কবিতার আলো

কবিতার আলো একটি ত্রৈমাসিক সম্পূর্ণ কবিতার উপর গবেষণামূলক ট্যাবলয়েড।

গুলজার প্রখ্যাত ভারতীয় কবি, সুরকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি মূলত হিন্দী ভাষায় রচনা করলেও, উর্দু গজল রচনাতেও তাঁর বিশে...
17/08/2025

গুলজার প্রখ্যাত ভারতীয় কবি, সুরকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি মূলত হিন্দী ভাষায় রচনা করলেও, উর্দু গজল রচনাতেও তাঁর বিশেষ কৃতিত্ব আকাশচুম্বী। তিনি বহু চলচ্চিত্রে গীতিকার হিসেবে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে অন‍্যতম ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। আজ অর্থাৎ ১৮ আগস্ট তাঁর ৯১তম জন্মদিন। ১৯৩৪ সালের ১৮ আগস্ট অখণ্ড ভারতে তাঁর জন্ম (অধুনা পাকিস্তানের দিনা)। তাঁর সম্বন্ধে সকলেই অল্প বিস্তর জানেন। তবে আজ তাঁর জীবনের এক স্বল্পশ্রুত গল্প শোনাব।

গুলজারের যখন বছর দশেক বয়স সেই সময়ে রাতে সময় কাটানোর জন্য এক লাইব্রেরি থেকে বই ধার করে আনতেন তিনি। প্রতিরাত ৪ আনার বিনিময়ে একটি করে বই লাইব্রেরি থেকে নিয়ে আসতেন তিনি। রোজই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কিন্তু একদিন লাইব্রেরিতে কোনও বই পছন্দ হচ্ছে না তাঁর। তখন লাইব্রেরিয়ান বললেন, একটি বই দিচ্ছি, পড়ে দেখো। তারপর তিনি উপরের দিকের একটি তাক থেকে একটা বই বার করে সেটি দিলেন গুলজারের হাতে। বাড়ি ফিরে সেই বইয়ে ডুবে গেলেন গুলজার। এতই ভালো লেগে গেল, যে সেই বইটি তিনি আর ফেরত দিলেন না লাইব্রেরিতে। রেখে দিলেন নিজের কাছে। সেই বই থেকেই রবীন্দ্রনাথের প্রতি তৈরি হল তাঁর আকর্ষণ। গুলজারের জীবন বদলে দেওয়া সেই বইটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার ইংরেজি সংকলন ‘দ্য গার্ডেনার’-এর উর্দু অনুবাদ। এর পরেই তিনি ঠিক করে করে নেন জীবন সমপর্ণ করবেন রবিঠাকুরকে। কয়েক বছর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুলজার জানিয়েছিলেন, এক সময়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের বহু লেখা হিন্দিতে অনুবাদ করেছেন, কিন্তু সেটা মূলভাষা থেকে নয়, ইংরেজি অনুবাদ থেকে। কিন্তু এতে তিনি ঠিক সন্তোষলাভ করতে পারছিলেন না। তাঁর সর্বদাই মনে হত, রবিঠাকুরের মূল বাংলা শব্দগুলির মধ্যে যে গভীর সৌন্দর্য আছে, তার মাধুর্য‍্য ইংরেজি অনুবাদে কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি মনস্থির করলেন যে তাঁকে বাংলা শিখতে হবে। যত তিনি বাংলাভাষা শিখতে থাকেন ততই ধীরে ধীরে রবীন্দ্রনাথ তাঁর মনন ও চিন্তন দখল করে নেন। দিবারাত্রি কঠোর অধ‍্যবসায় করে শুধু বাংলা শিখতে শুরু করেন তিনি। লক্ষ্য একটাই রবিঠাকুরের লেখা মূল ভাষা থেকে হিন্দিতে অনুবাদ করা।

বর্তমান সময়ে ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা কবি রবীন্দ্রনাথের চর্চায় এক সময়ে বহু সময় কাটিয়েছেন। এখনও রবীন্দ্রনাথ তাঁর পথলার সঙ্গী, সেটাও জানান গুলজার সাহেব।

আজ তাঁর ৯১ তম জন্মদিনে তাঁকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা।।

"প্রিয়াকে আমার কেড়েছিস তোরা,                       ভেঙেছিস ঘরবাড়ি,    সে কথা কি আমি জীবনে মরণে                     কখ...
15/08/2025

"প্রিয়াকে আমার কেড়েছিস তোরা,
ভেঙেছিস ঘরবাড়ি,
সে কথা কি আমি জীবনে মরণে
কখনো ভুলতে পারি?"
মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যু ঘটা এই দৃপ্ত কলমকে আজীবন মনে রাখবে মানুষ।
মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ১৯২৬ সালের ১৫ই আগস্ট অর্থাৎ আজকের দিনে কলকাতায় তাঁর মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুর জেলার কোটালিপাড়ায়। পিতা নিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য কলকাতায় বইয়ের ব্যবসা করতেন।

সুকান্তের বাল্যশিক্ষা শুরু হয় কলকাতার কমলা বিদ্যামন্দিরে; পরবর্তীতে তিনি বেলেঘাটা দেশবন্ধু হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪৪ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। এ বছরই 'আকাল' নামক একটি সংকলনগ্রন্থ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। ১৯৪৫ সালে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু তাতে অকৃতকার্য হন এবং এই সময়তেই ছাত্র আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকান্ডে আরো বেশি করে জড়িয়ে পরেন। ফলে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, তেতাল্লিশের মন্বন্তর, ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রভৃতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে তাঁর দৃপ্ত কলম।

