সমাজ সাড়িম পত্রিকা

সমাজ সাড়িম পত্রিকা বিভিন্ন জায়গার ছোট বড় সব খবরের জন্য, সঙ্গে রাখুন, আপডেট থাকুন।
NEWS, INFORMATION, STORY FROM YOUR AREA.

15/06/2025

কোনো এক রাজনৈতিক দলের নেতার দম্ভ, পুলিশের উপর হামলা — গণতন্ত্র অপমানিত! রাজনৈতিক দলের নেতা প্রকাশ্যে এক পুলিশ আধিকারিকের উপর চড়াও হয়েছেন। যে পুলিশ অফিসার আইন রক্ষা করতে এসেছিলেন, তাঁরই উপর হাতে-কলমে চড়াও হওয়া — এটা কি রাজনৈতিক দাদাগিরির নতুন সংজ্ঞা?

➡️ সাধারণ নাগরিকেরা যদি আইন মানতে বাধ্য হন,
➡️ পুলিশ যদি সংবিধান মেনে কাজ করে,
তবে একজন শাসকদলের নেতা কি নিজেকে আইনের উর্ধ্বে ভাববেন?

এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা অত্যন্ত লজ্জাজনক। একজন পুলিশ আধিকারিকের গায়ে হাত তোলা মানে গোটা আইনি কাঠামোকে অপমান করা। আর প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা মানে – ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ।

আজকের এই ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে —
👎 পুলিশ যদি নিজের সম্মান রক্ষা করতে না পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
👎 আইনের শাসন যদি রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে হার মানে, তবে সেটা কি গণতন্ত্র?

🔴 এর থেকে ভিক্ষা করা অনেক সম্মানের, যেখানে অন্তত নিজের আত্মসম্মান অক্ষুণ্ণ থাকে।

আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
👉 আমরা চাই দোষীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ পদক্ষেপ।
👉 আমরা চাই পুলিশ প্রশাসন নিজেদের অপমানের বদলা নিক আইন মেনে, সাহসের সাথে।

ভবিষ্যতের প্রজন্ম দেখুক — আইনের উপর কেউ নেই।
#পুলিশ_অপমান #তৃণমূল_সন্ত্রাস #গণতন্ত্র_বাঁচাও #পশ্চিমবঙ্গ_লজ্জিত #ভারতবাসী_হিসেবে_লজ্জিত
#ভারতীয়_জনতা_পার্টী #কংগ্রেস #সিপিআইএম #আইএসএফ ি_পার্টী

বেলপাহাড়ির গর্ব: কবীন্দ্র হাঁসদার WBCS (Executive) পরীক্ষায় সাফল্য। এক সময়ের প্রত্যন্ত গ্রাম, আজ যেখানে কবীন্দ্র হাঁসদার...
12/06/2025

বেলপাহাড়ির গর্ব: কবীন্দ্র হাঁসদার WBCS (Executive) পরীক্ষায় সাফল্য। এক সময়ের প্রত্যন্ত গ্রাম, আজ যেখানে কবীন্দ্র হাঁসদার সাফল্যগাথা গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রান্তিক চাষির সন্তান, জঙ্গলমহলের গাড়পাহাড় এলাকার কবীন্দ্র হাঁসদা আজ সারা বেলপাহাড়ির সম্মানিত নাম। তাঁর সাফল্য শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং পুরো গ্রামের জন্য এক উৎসাহের দিশারি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু কী ছিল তাঁর পথ? কবীন্দ্র হাঁসদার জীবন যাত্রা সহজ ছিল না। গাড়পাহাড়ি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হয়েছিল, কিন্তু দূরবর্তী অঞ্চলে শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই অসুবিধাগ্রস্ত। কিন্তু সেখানেও তার ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় মনোবল তাঁকে থামাতে পারেনি। এরপর তিনি নিউ আলিপুর কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং জীবনকে একটি নতুন দিকে ধাবিত করেন।

বর্তমানে কবীন্দ্র ওদলচুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গ্রুপ-ডি কর্মী হিসেবে কাজ করছেন, তবে তাঁর অর্জন এখানে থেমে থাকেনি। সম্প্রতি তিনি WBCS (Executive) পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছেন, যা শুধু তাঁর স্বপ্নপূরণের পরিণতি নয়, পুরো জঙ্গলমহল তথা বেলপাহাড়ির জন্য এক বিরাট অর্জন।

