ঋতবাক

ঋতবাক Discover a curated collection of new & exciting books. Fast shipping & great deals.

বঙ্গসংস্কৃতির চর্চার ক্ষেত্রে সমাজ ও সাহিত্যের প্রেক্ষাপটে মননশীল নান্দনিক ও বৌদ্ধিক চেতনা বিকাশে এক বলিষ্ঠ প্রতিভাস রূপে আত্মপ্রকাশ ঋতবাক এর। রুচিশীল সকল বন্ধুদের স্বাগত ঋতবাকের সাথে সহযাত্রায়।

বাংলা ই-ম্যাগাজিন ঋতবাক –এর ফেসবুক মুখপাত্র এই পেজে সকলের সাদর আমন্ত্রণ।

 ゚ চন্দ্রালোকে উপস্থিত জনতার কারও কারও যাও বা সন্দেহ হচ্ছিল, ছায়ামূর্তি দেশলাই এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার চাইতেই সম্বিত ফি...
23/06/2025


চন্দ্রালোকে উপস্থিত জনতার কারও কারও যাও বা সন্দেহ হচ্ছিল, ছায়ামূর্তি দেশলাই এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার চাইতেই সম্বিত ফিরল। মানুষ হাত ধুয়ে ফেলতে পারে। চিরদিনের স্বভাব। কিন্তু ভূত নিশ্চয়ই হাত ধুয়ে ফেলবে না। এ ডাক্তারবাবু না হয়ে যায় না। ভোলা খুচরো ফেরত দিতে গিয়ে ছায়ামূর্তিকে জড়িয়ে ধরল।
ডাক্তারবাবু আপনি আমার টিবি অসুখটা যেভাবে সারিয়েছিলেন! নয়তো মরেই যেতাম।
ঠিক ধরেছ, ভোলা। আমি এখন ডাক্তার আত্মা প্রসাদ। তোমাদের জন্য সার্ভিস দিয়ে আজ নিজেই আত্মা হয়ে গেলাম। জানো কেন এমন হল?
ভোলার চোখ ছলছলে।
মাসখানেক আগের কথা। চেম্বারে এক রোগী এল। মোটাসোটা, ডায়াবেটিস। জ্বর। আমি দেখতে চাইছিলাম না। কিন্তু ঐ যে একটা শপথ নিতে হয়েছিল পাশ করার সময়। হিপোক্রেটিসের শপথ। অসহায় রুগী ফেরানো যাবে না। দেখলাম। ওষুধ পত্তর দিলাম।"
তারপর?
পরদিন খবর পেলাম রোগী মারা গেছেন। ভয়ে বুক কেঁপে উঠল। তবে কি রোগীর করোনা হয়েছিল? তবে কি আমারও?
জানি স্যার, উনি কৃষ্ণনগরের বিরাট বড় বিজনেসম্যান ছিলেন। শেষটা খুব খারাপ। মারা যাওয়ার পর ফ্যামিলির কাছে বডি যায়নি। এমনকী যেভাবে লুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে যেন ক্রিমিনাল।
ঠিক। বাস্তবটা এতটাই নিষ্ঠুর যে আমাকেও সেই ভয় তাড়া করল। আমার যদি রোগীর থেকে করোনা হয়, তাহলে আমারও কি একই পরিণতি? পাড়ায় লোকে আড়চোখে দেখবে, ফিসফাস করবে। মরে গেলে বউ, ছেলে, মেয়ে দেখতে পর্যন্ত পাবে না। এত বছর ধরে মানুষকে সেবা করার এই পুরস্কার?

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত দোলনচাঁপা দাসগুপ্ত রচিত 'সুন্দরী' গল্পসংকলনের 'আত্মপ্রসাদ' গল্প থেকে গৃহীত ।
বইটিতে লেখিকা যা বলতে চেয়েছেন তা হলো প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক--- যে কোনও দুর্যোগে দুঃসময়ে মেয়েরাই ভোগে বেশি। করোনাকালেও ভুগেছে। এমনিতে মেয়েরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নিরন্তর নির্যাতনের শিকার। বঞ্চনা, লাঞ্ছনা তাদের নিত্যসঙ্গী। করোনার লকডাউনে মেয়েরা শুধু হতাশা আর দুশ্চিন্তায় নিমজ্জিত থাকেনি, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনেও ভুগেছে কম নয়।
করোনাসময়ের নানা শ্রেণীর নানা নারীর জীবন লেখিকা তুলে ধরেছেন ছোট ছোট গল্পের মধ্যে। নারীর জীবনকে নারী যতটা দেখতে পায়, তত আর কেউ পায় না। নারীর সংগ্রামকে, নারীর বেদনাকে নারীই বুঝতে পারে বেশি।

বইটির মূল্য : ২৭৫/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  'ফিরে এসো তুমি! তুমি যদি আমার হাতের তলায় মারা যাও, আমি সাঁতার শেখানো ছেড়ে দেবো। ফিরে এসো এবার!' খুব আস্তে আস্তে ছেলেটি...
23/06/2025


