Islamic Line

Islamic Line Assalamu Alaikum Everyone.This is a
Official Page of ➤⃝𝐈𝐬𝐥𝐚𝐦𝐢𝐜 Follow me more new exciting.🥰

07/03/2024

মনে রাখা জরুরি, জুমআবার শুরু হয় বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে। আরবি তারিখ মাগরিবের পর থেকেই শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের মাগরিব থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতের মাগরিব পর্যন্ত পুরো সময়টাই জুমআবার। বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকেই দুরুদ পেশ করা শুরু করতে পারি।
আনাস রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
"জুমআবারে আমার ওপর বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করবে। জুমআর রাতেও বেশি বেশি দুরুদ পেশ করবে। যে ব্যক্তি জুমআর দিন ও রাতে আমার ওপর দুরুদ পেশ করবে, কেয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশকারী হব।" [বায়হাকী: ৩/১১০]

28/09/2023

মহিলারা বেশি বেশি জাহান্নামে যাবে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্বামীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করা।

মিশকাত -.1482
Follow my page

27/09/2023

🪻💐 *গিবত* 🌻🌸

গিবতের ভয়াবহতা এবং শাস্তির ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। আসুন সেগুলো জানি এবং মেনে চলি।
একদিন সাহাবি আমর ইবনুল আস (রা.) এবং তাঁর সাথীরা একসাথে কোথাও যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁরা একটি মৃত গাধা দেখতে পান, যেটি মরে পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমর (রা.) গাধাটির দিকে ইশারা করে তাঁদের বলেন, ‘‘কোনো মুসলিম ভাইয়ের মাংস খাওয়ার চেয়ে এই গাধাটির মাংস খেয়ে পেট ভরা তোমাদের জন্য উত্তম।’’ [ইমাম ইবনু আবি শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ: ২৪৯৫০; বর্ণনাটির সনদ সহিহ]
মূলত তিনি গিবতের ভয়াবহতা বুঝিয়েছেন। কুরআন মাজিদে গিবত করাকে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন—
وَلَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ یَّاۡکُلَ لَحۡمَ اَخِیۡهِ مَیۡتًا فَکَرِهۡتُمُوۡهُ
‘‘তোমরা একে অন্যের গিবত করবে না। তোমাদের কেউ কি নিজেদের মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে পছন্দ করবে?’’ [সুরা আল হুজুরাত, আয়াত: ১২]
নবি সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘মিরাজের রাতে আমি এমন এক সম্প্রদায়ের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম, যাদের নখগুলো তামার তৈরি আর তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমণ্ডলে ও বুকে আঁচ*ড় মারছিলো। আমি বললাম, হে জিবরিল! এরা কারা?’’ তিনি বললেন, ‘‘এরা সেসব লোক, যারা মানুষের গোশত খেতো (গিবত করতো) এবং তাদের মানসম্মানে আঘা*ত হানতো।’’ [ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ৪৮৭৮; হাদিসটি সহিহ]
নবি সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘অন্যায়ভাবে কোনো মুসলিমের মানসম্মানে হস্তক্ষেপ করা বৃহৎ সুদের অন্তর্ভুক্ত।’’ [ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ৪৮৭৬; হাদিসটি সহিহ]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যদি কেউ (গিবত, গালি বা অপমান করে) কারো মর্যাদা নষ্ট করে অথবা অন্য কোনোভাবে কারো প্রতি জুলুম করে থাকে, তবে সে যেন কিয়ামতের পূর্বে আজই তার থেকে মুক্তি নিয়ে নেয়। কারণ সেই দিন কোনো দিনার-দিরহাম (অর্থের বিনিময়) থাকবে না। যদি তার নেক আমল থাকে, তবে তার জুলুমের পরিমাণ অনুসারে নেক আমল নিয়ে নেওয়া হবে (এবং মজলুমকে এর দ্বারা বদলা দেওয়া হবে)। আর যদি তার নেক আমল না থাকে, তবে তার সাথির (যার অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে) পাপ নিয়ে তার কাঁধে চাপানো হবে।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ২৪৪৯]
একদিন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের প্রশ্ন করলেন, ‘‘তোমরা কি জানো, দেউলিয়া (নিঃস্ব) কে?’’ তাঁরা বললেন, ‘আমাদের মধ্যে দেউলিয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যার দিরহামও নেই, কোনো সম্পদও নেই।’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘আমার উম্মাতের মধ্যে সেই ব্যক্তি হচ্ছে (প্রকৃত) দেউলিয়া, যে কিয়ামতের দিন (বহু) নামাজ, রোজা, জাকাত নিয়ে উপস্থিত হবে এবং এর সাথে (দুনিয়াতে) সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত (হত্যা) করেছে, কাউকে মারধর করেছে (সেসব অপরাধও নিয়ে আসবে)। সে তখন বসবে এবং তার নেক আমল হতে অমুক ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে, তমুক ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে। এভাবে সম্পূর্ণ বদলা (বিনিময়) নেওয়ার আগেই তার নেক আমল নিঃশেষ হয়ে গেলে তাদের গুনাহসমূহ তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৬৪৭৩]
আপনি দুনিয়াতে তার মান-সম্মান যতটুকু নষ্ট করবেন, তার চেয়ে অনেক বেশি খেসারত দিতে হবে আখিরাতে। কারণ আখিরাতে কেবল নেকির মাধ্যমে বিনিময় হবে।
আবু বাকরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুটি কবর অতিক্রম করার সময় বলেন, নিশ্চয়ই এই দুই কবরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এবং তাদেরকে কোনো কঠিন অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এদের একজনকে পেশাবের (অসতর্কতার) কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এবং অপরজনকে গিবত করার কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। [ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ৩৪৯: হাদিসটি হাসান সহিহ]