সুকান্ত কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দৈনিক স্বাধীনতা-র (১৯৪৫) ‘কিশোর সভা’ বিভাগ সম্পাদনা করতেন। মার্কসবাদী চেতনায় আস্থাশীল কবি হিসেবে সুকান্তর কবিতা বাংলা সাহিত্যে এক স্বতন্ত্র আসন লাভ করে। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য: ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি। পরবর্তীকালে উভয় বাংলা থেকে সুকান্ত সমগ্র নামে তাঁর রচনাবলি প্রকাশিত হয়। ১৯৪৪ সালে তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী লেখক ও শিল্পিসঙ্ঘের পক্ষে 'আকাল' নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।

সুকান্তের সাহিত্য-সাধনার মূল ক্ষেত্র ছিল কবিতা। সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম,যন্ত্রণা ও বিক্ষোভ তাঁর কবিতার প্রধান বিষয়বস্তু। তাঁর লেখার মধ্যে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাণীসহ শোষণহীন এক নতুন সমাজ গড়ার অঙ্গীকার উচ্চারিত হয়েছে। রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতার বৈপ্লবিক ভাবধারাটি যাঁদের সৃষ্টিশীল রচনার দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছে, সুকান্ত তাঁদের অন্যতম। তাঁর কবিতার ছন্দ, ভাষা, রচনাশৈলী এত স্বচ্ছন্দ, বলিষ্ঠ ও নিখুঁত যে, তাঁর বয়সের বিবেচনায় এরূপ রচনা সত্যিই বিস্ময়কর ও অনন‍্যসাধারণ।

আপোসহীন সংগ্রামী কবি সুকান্ত ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী। পার্টি ও সংগঠনের কাজে অত্যধিক পরিশ্রমের ফলে নিজের শরীরের উপর যে পরিমাণ অত্যাচারটুকু তিনি করেছিলেন তাতে তিনি প্রথমে ম্যালেরিয়া ও পরে দুরারোগ্য ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হন এবং ১৯৪৭ সালের ১৩ই মে মাত্র ২১ বছর বয়সে কলিকাতার ১১৯ লাউডট স্ট্রিটের রেড এড কিওর হোমে মৃত্যুবরণ করেন। সুকান্ত ভট্টাচার্যের জীবনকাল মাত্র ২১ বছরের আর তারমধ‍্যে লেখালেখি করেছিলেন মাত্র ৬/৭ বছর। সামান্য এই পরিসরে নিজেকে তিনি মানুষের কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তাঁর রচনাও পরিসরের দিক থেকে স্বল্প অথচ তা ব্যাপ্তির দিক থেকে সুদূরপ্রসারী।।

 #বিজ্ঞপ্তি আগস্ট মাসের ব্লগজিনের জন‍্য নির্ধারিত বিভাগগুলিতে লেখা পাঠান, ১৮ আগস্টের মধ‍্যে। বিষয়, 'স্বাধীনতা' এবং 'দ্রো...
07/08/2025

#বিজ্ঞপ্তি

আগস্ট মাসের ব্লগজিনের জন‍্য নির্ধারিত বিভাগগুলিতে লেখা পাঠান, ১৮ আগস্টের মধ‍্যে। বিষয়, 'স্বাধীনতা' এবং 'দ্রোহের ১২ মাস'। এই দুই বিষয়কে মাথায় রেখে পাঠিয়ে দিন আপনার লেখা,

[email protected]

এই মেইল আইডিতে পাঠিয়ে দিন আপনার লেখা।

বিস্তারিত পোস্টারে দেওয়া রইল।

পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা হয় মহালয়ার পূণ্য প্রভাতে, আর প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে অনুরণিত হয়, "আশ্বিনের শারদ প্রাত...
03/08/2025

পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা হয় মহালয়ার পূণ্য প্রভাতে, আর প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে অনুরণিত হয়, "আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির..." সেই কন্ঠস্বরে যেন কি এক অপার্থিব মায়া! আজ সেই মনমোহক স্বরের অধিকারী বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র'র জন্মদিবস। ১৯০৫ সালে ৪ঠা আগষ্ট কলকাতার আহিরিটোলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রখ্যাত এই বেতার সম্প্রচারক, নাট‍্যকার, অভিনেতা, নাট‍্য পরিচালক এবং সাহিত‍্যিক।

