সমাজ সাড়িম পত্রিকা

সমাজ সাড়িম পত্রিকা বিভিন্ন জায়গার ছোট বড় সব খবরের জন্য, সঙ্গে রাখুন, আপডেট থাকুন।
NEWS, INFORMATION, STORY FROM YOUR AREA.

26/07/2025

মুম্বইয়ের কল্যাণ হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা — মহিলা রোগীকে চড়, পাল্টা প্রতিশোধে ভাঙলো দাঁত ও নাক!

মুম্বইয়ের কল্যাণ এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চরম বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের রিসেপশনে বসে থাকা এক কর্মী — যিনি সম্ভবত ৫-৭ হাজার টাকা বেতনের নিম্নবর্গের স্টাফ — এক মহিলা রোগীকে প্রকাশ্যে চড় মারেন বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাটি ঘটে রোগী ও হাসপাতাল কর্মীর মধ্যে বচসার জেরে।

ঘটনার নাটকীয় মোড়, চড় খাওয়া মহিলার শ্যালক, যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, পুরো ঘটনাটি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপর তিনি রিসেপশন কর্মী মেয়েটিকে ফিল্মি স্টাইলে লাথি মারেন — যার ফলে মেয়েটির ছয়টি দাঁত এবং নাক ভেঙে যায়।

এই পুরো ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে হাসপাতালের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, রক্তাক্ত মেয়েটি এবং উত্তেজিত লোকজন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

প্রশাসনিক নীরবতা ও প্রশ্ন
এখন প্রশ্ন উঠছে —
▪️ একটি হাসপাতালে এমন ঘটনার দায়ভার কে নেবে?
▪️ যেসব কর্মীরা সামান্য বেতনে কাজ করছেন, তাদের আচরণে পেশাদারিত্বের অভাব কেন?
▪️ রোগীর পরিবারের প্রতিক্রিয়াও কি মাত্রাতিরিক্ত সহিংস ছিল না?
▪️ হাসপাতাল কতটা নিরাপদ সাধারণ মানুষের জন্য?

মানবিকতা ও শৃঙ্খলা — দুটোই হারিয়ে যাচ্ছে কি?
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে রিসেপশন থেকে ওটি পর্যন্ত এক প্রকার ক্ষমতার অপব্যবহার ও উচ্ছৃঙ্খল মনোভাব বিস্তার লাভ করছে। আর সাধারণ মানুষ — সেই ক্ষমতার বলি।

সংযম, প্রশিক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলার জোর প্রয়োজন — এখনই।

#রোগী_নির্যাতন #স্বাস্থ্যব্যবস্থা_বিপর্যস্ত

24/07/2025

শিক্ষকের দাবিতে তালা ঝুলিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ!
স্থান: ধাদকা আঞ্চলিক হাইস্কুল, বান্দোয়ান, পুরুলিয়া।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক স্বল্পতা ও শিক্ষা পরিকাঠামোর অভাব নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। সেই ক্ষোভ অবশেষে বিস্ফোরণ ঘটায় ২৪ জুলাই ২০২৫-এ।
ধাদকা আঞ্চলিক হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এদিন বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

ছাত্রদের প্রধান অভিযোগ,বিজ্ঞানের শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে নেই। গণিত ও ইংরেজির শিক্ষক আসেন অনিয়মিত। প্রধান শিক্ষক কোনও স্থায়ী পদে নেই, দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে চলছে স্কুল।
বিদ্যালয়ের পাঠদানের মান ক্রমশ নিম্নগামী, প্রশাসন বারবার জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি।

এক ছাত্রীর বক্তব্য,"আমরা পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু শিক্ষকই যদি না থাকেন, তাহলে কীভাবে ভবিষ্যৎ গড়ব? প্রশাসন আমাদের কষ্ট বুঝছে না। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে।"

স্থানীয় অভিভাবকরাও পাশে এসে দাঁড়ান ছাত্রছাত্রীদের। তাঁরাও বলেন, সরকার ও শিক্ষা দফতর থেকে আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কিছুই বদলায়নি।

ছাত্রছাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপ,বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন,

এটি শুধুই একটি বিদ্যালয়ের সমস্যা নয়—এটি একটি গোটা অঞ্চলের ভবিষ্যতের প্রশ্ন।
আজকের এই আন্দোলন যেন প্রশাসনের ঘুম ভাঙায়—এটাই প্রত্যাশা।

