Dream world of Hira

Dream world of Hira I'm story lover,and i love nature I believe in God

17/04/2024

❤️ ভালোবাসা ❤️
কন্ঠে - হীরা বিদ
কলমে - স্নেহাশিস বড়ুয়া

17/04/2024

স্মৃতি গেছে মুছে 😢

17/04/2024

কবিতা - খুব ইচ্ছে হয় তোমাকে লিখি 😌
কলমে - রিপন বর্মন
কন্ঠে - হীরা বিদ

একটা মেয়ে ছিল সে ছিলো খুব একা, তার নাম ছিল নন্দিনী। সে ছিল একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা। নন্দিনীর জীবন ছিল অনেক দুঃখের, ...
12/03/2024

একটা মেয়ে ছিল সে ছিলো খুব একা, তার নাম ছিল নন্দিনী। সে ছিল একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা। নন্দিনীর জীবন ছিল অনেক দুঃখের, এবং সে একাকিত্ব এ দিন কাটা তো, তার কোনো বন্ধু বান্ধব ছিলো না, গ্রামের ছোটো একটি পাঠশালায় সে পড়তো, সব সময় সে একা একাই থাকতো কারণ তার মা-বাবা খুব ছোটবেলায় মারা গিয়েছিলেন এবং তার কোনো ভাই-বোন ছিল না। সে তার ঠাকুমার সাথে বসবাস করত।
নন্দিনী প্রতিদিন গ্রামের পাশের নদীর ধারে যেত সময় কাটাতে এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা সে সেই নদীর সৌন্দর্য্যে মগ্ন হয়ে থাকত। আর তার এই একাকিত্ব নদীর জলের সাথে কথা বলার মতো ছিল। সে সেই নদীর সাথে কথা বলতো যেনো, নদীর জলের কলকল শব্দ যেনো তার মনকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতো , সে তার সব একাকিত্ব ভূলে যেতো সেই মুহূর্তেই, সেই নদী তার মনের সব কথা শুনত যেন।

একদিন, নন্দিনী সেই নদীর ধারে বসে একটি ছোট্ট একটি ফুলের বাগান তৈরি করার স্বপ্ন দেখল। সে মনে মনে স্থির করল যে সে একটি বাগান বানাবে আর এই বাগানটিই তার একাকীত্ব এবং শোকের প্রতীক হবে। সে নিজের হাতে অনেক কষ্ট করে আস্তে আস্তে একটি সুন্দর ফুলের বাগান তৈরি করতে লাগল, এবং ধীরে ধীরে সেখানে নানান রকমের ফুল ফুটতে শুরু করল। আর সেখানে সুন্দর সুন্দর রং বে রঙের প্রজাপতি উড়ে বেড়ায় বাগানে,
সব মিলিয়ে সেটা যেনো একটা স্বপনের রাজ্য হয়ে যায়।
বাগানের ফুল এবং এইরকম মনোরম দৃশ্য দেখে গ্রামের মানুষ আকৃষ্ট হয়ে নন্দিনীর ফুলের বাগানে আসতে লাগল। ধীরে ধীরে নন্দিনী বুঝতে পারল যে, তার একাকীত্ব আর নেই। আসতে আসতে তার সব একাকিত্ব দুর করে দিচ্ছে তার এই ফুলের বাগান, মানুষের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে তার জীবনে আসতে থাকে নতুন অর্থ এবং উদ্দেশ্য।

তারপর সময়ের সাথে সাথে নন্দিনীর বাগান শুধু একটি ফুলের বাগান নয়, বরং গ্রামের মানুষের মিলনস্থল হয়ে উঠল। সেখান প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের আনাগোনা, এবং সেটা যেনো একটা মেলা প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছে, বাইরের অন্যান্য জায়গা থেকে তার বাগানে লোকে দেখতে আসে, এবং তার কাছ থেকে অনকেই ফুল কিনে নিয়ে যায়, নন্দিনীর জীবনে এখন নতুন বন্ধু এবং সম্প্রীতির রং লেগেছে। তার এই ফুলের বাগানের কারণে সে বুঝতে পারল, একাকীত্ব আসলে একটি যাত্রার শুরু, যেখানে প্রত্যেকের জীবনে নতুন কিছু অপেক্ষা করে থাকে।

by -Hira Bid

মেয়ে মানেই হাসি খুশি🥰 মেয়ে মানেই রাগ🙁মেয়ে মানেই জমিয়ে রাখে অভিমানের পাহাড়😒 মেয়ে মানেই আগলে রাখে, দূরে ঠেলে দিতেও প...
11/03/2024

