সমাজ সাড়িম পত্রিকা

সমাজ সাড়িম পত্রিকা বিভিন্ন জায়গার ছোট বড় সব খবরের জন্য, সঙ্গে রাখুন, আপডেট থাকুন।
NEWS, INFORMATION, STORY FROM YOUR AREA.

18/09/2025

পুরুলিয়ায় কুড়মি সমাজের রেল ও রাস্তা অবরোধের বিরোধিতায় পথে “সচেতন নাগরিক মঞ্চ”

পুরুলিয়া, ১৮ সেপ্টেম্বর :
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে ঘোষিত রেল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচির বিরোধিতা করে রাস্তায় নামলেন “সচেতন নাগরিক মঞ্চ”-এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় মঞ্চের এক সাংবাদিক বৈঠকে কড়া ভাষায় এই কর্মসূচির বিরোধিতা করেন মাহাতো সম্প্রদায়ের সাংবাদিক দেবরাজ মাহাতো।

দেবরাজবাবু সরাসরি বলেন, “রেল ও রাস্তা অবরোধের মতো কর্মসূচি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই নয়। আন্দোলনের নামে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে জিম্মি করা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।” পাশাপাশি তিনি কুড়মি সমাজের আন্দোলনের পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অজিত প্রসাদ মাহাতোর নাম উল্লেখ করে একাধিক মন্তব্য করেন।

উল্লেখযোগ্য, কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে বহুদিন ধরেই ST তালিকাভুক্তির দাবিতে জোরদার আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবেই আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা রেল ও সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির জেরে জঙ্গলমহল থেকে শুরু করে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

“সচেতন নাগরিক মঞ্চ”-এর দাবি, দাবিদাওয়া নিয়ে গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করা উচিত, কিন্তু জনজীবন অচল করে দেওয়ার মতো কর্মসূচি সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। মঞ্চের সদস্যরা এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন— ভবিষ্যতে যদি অবরোধ কর্মসূচির কারণে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েন, তবে তারা লাগাতার বিরোধিতা করবেন।

ভিডিও বার্তায় দেবরাজ মাহাতোর বক্তব্য ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

বক্তার মতামত সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব, এর জন্য সমাজ সাড়িম পত্রিকা কোনওভাবেই দায়ী নয়।

18/09/2025

হাইকোর্টের নির্দেশে কড়া প্রশাসন....কুড়মিদের রেল অবরোধ রুখতে সাংবাদিক সম্মেলনে পুরুলিয়া জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার।

পুরুলিয়া, ১৮ সেপ্টেম্বরঃ-
কুড়মি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর রেল রোকো কর্মসূচির ডাক ঘিরে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—রেল চলাচল ব্যাহত করা যাবে না, জনসাধারণের যাতায়াত ও পরিষেবার উপর কোনওরকম বাধা দেওয়া অসাংবিধানিক ও আইনবিরোধী। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরুলিয়ার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশাসনের অবস্থান জানালেন।

জেলা শাসক বলেন, “আইন-আদালতের নির্দেশ মেনে রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত। কেউ আইন হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই সুরে পুলিশ সুপারও জানান, “রেল অবরোধ হলে সাধারণ মানুষের বিপুল ভোগান্তি হয়। আমরা কোনওভাবেই তা হতে দেব না। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

প্রশাসনিক মহলের দাবি, এ বছর পুজো সামনে রেখে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে জেলার অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি চিকিৎসা ও জরুরি পরিষেবাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আগে থেকেই কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হল।

রেল সূত্রে খবর, অবরোধের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই একাধিক ট্রেন বাতিল বা বিকল্প রুটে ঘোরানোর প্রস্তুতি চলছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষও আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে অনুরোধ জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে রেলপথ অবরোধ না করতে।

প্রশাসনের বার্তা স্পষ্ট—গণতান্ত্রিক সমাজে দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে, তবে সেই দাবি আদায়ের পথ হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও আইনসম্মত। আদালতের নির্দেশের পর অবরোধে অংশ নিলে প্রত্যেককেই আইনি জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।

