ঋতবাক

ঋতবাক Discover a curated collection of new & exciting books. Fast shipping & great deals.

বঙ্গসংস্কৃতির চর্চার ক্ষেত্রে সমাজ ও সাহিত্যের প্রেক্ষাপটে মননশীল নান্দনিক ও বৌদ্ধিক চেতনা বিকাশে এক বলিষ্ঠ প্রতিভাস রূপে আত্মপ্রকাশ ঋতবাক এর। রুচিশীল সকল বন্ধুদের স্বাগত ঋতবাকের সাথে সহযাত্রায়।

বাংলা ই-ম্যাগাজিন ঋতবাক –এর ফেসবুক মুখপাত্র এই পেজে সকলের সাদর আমন্ত্রণ।

  "একটা আস্ত দিন, আর তার পিছে গোটা রাত চলে যায় নিজের মতো রং রুটে এভাবেই কাটছে জীবন যাহোক তাহোক জমা ছিল যত মার্জিত লৌকিকত...
29/08/2025



"একটা আস্ত দিন, আর তার পিছে গোটা রাত
চলে যায় নিজের মতো রং রুটে
এভাবেই কাটছে জীবন যাহোক তাহোক
জমা ছিল যত মার্জিত লৌকিকতা
খোলস ছাড়ছে তারা আলত ঘাসে
বাজবারণের বারণ তবুও পিছনে ডাকে
আকাশও পরিত্যক্ত হয়, পাখিরা ঘর বেঁধে নিলে "

কালবেলার কবিতাগুলি লেখা হয়েছে ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে। এই সময় পোস্ট পেন্ডামিক। রাজনৈতিকভাবে অস্থির পৃথিবী আর কবির ব্যক্তিগত অনুভূতি একসাথে ধরা পড়েছে এই কবিতাগুলির মধ্যে। কবিতাগুলির মধ্যে কিছু আছে ছন্দোবদ্ধ অন্তমিল। কিছু অনুষ্টুপ। কবিতাগুলি পড়লে একটু ভালোলাগা, একটু নিজের সাথে মিল খুঁজে পাওয়ার অনুভূতি তৈরী হয়। বাঁধাধরা কোনও বিষয় নয়, দিনগুলি কবির মনে যেমন করে দোলা দিয়েছে কবি কলমে সেই ছবিই ধরা পড়েছে মালা গাঁথা শব্দের অবয়বে।

ঋতবাক সম্পাদিত,কুমকুম বৈদ্য রচিত ' কালবেলা ' বইটি প্রকাশ পাচ্ছে আগামীকাল ঋতবাকের ১১ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৩০ আগস্ট ২০২৫।

কালবেলাতে এই অস্থির সময়ের প্রেম, প্রকৃতি, পরিবর্তনশীল মন আর মানুষকে ধরে রাখার চেষ্টা। ব্যক্তিগত অনুভূতিকে সার্বজনীনতা দেবার প্রচেষ্টা। সময়ের দলিল। লেখিকা যত্ন সহযোগে কথার মালা দিয়ে এঁকেছেন কিছু ছবি। এর কিছু কবিতা গান হয়েছে। রূপঙ্কর বাগচী, অন্বেষা, জয়তী চক্রবর্তী, দ্বীপায়ন ব্যানার্জী, ইন্দ্রনীল মল্লিক গেয়েছেন।

বইটির মূল্য : ১৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  ভালোবাসা ফিরে আসে? মৃত সম্পর্ক ফেরে আবার? কে জানে?গাড়িতে ঋষভের সঙ্গে একটু ঘনিষ্ঠতায় এত বছরের জমাট মোম গলতে শুরু করেছিল...
29/08/2025


ভালোবাসা ফিরে আসে? মৃত সম্পর্ক ফেরে আবার? কে জানে?
গাড়িতে ঋষভের সঙ্গে একটু ঘনিষ্ঠতায় এত বছরের জমাট মোম গলতে শুরু করেছিল হয়তো, দুজনেই তাদের রাজকন্যার জন্য চিন্তিত ছিল... তাই হয়তো কাছাকাছি আসতে পারছিল, কিন্তু ফাটলটা বড় দৃষ্টিকটু...
উগ্র উদগ্র ব্যথার মতো সদাজাগ্রত। ওই ফাটলে কোনওভাবেই আর ওরা পারছে না সেলাই ফোঁড়াই করে সারিয়ে তুলতে, চেষ্টাও তো তেমন নেই ঋষভের নিজেকে একটুও নামিয়ে আনার স্ত্রীর কাছে...
শুধুই শরীর জেগে উঠেছিল হয়তো ওই আলিঙ্গনে হৃদয়ের কোনো স্থান ছিল না।
মৈত্রেয়ীর ঘরে, ড্রয়ারে চাবি বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওর শারিরীক সমন, পরীক্ষার ফলাফল। টেস্ট রিপোর্টগুলো। বাড়িতে জানানো যাবে না এসব, আর জানালেও কাকে জানাবে! সবথেকে যে কাছের মানুষ, যার কাঁধে মাথাটা রাখবে ভেবেছিল সারাটা জীবন, সেই তো ওর পাশে নেই... তাহলে আর কাকে ভরসা করবে প্রদীপ নিভে আসার এই সময়টায়?