'ফিরে এসো তুমি! তুমি যদি আমার হাতের তলায় মারা যাও, আমি সাঁতার শেখানো ছেড়ে দেবো। ফিরে এসো এবার!' খুব আস্তে আস্তে ছেলেটির জ্ঞান ফিরল। যখন অ্যাম্বুলেন্স এসে দাঁড়াল, তখন ও নিশ্বাস নিচ্ছে। 'ফিরে এসো তুমি!' নাকের ক্ষত পরীক্ষা করার যন্ত্র আর মুখে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে ছেলেটিকে পুল থেকে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেওয়া হল। আমি ছেলেটির বাবাকে ফোন করলাম। প্রত্যুত্তরে আমার স্ত্রী আর আমাকে তিনি ওঁদের বাড়িতে যেতে বললেন। ছেলেটি তখন হাসপাতালে শুয়ে, নাকে অক্সিজেনের নল আর আমরা ওদের বাগানে কাচের ঘরে বসে। আমরা একটা ভালো খবরের আশা করছিলাম। আমি বুড়ো আঙুলের নখগুলো চিবোচ্ছিলাম। বুঝতে পারিনি কখন ছাল উঠে রক্ত বেরিয়ে গেছে। প্রায় মধ্যরাতে আমার মোবাইলটা বেজে উঠল। আমার সারা শরীর কাঁপতে শুরু করল। খবরটা অস্পষ্টভাবে আমার কানে ভেসে এল। ছেলেটির বাবার হাতে তখন 'রেমি-মার্টিন' আর শৌখিন সিগারের বাক্সটা। সারা ঘরটায় তখন উৎসবের আবহাওয়া।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত, মার্কুস কির্শহফার রচিত 'কাঁটা' গল্প সংকলনের ঘড়িয়াল গল্পটি থেকে নেওয়া। বাংলায় বইটির ভাষান্তর করেছেন সুলগ্না মুখোপাধ্যায়।
দশটি ছবি নিয়ে গল্প, এছাড়া দুটি খণ্ডে প্রকাশিত কবিতার পর DER STACHEL মার্কস কির্শহফারের প্রথম ছোটো গল্পের সংকলন। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর সতেরোটি গল্পের প্রত্যেকটিতেই প্রধান উপাদান নিয়তিময়তা। কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটছে সব কাহিনীতেই- কোথাও হিমবাহের ধ্বস নামছে, কোথাও বা সাঁতারের সময় শিশুর দুর্ঘটনা ঘটছে। এক অদ্ভুত, তরতরে গদ্যে লেখা গল্পগুলিতে সুইস সংস্কৃতি, মনস্তত্ব, অর্থনীতি, এমনকি আল্পস পর্বতমালাকে ঘিরে সুইস প্রকৃতির যে অপরূপ সৌন্দর্য, সবই ঘুরে ফিরে এসেছে বিচিত্র এই সম্ভারে। লেখক যেখানে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। অকুস্থল থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ঘটনাক্রম লক্ষ করছেন।

বইটির মূল্য : ৩৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  লেয়ার বাড়িতে গড়ে উঠেছিল শিল্পের এক পরিবেশ। অভিনেতাদের সঙ্গে গড়ে ওঠা তার মা-বাবার বন্ধুত্ব ক্রোয়েশিয়ার থিয়েটার মহলে এক ...
23/06/2025


লেয়ার বাড়িতে গড়ে উঠেছিল শিল্পের এক পরিবেশ। অভিনেতাদের সঙ্গে গড়ে ওঠা তার মা-বাবার বন্ধুত্ব ক্রোয়েশিয়ার থিয়েটার মহলে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিল। সেইখান থেকেই তৈরি হয় লেয়ার শৈল্পিক চেতনা। ইতালীয় বংশোদ্ভূত অভিনেতা এবং পরিচালক টিটো স্ট্রৎসি প্রায়ই লেয়াদের বাড়িতে যেতেন। পাঁচ বছরের শিশু লেয়া ডয়েচকে তিনি শিশুদের দল 'দ্য চিলড্রেনস এম্পায়ার'-এ যোগদানের প্রস্তাব দেন। দলটি ছিল তরুণ অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী এবং সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে একটি বিচিত্র দল। পাঁচ বছরের লেয়া ইতিমধ্যেই লিখতে ও পড়তে শিখে গিয়েছিল। অসামান্য স্মৃতিশক্তি ছিল মেয়েটির। খুব তাড়াতাড়ি একজন বহু-প্রতিভাবান শিল্পী হিসেবে সে নিজেকে প্রমাণিত করেছিল। দ্রুত দর্শকের প্রশংসা পেতে থাকে লেয়া। 'দ্য চিলড্রেনস এম্পায়ার'-এর বৃত্তের বাইরে আরও বিস্তৃত মঞ্চে তার সুযোগ আসতে শুরু করে। থিয়েটার, নাচ এবং সঙ্গীতের জগতে তার পরিচিতির জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অবদান ছিল। যেমন, টিটো স্ট্রৎসি, যিনি ডি টিস নামেও পরিচিত ছিলেন, ইয়াজ়িপ বাখ এবং আলফন্স ভার্লি।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত, মার্টিনা বিতুনাচ রচিত ‘লেয়া ডয়েচ’ বইটির অন্তর্গত। বাংলায় বইটির ভাষান্তর করেছেন সুলগ্না মুখোপাধ্যায় ।
লেয়া ডয়েচ (১৯২৭-১৯৪৩) গত শতাব্দীর তিরিশের দশকের ক্রোয়েশিয়ার জাগ্রেবের এক বিস্ময়কর 'শিশুপ্রতিভা'। একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান ইহুদি-ক্রোয়েশিয়ান অভিনেত্রী, গায়ক এবং নৃত্যশিল্পী হিসেবে লেয়া সমগ্র সাংস্কৃতিক জগৎকে মুগ্ধ করে রেখেছিল। সংবাদমাধ্যম তাকে 'বিরল প্রতিভা' এবং এক 'অতুলনীয় শিল্পী' বলে মান্যতা দেয়। লেয়া যত ভূমিকায় অভিনয় করেছে, এই বিশেষ গুণাবলীগুলো সেই চরিত্রগুলির মধ্যে ফুটে উঠেছিল। যেমন, 'লুইসিয়ানা', 'প্যুঙ্কটশ্যেন' কিংবা 'গীতা'। তার ন'বছরের শিল্পীজীবনে সে একাধিক পুরুষ চরিত্রও সমান দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছিল। ক্রোয়েশিয়ায় ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় এলে লেয়ার শিল্পীজীবনের অবসান ঘটে। ১৯৪৩ সালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কুখ্যাত আউশত্ত্বিটৎস্ মারণালয়ে। সেখান থেকে সে আর ফিরে আসেনি।

