24/07/2025
লজ্জার দিন! প্রশ্ন করার অপরাধে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিককে বিদ্যালয়ে আটকে হেনস্থা ? প্রধান শিক্ষিকার চরম অদ্ধত্য কে ধিক্কার ........
#হোক_প্রতিবাদ #
আজ যেন সকলের অগচরে লজ্জায় লাল হয়ে গেল লালগোলার মাটি! লালগোলার গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কে ধিক্কার।আমরা যারা লালগোলায় নানান ইস্যুতে গরমাগরম প্রতিবাদ উঠতে দেখি ,সেই মাতৃভূমি লালগোলার বুকেই এমন প্রতিবাদ হীনতায় আমদের সকলেই বোধহয় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেল।জানা যাচ্ছে,এই লালগোলার স্বনামধন্য লালগোলা শৈলজা মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুল, যেটি এক প্রান্তে নির্জন এলাকায় অবস্থিত। যেখানে আপনার আমার প্রত্যেকের ঘরের মেয়েদের কেও না কেও, কোন সময় হয়তো পড়াশোনা করে এখান থেকে বেরিয়ে গেছেন, কিংবা বর্তমানে এখনও এই প্রজন্মের কেউ না কেউ পড়াশোনা করছে। কিন্তূ চরম দুঃখের বিষয় এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের নানান অব্যবস্থার অভিযোগ বহুদিন ধরেই উঠে আসছে। হয়তো তার মধ্যে কিছু সংবাদে নানান সময়ে প্রকাশ পেয়েছে, আর বাকিটা প্রচারের আলোয় আসেনি। স্মৃতি হাতরালে অনেকেরই মনে পড়বে, এই বিদ্যালয়ের জঙ্গলের পেছনে কয়েক বছর আগে ঘটে গিয়েছিল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। শুধু কি তাই,আমাদের ঘরের মেয়েরা এই বিদ্যালয়ের ভিতরেও নানান অব্যবস্থার মধ্যে পড়ে প্রতিনিয়ত। ভর্তির সময় তাদের কাছ থেকে ফিজ নেওয়া হলেও ন্যূনতম উপযুক্ত শৌচালয় পর্যন্ত ঠিকঠাক ভাবে নেই। যা আছে সেগুলো সুস্থ পরিবেশে ব্যবহারের যোগ্য নয়।কোনোটির দরজা আছে, তো কোনোটির আবার দরজাটুকুও নেই।অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্নতা ওটা তো বাড়তি পাওনা। যদিও দিদিমণিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া এই প্রচন্ড গরমে পড়ুয়াদের পানীয় জলের অবস্থাও শোচনীয়, এক্ষেত্রে সেই দিদিমণিদের জন্য আবারও সুন্দর সুব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ বৈষম্যের কোনো অভাব নেই।আর মিড ডে মিলের কথা সে তো না বলাই ভালো। যদিও কান পাতলে অনেক কিছুই শোনা যায়, বিদ্যালয়ের উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াররা দিব্যি মাঝেমধ্যেই স্মার্টফোন ফোন হাতে নিয়ে স্কুল চত্বরের মধ্যেই দাপিয়ে বেড়ায় বিনা বাধায়। নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের কম্পিউটারের ক্লাস সহ নিত্যদিন ছুটির নির্দিষ্ট রুটিনও সেই ভাবে অনুসরণ করা হয় না। এমনকি হঠাৎ করে পড়ুয়াদের অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের সঙ্গে আপৎকালীন প্রয়োজনে দেখা টুকু করতে এলে নূন্যতম অনুমতি টুকু পর্যন্ত পেতে কাল ঘাম ছুটে যায়। বিশেষত, গ্রামীণ এলাকার অভিভাবক হলে তো তার আর রক্ষা নেই। তার সঙ্গে ন্যূনতম মিষ্টি ভাষায় কথাটুকুও বলার প্রয়োজন দেখান না কর্তৃপক্ষ। আর এইসব নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলেই ওই অসহায় অভিভাবকের দল তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভয়ে পিছিয়ে আসে দশ কদম। যার পুরো অ্যাডভান্টেজ নিয়ে থাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নানান সময়ে এই যুক্তি দিয়ে যে, কই কেউ তো কোন অভিযোগ করছেন না লিখিত আকারে..... । স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতিতে গ্রামের কোন অভিভাবকের আদৌ কি তার সন্তানের কথা ভেবে সাহস হবে লিখিত অভিযোগ তো দূরের কথা,সামান্য মৌখিক অভিযোগ টুকু করার???।এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে পড়তে আসা এই গার্লস স্কুলে কয়েক হাজার ছাত্রীর দেখভালের জন্য স্কুলের তরফে বরাদ্দ নিরাপত্তা রক্ষীর অবস্থার হাল তো শোচনীয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না বোধয়।
***আর এইসবের মাঝেই এহেন এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বছর কয়েক আগেই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশিত হয় একটি স্বনামধন্য প্রথম শ্রেণীর দৈনিক পত্রিকায়।যা জেনে অনেকে হতবম্ব হয়ে যান, যেখানে অভিযোগের তীর উঠে সেই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধেই। এই নিয়ে তাকে তলবও করা হয়। তবে কোনোভাবে তিনি তা সামাল দেন।
উপরোক্ত এই যাবতীয় হালচাল নিয়ে আজ সংবাদ মাধ্যমের এক তরুণ কর্মী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার ইন্টারভিউ নিতে হাজির হলে এক ভয়ানক ঘটনা ঘটে বলেই অভিযোগ। জানা যায় , সংবাদ কর্মীর প্রশ্ন প্রধান শিক্ষিকার মনমত হয়নি। ব্যাস তার পর হঠাৎই তিনি নাটকীয়ভাবে ওই তরুণ সাংবাদিক কে এড়াতে তার সোজাসাপ্টা প্রশ্ন বাণ আর হাতে থাকা ক্যামেরা থেকে নাকি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতে থাকেন প্রধান শিক্ষিকা। আর সময় নষ্ট না করে প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশে অন্যান্য শিক্ষিকারা রীতিমতো ওই তরুণ সাংবাদিক কে ঘিরে চরম হেনস্থা করেই শান্ত থাকেননি, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির প্রেসিডেন্ট কে ডেকে এনে তাকে সবক দিতে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাতেও আশ না মিটলে তার কাছে থাকা মোবাইল কেড়ে নিয়ে যাবতীয় ভিডিও ফুটেজ জোরকরে ডিলিট করতে বাধ্য করা হয়।তালিকা এখানেই শেষ নয়, এমনকি মুচলেখা পর্যন্ত লেখানো হয়। তাহলে কি ওই সংবাদ কর্মীর প্রশ্নে এমন কোন অজানা অস্বস্তিকর বিষয় বেরিয়ে চলে আসতে পারত, যা হয়ত কোন মতেই প্রকাশ্যে আসতে দিতে চান না স্কুলের উদ্ধত্যকামি প্রধান শিক্ষিকা ও তার অনুগামী প্রেসিডেন্ট???
আপনার আমার প্রত্যেকের ঘরের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই ওই তরুণ সংবাদ কর্মী সকলের প্রতিনিধি হয়ে পৌঁছে গিয়েছিল সত্যের সন্ধানে। আর তার জন্যেই তার এই পরিণতি। যাক এবার আমাদের জন্মভূমির মুকুটে একটা নতুন গৌরবের পালক যুক্ত হল ওই গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও তার অনুগামী প্রেসিডেন্টের দৌলতে ।
তাহলে কি তৈল মর্দন ছাড়া, বিদ্যালয় নিয়ে মন মত প্রশ্ন না করলেই সংবাদ কর্মীকে হেনস্থা করতে দাঁত, নখ বের করে এই ভয়ানক পথ বেছে নেওয়া হবে! বিদ্যালয় নাকি মানুষ গড়ার কারখানা, তাহলে এই প্রধান শিক্ষিকার এমন ভূমিকায় পড়ুয়া কি শিখবে এখন থেকে? উত্তর জানা নেই ।
কেবল ধিক্কার .......
#হোক_প্রতিবাদ # ✊
#লালগোলা
সংগৃহীত : Ejaj Ahmmed এর ওয়াল থেকে।