
26/09/2025
ফিরে দেখার
আনন্দ
বই বাজার-এ আনন্দ
শঙ্খ ঘোষের কবিতাই উঠে আসছে চেতনায়: ‘এখন আমার সব বই ঘুমন্ত, তার মাঝখানে/চুপ করে বসে আছি’…[বই]। ২৩ এপ্রিল দুপুরবেলা বাংলা আকাদেমির উঠোনে তখন বই বাজারের আয়োজন চলছে। আনন্দ-র স্টল ঘিরে উৎসুক গ্রন্থপ্রেমীদের অধীর অপেক্ষার অবসান হয় হয়। বইপত্রগুলো যেন আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠল। আনন্দ-র সিংহদুয়ার খুলতেই নিমেষে গ্রন্থগুলি ভরে গেল পরশপাথর-সন্ধানীদের ভিড়ে। ধুলো ঘেঁটে বই খুঁজতে বসে গেলেন এক দল। অন্য দল গ্রন্থ-তালিকায় দাগ দিয়ে আবদার পাঠালেন বইয়ের। সহসা ধূলিধূসরিত জীর্ণ একটি বই হাতে নিয়ে আত্মহারা জনৈক। বললেন: ‘কোহিনুর পেলাম মশাই, কোহিনুর!’ চোখে পাড়ল, তাঁর হাতে চুয়াল্লিশ বছর আগে প্রকাশিত ‘চিন্ময় বঙ্গ’ বইটি। শুধু কোহিনুর? রবীন্দ্রভারতীর ছাত্রী সুস্মিতা রায়চৌধুরী বললেন: ‘যেন আলিবাবার মতো ধন-রত্ন ঠাসা এক গুহায় ঢুকে পড়েছি।’ সুস্মিতা উদ্ধার করেছেন সুবোধ ঘোষ, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোজ বসু, বিমল মিত্র— এহেন স্মরণীয় লেখকদের উজ্জ্বল গ্রন্থসামগ্রী। ২০ এপ্রিল শেকসপিয়রের জন্মদিন থেকে মে-দিবস অবধি রোজই আনন্দ-র গ্রন্থভূমিতে এসে মিলিত হয়েছেন নানা বয়সের, নানা রুচির বইপ্রেমী। বইবাজারের উদ্যোক্তা ছিল বাংলা আকাদেমি এবং পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড।
[সংক্ষেপিত]
‘আনন্দ’ পত্রিকা। ত্রৈমাসিক। এপ্রিল-জুন ২০০২, দ্বিতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা।
👉আনন্দ-র বই সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন এই লিংকে: www.anandapub.in