#কুড়মি_আন্দোলন #রেল_অবরোধ #পুরুলিয়া #হাইকোর্ট_নির্দেশ #জেলাশাসক #পুলিশসুপার

18/09/2025

বীরভূমে আদিবাসী কন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার শিক্ষক।

নিজস্ব সংবাদদাতা, রামপুরহাট

বীরভূমে ফের নারকীয় কাণ্ড। নিখোঁজ থাকার ২০ দিন পর উদ্ধার হলো এক আদিবাসী নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ। অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই স্কুলের ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষককে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়ে।

পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নাবালিকাকে নিখোঁজ দেখেও পুলিশ তৎপর ছিল না। অবশেষে যখন তার দেহ উদ্ধার হলো, তখন সমাজ ফেটে পড়েছে ক্ষোভে।

একটি কচি প্রাণ, একটি পরিবারের স্বপ্ন—অপরাধীর নৃশংসতায় শেষ হয়ে গেল।

ক্ষোভে ফেটে পড়ল আদিবাসী সমাজ, ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে বুধবার ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল (BJMPM)-এর পক্ষ থেকে রামপুরহাট থানার ঘেরাও কর্মসূচি হয়। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের বীরভূম জেলা পারগানা ঘাসিরাম বাবু।

অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি—
1️⃣ অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।
2️⃣ দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
3️⃣ ভবিষ্যতে আদিবাসী কন্যাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংগঠনের বক্তব্য, প্রতিবাদ সভায় সংগঠনের নেতারা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন—
👉 “একজন শিক্ষক, যিনি হওয়ার কথা ছিলেন পথপ্রদর্শক, তিনি যদি নৃশংসতার প্রতীক হয়ে ওঠেন তবে সমাজের বিবেক কোথায় দাঁড়াবে?”

👉 “আমাদের সন্তানের সম্মান, জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও আপস করা হবে না। আজ যদি দোষীকে উদাহরণ না দেওয়া হয়, তবে আগামী প্রজন্মের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।”

আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি—
👉 “আদিবাসী সমাজ নীরব নয়। ন্যায়বিচার না মেলা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। আর একটিও কন্যার প্রাণ এভাবে নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।”

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। প্রশ্ন উঠছে—শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার গ্যারান্টি না হন, তবে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানকে কাকে ভরসা করবেন?
বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর সারা পশ্চিমবাংলা জুড়ে অচল করার ডাক দিতে চলেছে আদিবাসী সংগঠন।

16/09/2025

“भारत के मूलवासी केवल आदिवासी हैं”— कृष्णा हांसदा:-
कृष्णा हांसदा का कहना है कि भारत में सच्चे Indigenous लोग सिर्फ आदिवासी ही हैं। उनका तर्क— संविधान ने Fifth व Sixth Schedule में आदिवासियों को मान्यता दी है, उनकी भाषा व संस्कृति अब भी प्राचीन है। द्रविड़ या आर्य को मूलवासी नहीं कहा जा सकता।

16/09/2025

বারুইপুরে বিক্ষোভ, ভুয়া ST সার্টিফিকেট বাতিলের দাবি...

নিজস্ব সংবাদদাতা, 26-09-2025 বারুইপুর:

তুমুল বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়াকেও উপেক্ষা করে সোমবার বারুইপুরে রাস্তায় নামল পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের আহ্বানে অনুষ্ঠিত হল মহাবিক্ষোভ সমাবেশ ও গণডেপুটেশন। মূল দাবি—
▫️ ভুয়া ST সার্টিফিকেট অবিলম্বে বাতিল করা হোক।
▫️ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সমিতির রাজ্য সম্পাদক পার্শাল কিস্কুর অভিযোগ, “বারুইপুর এসডিও নাকি মাহাত পদবী ধারিদের ‘সাঁওতাল সাব কাস্ট’ লিখে ST সার্টিফিকেট দিয়েছেন।” তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “এই সমস্যার সমাধান না হলে আগামী জানুয়ারি মাসে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বন্ধের ডাক দেওয়া হবে।”