কবীন্দ্র বলেন, “শিক্ষিত হলে বাকি কাজ ওরা নিজেরাই করতে পারবে।” তাঁর বিশ্বাস, শিক্ষা একমাত্র পথ যা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, নিজের এবং সমাজের জন্য। তিনি শুধু নিজের নয়, নিজের মতো পিছিয়ে পড়া গ্রামের অন্য ছেলেমেয়েদেরও আলোর পথে টেনে আনতে চান।

আগের পথচলা: রামজীবন হাঁসদা( বর্তমানে গড়বেতা ১নং ব্লক এর বিডিও সম্ভবত)।

এই একই অঞ্চলে ৯ বছর আগে ড্যুবিসিএস পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছিলেন রামজীবন হাঁসদা। আজ তিনি একজন বিডিও। রামজীবন হাঁসদার সফলতা ছিল কঠিন পথে চলার এক প্রমাণ, যেখানে যোগাযোগহীনতা, বইয়ের অভাব এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা অনেক বাধা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু কবীন্দ্রের সাফল্য দেখিয়ে দিল, কঠিন পরিশ্রম, ইচ্ছাশক্তি এবং শিক্ষার মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

কবীন্দ্র হাঁসদা ও রামজীবন হাঁসদার সাফল্য শুধু তাদের নিজেদের নয়, বরং গোটা এলাকার জন্য এক শক্তিশালী বার্তা। তাঁদের এই পথচলা প্রমাণ করে যে, সুযোগ ও শিক্ষার অপ্রতিরোধ্য শক্তি, যা প্রতিটি বাধা জয় করতে পারে। আর এভাবেই, অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং একাগ্রতার মাধ্যমে সমাজের জন্য কিছু ভালো কাজ করা সম্ভব।

আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন অনুপ্রেরণামূলক কাহিনীগুলি ছড়িয়ে দিতে আমাদের সাহায্য করুন। ১টি লাইক, ১টি কমেন্ট, এবং ১টি শেয়ার করুন—আমাদের অনেক উৎসাহ দেবে, যাতে আমরা প্রতিদিনই এমন ভালো কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারি।

🇺🇸 আমেরিকার মঞ্চ কাঁপাতে চলেছেন শালবনীর বিজলি! মাথার উপর ১৩টি কলসি নিয়ে যাঁর নাচ বিশ্ব মঞ্চে পৌঁছে দিল — এক অনন্য সাঁওত...
11/06/2025

🇺🇸 আমেরিকার মঞ্চ কাঁপাতে চলেছেন শালবনীর বিজলি! মাথার উপর ১৩টি কলসি নিয়ে যাঁর নাচ বিশ্ব মঞ্চে পৌঁছে দিল — এক অনন্য সাঁওতালি শিল্পী বিজলি মুর্মু ।

মাত্র ১১ বছর বয়সে বিয়ে, সংসারে অভাব অনটন, দিনমজুরের কাজ থেকে টোটো চালানো—জীবনের শুরুটা ছিল শুধুই সংগ্রাম। কিন্তু শালবনীর আসমানচকের বিজলি মুর্মু হার মানেননি। শিল্পই তাঁর হাতিয়ার হয়ে ওঠে, আর নৃত্যই হয়ে ওঠে কণ্ঠহীন জীবনের ভাষা।

১৩টি কলসি মাথায় নিয়ে সাঁওতালি নাচ—এ যেন শুধুই বিনোদন নয়, এটি তাঁর যন্ত্রণার, লড়াইয়ের ও আত্মপ্রকাশের প্রতীক। দিনভর টোটো চালিয়ে সংসার চালান, আর রাতে চলে কঠোর অনুশীলন।

আজ সেই শিল্পই তাঁকে পৌঁছে দিল আমেরিকার এক নামী আন্তর্জাতিক রিয়েলিটি শো-এর মঞ্চে, যেখানে বিচারকরা প্রশংসা করেছেন তাঁর প্রতিভার প্রতি।

🏅 তাঁর যাত্রার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত:🎖 ২০১৪ সালে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি, বাংলাদেশ সফরে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোসের কাছ থেকে বিশেষ সম্মাননা।

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মেয়ে বিজলি মুর্মু বর্তমানে শালবনীর আসমানচকে থাকেন। দুই সন্তানের মা। নিজের পড়াশোনা হয়নি, কিন্তু আজও একটাই স্বপ্ন—সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।

বিজলি আজ শুধু শালবনীর গর্ব নন, তিনি গোটা দেশের এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন—পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা থাকলে পাহাড় টপকানো যায়।