সালটা ১৯৩১ পঙ্কজ কুমার মল্লিক ঠিক করলেন এবছর মহালয়ার ভোরে আকাশবাণী থেকে সরাসরি চণ্ডীপাঠ করবেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। এমনটা ঠিক হতেই রেডিও অফিসের আনাচে কানাচে গুঞ্জন উঠে গেল, "কায়েতের ছেলে হয়ে চণ্ডীপাঠ করবে! এ কেমন কথা? এতো কানে শোনাও পাপ! সমাজ কী বলবে? লোকে ছিঃ ছিঃ করবে যে।" যাঁকে ঘিরে এই গুঞ্জন সেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র সেইসব শুনে ম্লানমুখে আবেদন জানালেন পঙ্কজ কুমার মল্লিকের কাছে যে কোনো ব্রাহ্মণ সন্তানকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু পঙ্কজবাবুও নাছোড়। তাঁর একটিই কথা, মহালয়ার সূর্য উঠবে বীরেন্দ্র কৃষ্ণের স্ত্রোত্রপাঠ শুনতে শুনতে। আকাশবানী থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে 'মহিষাসুরমর্দিনী' বাণী কুমারের গ্রন্থণায় এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপলা সেন, ইলা বসু, পঙ্কজ মল্লিক, সুপ্রীতি ঘোষের গানে। পঙ্কজ মল্লিকের জেদের কাছে নতি স্বীকার করে মহালয়ার আগের রাতে সমস্ত শিল্পীর সমাবেশ হলো আকাশবাণীতে। অবশেষে এলো সেই ব্রাহ্ম মুহূর্ত; মা দুর্গাকে স্মরণ করে স্ত্রোত্র পাঠ শুরু করলেন বীরেন্দ্রবাবু। পাঠ করতে করতে তিনি আস্তে আস্তে ডুবে যেতে লাগলেন মন্ত্রের মধ্যে। তাঁর পাঠের সঙ্গে চলছে সমস্ত শিল্পীদের কালজয়ী সব গান--- 'তব অচিন্ত্য রূপ চরিত মহিমা', 'বাজলো তোমার আলোর বেনু', 'জাগো তুমি জাগো' ইত্যাদি। সেইসঙ্গে এগিয়ে চলেছে পাঠ আর যেন বাহ্যজ্ঞান রহিত হয়ে পড়ছেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ। একেবারে শেষ পর্বে এসে মাকে ডাকতে ডাকতে তিনি আত্মভোলা। চোখ দিয়ে, গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে শরতের শিশিরের মতো পবিত্র অশ্রুকণা। বাকিরা বাকরূদ্ধ হয়ে শুনছেন সেই পাঠ। সেই সম্প্রচারণ শুনে গায়ে কাঁটা দিয়েছিল আপামর বাঙালি শ্রোতার। বাংলার আকাশে-বাতাসে তখন গমগম করছে একটাই ডাক, "আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির।"

পরের দিন সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, অমন হৃদয় নিংড়ানো চণ্ডীপাঠ করলেন কে? কেউ ভুলেও জানতে চাননি, যিনি পাঠ করলেন তাঁর জাত কী? ভাগ‍্যিস ৮৭ বছর আগে জিতে গিয়েছিল পঙ্কজ মল্লিকের জেদ। নইলে এক নয়া ইতিহাস রচিত হতোনা সেদিন। সেই শুরু, তারপর কেটে গেছে সুদীর্ঘ ৯৪ বছর। সেইসঙ্গে বদলেছে বাঙালির জীবন, পছন্দ, ভালোলাগা, মন্দলাগা। কিন্তু বাঙালির পছন্দে বদল ঘটেনি এই একটি জায়গায়। এবিষয়টিতে বাঙালি ভীষণ প্রাচীনপন্থী। মহালয়া আর বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র এই দুটিই যেন সমার্থক হয়ে গেছে। এই ব্যাপারে বাঙালি এতটাই স্পর্শকাতর যে মহানায়ক উত্তমকুমারকেও পর্যন্ত রেয়াত করেনি তারা। ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার সময় মহানায়ক এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ওপর দায়িত্ব বর্তেছিল 'মহিষাসুরমর্দিনী' অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনের। বাঙালি কিন্তু সেদিন প্রত‍্যাখ‍্যান করেছিল তাদের প্রিয় মহানায়ককে। এমনকি মহানায়কের বাড়িতে নাকি ঢিল পর্যন্ত ছোঁড়া হয়েছিল। আর কতৃপক্ষের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে অভিমানে-অপমানে আকাশবাণী ছেড়ে দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ। কিন্তু সুপারফ্লপ সেই সম্প্রচারণ শুনে বোধোদয় হয়েছিল বেতার জগতের কর্মকর্তাদের। সসম্মানে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল বীরেন্দ্র কৃষ্ণকে। এমনকি মহানায়ক নিজে বীরেনবাবুর বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন তাঁর কাছে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আর কখনও বদল ঘটেনি সিদ্ধান্তে। যদিও ১৯৯১ সালের ৩রা নভেম্বর তাঁর পার্থিব শরীরের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে পঞ্চভূতে, তবুও যতদিন বাঙালি জাতির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন পর্যন্ত মহালয়ার পূণ্য প্রভাতে বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে বেঁচে থাকবেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র।।

আধুনিক হিন্দি এবং উর্দু ভাষার অন্যতম সফল লেখক ছিলেন মুন্সি প্রেমচাঁদ। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য সাহিত্যিক ...
31/07/2025

আধুনিক হিন্দি এবং উর্দু ভাষার অন্যতম সফল লেখক ছিলেন মুন্সি প্রেমচাঁদ। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য সাহিত্যিক এবং বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় লেখকদের মধ্যে অন্যতম অগ্রগামী লেখক। ১৮৮০ সালের ৩১ জুলাই, অর্থাৎ আজকের দিনে তাঁর জন্ম হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের বেনারসে 'লামহি' নামক এক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাঁর আসল নাম ধনপত রায়। তবে মুন্সি প্রেমচাঁদ নামেই তিনি খ্যাত। তাঁকে জীবনবাদী সাহিত্যিক বলা হয়। এছাড়া হিন্দি সাহিত্যে তিনি ‘উপন্যাস-সম্রাট’ হিসেবেও খ্যাত। তিনি হলেন আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের জনক। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তুলনা করে তাঁকে 'হিন্দি সাহিত্যের বঙ্কিম' বলে অভিহিত করা হয়। ১৯১০ সালে 'বড়ে ঘরকী বেটি' প্রকাশিত হলে উর্দু সাহিত্যে তিনি স্থায়ী আসন লাভ করেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস গোদান। প্রেমচাঁদের লেখা অধিকাংশ সাহিত্যকর্ম ইতিমধ্যে বাংলা ভাষায় অনূদিত ও বহুল পঠিত।

