InKrishnanagar

InKrishnanagar সমগ্র নদিয়ার ইতিহাস নিয়ে আমরা লিখি পড়ি

Our Official Youtube -
https://bit.ly/3P8svuh
(1)

শহর - জেলা এবং তার নিজস্ব ইতিহাস এ এক বড়ো তথ্য ভাণ্ডার। কম্পাস ছাড়া সমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে যেমন তার ব্যাপ্তি বা পরিসীমা মাপা যায় না , তেমনি জ্ঞান ভাণ্ডারেরও কোনো পরিসীমা হয় না ; কেবল প্রতিদিন জানার আরো একটু ইচ্ছাই আমাদের জ্ঞানের মাত্রাকে পুষ্ট করে তোলে।

আমাদের জ্ঞান সীমিত। এই বিশাল সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর জ্ঞান আহরণ করতে পারলেই আমরা ধন্য হবো। আপনারা সাথে ও সহযোগিতায় থাকলে অনেক ভুল ও সঠিকের মাঝে সেটু

কু সাহস আমরা করতে পারি।

আমাদের শহর বা জেলার হারাতে থাকা স্মৃতি বা ইতিহাস তুলে ধরে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলেই আমাদের কাজের সার্থকতা অনুভব বোধ করবো।

প্রাপ্তির থেকেও জ্ঞানের পিপাসাই আমাদের পেজের মূল নীতি বাক্য। মাথা আমাদের কেবল শরীরের উপরেই থাকুক , সমাজের উপরে নয়।।

আমরা সবাই মিলে ভালো থাকি ও সুস্থ থাকি।।

Our Official Group : https://www.facebook.com/groups/banglarsthapatya

আজ নারী দিবস।। আসুন স্মরণ করি নদীয়া জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় মহীয়সী দুজন নারীর অবদান।  বীণা দাস  এবং...
08/03/2025

আজ নারী দিবস।। আসুন স্মরণ করি নদীয়া জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় মহীয়সী দুজন নারীর অবদান। বীণা দাস এবং সুপ্রীতি সান্যাল মজুমদার।

#বীণা দাস - নদীয়া জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় নাম। তিনি সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন, যাঁরা ব্রাহ্মসমাজ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন। বীণা দাস কলকাতার একটি আধা-বিপ্লবী মহিলা সংগঠন 'ছাত্রী সংঘ'-এর সদস্য ছিলেন। ১৯৩২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হলে তিনি বাংলার গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা করেন। কমলা দাশগুপ্তের সরবরাহ করা রিভলভার থেকে পাঁচটি গুলি চালিয়েও ব্যর্থ হন এবং নয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ১৯৩৯ সালে আগাম মুক্তি পাওয়ার পর, বীণা দাস কংগ্রেস দলে যোগ দেন। ১৯৪২ সালে, তিনি ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুনরায় কারাবন্দী ছিলেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা প্রাদেশিক আইনসভার এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ছিলেন। তাঁর আত্মজীবনীতে, ধীরা ধর কর্তৃক বাংলা থেকে অনূদিত, বীণা দাস উল্লেখ করেছেন কীভাবে "সুভাষ বাবু" তাঁর বাবার দ্বারা গভীরভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং তাঁর পিতামাতার বাড়িতে নিয়মিত আসতেন। সুভাষ বসুর সঙ্গে বীণা দাসের প্রথম সাক্ষাৎ আত্মজীবনীতে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর মা বলেছিলেন, "সুভাষ, আমার কন্যা তোমার একজন বড় ভক্ত।" বসুর রাজনৈতিক বিশ্বাস তরুণী বীণা দাসকে আকৃষ্ট করে, যা তাঁর ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাবকে আরও দৃঢ় করে। বীণা দাসের বিপ্লবী জীবন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।