বইটির মূল্য : ১৭৫/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  তন্ডু সংরক্ষিত বনে ৭ এপ্রিল শিকারে বেরোলেন মহারাজা, লর্ড কার্জন এবং তার দলবল নিয়ে হাতির পিঠে চেপে। বিশাল একদল বিটার বা...
23/06/2025


তন্ডু সংরক্ষিত বনে ৭ এপ্রিল শিকারে বেরোলেন মহারাজা, লর্ড কার্জন এবং তার দলবল নিয়ে হাতির পিঠে চেপে। বিশাল একদল বিটার বা হল্লাপার্টির চেঁচামেচিতে বিরক্ত হয়ে বড়লাটের সামনে সেদিন দেখা দিল দুটো বাঘ আর একটি কালো চিতা বাঘ। ইংরেজি শিকারি দলের শিকার পটুত্বের জন্য একটা বাঘ পালাল, আর একটিকে অবশ্য মরতেই হল লর্ড কার্জনের বন্দুকের গুলিতে। তবে তাতে তার কতটা কৃতিত্ব আর কতটা মহারাজার কৃতিত্ব তা বলা মুশকিল। কালো চিতাবাঘটা মহারাজার দেখা দ্বিতীয় কালো চিতাবাঘ। সেটাও মারা পড়েছিল সম্ভবত মহারাজার হাতেই। লর্ড কার্জনের মারা বাঘটি ছিল তার ডুয়ার্সের জঙ্গলে মারা প্রথম বাঘ। বেশ বড় বাঘই ছিল সেটি। লম্বায় লেজসমেত ছিল ১০ ফুট ২ ইঞ্চি। শুধু শরীরের দৈর্ঘ্য ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি। ওজন মাপা না গেলেও শরীরের গোলাই মাপা হয়েছিল ৪৮ ইঞ্চি। যথারীতি সেই বাঘের পাশে শিকারির পোশাকে বন্দুক হাতে দাঁড়ানো লর্ড কার্জনের ছবিও তোলা হয়েছিল। পেছনে দাঁড়ানো রাজকীয় শিকারি হাতিদের কয়েকটি ছবিও ধরা পড়েছিল।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত শোভেন সান্যাল রচিত 'কোচবিহার আলিপুরদুয়ার রাজকাহিনী' বইটি থেকে নেওয়া।
লেখকের প্রায় তিন দশকের উপর উত্তরবঙ্গের কোচরাজত্বের ইতিহাস নিয়ে চর্চা এবং ক্ষেত্র সমীক্ষার ফসল এই “কোচবিহার আলিপুরদুয়ার রাজকাহিনি” বই। বইটি কোচ রাজবংশের কোনও ধারাবাহিক ইতিহাস বই নয়। বরং ইতিহাস নির্ভর এই রাজবংশের কিছু কাহিনি। বেশিরভাগ কাহিনিই গল্পের মত সহজ করে বলা, যাতে পাঠক নীরস ইতিহাস পাঠের একঘেয়েমিতে বিরক্ত না হয়ে বইটির পাঠ শেষ করতে পারেন এবং কোচ রাজবংশের এবং কোচ রাজত্বের ধারাবাহিক ইতিহাস সম্বন্ধে কিছুটা হলেও আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

বইটির মূল্য : ৬০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  দময়ন্তী সব কথা শুনল। বেড়াল-পায়ে চুপিচুপি ঘর থেকে বেরিয়ে বাইরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে "আন্টি আসছি” বলে বেরিয়ে গেল। সুজয় শ...
20/06/2025


দময়ন্তী সব কথা শুনল। বেড়াল-পায়ে চুপিচুপি ঘর থেকে বেরিয়ে বাইরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে "আন্টি আসছি” বলে বেরিয়ে গেল। সুজয় শুনতে পেল কিন্তু ঘুরে তাকাল না। দময়ন্তী যে ঘরে ছিল বুঝতেই পারেনি।