🔖 #শিক্ষারঅধিকার
🔖
🔖
🔖
🔖
🔖
🔖
🔖 ゚

নদীয়ায় ফেক এসটি বিরোধী লড়াইয়ে যৌথ বডি গঠন, নজির স্থাপন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী সমাজে হরিণঘাটা, নদীয়া |  তারিখ: ২০ জুলাই ...
21/07/2025

নদীয়ায় ফেক এসটি বিরোধী লড়াইয়ে যৌথ বডি গঠন, নজির স্থাপন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী সমাজে
হরিণঘাটা, নদীয়া | তারিখ: ২০ জুলাই ২০২৫

আদিবাসী সমাজের অধিকার রক্ষায় আরও এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হল নদীয়া জেলার হরিণঘাটা ব্লকে। সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি ও ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল নদীয়া জেলা মহলের যৌথ উদ্যোগে মোল্লা বিলা বিরসা গাঁওতা বাখোলের সামনে একটি শক্তিশালী বডি গঠন করা হয়েছে।

এই বডির মূল লক্ষ্য —
➡️ ব্লক এলাকা জুড়ে ফেক এসটি (ভুয়ো আদিবাসী পরিচয়ধারী) দের বিরুদ্ধে সক্রিয় ও ধারাবাহিক অভিযান চালানো
➡️ সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা ও আদিবাসী স্বতন্ত্র পরিচয় বজায় রাখা
➡️ সমাজের ভেতরে ঐক্য ও সচেতনতা গড়ে তোলা

এই যৌথ বডি ভবিষ্যতে এলাকায় “মিশাইলের মতো কার্যকর ভূমিকা” পালন করবে বলে জানিয়েছেন উপস্থিত নেতৃত্বরা।

এই সভায় উপস্থিত ছিলেন —
🔹 পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি দল
🔹 ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল নদীয়া জেলা মহলের তত্ত্বাবধায়ক ও অন্যান্য সদস্যরা
🔹 স্থানীয় মাঝি, গাঁওতা ও সমাজের বিশিষ্ট জনেরা

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, “যখন লক্ষ্য এক — আদিবাসীদের উন্নয়ন, তখন ব্যক্তিগত ইগো, হিংসা বা বিভাজনের রাজনীতির কোনও স্থান নেই। একসঙ্গে লড়লেই আমাদের অধিকার ও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব।”

এই যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা জগ পারগানা শিবুলাল মুর্ম্মূ জেলা মহলের পক্ষ থেকে নদীয়া জেলা মহল ও পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি-কে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন, অন্যান্য জেলা মহল ও সংগঠনও এই ধরনের উদ্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের এলাকায় একই ধরনের শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণ করবেন।

বর্তমানে ফেক এসটি সার্টিফিকেটধারীদের বিরুদ্ধে আদিবাসী সমাজে ক্ষোভ বাড়ছে। এই অবস্থায় নদীয়ার এই ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গোটা রাজ্যে একটি দিশা দেখাতে পারে।

সংগঠিত হোন, সচেতন হোন — অধিকার আমাদের, লড়াইও আমাদেরই করতে হবে। এই স্লোগান কে সামনে রেখে আদিবাসী সমজ এগিয়ে চলেছে।।।

18/07/2025

অবশেষে বিষ্ণুপুর এসডিও অফিসের সামনে প্রতিবাদে বসলো আদিবাসী সংগঠনসমূহ!

আজ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসকের (SDO) অফিস চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভে বসলো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আদিবাসী সংগঠন –
🔸 পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি
🔸 ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল
🔸 ভারতীয় ভূমিজ সমাজ।

বিক্ষোভের মূল অভিযোগ,এই সংগঠনগুলির দাবি, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার ১২৫ জন নন-এসটি ব্যক্তি ভুয়ো Scheduled Tribe (ST) সার্টিফিকেট তৈরি করে সংরক্ষিত আসনের সুবিধা ভোগ করছে। এদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন।

➡️ একাধিকবার প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো সত্ত্বেও, এখনো পর্যন্ত কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

