02/09/2025
রাজ্য সরকার স্মার্ট মিটার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও লাগিয়ে দেওয়া স্মার্ট মিটারগুলো খুলে ডিজিটাল মিটার লাগানো, গ্রাহকদের টাকা স্মার্টলি লুট করার যন্ত্র প্রিপেইড মিটার লাগানোর কেন্দ্রীয় সরকারের আর ডি এস এস স্কীম বাতিল, রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির এলাকায় বর্ধিত ফিক্সডচার্জ, মিনিমাম চার্জ এবং সি ই এস সি এলাকায় অন্যায় ভাবে নেওয়া এফপিপিএএস নামে হাট সারচার্জ আদায় বন্ধ, গৃহস্তে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ও কৃষিতে বিনামূল্যের বিদ্যুতের দাবিতে আজ অল বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)-র ডাকে ৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লিখিত স্মারকলিপি নিয়ে মাননীয় রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছেন। কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত হয়ে সুসজ্জিত ট্যাবলাতে কয়েক এক লক্ষ কুড়ি হাজারের বেশি স্বাক্ষর সহ মিছিল রানী রাসমণি অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস, অল ইন্ডিয়া ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ অজয় চ্যাটার্জী, দার্জিলিং জেলা বিশিষ্ট সংগঠক রঞ্জিত বাড়ই, কলকাতা জেলার শাজাহান দেওয়ান, পূর্ব মেদিনীপুরের বিশ্বজিৎ দাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন অ্যাবেকার সভাপতি অনুকূল ভদ্র। নেতৃত্ববৃন্দ বলেন, সরকারি বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানিগুলোকে গোয়েঙ্কা, টাটা, জিন্দাল, আদানি, আম্বানিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। একই রাজ্যের মধ্যে কিছু গ্রাহক স্মার্ট মিটারের বিল পাবে না আর কিছু গ্রাহক পুরনো ডিজিটাল মিটারের বিল পাবেন,-- এটা অন্যায় ও অনৈতিক। তারা অভিযোগ করেন একদিকে রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র শিল্পমেলা করছেন আর অন্যদিকে ক্ষুদ্র শিল্পে প্রতি মাসে কেভিএ লোডে ২০০ টাকা মিনিমাম চার্জ ধার্য করায় রাজ্যের প্রায় অর্ধেক গমকল, হাস্কিং মিল, তেল কল সহ ছোট ছোট ক্ষুদ্র শিল্প ধ্বংস করে দিলেন। এই রাজ্যের লাগিয়ে দেওয়া স্মার্ট মিটারগুলো খুলে ফেলতে গ্রাহক প্রতিরোধ কমিটি তৈরি করে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানান। সিইএসসি-তে অন্যায় ভাবে এফপিপিএএস নামে সারচার্জ নেওয়া বন্ধ করার সাথে সাথে সারা রাজ্যে গৃহস্থে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত এবং কৃষিতে বিনামূল্যে বিদ্যুতের দাবি জানানো হয়। ডেপুটেশনে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি প্রদ্যুৎ চৌধুরী।