24/09/2023

‎ ﷺ প্রিয় সুন্নাত
তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত-

বুযুর্গানে দীন তাঁদের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেছেন, তিনটি এমন সুন্নাত আছে, যেগুলোর উপর আমল করতে পারলে অন্তরে নূর পয়দা হয় এবং এর দ্বারা অন্য সকল সুন্নাতের উপর আমল করা সহজ হয়ে যায় এবং অন্তরে সুন্নাতের প্রতি আমল করার স্পৃহা জাগ্রত হয়।

১. সহীহ-শুদ্ধ করে আগে আগে সালাম করা ও সর্বত্র সালামের ব্যাপক প্রসার করা।
(মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৫৪/ তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৯৯)

বি.দ্র. اَلسَّلامُ (আস্‌-সালামু) এর শুরুর হামযা এবং মীমের পেশ স্পষ্ট করে উচ্চারণ করতে হবে। সালামের উত্তর শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। (আলমগিরী, ৫ : ৩২৬)

২. প্রত্যেক ভাল কাজে ও ভাল স্থানে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া। যথা : মসজিদে ও ঘরে প্রবেশকালে ডান পা আগে রাখা। পোশাক পরিধানের সময় ডান হাত ও ডান পা আগে প্রবেশ করানো এবং প্রত্যেক নিম্নমানের কাজে এবং নিম্নমানের স্থানে বাম দিককে প্রাধান্য দেয়া। যথা : মসজিদ বা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বাম পা আগে রাখা, বাম হাতে নাক পরিষ্কার করা, পোশাক থেকে বাম হাত বা বাম পা আগে বের করা।
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১৬৮/ মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৫০৪৩) মুস্তাদরাক, হাদীস নং-৭৯১/ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-২০৯৭)

৩. বেশি বেশি আল্লাহ তা‘আলার যিকির করা।
(সূরায়ে আহযাব, ৪১/ মুস্তাদরাক, হাদীস নং-১৮৩৯)

ক. উপরে ওঠার সময় আল্লাহু আকবার, নীচে নামার সময় সুবহানাল্লাহ, সমতল ভূমিতে চলার সময় লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্‌ পড়তে থাকা।
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং-২৯৯৩/ তিরমিযী, হাদীস নং-৩৩৮৩)

খ. প্রতিদিন কুরআনে কারীম থেকে কিছু পরিমাণ তিলাওয়াত করা বা অন্যের তিলাওয়াত শ্রবণ করা। (মুসলিম, হাদীস নং-৭৯১/ বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৫০৩৩)

গ. পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর সুন্নাত থাকলে সুন্নাতের পরে নতুবা ফরযের পরে তিনবার ইস্তিগফার, একবার আয়াতুল কুরসী, একবার সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস এবং তাসবীহে ফাতেমী অর্থাৎ ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ্‌, ৩৩ বার আল-হামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া।
(মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৫৯১/ ইমাম নাসায়ীর সুনানে কুবরা, হাদীস নং-৯৮৪৮/ তাবারানী কাবীর, হাদীস নং-৭৫৩২/ নাসায়ী শরীফ, হাদীস নং-১৩৩৬/ আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫২৩/ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৫৯৬)

ঘ. সকাল-বিকাল তিন তাসবীহ আদায় করা অর্থাৎ ১০০ বার কালিমায়ে সুওম অর্থাৎ সুবহানাল্লাহি ওয়াল্‌ হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ১০০ বার ইস্তিগফার ও ১০০ বার কোন সহীহ দরূদ শরীফ পড়া।
(মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-২৬৯২, ২৬৯৫/ মুসলিম, হাদীস নং-২৭০২/ ইতহাফ, ৫ : ২৭৫)

ঙ. প্রত্যেক কাজে মাসনূন দু‘আ পড়া। (মুসলিম, হাদীস নং-৩৭৩/ তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং-৩৩৮৪)

(উৎসঃ প্রিয় নবীর ﷺ প্রিয় সুন্নাত | পৃষ্ঠা-৪১
ইসলামি যিন্দেগী | কিতাবুস সুন্নাহ-পৃষ্ঠা ০৪)

24/09/2023

দান-অনুদান ফেরত নেওয়া

(২১৮১) ইবন উমার রা. ও ইবন আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো হেবা বা উপহার-অনুদান প্রদান করে তবে তা ফেরত নেওয়া তার জন্য বৈধ নয়, শুধু পিতা তার সন্তানকে যা কিছু দেয় তা ফেরত নিতে পারে।

