04/07/2025
শ্রীমদ্ভগবদ গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন, "এই যোগের জ্ঞান আমি পূর্বে সূর্যকে দিয়েছিলাম, এবং সূর্য তা বিভস্থ্য মনুকে প্রদান করেছিলেন, যিনি এই জ্ঞানের প্রচারক হয়ে উঠলেন।"
শ্রীভগবানুবাচ
ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্যয়ম্।
বাস্বান্বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্যয়ম্॥ ৪-১ ॥
অনুবাদ : শ্রীভগবান বলেন—আমি এই অক্ষয় (সবসময় প্রযোজ্য) যোগবিদ্যা বিবস্বানকে (সূর্যদেবকে) প্রথমে শিক্ষা দিয়েছিলাম।
এই শাস্ত্রীয় বর্ণনা এক অপরূপ ঘটনার সূচনা করে।প্রাচীন কালে, দিব্য লোকে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর চিরন্তন রূপে সূর্যদেবের কাছে উপস্থিত হন। তিনি তাঁর ফুলে-ফলে সজ্জিত হাতে গীতার জ্ঞানের সারমর্ম প্রকাশ করেন, যা সৃষ্টির প্রতিটি কোণে শান্তি ও কর্মের পথ দেখায়।
সূর্যদেব, আলোকের দেবতা, তাঁর দিব্য চক্ষে এই জ্ঞান গ্রহণ করেন এবং তাঁর হৃদয়ে এর গভীরতা সঞ্চিত হয়। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে এই জ্ঞান মানবজাতির জন্য প্রকাশ করা হবে।তারপর, সূর্যদেব মেঘাচ্ছন্ন আকাশে মনু মহারাজের কাছে আগমন করেন, যিনি মানব সভ্যতার প্রথম ধর্মনির্দেশক।
সূর্যদেব তাঁর দিব্য হস্তে গীতার শাস্ত্র হস্তান্তর করেন, যা মনু বিনয় ও শ্রদ্ধায় গ্রহণ করেন। এই মুহূর্তে, আকাশে সোনালী আলো ছড়িয়ে পড়ে, এবং মেঘের মাঝে দিব্য শান্তি প্রকাশ পায়।
মনু মহারাজ এই জ্ঞানকে তাঁর সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন, যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি নির্দেশিকা হয়ে ওঠে।এভাবে, গীতার জ্ঞান শ্রীকৃষ্ণ থেকে সূর্যদেব, এবং সূর্যদেব থেকে মনু মহারাজের মাধ্যমে মানবজগতে প্রসারিত হয়, একটি চিরস্থায়ী আলোর স্রোত হিসেবে প্রবাহিত হয়ে চলে।