➡️ এরফলে প্রকৃত আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুব সমাজ, ছাত্রছাত্রী ও বেকাররা বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের সাংবিধানিক অধিকার ও সুযোগ থেকে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি,ভুয়ো ST সার্টিফিকেটধারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। মহকুমার সাথে সাথে জেলায় আদিবাসী সংরক্ষণের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আদিবাসী সমাজের শিক্ষাগত ও চাকরির অধিকার সুরক্ষিত রাখতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।

🪶 এই আন্দোলনের মাধ্যমে আদিবাসী সমাজ প্রশাসনের কাছে একটাই বার্তা দিল – “আর না! আমরা আমাদের অধিকার ছেড়ে দেব না!”
যথাযথ আইনি ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিনিধিরা।

অবস্থান: বিষ্ণুপুর SDO অফিস, বাঁকুড়া
তারিখ: ১৮-০৭-২০২৫

#বাঁকুড়া #বিরোধপ্রতিবাদ #ভূমিজসমাজ

17/07/2025

"এই ছাত্রের কথাগুলো শুনে আপনার চোখেও জল আসবে..."

"স্যার, আপনি শুধু আমাদের বই শেখান না—জীবন শেখান। আপনি রাস্তাও দেখান, আবার সাহসও দেন। আপনি আমাদের শিখিয়েছেন—মানুষ হতে গেলে আগে মানুষকে বুঝতে হয়।"

এই একটি ছাত্রের হৃদয় থেকে বলা কিছু কথা, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়— একজন সত্যিকারের শিক্ষক কেবল পাঠদাতা নন, তিনিই ভবিষ্যতের নির্মাতা।

📚 আজ যখন আমাদের সমাজে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখন এমন শিক্ষার্থীদের ভাবনা আমাদের আশা দেখায়।

চলুন, এমন শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানাই।
এমন ছাত্রদের ভালোবাসা জানাই।

🔁 এই ভিডিওটি শেয়ার করুন যদি আপনি কোনদিন এমন একজন শিক্ষককে পেয়ে থাকেন, যিনি আপনার জীবন বদলে দিয়েছেন।

#শিক্ষক #ছাত্রকন্ঠ #আদর্শছাত্র #শিক্ষারআলো #শিক্ষারশ্রেষ্ঠরূপ

17/07/2025

মনোরঞ্জন মুর্ম্মূ মুখ খুললেন পারিবারিক বিতর্কে: "আমার চরিত্রহনন নয়, সমাজের উপর আঘাত"

ঘাটাল, ১৭ জুলাই ২০২৫....
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মনোরঞ্জন মুর্ম্মূ নামক এক ব্যক্তির পারিবারিক সমস্যা ঘিরে চলছিল তুমুল বিতর্ক। একাধিক ফেসবুক পোস্ট ও ভিডিওয় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। এমনকি, তাঁর স্ত্রী এক সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা এবং তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

✅ এইসব বিতর্কের মাঝে অবশেষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মনোরঞ্জন মুর্ম্মূ।
নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন:
"ব্যক্তিগত পারিবারিক সমস্যাকে রাস্তায় নামিয়ে, যেভাবে সমাজকে কালিমালিপ্ত করা হলো, তা শুধু আমাকে নয়, আমার গোটা সাঁওতাল সমাজের মূল্যবোধকে আঘাত করেছে।"

তিনি জানান, গ্রামে চলা সাঁওতাল সমাজের প্রচলিত বিচারব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের গ্রামের মাঝি বাবাদের হেনস্থা করেছেন। এমনকি, তাঁর বোনকেও মারধর করা হয়েছে, যিনি বর্তমানে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মনোরঞ্জন মুর্ম্মূ এর মূখ্য অভিযোগ,
পরিকল্পিতভাবে তাঁর নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে ঘেরাও, পথ অবরোধ করে জনজীবন ব্যাহত করা হয়েছে,
ফেক ফেসবুক আইডি খুলে তাঁর ছবি ও পারিবারিক বিষয় ভাইরাল করা হচ্ছে, তিনি ইতিমধ্যে সাইবার ক্রাইম শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন

মনোরঞ্জন মুর্ম্মূর আরও বলেন "আমি একজন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে রয়েছি। সেই অবস্থান থেকে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই পরিকল্পিত চক্রান্ত। মতাদর্শ আলাদা হতেই পারে, রাজনৈতিক রেষারেষি থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে ব্যক্তিগত জীবন টেনে এনে সমাজের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।"

এই ঘটনা শুধু একটি দাম্পত্য কলহ নয়, বরং তা এখন সমাজে আদিবাসী বিচার পদ্ধতি বনাম 'লোক দেখানো জন আন্দোলন'-এর মধ্যে এক সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে—ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন কি আদৌ রাস্তায় নামিয়ে সমাজের বিরুদ্ধে জনরোষে রূপান্তর করা উচিত...?