নোট:
(আবু দাউদ। তিরমিযি, হাকিম ও ইবন হিব্বান হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন) । [সুনান আবু দাউদ, হাদীস-৩৫৩৯; সুনান তিরমিযি, হাদীস-১২৯৯; মুস্তাদরাক হাকিম, হাদীস-২২৯৮; সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস-৫১২৩; সুনান ইবন মাজাহ, হাদীস-২৩৭৭; সুনান নাসায়ি, হাদীস-৩৬৯০]

হাদীসের ব্যখ্যা:
গ্রন্থকার বলেন, এর অর্থ হল, বিচার বা আইন ছাড়া নিজের ইচ্ছামতো কেউ হেবা বা উপহার অনুদান ফেরত নিতে পারবে না। আর পিতার জন্য তা বৈধ হওয়ার অর্থ হল পিতা প্রয়োজনে সন্তানের সম্পদ গ্রহণ বা ভোগ করতে পারেন। একপুত্র অভিযোগ করে যে, তার পিতা তার মাল-সম্পদ ভোগ-দখল করতে চান। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, 'তুমি এবং তোমার সম্পদ তোমার পিতার নিমিত্ত'। এভাবে পিতার দেওয়া উপহার বা অনুদান সন্তানের মালিকানায় আসার পরেও পুত্রের সম্পদ হিসেবে পিতা তা ভোগ বা গ্রহণ করতে পারেন। একেই হাদীসে 'ফিরিয়ে নেওয়া' বলা হয়েছে। আল্লাহই ভালো জানেন।

—ফিকহুস সুনান, হাদীস নং ২১৮১

বর্ণনাকারী:

عن ابن عباس رضي الله عنهما مرفوعا: العائد في هبته كالكلب يقيء ثم يعود في قيئه

দান-অনুদান ফেরত নেওয়ার নিন্দা

(২১৮২) ইবন আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার দান-উপহার ফিরিয়ে নেয় সে ব্যক্তি কুকুরের মতো, যে কুকুর বমি করে এবং এরপর সেই বমি পুনরায় খেয়ে নেয়।

নোট:
(বুখারি ও মুসলিম)। [সহীহ বুখারি, হাদীস-২৫৮৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস-১৬২২; সুনান নাসায়ি, হাদীস-৩৬৯১; সুনান আবু দাউদ, হাদীস-৩৫৩৮; সুনান তিরমিযি, হাদীস-১২৯৮]

—ফিকহুস সুনান, হাদীস নং ২১৮২

বর্ণনাকারী:

عن أبي بكر الصديق رضي الله عنه مرفوعا: لا يدخل الجنة خب ولا بخيل ولا منان

কৃপণতা ও দানের পরে খোঁটা দেওয়ার নিন্দা

(২১৮৯) আবু বাকর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সমাজের মানুষদের মধ্যে সুসম্পর্ক নষ্টকারী ব্যক্তি, কৃপণ ব্যক্তি এবং দান বা করুণা করার পরে তা বারংবার উল্লেখকারী বা খোঁটা প্রদানকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

নোট:
(তিরমিযি। তিনি হাদীসটিকে হাসান বলেছেন) । [সুনান তিরমিযি, হাদীস-১৯৬৩; মুসনাদ আহমাদ, হাদীস-৩২]

—ফিকহুস সুনান, হাদীস নং ২১৮৯

24/09/2023

_*কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার*_

কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার।
তারা মা-বাবার জন্য জান্নাতের দাওয়াতনামা নিয়ে দুনিয়ায় আসে।

তাইতো পবিত্র কোরআনে কন্যাসন্তানের সংবাদকে ‘সুসংবাদ’ বলা হয়েছে। স্মর্তব্য যে,
প্রকৃতপক্ষে সন্তান-সন্ততি (ছেলে-মেয়ে উভয়েই) আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত ও শ্রেষ্ঠ উপহার।
ইসলাম উভয়কেই আলাদা সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। কাউকে কারও থেকে ছোট করা হয়নি কিংবা অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়নি।

কন্যাসন্তানের মাধ্যমে আল্লাহ পরিবারে সুখ ও বরকত দান করেন। হাদিসে এমন কথা উল্লেখ হয়েছে।

কিন্তু আমাদের সমাজে এখনো অনেক পরিবারে কন্যাসন্তান জন্ম নিলে ইতিবাচক চোখে দেখা হয় না। অনেকে আবার কন্যাসন্তানের মায়ের ওপর নাখোশও হন। বিভিন্ন কায়দায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

কন্যা সন্তান হলে অপছন্দ করা,
তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং তাদের লালন-পালনের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করা, ইসলামপূর্ব বর্বর জাহেলি যুগের কুপ্রথা।
এমন কাজে আল্লাহ তাআলা ভীষণ অসন্তুষ্ট হন।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘যখন তাদের কাউকে কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়,
তখন তার মুখ অন্ধকার হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে।
তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে।
সেভাবে,
অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে নাকি তাকে মাটির নিচে পুতে ফেলবে। শুনে রাখো,
তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট। ’ *(সুরা আন-নাহল, আয়াত : ৫৮-৫৯)*

রাসুল (সা.) মেয়েদের অনেক বেশি ভালোবাসতেন।
মেয়েরা ছিল তার আদরের দুলালি। আজীবন তিনি কন্যাদের ভালোবেসেছেন এবং কন্যাসন্তান প্রতিপালনে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। কন্যাসন্তান লালন-পালনে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন।