আসুন, আমরা সকলে বিজলি মুর্মুর এই যাত্রাকে কুর্নিশ জানাই। শেয়ার করে তাঁর গল্প ছড়িয়ে দিন আরও দূর, যেন বাংলার মাটির গন্ধ পৌঁছে যায় বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে।

13/05/2025

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের সাথে এরা লড়াই করতে গিয়েছিলো। বাকি টা ইতিহাস হয়ে গেছে। আদিবাসীদের সাথে লড়াই করার আগে অত্যন্ত পাঁচ বার ভাবা উচিৎ।

02/05/2025

সব জান্তা গেঞ্জিওয়ালা সন্ময় ব্যানার্জী বিতর্ক: দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, সাত দিনের চ্যালেঞ্জ:-
সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছেন তথাকথিত 'সব জান্তা গেঞ্জিওয়ালা' শ্রী সন্ময় ব্যানার্জী। তাঁর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য ও বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তাঁকে।

দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, সন্ময় ব্যানার্জী মিথ্যে বলছেন এবং সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। সেই কারণে তাঁকে জনতার সামনে, চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে হবে – এই দাবি জানিয়ে দিলীপ ঘোষ সাত দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “বিজেপির টাকায় সংসার চলে, আর বিজেপিকেই চোখ দেখাচ্ছেন?”

এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ আরও বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। কেউ সন্ময় ব্যানার্জীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, কেউ আবার দিলীপ ঘোষের কটাক্ষকে সমর্থন করছেন।

এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে কী প্রভাব ফেলবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

#গেঞ্জিওয়ালা #বাংলাররাজনীতি #সন্ময়ব্যানার্জী #দিলীপঘোষ #রাজনীতিকাণ্ড

21/04/2025

SSC ভবনে উত্তাল পরিস্থিতি: যোগ্য-অযোগ্য লিস্ট প্রকাশ না হওয়ায় চেয়ারম্যানকে ঘেরাও শিক্ষকদের, আন্দোলন তীব্র হচ্ছে----নিজস্ব প্রতিবেদন | কলকাতা:-
আজ কলকাতার SSC (School Service Commission) ভবনে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখলো রাজ্য। যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশে দেরি এবং কর্তৃপক্ষের নীরবতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শিক্ষকরা আজ চেয়ারম্যানকে ভবনের ভেতরে ঘেরাও করেন।

চেয়ারম্যান সাহেব ভবনেই আটকে আছেন, কারণ আন্দোলনকারীদের সাফ বার্তা—
"যোগ্য-অযোগ্য লিস্ট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই তাঁকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।"

শিক্ষকদের এই প্রতিবাদ হঠাৎ নয়। বহুদিন ধরেই তাঁরা নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম, বিলম্ব এবং অপারদর্শিতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। কিন্তু বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তাঁদের ভবিষ্যৎ।
আজ সেই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে তাঁরা ভবনে প্রবেশ করে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন — এবার আর পিছিয়ে যাওয়া নয়।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলি হল:
১.অবিলম্বে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ।
২.নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা।
৩.চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণার কথা থাকলেও শিক্ষকদের মধ্যে ডিভাইডেড এন্ড রুলস কেন করা হচ্ছে।

শিক্ষকদের এই পদক্ষেপে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সমর্থনের ঝড় উঠেছে। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, এবং সাধারণ মানুষ সবাই তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

"আমার শিক্ষক যদি আন্দোলনে নামেন, আমি নিশ্চয়ই তাঁর পাশে থাকব"—এই মনোভাব এখন হাজারো মানুষের কণ্ঠস্বর।

এই প্রতিবাদ নিছক আন্দোলন নয়, এটি সম্মান, অধিকার ও ন্যায়বিচারের লড়াই। আজ এসএসসি ভবনের প্রতিটি দেয়াল এই লড়াইয়ের সাক্ষী।

অনেকেই সরব হয়েছেন, এই প্রতিবাদ থামবে না, যতক্ষণ না দাবি মেনে নেওয়া হয়।
আমরা পাশে আছি। প্রতিবাদ তীব্র হোক।

#শিক্ষকদের_পাশে_থাকুন

17/04/2025

বাঁকুড়া: একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে বাঁকুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করলেন ভূমিজ (Bhumij) সম্প্রদায়ের মানুষজন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হয়ে তাঁরা শহরের কেন্দ্রস্থলে মিছিল করে এগিয়ে যান জেলা শাসকের (DM) দপ্তরের দিকে।