মনোরঞ্জনের হুঁশিয়ারি শুরে বলেন, ভিডিও ফুটেজে যাঁরা যুক্ত, এবং যাঁদের ইন্ধনে এইসব ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি স্পষ্ট জানান।

ঘাটালের এই ঘটনাকে ঘিরে সমাজে তীব্র আলোড়ন শুরু হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশাসনের ভূমিকা ও সমাজের প্রতিক্রিয়াই এখন দেখার বিষয়।

#ঘাটাল #মনোরঞ্জনমুর্ম্মূ #পারিবারিকবিতর্ক #সাঁওতালসমাজ #সোশ্যালমিডিয়া #সাইবারক্রাইম #আদিবাসীন্যায়

12/07/2025

জমি অধিগ্রহণ ঘিরে ধানবাদে সংঘর্ষ – প্রশ্নের মুখে প্রশাসন ও আদিবাসী অধিকার!

ধানবাদ জেলার বালিয়াপুর থানার অন্তর্গত সারসাকুডি আসানবানী মৌজায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী ও প্রশাসনের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বাধে।

গ্রামবাসীদের গুরুতর অভিযোগ —
তাঁদের ব্যক্তিগত ছাড়ের জমি, যা বহু প্রজন্ম ধরে চাষবাস ও জীবিকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেটিকে কোনো রকম ক্ষতিপূরণ, আইনগত প্রক্রিয়া বা নোটিশ ছাড়াই দখল করেছে প্রশাসন।

"হায়রে আদিবাসী সরকার!" – স্থানীয়দের ক্ষোভ এই বাক্যে স্পষ্ট। একজন প্রবীণ আদিবাসী বাসিন্দা বলেন — “আমরা আমাদের জমির কোনো কাগজ দেখতে পাইনি, আমাদের মতামত কেউ নেয়নি, অথচ জেসিবি চলে এসেছে জমিতে। এটা কি গণতন্ত্র..?”

পঞ্চায়েত (অনুসূচী এলাকায় সম্প্রসারণ) আইন – PESA Act অনুযায়ী,
গ্রাম সভার অনুমতি ছাড়া কোনো প্রকার জমি অধিগ্রহণ বেআইনি। কিন্তু অভিযোগ, এখানে সেই আইনও মানা হয়নি।

সংঘর্ষের সময়, এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় গ্রামবাসীরা জমির দখল রোধে রাস্তায় নেমে আসেন, পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, হস্তক্ষেপ ও প্রতিবাদ।

কেন এই জমি দখল? সরকারি বা কর্পোরেট প্রকল্পের জন্য কি এই জমি অধিগ্রহণ?
গ্রামবাসীরা এ বিষয়ে কোনো স্বচ্ছ তথ্য পাননি।
ফলে, প্রশ্নের মুখে উন্নয়নের স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার।

এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বিস্তারিত বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরবর্তী সময়ে বড় আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়েছেন স্থানীয় সংগঠন ও ভূমিস্বত্বাধিকারীরা।

এই ঘটনা শুধু একটি গ্রামের নয় – এটি গোটা ঝাড়খন্ডি আদিবাসী সমাজের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই!
জমি শুধু মাটি নয় – এটি পরিচয়, ইতিহাস এবং ভবিষ্যতের মূল ভিত্তি।

আমাদের দাবি:-
১.গ্রাম সভার অনুমতি ছাড়া জমি দখল বন্ধ করুন।
২.ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করুন।
৩.পেসা আইন মেনে চলুন।
৪.গ্রামবাসীদের অধিকার রক্ষা করুন।
৫.জমি নিয়ে জোর জবরদস্তি নয় – চাই স্বচ্ছতা ও সম্মান।

🔁 ঘটনার সত্য সামনে আনুন। শেয়ার করুন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এবং আমাদের এই পেজ ফলো করে পাশে থাকুন।
#জমি_আমার_অধিকার #সমাজ_সাড়িম_পত্রিকা

11/07/2025

শোচনীয়! মা-মেয়ের আর্তনাদ, পুলিশের লাঠির ঘা!