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেন,
‘যে ব্যক্তি দুটি কন্যাকে তারা সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দুটি আঙ্গুলের মতো পাশাপাশি আসবো (অতঃপর তিনি তার আঙ্গুলগুলো মিলিত করে দেখালেন)’। *(মুসলিম, হাদিস নং: ২৬৩১, তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯১৪, মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং: ১২০৮৯, ইবনু আবি শাইবা, হাদিস নং: ২৫৯৪৮)*

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে,
রাসুল (সা.) ইরশাদ করনে,
‘যার ঘরে কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করলো,
অতঃপর সে ওই কন্যাকে কষ্ট দেয়নি,
মেয়ের ওপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্রসন্তানকে তার ওপর প্রধান্য দেয়নি,
তাহলে ওই কন্যার কারণে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবশে করাবেন। ’ *(মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং: ১/২২৩)*

হযরত আবদুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন,
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,
‘ওই নারী বরকতময়ী ও সৌভাগ্যবান,
যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। কেননা,
(সন্তানদানের নেয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে) আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন, তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন,
আর যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। ’ *(কানযুল উম্মাল ১৬:৬১১)*

আয়েশা (রা.) বলেন,
‘আমার কাছে এক নারী এলো।
তার সঙ্গে তার দুই মেয়ে।
আমার কাছে সে কিছু প্রার্থনা করলো।
সে আমার কাছে একটি খেজুর ছাড়া কিছুই দেখতে পেলো না।
আমি তাকে সেটি দিয়ে দিলাম।
সে তা গ্রহণ করলো এবং তা দুই টুকরো করে তার দুই মেয়ের মাঝে ভাগ করে দিলো।
তা থেকে সে নিজে কিছুই খেলেন না।
তারপর নারীটি ও তার মেয়ে দুটি উঠে পড়লো এবং চলে গেল।
এই সুযোগে আমার কাছে নবী (সা.) এলেন।
আমি তার কাছে ওই নারীর কথা বললাম।
নবী (সা.) বললেন,
‘যাকে কন্যা দিয়ে কোনো কিছুর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয় আর সে তাদের প্রতি যথাযথ আচরণ করে,
তবে তা তার জন্য আগুন থেকে রক্ষাকারী হবে। ’ *(মুসলিম, হাদিস নং : ৬৮৬২; মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং : ২৪৬১৬)*

প্রসঙ্গত কন্যাসন্তান প্রতিপালনে শুধু বাবাকেই নয়;
ভাইকেও উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
বোনের কথাও বলা হয়েছে হাদিসে।
যারা মনে করেন,
মেয়ে বা বোনের পেছনে টাকা খরচ করলে ভবিষ্যতের তার কোনো প্রাপ্তি নেই, তারা মূলত ভুলের মধ্যে আছেন।

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কারও যদি তিনটি মেয়ে কিংবা বোন থাকে অথবা দুটি মেয়ে বা বোন থাকে,
আর সে তাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে এবং তাদের সঙ্গে সদাচার করে, তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ *(মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং : ১১৪০৪; আদাবুল মুফরাদ লিল-বুখারি: ৭৯)*

কন্যাসন্তান প্রতিপালনে যেন বৈষম্য না করা হয় এবং বস্তুবাদী ব্যক্তিরা যেন হীনমন্যতায় না ভোগেন,
তাই তাদের কন্যা প্রতিপালনে ধৈর্য ধরার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। শোনানো হয়েছে পরকালে বিশাল প্রাপ্তির সংবাদ।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত,
রাসুল (সা.) বলেন,
‘যার তিনটি কন্যাসন্তান থাকবে এবং সে তাদের কষ্ট-যাতনায় ধৈর্য ধরবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুহাম্মদ ইবন ইউনূসের বর্ণনায় এ হাদিসে অতিরিক্ত অংশ হিসেবে এসেছে) একব্যক্তি প্রশ্ন করলো,
হে আল্লাহর রাসুল,
যদি দু’জন হয়?
উত্তরে তিনি বললেন, দু’জন হলেও।
লোকটি আবার প্রশ্ন করলো,
যদি একজন হয় হে আল্লাহর রাসুল?
তিনি বললেন, একজন হলেও। ’ *(বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান : ৮৩১১)*

আউফ বিন মালেক আশজায়ি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন,
‘যে ব্যক্তির তিনটি মেয়ে রয়েছে,
যাদের ওপর সে অর্থ খরচ করে বিয়ে দেওয়া অথবা মৃত্যু পর্যন্ত,
তবে তারা তার জন্য আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে।
তখন এক নারী বললেন,
হে আল্লাহর রাসুল,
আর দুই মেয়ে হলে?
তিনি বললেন,
দুই মেয়ে হলেও। ’ *(বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং : ৮৩১৩)*

আল্লাহর উপহার ভেবে এবং বাস্তবিক ভালোবেসে যারা কন্যাসন্তানদের প্রতিপালন করবে,
সার্বিক তত্ত্বাবধান করবে,
আল্লাহ তাআয়া তাদের উত্তম প্রতিদান দেবেন।
আর যারা অবজ্ঞা করবে ও তাদের লালন-পালনে অবহেলা করবে,
আল্লাহ তাআলা তাদের শাস্তি দেবেন।
তাই কন্যাসন্তানকে হৃদয় উজাড় করে ভালোবাসা উচিত। সেজন্য আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।

