LaughaLaughi

LaughaLaughi ভারতের একমাত্র বাংলা মিডিয়া সংস্থা
যারা ফেক নিউজ ছড়ায় না

03/08/2025

স্ক্রিপ্ট রাইটিং এর ক্লাস শুরু হচ্ছে মনে আছে তো?

লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন নেওয়া হচ্ছে শিক্ষার নামে। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো কি সত্যিই শিক্ষার মান বাড়াচ্ছে? নাকি শুধু আম জনতার প...
02/08/2025

লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন নেওয়া হচ্ছে শিক্ষার নামে। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো কি সত্যিই শিক্ষার মান বাড়াচ্ছে? নাকি শুধু আম জনতার পকেট কাটছে?

দিনের দিনের পর দিন বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর ফি এতো পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে, যে অভিভাবকরা স্কুলের ফি মেটাতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছে।

বেসরকারি স্কুলগুলির এই অত্যাধিক ফি বৃদ্ধি, এখন শুধু সমস্যা নয় বরং একটি সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু এই অস্বাভাবিক ফি বেড়ে ওঠার কারণ কী? শুধুই 'উন্নতমানের' শিক্ষা? নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো দুর্নীতি?

কিছু কিছু বেসরকারি স্কুল-কলেজ রয়েছে যারা আইনত ভাবে “নন প্রফিট অর্গানিজশন” হিসেবে নথিভুক্ত করা অথচ সেই সব স্কুলের ফি এতটাই বেশি যে কোনো মধ্যবিত্ত ঘরের অভিভাবকদের পক্ষে তা জোগাড় করার সামর্থ্য থাকে না।

“নন প্রফিট অর্গানিজশন” হলো সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠান যারা কোনোরকমের মুনাফা লাভের আশায় তাদের পরিষেবা দেয় না। কিন্তু তাই যদি হয়, তাহলে সেই সব স্কুলগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকার ফি কেন হয়? কোথায় যায় এতো টাকা?

আসলে এইসবের পিছনে চলছে অন্য এক চক্রান্ত। ২০২৪ সালের একটা ঘটনার কথা বলি–

দা ইকোনমিক টাইমস এর এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর প্রশাসনিক আধিকারিক দের তরফ থেকে জানা যায় যে প্রায় ১১ টি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে অহেতুক ফি বৃদ্ধির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।

জব্বলপুরের জেলাশাসক দীপক সাক্সেনা নির্দেশ দেন ৩০ দিনের মধ্যে অভিভাবকদের সমস্ত টাকা ফেরত দিতে হবে অন্যথায় কর্তৃপক্ষ আরো কড়া ব্যবস্থা নেবে।

তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আরো জানা যাচ্ছে যে, স্কুলগুলি স্কুল ফি নিয়ন্ত্রক আইনের ৫/২ ধারা
না মেনেই অহেতুক ফি বাড়িয়েছিল। কোনো অডিট রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়নি।

জেলাশাসক দীপক সাক্সেনা বলেন ,”বার্ষিক ফি যদি ১০% বাড়ানো হয় তাহলে সেক্ষেত্রে জেলাশাসকের অনুমোদন লাগবে আর যদি ১৫% বাড়ানো হয় তাহলে সেক্ষেত্রে রাজ্য কমিটির “এনওডি” অর্থাৎ “নো অব্জেকশান ডিক্লারেশন” বাধ্যতামূলক। কিন্তু এগুলোর কোনোটাই স্কুলগুলোর কাছে ছিলো না।”

অর্থাৎ পুরো স্কুলগুলোই অবৈধভাবে চালানো হচ্ছিলো।

হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি জালিয়াতি করা হয়েছে এইভাবে। তবে এটা শুধুমাত্র একটিমাত্র রাজ্যের ঘটনা নয়। দিল্লী, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলকাতা এবং দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এই একই চিত্র দেখা যায়।

তবে এইখানেই শেষ নয়।

নকল ISBN যুক্ত বই স্কুলের পাঠ্যক্রমে রাখা হতো।

জানিয়ে রাখি ISBN অর্থ হলো ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড বুক নম্বর।
এটি একটি ১৩ সংখ্যার নম্বর যা সাধারণত প্রকাশক, পরিবেশক, গ্রন্থাগার ও ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে বই বিক্রেতাদের দ্বারা ব্যবহার করা হয়। সাধারণত বই বিক্রি ও স্টক এর হিসেবে রাখার জন্য এই নম্বরের প্রয়োজন পড়ে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে গোটা বইয়ের ৬০ থেকে ১০০% সিলেবাস বদল করে দেওয়া হতো এবং নির্দিষ্ট কিছু বই বিক্রেতাদের কাছেই সেই বইগুলি থাকতো।

ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেমেয়েরা অন্য কোনো দোকান থেকে সেই বই পেতো না।
বই কেনার জন্য তাদের সেই নির্দিষ্ট দোকান গুলোতেই যেতে হতো এবং বইগুলির দাম হতো প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি।

এছাড়াও বেসরকারি স্কুলগুলো হঠাৎ হঠাৎ নানারকম ফি
বেসিক ফি এর সাথে যুক্ত করে দেয়।
যেমন - এসি ইনস্টলেশন চার্জ, ল্যাব চার্জ, লাইব্রেরি (গ্রন্থাগার) চার্জ, এক্সট্রা কারিকুলাম একটিভিটি (অতিরিক্ত - পাঠ্যক্রম কার্যকলাপ) চার্জ ইত্যাদি।

বেসরকারি স্কুলগুলো তাদের ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং এর জন্য অনেক অনেক অর্থ বিনিয়োগ করে যার বেশিরভাগটাই তারা স্কুল ফি এর সাথে যুক্ত করে নেয়। ফলে ফি আরো বেড়ে যায়।

হিন্দুস্তান টাইমস এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, যে উত্তরাখণ্ডে প্রায় ৩৫০৪ টা স্কুল আছে যেখানে মাত্র একজন করেই শিক্ষক বা শিক্ষিকা আছে আবার প্রায় ১৮০০০ স্কুলের মধ্যে ১০০০০ স্কুলে কোনো প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকাই নেই!