প্রবল বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া— কোনো কিছুই থামাতে পারেনি হাজারো আদিবাসীর মিছিল। শহর জুড়ে ধ্বনিত হয়েছে একটাই স্লোগান—
“অধিকার চাই, ন্যায় চাই, অস্তিত্বের লড়াই চলবেই।”

সমাবেশ শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আন্দোলন শুধুমাত্র প্রতিবাদ নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমান অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করার ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

পার্শাল কিস্কু জানান আজকের সমাবেশ প্রমাণ করল—
প্রতিকূলতার মাঝেও আদিবাসী সমাজের ঐক্য অটুট। বর্ষার জলে ভিজলেও দাবির আগুন নিভে যায়নি। ইতিহাস গড়তে জানে পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী জনতা।

পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা—
“আমাদের কণ্ঠস্বর কোনোদিন দমে যাবে না। ন্যায়ের পথে, সত্যের পথে, সংগ্রামের পথে আমরা এগিয়ে চলবই।”

#আদিবাসী_অধিকার #ঐক্যের_লড়াই #পশ্চিমবঙ্গ_আদিবাসী_কল্যাণ_সমিতি

---

15/09/2025

অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা মহলের উদ্যোগে কাস্টমারি ল ও পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক।

নারায়ণগড়, রবিবার,১৪-০৯-২৫:-
আদিবাসী সমাজের সার্বিক উন্নয়ন শুধু সাহায্য বা ভাতা নির্ভর নয়, বরং টেকসই পরিকাঠামো ও ঐতিহ্যগত আইন রক্ষার মধ্য দিয়েই সমাজ এগিয়ে যেতে পারে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের পক্ষ থেকে নারায়ণগড়ের বাঁধ গোড়ায় আয়োজিত হলো এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

খড়গপুর তল্লাট সাঙ্ঘার কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তল্লাটের বিভিন্ন মুলুক এলাকার পারগানা বাবারা। আলোচনার মূল বিষয় ছিল— "কাস্টমারি ল" বা আদিবাসীদের নিজস্ব প্রথাগত আইনকে রক্ষা ও সরকারি স্বীকৃতি আদায় করা, পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো কীভাবে উন্নত করা যায় সেই দিক নির্দেশনা।

জেলা জগ পারগানা শিবুলাল মুর্ম্মূ বৈঠকে বলেন, “আদিবাসীদের উন্নয়ন মানেই কেবল সাহায্য নয়। প্রয়োজন আমাদের গ্রামগুলোতে স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্রীড়া মঞ্চ ও সাংস্কৃতিক অবকাঠামো গড়ে তোলা। পাশাপাশি "কাস্টমারি ল" -কে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হলে সমাজ আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়াতে পারবে। এই কাজে সবাইকে একযোগে এগোতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ফেক এসটি সার্টিফিকেটের বিরুদ্ধে বর্তমানে কল্যাণ সমিতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। আমাদের সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি বার্ষিক সম্মেলন ধাপে ধাপে করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে বৃহত্তর ঐক্যের ভিত মজবুত হয়।”

পারগানা বাবাদের তরফে জানানো হয়, গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়ন— রাস্তাঘাট, জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একই সঙ্গে সাঁওতালি সমাজের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার কথাও জোর দিয়ে তোলা হয়।

জেলা মহল থেকে একটি ফর্মেট দেওয়া হয়েছে সেই মোতাবেক মাঝি সাঙ্ঘার কর্মসূচি গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

#অবিভক্তমেদিনীপুর
#জাকাতমাঝিপারগানামহল
#কাস্টমারি_ল
#আদিবাসী_উন্নয়ন
#পরিকাঠামো_উন্নয়ন
#খড়গপুরতল্লাট
#পারগানা_বাবা
#সাঁওতালি_সংস্কৃতি