দময়ন্তী জোর পায়ে হেঁটে প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াল। ঘেমে গেছিল। লেডিস কম্পার্টমেন্টটা যেখানে এসে দাঁড়ায়, তার সামনে একটা বড় গাছ। ওই গাছের ছায়ায়, গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে দময়ন্তী প্ল্যাটফর্মে ওঠার সিড়ির দিকে নজর রাখল। একটা ট্রেন এসে চলে গেল। প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা। দময়ন্তীর একা একা দাঁড়িয়ে থাকতে অস্বস্তি হচ্ছিল। কিছু সময়ের মধ্যেই একজন একজন করে প্ল্যাটফর্ম আবার ভরতে শুরু করল। পরের ট্রেন আসার সময় হয়ে গেছে। সিগনাল সবুজ হলো। দময়ন্তী অধীর হয়ে পড়ল। ঠিক করতে পারছিল না, এই ট্রেনটাও ছেড়ে দেবে কিনা। দূরে ট্রেনটা দেখা যাচ্ছে। ঠিক তখনই ঘাড় ঘুরিয়ে সুজয়কে দেখতে পেল। দৌড়ে প্ল্যাটফর্মে উঠছে। দময়ন্তী ভিড়ের আড়ালে থেকে ওর কাছাকাছি পৌঁছে গেল। সাধারণত ও লেডিস কম্পার্টমেন্টে ওঠে। আজ এগিয়ে গেল সুজয়ের কম্পার্টমেন্টের পাশেরটায় ওঠার জন্য।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত বিজয় শঙ্কর মুখোপাধ্যায় রচিত 'দময়ন্তী' উপন্যাসের অন্তর্গত।
প্রেমের উপন্যাসের জাদু যে-কোনও রোমান্সপ্রিয় পাঠককে সম্মোহিত করার পক্ষে যথেষ্ট। দময়ন্তীর মতো এক আশ্চর্য প্রেমিকা শুধু সুজয়কেই নয়, পাঠককেও ব্যস্ত করে তোলে। উপন্যাসের শুরু অবশ্য দীর্ঘ দশ বছর আত্মগোপন করে বাস করার পর সুজয়ের ঘরে ফেরার মুহূর্ত থেকে। কেন তার এই নির্বাসন, কী কারণে অভিমান, কার উপর অভিমান তা ক্রমশ কৌতূহলী করে তুলবে পাঠককে।

বইটির মূল্য : ৪০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  বাংলার বৈষ্ণবসমাজ বিভক্ত হয় চৈতন্য-তিরোভাবের পরেই। স্পষ্টত তখন প্রধান দুটো দল। একদল বৃন্দাবন নিয়ন্ত্রণের ষড় গোস্বামীদে...
17/06/2025


বাংলার বৈষ্ণবসমাজ বিভক্ত হয় চৈতন্য-তিরোভাবের পরেই। স্পষ্টত তখন প্রধান দুটো দল। একদল বৃন্দাবন নিয়ন্ত্রণের ষড় গোস্বামীদের শাস্ত্রীয় ধারা নির্ভর।
বাংলায় থেকে বৈষ্ণব গোস্বামীরা এঁদের অনুশাসনের সঙ্গে রীতিমতো সমঝোতা করছেন। বৃন্দাবনের শাস্ত্রমান্যতার কৃষ্ণতত্ত্বকে এঁরা তখন বাংলার অল্প শিক্ষিত, অশিক্ষিত সাধারণজনে প্রচার করতে ব্যস্ত। এঁরা ভুলেই গেলেন চৈতন্য-আধারিত বাংলার বৈষ্ণবীয় পন্থাটি ছিলো একসময় উচ্চকোটির ধর্ম ও অর্থনীতির শোষণ-শাসন থেকে বের হওয়ার একটা পথ। চৈতন্যদেব সেখানে পরিত্রাতার ভূমিকায় দাঁড়িয়ে। সম্প্রদায়ী গরীব মানুষ সব। সংখ্যাগরিষ্ঠ অস্পৃশ্য ও নিম্নবর্গরা বৃত্তিজীবী গরীবলোক। দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতেই নাজেহাল। ব্রাহ্মণ্য শাসন, ব্রাহ্মণ সমাজপতিদের একচেটিয়া অধিকার থেকে খালি বেরোতে চায় বৃহত্তর বাংলার শূদ্র জনতা। নিত্যানন্দ প্রভুই তাই ভরসা। শাস্ত্রপ্রধানের বৈষ্ণবমার্গ নিয়ে তাদের তো মাথাব্যথা নেই। তাঁরা বোঝেই না, যে তত্ত্বের কচকচি। বোঝে গোঁসাই-গুরুর উদার স্নেহ, ধর্মের সাধারণ ব্যাখ্যা- হরিনামে আত্মসমর্পণ, জীবনাচরণের শোক, সান্ত্বনা, বিপর্যয়ে ভক্ত দরিদ্র মানুষটি ত্রাণ পেতে চায় গোঁসাই ঠাকুরের সরল কথাবার্তায়। কৃষ্ণ সেখানে শাস্ত্রীয় বিধিবদ্ধতার বাইরে দাঁড়ানো। বৈষ্ণব-সন্দর্ভ নিয়ে তাদের আগ্রহ নেই। গুরুর শেখানো আচরণবাদই তাদের ভরসা। গুরু তাদের বলেছেন কৃষ্ণের অবতার চৈতন্য। চৈতন্যের অবতার বীরভদ্র-বীরচন্দ্ররূপে পুনঃ গৌর অবতার। যে না দেখেছে গৌর সে দেখুক এবার।।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত সোমব্রত সরকার রচিত 'বিষ্ণুপ্রিয়া নেড়ানেড়ি বৈষ্ণবতন্ত্র' বইটি থেকে নেওয়া।
চৈতন্যদেবের তিরোভাবের সময় হতে ফকির লালন সাঁইয়ের চলে যাওয়া। সাড়ে তিনশো বছরেরও অধিক সময়ে বৃন্দাবন ও গৌড়মণ্ডলে তাবড় তাবড় মহান্তদের গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার ও প্রসারের ভেতরও বাংলাজোড়া সহজিয়া স্রোত, বৌদ্ধ নেড়ানেড়ি, তন্ত্রাচার, সুফিদের আনাগোনা।
দীর্ঘ আঠারো বছর ধরে গ্রামবাংলার বাউল, ফকির, ভৈরবী, সাধু, অঘোরী, সহজিয়াদের শ্মশানে-আখড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন লেখক। আখড়াবাড়ির দেহসাধনা, কলমি পুথি নেড়েঘেটে তিনি লিখেছেন গৌণ ও মুখ্য ধর্মের টানাপোড়েনের বিচিত্র এই আখ্যান। নারী যার প্রধান কাণ্ডারী আবার নারীই পুরুষতন্ত্রের জাঁতাকলে পিষ্টা। দোর-দেওয়া বিষ্ণুপ্রিয়ার সেই কপাট ভাঙতে গিয়ে আদতে এ এক বেরিয়ে পড়া বাংলার ইতিহাস।
বইটির মূল্য : ৪৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  সামনে নভেম্বর শুরুর অজয়। অস্তসূর্যের আলো পড়ছে জলে। হাওয়া দিচ্ছে বিকেল ফুরোনোর কিছু পরেই সন্ধ্যা নামবে অজয়ের বুকে। কেঁদ...
17/06/2025