মেয়ে মানেই হাসি খুশি🥰 মেয়ে মানেই রাগ🙁
মেয়ে মানেই জমিয়ে রাখে অভিমানের পাহাড়😒
মেয়ে মানেই আগলে রাখে, দূরে ঠেলে দিতেও পারে
মেয়ে মানেই ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে পারে।❤️❤️
মেয়ে মানেই হাসির জোয়ার😁, একটু বোঝে ভূল।
মেয়ে মানেই ছোট্ট গাছের 🌱মিষ্টি একটি ফুল।🌹❤️


by -Hira Bid

একটা সময় এ এসে বুঝেছি কেউ কারো নয়, আমরা মানুষ জাতি তাই একটা আজব প্রাণী আমরা স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝি না, কিন্তু এই প্র...
11/03/2024

একটা সময় এ এসে বুঝেছি কেউ কারো নয়, আমরা মানুষ জাতি তাই একটা আজব প্রাণী আমরা স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝি না, কিন্তু এই প্রকৃতি, এই পরিবেশ, গাছ পালা , পশু পাখি, এরা কখনও স্বার্থ পর হতে পারে না। এদের কে ভালোবাসলে, যত্ন করলে এরা আমাদের দ্বিগুণ ভালোবাসে উপকার করে, যেটা মানুষ পারে না সেটা এই প্রকৃতি পারে, এমন কিছু আনন্দ, ভালো লাগা, ভালবাসা যেটা মানুষের কাছ থেকে পাওয়া না সেটা এই প্রকৃতির সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেলে পাওয়া যায়, নিজেকে খুশি রাখা যায়, যদি একটা মানুষ কে আমরা ভালোবাসি যত্ন করি তাহলে সে একদিন হলেও বেইমানি করতে পারে এই ভয় টা থাকে মনে যদি সে আমার সাথে বেইমানি করে, কিন্তু আমি যদি একটা গাছ লাগাই তখন কিন্তু এই ভয় টা থাকে না, কারণ আমরা যদি গাছ তার যত্ন করি তাহলে এই গাছ আমাদের অক্সিজেন দেবে, তার সাথে সাথে প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে, তাই যখন কষ্ট হবে, যখন দেখবে তোমার চারদিকে কেউ নেই তখন পরিবেশের সাথে মিশে যাও, দেখবে মানুষের কাছ থেকে যত টা না আনন্দ পাচ্ছো তার থেকেও বেশী আনন্দ এইখানে পাবে, ফুল, পাখি এদের ভালোবাসতে শিখে গেলে জীবনে আর আনন্দের অভাব হবে না। কিছু পারি আর না পারি নিজেকে নিজে খুশিতে রাখতে পারবো তখন। এই পরিবেশ, কাউকে কখনও আঘাত করে না, এই পরিবেশের পশুপাখি এদের একটু ভালোবাসলে তারা সেটা দ্বিগুণ করে ফিরিয়ে দেয় । এক কথায় প্রকৃতি সুন্দর ❤️🌳🌱। এর থেকে সুন্দর আর কিছু হয় না, এটা ভগবানের দেওয়া সবথেকে বড়ো উপহার।
আমার এই কথা গুলো মনে হলো তাই বলে দিলাম কারন আমি এই প্রকৃতি কে ভালোবাসি শুধুই ভালোবাসি না খুব ভালোবাসি 🥰 । প্রকৃতির সাথে সময় কাটা টে পারলে কতো টা আনন্দে থাকা যায় শুধু তারাই জানে যারা এই প্রকৃতি কে ভালোবাসে। এই কথা গুলো বলার ইচ্ছে হলে তাই বলে ফেলেছি। -------------------

-------------------------------
Hira Bid

ভালোবাসার পূর্ণতা❤️❤️❤️❤️❤️❤️হৃদয়পুর নামক একটি ছোট্ট গ্রামে দুই তরুণ তরুণী থাকতো, যাদের নাম ছিল রাজ এবং মেঘনা। রাজ ছিল ...
11/03/2024

ভালোবাসার পূর্ণতা
❤️❤️❤️❤️❤️❤️

হৃদয়পুর নামক একটি ছোট্ট গ্রামে দুই তরুণ তরুণী থাকতো, যাদের নাম ছিল রাজ এবং মেঘনা। রাজ ছিল একজন সহৃদয় কৃষকের ছেলে, দিন মজুর, চাষ বাস করে তাদের সংসার চলতো আর মেঘনা ছিল একজন শিক্ষিকার মেয়ে। যেহেতু রাজ ওও মেঘনার বাড়ী একই গ্রামে তাই তারা একই স্কুলে পড়া শোনা করতো তারা ছোটবেলা থেকেই একে অপরকে খুব ভালো বাসত , কিছু বছর পর রাজ অর্থাভাবের কারণে পড়া বন্ধ করে দেয়, রীনা স্কুল থেকে কলেজে ভর্তি হয়, পড়াশোনা করতে থাকে সে , রাজের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারণে তাদের আর সেরকম দেখাও হতো না,

