
02/09/2025
Breaking: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ছেড়ে দেওয়া হলো তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণনগর পুরসভার ভবিষ্যত
আজকাল আগামী: শেষ পর্যন্ত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ছেড়ে দেওয়া হলো তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণনগর পুরসভার ভবিষ্যত। কৃষ্ণনগর পুরসভার অচলাবস্থা কাটাতে মঙ্গলবার কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব তৃণমূল কাউন্সিলরদের কলকাতায় ডেকে পাঠালেও সমাধান সূত্র বের হলো না। এদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত কৃষ্ণনগর পুরসভার পুর পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় ২৪ জন কাউন্সিলরকে শোকজ করে রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন ও পুরবিষয়ক দপ্তর। এ নিয়ে পুরসভার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে এক সরকারি নির্দেশের পাঠায় দপ্তর । সেই মতো কাউন্সিলরা ৭ দিনের মধ্যে এর কারণ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত এই শোকজের চিঠির ২৪ ঘন্টা আগে কৃষ্ণনগর পুরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিল বিশেষ সভা ডাকে। সেই সভাতে ১৫ জন কাউন্সিলর অপসারণের পক্ষে থেকে অপসারিত করেন রীতা দাসকে। ২৫ আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণনগর পুরসভার একজন কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় বর্তমানে ২৪ জন কাউন্সিলর। এর মধ্যে ২ জন কংগ্রেসের, ১ জন বিজেপি ও ১ জন নির্দল কাউন্সিলর আছে। অথাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ জন কাউন্সিলর আছে। তারপর ফোন করে এই কাউন্সিলরদের ডাকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। এই মিটিংয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব পুরসভার বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবে বলে মনে করা হয়। সেই মতো মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা'র সময় মিটিং হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় দেড় ঘন্টা পরে মিটিং শুরু হয়। মিটিংয়ের শুরুর দিকে কথাবার্তা হওয়ার মাঝে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেন অনাস্থা আনা হলো এ নিয়ে জানতে চান। একে একে এই মিটিংয়ে থাকা ২০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। যার মোদ্দা কথা, কৃষ্ণনগর পুরসভার কাজ করতে না পারা। এর ফলে দলের ভাবমূর্তি যে একপ্রকার ক্ষতি হচ্ছে সে কথা বোঝানো হয়। দু'পক্ষই তাদের পক্ষ নিয়ে মত দেন বলে জানাগিয়েছে। এরমধ্যেও অপসারিত হওয়া চেয়ারম্যান রীতা দাস গোষ্ঠীর কয়েকজন কাউন্সিলর কিছুটা নিষ্প্রভ থাকে। এই অবস্থায় তৃণমূল নেতৃত্ব মিটিং শেষ করে দেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেয় সমস্তটা তৃণমূল সুপ্রিমোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। কি হবে তা ডেকে জানান হবে।