সামনে নভেম্বর শুরুর অজয়। অস্তসূর্যের আলো পড়ছে জলে। হাওয়া দিচ্ছে বিকেল ফুরোনোর কিছু পরেই সন্ধ্যা নামবে অজয়ের বুকে। কেঁদুলির রাধাবিনোদ মন্দিরে শুরু হবে সন্ধারতি। বাউলদের আখড়াবাড়ি ও পার্শ্বস্থ নানা মন্দির আর বৈষ্ণবদের ভজন কুটির থেকে ভেসে আসবে খোল, করতাল, একতারার আওয়াজ। শুরু হবে গুরু বন্দনা। সাধন গান। দেহতত্ত্ব।
বাঁকাশ্যামের মুখে তেমনই আসরে তো শুরু বন্দনায় আমি প্রথম শুনেছিলাম রাধাশ্যাম বাউলের গানখানা। সুধীর বাবা বসে। পাশে ওঁর সাধনসঙ্গিনী তিলকা দাসী, বাঁকাশ্যাম দাসদের মা গুরু তিনি। গুরুভাই লক্ষ্মণ দাস বাউলের হাতে ডুগি বাজছে। সুধীর বাবার আরেক শিষ্য তারক দাস বাউল তখন কলকাতা শহরে দোতারার মাস্টার হিসেবে একটুও নাম করেননি; শহরে কেউই তাঁকে চেনেন না। সেই তারক দাস বাউল গুরুবাড়িতে বাজাচ্ছিলেন দোতারা। বাঁকাশ্যাম গাইছিলেন গেরুয়া কাপড়, গুদুরি পাঞ্জাবি পরে রাঢ় বাংলায় রাধাশ্যাম বাউলের লেখা আসর বন্দনার প্রসিদ্ধ সেই গান:
অজ্ঞান তিমির হে গুরু নাশ করো
জ্ঞান অজ্ঞান নয়নে দাও, প্রভু
জ্ঞান অজ্ঞান নয়নে দাও।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত সোমব্রত সরকার রচিত সিদ্ধপাদ, গুপ্তবিদ্যা, দেহবাংলা মোকাম বইটি থেকে গৃহীত।
বৃত্তিজীবী এক সমাজ, জীবনাচরণ মানে নুন আনতে পান্তা ফুরোনো। অভাব ও দারিদ্র্য, এর ভেতর তাঁতি, ধোপা, জেলেরা সাধনায় বসছেন। শ্মশানে রয়েছেন নারী -তান্ত্রিক, কাপালিকেরা। তান্ত্রিকদের কেউ কেউ যক্ষিণী, আকাশে উড়তে পারেন। সূক্ষ্ম আত্মা হয়ে অন্য শরীরে ঢুকে মনের কথাবার্তা টেনে বার করতে পারেন। নানান সব তান্ত্রিকী গুপ্তবিদ্যা জানেন। সকলেই কলাপ্রেমী। গান - বাজনা করেন। অক্ষরজ্ঞান অনেকের নেই। অতীন্দ্রিয় চেতনার অধিকারী। দেহসাধনার এ এক চিরাচরিত আবহমান সংস্কৃতি। ইতিহাস ও সরেজমিনে ঘোরাঘুরির অভূতপূর্ব বৃত্তান্ত এই বই।

বইটির মূল্য :৪৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  বন্ধুকে ফোন করলাম সে যাবে নাকি সুপারমার্কেটে জানতে চেয়ে- বলল, 'তুই আমার বাড়ি হয়ে আয়, এখানে আরেক কাপ কফি খেয়ে বেরুনো যা...
17/06/2025