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে এই বছরের একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা যাচ্ছে যে প্রায় ৩২৫৪ টি স্কুলে কোনো ছাত্রছাত্রীই নেই। আবার ২০২২ এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় যে প্রায় ৭০০০ স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে বিগত 10 বছরে। তিনটি উদাহরণ দিই?.

বাঁকুড়ার শুশুনিয়া হাই স্কুল।

সেখানে দুলালী মান্ডি নামক এক ছাত্র পড়াশুনা করতো।
বেশ ক'দিন সে স্কুলে না আসায় সহকারী শিক্ষক পরেশ হাসদা তার বাড়িতে যায় এবং জানতে পারে যে দুলালী ৬ মাস আগে বেঙ্গালুরু চলে গেছে দিনমজুরের কাজ করার জন্য।

আজ্ঞে হ্যাঁ ঠিকই শুনেছ!

তার বাড়ির লোকের অভিযোগ, সে পশ্চিমবঙ্গে থেকে কী করবে? বা শিক্ষিত হয়েও বা কী করবে? কারণ সে বর্তমানে মাস গেলে ১৫০০০ টাকা বেতন পায়, যেটা দিয়ে সে তার বাড়িতে টাকা পাঠায়।

আবার অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামের মঙ্গলা বাস্কে মাত্র ১৬ বছর বয়সে যখন সে নবম শ্রেণীতে পড়ছিলো তখন তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।

তার ইচ্ছা আছে পড়াশুনো চালিয়ে যাওয়ার কিন্তু পারিবারিক চাপের কারণে সে পড়তে পারছে না।

বাঁকুড়ার রাধামাধব মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র।

এক কালে এই স্কুলে প্রায় ৩০০ জনের উপর ছাত্রছাত্রী পড়াশুনো করতো এবং ৬ জন শিক্ষক ছিল।
কিন্তু বর্তমান সরকার আসার পর এই স্কুলে একজনও নতুন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি।

জানিয়ে রাখি, এই স্কুল বন্ধ হতে চলেছে।

এইভাবেই সরকারি স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব এবং সামাজিক চাপের কারণে, তার সাথে সাথে আর্থিক বোঝা কমানোর জন্য শিক্ষায় বেসরকারিকরণ দেখা দিচ্ছে।

অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলগুলোর উন্নত সুবিধা, শিক্ষকদের উচ্চ বেতন ও বাণিজ্যিক মনোভাবের কারণে ফি বেড়েই যাচ্ছে।

এমন অহেতুক ফি বাড়ানোর জন্য সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন, নাহলে এমন একদিন আসবে যেদিন শিক্ষা শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত ঘরের জন্যই থেকে যাবে।

নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য শিক্ষার অধিকার আর থাকবে না।

- ঋতম এবং রয়

অবশেষে বুধবার (06.08.2025) থেকে শুরু হচ্ছে স্ক্রিপ্ট রাইটিং এর কোর্স।এই স্ক্রিপ্ট রাইটিং কোর্স কাদের জন্যে?যারা মূলত সোশ...
02/08/2025

অবশেষে বুধবার (06.08.2025) থেকে শুরু হচ্ছে স্ক্রিপ্ট রাইটিং এর কোর্স।
এই স্ক্রিপ্ট রাইটিং কোর্স কাদের জন্যে?

যারা মূলত সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও কনটেন্ট বানাতে চায়, যারা বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে ব্লগ লিখতে চায়, যারা অন্যান্য ক্রিয়েটর দের জন্যে কনটেন্ট লিখতে চায় তাদের জন্যে।

এটা কিন্তু একাডেমিক কিংবা টেকনিক্যাল কনটেন্ট রাইটিং নয়।

কতদিনের কোর্স?
২.৫ মাস।

কবে কবে ক্লাস?
বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ১০ টা অবধি

কোর্স করলেই কি চাকরি পাওয়া যাবে?
না। তবে কোথায়, কিভাবে পোর্টফোলিও জমা দিতে হবে, কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে সেগুলো সব দেখিয়ে এবং বলে দেওয়া হবে।

কী কী লাগবে?
লেখালিখির প্রতি ঝোঁক
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড এর জ্ঞান
মোবাইল
খাতা পেন

রেজিস্ট্রেশন ফী কত?
প্রথম ১০ জনের জন্যে রেজিস্ট্রেশন ফী ২৭৯৯ টাকা
তারপর সেটা ৪৯৯৯ /- টাকা

এটার জন্যে মাসে মাসে ফী জমা দেওয়ার বিষয়টা রাখা হচ্ছে না।

হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর - +91 9874746699

বিঃদ্রঃ এটা কিন্তু একদিনের ওয়ার্কশপ নয়।

১০ টাকায় এক কোটি কোটি টাকা ১০ টাকায়এই ধরণের লটারির বিজ্ঞাপন তোমরা হামেশাই দেখে থাকবে টিভি কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে।তবে এই ...
01/08/2025

১০ টাকায় এক কোটি
কোটি টাকা ১০ টাকায়

এই ধরণের লটারির বিজ্ঞাপন তোমরা হামেশাই দেখে থাকবে টিভি কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে।
তবে এই লটারি কিভাবে শুরু হলো সেটা কি তোমরা জানো?