মাকে বলবে? না না, তা হয় না, মায়ের বয়স হয়েছে। নিজের মা গত হওয়ার পর শাশুড়িমাটি যেন আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছেন মৈত্রেয়ীর কাছে। ওঁকে এই কষ্ট দেওয়া যায় না, কিছুতেই না। আর কে আছে যাকে... বেহুলা? উই! মেয়েটা নিজের জীবনের যুদ্ধেই ক্রমাগত লড়াই করে চলেছে। ঘরে বাইরে ওর কম তো সংগ্রাম নয়। সামনে ওর এখনও অনেক পথ বাকি। সবে তো শুরু ওর স্বপ্নদের সাকার করার পথে পায়ে পায়ে চলা... আর মায়ের পর ওর ভীষণ ভালোবাসার স্থান আর ভরসাস্থল এই বড় বৌদি।
ওকে এটা বললে তো ও নিজেই ভেঙে পড়বে। এমনিতেই ঋযভের আর মৈত্রেয়ীর সম্পর্ক নিয়ে বেহুলা যথেষ্ট চিন্তা করে। থাক, ওকে বলবে না মৈত্রেয়ী।

ঋতবাক সম্পাদিত,শ্রীময়ী গুহ রচিত 'হোমা পাখির আলো' বইটি প্রকাশ পাচ্ছে আগামীকাল ঋতবাকের ১১ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৩০ আগস্ট ২০২৫।

হোমা... বেদ পুরাণের পাখি। এদের সন্তান আকাশ পথেই উড়তে শেখে, মাটি ছোঁয় না। অগ্নিজাত সূর্যালোক প্রাপ্তা পক্ষীমাতা হোমা যেন বাস্তব নারী চরিত্র যা এই উপন্যাসের পরতে পরতে। কঠিন সাধনার এই শক্তির আধার, অথচ চারপাশে নানান স্তরে এই নারীরা হোমা ছড়িয়ে যাঁরা অনেকেই গর্ভে ধারণ না করেও সন্তানদের আগুনের তাপের মতো শিক্ষা দিতে দিতেই মোমের মতো প্রজ্বলিত হন।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের প্রবল অধিকারবোধ প্রতিহত করেই এগিয়ে চলেছে ডানা মেলার পথে।

বইটির মূল্য : ৫০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  বাড়িতে, সেই ১৯৩৪-৪১ সাল পর্বে, আমার জন্ম থেকে প্রথম সাত বছরে, বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না, রেডিও বা কালের গান তো দিবাস্বপ্ন। ...
26/08/2025



বাড়িতে, সেই ১৯৩৪-৪১ সাল পর্বে, আমার জন্ম থেকে প্রথম সাত বছরে, বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না, রেডিও বা কালের গান তো দিবাস্বপ্ন। একটা হারমোনিয়ামও ছিল না। কিন্তু বড়ো দাদারা গলা ছেড়ে গান গাইতেন। বাবা অফিস চলে গেলে বরদা আর মেজদার গলা শোনা যেত। হয়তো কোনো যাত্রা থেকে তোলা গান, যেমন হাওড়া সমাজের বিখ্যাত 'নদের নিমাই' পালা থেকে গলায় তুলে নেওয়া গান:

বলে দে রে নদেবাসী
কে দেখেছিস তারে। যমুনার ওই বিমল তটে বাজিয়ে বাঁশি মধুর হাসি
গো পাল লয়ে যেত গোঠে
পাগল করা সুরে।।

গানটা তো বেশ মনে আছে, গাইতেও পারি। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, সামান্য সুযোগেই যেটুকু গানের ভেলা ভেসে আসছে তা ধরে নিচ্ছে আমার বাল্য, শব্দ বা অর্থ না বুঝেও। শিবপুরের বাসার অভাব ছিল, সংকট ছিল, আমরা ন-ভাই, তাদের খাওয়া-পরা, ভদ্রভাবে বাঁচা-বাবা-মার লড়াইটা এখন বুঝতে পারি। কিন্তু আমি তো ছিলাম বাড়ির কনিষ্ঠতম, তাই আদরে প্রশ্রয়ে স্নেহে দিন কেটেছে-আঁচ লাগেনি কোনো কিছুর। বাড়িতে রঙ্গব্যঙ্গ রসিকতা গান আড্ডার কোনো অভাব ছিল না-বাবার পরিচালনায় হাতে লেখা পারিবারিক সচিত্র পত্রিকাও বেরোত মাসে মাসে, তাতে বাবা আর দাদার লিখতেন, ছোটোরা পড়ত। বাড়িতে গান শোনার যন্ত্র নেই, গানপাগলা মেজদা তাই আমাকে কোলে নিয়ে হাজির হত রাস্তার তেমাথায়-সেখানে এম. পি. গুপ্ত অ্যান্ড কোম্পানির দোকানে লাউড স্পিকার বক্সে বাজত গান। যে গানটা শুনে শুনে মেজদা রপ্ত করত সেটা হল:
প্রেমের সমাধিতীরে নেমে এল
শুভ্র মেঘের দল
তাজমহলের মর্মরে গাঁথা কবির অশ্রুজল।

গানটা শুনতে শুনতে আমারও কন্ঠস্থ হয়ে যায়। অনেকটা বড়ো বয়সে জানতে পারি গানটির কথা শৈলেন রায়ের, সুরকার হিমাংশু দত্ত আর গায়ক শচীন কর্তা। কীই বা বুঝি তখন সেই শিশু বয়সে! কে বা শাজাহান, কী বা তাজমহল, কোনটাই বা প্রেমের সমাধিতীর? কিন্ত গানের মেলোডি, শচীন দেবের মরমি গায়ন আর সুন্দর নির্মাণকলা-সম্পন্ন গানের মর্ম আমার শিশু মনকেও অধিকার করেছিল বোধহয়। অত কম বয়সেও স্মৃতি কি এত দীর্ঘজীবী? না কি গানের সুষমা এত পরাক্রান্ত?