#সুপ্রীতি সান্যাল মজুমদার ১৯১৯ সালের ২ ডিসেম্বর নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিল। পিতা শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ছিলেন সমাজকর্মী এবং মাতা শৈলবালা দেবী ছিলেন সক্রিয় স্বাধীনতা সংগ্রামী। মা ও দাদার অনুপ্রেরণায় সুপ্রীতি যুগান্তর আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯৩০ সালে গান্ধীজির নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি পিকেটিং, খাদি বিক্রি এবং সভা-সমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালে কৃষ্ণনগরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে একই মঞ্চে ভাষণ দেন। নেতাজির সঙ্গে মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় তিনি গ্রেপ্তার হন, যা নদীয়ার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মহিলা গ্রেপ্তারের ঘটনা। কারাগার থেকে মুক্তির পর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। গোবিন্দ পদ দত্ত, বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায় ও তারকদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৪১ সালে নেতাজির সঙ্গে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪২ সালের আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে ৪১ বছর দায়িত্ব পালন করেন এবং একজন সম্মানিত শিক্ষাবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। সমাজ সংস্কারে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে স্বীকৃতি পান। সুপ্রীতি সান্যাল মজুমদার ১৯৯৫ সালের ২৫ অক্টোবর প্রয়াত হন।

WE DO NOT ALLOW ANY COPY OF OUR CONTENT. If you like please share our post.
Content By : © InKrishnanagar Team
Graphical Work : InKrishnanagar Team
Date : 8th March 2025
Thank you for being a part of our journey.
With gratitude,
— 𝐈𝐧𝐊𝐫𝐢𝐬𝐡𝐧𝐚𝐧𝐚𝐠𝐚𝐫 𝐓𝐞𝐚𝐦

#নারীদিবস

❤️  #বীরনগর
07/03/2025

❤️ #বীরনগর

 #চাকদহ  ❤️
06/03/2025

#চাকদহ ❤️

04/03/2025
 #বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শহরের বেতার কেন্দ্র নিয়েছিল এক অগ্রণী ভূমিকা।  ১৯৭১ সালে - সে সময়ও কৃষ্ণনগর শহ...
16/02/2025

#বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শহরের বেতার কেন্দ্র নিয়েছিল এক অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৭১ সালে - সে সময়ও কৃষ্ণনগর শহরে ছিলো এক গোপন রেডিও স্টেশন, বেতার ট্রান্সমিটার। সেখান থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে থাকতো দেশাত্ববোধক বার্তালাপ। আসুন শুনে নেওয়া যাক তারই কিছু খন্ড কথা।

সে সমস্ত তথ্য জানতে কমেন্ট এ দেওয়া লিংকে আমাদের অফিসিয়াল 𝐘𝐨𝐮𝐓𝐮𝐛𝐞 চ্যানেলে দেখতে পারেন ভিডিওটি। ধন্যবাদ।

14/02/2025

পণ্ডিত গোপেন্দুভূষণ তার ‘নবদ্বীপে সংস্কৃত চর্চার ইতিহাস’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন - "সেসময়ে নবদ্বীপ কে বিশ্ববিদ্যালয় নগর বলা হত"। সে সময়কালে শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে নবদ্বীপ ছিল সারা দেশে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষার স্থান। নবদ্বীপের সর্বক্ষেত্রে যেন হয়ে উঠেছিল - বিদ্যাচর্চার বিরাট এক সাধন ক্ষেত্র। বহু দূর দূরান্ত থেকে ছাত্ররা আসতেন নবদ্বীপের বিদ্যাক্ষেত্রের শিক্ষায় আলোকিত হয়ে উঠেতে।

আজ আমাদের কিছুটা অন্য ভাবে ভাবনায় - "নবদ্বীপের বিদ্যানিকেতন"।

#নবদ্বীপ

আজ রেডিও ডে, ১৯৭১ সালে কৃষ্ণনগরে ছিলো রেডিও স্টেশন, বেতার ট্রান্সমিটার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কৃষ্ণনগরের বেতার কেন্দ্র...
13/02/2025