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিছিলকে জেলা শাসকের কার্যালয় চত্বরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষুব্ধরা রাস্তায় বসে পথ অবরোধ শুরু করেন। এতে শহরের যান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

এই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ভূমিজ সমাজ তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। প্রশাসনের কাছে তারা আজ লিখিতভাবে দাবি পেশ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বাধা দেওয়ায় আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে।

প্রশাসনের তরফে পরে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেওয়া হলেও আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে।

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে জেলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

শেয়ার এবং কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান — আপনি কী মনে করেন, বক্তার মুখ থেকে ফুটে ওঠা ভূমিজ সমাজের এই দাবি গুলি কতটা ন্যায্য...?

#ভূমিজ #আদিবাসী

12/04/2025

মুর্শিদাবাদ, ১১ এপ্রিল:- গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিবাদের অধিকার মৌলিক অধিকারগুলির মধ্যে অন্যতম। নাগরিকরা যদি কোনো বিষয়ে ক্ষুব্ধ হন বা প্রতিবাদ জানাতে চান, তার জন্য নির্ধারিত ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলনের সুযোগ সংবিধান স্বীকৃত। তবে সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে, এই অধিকারকে ঢাল করে যেভাবে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তা নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

জলঙ্গি বিডিও অফিসে হামলা, কাঁচ ভাঙচুর, দফতরের আসবাবপত্র নষ্ট ও সরকারি ফাইলের ক্ষতি—এসবই ক্যামেরাবন্দি হয়েছে এবং সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশই অল্পবয়সী, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর, যাদের কেউ বা কারা উস্কে দিয়ে মাঠে নামিয়েছে বলেই অভিযোগ উঠছে।

প্রশ্ন উঠছে—এই ধরনের আন্দোলনের লক্ষ্য কি আদৌ ন্যায়সঙ্গত থাকে, যদি তা হিংসা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের রূপ নেয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি অফিস মানে শুধু প্রশাসনের কার্যালয় নয়—এটা জনগণের পরিষেবার কেন্দ্র। এগুলোর ক্ষতি মানে করদাতাদের অর্থে তৈরি অবকাঠামোর ক্ষতি। এক্ষেত্রে শুধুই প্রশাসনিক সমস্যা নয়, সাধারণ মানুষের সেবার পথেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ যদি ভাঙচুর হয়, তাহলে তা সমাজে অরাজকতা ও নিরাপত্তাহীনতার বার্তা দেয়। ফলে, এই ঘটনায় যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

নাগরিক সমাজের একাংশের বক্তব্য, আন্দোলন হোক, দাবি হোক—সবকিছুরই একটা ন্যায়সংগত পদ্ধতি ও পরিণত রূপ থাকা উচিত। হিংসাত্মক পথে হাঁটলে আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়, বরং জনসমর্থন হারিয়ে যায়।

এই প্রেক্ষিতে, West Bengal Police-এর কাছে দাবি উঠেছে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের সাহস না পায়।

#পুলিশ_অ্যাকশন_হোক

10/04/2025

সাঁতরাগাছি, হাওড়া:- সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাঁতরাগাছি এলাকায় একটি ব্যক্তিগত গাড়ির উপর থাকা 'ওঁ নমঃ শিবায়' স্টিকার এবং ভারতের জাতীয় পতাকা দেখে একদল ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ির উইন্ডশিল্ডে আঘাত করছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনাটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ধর্মীয় অবমাননার স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।

ভিডিওটিতে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, ঘটনার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও, তারা কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। এই নিষ্ক্রিয়তা নিয়েই উঠেছে প্রশাসনিক পক্ষপাত ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটা অবস্থায় গাড়িচালক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, "এটা যদি উল্টো দিকে হতো, তাহলে পরিস্থিতি হয়ত সম্পূর্ণ ভিন্ন হতো।"

প্রতিক্রিয়ায় নাগরিক সমাজ বলছে:-
ধর্মীয় প্রতীকের প্রতি এধরনের আচরণ সহনীয় নয়। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা রাষ্ট্রবিরোধী আচরণ। পুলিশকে জনগণের আস্থা রক্ষার্থে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় নাগরিকরা বলছেন, "এটি নিছক গাড়ি ভাঙচুর নয়, বরং এটা ধর্মীয় প্রতীক ও জাতীয় মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত।"