ঋতবাক সম্পাদিত, সুধীর চক্রবর্তী রচিত 'একান্ত আপন' বইটির প্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০১২ এবং ঋতবাক সংস্করণ বইমেলা ২০২২ ।

বইটির মূল্য : ৪৭৫/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  সংগীতচেতনা বলে একটা কথা আমরা মাঝে মাঝে শুনি, নানা জায়গায় আলোচনাও হয়। পৃথিবীর মধ্যে খুব বড়মাপের যাঁরা সংগীতকার- যেমন, র...
26/08/2025



সংগীতচেতনা বলে একটা কথা আমরা মাঝে মাঝে শুনি, নানা জায়গায় আলোচনাও হয়। পৃথিবীর মধ্যে খুব বড়মাপের যাঁরা সংগীতকার- যেমন, রবার্ট বার্নস, শ্যবার্ট, গ্যেটে, হুগো উলফ-এঁরা সব বিখ্যাত গান লিখেছেন। এঁদের তুলনায় রবীন্দ্রনাথের গানের সংখ্যা কিন্তু প্রচুর, বৈচিত্রও বিপুল। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথের গানের যে গভীরতা, দেশের মধ্যে তার যে অন্তঃসঞ্চারী প্রভাব তা অনেক বেশি। এই গীতিকারদের রচনা যদি আমরা বিচার করি, এঁদের গান মন দিয়ে শুনি তখন বুঝতে পারি রবীন্দ্রনাথের গান সত্যিই কতটা গভীর; কীভাবে তাঁর জীবনটা জড়িয়ে আছে এই গানের সঙ্গে। কেউ কেউ যেমন বলে ফেলেছেন, রবীন্দ্রনাথের মনের একটা ইতিহাস যেন ধরা আছে তাঁর গানে। রবীন্দ্রনাথের মনের একটা অনুক্ত ইতিহাস যা তিনি কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে, নাটকে তেমনভাবে প্রকাশ করতে পারেননি। অনেক সংবেদী সমালোচক বিশ্বাস করেন, রবীন্দ্রনাথের গানে ও ছবিতে এমন এক মগ্ন রবীন্দ্রনাথকে পাওয়া যায়, যে রবীন্দ্রনাথকে আমরা অন্য কোথাও পাই না। ক্ষিতিমোহন সেন একবার অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, তোমরা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে খুব হইচই করো তো, কিন্তু আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। বিশ্বাস করো, তোমাদের ওই পোশাকি রবীন্দ্রনাথকে আমি খুব একটা পছন্দ করি না যাকে নিয়ে তোমরা এত হইচই করো। আমি যে রবীন্দ্রনাথকে গান রচনা করতে দেখেছি- তাঁকে বলতে পারো এক নগ্ন রবীন্দ্রনাথ। যখন গান লিখছেন, সেই মানুষটা একদম অন্যরকম। তখন আমাদের আশ্রমের আর কোনও লোকের সঙ্গে তাঁকে মেলানো যাবে না। সেই এক অদ্ভুত ব্যাপার, আমরা বুঝতে পারতাম, এ এক আশ্চর্য জিনিস সৃষ্টি হচ্ছে!

ঋতবাক সম্পাদিত, সুধীর চক্রবর্তী রচিত 'রবীন্দ্রনাথ অনেকান্ত' বইটির প্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০১৯ ।

অনেকান্ত রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার সবচেয়ে স্থায়ী ফসল তাঁর গান। এখানে দুই মলাটের বন্ধনে ধরা রইল সংগীত বিষয়ে এখনকার প্রতিষ্ঠিত ভাষ্যকার সুধীর চক্রবর্তীর চারটি রচনা, যা ঠিক প্রবন্ধ নয়, বরং ডিসকোর্স। রবীন্দ্রনাথের অতল ও বিচিত্র সংগীত সমুদ্রের কয়েকটি উজ্জিত তরঙ্গ যেন এ-বইতে ব্যাখ্যাত হয়েছে। যাতে প্রকাশ্য হয়েছে রবীন্দ্রসংগীতের অনালোকিত কিছু সৃজন রহস্যের মায়াবাস্তব। স্বাদু গদ্যে লেখা সংযত সমীক্ষা। এবং ব্যতিক্রমী এক সংগীত-সন্ধিৎসুর সর্বাধুনিক ভাবনার বিস্তার।

বইটির মূল্য : ৩০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  সেদিন ভূমধ্যসাগরের পার থেকে সুন্দর হাওয়া উঠেছে।মণিপালের বিপণিতে এক রোমক ক্রেতা এসেছেন, যিনি পাইকারী হারে মসলিন নিতে চা...
12/08/2025


সেদিন ভূমধ্যসাগরের পার থেকে সুন্দর হাওয়া উঠেছে।
মণিপালের বিপণিতে এক রোমক ক্রেতা এসেছেন, যিনি পাইকারী হারে মসলিন নিতে চান। রোমকরা এমনিতেই বড্ড দাম্ভিক। ঠিক সেই সময়ে এক কাজলনয়নী বাদামি ত্বকের সুন্দরী কন্যা বিপণীর সামনে এসে উদ্দেশ্যহীন দাঁড়াল। মণিপালের বুক কি জানি কেন কেঁপে উঠল। রোমকটি মণিপালের উদাসীন ভাব দেখে মনে করল, সে হয়ত মূল্য বাড়ানোর জন্য এমন ভাব দেখাচ্ছে। সে তখন সে স্থান ত্যাগ করে চলে গেল। এদিকে মণিপাল সেই সুন্দরীর দিকে চেয়ে মুগ্ধ। কিন্তু এ কিরকম আচার? সুন্দরী কিছু না বলেই তার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে চেয়ে চলে গেল। শরবিদ্ধ হরিণের মতো বেদনাকাতর মণিপাল বিপণির পাথরের থামে হেলান দিয়ে বসে আছেন, এমন সময়ে আন্তনি এসে চিৎকার জুড়ে দিলো। 'তুমি কি পাগল? অ্যাঁ? বলি অমন শাঁসালো খদ্দের, আর তুমি কিনা স্বপ্নের দুনিয়ায়?'