কুলটি বিধানসভা, নেয়ামতপুর
🗓️ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এক ছোট্ট শিশু চিৎকার করছে — "মা, মা!" আর ওদিকে তার মাকে পুরুষ পুলিশ সদস্য নির্মমভাবে লাঠিপেটা করছে।

❓ অপরাধটা কী?
একটি নতুন প্রাইভেট কয়লা খনি খোলা হয়েছে এলাকায়। স্থানীয় আদিবাসী ও গরীব পরিবারগুলির দাবি—স্থানীয় মানুষদেরই কাজে নিয়োগ করতে হবে।
তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের ন্যায্য দাবি জানাতে এসেছিলেন, কিন্তু তার জবাবে এল পুলিশি লাঠি।

যদি কোনও অপরাধ থেকেও থাকে, তাহলে –
👉 একজন মহিলা নাগরিককে পুরুষ পুলিশ সদস্যেরা এইভাবে লাঠিপেটা করতে পারেন...?
👉 মহিলা পুলিশ কোথায় ছিলেন...?
👉 শিশু সন্তানের সামনে একজন মায়ের ওপর এই ধরণের নির্যাতন কি আইনি, নাকি অমানবিক..?

আমরা প্রশ্ন করি —
🔹 গরীব হলে কি মানুষের অধিকার থাকে না..?
🔹 বাংলার পুলিশ কি আদিবাসী ও শ্রমজীবী নারীদের কণ্ঠরোধের জন্য লাঠি চালায়...?
🔹 কয়লা তুলে কে পেট ভরাবে..? যারা খনির পাশে থাকেন, তাদের কাজ না দিয়ে অন্য রাজ্য থেকে লোক আনার যুক্তি কী..?

এলাকার এক সমাজসেবী বলেন —
✅ অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত।
✅ মহিলাদের উপর হামলার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি।
✅ স্থানীয়দের কাজের অধিকার সুনিশ্চিত করা।
✅ আদিবাসী ও শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তা ও সম্মান।

📲 ভাইরাল ভিডিও দেখুন, বিচার করুন এবং আওয়াজ তুলুন।

🔁 শেয়ার করুন, যাতে আর কোনও শিশু তার মাকে এইভাবে লাঠির নিচে কাঁদতে না দেখে।

#ন্যায়চাই #কুলটি #আদিবাসী_অধিকার #শ্রমজীবী #পুলিশ_নির্যাতন #মহিলা_সুরক্ষা #সংবিধান_বাঁচাও োকাল

10/07/2025

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বিতর্ক: অবশেষে মুখ খুললেন উপাচার্য!

মেদিনীপুর, ১০ জুলাই ২০২৫:-সম্প্রতি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক স্তরের সেমিস্টার পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। ওই প্রশ্নে বলা হয়:- “মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন—তাদের নাম লিখুন।”

এই প্রশ্নে বিপ্লবীদের 'সন্ত্রাসবাদী' (Terrorist) তকমা দেওয়া হয়েছে—যা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও দেশপ্রেমিকদের প্রতি এক বড় রকমের অবমাননা বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদ, গবেষক, ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ নাগরিকরা।

সামাজিক মাধ্যমে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এবং শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে মুখ খুললেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন:- “প্রশ্নপত্রে যে ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে, তা অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক। আমরা এই ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রশ্ন প্রস্তুতকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

📚 ছাত্রদের একাংশের বক্তব্য:- “স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সন্ত্রাসবাদী বলা মানে ইতিহাসকে বিকৃত করা। এ ধরনের প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।”

শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকেও ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে — আমরা কীভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইতিহাস শেখাব? স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যদি আজ "সন্ত্রাসবাদী" তকমা পান, তবে দেশপ্রেমের সংজ্ঞাই বা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়?

#বিদ্যাসাগর_বিশ্ববিদ্যালয় #ইতিহাস_বিকৃতি #স্বাধীনতা_সংগ্রামী #খুদিরাম_বসু #সতীশ_বোস

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা!মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ | তারিখ: ০৯ জুলাই ২০২৫বিদ্য...
09/07/2025

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা!
মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ | তারিখ: ০৯ জুলাই ২০২৫

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সেমিস্টার পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ঘিরে উত্তাল মেদিনীপুর সহ গোটা রাজ্য। ইতিহাস বিভাগের প্রশ্নপত্রে জিজ্ঞেস করা হয়েছে —
👉 “মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর, যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন।”

প্রশ্নটির ভাষা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শিক্ষাবিদ, ইতিহাসপ্রেমী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবার সহ বহু মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে — "যাঁরা দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন, তাঁদের কি ব্রিটিশদের ভাষায় 'সন্ত্রাসবাদী' বলে শিক্ষা দেওয়া হবে?"