24/09/2023

⁉সতীত্ব রক্ষা করতে ব্যর্থ মহিলার জন্য আত্মহত্যা করা কি জায়েজ?⁉👇🌷🆗🌷👇

✍️উত্তর✍️

بسم الله الرحمن الرحيم

✅ হ্যাঁ, গোনাহ হবে। তবে সে যদি আর কোনো কুফরী বা শিরকের গোনাহ না করে থাকে, তাহলে আশাবাদী আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।

فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٢:١٧٣

অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোনো পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু। {সূরা বাকারা-১৭৩}

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا [٤:١١٦

নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিতো হয়। {সূরা নিসা-১১৬}

عَنْ أبي هريرة , عَن النبي – صلى الله عليه وسلم – قال : من تردى من جبل , فقتل نفسه , فهو في نار جهنم يتردى فيها خالدا مخلدا فيها أبدا , ومن تحسى سما , فقتل نفسه , فسمه في يده يتحساه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا , ومن قتل نفسه بحديدة , ثم انقطع علي شيء , يعني خالدا , كانت حديدته في يده يجأ بها في بطنه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا

📚হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতো। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি পাহাড়ের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে, চিরোদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তার হাতে থাকবে, চিরোকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে, যে ব্যক্তি লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের মধ্যে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরোকাল [দীর্ঘদিন] সে তার দ্বারা নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৪৪২, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-১৯৬৪}

عن أنس عن النبي صلى الله عليه و سلم قال يخرج من النار من قال لا إله إلا الله وفي قلبه وزن شعيرة من خير ويخرج من النار من قال لا إله إلا الله وفي قلبه وزن برة من خير ويخرج من النار من قال لا إله إلا الله وفي قلبه وزن ذرة من خير

📚হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতো। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ যে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলবে আর তার অন্তরে একটি যব পরিমাণও নেকী থাকবে, তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে এবং যে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলবে আর তার অন্তরে একটি অণু পরিমাণও নেকী থাকবে তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১২৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৩৮৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৪৪৩, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-১২৬, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-২৯২৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২১৫৩, মাশকিলুল আসার লিততাহাবী, হাদীস নং-৪৮৩৮, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১১২৪৩}

24/09/2023

📗*উপদেশ মুলক কিছু কুরআন হাদিসের বাণী সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি📚👇🆗👇 🌹🆗🌹

*بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحَيْمِ*

👉*যারা জ্ঞানী তারাই উপদেশ গ্রহণ করে। (*সূরা বাক্বারাহ ২-২৬৯*)

👉*জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো যদি তোমরা না জানো। (*সূরা নাহল ১৬-৪৩*)

👉*স্পষ্ট প্রমাণসহ জেনে নাও। (*সূরা নাহল ১৬-৪৪*)

👉*বলো, তোমরা তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আসো, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। (*সূরা নমল ২৭-৬৪*)

👉*বলো, যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান? বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে। (*সূরা জুমার ৩৯-৯*)

👉*অতঃএব, কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখতে পাবে। এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে। (সূরা যিলযালঃ ৯৯-৭.৮*)

👉*যে ভালো সুপারিশ করবে, তা থেকে তার জন্য একটি অংশ থাকবে এবং যে মন্দ সুপারিশ করবে তার জন্যও তা থেকে একটি অংশ থাকবে। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের সংরক্ষণকারী। (সূরা নিসাঃ ৪-৮৫*)

☝*আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। আর শয়তানকে যে ভালোবাসে সে শয়তানের কৌশল রপ্ত করে।

☝*মহান আল্লাহ বলেছেনঃ "অতঃপর আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করতে চান, তার বক্ষকে ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দেন এবং যাকে বিপথগামী করতে চান, তার বক্ষকে সংকীর্ণ অত্যাধিক সংকীর্ণ করে দেন- যেনো সে সবেগে আকাশে আরোহণ করছে। এমনি ভাবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না, আল্লাহ তাদের উপর আযাব বর্ষন করেন। (*সূরা আনআমঃ আয়াত: ৬: ১২৫।*)

🌺জ্ঞানের মালিক আল্লাহ, তাই এই জ্ঞান আল্লাহ যাকে চান তাকে দান করেন। মহান আল্লাহ আরো বলেছেনঃ "তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমত দান করেন এবং যাকে হিকমত দান করা হয় তাকে প্রভূতে কল্যাণ দান করা হয় এবং কেবল বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই শিক্ষা গ্রহণ করে। ("সূরা বাকারাহ আয়াত:২:২৬৯)

💥মানুষ অজ্ঞ-মূর্খ হয়ে পৃথিবীতে আসে। মহান আল্লাহ বলেছেনঃ আমি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছি, যা সে জানতো না। (সূরা আলাক্বঃ আয়াত: ৯৬:৫।)

📚রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। (গ্রন্থ: বুখারী-হাদিস: ৭১।)