ঋতবাক সম্পাদিত , অনিন্দিতা মণ্ডল রচিত রাজচিত গল্প সঙ্কলনটির প্রথম প্রকাশ আগষ্ট ২০১৮ ।
ইতিহাস নিয়ে গল্প বাঁধতে গেলে শুধু কল্পনায় ডুবে থাকলে চলেনা। এই শাস্ত্রটির ভিত্তি কঠিন তথ্য আর সন্ধানের মাটিতে। গল্পের টান থাকতেই হবে। কিন্তু বর্ণনার বিশ্বস্ততা খুব জরুরি। যে সব চরিত্র হাজার হাজার বছর আগে বেঁচেছিল, ক্ষুধা-প্রেম-আগুনের সেঁক চেয়েছিল, তাদের নিয়ে কাহিনী বাঁধা একটা চ্যালেঞ্জ। শুধু ইতিহাসের সত্য নয়, যাপনের সত্যও সমান ভাবে জরুরি।
সিন্ধুসভ্যতা থেকে শুরু করে অতীশ দীপঙ্কর পর্যন্ত ভারত ইতিহাসের নানা আখ্যান, কিংবদন্তি, লোককথাকে অবলম্বন করে গড়ে তুলেছেন কল্পনার মায়াবী জগৎ। গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধযুগের প্রতি তাঁর টান এখানে দেখা যাবে। নিগ্রন্থ নাথপুত্ত বা মক্ষলি গোসালের মতো প্রাচীন চরিত্রদের বাঙালি পাঠকদের সঙ্গে পরিচিত করার অভিনব কাজটিও করেছেন তিনি। রোমক মিশরিয় পটভূমিকায় একজন বাঙালি নৌবণিকের গল্পে নতুনত্বের সন্ধান। সিকন্দর শাহকে নিয়ে একটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ আখ্যানে তৎকালীন ইতিহাসের নানা সন্দর্ভ গেঁথে মালা রচনা করেছেন।

লেখাগুলির আকর্ষণ তাদের ভাষার স্বাচ্ছন্দ্য ও আখ্যানভাগের স্বাদুতায়। পাঠকের মনোনিবেশ ধরে রাখার বিদ্যা লেখকের আয়ত্ব। সংকলনের গল্পগুলি নিশ্চয় পাঠকসমাজে আদৃত হবে।

বইটির মূল্য : ২০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  এক ফালি কাগজ বই তো নয়। কিন্তু উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে টিসি অজানা উড়ন্ত এক জুজু। কতক বুঝে কতক না-বুঝে এই টিসি-র ভয়ে...
05/08/2025


এক ফালি কাগজ বই তো নয়। কিন্তু উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে টিসি অজানা উড়ন্ত এক জুজু। কতক বুঝে কতক না-বুঝে এই টিসি-র ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত সবাই। এখনও থাকে। মাস্টারমশাই মনে করার চেষ্টা করলেন এই পনেরো বছরে এই ইশকুলে শান্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে টি সি-র প্রয়োগ হয়েছে একবারই। কিন্তু কোনও না কোনও ক্লাসরুমে টি সি-র প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়নি এমন দিন বুঝি একটাও যায়নি।

নিখিলেশবাবুর গায়ে কালি ছিটোনো হয়েছিল। নিজের চোখেই দেখেছিলেন মাস্টারমশাই। কে ছিটিয়েছিল? তথ্যপ্রমাণ ছিল না। প্রিটেস্টের খাতা দেখাচ্ছিলেন ঊনষাটের প্রবীণ। তাঁর টেবিল ঘিরে দাঁড়িয়েছিল জনা কুড়ি ছেলে। তাদের কেউ হবে। সব ব্যাটাকে ছেড়ে বেঁড়ে ব্যাটাকে ধর। ডানপিটে ছেলে হিসেবে ইমতিয়াজের নামডাক ছিল। ইশকুলে ঢুকেই টুয়েলভের দাদাদের সঙ্গে মারপিট করে সংবাদ শিরোনামে আসে সে। একদিন টিফিনের সময় ক্লাস সেভেনের এক দঙ্গল ছেলে কাঁদতে কাঁদতে নালিশ ঠুকেছিল ইমতিয়াজদাদার নামে। তারা নাকি ক্যামবিস বলে ক্রিকেট খেলছিলা। ইমতিয়াজ নাকি কী করে পুল মারতে হয় শেখানোর নাম করে এমন ব্যাট হাঁকড়েছে যে বল ইশকুলের তেতলার ছাদে উঠে গেছে নাকি রাসবিহারী অ্যাভেনিউর ট্রামলাইনে গড়াগড়ি খাচ্ছে কেউ জানে না। অভিযুক্তকে ডেকে পাঠানো হল। এক হাত লম্বা জিভ কেটে ইমতিয়াজ বলেছিল, 'সরি স্যার!'