প্রসঙ্গত, এধরনের ঘটনায় প্রশাসনের নীরবতা আইনের শাসন এবং ধর্মীয় সহনশীলতার প্রশ্ন তুলে ধরেছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

প্রতিবেদন: নাগরিক বার্তা

09/04/2025

তারিখ: ৮ই এপ্রিল ২০২৫ | স্থান: কলকাতা
আজ পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রেসিডেন্টের নিকট একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। ডেপুটেশনের মূল বিষয় ছিল ST (তফসিলি জনজাতি)-দের জন্য সংরক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষক পদে Non-ST প্রার্থীদের নিয়োগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ।

সমিতির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ST সংরক্ষিত পদে নিয়ম ভঙ্গ করে Non-ST প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে। এই ঘটনা শুধুমাত্র সংবিধানের সংরক্ষণ নীতির পরিপন্থী নয়, বরং আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার অধিকারেও সরাসরি হস্তক্ষেপ।

ডেপুটেশনে আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে:

1. ST সংরক্ষিত আসনে অবিলম্বে নিয়োগের স্বচ্ছ তদন্ত হোক।
2. অনিয়মিত নিয়োগ বাতিল করে সংরক্ষণের ন্যায্য প্রাপ্যদের নিয়োগ নিশ্চিত করা হোক।
3. ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
4.বাতিল হওয়া ফেক এসটি সার্টিফিকেট স্বত্বেও চাকরি রত,তাদের কে বহিস্কার এবং আইনি ব্যবস্থা অবিলম্বে নেওয়া হোক।

এই ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কল্যান সমিতির আদিবাসী প্রতিনিধিরা, শিক্ষিত যুবসমাজ, সমাজকর্মী এবং বুদ্ধিজীবীরা। তাঁরা সকলেই একক কণ্ঠে জানান, “সংরক্ষণ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, দয়া নয়। এই অধিকার রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব।”

এই আন্দোলন আদিবাসী সমাজের মধ্যে নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তারা।



---

07/04/2025

রাম নবমীর পবিত্র দিনে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ ও বর্ণাঢ্য বাইক র‍্যালি অনুষ্ঠিত হলো। এই র‍্যালি চন্দ্রকোনা রোড থেকে শুরু হয়ে ধাদিকায় গিয়ে শেষ হয়। হাজার হাজার ভক্ত, যুবক, সমাজকর্মী ও সাধারণ মানুষ ভগবান রামের নামে স্লোগান তুলে, হাতে saffron পতাকা ও মাথায় গামছা বেঁধে এই মহাআয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।

র‍্যালি জুড়ে ছিল উন্মাদনা, ধর্মীয় আবেগ এবং ঐক্যের বার্তা। মোটরসাইকেলের স্লোগান, ঢাকঢোল, গীতাপাঠ, ও ভজনের মাধ্যমে ভগবান রামের মহিমা ও বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে।

এই বাইক র‍্যালি শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এক ঐতিহাসিক মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল, যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবোধ একত্রে মিলিত হয়। র‍্যালির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সম্প্রীতির আহ্বান জানানো হয়।

রাম নাম সত্য—জয় শ্রী রাম!















05/04/2025

ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হোস্টেল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, ০৫ এপ্রিল ২০২৫, সন্ধ্যাবেলায় ঝাড়গ্রামের পাঁচমাথা মোড়ে পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করল ভারত জাকাত সান্তাড় পৗঠুয়ৗ গাঁওতা ছাত্র সংগঠন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে —
হোস্টেল বন্ধ হওয়া মানে পিছিয়ে পড়া বহু আদিবাসী ও প্রান্তিক ছাত্রীদের, যারা দূর-দূরান্ত থেকে এসে এখানে পড়াশোনা করেন। হোস্টেল ছাড়া তাঁদের পক্ষে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।

এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র নেতা সরগ হেমব্রম (Sarag Hembram) সহ একাধিক সদস্য, যারা কড়া ভাষায় প্রশাসনের নীরবতার প্রতিবাদ জানান।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় — এই কলেজের সভাপতি ও রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, তখন তাঁর এই নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

প্রতিবাদকারীদের দাবি,
“যেখানে একজন মন্ত্রী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও তিনি টু শব্দটুকু করছেন না, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াবে কে?”

এই আন্দোলন শুধু একটি হোস্টেল নয় — এটি আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্ন।

#সমাজ_সাড়িম_পত্রিকা

Address

Midnapur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সমাজ সাড়িম পত্রিকা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সমাজ সাড়িম পত্রিকা:

Share