📘*‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি এক আয়াতও হয়। আর বনী ইসরাঈলের ঘটনাবলী বর্ণনা করো। এতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু যে কেউ ইচ্ছে করে আমার উপর মিথ্যারোপ করলো, সে যেনো জাহান্নামকেই তার ঠিকানা নির্দিষ্ট করে নিলো। (সহীহ বুখারীঃ ৩৪৬১, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২১২,)

🌻*সৎপথে বা ভ্রান্তপথে ডাকার ফলাফল যে লোক কোনো সুন্দর নীতি অথবা মন্দ নীতি চালু করে এবং যে লোক সঠিক পথের দিকে ডাকে অথবা বিভ্রান্তের দিকে আহবান করে এই দুই লোকের ব্যাপারে

📚আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতো। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক সঠিক পথের দিকে ডাকে তার জন্য সে পথের অনুসারীদের প্রতিদানের সমান প্রতিদান রয়েছে। এতে তাদের প্রতিদান হতে সামান্য ঘাটতি হবে না। আর যে লোক বিভ্রান্তির দিকে ডাকে তার উপর সে রাস্তার অনুসারীদের পাপের অনুরূপ পাপ বর্তাবে। এতে তাদের পাপরাশি সামান্য হালকা হবে না।
باب مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً أَوْ سَيِّئَةً وَمَنْ دَعَا إِلَى هُدًى أَوْ ضَلاَلَةٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏

📒*সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) অধ্যায়ঃ ৪৮। ইলম [জ্ঞান] (كتاب العلم) হাদিস নম্বরঃ ৬৬৯৭ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫৬০, ইসলামিক সেন্টার ৬৬১৪)

📚রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
*প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। *(ইবনে মাজাহ:২২৪)*

💫আসুন সবাই কোরআন-সুন্নাহর পথে চলি।🔚
🌺Dua-Mei-Yaad-Rakhna🌺📗*উপদেশ মুলক কিছু কুরআন হাদিসের বাণী সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি📚👇🆗👇 🌹🆗🌹

*بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحَيْمِ*

👉*যারা জ্ঞানী তারাই উপদেশ গ্রহণ করে। (*সূরা বাক্বারাহ ২-২৬৯*)

👉*জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো যদি তোমরা না জানো। (*সূরা নাহল ১৬-৪৩*)

👉*স্পষ্ট প্রমাণসহ জেনে নাও। (*সূরা নাহল ১৬-৪৪*)

👉*বলো, তোমরা তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আসো, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। (*সূরা নমল ২৭-৬৪*)

👉*বলো, যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান? বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে। (*সূরা জুমার ৩৯-৯*)

👉*অতঃএব, কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখতে পাবে। এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে। (সূরা যিলযালঃ ৯৯-৭.৮*)

👉*যে ভালো সুপারিশ করবে, তা থেকে তার জন্য একটি অংশ থাকবে এবং যে মন্দ সুপারিশ করবে তার জন্যও তা থেকে একটি অংশ থাকবে। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের সংরক্ষণকারী। (সূরা নিসাঃ ৪-৮৫*)

☝*আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। আর শয়তানকে যে ভালোবাসে সে শয়তানের কৌশল রপ্ত করে।

☝*মহান আল্লাহ বলেছেনঃ "অতঃপর আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করতে চান, তার বক্ষকে ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দেন এবং যাকে বিপথগামী করতে চান, তার বক্ষকে সংকীর্ণ অত্যাধিক সংকীর্ণ করে দেন- যেনো সে সবেগে আকাশে আরোহণ করছে। এমনি ভাবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না, আল্লাহ তাদের উপর আযাব বর্ষন করেন। (*সূরা আনআমঃ আয়াত: ৬: ১২৫।*)

🌺জ্ঞানের মালিক আল্লাহ, তাই এই জ্ঞান আল্লাহ যাকে চান তাকে দান করেন। মহান আল্লাহ আরো বলেছেনঃ "তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমত দান করেন এবং যাকে হিকমত দান করা হয় তাকে প্রভূতে কল্যাণ দান করা হয় এবং কেবল বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই শিক্ষা গ্রহণ করে। ("সূরা বাকারাহ আয়াত:২:২৬৯)

💥মানুষ অজ্ঞ-মূর্খ হয়ে পৃথিবীতে আসে। মহান আল্লাহ বলেছেনঃ আমি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছি, যা সে জানতো না। (সূরা আলাক্বঃ আয়াত: ৯৬:৫।)

📚রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। (গ্রন্থ: বুখারী-হাদিস: ৭১।)

📘*‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি এক আয়াতও হয়। আর বনী ইসরাঈলের ঘটনাবলী বর্ণনা করো। এতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু যে কেউ ইচ্ছে করে আমার উপর মিথ্যারোপ করলো, সে যেনো জাহান্নামকেই তার ঠিকানা নির্দিষ্ট করে নিলো। (সহীহ বুখারীঃ ৩৪৬১, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২১২,)

🌻*সৎপথে বা ভ্রান্তপথে ডাকার ফলাফল যে লোক কোনো সুন্দর নীতি অথবা মন্দ নীতি চালু করে এবং যে লোক সঠিক পথের দিকে ডাকে অথবা বিভ্রান্তের দিকে আহবান করে এই দুই লোকের ব্যাপারে