ঋতবাক সম্পাদিত অংশুমান ভৌমিক রচিত 'সিলেবাসে নেই' বইটির প্রথম প্রকাশ আগস্ট ২০২২।

ইশকুল তো শুধুই ইট কাঠ কংক্রিট নয়, বা পাশ-ফেলের উপলক্ষ নয়। ইশকুল এক জীবন্ত স্পন্দমান অস্তিত্ব। তার একদিকে মাস্টারমশাই-দিদিমণিরা। অন্যদিকে ছেলেমেয়েরা, তাদের বাবা-মায়েরা। এই বাংলার এই সময়ের ইশকুলের বাইরেটাই

সবাই দেখে। শোনে। তাদের অন্দরমহলের কথা সচরাচর লেখা হয় না। কত অজানা গল্প, কত দুরন্ত গুজব, কত অচিন রহস্য, কত অদ্ভুত শিহরণ ঘিরে আছে একেকটা ইশকুলকে। সহানুভূতি নিয়ে দেখলে, সংবেদী মন দিয়ে ভাবলে এইসব হাঁড়ির খবর খুলে দিতে পারে অনেক অবাক পৃথিবীর জানলা।

'সিলেবাসে নেই' এমনই কিছু জানলার ঠিকানা।
বইটির মূল্য : ৪৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

 ゚ মানুষ মরে গিয়ে শান্তি পেতে চায়। মৃত্যুর পর নাকি পরম শান্তি মেলে! যে মরে সে শান্তি পায় কিনা জানা নেই! তা জীবিত মানুষের...
28/07/2025


মানুষ মরে গিয়ে শান্তি পেতে চায়। মৃত্যুর পর নাকি পরম শান্তি মেলে! যে মরে সে শান্তি পায় কিনা জানা নেই! তা জীবিত মানুষের পক্ষে জানবারও কথা নয়। তবে মিন্টু মরে গিয়ে ওর বাবা-মাকে শান্তি দিয়ে গেল না।
পড়ন্ত বিকেলে ওদের উঠোনে বসেছে গ্রামের শালিশিসভা। দু'গ্রামের মাতব্বরের দল সভায় উপস্থিত। সঙ্গে আরও অনেকে। কারও কারও মুখে জলন্ত বিড়ি। কেউবা ঠোঁট সরু করে তার ধোঁয়া শূন্যপানে আপনমনে কায়দায় ছেড়ে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কেউবা মুখের কাছে দু-আঙুলে টুসকি মেরে হাই তুলছে লম্বা লম্বা। দু-চারটে কথা এদিক ওদিক দিয়ে ভেসে আসছে মাঝে মাঝে। আর তাদের মাঝখানে সাদা থান পরে বসে আছে এক অল্প বয়সী মেয়ে। কতই বা বয়স হবে? ষোলো কি সতেরো। চুল উস্কোখুস্কো। আলুথালু বেশ। মাথা নীচু করে বসে কী একটা দিয়ে মাটিতে আঁচড় কেটে চলেছে আনমনে।

ঋতবাক সম্পাদিত সনাতন সিংহের লেখা 'শেষ রাগিণীর বীণ' বইটির প্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০২২।
জীবনের নিকষ কালো অন্ধকারগুলো বড়ো ভয়ংকর-নৃশংস। ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় হঠাৎই। দম বন্ধ হয়ে আসে বিশ্বাসের। অসহায়তায় ছটফট করে। আর তখনই যবনিকা পতন। তার ছেঁড়ে। নিমেষেই কঁকিয়ে ওঠে জীবন। চেনা বাস্তব হয়ে যায় অচেনা। বেরিয়ে আসে অমানুষের দল। কেবল যেন নিষ্ঠুরতার ও পাশবিকতার নাগপাশ। কোথাও বা নিংড়ানো হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি, কোথাও বেঁচে না বাঁচার, বা বিকিয়ে যাওয়ার। ফিকে হয়ে যায় সব কিছুই। বাঁচার আকুতি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় শেষ ধাপে। ভয়, শূন্যতা, সংশয় জাঁকিয়ে বসে প্রাণ ভোমরায়। প্রকৃতিও যেন তারই সহায়ক হয়ে আসন পেতে রাখে অগোচরে। বুঁদ হয়ে যায় নীরব শীতলতায়। আর জীবন গিলে খায় জীবনকে। বারোটি গল্পই তার এক একটা সুনিপুণ চিত্রপট। রূঢ় বাস্তবের মর্মান্তিক জীবন্ত দলিল ।

বইটির মূল্য : ৩২৫/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  অস্তিত্ববাদী সাহিত্য এখন পথের পাশে বিলীন, যেহেতু নিজস্ব শিল্প সৃজনে বাধ্যতামূলক সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই...
28/07/2025


অস্তিত্ববাদী সাহিত্য এখন পথের পাশে বিলীন, যেহেতু নিজস্ব শিল্প সৃজনে বাধ্যতামূলক সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই ঘটা সম্ভব, যখন লেখক সৃজনের প্রাধান্য দর্শনের থেকে বেশি মনে করেন। কেননা একজন দার্শনিকই ব্যাখ্যা করতে পারেন যে, কীভাবে শিল্পের বাধ্যবাধকতা দর্শনের মডেল হিসেবে কাজ করে। এমনকি এও হতে পারে যে, যিনি লেখক তিনিই এক অর্থে দার্শনিক। এই সূত্রটি দসতয়েভস্কি ও কাফকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আবার কামু ও জেনের ব্যাখ্যায়ও এই সূত্র কার্যকরী। দসতয়েভস্কি ও কাফকা আমাদের মনে করিয়ে দেন যে, ভাষার ওপরে লেখকের প্রাধান্য সন্দেহাতীত। ভাষার এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে লেখক নির্ভুলভাবে এই বার্তা পাঠায় যে, মানব চরিত্রের ভাঙাচোরা ভাষা ব্যবহারে প্রকাশ করতে গিয়ে সর্বোচ্চ চিন্তার পরিসীমায় লেখক ও চিন্তক একই সঙ্গে দ্যুতিময়। এই প্রসঙ্গে দৃশ্যমান হয় যে, দসতয়েভস্কি ও কাফকার নায়কেরা আমাদের পরিচিত নায়কদের অন্য ভঙ্গিতে প্রতিবিম্বিত করে। আমাদের সময়ের যে লেখকটি ভাষার প্রায়োগিক কর্তৃত্বে ঐ দুই লেখকদের সমগোত্রে আলোচিত, তার নাম স্যামুয়েল বেকেট। ইদানীং মানুষ বলতে যে দৃশ্যকল্প চোখে ভাসে, তা হলো বেকেটের নায়ক। বলতে বাধ্য হচ্ছি, লেখকদের গায়ে এই যে দার্শনিক লেবেল আটার খেলা, এ শুধু সাময়িক কালক্ষয়-হেথিংওয়েকে কী বলবো-একজন আচরণ বিশ্লেষক আর 'রোেব গ্রিয়ে'-উনি দর্শন ভাবনাচরিত্র ব্যাখ্যা করেন? যদি আমরা পাঠক হিসেবে বুদ্ধিদীপ্তভাবে রসজ্ঞ হতে পারতাম-তবে এই ভাবনা একপ্রকার মান্যতা পায়।

