05/08/2025
এক ফালি কাগজ বই তো নয়। কিন্তু উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে টিসি অজানা উড়ন্ত এক জুজু। কতক বুঝে কতক না-বুঝে এই টিসি-র ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত সবাই। এখনও থাকে। মাস্টারমশাই মনে করার চেষ্টা করলেন এই পনেরো বছরে এই ইশকুলে শান্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে টি সি-র প্রয়োগ হয়েছে একবারই। কিন্তু কোনও না কোনও ক্লাসরুমে টি সি-র প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়নি এমন দিন বুঝি একটাও যায়নি।
নিখিলেশবাবুর গায়ে কালি ছিটোনো হয়েছিল। নিজের চোখেই দেখেছিলেন মাস্টারমশাই। কে ছিটিয়েছিল? তথ্যপ্রমাণ ছিল না। প্রিটেস্টের খাতা দেখাচ্ছিলেন ঊনষাটের প্রবীণ। তাঁর টেবিল ঘিরে দাঁড়িয়েছিল জনা কুড়ি ছেলে। তাদের কেউ হবে। সব ব্যাটাকে ছেড়ে বেঁড়ে ব্যাটাকে ধর। ডানপিটে ছেলে হিসেবে ইমতিয়াজের নামডাক ছিল। ইশকুলে ঢুকেই টুয়েলভের দাদাদের সঙ্গে মারপিট করে সংবাদ শিরোনামে আসে সে। একদিন টিফিনের সময় ক্লাস সেভেনের এক দঙ্গল ছেলে কাঁদতে কাঁদতে নালিশ ঠুকেছিল ইমতিয়াজদাদার নামে। তারা নাকি ক্যামবিস বলে ক্রিকেট খেলছিলা। ইমতিয়াজ নাকি কী করে পুল মারতে হয় শেখানোর নাম করে এমন ব্যাট হাঁকড়েছে যে বল ইশকুলের তেতলার ছাদে উঠে গেছে নাকি রাসবিহারী অ্যাভেনিউর ট্রামলাইনে গড়াগড়ি খাচ্ছে কেউ জানে না। অভিযুক্তকে ডেকে পাঠানো হল। এক হাত লম্বা জিভ কেটে ইমতিয়াজ বলেছিল, 'সরি স্যার!'
ঋতবাক সম্পাদিত অংশুমান ভৌমিক রচিত 'সিলেবাসে নেই' বইটির প্রথম প্রকাশ আগস্ট ২০২২।
ইশকুল তো শুধুই ইট কাঠ কংক্রিট নয়, বা পাশ-ফেলের উপলক্ষ নয়। ইশকুল এক জীবন্ত স্পন্দমান অস্তিত্ব। তার একদিকে মাস্টারমশাই-দিদিমণিরা। অন্যদিকে ছেলেমেয়েরা, তাদের বাবা-মায়েরা। এই বাংলার এই সময়ের ইশকুলের বাইরেটাই
সবাই দেখে। শোনে। তাদের অন্দরমহলের কথা সচরাচর লেখা হয় না। কত অজানা গল্প, কত দুরন্ত গুজব, কত অচিন রহস্য, কত অদ্ভুত শিহরণ ঘিরে আছে একেকটা ইশকুলকে। সহানুভূতি নিয়ে দেখলে, সংবেদী মন দিয়ে ভাবলে এইসব হাঁড়ির খবর খুলে দিতে পারে অনেক অবাক পৃথিবীর জানলা।
'সিলেবাসে নেই' এমনই কিছু জানলার ঠিকানা।
বইটির মূল্য : ৪৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009