প্রাচীনকালে গুপ্তধন খোঁজার মতো আজও লটারি জেতা অনেকের কাছে সোনার হরিণ ধরার সমান। একটা লটারি যেমন একজন সাধারণ মানুষকে কোটি কোটি টাকার মালিক বানাতে পারে, ঠিক সেইরমই, একজন ধনী মানুষকে টেনে রাস্তায় নামিয়েও আনতে পারে।

আশ্চর্য্য লাগলেও সত্যি যে লটারি শুধু একটি খেলা নয়, এর শিকড় অনেক গভীরে গাঁথা। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে অনেক ইতিহাস।

সম্পত্তি বিতরণ বা যেকোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে লটারি ব্যবহারের কথা বহু প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত আছে। যার উদাহরণ এমনকি বাইবেলেও পাওয়া যায়। আজ্ঞে হ্যাঁ!

আগেকার দিনে লটারির মাধ্যমে এক বিশেষ উপায়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে জমি ভাগ করে দেওয়া হতো। সেকালে "কেনো স্লিপ" কেনার মাধ্যমে লটারি খেলা হতো। যা হলো এক ধরণের কাগজের বা ইলেক্ট্রনিকের স্লিপ যেখানে কিছু নির্দিষ্ট নম্বর থাকে এবং প্রত্যেক নম্বরের উপর বাজি ধরা যায়।

এই 'কেনো স্লিপ' প্রথম দেখা যায় চীন দেশে।

২০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চীনের হান রাজবংশের সময়কালে মানুষজনের মধ্যে প্রথম লটারি খেলার নেশা জাগে। প্রাথমিকভাবে মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য এই খেলা শুরু হলেও, এর বৃহত্তর স্বার্থ ছিল সরকারি উন্নয়ন।

মনে করা হয়, এই লটারির টাকাগুলি চীনের মহাপ্রাচীরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্পগুলিতে অর্থসাহায্য করেছে।

প্রাচীন রোমেও লটারি প্রচলিত ছিল। মূলত ডিনার এর সময় বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে এই লটারি খেলা হতো। সম্রাট অগাস্টাস সিজার শহরে মেরামতির জন্য প্রথম সরকারি লটারির আয়োজন করেছিলেন যেখানে বিভিন্ন মূল্যের পুরস্কারও দেওয়া হতো।

প্রাচীন গ্রীসের এথেন্স শহরেও সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচন করার জন্য লটারি খেলার প্রচলন ছিল, যাকে 'সর্টিশন' বলা হয়। সেকালে এই পদ্ধতিটিকে ভোট প্রক্রিয়ার চেয়েও বেশি ভরসাযোগ্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যম বলে মনে করা হতো।

মধ্যযুগ থেকে আধুনিকভাবে লটারি খেলা শুরু হয়। পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইউরোপের বারগান্ডি এবং ফ্ল্যান্ডার্স শহরে দুর্গ নির্মাণ ও দরিদ্রদের আর্থিক সাহায্যের জন্য লটারি খেলা শুরু হয়।

১৪৬৬ সালে ব্রুজে দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য বিশেষভাবে একটি তহবিল গঠন করা হয় এবং তারই জন্য একটি লটারি অনুষ্ঠানও চালু করা হয়।

আমেরিকার প্রাথমিক ইতিহাসে লটারি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। যা প্রথম ইংরেজি উপনিবেশ স্থাপনে অর্থসাহায্য করে। ১৬১২ সালে ভার্জিনিয়া কোম্পানির লটারি ২৯০০০ পাউন্ড সংগ্রহ করেছিল, যা আজকের বাজারে প্রায় ৫২০০ টাকার সমান!

রাস্তা, গির্জা ইত্যাদি নির্মাণের কাজগুলিতেও লটারির অর্থ ব্যবহার হতো। হার্ভার্ড এবং ইয়েলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের কাজেও লটারির মাধ্যোমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল বলেই জানা যায়।

১৫৬৬ সালে রাণী এলিজাবেথ প্রথম, বিভিন্ন সরকারি কাজের তহবিলের জন্য লটারির অনুমোদন দিয়েছিলো। তবে মাঝে কিছু বছর তা বন্ধ থাকলেও পরে আবার চালু করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিবর্তন হতে হতে ১৯৮০ এর দশকে জ্যাকপট সহ লোটো গেমের প্রবর্তন হয়। এবং তারপর ধীরে ধীরে ক্যাসিনো, গেম সেন্টারের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

যদিও ভারতবর্ষে ক্যাসিনো এখনো অব্দি নিষিদ্ধ কিন্তু নিষিদ্ধ হলে কী হবে?
ডিয়ার লটারি সহ বিভিন্ন গ্যাম্বলিং অ্যাপ এর প্রচলন এই দেশে চালু রয়েছে।

কথায় আছে–
মুদ্রার একপিঠ থাকলে আরেকপিঠও থাকবে। লটারির যেমন এক ভালো ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনই প্রচুর মানুষ এই লটারির নেশায় টাকা ঢেলে ঢেলে পথে বসে গেছে।

"কোনো একদিন টাকা জিতব" এই আশায় তাদের আজ একটা টাকাও হাতে নেই। এছাড়াও আজকাল নানারকমভাবে জালিয়াতি করা হচ্ছে। ভুয়ো ফোন কল করা হচ্ছে, অগ্রিম অর্থ, ব্যাঙ্ক ডিটেলস ইত্যাদি প্রদানের জন্য বিভিন্ন মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে।