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হল প্রেম পঁচিশি, প্রেম বত্তিশি, খাক পরোয়ানা, খোয়াব ও খেয়াল, ফেরদৌসে খেয়াল, প্রেম চল্লিশি, আখেরি তোফাহ, যাদরাহ, নির্মলা ইত্যাদি।

উপন্যাস:
বরদান
প্রতিজ্ঞা
সেবাসদন
প্রেমাশ্রম
নির্মলা
রঙ্গভূমি

নাটক:
সংগ্রাম
কার্বলা
প্রেম কী বেদী

ছোটোগল্প
কফন

১৯৩৬ সালের ৮ অক্টোবর, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে তাঁর মৃত্যু হয়।।

তিনি বাংলা সঙ্গীতজগতের অন্যতম দিকপাল, তিনি কান্তকবি - তিনি ‘পঞ্চকবি’দের একজন- স্বমহিমাতেই তিনি চির ভাস্বর, তিনি হলেন বাং...
26/07/2025

তিনি বাংলা সঙ্গীতজগতের অন্যতম দিকপাল, তিনি কান্তকবি - তিনি ‘পঞ্চকবি’দের একজন- স্বমহিমাতেই তিনি চির ভাস্বর, তিনি হলেন বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের আকাশে অন্যতম এক নক্ষত্র শ্রী রজনীকান্ত সেন। বাংলা ভাষায় যে পাঁচজন কবি কবিতার পাশাপাশি সঙ্গীত রচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদেরকে বলা হয় ‘পঞ্চকবি’। রজনীকান্ত সেন সেই ‘পঞ্চকবি’দের মধ্যে অন‍্যতম। বাকিরা হলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এবং অতুল প্রসাদ সেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের অসংখ্য গান যেমন মানুষের মুখে মুখে ফেরে কিংবা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’, অতুল প্রসাদের ‘মোদের গরব মোদের আশা/ আ-মরি বাংলা ভাষা’ ইত্যাদি গান ভুবনমোহন হয়ে উঠলেও, রজনীকান্তের অসংখ্য গান ও কবিতাই রয়ে গেছে অশ্রুত কিংবা স্বল্পশ্রুত। অথচ রজনীকান্তের গানে বাণী ও ছন্দের যে মেলবন্ধন, সুরের যে অপূর্ব লয়, সর্বোপরি ভাবের যে গভীরতা, তা এককথায় অতুলনীয়।

রজনীকান্ত সেনের জন্ম ১৮৬৫ সালের ২৬ জুলাই, বুধবার। বয়সে তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের চেয়ে চার বছরের ছোট। অর্থাৎ তিনি রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়েরও সমসাময়িক কবি তিনি। রজনীকান্তের জন্মস্থান অধুনা বাংলাদেশের পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ মহকুমাতে। তিনি বৈষ্ণব ব্রজবুলি ভাষায় রচিত প্রায় ৪০০টি বৈষ্ণব পদাবলির একটি সংকলন প্রকাশ করেন ‘পদচিন্তামণিমালা’ নামে।

ছোটবেলায় তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে (তৎকালীন বোয়ালিয়া জেলা স্কুল) ভর্তি হন। এরপর কুচবিহার জেনকিন্স স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা, রাজশাহী কলেজ থেকে এফএ, কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বিএ ও বিএল (ব্যাচেলর ইন ল’) পাস করেন। রজনীকান্তের মা-বাবা দুজনই ছিলেন সঙ্গীতে যথেষ্ট দক্ষ। এই পারিবারিক ধারার কারণেই ছেলেবেলা থেকেই গান-পাগল হয়ে ওঠেন তিনি।
১২৯৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত ‘আশালতা’ নামের মাসিক একটি পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই প্রকাশিত হয় রজনীকান্ত সেনের কবিতা। গান রচনায় অস্বাভাবিক দ্রুত গতিসম্পন্ন ছিলেন রজনীকান্ত। কলেজের যে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলেই রজনীকান্তের ডাক পড়ত। রজনীকান্ত তখন অনুষ্ঠানস্থলে এসে অনুষ্ঠান চলাকালীনই গান রচনা ও তাতে সুর সংযোজন করে তা গেয়ে আসর জমাতেন। তাঁর বিখ্যাত সব গানের বেশির ভাগই খুবই অল্প সময়ের মধ্যে রচিত।

সালটা ১৯০৫; বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলা। সেইসময় বিলাতী সব পণ্য বয়কট করে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করার জন্য যে দুর্বার সংগ্রাম গড়ে ওঠে, সেই আন্দোলনকে রবীন্দ্রনাথের মতো রজনীকান্তও সমর্থন করেন। আর রজনীকান্ত রচনা করেন---“মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই; দীন দুখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই..." তাঁর এই গানটি গণ-আন্দোলনে প্রবল প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের জোয়ার সৃষ্ট করে। এর মাধ্যমেই তিনি খ্যাতি লাভ করেন এবং কান্তকবি নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এছাড়া তাঁর ঈশ্বর-ভক্তিমূলক গানগুলোর জন্য রজনীকান্ত সঙ্গীতের জগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। পরম বিনয়ের গুণে নিজের সমস্ত আরাধনা-উপাসনাকে সর্বদাই অপ্রতুল মনে করতেন রজনীকান্ত। তাই তাঁর পরম প্রার্থনা- “তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে, মলিন মর্ম মুছায়ে; তব পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক, মোর মোহ কালিমা ঘুচায়ে।।”