ইতিহাস যা বলে:- মেদিনীপুর জেলায় ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অসংখ্য বিপ্লবী লড়াই সংঘটিত হয়। এর মধ্যে তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহিদ বাঙালি বিপ্লবীদের হাতে নিহত হন:-

1. 🕯 জেমস পেডি – নিহত: ৭ এপ্রিল ১৯৩১
2. 🕯 রবার্ট ডগলাস – নিহত: ৩০ এপ্রিল ১৯৩২
3. 🕯 বার্নার্ড ই. বার্জ – নিহত: ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩

এই হত্যাকাণ্ডগুলির পেছনে ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সুপরিকল্পিত সশস্ত্র আন্দোলন। অনেক বিপ্লবী এই হত্যার জন্য ফাঁসি, কারাবরণ বা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন।

প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন নাগরিক সমাজ:-
🔸 স্থানীয়দের একাংশ বলছেন, “ব্রিটিশরা যাদের 'terrorist' বলেছিল, তারাই আজকের শহিদ। ওই চোখে ইতিহাস দেখা মানে শহিদদের অসম্মান করা।”
🔸 একজন অবসরপ্রাপ্ত ইতিহাস শিক্ষক জানান — “এটি নিছক একাডেমিক প্রশ্ন নয়। এখানে ঐতিহাসিক চেতনা ও জাতীয় মূল্যবোধকে আঘাত করা হয়েছে।”

কী চাইছেন প্রতিবাদীরা..?

1. প্রশ্নপত্র প্রণেতার বিরুদ্ধে তদন্ত।
2. বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা।
3. ভবিষ্যতে ইতিহাস শিক্ষায় ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করার নির্দেশিকা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া:-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে অভ্যন্তরীণভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মেদিনীপুর, যেখান থেকে ক্ষুদিরাম বসুর মতো বিপ্লবীর জন্ম হয়েছে, সেই জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন প্রশ্ন উঠে আসা নিঃসন্দেহে গভীর উদ্বেগজনক।
এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় — ইতিহাস কেবল তথ্য নয়, তা আত্মপরিচয়ের ভিত্তিও। সেখানে ভাষার প্রতিটি শব্দই গুরুত্বপূর্ণ।

#বিদ্যাসাগরবিশ্ববিদ্যালয়
#সংগ্রামীনয়সন্ত্রাসবাদী
#মেদিনীপুরএরগৌরব
#শহিদের_অসম্মান_চলবে_না


08/07/2025

রাজ্যের শিক্ষিত যুব সমাজের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হতাশা এবং সরকারি চাকরির অপ্রতুলতার ফলে একটি ব্যঙ্গাত্মক অথচ বেদনাদায়ক বাস্তব সামনে উঠে এসেছে—B.A, M.A, B.Ed, D.El.Ed-এর মতো উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেও চাকরি না পেয়ে অনেকেই এখন বাধ্য হচ্ছেন ঘুগনি বা ঝালমুড়ির দোকান বসাতে।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি গান — “মা আর চাকরি খুঁজবো না, দে ঘুগনি বানিয়ে মা” — যেন হয়ে উঠেছে আজকের যুবসমাজের ভাঙা স্বপ্নের প্রতীক। এই গান শুধুমাত্র বিনোদনের নয়, এটি এক গভীর আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার চিত্র।

▪️চাকরির প্রতিশ্রুতি, বাস্তবে বেকারত্ব
সরকার প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের থেকে B.Ed ও D.El.Ed শিক্ষালাভ করাচ্ছে। কিন্তু, নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় বহু শিক্ষার্থী বয়স পার করে ফেলেছেন শুধুমাত্র অপেক্ষা করতে করতে। ফলস্বরূপ, শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে।

▪️ স্বপ্ন যখন ঘুঙনিতে গলে যায়
একসময় যে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, তারা আজ হকারি, খাবার বিক্রি বা ডেলিভারি বয়-এর চাকরিতে প্রবেশ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বহু শিক্ষার্থী প্রশ্ন তুলছেন — “এই ডিগ্রিগুলোর আদৌ কি কোনও মূল্য আছে?”