নিশ্চিত জেতার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে।

২০২৪ সালে লটারি জালিয়াতির অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে pray ৩ কোটি টাকা উদ্ধার করে।

২০২৫ সালে হায়দ্রাবাদ এর এক প্রবীণ নাগরিককে ফোন করে বলা হয় তিনি কেরালা লটারি তে ৫ লক্ষ টাকা জিতেছেন এবং আরো নানারকম কথা শুনিয়ে তার কাছ থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা আদায় করা হয়। এই বিষয়ে হায়দ্রাবাদ সাইবার ক্রাইম পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

এছাড়াও ২০২৫ সালের মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে পাঁচ ব্যবসায়ীকে জাল লটারি টিকিট বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

এবং সবথেকে বড় ঘটনা হলো "লটারি কিং নির্বাচনী বন্ড মামলা"।

সান্তিয়াগো মার্টিন এবং তার লটারি ব্যবসা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেমন ED এবং আয়কর বিভাগের নজরে রয়েছে। কারণ তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, জালিয়াতি এবং কর ফাঁকির অভিযোগ আছে।

ছোট করে বলে দিই সান্তিয়াগো মার্টিন হলেন একজন ব্যবসায়ী যিনি "মার্টিন গ্রুপ অফ কোম্পানিজ" এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।

তাঁর প্রধান ব্যবসা "ফিউচার গেমিং এন্ড হোটেল সার্ভিসেস" সংস্থার এর মাধ্যমে লটারি শিল্পকে বৃহত্তর আকারে পরিণত করা।

এই কোম্পানির দ্বারাই বন্ধ হয়ে যাওয়া “নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের” (ইলেক্টোরাল বন্ড) মাধ্যমে প্রায় ১৩৬৮ কোটি টাকার বন্ড কেনা হয়েছিল যা ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।

যাই হোক সে সব নিয়ে আলাদা করে একদিন ভিডিও করবো।

- ঋতম এবং রয়

দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি অভিনয়ের জীবনে এই প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন শাহরুখ খান। জওয়ান সিনেমাতে অভিনয় করার জন্যে সেরা অভিন...
01/08/2025

দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি অভিনয়ের জীবনে এই প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন শাহরুখ খান। জওয়ান সিনেমাতে অভিনয় করার জন্যে সেরা অভিনেতা হলেন বাদশাহ।

একদিকে দেশে পাঠানদের অত্যাচার। অন্যদিকে বাংলার উপর তাদের প্রভাব। এই  দুটো মিলিয়ে গোটা ভারতবর্ষ যখন তাদের জ্বালায় অস্থির,...
01/08/2025

একদিকে দেশে পাঠানদের অত্যাচার। অন্যদিকে বাংলার উপর তাদের প্রভাব। এই দুটো মিলিয়ে গোটা ভারতবর্ষ যখন তাদের জ্বালায় অস্থির, ঠিক সেই সময় উঠে আসে এমন একজন বাঙালি নারী যার নেতৃত্বে গোটা ভারতবর্ষ থেকে পাঠানদের আধিপত্য ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু কে ছিলেন এই নারী?

ইতিহাসের বই ঘাঁটলে আমরা ঝাঁসির রাণী লক্ষীবাঈ, মাতঙ্গিনী হাজরা, প্রীতিলতাদের মতো বীরাঙ্গনা চরিত্রকে খুঁজে পাই। কিন্তু অগোচরেই থেকে যায় আরেক বাঙালি নারীর গল্প।

মুঘল সম্রাট আকবর এর রাজত্বকালে বঙ্গদেশের হাওড়া, হুগলী, মেদিনীপুর ও বর্ধমানের কিছু অংশ নিয়ে বিস্তৃত ছিল বিশাল “ভূরিশ্রেষ্ট” রাজ্য। এই রাজ্য শাসন করতেন মহারাজা রুদ্রনারায়ণ রায়মুখুটি যিনি ছিলেন মহারাজা কৃষ্ণনারায়ণের বংশধর।

একদিন রাজা ভ্ররমোন করতে বেরিয়ে নদীর পারে একটি কন্যাকে একা অস্ত্র হাতে কতগুলো বুনো মহিষের সাথে লড়াই করতে দেখেছিলেন। মেয়েটির অদম্য সাহস, বল ও রণকৌশল দেখে তিনি অত্যন্ত মুগ্ধ হন। পরবর্তীকালে তিনি জানতে পারেন সেই মেয়েটি হলো তারই অধীনে কর্মরত দুর্গাধিপতি দীননাথ চৌধুরীর একমাত্র কন্যা সন্তান “ভবশঙ্করী”।

এই দুর্গাধিপতিরা ছিল রাজাদের অধীনে থাকা দুর্গগুলির চৌকিদার।

রাজা অত্যন্ত অভিভূত হয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং পরবর্তীকালে তাদের বিয়েও হয়।
কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই কোনো এক অজ্ঞাত কারণে রাজা মারা যান এবং রাজ্যের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে মহারাণী ভবশঙ্করীর উপরে।

রাণীমা তাঁর বীরত্বের সাথে তাঁর রাজ্যকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। তিনি সেখানকার প্রত্যেকটি মেয়েকে শিখিয়েছিলেন একাধারে যুদ্ধবিদ্যা ও রাজদণ্ডনীতি। মেয়েরা যে কোনো কিছুর থেকে পিছিয়ে থাকতে পারেনা তার জ্বলন্ত উদাহরণ ছিলেন এই মহারাণী ভবশঙ্করী।