স্বদেশী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশাত্নবোধক গান রচনা এবং অসাধারণ সব প্রার্থনাসঙ্গীত রচনা করে আর জলসায় জলসায় গান গেয়ে যখন রজনীকান্ত পরিচিতি পেতে শুরু করলেন, কিছুটা নাম-যশও অর্জন করলেন, তখনই ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাঁর কণ্ঠনালীতে প্রদাহ দেখা দেয় এবং চিকিৎসকেরা তাঁর কণ্ঠনালীতে ল্যারিঙ্কস্‌ ক্যানসার শনাক্ত করেন। ক্যান্সার গুরুতর আকার ধারণ করায় চিকিৎসাতে কোন কাজ হচ্ছিল না। চিকিৎসকেরা জানান, বিলেত থেকে রেডিয়াম এনে থেরাপি প্রয়োগ করলে তবেই সুফল পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ হওয়ায় সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব হয়নি। আরোগ্যের আশায় দুটি বইয়ের সত্ব বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে তাঁর কণ্ঠনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয় না, বরং অবস্থা জটিল হয়ে চিরতরে বাকশক্তি হারান এই কবি। জীবনের শেষ দিনগুলোতে নিদারুণ কষ্ট ও শোকের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করেছেন রজনী। তবে কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেলেও তিনি নির্বাক অবস্থায় ক্রমাগত লিখে চলছিলেন নানান নীতি কাব্যগাথা আর ভক্তিমূলক সংগীত।

হাসপাতালে শায়িত অসুস্থ কান্তকবি সেইসময় একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে চান। হাসপাতালের ওই পরিবেশে কবিগুরুর ছিল চরম অস্বস্তি কিন্তু তা সত্ত্বেও, তিনি রজনীকান্তের অনুরোধ জানতে পেরে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে রবীন্দ্রনাথ নিজে হারমোনিয়াম বাজান আর গান ধরেন রজনীকান্তের সন্তান ক্ষিতীন্দ্র ও শান্তিবালা। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়ে গেলে রবীন্দ্রনাথ চলে গেলেন আর এই অনুভূতির প্রেক্ষিতেই রজনীকান্ত রচনা করলেন, “আমায় সকল রকমে কাঙ্গাল করেছে, গর্ব করিতে চুর, তাই যশ ও অর্থ,মান ও স্বাস্থ্য,সকলি করেছে দূর। ওইগুলো সব মায়াময় রূপে, ফেলেছিল মোরে অহমিকা-কূপে,তাই সব বাধা সরায়ে দয়াল করেছে দীন আতুর।”

১৯১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, মাত্র ৪৫ বছর বয়সে কলকাতা মেডিকেল কলেজের কটেজ ওয়ার্ডে এই মহান কবি পরলোক গমন করেন।।

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পর অন্যতম সেরা ইংরেজ নাট্যকার হিসেবে যিনি সমালোচকদের দৃষ্টি কাড়েন সেই বিশ্ববিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার এ...
26/07/2025

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পর অন্যতম সেরা ইংরেজ নাট্যকার হিসেবে যিনি সমালোচকদের দৃষ্টি কাড়েন সেই বিশ্ববিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জর্জ বার্নার্ড শ’ ১৮৫৬ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ২৬ জুলাই আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বলা হয় তাঁর মতো উচ্চমানসম্পন্ন সাহিত্য সমালোচক বিশ্বে বিরল। কারণ, যে কোনো সাহিত্য সৃষ্টিকেই তিনি তাঁর সুনিপুণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সমালোচনা করতেন। সঙ্গীত এবং সাহিত্য সমালোচনা বিষয়ক লেখালেখি তাঁকে আর্থিক সচ্ছলতা দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু তাঁর মেধার প্রকৃত আলো,নান্দনিকতা, শিল্পবোধের স্ফুরণ ঘটেছিল নাটকেই। তিনি ৬০টিরও অধিক সংখ্যক নাটক রচনা করেছেন।

জর্জ বার্নার্ড শ’ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যাগুলোকে হাস্যরসের মোড়কে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাঁর সাহিত্যকর্মে ফুটিয়ে তুলতেন। শিক্ষা, বিয়ে, ধর্ম, সরকার, স্বাস্থ্যসেবা এবং শ্রেণী-সুবিধাই ছিল জর্জ বার্নার্ড শ’র লেখার বিষয়বস্তু। তাঁর অধিকাংশ লেখাতেই, শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি হওয়া শোষণের বিপক্ষে তাঁর অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। একজন কট্টর সমাজতান্ত্রিক হিসেবে ফ্যাবিয়ান সোসাইটির পক্ষে জর্জ বার্নার্ড শ’ অনেক বক্তৃতা দেন ও বহু বই রচনা করেন। জর্জ বার্নার্ড শ’ এমন একটি ব্যক্তিত্ব যিনি যুগপৎ সাহিত্যে নোবেল (১৯২৫) এবং অস্কার (১৯৩৮) পুরস্কার লাভ করেন।বলা হয়েছিল যে, তিনি তাঁর কলমের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন আদর্শবাদের ধ্বজা উড়িয়েছেন তেমনি গেয়েছেন চিরন্তন মানবিকতারও জয়গানও। সেই সঙ্গে অসাধারণ সব কৌতুকসম্পন্ন বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন সকলকে। তাঁর রচনার মধ্যে একটা কাব্যিক সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকত সর্বদা। সাহিত্য সমালোচকদের মতে, উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পর জর্জ বার্নার্ড শ’ই হলেন সেরা ব্রিটিশ নাট্যকার।