আজ রেডিও ডে, ১৯৭১ সালে কৃষ্ণনগরে ছিলো রেডিও স্টেশন, বেতার ট্রান্সমিটার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কৃষ্ণনগরের বেতার কেন্দ্র নিয়েছিল এক অগ্রণী ভূমিকা। আজ রেডিও ডে'তে জেনে নেবো কৃষ্ণনগরের বেতার কেন্দ্রের অজানা ইতিহাস।

আমারা বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ শ্রী সঞ্জিত দত্ত মহাশয়ের কাছে , তার কাছে আমরা জেনেছি মূল্যবান তথ্য।
তথ্য জানতে কমেন্ট এ দেওয়া লিংকে আমাদের অফিসিয়াল 𝐘𝐨𝐮𝐓𝐮𝐛𝐞 চ্যানেলে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।

13/02/2025

আজ রেডিও ডে, ১৯৭১ সালে কৃষ্ণনগরে ছিলো রেডিও স্টেশন, বেতার ট্রান্সমিটার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কৃষ্ণনগরের বেতার কেন্দ্র নিয়েছিল এক অগ্রণী ভূমিকা। আজ রেডিও ডে'তে জেনে নেবো কৃষ্ণনগরের বেতার কেন্দ্রের অজানা ইতিহাস।

আমার বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ শ্রী সঞ্জিত দত্ত মহাশয়ের কাছে , তার কাছে আমরা জেনেছি মূল্যবান তথ্য।
আরো তথ্য জানতে কমেন্ট এ দেওয়া লিংকে আমাদের অফিসিয়াল 𝐘𝐨𝐮𝐓𝐮𝐛𝐞 চ্যানেলে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।

𝗧𝗼𝗱𝗮𝘆 𝗶𝘀 𝗥𝗮𝗱𝗶𝗼 𝗗𝗮𝘆. In 1971, there was a radio station and transmitter in 𝐊𝐫𝐢𝐬𝐡𝐧𝐚𝐧𝐚𝐠𝐚𝐫. This radio station played a pivotal role in 𝑩𝒂𝒏𝒈𝒍𝒂𝒅𝒆𝒔𝒉'𝒔 𝑳𝒊𝒃𝒆𝒓𝒂𝒕𝒊𝒐𝒏 𝑾𝒂𝒓. On this Radio Day, we will explore the untold history of Krishnanagar's radio station.

To download or reuse of any video from InKrishnanagar is completely prohibited. If you like our video please share. We are always welcome you.

।। সবুজ পাতার ঘর বাড়ি ।।
08/02/2025

।। সবুজ পাতার ঘর বাড়ি ।।

  নদিয়া জেলা সম্পর্কে ― প্রতি দিন যা জানছি , যা পড়ছি আপনাদের তাই শেয়ার করবার চেষ্টা করি মাত্র , কখনো ছোট বা কখনো একটু বড়...
08/02/2025

নদিয়া জেলা সম্পর্কে ― প্রতি দিন যা জানছি , যা পড়ছি আপনাদের তাই শেয়ার করবার চেষ্টা করি মাত্র , কখনো ছোট বা কখনো একটু বড়ো লেখার মাধ্যমে ।

আমার এই ছোট ছোট কন্টেন্টের একটাই মূল উদ্দেশ্য থাকে - আবার করে মানুষের কাছে নদীয়ার ঐতিজ্য ভরা তথ্য পৌছাক । আমরা সবাই অনেক কিছু না হলেও টুকরো টুকরো ইতিহাস জেনে রাখি আমাদের জেলার । আমাদের মধ্যে দিয়ে আগামী প্রজন্মও যদি মনে রাখে আমাদের জেলার ইতিহাস - ঐতিহ্য ।।

নদিয়ার অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব আছেন , যারাও অনেক ভালো কাজ করছেন তাদের মতন করে নদিয়ার তথ্য ভান্ডারকে সকলের সামনে তুলে ধরবার। তাদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ অবনমন।