ঋতবাক সম্পাদিত উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা 'স্ট্রবেরি জংশন 'বইটির প্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০১৯।
মার্কসবাদ থেকে মনস্তত্ব, কবিতার অসীম সম্ভাবনা থেকে দর্শন ও তত্ত্ববিশ্বে সমগ্রতা, অথবা সিনেমার অন্তর্ঘাত, সবই অন্যরূপান্তরিত ভাবনার ইমেজ, রইলো একই মলাটের আড়ালে।
অতিসরলীকরণের প্রবণতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সমস্ত মহান ভাবুকেরা মেধার অসম্পূর্ণতা থেকে মুক্ত করে আমাদের এনে ফেলেছিলেন মানবিক উচ্চতর অভিজ্ঞতায়, তাঁদের সঙ্গেই উতরোল আড্ডা স্ট্রবেরী জংশনে।
আঁলে বাদিউ, ওক্তাবিও পাস্, সিগমুন্ড ফ্রয়েড,ইতালো ক্যালভিনো,হার্বাট রিড,অঁতোনা আর্ত, বার্টন্ড রাসেল- এঁর মতো কিংবদন্তি মানুষদের কথা থাকছে এই বইয়ে।

বইটির মূল্য : ২৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  এপ্রিলের প্রথমদিকে যখন চন্দননগর ছাড়ার ব্যবস্থা প্রায় পাকা তখন একদিন হতোদ্যম, ক্লান্ত হীরালাল বাবাকে লিখল তার মনের কথা।...
25/07/2025


এপ্রিলের প্রথমদিকে যখন চন্দননগর ছাড়ার ব্যবস্থা প্রায় পাকা তখন একদিন হতোদ্যম, ক্লান্ত হীরালাল বাবাকে লিখল তার মনের কথা। যা লিখল তা সংক্ষেপে এই রকম যে সে সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং ঈশ্বর জানেন যে দিল্লি ষড়যন্ত্রে তার কোনও হাত ছিল না। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে আজ সে ব্রিটিশের শত্রু। সমাজের চোখে সে অপরাধী। কিন্তু মানুষের জীবন নক্ষত্রনিয়ন্ত্রিত। সেই কারণেই তার অনিচ্ছাসত্ত্বেও সে বিপ্লবীতে রূপান্তরিত। কিন্তু সেও ভাগ্যচক্রে। আজ আর তার বাঁচার কোনও উপায় নেই। সে চিন্তিত এই ভেবে যে তার পরিণতির কথা ভেবে তার বাবার কী অবস্থা হবে। তবুও তার জন্য কোনও উকিল নিয়োগ করার দরকার নেই। ভাগ্য তাকে যে পথে নিয়ে যাবে সে সেই পথেই যাবে। কেন লিখল এই চিঠি হীরালাল? বড় অদ্ভুত এই চিঠি। যে ঘটনার নেপথ্যনায়ক থেকে নায়ক হতে চেয়েছিল সে পরবর্তীকালে সেই ঘটনার দায় সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়াই নয় সেই ঘটনা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এমন কথা বাবাকে বলতে গেল কেন? তবে কি চিঠি পড়ে তার বাবা উকিল লাগিয়ে তাকে এই বিপদ থেকে বের করে আনুক এমন কোনও প্রচ্ছন্ন ঈঙ্গিত দিতে চেয়েছিল হীরালাল এই চিঠিতে? হীরালালের এই ঈঙ্গিত বুঝেও হয়তো কিছু করার ক্ষমতা ছিল না তার বাবার। তবে অপারগ অক্ষম বাবার সঙ্গে আর কোনও দিন দেখা হয়নি হীরালালের। এবারের গন্তব্য বেনারস।

ঋতবাক সম্পাদিত মনোজ কর রচিত 'হীরালালের বিপ্লবযাপন' বইটি প্রথম প্রকাশ পায় বইমেলা ২০২৩।
অর্দ্ধশতকব্যাপী এই সশস্ত্র সংগ্রামের সময়কাল জুড়ে এই বিপ্লব ক্রমাগত বিঘ্নিত হয়েছে তারই গর্ভে নিহিত প্রতিবিপ্লবের হীন স্বার্থপরতা এবং কুটিল চক্রান্তে। ঘাত-প্রতিঘাতলাঞ্ছিত সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই উপন্যাস। এই সময়েরই এক দিশাহীন, দ্বিধাদীর্ণ বিপ্লবী চরিত্র যে মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে বিপ্লবকে জীবনের ব্রত হিসাবে বরণ করে নিতে পারেনি সেই হীরালালকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত এই উপন্যাসের কাহিনী।
বইটির মূল্য : ৩০০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

 ゚ ওপরের ঘরে গিয়ে পানু রায় পচাকে জিগ্যেস করলেন, 'কি করা উচিৎ বলে মনে হয় তোর?' পচা কিছুমাত্র না ভেবে বললো, 'আমাকে যা বলে ...
25/07/2025