জর্জ বার্নার্ড শ রচিত প্রথম নাটক মঞ্চস্থ হয় ১৮৯০ সালে। এরপর অচিরেই তিনি তাঁর সমাজে দারুণভাবে প্রভাব বিস্তার করেন এবং পরবর্তীকালে ১৮৯৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স। এ ছাড়াও তিনি বিখ্যাত সংবাদপত্র নিউ স্টেটম্যানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। জর্জ বার্নার্ড শ আগাগোড়া একজন সাহিত্য ও রাজনীতি সমালোচক হিসেবে খ্যাতিমান ছিলেন। তবে নাটক তাকে সব খ্যাতি অতিক্রম করেছিল। কারণ তার নাট্য রচনা ও বিষয়বস্তুর উৎকর্ষতার কারণে তিনি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। জর্জ বার্নার্ড শ’ রচিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক হলো- Arms and the Man, The Man of Destiny, Man and Superman (1903). Back to Methuselah (1921), Saint Joan (1923), Caesar and Cleopatra (1901), Androcles and the Lion (1912), Major Barbara (1905), The Doctor's Dilemma (1906), Candida (1898), Pygmalion (1912) ইত্যাদি।

জর্জ বার্নার্ড শ’ স্বভাবসুলভ হাস্য রসিক ছিলেন। তাঁকে নিয়ে বহু হাস্যরসিকতা চালু আছে তারমধ‍্যে একটি - জর্জ বার্নার্ড শ’ ছিলেন হালকা-পাতলা গড়নের মানুষ। আর তাঁর বন্ধু বিশ্বখ্যাত চিত্র পরিচালক আলফ্রেড হিচকক ছিলেন খুবই মোটা ও বিশাল ভুঁড়ির অধিকারী। একবার শ’-কে ঠাট্টা করে হিচকক বললেন, "তোমাকে দেখলে মনে হয় ইংল্যান্ডে দুর্ভিক্ষ চলছে।" তৎক্ষণাৎ শ’ পালটা বললেন,"আর তোমাকে দেখলে বোঝা যায় দুর্ভিক্ষের কারণটা কী!"

জর্জ বার্নার্ড শ’র বহুল মূল্যবান উক্তিগুলির মধ‍্যে কয়েকটি উক্তি হলো,

- জীবনে দুটি দুঃখ আছে। একটি হল তোমার ইচ্ছা অপুর্ণ থাকা, অন্যটি হল ইচ্ছা...

- প্রেম হল সিগারেটের মতো, যার আরম্ভ হল অগ্নি দিয়ে আর শেষ পরিণতি ছাইতে

- নতুন কিছু করাই তরুণের ধর্ম

- মিথ্যা জ্ঞানের থেকে সাবধান। এটি জানার অনীহা থেকেও বিপজ্জনক।

৯৪ বছর বয়সে ১৯৫০ সালের ২ নভেম্বর ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে পরলোকগমন করেন এই বিরল প্রতিভাধর ব‍্যক্তিত্ব।।

25/07/2025
প্রকাশিত হল এমাসের ব্লগজিন। বাউল বিষয়ক লেখায় ঋদ্ধ এই সংখ্যা। সমস্ত কলমচিদের অভিনন্দন জানাই৷ প্রচ্ছদ শিল্পী শ্রদ্ধেয় অভিষ...
23/07/2025

প্রকাশিত হল এমাসের ব্লগজিন। বাউল বিষয়ক লেখায় ঋদ্ধ এই সংখ্যা। সমস্ত কলমচিদের অভিনন্দন জানাই৷ প্রচ্ছদ শিল্পী শ্রদ্ধেয় অভিষেক নন্দীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

কবিতার আলো পড়ুন এবং পড়ান।

                                                                  প্রচ্ছদ ঋণঃ- অভিষেক নন্দী

Big shout out to our newest top fans! 💎 Lahari Chakraborty, Haradhan Bhattacharjee, Kakali Dasbanerjee, Srimanta Sen, Ar...
23/07/2025

Big shout out to our newest top fans! 💎 Lahari Chakraborty, Haradhan Bhattacharjee, Kakali Dasbanerjee, Srimanta Sen, Arpita Thakur, Rudrani U, Manjusree Chakraborty, Robin Basu, Niloy Nandi, Rajat Sarkar, Gangadhar Sarkar, Tajin Ahmed, Pijus Sarkar, মলয় দাস, Samanta Menaka, Ketaki Basu, Shameem Nawroz, Micheal Baroi, Chiranjit Bhandari, Sarmishtha Paul Chowdhury, Lakshmikanta Mandal

Drop a comment to welcome them to our community,

বাংলা সাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বিংশ শতাব্দীর একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও গল্পলেখক। তিনি...
22/07/2025

বাংলা সাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বিংশ শতাব্দীর একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও গল্পলেখক। তিনি ১৮৯৮ সালের ২৩ জুলাই বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে একটি জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা প্রভাবতী দেবী। বাল্যকালেই পিতাকে হারান তিনি এবং তারপর মা এবং বিধবা পিসিমার আদর-যত্নে লালিত-পালিত হন।

লাভপুরের যাদবলাল হাই স্কুল থেকে তিনি ১৯১৬ সালে এন্ট্রান্স পাস করেন। তারপর প্রথমে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং পরে সাউথ সুবার্বন কলেজ অধুনা আশুতোষ কলেজে ভর্তি হন। সেই সময়কালে সারা দেশ জুড়ে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন দানা বাঁধে। তিনি সেই আন্দোলনে যোগ দেন এবং ফলস্বরূপ ১৯২১ সালে এক বছর অন্তরীণ থাকতে হয় তাঁকে। ফলে তাঁর প্রথাগত শিক্ষাজীবনের এখানেই সমাপ্তি ঘটে।