#সমাজসাড়িমপত্রিকা

---

15/09/2025

মানবাজারে শাসকদলের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ। আদিবাসী মায়ের চোখের জলে ক্ষোভের বিস্ফোরণ।

মানবাজার, সোমবারঃ
মানবাজার বিধানসভার মানবাজার-১ ব্লকের চাঁদড়া পায়রাচালি অঞ্চলের বেনাগড়িয়া গ্রাম। সেখানকার শোষিত-বঞ্চিত আদিবাসী পরিবারের দুর্দশা ঘিরে ফের সরগরম হল রাজনীতি। অভিযোগ, এখনও বহু পরিবার পড়ে আছে সরকারি প্রকল্পের আওতার বাইরে। নেই স্থায়ী বাড়ি, নেই ভাতা, এমনকি ন্যূনতম জীবিকার নিরাপত্তাও অধরাই।

এই পরিস্থিতি ঘিরেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেত্রী ময়না মুর্ম্মূ। সরাসরি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি অভিযোগ করেছেন — “মন্ত্রী সন্ধ্যা রানী টুডুর এলাকায় থেকেও বঞ্চনার শিকার আদিবাসীরা। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে কিছুই মেলেনি।”

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, বেনাগড়িয়া গ্রামের মায়েদের চোখের জলই প্রমাণ করছে শাসকদলের প্রকৃত মুখ। তাঁদের অভিযোগ, “তৃণমূল সরকার শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছে। আদিবাসী মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছিল মুখে, কিন্তু কাজে মেলেনি।”

বিজেপির মানবাজার বিধানসভা নেতৃত্ব জানিয়েছে, গ্রামে বহু মানুষের নাম রাজ্যের সরকারি প্রকল্পে থাকলেও বাস্তবে সুবিধা পৌঁছচ্ছে না। বাড়ি বা ভাতার মতো মৌলিক সুযোগসুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত বহু পরিবার। সেই কারণেই আদিবাসী মহলে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অঙ্গন ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত। বিজেপির নেতৃত্বের দাবি — “আদিবাসীদের চোখের জলের মূল্য আছে। এই শোষণকারি সরকারকে উৎখাত করার মহাযজ্ঞে মানুষের ঐক্যই হবে আসল অস্ত্র।”

বেনাগড়িয়া গ্রামের বঞ্চিত আদিবাসী মায়েদের অসহায় আর্তনাদ এখন মানবাজারের রাজনৈতিক লড়াইয়ে বড় প্রতীকে পরিণত হয়েছে।


#সমাজসাড়িমপত্রিকা

15/09/2025

পুরুলিয়া জেলার লালপুর মহাত্মাগান্ধী কলেজে সাঁওতালি মিডিয়ামের জন্য শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আজ প্রতিনিধি মূলক ডেপুটেশন জমা দিল ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল, পুরুলিয়া জেলা মহল।

সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কলেজে সাঁওতালি ভাষায় পড়াশোনা চালু থাকলেও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ছাত্রছাত্রীদের পাঠক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে জোর দেয় জেলা মহল।

ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের পুরুলিয়া জেলা পরগনা রতনলা হাঁসদা, জেলা পারানিক বিভাস হেমব্রম-সহ জেলার বিভিন্ন তল্লাটের পারগানা বাবারা। জেলা মহলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—
“ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই সাঁওতালি মিডিয়ামের জন্য শিক্ষক নিয়োগ জরুরি। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে হবে।”

এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ একটি নিয়ম এবং সিস্টেম মেনে হয়। তবে আপাতত রিসোর্স পারসন হিসেবে কাউকে নিযুক্ত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কো-অর্ডিনেটর আরও আশ্বাস দিয়েছেন— ছাত্রছাত্রীদের কোনো অসুবিধা কলেজ প্রশাসন হতে দেবে না।

এই কর্মসূচিকে ঘিরে স্থানীয় মহলে ইতিমধ্যেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সাঁওতালি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীদের আশা, এবার প্রশাসন তাদের সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।


