
08/03/2025
আজ নারী দিবস।। আসুন স্মরণ করি নদীয়া জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় মহীয়সী দুজন নারীর অবদান। বীণা দাস এবং সুপ্রীতি সান্যাল মজুমদার।
#বীণা দাস - নদীয়া জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় নাম। তিনি সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন, যাঁরা ব্রাহ্মসমাজ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন। বীণা দাস কলকাতার একটি আধা-বিপ্লবী মহিলা সংগঠন 'ছাত্রী সংঘ'-এর সদস্য ছিলেন। ১৯৩২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হলে তিনি বাংলার গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা করেন। কমলা দাশগুপ্তের সরবরাহ করা রিভলভার থেকে পাঁচটি গুলি চালিয়েও ব্যর্থ হন এবং নয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ১৯৩৯ সালে আগাম মুক্তি পাওয়ার পর, বীণা দাস কংগ্রেস দলে যোগ দেন। ১৯৪২ সালে, তিনি ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুনরায় কারাবন্দী ছিলেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা প্রাদেশিক আইনসভার এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ছিলেন। তাঁর আত্মজীবনীতে, ধীরা ধর কর্তৃক বাংলা থেকে অনূদিত, বীণা দাস উল্লেখ করেছেন কীভাবে "সুভাষ বাবু" তাঁর বাবার দ্বারা গভীরভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং তাঁর পিতামাতার বাড়িতে নিয়মিত আসতেন। সুভাষ বসুর সঙ্গে বীণা দাসের প্রথম সাক্ষাৎ আত্মজীবনীতে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর মা বলেছিলেন, "সুভাষ, আমার কন্যা তোমার একজন বড় ভক্ত।" বসুর রাজনৈতিক বিশ্বাস তরুণী বীণা দাসকে আকৃষ্ট করে, যা তাঁর ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাবকে আরও দৃঢ় করে। বীণা দাসের বিপ্লবী জীবন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।
#সুপ্রীতি সান্যাল মজুমদার ১৯১৯ সালের ২ ডিসেম্বর নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিল। পিতা শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ছিলেন সমাজকর্মী এবং মাতা শৈলবালা দেবী ছিলেন সক্রিয় স্বাধীনতা সংগ্রামী। মা ও দাদার অনুপ্রেরণায় সুপ্রীতি যুগান্তর আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯৩০ সালে গান্ধীজির নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি পিকেটিং, খাদি বিক্রি এবং সভা-সমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালে কৃষ্ণনগরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে একই মঞ্চে ভাষণ দেন। নেতাজির সঙ্গে মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় তিনি গ্রেপ্তার হন, যা নদীয়ার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মহিলা গ্রেপ্তারের ঘটনা। কারাগার থেকে মুক্তির পর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। গোবিন্দ পদ দত্ত, বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায় ও তারকদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৪১ সালে নেতাজির সঙ্গে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪২ সালের আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে ৪১ বছর দায়িত্ব পালন করেন এবং একজন সম্মানিত শিক্ষাবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। সমাজ সংস্কারে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে স্বীকৃতি পান। সুপ্রীতি সান্যাল মজুমদার ১৯৯৫ সালের ২৫ অক্টোবর প্রয়াত হন।
WE DO NOT ALLOW ANY COPY OF OUR CONTENT. If you like please share our post.
Content By : © InKrishnanagar Team
Graphical Work : InKrishnanagar Team
Date : 8th March 2025
Thank you for being a part of our journey.
With gratitude,
— 𝐈𝐧𝐊𝐫𝐢𝐬𝐡𝐧𝐚𝐧𝐚𝐠𝐚𝐫 𝐓𝐞𝐚𝐦
#নারীদিবস