বন্ধুকে ফোন করলাম সে যাবে নাকি সুপারমার্কেটে জানতে চেয়ে- বলল, 'তুই আমার বাড়ি হয়ে আয়, এখানে আরেক কাপ কফি খেয়ে বেরুনো যাবে একসঙ্গে, যা ওয়েদার!' বাজার করতে বেরিয়েছি- ছাতা নিয়ে খুব একটা বেশি বৃষ্টি না হলে বেরুতে ভালো লাগত না। তাই মাথার হুডটা টেনে চলেছি বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টের উদ্দেশ্যে রাস্তা প্রায় খালি। ওর বাড়ির কাছাকাছি এসে সেই লাল জানালার গলির ভিতর দিয়ে চলেছি। অবাক হয়ে দেখলাম এত সকালেও একটা জানালায় লাল-আলো জ্বলছে এবং তার থেকেও বড়ো কথা এক বেশ বয়স্ক লোক ছাতা ভাঁজ করতে করতে দরজা খুলে বেরিয়ে আসা মেয়েটির সঙ্গে কথা বলছে। দরদাম করছে মনে হচ্ছে- এ পাবলিকও মনে হচ্ছে বাড়িতে বলে বাজার করতে বেরিয়েছেন! তবে বাজার করতে যাবার আগে এখানে একটা মিনিট তিরিশের ব্রেক নিচ্ছেন! লাল জানালার দরজায় দাঁড়িয়ে এমন কথা বলা বা দরাদরি বিশাল কিছু দুর্লভ দৃশ্য নয় আমস্টারডামে - কেউ হাঁ করে তাকিয়েও দেখে না! কিন্তু আমি সেদিন এত সকালে কাস্টমার দেখে এত বেশি অবাক হয়েছি যে কি বলব- এ লোক কি রাতে ঘুমায় নি নাকি! কতখানি কাম মাথাচাড়া দিলে তবেই এত ড্যাম্প ওয়েদারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে লাল-জানালার দারস্থ হওয়া যায়, তাই মনে মনে ভাবছিলাম। নিজের অজান্তেই লোকটিকে মেপে নিচ্ছিলাম মনে হয়- এদিকে টুরিস্টের আগমন একটু কম। ফলে এই লোক মনে হচ্ছে স্থানীয় কাস্টমার। বুঝতে পারিনি আমার হাঁটার গতিবেগ কমে গিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছি! মেয়েটির চোখাচোখি হয়ে গেল – একটু মৃদু হাসল মনে হচ্ছে। লজ্জায় মাথা নামিয়ে নিলাম আমি।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত,সুকান্ত ঘোষ রচিত 'আমি কেন আইফোন কিনলাম' বইটি থেকে নেওয়া।
'আমি কেন আইফোন কিনলাম' গদ্য সংকলনটিতে লেখকের মোট ছাব্বিশটি রচনা গ্রন্থিত হয়েছে। এই লেখাগুলিকে বৃহত্তর অর্থে 'নিবন্ধ' বলা যেতেই পারে। কিন্তু নিছক অ্যাকাডেমিক অর্থে লেখাগুলি নীরস 'নিবন্ধ' নয়। তাঁর লেখার সিদ্ধি রয়েছে তাদের সহজিয়া ভাব ও সুললিত ভাষার সৌরভে। মোট তিনটি ভিন্ন পরিচ্ছেদে লেখাগুলি বিন্যস্ত হয়েছে।

বইটির মূল্য : ৬০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  অরুণ সারারাত মনোরমা আর ঠাকুরের কথা ভাবতে ভাবতে, ছটফট করতে করতে ভোররাতে ঘুমিয়ে পড়ল। অর্পিতাদেবীও পাশের ঘরে ছেলের জেগে থ...
12/06/2025



অরুণ সারারাত মনোরমা আর ঠাকুরের কথা ভাবতে ভাবতে, ছটফট করতে করতে ভোররাতে ঘুমিয়ে পড়ল। অর্পিতাদেবীও পাশের ঘরে ছেলের জেগে থাকা টের পাচ্ছিলেন। ভাবলেন, ভাইয়ের অভাবটাই হয়তো অরুণকে কষ্ট দিচ্ছে। নিজেও ঠাকুরের কথাই ভাবছিলেন। মনে হচ্ছিল ব্রহ্মচারী ঠাকুরের দেখা পেয়ে জীবনের গতিপথ অনেকটাই পাল্টে গেল। নিজেকে অনেক সহজ, সচ্ছন্দ মনে হচ্ছিল। সকাল হতে তাড়াতাড়ি চা নিয়ে ছেলের ঘরে এলেন। অরুণ ঘুম ভেঙে মায়ের মুখটা চোখের সামনে দেখে উঠে বসে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। অর্পিতাদেবী বললেন,
বুঝতে পেরেছি সারারাত ছটফট করেছিস। অরুণের চোখের সামনে মনোরমার মুখটাও ভেসে উঠল। বলল,
আমি এখন কি করব মা। আমি তো কিছুই ঠিক করতে পারছি না। কিরকম মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
অর্পিতাদেবী কিছু বুঝতে না পেরে ছেলের মুখ দেখে ভয় পেলেন,
কেন, কি হয়েছে?
ঠাকুর যে বললেন সামাজিক অনুশাসন না মানাটা যুবসমাজের স্বার্থপরতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। তাহলে আমার কি করা উচিৎ মা?
– তুই কোন ব্যাপারে এসব কথাগুলো বলছিস? কোন অনুশাসনের কথা?
অরুণের গলা ধরে এল,
জানো মা, মনোরমার আর আমাদের একই গোত্র। ওরাও কাশ্যপ গোত্র। তাই বলছিলাম আমার এখন কি করা উচিৎ মা? আমি না'হয় ওকে ছাড়ার কষ্টটা মেনে নিতে পারব, কিন্তু মনোরমা? ও তো কিছুতেই মানতে পারবে না। আমাকে ছাড়তেই চাইবে না।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত, বিজয় শঙ্কর মুখোপাধ্যায় রচিত 'এসেছিলে তবু আস নাই' উপন্যাস থেকে নেওয়া।
যে ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না সেই ভালোবাসা ঘাতে প্রতিঘাতে কীভাবে বেঁচে থাকে, অমলিন থাকে, লেখকের কলমে তার সার্থক রূপায়ণ। পারিবারিক শিক্ষা ও আদর্শকে কীভাবে পরের প্রজন্ম মেনে নিল সততায়, বিশ্বাসে, প্রতীতিতে, উপন্যাসের বছর চব্বিশের উচ্চশিক্ষিত সেই যুবতী একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে এই প্রজন্মের কাছে।
এরকম একটি অভিনব, সামাজিক পারিবারিক প্রেক্ষাপটে লেখক বিজয়শঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস 'এসেছিলে তবু আস নাই'।