আসলে প্রতিটি জেলারই নিজেস্ব নিজেস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য বর্তমান । তাকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদেরই কর্তব্য । মাঝে মাঝে দেখি অনেক পুরাতন পুরাতন মন্দির ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন কিছুর সংযোজন হচ্ছে । আসলে সেখানে নতুন কিছুতো হচ্ছে - কিন্তু ঐতিহ্য হারাচ্ছে । ঐতিহ্য ধারণ ও বাঁচিয়ে রাখার কাঁধকে আমাদের এগিয়ে দিতে হবে ।

ভালো থাকুন 🍀

― বিশ্বজিৎ ভৌমিক
।। এডমিন ডেস্ক ।।

নদিয়ার নবজাগরণ সময় কাল , যখন নদিয়ার পুরাকীর্তির মস্তক আবার ধীরে ধীরে উন্নীত হচ্ছে । নদীয়ায় মুসলিম রাজত্বকালে প্রতিষ্ঠি...
08/02/2025

নদিয়ার নবজাগরণ সময় কাল , যখন নদিয়ার পুরাকীর্তির মস্তক আবার ধীরে ধীরে উন্নীত হচ্ছে ।

নদীয়ায় মুসলিম রাজত্বকালে প্রতিষ্ঠিত কোন উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তির নিদর্শন পাওয়া যায় না। স্থানীয় ইতিহাসের সেই অন্ধকার যুগে, জীবনের সর্বক্ষেত্রে অগ্রগতি ছিল রুদ্ধ। পঞ্চদশ শতকের শেষে নদীয়ায় শ্রী মহাপ্রভুর (১৪৮৬ ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দ ) আবির্ভাবের ফলে জাতির জীবনে সুচিত হল এক নবজাগরণ ।

ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পকলা,স্থাপত্য ও ভাস্কর্য বিকশিত হতে লাগল নতুন উদ্দীপনায় । নবদ্বীপ তথা নদীয়াকে কেন্দ্র করে নববৈষ্ণবধর্মের যুগাম্তকারী অভ্যুদয়ের স্পর্শে সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি-স্থাপত্য-ভাস্কর্যে দেখা দিল যুগোপযোগী পরিবর্তন । সমৃদ্ধ হয়ে উঠল মন্দিরশিল্প এবং পোড়ামাটির ভাস্কর্য। নদীয়ার
মন্দিরগুলি বাংলার নিজস্ব মন্দিরস্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হলেও সেগুলি যে কেবল দেবস্থানমাত্র হয়েই রইলো তা কিন্তু নয় , তারা নদীয়ার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের প্রত্যক্ষ উপাদান হয়ে রইলো। তার যতটুকু রয়ে গেছে - তা আমরা প্রত্যক্ষ করছি আজ ।

।। নদীয়া জেলার পুরাকীর্তি ।।

তিনি ছিলেন বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর শিষ্য ; দু চোখে ছিল তার আগুনপাখি। দেশকে স্বাধীন করার ছিল একমাত্র সংকল্প। অত্যাচারী ইংর...
06/02/2025

তিনি ছিলেন বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর শিষ্য ; দু চোখে ছিল তার আগুনপাখি। দেশকে স্বাধীন করার ছিল একমাত্র সংকল্প। অত্যাচারী ইংরেজ সাহেব লর্ড হার্ডিঞ্জকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর রাসবিহারী বসু পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বসন্ত বিশ্বাস ধরা পড়েন। বিচারে তার ফাঁসির আদেশ হয়।

বাংলার সমাজ-অর্থনীতির অবস্থা তখন গভীর সঙ্কটে। সেই টালমাটাল সময়ে অবিভক্ত ভারতের নদিয়া জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম পরাগাছা-তে জন্মেছিলেন তিনি। সালটা ১৮৯৫ , ৬ ফেব্রুয়ারি।