ওপরের ঘরে গিয়ে পানু রায় পচাকে জিগ্যেস করলেন, 'কি করা উচিৎ বলে মনে হয় তোর?' পচা কিছুমাত্র না ভেবে বললো, 'আমাকে যা বলে দলে নিয়েছো সেই কথাই বলতে হবে। স্যুটকেশের টাকা এখন আর দু'ভাগ নয়, চারভাগ করতে হবে।' পচার কথা শেষ হবার আগেই পানু রায় বলে উঠলেন, 'আমারও ঠিক একই কথা মাথায় এসেছে। এই টাকা সমানভাবে ভাগ না করলে আগে এগুবার আর কোনও পথ নেই। ঠিক আছে স্যুটকেশ নিয়ে নীচে চল। যা কথা বলার আমি বলবো। যেহেতু টাকার অধিকার আমাদের দুজনের সুতরাং সেই টাকার ভাগ দেবার সিদ্ধান্ত আমরা দুজনে নিলাম। ঠিক?' পচা বললো, 'একদম ঠিক।' পানু রায় আগে আগে এবং পিছন পিছন পচা স্যুটকেশ নিয়ে নীচে এসে খাবার ঘরে ঢুকলো। সুন্দরী একটু অবাক হয়েই জিগ্যেস করলো, 'স্যুটকেশ কেন? আপনাদের তো এখনও আমি কোথাও যেতে বলিনি।' পানু রায় বললেন, 'একটু ধৈর্য ধরুন। সব বলবো। গল্পটা বলার আগে স্যুটকেশটা আপনাদের দেখাতে চাই এবং এই সম্বন্ধে কয়েকটা কথা বলতে চাই।' সুন্দরী বললো, 'ঠিক আছে, বলুন।' পানু রায় বললেন, 'এই স্যুটকেশের ভেতর দু'কোটি টাকা আছে, আই মিন দু'কোটি।' সুন্দরী আর জগাই কয়েক মুহূর্তের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো। তারপর জগাই বিশাল বিশাল চোখ বের করে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো, 'কি বললেন? দু কোটি!' পানু রায় বললেন, 'তুমি ঠিক শুনেছো জগাই, দু'কোটি!' এতক্ষণে কিছুটা ধাতস্থ হয়ে সুন্দরী জিগ্যেস করলো, 'এত টাকা আপনি কোথায় পেলেন? সব টাকা আপনার? খুলে বলুন আমায়।' পানু রায় বললেন, 'নিশ্চয়ই। সব বলবো বলেই তো এসেছি। কিন্তু তার আগে বলে রাখি যদি আমি আর পচা দোষী সাব্যস্ত হই তবে সমস্ত টাকা পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে। কারণ এই টাকা বেওয়ারিশ। এর মালিক কে, কেউ জানে না ।
ঋতবাক সম্পাদিত মনোজ করে লেখা শতবর্ষে পানুর রায় বইটির প্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০২০।
জোনাস জোনাসনের "দ্য হান্ড্রেড ইয়ার ওল্ড ম্যান" বইয়ের ছায়া অবলম্বনে রচিত উপন্যাস "শতবর্ষে পানু রায়” মনোজ করের এক অনন্য সৃষ্টি।
শতায়ু পানু রায় আর পাঁচজনের মতো জীবনযাপন করেন না। উনি এই দুর্লভ জীবনকে উদযাপন করেন প্রতি মুহূর্তে ওঁর নিজস্ব ভঙ্গিমায়, যুক্তিতে এবং ঈর্ষণীয় স্টাইলে। এই উদযাপনের পথে পথে ছড়িয়ে থাকা বিচিত্র সব চরিত্র আর ঘটনা ।
শততম জন্মদিনের দিন বিকেলবেলা কেক কাটার ঠিক আগের মুহূর্তে জানালা টপকে বাগানের রাস্তা দিয়ে নিরাশ্রয় থেকে পালালেন পানু রায়।

বইটির মূল্য : ৩৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

 ゚ দেখতে দেখতে সেই ছোট্ট দুখি এখন চোদ্দোয় পা দিয়েছে। পড়াশোনায় সে খারাপ নয়। কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি চুপচাপ হয়ে গেছে সে...
25/07/2025


দেখতে দেখতে সেই ছোট্ট দুখি এখন চোদ্দোয় পা দিয়েছে। পড়াশোনায় সে খারাপ নয়। কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি চুপচাপ হয়ে গেছে সে। সতীশ স্যারের সঙ্গে তার নিত্য যোগাযোগ। সে ছাড়াও আরও কিছু ছেলে সতীশ স্যারের কাছে গোপনে যাওয়া আসা করে এখন। সতীশ স্যার মাঝে মাঝে কোথাও উধাও হয়ে যান, জানে না কেউ। দুখি জিজ্ঞেস করলেও বলতে চান না সতীশ স্যার। রূপা আর অপূর্ব ভয়ে সবসময় সিঁটিয়ে থাকে। তারা বেশ ভালোভাবেই বোঝে দুখির জীবন অন্যখাতে বইছে যা আর পাঁচজনের চেয়ে আলাদা। সে যে কোনও স্বদেশী দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তা আর কেউ বুঝতে না পারলেও রূপা আর অপূর্ব বুঝতে পারে। দুখির কথাবার্তায় চালচলনে সেটা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে আজকাল। আজ হোক বা কাল হোক দুখি যে পরানগাছি ছেড়ে চলে যাবে, তা বেশ পরিষ্কার বুঝতে পারে রূপা। মাঝে মাঝে রাগ অভিমান ঢেলে দিতে চায় নিজের সন্তানের অধিক দুখির ওপর। কিন্তু অপূর্বর কথায় চুপ করে যায়। তার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হৃদয়ের মধ্যেই জমাট বেঁধে থাকে। সাবধান করে অপূর্ব, 'দুখি এখন আমাদের নয়, রূপা। অন্য কেউ ওর অভিভাবক। জোর করতে গেলে যাও বা এখন আমাদের কাছে আছে তাও আর থাকবে না। মনের দুঃখ মনের মধ্যে রেখে চুপ করে থাকো। চারদিকে যা সব খবর, শুনলেও ভয়ে বুক কাঁপে।'