বইটির মূল্য : ৪০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  বউবাজারে ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির সামনে বেশ কয়েকজন উত্তপ্রদেশের লোক আছেন। ফুটপাথে থাকেন রিকশা চালান। চালান মানে টানেন আর কি।...
12/06/2025



বউবাজারে ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির সামনে বেশ কয়েকজন উত্তপ্রদেশের লোক আছেন। ফুটপাথে থাকেন রিকশা চালান। চালান মানে টানেন আর কি। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। ৯২-এর ৭ ডিসেম্বর কলকাতায় যখন দাঙ্গা লাগল তখন, তারা কেমন আছে, তা দেখতে গিয়েছিলাম। কর্মসূত্রে আমি একজন সাংবাদিক। দাঙ্গার দিনগুলোয় কলকাতা ঘুরে ঘুরে খবর সংগ্রহ করছিলাম।

সেখানে কথা হয়েছিল রাজুর সঙ্গে। উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় তার বাড়ি। ওঁর বাবা ১৯৬৬-তে কলকাতায় চলে আসেন। সেবার ওঁদের বালিয়াতেও খরা হয়েছিল। তখন রাজু খুব ছোট। কলকাতায়, যখন তাঁর বয়স হল ১৭ বছর, বাবা আবার দেশে চলে গেলেন। বাবাও রিকশা টানতেন। রাজুও চলে গেলেন। কিন্তু মন বসল না। চলে এলেন আবার। তখন উনি একদম পাক্কা কলকাতার লোক। কলকাতার জল-হাওয়া গায়ে লেগেছে। বালিয়ায় মন টেকে না। প্রথম প্রথম চুনাগলিতে যেতেন। ওখানে ওদের ফুটের একজন, গাঁজার কারবার করত। তার সঙ্গে যেতেন। দিনকয়েক রাজুও করার চেষ্টা করেছেন এই কারবার। কিন্তু বুঝেছেন, এটা ওঁর দ্বারা হবে না। এখন মালিকের রিকশা টানেন। পাঠক, এই চুনাগলির কথা যখন উঠলই, তখন এর একটু পরিচয় দেওয়া দরকার। কলকাতা শরের যতগুলো বদখদ গলি আছে, চুনাগলি তার মধ্যে এক নম্বর। আজ থেকে নয়, বহু দিন থেকেই।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্ত রচিত "চেনা কলকাতার অচেনা ফুটপাত" বইটি থেকে নেওয়া।
১৮৫৮ সালে কলকাতায় প্রথম ফুটপাথ তৈরি হল। ফুটপাথের সেই সূচনা থেকে আজ ২০২০ পর্যন্ত ফুটপাথ সাক্ষী থেকেছে বহু ইতিহাসের- মন্বন্তর, দাঙ্গা, স্বাধীনতা, দেশভাগ, জয় বাংলা, 'অপারেশন সানশাইন' বা হকার উচ্ছেদের। ফুটপাথই নিঃস্বের আশ্রয়, ফুটপাথেই জীবিকার শোভাযাত্রা আবার ফুটপাথেই নাগরিকের রাগ, ক্ষোভ, ঘেন্না আর বিরক্তি কিংবা বুদ্ধিজীবির 'বোধোদয়'। এই বইয়ে হাজির হয়েছে প্রকৃত অর্থেই চেনা কলকাতার অচেনা ফুটপাথের ইতিবৃত্ত। ফুটপাথবাসীর জীবন আর হকারদের জীবিকার কী পরিণতি ঘটে সৌন্দর্যায়নের খাতিরে! রাজপথে চলে সভ্যতা আর তার ক্লেদ মাখে ফুটপাথ। এই সবকিছুরই তথ্যপূর্ণ বিস্তৃত ইতিহাস ধরা হয়েছে এখানে।

বইটির মূল্য : ৯০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

   কিছু খবর তো উড়ে শুধু আসে না, সংসারকেও উড়িয়ে নিয়ে যায়, আর এক্ষেত্রে সেটাই হল। জয়ের অফিস কলিগই এখন তার লিভ ইন পার্টনার।...
12/06/2025



কিছু খবর তো উড়ে শুধু আসে না, সংসারকেও উড়িয়ে নিয়ে যায়, আর এক্ষেত্রে সেটাই হল। জয়ের অফিস কলিগই এখন তার লিভ ইন পার্টনার।

বেশ তো! ভালো থাকো, জয়। যেমন ভাবে ভালো থাকতে চাও থাকো। তবে আমি আমার মতেই চলব। তুমি পাঠিয়েছ বলেই এখুনি এই কাগজে সই আমি করব না। একবার অন্তত তোমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেখব তুমি আমার চোখে চোখ রাখতে পারো কিনা! তারপর না হয় মুক্তি দেব তোমাকে! এত তাড়াহুড়ো কেন জয় সবকিছুতেই? সবকিছু ভাঙতে, নষ্ট করতেই তোমার তাড়া, তাই না? জুড়তে জানো কী? শিখেছ কখনও কীভাবে জুড়ে রাখা যায় মনকে, জীবনকে?