📚আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতো। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক সঠিক পথের দিকে ডাকে তার জন্য সে পথের অনুসারীদের প্রতিদানের সমান প্রতিদান রয়েছে। এতে তাদের প্রতিদান হতে সামান্য ঘাটতি হবে না। আর যে লোক বিভ্রান্তির দিকে ডাকে তার উপর সে রাস্তার অনুসারীদের পাপের অনুরূপ পাপ বর্তাবে। এতে তাদের পাপরাশি সামান্য হালকা হবে না।
باب مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً أَوْ سَيِّئَةً وَمَنْ دَعَا إِلَى هُدًى أَوْ ضَلاَلَةٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏

📒*সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) অধ্যায়ঃ ৪৮। ইলম [জ্ঞান] (كتاب العلم) হাদিস নম্বরঃ ৬৬৯৭ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫৬০, ইসলামিক সেন্টার ৬৬১৪)

📚রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
*প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। *(ইবনে মাজাহ:২২৪)*

আসুন সবাই কোরআন-সুন্নাহর পথে চলি।

23/09/2023

*যার কন্যা রইলো সে ভাগ্যবান যদি দাদা হয় সেও*

কন্যাসন্তান প্রতিপালনে শুধু বাবাকেই নয়;
ভাইকেও উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
বোনের কথাও বলা হয়েছে হাদিসে।
যারা মনে করেন,
মেয়ে বা বোনের পেছনে টাকা খরচ করলে ভবিষ্যতের তার কোনো প্রাপ্তি নেই,
তারা মূলত ভুলের মধ্যে আছেন।

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত,
রাসুল (সা.) বলেন, ‘কারও যদি তিনটি মেয়ে কিংবা বোন থাকে অথবা দুটি মেয়ে বা বোন থাকে,
আর সে তাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে এবং তাদের সঙ্গে সদাচার করে,
তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’
(মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং : ১১৪০৪;
আদাবুল মুফরাদ লিল-বুখারি: ৭৯) ।।

23/09/2023

স্ত্রীকে নিয়ে কিছু সুন্নতি আমল,যা এখন অনেক স্বামীরাই ভূলে গেছেন,বা পালন করেন না.!

স্ত্রী গ্লাসের যে স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করে সেই স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করা সুন্নাত.!
[মুসলিম:৫৭৯]

স্ত্রীর সাথে চুল আঁকড়ে নেয়া সুন্নাত,আয়েশা (রাঃ) রাসূল (সাঃ) এর চুল আঁকড়ে দিতেন.!
[বুখারী:২৯৫,মুসলিম:৫৭১]

স্ত্রীর সাথে একই সাথে গোসল করা সুন্নাত,আয়েশা (রাঃ) এর সাথে এবং কখনো মাইমুনা (রাঃ) এর সাথে রাসূল (সাঃ) পবিত্রতার গোসল করতেন.!
[মুসলিম:৬২০,নাসাঈ:৩৮০]

স্ত্রীর ব্যবহার করা মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করা সুন্নাত,রাসূল (সাঃ) যখন মৃত্যু সজ্জায়,তখন রাসূল (সাঃ) আয়েশা (রাঃ) এর কোলে শুয়ে ছিলেন এবং রাসূল (সাঃ) বার বার মেসওয়াকের দিকে তাকাচ্ছিলেন,কিন্তু রাসূল (সাঃ) এতোটাই অসুস্থ ছিলেন,যে মেসওয়াক চিবোতে পারবেন না,তাই আয়েশা (রাঃ) মেসওয়াক চিবিয়ে দেন এবং রাসূল (সাঃ) ঐ মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করেন,হাদিসে এভাবে লালা একত্রিত হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে.!
[বুখারী:৫২২৬]

স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নাত,রাসূল (সাঃ) আয়েশা (রাঃ) সবার সেরা,এবং খাদিজা (আঃ) এর ভালোবাসার প্রশংসা করতেন.! [বুখারী:৫২২৯,৩৪১১]

স্ত্রীর সাথে খেলায় প্রতিযোগিতা করা সুন্নাত,রাসূল (সাঃ) এবং আয়েশা (রাঃ) রাত্রীতে সবাই ঘুমাইলে দৌড় প্রতিযোগিতা করতেন.!
[ইবনে মাজাহ:১৯৭৯,আবু দাউদ:২৫৭৮]

স্ত্রীর মুখের খাবার খাওয়া সুন্নাত,আয়েশা (রাঃ) হাড় যুক্ত গোশত খাওয়ার পর রাসূল (সাঃ) আয়েশা (রাঃ) এর খাওয়া হাড় চুষে খেতেন.!
[মুসলিম:৫৭৯]

স্ত্রীকে নিয়ে ঘুড়তে যাওয়া বা সফরে যাওয়া সুন্নাত,স্ত্রীদের সফরে নিয়ে যেতে রাসূল (সাঃ) লটারি করতেন,যার নাম আসতো তাকে নিয়ে ঘুড়তে যেতেন.!
[বুখারী:২৫৯৩]

স্ত্রীকে সুন্দর নামে ডাকা সুন্নাত,রাসূল (সাঃ) আয়েশা (রাঃ) কে হুমায়রা বলে ডাকতেন,স্ত্রী কে কখনো মারধর না করা সুন্নাত,রাসূল (সাঃ) কখনো কারো উপর প্রতিশোধ নিতেন না,এবং স্ত্রীদের ও মারধর করতেন না.!
[বুখারী:৫২০৪,বুখারী:৬১২৬]