তৎকালীন সময়ে গোটা ভারতে মুঘলদের রাজত্ব থাকলেও কিছু কিছু জায়গায় তখন পাঠানরা তাদের নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিলো এবং তাদের মধ্যে ছিল সাপে-নেউলে সম্পর্ক।

পাঠান সম্রাট উসমান খাঁ মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হওয়ার জন্য “ভূরিশ্রেষ্ঠ” রাজ্যকে আহ্বান জানায়। তবে রাণী ভবশঙ্করী সেই পত্রপাঠ শুনে নাকচ করে দেন।

রাগে ফেটে পড়েন উসমান খাঁ এবং আচমকাই তিনি ভূরিশ্রেষ্ঠ আক্রমণ করে বসেন। হঠাৎ এই আক্রমণে সবাই স্তম্ভিত হয়ে যায়। কিন্তু ভবশঙ্করী ছিলেন অত্যন্ত সাহসী এবং কূটনৈতিক স্তরে খুব বুদ্ধিমতী একজন নারী। তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে তাঁর সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে পাঠানদের সাথে যুদ্ধ করেন। ইতিহাসের পাতায় যা বাশুরির যুদ্ধ নামেও পরিচিত।

যুদ্ধে পাঠানরা বিপুলভাবে পরাজিত হয় এবং উসমান খাঁ কোনোক্রমে পালিয়ে গিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান। রাণীর এই বীরত্বের কথা তৎকালীন মুঘল সম্রাট আকবরের কান অবধি পৌঁছে গিয়েছিলো যার জন্য তাঁকে “রায়বাঘিনি” উপাধিও দেন। বর্তমানে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে তাঁর নামে একটি মন্দিরও রয়েছে। যার নাম “রায়বাঘিনি মন্দির”।

তবে ওনার বিষয় আরো অনেক কিছুই জানা যাবে। যেমন তাঁর রাজ্যতকালে কিভাবে তারই এক মন্ত্রী চতুর্ভূজ চক্রবর্তী ওই উসমান খাঁ এর সাথে গোপন চুক্তি করে কিংবা ওই বাশুরির যুদ্ধে কিভাবে তিনি উসমান খাঁ কে হারিয়েছিলেন সেই নিয়ে। যদি চাও তো এই নিয়ে একটা গোটা ভিডিও করা যেতে পারে সব তথ্য নিয়ে।

লেখা - ঋতম এবং রয়

গোল্ডেন রিট্রিভার– নামটা শুনলেই মনে আসে এক বিশ্বস্ত বন্ধুর কথা, যারা গোটা জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারে নিজেদের প্রভুকে ভালোবে...
31/07/2025

গোল্ডেন রিট্রিভার– নামটা শুনলেই মনে আসে এক বিশ্বস্ত বন্ধুর কথা, যারা গোটা জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারে নিজেদের প্রভুকে ভালোবেসে।

সারা বিশ্বে এই পোষ্য খুবই জনপ্রিয়। তোমাদের অনেকের বাড়িতেই হয়তো এই জাতের পোষ্য আছে। কিন্তু কখনো কি মনে হয়েছে যে এরা এলো কিভাবে? এদের ইতিহাসই বা কী?

আজ থেকে প্রায় অনেক বছর আগের কথা। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, স্কটল্যান্ডের এক পাহাড়ি এলাকায় বাস করতো ডাডলি কোটস মার্জোরিব্যাংকস (Dudley Marjoribanks) নামক একজন জমিদার। যিনি ইতিহাসের বুকে লর্ড টুইডমাউথ নামে পরিচিত।

লর্ড টুইডমাউথ সেকালে বনজঙ্গলে শিকার করতে খুব ভালোবাসতেন। তিনি চাইতেন তাঁর কাছে এমন একটি কুকুর থাকুক যে জলে হোক কিংবা ডাঙায়, সব জায়গাতেই সমানভাবে পারদর্শী হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, তখনকার দিনের মানুষেরা কালো কুকুরদের বেশি পছন্দ করতো। সোনালী অথবা হলুদ রঙের কুকুরকে কেউ অতটা গুরুত্ত্ব দিতো না। কিন্তু লর্ড টুইডমাউথ ছিলেন একটু অন্যরকমের মানুষ।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে কুকুরের গায়ের রং দিয়ে তার দক্ষতা বিচার করা যায়না।

তাই তিনি ১৮৬৮ সালে একটি বিশেষ প্রজাতির পুরুষ কুকুরকে নিজের পোষ মানিয়ে নেন। তার নাম “নৌস” রেখেছিলেন। এবং তারই সাথে সাথে তিনি একটি মেয়ে কুকুরকে সংগ্রহ করেন যার নাম ছিল “বেল”। বেল ছিল টুইড ওয়াটার স্প্যানিয়েল নামক এক বিরল প্রজাতির কুকুর যা বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়।

এই জাতের কুকুরগুলো জলে কাজ করতে এবং জল থেকে শিকার খুঁজে আনতে দারুণ পটু ছিল।

লর্ড টুইডমাউথ নৌস আর বেল এর ব্রীড করিয়েছিলেন।

আর তাদের মিলনের ফলে জন্ম হয়েছিল ৪ টি ফুটফুটে কুকুরছানা যাদের গায়ের রং সোনালী ছিল। এবং এই ৪ টি কুকুরই হলো আজকের গোল্ডেন রিট্রিভারদের প্রথম প্রজন্ম।

লর্ড টুইডমাউথ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে কুকুরদের মধ্যে ব্রিডিং করিয়েছেন এবং তাঁর প্রত্যেকটি ব্রিডিং এর রেকর্ড তিনি একটি চামড়ার বাঁধানো বইতে লিখে রাখতেন।

সেই মহামূল্যবান বইটি আজও ইংল্যান্ডের কেনেল ক্লাবে সংরক্ষিত রয়েছে।

তবে লর্ড টুইডমাউথ শুধু নৌস আর বেল-এই থেমে থাকেননি। তিনি তাদের বংশধরদের বিভিন্ন প্রজাতির কুকুর যেমন আইরিশ সেটার, ব্লাডহাউন্ডদের সাথেও ব্রীড করিয়েছিলেন!