ভাবে তিতলি শুয়ে শুয়ে, আর সাজির দেওয়া ই-মেইলে সুসংবাদটাও মনকে নাড়িয়ে দেয় তার।

অফিসের ই-মেইল। তিতলি আরও একটা ধাপ উঁচুতে উঠল, এগিয়ে চলেছে আরও উপরের দিকে।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত, 'সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য সম্মাননা ২০২৩' প্রাপ্ত শ্রীময়ী গুহ রচিত উপন্যাস "তিতলি ডানা" থেকে নেওয়া।
তিতলির ডানা একপৃথিবী রূঢ় বাস্তব আর এক আকাশ স্বপ্নের মেলবন্ধনের ছবি। তিতলির মন প্রাণ জুড়ে যে আলো, ভালোবাসা, ভালো থাকা এবং অন্যদের ভালো রাখার চেষ্টা তাদেরই তুলে ধরতে চেয়েছে কলম।
অনেক বাধা বিঘ্ন ঝড় বাদল ও প্রতিকূলতাতেও তিতলিরা হার মানতে নারাজ। বারবার পড়ে গিয়েও উঠে পড়ে সেই মাটি ধরেই। তিতলিদের কাছে জিতে যাওয়ার অর্থ, প্রলয়ংকারী ধ্বংসস্তূপেও গড়তে চাওয়া আশা, যা আদি অনন্ত কাল ধরে আগামীর প্রজাপতিদের স্বপ্ন।

বইটির মূল্য : ২২৫/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  আমাদের দেশে 'পুনর্জন্ম' ধারণাটির বহুধরনের ব্যাখ্যা হয়। তার পরিভাষা বহুমুখী ও বহুভাবে স্ববিরোধীও। মহাযানী ব্যাখ্যায় বুদ...
02/06/2025



আমাদের দেশে 'পুনর্জন্ম' ধারণাটির বহুধরনের ব্যাখ্যা হয়। তার পরিভাষা বহুমুখী ও বহুভাবে স্ববিরোধীও। মহাযানী ব্যাখ্যায় বুদ্ধের উপদেশে 'পুনর্জন্ম' শব্দটির ব্যবহারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মহাযানী মতে বলা হয়েছে, কর্মের ফলেই মানুষের পুনর্জন্ম হয়। অথচ বুদ্ধ বলেছেন, পুনর্জন্মের কারণ 'তৃষ্ণা'। পরজন্মে ইন্দ্রিয়সুখের জন্য যে লোভ বা বাসনা থাকে, তার নামই তৃষ্ণা। এই লোভ বা বাসনা মানুষেরই থাকে। পশুর নয়। তাই যদি 'পুনর্জন্ম' বলে কিছু থাকে, তবে তার কারণ একান্তভাবেই মানবিক রিপুজাত তৃষ্ণা। জাতককথার গল্পে যে নানাপ্রকার পশুযোনিতে পুনর্জন্মের গল্প রয়েছে, তার সঙ্গে বুদ্ধের উপদেশের কোনও সম্বন্ধ নেই। সবচেয়ে বড়ো কথা, বুদ্ধের অনিত্যবাদী ধর্মে আত্মা বা ঈশ্বর জাতীয় অবিনাশী শাশ্বত কোনও কিছুর অস্তিত্ত্ব নেই। অতএব, নিকৃষ্ট বা 'অকুশল' কর্মফলের শাস্তি কে দেবে? মহাযানী মতে বুদ্ধকে 'লোক' বা মানবিক অস্তিত্ত্বের ঊর্ধ্বে গিয়ে 'লোকোত্তর' মহিমা প্রদান করা হয়েছিলো। সেখান থেকেই বুদ্ধকে ঈশ্বরীয় অর্থে 'ভগবান' মনে করার শুরু। পাপ-পুণ্য বা স্বর্গ-নরকের প্রচলিত সনাতনী ধারণাগুলিও লোকোত্তর বুদ্ধের সঙ্গে এসেছিলো।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত শিবাংশু দে রচিত "বুদ্ধ এক অনন্ত অডিসি" বইয়ের 'বুদ্ধ ও আধ্যাত্মিক অবস্থান' প্রবন্ধটি থেকে নেওয়া।

কবি তাঁকে বলেছিলেন 'শ্রেষ্ঠ মানব', যাঁর ভাবধারা অবলম্বনেই পরবর্তীকালে মূর্ত হয়ে উঠেছিল ভারত সভ্যতার মানবতাবোধের উৎসার ও বিকাশ।
এই মানবতাবোধের ব্যাপ্তি ও গভীরতা যদি একজন মাত্র ব্যক্তি-মানুষের মধ্যে অনুসন্ধান করতে হয়, তবে শাক্যমুনি গৌতম বুদ্ধের কোনও প্রতিদ্বন্ধী নেই।
এই প্লাবিত উক্তিটির পরিপ্রেক্ষিতে একুশ শতকের বাঙালী পাঠকের প্রশ্নশীল অন্তর্মুখী দৃষ্টিকোণ থেকে সুবিপুল বৌদ্ধ সাহিত্য ও ইতিহাসের জটিল তথ্য-মন্থিত অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বুদ্ধের সামগ্রিক বস্তুবাদী ধারণাটি পুনর্মূল্যায়ণের দাবি রাখে। বুদ্ধ-কেন্দ্রিক এই বহুস্তরীয় আলোচনার বিশদ পরিসরই এই গ্রন্থের মূল উপজীব্য বিষয়বস্তু।

বইটির মূল্য : ৯৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

Address

Kolkata
700025

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঋতবাক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ঋতবাক:

Share

Category