স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা সুন্নাত.!
[বুখারী:২৯৭]

স্ত্রীর কাজকর্মে সহযোগিতা করা সুন্নাত.!
[বুখারী:৬৭৬]

হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সাধারণ মেলামেশা করা সুন্নাত.! [বুখারী:৩০০]

স্ত্রীর মুখে খাবারের লোকমা তুলে দেওয়া সুন্নাত,আর রাসূল (সাঃ) বলেন,স্ত্রীকে খাবার খাইয়ে দিলে তা সদকা হিসেবে কবুল হয় এবং তার প্রতিদান রয়েছে.!
[আবু দাউদ:২৮৬৪]

21/09/2023

*_অহংকারের ভয়াবহ পরিণতি..._*

আলেমা ঊর্মি বিনতে আবুল বাশার,

অহংকার মানুষের মধ্যে থাকা একটি (খারাপ )গুণ । অহংকার হলো মানুষ নিজের কাজকর্ম বা নিজের চলাফেরা , শিক্ষাগত যোগ্যতা , পারিবারিক দিক এক কথায় সবদিক থেকে নিজেকে বড়ো মনে করা । মনে মনে এমন ধারণা রাখা যে আমিই সবচেয়ে যোগ্য, অন্যরা কোনকিছুর যোগ্যতা রাখে না । অন্যজনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ও নিকৃষ্ট মনে করা , নিজের থেকে নিচু মনে করা , কাওকে হেয় প্রতিপন্ন করা , যাদের প্রতি তার বিনয়ী , সম্মানী হওয়া উচিত তাদের থেকে নিজেকে উচু মনে করা ।
কিন্তু দ্বীনি , দুনিয়াবি সকল শিক্ষার মধ্যেই অহংকার করা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেওয়া হয় । বলা হয়েছে যে "অহংকার পতনের মূল" কিন্তু এটা জানার পরে মানুষ না চাওয়া সত্বেও অহংকার করে থাকে । অহংকার কবিরা গুনাহসমূহর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।আর মানুষ একবার যদি অহংকারের ক্ষতি ও পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করত!

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’সম্মান আমার লুঙ্গি এবং গর্ব আমার চাদর। (অর্থাৎ খাস আমার গুণ।) সুতরাং যে ব্যক্তি আমার কাছ থেকে এর মধ্য থেকে যে কোন একটি টেনে নিতে চাইবে, আমি তাকে শাস্তি দেব।’’ (মুসলিম২৬২০)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "আল্লাহ তাআলা বলেছেন-'বড়ত্ব আমার চাদর এবং মহানত্ব আমার ইযার। কেউ যদি এ দুইটির কোনো একটির ব্যাপারে আমার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তবে আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব।" (মুসলিম, মিশকাত)
একইভাবে অহংকারের কঠোর পরিণাম ও শাস্তির বিবরণের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তাআলার বাণী, "তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি (তোমাদের ডাকে) সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদত নিয়ে অহংকার করে তারা শীঘ্রই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।" (সুরা মুমিন : আয়াত ৬০)
আর মানুষের করা এই অহংকারের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছিল দুনিয়ায় প্রথম পাপ। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ব প্রথম অহংকারী ও দাম্ভিকতা প্রদর্শনকারী হলো- ইবলিশ বা শয়তান। যখন আল্লাহ তায়ালা সকল ফেরেস্টাকুলকে হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করার আদেশ করেছিলেন তখন শয়তান আল্লাহর নির্দেশের অমান্য করেছিল এবং তার শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করে ছিল ।
আল্লাহ তায়ালার বাণী, ‘কিসে তোমাকে বাধা দিয়েছে যে, (আদমকে) সিজদা করছ না; যখন আমি তোমাকে নির্দেশ দিয়েছি ? সে বলল, ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে।" (সুরা আরাফ - আয়াত নং ১২)
মহান আল্লাহ তাআলা অহংকারীকে পছন্দ করেন না। এ মর্মে কোরআনুল কারীমে ঘোষণা এসেছে, "আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিবে না। আর জমিনে দম্ভভরে চলাফেরা করবে না; নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক; অহংকারীকে পছন্দ করেন না।" ( সুরা লোকমান - আয়াত ১৮)
আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে অহংকার করা থেকে এবং অহংকারের ভয়াবহ পরিণতি ও শাস্তি থেকে হেফাজত করুন ।
লেখিকা: ইসলামী প্রাবন্ধিক।
_______ _______

( মৃত্যু...❌

মৃত্যু আসিতেছে...❌
যেকোনো সময়...❌
যেকোনো জায়গায়...❌
যেকোনো অবস্থায়...❌
আমাকে থামিয়ে দিবে...❌

অথবা
আমার প্রিয়জনকে আমার থেকে কেড়ে নিবে...❌

আমি কি তৈরি...❓

আসুন আল্লাহকে ভয় করি... মৃত্যুকে স্মরণ রেখে পথ চলি... সুন্নতি জীবন গড়ি...) ।।

Address

Kathal Super Market, Malda Kolkata
Malda
732139

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islamic Line posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category