12/06/2025
স্থান: মেঘলা গ্রামের এক কোণার পুরনো এক তালপাতা কুঁড়েঘর
পাত্র: ফজলু, পেশায় একজন অলস কৃষক (যে বেশি সময় ঘুমায় আর কম সময় চাষ করে)
---
গল্প শুরু
মেঘলা গ্রামের ফজলু ছিল অতি অলস, কিন্তু স্বপ্নবাজ। তার স্বপ্ন — একদিন বড়লোক হবে, বিয়ে করবে এক রূপবতী বউকে, আর সারাজীবন রসগোল্লা খেয়ে কাটাবে।
কিন্তু সমস্যা একটাই, ফজলুর কোনো কাজকর্ম নেই, তাই মেয়ের বাবারা তাকে জামাই বানাতে চায় না। তবুও ফজলুর এক বিশ্বাস — "যেদিন ভূতের সঙ্গে দেখা হবে, সেদিনই কপাল খুলবে।"
একদিন সন্ধ্যায়, ফজলু গেল বনের ভিতর কাঠ কুড়াতে। হঠাৎ মেঘ করল, বাতাস উঠল, আর একটা বিশাল ঠাণ্ডা হাওয়া ফজলুর গা বেয়ে গেল।
তখনই ফজলু দেখল — একটা সাদা শাড়ি পরা মেয়ে গাছের ডালে বসে আছে!
ফজলু বলল,
— "হেই! তুমি কি ভূত?"
মেয়েটা বলল,
— "হুঁ। আমি ভূতের বউ। বিয়ে হবে?"
ফজলুর মাথায় যেন খুশির বাজ পড়ল! সে ভাবল, "এই তো! আর বিয়ের ঝামেলা নেই। এই ভূতের বউকে বিয়ে করলেই হলো!"
সে তৎক্ষণাৎ বলল,
— "হ্যাঁ হ্যাঁ! হব হব! তুমি যদি রান্না করো, ঘর সামলাও, আর মাঝে মাঝে গানে গানে ভয় দেখাও—তাহলে আমি রাজি!"
মেয়েটা খুশি হয়ে বলল,
— "তাহলে এসো, আমার সঙ্গে ভুতপুরে চলো। সেখানেই বিয়ে হবে।"
ফজলু খুশিমনে পিছনে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল একটা কুয়োর দিকে। হঠাৎ সে পড়ে গেল কুয়োয়! আর চোখ খোলার পর সে দেখল—একটা ঘর, ভুতেরা গান গাইছে, এক ডাইনী রসগোল্লা দিচ্ছে, আর এক হাড়-ঝাড় ভূত ডেকোরেশন করছে।
বিয়ে হলো। ভূতের বউ ফজলুকে নিয়ে গেল একটা বিশাল ভুতবাড়িতে।
কিন্তু বিয়ের পর শুরু হলো আসল বিপদ।
ভূতের বউ দিনে ঘুমায়, রাতে রাঁধে — কিন্তু শুধু পেঁয়াজ কচুরি আর আগুনে পোড়া পায়েস।
প্রতিরাতে “টিকটক” বানায় এক হাঁটু ভয়াবহ সাউন্ডে: “ভূতুড়ে ভালোবাসা ❤️🧛♀️”
বউ বলে, “আজ রাতেই তোমার আত্মা দিয়ে নতুন মোমবাতি বানাবো!”
এমনকি শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা আসে বিয়ে খেতে — কেউ হাড় নিয়ে খেলে, কেউ ফজলুকে নিয়ে ‘লুকোচুরি’ খেলে (মানে, একবার লুকিয়ে পড়ে, আর খুঁজেও মেলে না!)
ফজলু চিৎকার করে বলল,
— “আমি বাঁচতে চাই! আমি রসগোল্লা চাই! আমি বউ চেয়েছিলাম, ভূতের কনভেনশন না!”
তখনই এক বুড়ো ভূত বলল,
— “তাহলে যেতে হবে একটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে!”
পরীক্ষা?
একটা ঘরে বসে থাকতে হবে এক রাত
চারদিকে শুধু পেঁয়াজ
আর গান বাজবে: “ভূতের বউ রান্না করে, ফজলু এখন গ্যাস খায় রে!”
ফজলু রাজি হয়ে গেল।
কিন্তু গ্যাসের গন্ধে, ভূতের গানের তালে তালে সে অজ্ঞান হয়ে গেল।
চোখ খুলে সে দেখল—সে কুয়োর পাশে পড়ে আছে।
সব ছিল একটা স্বপ্ন!
কিন্তু তার পাশে রাখা একটা ঠান্ডা রসগোল্লা, আর তার জামার পকেটে একটা চিরকুট:
"বিয়েটা প্র্যাকটিস ছিল, আসল বিয়ে আগামী পূর্ণিমায়। — ভূতের বউ"
---
শেষ কথাঃ
ফজলু এখন প্রতিরাতে আলো জ্বালিয়ে ঘুমায়, আর কোনো মেয়ের সাদা শাড়ি দেখলেই চিৎকার করে বলে—
"আমার রসগোল্লা খাবার ইচ্ছে নেই! আমি বিয়ে করব না!"
😂😂😂