ব্লাডহাউন্ড কুকুর মূলত গন্ধ শুঁকে শিকার বের করার জন্য খুব উপযুক্ত। যার ফলে গোল্ডেন রিট্রিভারদের মধ্যেও ঘ্রাণশক্তির পরিমাণ খুব বেশি হয়।

আবার অন্যদিকে, আইরিশ সেটার তার সৌন্দর্য্য এবং শরীরের দীর্ঘ লোমের জন্য খুব বিখ্যাত।
তাই মনে করা হয় যে গোল্ডেন রিট্রিভারদের গায়ের দীর্ঘ লোমগুলি আইরিশ সেটার এর প্রভাবেই এসেছে।

তবে এসবের মধ্যে লর্ড টুইডমাউথ এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি কুকুর তৈরী করা যে শিকারে পটু হবে, যে কোনো আবহাওয়ায় কাজ করতে সক্ষম হবে এবং মালিকের কথা শুনবে।

গোল্ডেন রিট্রিভাররা মূলত শিকারকে না মেরে তাদেরকে ধরে আনতে সক্ষম।

অন্যান্য কুকুরের তুলনায় এদের মুখের অংশটা খুব নরম হয় ফলে শিকারদের আহত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। তারা জল থেকে মাছ ধরে আনা থেকে শুরু করে ডাঙায় পাখি ধরা এবং নানারকম কাজে তারা বেশ দক্ষ।

এদের শরীরে অক্সিটোসিন নামের এক হরমোন বেশি মাত্রায় থাকে।
আর অক্সিটোসিন হরমোনকে “লাভ হরমোন” অর্থাৎ ভালোবাসার হরমোন বলা হয়ে থাকে।
তাই গোল্ডেন রিট্রিভাররা খুব প্রভুভক্ত হয়।

ধীরে ধীরে কুকুরগুলির বৈশিষ্ট্যগুলি আরো মজবুত হতে লাগে এবং কুকুরগুলি সভাবেও খুব মিষ্টি আর অনুগত হয়ে ওঠে।

এভাবেই লর্ড টুইডমাউথ এর স্বপ্ন সত্যি হয়। তার তৈরী করা এই নতুন জাতের কুকুরগুলি শিকারেও যেমন পারদর্শী, তেমনই তাদের মজার স্বভাব, বুদ্ধি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাদের জনপ্রিয় করে তোলে।

আজ সারা বিশ্বে গোল্ডেন রিট্রিভার একটি অন্যতম প্রিয় পোষ্য। শুধু শিকারি হিসেবে নয়, মানুষের বন্ধুও বটে। থেরাপি কুকুর ও বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত কুকুর হিসেবেও তারা দারুণ কাজ করে।

এই ছিল গোল্ডেন রিট্রিভার এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
তোমাদের প্রিয় পোষ্যের নাম কী দিয়েছো?

লেখা - ঋতম এবং রয়

তোমরা কি জানো গোটা ভেনিস শহর মাটি নয় কাঠের বিমের উপর দাঁড়িয়ে আছে?আর এই গোটা এলাকাটাই একটি সমুদ্রের মাঝে!৪২১ খ্রিস্টাব্দে...
31/07/2025

তোমরা কি জানো গোটা ভেনিস শহর মাটি নয় কাঠের বিমের উপর দাঁড়িয়ে আছে?
আর এই গোটা এলাকাটাই একটি সমুদ্রের মাঝে!

৪২১ খ্রিস্টাব্দে বর্বরদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল এক জলাভূমিতে। কিন্তু তারা জানতো না এই জায়গাতেই গড়ে উঠবে এক নতুন ইতিহাস, এক জলজ বিশ্ব– ভেনিস।

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করার পর তৈরী হয়েছে এই রহস্যময় শহরটি।

ভেনিস হলো প্রত্যেক প্রেমিক প্রেমিকারই একটা ড্রিম ডেস্টিনেশন। কিন্তু কিভাবে তৈরী হলো এই ভেনিস শহর?

আজকের ভেনিস যেই জায়গায় অবস্থিত, সেখানে বেশ কিছু বছর আগে কোনো জনবসতিই ছিলো না।

এলাকাটি মূলত ছিল জলাভূমি এবং ছোট ছোট দ্বীপের সংযোগস্থল।
পঞ্চম শতাব্দীতে হান এবং অন্যান্য বর্বর জাতিরা উত্তর ইতালি আক্রমণ করতে শুরু করে। তখন সেখানকার মানুষজন নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের সন্ধানে উপকূলের নির্জন দ্বীপগুলোতে পালিয়ে আসতে শুরু করে।

ভেনিস হলো অনেকটা উল্টানো বোনের মতো।
লক্ষ লক্ষ ছোট কাঠের গুঁড়ির উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এই শহরটি!