#সমাজসাড়িমপত্রিকা

14/09/2025

রাঁচিতে কুর্মি বনাম আদিবাসী দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ উগরে বাইক র‍্যালি

রাঁচি, ১৪ সেপ্টেম্বর:
কুর্মিদের তপশিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদা দেওয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত ঝাড়খণ্ড। রবিবার রাঁচির রাস্তায় নেমে পড়ল আদিবাসী সমাজ। ক্ষোভ উগরে দিল বাইক র‍্যালি করে। তাদের সাফ দাবি— “কুর্মি কখনওই আদিবাসী নয়, এসটি মর্যাদা দেওয়া চলবে না।”

আন্দোলনকারীরা জানান, বহু শতাব্দী ধরে সাঁওতাল, মুন্ডা, হো, উরাঁও প্রভৃতি সমাজ ঝাড়খণ্ডের মাটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কুর্মি সমাজ মূলত কৃষিভিত্তিক হিন্দু সম্প্রদায়, যাদের ব্রিটিশ আমল থেকেই ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে তাঁদের এসটি মর্যাদা দেওয়া হলে, সংরক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে প্রকৃত আদিবাসীরা বঞ্চিত হবেন।

অন্যদিকে কুর্মি সমাজ দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে, তারা আসলে প্রাচীন আদিবাসী সমাজের অংশ। তাই তাদেরও এসটি তালিকাভুক্ত করা হোক। এই দাবিতেই গত কয়েক বছরে বারবার অবরোধ, মহাসড়ক জুড়ে ধর্না, এমনকি দিল্লি পর্যন্ত কুর্মিদের আন্দোলন পৌঁছে গেছে।

ফলে বর্তমানে দ্বন্দ্ব তীব্র আকার নিয়েছে। আদিবাসীরা একে দেখছেন অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে। তাঁদের বক্তব্য— “এসটি মর্যাদা ভাগ হতে দিলে আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে যাবে।”

রাঁচির বাইক র‍্যালিতে অংশ নেন হাজার হাজার আদিবাসী যুবক। স্লোগানে মুখরিত হয় শহরের রাস্তাঘাট। পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে কর্মসূচি সম্পন্ন হলেও, এই ঘটনায় কুর্মি বনাম আদিবাসী দ্বন্দ্ব আরও একবার সামনে এল।

Video - Collected
#সমাজসাড়িমপত্রিকা

হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিডিএস স্কুল, মেরামতের দাবিতে এগিয়ে এল গ্রামীণ ক্লাব।নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর, ১১ সেপ্টে...
11/09/2025

হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিডিএস স্কুল, মেরামতের দাবিতে এগিয়ে এল গ্রামীণ ক্লাব।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর, ১১ সেপ্টেম্বর:-

ক্লাব মানেই শুধু আড্ডা নয়, উৎসব-পার্বণও নয়। ক্লাব মানেই সমাজের দায়িত্ব। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাগাখুলিয়ার আদিবাসী সাঁওতা সুষৌর ক্লাব সেই দায়িত্ববোধের নজির গড়ল।

প্রায় এক মাস আগে গ্রামে আইসিডিএস স্কুলে কয়েকটি হাতি ঢুকে দরজা-জানালা ভেঙে দেয়। ভেতরে মজুত চালের বস্তা টেনে নিয়ে খায়। এর ফলে স্কুলের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পড়ুয়াদের পক্ষে স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে।

এই পরিস্থিতিতে ক্লাবের সম্পাদক শিবুলাল মুর্ম্মূ একটি চিঠি আকারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মেরামতির আবেদন করেছেন। তাঁর বক্তব্য—
“আমাদের ক্লাব শুধু কয়েকজন সদস্যের জন্য নয়, আসলে পুরো গ্রামই এর সদস্য। তাই গ্রামের সমস্যাই আমাদের ক্লাবের সমস্যা। আইসিডিএস স্কুলের দরজা-জানালা দ্রুত মেরামত করা অত্যন্ত জরুরি। না হলে ছোট ছোট শিশুদের পড়াশোনা ও পুষ্টির ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে চেষ্টা করেছি, যাতে প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আসে।”