▪️ রাজনীতির ছায়া ও প্রজন্মের ব্যর্থতা
রাজ্য সরকারের তরফে ‘চাকরির সুযোগ’ নিয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে বহু নিয়োগ আটকে রয়েছে আদালতে বা প্রশাসনিক গাফিলতিতে। যেসব নিয়োগ হয়েছে, সেখানে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল হয়েছে রাজ্য।

তরুণদের দাবি — “আমরা মেধার মূল্য চাই, রাজনীতির প্রহসন নয়। চাকরি চাই, চরম বাস্তবতা নিয়ে ব্যঙ্গ নয়।”

রাজ্যের ভবিষ্যৎ যদি ঘুগনি-ঝালমুড়ির উপর দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে তা কেবল যুব সমাজের নয় — এক গোটা ব্যবস্থার ব্যর্থতার নিদর্শন।

✍️ #ঘুগনি_নয়_চাকরি_চাই
✍️
✍️

04/07/2025

সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বিয়ের শাড়ি গাবানোর রীতিতে লুকানো আছে প্রাচীন বৈজ্ঞানিক জ্ঞান। সাঁওতাল সমাজের বিয়ের রীতি শুধুমাত্র এক ঐতিহ্য নয়, তার প্রতিটি ধাপে লুকিয়ে আছে গভীর বিজ্ঞান ও জীবনের দর্শন। এমনই একটি রীতি হল – সিঁদুর দানের শাড়ি হলুদে গাবানো। সম্প্রতি স্থানীয় এক বিয়েবাড়ির ভিডিওতে এই রীতি আবারও উঠে এসেছে আলোচনায়।

বিয়ের আগে বর-কনের জন্য যে বিশেষ শাড়িটি প্রস্তুত করা হয়, তা কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে দুই পাশে ধরে গাবানো হয়। এই প্রথার রয়েছে বহু প্রজন্ম ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি।

বৈজ্ঞানিক দিক থেকে দেখা গেলে –
হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক, যা কাপড়ে জীবাণু প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে থাকা কার্কিউমিন উপাদান ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধেও কার্যকর। বিয়ের মত স্পর্শনির্ভর অনুষ্ঠানে এমন কাপড় ব্যবহার স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও নিরাপদ।

সাংস্কৃতিক তাৎপর্যেও এর গুরুত্ব কম নয় –
হলুদকে সাঁওতাল সমাজে শুভ সূচনার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। নতুন জীবনের দ্বারে দাঁড়ানো কনের পরনে এই হলুদের শাড়ি যেন মায়ের আশীর্বাদ হয়ে জড়িয়ে থাকে। শাড়িটি গাবানোর সময় গান, উৎসব, ও সম্প্রীতির আবহে তা হয়ে ওঠে এক আবেগঘন মুহূর্ত।

আদিবাসী গবেষকদের মতে, “এই প্রথা আদিবাসী সমাজে নারী-পুরুষের স্বাস্থ্য ও পবিত্রতা রক্ষার এক প্রতীকী উদ্যোগ, যা কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিক স্বাস্থ্যবোধেরও প্রতিফলন।”

এই রীতির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই প্রশ্ন করেন – এতদিন আমরা এটাকে কেবল ‘রীতি’ বলে মেনে নিয়েছি, আজ বুঝতে পারছি এর গভীরে কতটা বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে।

এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দেয় – আদিবাসী সমাজের লোকজন জ্ঞান, আচার ও সংস্কৃতি শুধুমাত্র “লোকাচার” নয়, তার গভীরে রয়েছে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের স্পর্শ ও মানবিক সুরক্ষা বোধ।

এমন ঐতিহ্য আজ শুধু পালন নয়, সংরক্ষণেরও দাবি রাখে। কারণ এতে রয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জীবনের শিক্ষা।

Video:- Collected

#হলুদের_বৈজ্ঞানিক_মূল্য #সাঁওতাল_বিয়ে #সিঁদুরদান

Address

Midnapur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সমাজ সাড়িম পত্রিকা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সমাজ সাড়িম পত্রিকা:

Share