গুঁড়ির তীক্ষ্ণ অংশটি নিচের দিকে মুখ করে মাটিতে পোঁতা রয়েছে।
লার্চ, ওক, পাইন, স্প্রুস এবং এলমের মতো বিভিন্ন দৈর্ঘের গাছগুলি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পাথরের তৈরী প্রাসাদ এবং শহরের অট্টালিকাগুলোকে ধরে রেখেছে।

ভেনিসের জলাভূমির মাটি নরম এবং কাদাযুক্ত হওয়ায় সরাসরি তার উপর ভারী পাথরের ইমারত তৈরী করা সম্ভব ছিলো না। তাই তারা এক বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে।

কী সেই পদ্ধতি? তারা প্রথমে হাজার হাজার কাঠের খুঁটি কাদামাটির স্তর ভেদ করে শক্ত মাটির স্তর অব্দি পুঁতে দেয়। এই খুঁটিগুলো খুব ঘন করে বসানো হয় এবং তাদের মধ্যে থাকা ফাঁকা জায়গাগুলি পাথরের টুকরো ও বালি দিয়ে ভরাট করা হয়।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে জলের নিচে থাকার কারণে কাঠগুলি পচে যাওয়ার বদলে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায় কারণ সামুদ্রিক নোন জল ওই কাঠগুলোর মধ্যে ঢুকে কাঠগুলোকে আরো শক্ত করে তোলে ফলে শত শত বছর ধরে ভেনিসের এই কাঠের ভীত এখনো টিকে রয়েছে।

এই সময়কালে মানুষেরা রিও অল্টো, টরসেলো, এবং এস্টার নামের দ্বীপগুলিতে বসতি স্থাপন করতে থাকে। তারা সেখানে অস্থায়ী ঘরবাড়ি তৈরী করতো এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য মাছ ধরা ও নুন উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল ছিল।

রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এই অঞ্চলটি বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। বাইজান্টাইনরা এই দ্বীপগুলির গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং তাদের উপর প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা করে।

৬৯৭ সালে স্থানীয় লোকেরা তাদের মধ্যে একজন নেতা নির্বাচন করে যিনি ডোজ নামে পরিচিত হয়।পাওলো লুসিও আলফেস্টো ছিল সেখানকার প্রথম ডোজ। ডোজ এর কাজ ছিল বিভিন্ন দ্বীপের বসতিগুলোর মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা এবং বহিরাগত শক্তির আক্রমণ থেকে তাদের রক্ষা করা।

এই সময়কালে ভেনিস এর অর্থনীতিও ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে শুরু করে।

আর তার দরুন খুব দ্রুত তারা সামরিক শক্তিতেও উন্নত হয়ে ওঠে।
ধীরে ধীরে তারা বন্দর গড়ে তোলে।

এই বন্দর একদিকে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যে সাহায্য করতো অন্যদিকে সামরিক শক্তিও জোগাতো।মেডিটেররানিয়ান সাগরের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে ভেনিস শহর। এর সাথে সাথে তারা মসলা, রেশম ও অন্যান্য মূল্যবান পণ্য আমদানি রপ্তানি করতো।

বাণিজ্যিক সাফ্যলের সাথে ভেনিসের রাজনৈতিক প্রভাবও বাড়তে থাকে। তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে মধ্যস্থতা করার সাথে সাথে নিজেদের স্বার্থ রক্ষাও করতো। তবে শুধু ব্যবসা বাণিজ্যই নয় এই সময়ে ভেনিস এ শিল্প, সাহিত্য, ও স্থাপত্যের বিস্তার ঘটে।

কিন্তু পনেরোশো শতাব্দীর পর থেকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিস্তার ভেনিস এর বাণিজ্যিক পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পূর্ব মেডিটেরিয়ান সাগরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ উসমানীয়দের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ফলে ভেনিস এর ব্যবসাবাণিজ্যে ভাঁটা পড়ে।

১৭৫৭ সালে গ্রেট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট ভেনিস দখল করে, যার ফলে ভেনিস প্রজাতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটে।

নেপোলিয়ানের পর ভেনিস অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। কিছুদিন অস্ট্রিয়ান শাসনে থাকার পর ১৮৬৬ সালে ভেনিস ইতালির সাথে যুক্ত হয় এবং ইতালির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।

উনিশ শতকের শেষদিকে ভেনিস একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়।

১১৮ টি দ্বীপ নিয়ে তৈরি হওয়া এই ভেনিস-এ রয়েছে ৪০০ টি সেতু এবং ১৭৭ টি খাল যা একটি দ্বীপ এর সঙ্গে আরেকটি দ্বীপ কে যুক্ত করে। এখানকার এক একটা খাল, সেতু, গির্জা এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য গোটা বিশ্বজুড়ে মানুষকে মুগ্ধ করে তুলেছে।

এই ছিল ভেনিসের জন্মকথা - এক অসাধারণ সৃষ্টি, যা আজও আমাদের মুগ্ধ করে। এর প্রতিটি পাথর, প্রতিটি জলপথ যেন তার দীর্ঘ ইতিহাসের সাক্ষী। সুযোগ পেলে অবশ্যই ঘুরে এসো এই মায়াবী শহরে, নিজের চোখে দেখে আসো সেই অবিশ্বাস্য নির্মাণ।

- ঋতম সরকার এবং রয়

শোনা যায় দেবতাদের অভিশাপ লেগে আছে কৈলাস পর্বতের শিখরে। কেউ দেখেনি তার চূড়া, কেউ  সেখানে পা রাখেনি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধ...
31/07/2025

শোনা যায় দেবতাদের অভিশাপ লেগে আছে কৈলাস পর্বতের শিখরে। কেউ দেখেনি তার চূড়া, কেউ সেখানে পা রাখেনি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এক রহস্যময় নীরবতা ঘিরে রেখেছে এই পর্বতকে।

হিমালয়ের কোলে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রহরী হলো কৈলাস পর্বত। আজ পর্যন্ত কোনো মানুষের সাহস হয়নি সেই অভিশাপ ভাঙার। কী এমন আছে সেখানে?
যার জেরে কৈলাস পর্বত আজও অজেয়?

হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং বন– এই চারটি ধর্মের পবিত্র মিলনক্ষেত্র হলো কৈলাস পর্বত।

কৈলাস পর্বতটি চীন, ভারত ও নেপালের পশ্চিম সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।
তবে এটি সম্পূর্ণরূপে চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন তিব্বতের মধ্যেই পড়ে।

এই কৈলাস পর্বতের কাছেই বিখ্যাত মানস সরোবর এবং রাক্ষসতাল হ্রদ অবস্থিত। হিন্দুরা কৈলাসকে "শিবের আবাসস্থল" বলে মনে করে। তাদের বিশ্বাস এই পর্বতে ভগবান শিব তার স্ত্রী পার্বতী ও অনুচর নন্দী কে নিয়ে বসবাস করে। আবার অন্যদিকে বৌদ্ধরা কৈলাসকে "কাং রিনপোচে" নাম চেনেন যার অর্থ "তুষারের মূল্যবান রত্ন"।

কিন্তু জৈনরা আবার কৈলাসকে "অষ্টপদ" নামে ডেকে থাকে এবং বিশ্বাস করে যে তাদের ধর্মের শিক্ষক ঋষভনাথ এইখানেই মোক্ষ লাভ করেছিলেন।

আর বন ধর্ম হলো তিব্বতের প্রাচীন এক ধর্ম যাদের বিশ্বাস অনুযায়ী কৈলাস হলো নয়তলা বিশিষ্ট একটি পর্বত যা মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু।

আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট এর উচ্চতা হলো ৮৮৪৮ মিটার (বাড়তেও পারে), কিন্তু জানলে অবাক হবে যে কৈলাস পর্বতের উচ্চতা হলো মাত্র ৬৬৩৮ মিটার যা কিনা এভারেস্টের থেকে প্রায় ২০০০ মিটার কম। অথচ এভারেস্ট অনেক মানুষে জয় করলেও কৈলাস পর্বতে আজও অব্দি কোনো মানুষে চড়তে পারেনি। কিন্তু কেন?

এমন অনেক গল্প প্রচলিত আছে যে কৈলাস পর্বতে ওঠার সময় একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার পর আর ওঠা যায়না। শরীর অসুস্থ হতে শুরু করে, শাসকষ্টের সমস্যা হয় এবং সবথেকে অদ্ভুত বিষয় হলো বয়স নাকি বেড়ে যায়। তার সাথে সাথে হাতের নখও নাকি খুব দ্রুত বড়ো হতে থাকে।

আবার অনেকে বলে হাই অল্টিটিউড (উচ্চতা) এবং খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেখানে কেউ উঠতে পারেনা।

বিভিন্ন ধর্মীয় মত অনুসারে কৈলাস পর্বতকে দেবতাদের বাসস্থান হিসেবে দেখা হয়। তাই এই পবিত্র স্থান আরোহন করাকে অনেকে অশুভ বলে মনে করে থাকে।

আরো অদ্ভুত বিষয় হলো, কৈলাস পর্বতের উপর দিয়ে কোনোরকম বিমান বা হেলিকোপটার যেতে পারেনা। কৈলাসের উপর দিয়ে বিমান চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে চীন সরকার।

প্রশ্ন অনেক, কিন্তু এর উত্তর কী?
তা আমরা কেউ জানিনা।

কৈলাস শুধু একটি পর্বত নয়।
এটি প্রচুর মানুষের বিশ্বাস আর রহস্যের জীবন্ত প্রতীক।
ভবিষ্যতে কেউ কি এর রহস্য ভেদ করতে পারবে?
তা হয়তো শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তোমাদের কী মনে হয়?

29/07/2025

সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট এর জন্যে স্ক্রিপ্ট লিখছি, কিন্তু কেউ দেখছে না!

27/07/2025

এই বাঙালি সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারকে বাঙালিরাই চেনে না!
মিতি অধিকারীর হাত ধরেই তৈরী হয় কোল্ড প্লে, নির্ভানা, রেডিওহেড, পার্ল জ্যাম এর গান!

27/07/2025

এই পেজ এ আর ছবি / লেখা যাবে না। আবার ফিরছে ভিডিও।

তাই যাদের যাদের আমাদের কমেন্ট গুলো দেখে কষ্ট হচ্ছিলো খুব, তারা এবার নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন কারণ আর কোনো কমেন্টের একটিও রিপ্লাই দেওয়া হবে না।

এটাই শেষ লেখা পোস্ট (আপাতত)।

Address

Behala
Kolkata
700034

Website

https://www.laughalaughi.in/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when LaughaLaughi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to LaughaLaughi:

Share

Category

Why should you choose LaughaLaughi?

LaughaLaughi is a leader in marketing, content writing and branding of events and companies. Founded in 2014, the company has been committed to providing integrated end-to-end innovations to deliver excellence and value to clients, followers, businesses and public sector customers from over 42 countries around the world to enable increased connectivity and productivity.

We provide a workplace to be one that operates in a smooth, creative manner with all employees satisfied and productive.

We drive sustainability through various initiatives across our operations, supply chain and community.

SUSTAINABILITY STRATEGY