ক্লাব সূত্রে খবর, এই উদ্যোগের বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই ক্লাবের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আপডেট করা হয়েছে, যাতে গ্রামের প্রতিটি মানুষ বিষয়টি জানতে পারেন।

এছাড়া এই মানবিক প্রচেষ্টার খবর প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা, সব্যসাচী পত্রিকা এবং মেদিনীপুর টাইমস-এ। এজন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ সংবাদপত্রগুলির সম্পাদক ও সংবাদদাতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

গ্রামবাসীরা মনে করছেন, বাগাখুলিয়া আদিবাসী সাঁওতা সুষৌর ক্লাবের এই পদক্ষেপ প্রশাসনের তৎপরতা বাড়াবে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য ক্লাবের কাছেও অনুকরণীয় হয়ে উঠবে।

#আদিবাসীসমাজ #আমাদেরক্লাবআমাদেরগর্ব #সামাজিকদায়িত্ব
#বাগাখুলিয়া #সাঁওতাক্লাব #শিক্ষারক্ষায়উদ্যোগ
#আনন্দবাজারপত্রিকা #মেদিনীপুর #ঝাড়গ্রাম #সামাজিকউদ্যোগ

#সব্যসাচী #মেদিনীপুরটাইমস

10/09/2025

বেহাল রাস্তা, উন্নয়নের হাহাকার – তাড়া খেয়ে পালালেন বিডিও ও প্রধান:- নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগড়, পশ্চিম মেদিনীপুর:-
নারায়ণগড়ে বেহাল রাস্তাঘাট ও এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের অভাবকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, বহুবার আবেদন-নিবেদন সত্ত্বেও পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের তরফে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা।

ঘটনা গতকাল দুপুরের। এলাকায় পাড়ায় সমাধান পরিদর্শনে যান নারায়ণগড় ব্লকের বিডিও ও স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরা প্রথমে সমস্যার কথা তুলে ধরে ক্ষোভ জানাতে থাকেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীরা ঘেরাও শুরু করলে কার্যত বিপাকে পড়েন প্রশাসনিক আধিকারিক ও প্রধান। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় শেষমেশ দৌড়ে এলাকা ছাড়েন দু’জনেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, “বছরের পর বছর ধরে রাস্তা নেই, জল জমে থাকে, চলাচল করা মুশকিল। নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরে কেউ ফিরেও তাকায় না। এবার আমরা চুপ করে বসে থাকতে রাজি নই।”

অন্যদিকে, পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, উন্নয়নের কাজ চলমান। কিছু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এলাকার মানুষ অবশ্য আর আশ্বাস শুনতে রাজি নন। তাঁদের একটাই সাফ কথা—“আমরা উন্নয়ন চাই, ঘেরাও নয়, পালানো নয়।”

#পশ্চিমমেদিনীপুর #নারায়ণগড় #গ্রামীণউন্নয়ন #বেহালরাস্তা #জনঅসন্তোষ #পঞ্চায়েতরাজনীতি #বাংলাররাজনীতি #তৃণমূল #অভিযোগপ্রশাসন #আন্দোলন

নয় বছর পর SSC, তবু সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নেই! নিয়মে স্বীকৃতি, বাস্তবে বৈষম্য— সরকারের চক্রান্তের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁস...
08/09/2025

নয় বছর পর SSC, তবু সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নেই! নিয়মে স্বীকৃতি, বাস্তবে বৈষম্য— সরকারের চক্রান্তের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে সাঁওতাল সমাজ-

নয় বছর পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। রাজ্যের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী বসেছেন সেই পরীক্ষায়। অথচ অবাক করার মতো সত্যি— একটিও পদ খোলা হয়নি সাঁওতালি ভাষা বা সাঁওতালি মাধ্যমের জন্য!

