ সৌন্দর্য, সবই ঘুরে ফিরে এসেছে বিচিত্র এই সম্ভারে। লেখক যেখানে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। অকুস্থল থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ঘটনাক্রম লক্ষ করছেন।

বইটির মূল্য : ৩৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

Address

Kolkata
700025

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঋতবাক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ঋতবাক:

Share

Category