যুগান্তর গোষ্ঠীর সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। তারপর রাসবিহাসীর বসুর সঙ্গেই ছদ্মনাম নিয়ে দিল্লি চলে যান । বোমা তৈরিতে বিশেষ কৌশলী ছিলেন সদ্য কৈশোর পেরনো বসন্ত বিশ্বাস। রাসবিহারী বসু এবং অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে অস্ত্রশিক্ষাতেও পারদর্শী হয়ে ওঠেন। একাধিক বৈপ্লবিক কর্মসূচিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। তারপরেই আসে সেই মিশন- লর্ড হার্ডিঞ্জের উপর হামলার পরিকল্পনা। ওই হামলায় সফল হয়নি, কিন্তু ধাক্কা দিয়েছিল ব্রিটিশদের। ১৯১২ সালে লর্ড হার্ডিঞ্জের উপর বোমা ছুড়ে পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন তিনি। ওই মামলায় জড়িতদের জন্য সেই সময় দাঁড়িয়ে লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ব্রিটিশ সরকার। লাভ হয়নি। তারপরে ১৯১৩ সালে মে মাসে লাহোরে লরেন্স গার্ডেনেও ব্রিটিশ পুলিশদের একটি ক্লাবে বোমা নিক্ষেপ করেন তিনি। সেই সময় গ্রেফতার হন তাঁর তিন সঙ্গী আমিরচাঁদ, বাল মুকুন্দ, অবোধ বিহারী। বসন্ত বিশ্বাস ফিরে আসেন নিজের গ্রামে। বাবা মারা গিয়েছিলেন, শ্রাদ্ধের কাজের সময়ে বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ধরা পড়ে যান তিনি, সময়টা ১৯১৪।

বিচারের পর তাঁকে এবং তাঁর বাকি সঙ্গীদের মৃত্যুদণ্ড দেয় ব্রিটিশ ভারতের আদালত। ওই ঘটনায় যাঁরা দোষী বলে সাব্যস্ত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ছিলেন বসন্ত বিশ্বাস। বাকিদের আগে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হয়। ১৯১৫ সালের ১১ মে তৎকালীন অম্বালার কেন্দ্রীয় জেলে তাঁর প্রাণদণ্ড কার্যকর হয়। তখন বসন্ত বিশ্বাসের বয়স মাত্র ২০।

অত্যাচারী ব্রিটিশরা বসন্ত কুমার বিশ্বাসের প্রাণ কেড়ে নিলেও তাঁর আত্মবলীদান কার্যত অমরগাথা হয়ে রয়ে গিয়েছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে। বিংশ শতকে সবথেকে কম বয়সী অকুতভয় শহিদ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকায় উজ্জ্বলভাবে রয়ে গিয়েছে বীর এই বঙ্গসন্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য দেওয়া আত্মবলিদান।

কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্র ভবনের সামনে, মুড়াগাছা স্কুলে, তার বাসভবনে , জাপানের টোকিও শহরে রয়েছে তার আবক্ষ মূর্তি।

আপনারা আসুন তার স্মৃতি ধন্য বাসভবনে। প্রতিবছর তার জন্মতিথি উপলক্ষে জন্মতিথিতে "বসন্ত মেলা"র আয়োজন করা হয় নদিয়ার পোড়াগাছা গ্রামে।

𝐇𝐨𝐰 𝐭𝐨 𝐫𝐞𝐚𝐜𝐡 : কি ভাবে পৌঁছাবেন ? কৃষ্ণনগর শহর থেকে বাস বা টোটো সহযোগে মাজদিয়া বা গেঁদে-বানপুর লাইনে নামুন ঝাউতলা এবং সেখান থেকে টোটোতে চলে আসুন বিপ্লোবী বসন্ত কুমার বিশ্বাস এর স্মৃতি ধন্য বাসভবনে।

আজ তার পুন্য জন্মতিথিতে আমাদের সশ্রদ্ধ প্রণাম।

#বসন্তকুমারবিশ্বাস #লর্ডহার্ডিঞ্জ

Address

Krishnanagar City
Krishnagar City
741101

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when InKrishnanagar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to InKrishnanagar:

Share