নিয়মে নাম আছে, বাস্তবে নেই পদ!
SSC-এর বিজ্ঞপ্তির ১২ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে— নবম-দশম কিংবা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে সহকারী শিক্ষক হতে হলে যে ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বেছে নেবেন (বাংলা/ইংরেজি/হিন্দি/নেপালি/ওড়িয়া/সাঁওতালি/তেলেগু/উর্দু), সেই ভাষায় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ থাকতে হবে। অর্থাৎ, সাঁওতালি ভাষার সুযোগ নিয়মে নিশ্চিত।

কিন্তু বাস্তব.....?
▫️ কোনো পদ নেই।
▫️কোনো সিট নেই।
▫️ সাঁওতালি মাধ্যমে পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ কার্যত বন্ধ।

অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের জগ পারগানা শিবুলাল মুর্ম্মূ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন—

“পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন সাঁওতালি মাধ্যমে পড়ছে। অথচ শিক্ষকই যদি না থাকে, তাদের ভবিষ্যৎ কে গড়বে...? এ কোন উন্নয়ন...?”

তিনি সরাসরি দাবি করেছেন— ১.অবিলম্বে স্পেশাল ড্রাইভে সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ শুরু করতে হবে।
২.প্রতিটি সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিশ্চিত করতে হবে।
৩.সাংবিধানিক অধিকার ও ভাষাভিত্তিক ন্যায়বিচার রক্ষা করতে হবে।

সমাজের ভেতরেই প্রশ্ন উঠছে— এত সংগঠন, এত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কোথায়...? কেন অনেকেই সরকারের দালালি করে মুখ বন্ধ করে বসে আছেন...? তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভ,
“আজ যদি আমাদের ছেলেমেয়েদের মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়, তার জবাবদিহি আজকের নেতাদেরই করতে হবে।”

নতুন ষড়যন্ত্র: ক্যাটাগরি উধাও

এবারের SSC পরীক্ষায় আরেক মারাত্মক বৈষম্য—
ST, SC, OBC— কোনো ক্যাটাগরির অপশনই নেই!
তাহলে রেজাল্টে কাট-অফ মার্ক কীভাবে তৈরি হবে...? কিভাবে বোঝা যাবে কোন প্রার্থী কোন ক্যাটাগরির...?

👉 শিক্ষামহলের মতে, এটা স্পষ্ট প্রমাণ— পশ্চিমবঙ্গ সরকার ধাপে ধাপে সংবিধানে প্রদত্ত আদিবাসী রিজার্ভেশন গোপনে খতম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
👉 একদিকে শিক্ষক নিয়োগে সাঁওতালি ভাষাকে বাদ, অন্যদিকে ক্যাটাগরি লোপাট— সব মিলিয়ে পরিকল্পিত আক্রমণ আদিবাসীদের উপর।

চাকরির বাইরে আরও বড় প্রশ্ন, এটা কেবল চাকরির দাবি নয়। এটা ভাষা, সংস্কৃতি, অধিকার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্বের প্রশ্ন।
👉 নিয়মে নাম রেখে বাস্তবে পদ না দেওয়া মানে প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য।
👉 এটা স্রেফ অবহেলা নয়, বরং আদিবাসী সমাজকে শিক্ষায় পিছিয়ে দেওয়ার সুপরিকল্পিত চক্রান্ত।

পরিশেষে শিবুলাল মুর্ম্মূ বলেন আর কতদিন চুপ থাকব....? আজ যদি প্রতিবাদ না করি, কাল আমাদের ছেলেমেয়েদের মাতৃভাষায় শিক্ষা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।

আদিবাসী সমাজ জেগে উঠুন। ভাষা বাঁচান, সংস্কৃতি বাঁচান, ভবিষ্যৎ বাঁচান।
এই অবিচার মানা যায় না— এখনই রাস্তায় নামুন।


Address

Midnapur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সমাজ সাড়িম পত্রিকা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সমাজ সাড়িম পত্রিকা:

Share