ঋতবাক সম্পাদিত মনোজ কর এর লেখা 'সুখি দুখির গল্প' প্রথম প্রকাশ পায় আগস্ট ২০২১।
প্রায় একশো বছরব্যাপী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যে শত শত মহান ব্যক্তিত্ব জড়িত ছিলেন আমাদের দেশের ইতিহাসে। আমরা জেনেছি এইসব মানুষদের জীবনযাপন, জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনের অন্তিম পরিণতি আটপৌরে মানুষদের মতো স্বার্থমগ্নতা এবং আত্মসুখের সীমায় আবদ্ধ ছিলো না। শুধু দিনযাপনের, শুধু প্রাণধারণের গ্লানি বহন করে তাঁদের জীবন অতিবাহিত হয়নি। একথার সত্যতা মেনে নিয়েও বলতে হয় যে পার্থিব নিয়মেই এইসব মহান ব্যক্তিদের দৈনন্দিনতাও ছিলো তাঁদের একান্ত নিজস্ব সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-বঞ্চনা, মান-অভিমানের অনুভূতিসিক্ত; যার হদিশ আমরা ইতিহাসে পাই না।
এই উপন্যাসের দুই মুখ্য চরিত্র সুখি আর দুখি এইরকমই দুই মানুষ। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগের প্রেক্ষাপটে পরিবার, পারিপার্শ্বিকতা এবং একটু একটু করে গড়ে ওঠা জীবনবোধের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই দুই চরিত্রের জীবনপ্রবাহ এবং তার পরিণতির আধারে নির্মিত এই উপন্যাস।

বইটির মূল্য : ৩৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

  ১৮৮৪ সাল থেকেই 'বামাবোধিনী' পত্রিকা বিশেষ বিশেষ রন্ধন প্রণালী প্রকাশ করতে আরম্ভ করে। ১৮৯৫ সালে 'মহিলা' নামের আর একটা স...
25/07/2025



১৮৮৪ সাল থেকেই 'বামাবোধিনী' পত্রিকা বিশেষ বিশেষ রন্ধন প্রণালী প্রকাশ করতে আরম্ভ করে। ১৮৯৫ সালে 'মহিলা' নামের আর একটা সাময়িকীও নানারকম রান্নার পদ্ধতি শেখাতে উদ্যোগী হয়। ১৮৯৭ থেকে 'পুণ্য' নামের এক পত্রিকার সম্পাদিকা হিসেবে রান্না শেখাতে আরম্ভ করেন রবীন্দ্রনাথের মেজদাদা হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয়া কন্যা, প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী। ১৮৯১ সালে প্রজ্ঞাসুন্দরীর বিয়ে হয় আসামের লক্ষ্মীকান্ত বেজবড়ুয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর স্বামীর সাহায্য আর উৎসাহে রান্না নিয়ে রীতিমত গবেষণা আরম্ভ করেন প্রজ্ঞাসুন্দরী। এই গবেষণার ফল হিসেবে ১৩০৭ বঙ্গাব্দ বা ১৯০০-০১ সালে প্রকাশিত হয় 'আমিষ ও নিরামিষ আহার - প্রথম খণ্ড'। এই বইতে ছিল শুধু নিরামিষ রান্নার প্রণালী। শোনা যায়, কাছাকাছি সময়ে আরও নিরামিষ রান্না নিয়ে একটা দ্বিতীয় খণ্ডও প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩১৪ সন বা ১৯০৭-০৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বইয়ের তৃতীয় খণ্ড। বেশ হৃষ্টপুষ্ট বইটি। সম্পূর্ণ ভাবে আমিষ রন্ধনপ্রণালী নিয়ে লেখা।

এই বই এক কথোপকথন। কথা গড়িয়ে গেছে কথায়, আর তার থেকে উঠে এসেছে শোভাবাজার রাজপরিবারে প্রচলিত মোট পঁয়তাল্লিশটি রান্নার রন্ধনপ্রণালী। এই বই নিছক এক রান্নার বই নয়। এই আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে দেখা দেয় সময়ের জলছবি, অনেক নাম না জানা রন্ধনশিল্পীর হাতের ছাপ। পাওয়া যায় হেঁশেলের অন্তরঙ্গ স্বাদ-গন্ধ। এই বই বহু ভিন্ন স্বরের সংলাপ।

নন্দিনী দেব বউরাণী এক রন্ধনশিল্পী। শোভাবাজার রাজবাড়ীর বউ হয়ে এসে তিনি এ বাড়ীর প্রচলিত রান্না শিখেছেন এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নিজেও আবিষ্কার করেছেন বহু নতুন নতুন রান্না। নামীদামী রেস্তোঁরার শেফরা তাঁর কাছ থেকে রান্না শিখে গেছেন, নানা পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে তাঁর নিজস্ব রন্ধনপ্রণালী।
তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্রী সুস্মিতা বসু সিং ঋতবাক প্রকাশনার কর্ণধার তথা ঋতবাক ই-ম্যাগাজিনের সম্পাদক।

বইটির মূল্য : ১৫০/-
বইটি আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন,
https://www.flipkart.com/
https://www.amazon.in/
অথবা ঋতবাকের নিজস্ব শপ থেকে https://rritobak.in
হোম ডেলিভারির জন্য WhatsApp-এ যোগাযোগ করুন - +919836709009

Address

Kolkata
700025

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঋতবাক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ঋতবাক:

Share

Category