এরপর তিনি পুরোপুরিভাবে কংগ্রেস দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এইকারণে ১৯৩০ সালে তাঁকে প্রায় এক বছর কারাবরণ করতে হয়। একবার তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন। সালটা ১৯৩২ তিনি প্রথমবার শান্তি নিকেতনে গেলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে সাক্ষাৎ করতে। এরপরেই তাঁর অভিমুখ বদলে গেল, তিনি নিজের গ্রামে চলে গেলেন এবং সম্পূর্ণরূপে সাহিত্যসাধনায় আত্ম নিয়োগ করলেন। ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘চৈতালি ঘূর্ণি’।

সালটা ১৯৪০-৪১ সারা বিশ্বজুড়ে বেজে চলেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। সেইসময় তিনি কলকাতার বাগবাজার চলে যান এবং বছরখানেক পরে চলে যান বরানগর। ১৯৪২ সালে বীরভূম জেলা সাহিত্য সম্মেলনে তাঁকে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী লেখক ও শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মনোনীত করা হয়। এরপর ১৯৪৪ সালে তিনি কানপুরে বসবাসকারী বাঙালীদের দ্বারা আয়োজিত ‘কানপুর বাংলা সাহিত্য সম্মেলন’-এও সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন। ১৯৪৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন। এই সম্মলনের উদ্বোধন করেন তারাশঙ্কর বন্ধ‍্যোপাধ‍্যায়।

১৯৫৭ সালে আমন্ত্রণ আসে চীন থেকে।এরপরের বছরই সোভিয়েত ইউনিয়নে সংঘটিত হয় এফ্রো-এশিয়ান লেখক সঙ্ঘের কমিটি গঠনের প্রস্তুতিমূলক সভা। সেই সভায় যোগদান করেন তিনি। তারপর তাসখন্দে অনুষ্ঠিত হয় এই এফ্রো-এশিয়ান লেখক সম্মেলন। সেই সম্মেলনে তিনি ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭০ সালে তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ-এর সভাপতি নির্বাচিত হন। এরই মাঝে পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার নির্বাচিত সদস্য হিসেবে আট বছর দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবন বলতে কিছুকাল কলকাতায় কয়লার ব্যবসা এবং কিছুকাল কানপুরে চাকরি।

চার দশকের বেশিসময় ধরে সাহিত্য সাধনা করে গেছেন তারাশঙ্কর। তাঁর রচনাকালে তিনি প্রায় ২০০ গ্রন্থ রচনা করেন। এরমধ্যে ৬৫ টি উপন্যাস, ৫৩ টি গল্পের বই, ১২ টি নাটক, ৪ টি প্রবন্ধের বই, ৪ টি আত্মজীবনী এবং ২ টি ভ্রমণ কাহিনী, ১ টি কাব্যগ্রন্থ, ১ টি প্রহসন।

তারাশঙ্করের রচিত প্রথম গল্প ‘রসকলি’ সেকালের বিখ্যাত পত্রিকা কল্লোল-এ প্রকাশিত হয়। এছাড়া কালি কলম, বঙ্গশ্রী, শনিবারের চিঠি, প্রবাসী, পরিচয় প্রভৃতি প্রথম শ্রেণির পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। প্রথম জীবনে কিছু কবিতা লিখলেও মূলত কথাসাহিত্যিক হিসেবেই তারাশঙ্কর খ্যাতিলাভ করেন। ‘কবি’ উপন্যাসটি তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের একটি কালজয়ী সাহিত্যকর্ম। উপন্যাসটির মূল বিষয়বস্তু তৎকালীন হিন্দু সমাজের রূপ ও আচার, প্রেম, জীবনসংগ্রাম, মানুষের মনের বিভিন্ন দিক ইত্যাদি। ‘ডাক হরকরা’ তারাশঙ্করের আরেকটি সেরা গ্রন্থ।

তাঁর রচনার বিষয়বস্তু এবং সৃষ্ট চরিত্রগুলোর দিক থেকে বিচার করলে তাঁর সমগ্র রচনাকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটা হল গ্রাম্যজীবন ভিত্তিক নিম্নবিত্ত সমাজের ব্রাত্যজনদের সুখ-দুঃখের কাহিনী, আর দ্বিতীয়টা হল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে লেখা কাহিনী। একটা ভাগ ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ পর্যন্ত। আর একটা ভাগ ‘মন্বন্তর’ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত। ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ তারাশঙ্করের রচনার দুটি ভাগের মধ‍্যে প্রথমভাগের শেষ পর্বের মহাকাব্যিক উপন্যাস। তাঁর জীবনে প্রথম থেকেই রাজনীতির প্রত‍্যক্ষ উপস্থিতি। আর সেই কারণেই তিনি তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ‘গণদেবতা’, ‘পঞ্চগ্রাম’, ‘ধাত্রীদেবতা’ উপন্যাস ত্রয় রাজনৈতিক মহাকাব্যিক অনুষঙ্গে লিখতে সমর্থ হন । তাঁর লেখায় বিশেষভাবে উঠে এসেছে জন্মভূমি বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের মাটি ও মানুষ, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের জীবনচিত্র, স্বাধীনতা আন্দোলন, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, ব্যক্তির মহিমা ও বিদ্রোহ, সামন্ততন্ত্র-ধনতন্ত্রের দ্বন্দ্বে ধনতন্ত্রের বিজয় ইত্যাদি তাঁর উপন্যাসের বিষয়বস্তু। মানবচরিত্রের নানান জটিলতা ও তার নিগূঢ় রহস্য তাঁর উপন্যাসে জীবন্তভাবে ফুটে উঠেছে। শরৎচন্দ্রের পরে কথাসাহিত্যে যাঁরা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তারাশঙ্কর ছিলেন তাঁদের মধ‍্যে অন‍্যতম। তিনি বাংলা ছোটগল্পেরও অন্যতম প্রধান কারিগর ও নির্মাতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটগল্প রচনায় হাত না দিলে হয়তো তারাশঙ্করই হতেন বাংলা ছোটগল্পের জনক।

তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের বহু রচনা অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। এর মধ্যে ‘জলসাঘর’ ও ‘অভিযান’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রখ্যাত চলচিত্রকার সত্যজিৎ রায়।

তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় তাঁর সাহিত‍্যকর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ বেশ কিছু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘শরৎস্মৃতি পুরস্কার’ (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৪৭), ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৫৬), আরোগ্য নিকেতনের জন্য ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ (পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ১৯৫৫), একই উপন্যাসের জন্য ‘সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার’ (১৯৫৬), ‘জ্ঞানপীঠ পুরস্কার’ (১৯৬৭) এবং ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মশ্রী’ (১৯৬২) ও ‘পদ্মভূষণ’ (১৯৬৮) উপাধি লাভ করেন।

১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই মহান কথাসাহিত্যিকের মৃত্যু হয়।।

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় একজন বাঙালি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবি। তিনি বনফুল ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত। ১৮৯৯ সালের ১৯ জুলাই  অ...
19/07/2025

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় একজন বাঙালি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবি। তিনি বনফুল ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত। ১৮৯৯ সালের ১৯ জুলাই অবিভক্ত ভারতবর্ষের বিহার রাজ্যের মনিহারীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

সাহিত্যিক পরিচয় ছাড়াও আরো একটি সত্তা ছিলো বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের। তিনি ছিলেন মনেপ্রাণে একজন ডাক্তার। ১৯১৮ সালে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ভালো র‍্যাঙ্ক করে উত্তীর্ণ হন তিনি। ১৯২০ সালে তিনি হাজারিবাগ সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পঠনপাঠন করবার পাশপাশি পাটনা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবি ডিগ্রি লাভ করেন। প্যাথলজিস্ট হিসাবে টানা চল্লিশ বছর কাজ করেছেন তিনি।

১৯৬৮ সাল থেকে স্থায়ীভাবে কলকাতায় থাকতে শুরু করেন। ডাক্তারির পাশাপাশি তাঁর অন্যতম প্রেম ছিল সাহিত্যচর্চা। প্রায় এক হাজারের বেশি কবিতা, ৫৮৬টি ছোটোগল্প, ৬০টি উপন্যাস লিখেছেন। লিখেছেন বহু প্রবন্ধ, নাটক এবং আত্মজীবনী। তাঁর এই লেখালেখির সূত্রপাত সেই কোন ছেলেবেলায়। ইচ্ছে হলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করবার। সেইসব পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে তাঁর নাম যাতে শিক্ষকদের নজরে না আসে এবং তাঁরা যেন বলতে না পারে- লেখাপড়ার সময় সাহিত্যচর্চা হচ্ছে! তিনি ঠিক করলেন একটি ছদ্মনাম ব্যবহার করবেন এবং কোথাও লেখা প্রকাশিত হলে ওই নামেই বেরোবে। শিক্ষকদের কাছ থেকে নিজের আসল নাম লুকোতেই বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় সাহিত্যের আঙিনায় আত্মপ্রকাশ করলেন বনফুল হিসেবেই। ১৯১৫ সালে বিহারের সাহেবগঞ্জ স্কুলে পড়ার সময়েই ‘মালঞ্চ’ পত্রিকায় একটি কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়েই সূচনা হলো তাঁর সাহিত্যজীবনের। বনফুলের ব‍্যাপক সাহিত‍্যসম্ভারে নানান স্বাদের বৈচিত্র্যময় সমাবেশ থাকলেও মূলত তিনি পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তাঁর ব্যঙ্গ বা প্যারোডি কবিতার জন্য। সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত তখনকার বিখ্যাত পত্রিকা ‘শনিবারের চিঠি’র নিয়মিত কবি ছিলেন বনফুল। তাঁর বিখ্যাত একটি ব্যঙ্গ কবিতার নিদর্শন রইলো যার সম্পূর্ণ সম্ভার তাঁর ‘মর্জিমহল’ নামের ডায়েরিতে পাওয়া যায় -

রাম যবে শ্যামের বৌকে চুম্বন করিলেন/
শ্যাম গিয়া রামের টুঁটি চাপিয়া ধরিলেন/
রাম কয় ছাড় ছাড় লোডশেডিং ভাই রে/
মোর চুমা বেঠিকানায় পৌঁছিল তাই রে।

এছাড়াও নিয়মিত প্রবাসী, ভারতী এবং তৎকালীন অন্যান্য নানান পত্রিকায় ছোটগল্প প্রকাশ করতেন। সাহিত‍্যিক বনফুল হাজারেরও বেশি কবিতা, ৫৮৬টি ছোট গল্প, ৬০টি উপন্যাস, ৫টি নাটক, জীবনী ছাড়াও অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাঁর সমগ্র রচনাবলীসমগ্র মোট ২২ টি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।

সাহিত্যজগতে তাঁর কীর্তির জন্য তিনি পদ্মভূষণ উপাধি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি শরৎস্মৃতি পুরস্কার (১৯৫১), রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৬২), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক (১৯৬৭) ইত্যাদি বহু পুরস্কার দ্বারা সম্মানিত হন। ১৯৭৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট উপাধি প্রদান করে। ১৯৭৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এই মহান সাহিত‍্যিকের জীবনাবসান হয়।।

Address

165/A, Criper Road , PO/Konnagar, Dist/Hooghly, PIN/
Konnagar
712235

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কবিতার আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share