তাদের ভালোবাসা ছিল একেবারে নিঃশব্দ কিন্তু গভীর। তারা একে অপরকে খুব ভালো বাসত, এবং খুব বিশ্বাস করতো ।তারা প্রায়ই গ্রামের বাইরে নদীর ধারে বিকেল বেলায় দেখা করতে যেতো , বসে গল্প করত, এবং কতো স্বপ্ন দেখত তারা । রাজের ভালোবাসা ছিল মেঘানার জন্য অপরিসীম, আর মেঘনা অনির্বাণের সাদাসিধে মনের কথা বুঝতে পারত।

কিন্তু তাদের ভালোবাসা ছিল সমাজের নিয়মে বাধাগ্রস্ত। মেঘনার পরিবার চাইত না যে সে একজন কৃষকের ছেলেকে বিয়ে করুক। কারণ মেঘনার বাড়ীতে ছিলো ধনী পরিবারের এই পরিস্থিতিতে, রাজ ও মেঘনা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিল যে তারা তাদের ভালোবাসাকে বিসর্জন দেবে না। তাই তারা দুজন মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিল এবং, তারা

অনেক বাধা পেরিয়ে, অবশেষে তারা দুজনে মিলে একটি ছোট্ট ঘর বানালো গ্রামের এক প্রান্তে। তারা দেখালো যে সত্যিকারের ভালোবাসা সব বাধাকে জয় করতে পারে।

তাদের গল্প গ্রামের মানুষের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে উঠল, যে প্রেম এবং সাহস যখন একত্রিত হয়, তখন সেটি অবিশ্বাস্য সাফল্য এনে দেয়। রাজ এবং মেঘনা তাদের সরল এবং নিষ্ঠাবান জীবনযাপনের মাধ্যমে অনেককে প্রেরণা দিয়ে গেল।

Written by-Hira Bid
@

মীরার স্বপ্ন পূরণ❤️🤍❤️একটি মেয়ে ছিলো তার নাম মিরা, সে ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসত, তার ইচ্ছে ছিলো সে অনেক বড়ো চিত্র শিল্পী ...
11/03/2024

মীরার স্বপ্ন পূরণ
❤️🤍❤️

একটি মেয়ে ছিলো তার নাম মিরা, সে ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসত, তার ইচ্ছে ছিলো সে অনেক বড়ো চিত্র শিল্পী হবে। কিন্তু তার বাবা ছিলো একজন ছোটো খাটো সাধারণ ব্যাবসায়ী, আর মা ছিলো গৃহিণী তিনি ছিলেন একজন উচ্চ শিক্ষিতা মহিলা, তার বাবার বাড়ীর পরিস্থিিতির চাপে পড়ে সে আর চাকরি করতে পারেনি , বিয়ে হয়ে যায় তার গ্রামে সেখানে মেয়েদের চাকরি বাকরি করা সমাজের চক্ষে খারাপ, তাই আর সে চাকরী করতে পারলো না, এখন সে একজন গৃহিণী, বাড়ীর কাজ কর্ম করে আর কয়েক টা টিউশন পড়িয়ে তার দিন চলে যায়,আর তার একটা ভাই ছিলো সে ছিলো জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী, মীরা ছিলো ক্লাস টুয়েলভ এর ছাত্রী, লেখা পড়াতেও, যেমন সুন্দর ছিলো, তেমনিই ছবি আঁকতেও তার দারুন প্রতিভা ছিলো, সে চায় সে ছবি আঁকা নিয়েই এগবে ভবিষ্যতে। কিন্তু টাকারও তো প্রযোজন , তার বাবা যেহেতু সামান্য রোজকারের উপর দিয়ে সংসার চালায় এতে তো আর তার ইচ্ছে পূরন হবে না তাকে কিছু তো একটা করতেই হবে তার ইচ্ছে পূরণের জন্য এবং ভাই তার অসুস্থ বৃদ্ধ বয়সে তার বাবা, মা কে কে দেখবে এইসব নিয়ে সে সবসময় ভাবতো। একদিন সে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে যাওয়ার পথে তার কানে আসে একটা মাইকের আওয়াজ গাড়িতে করে অনাউন্স হচ্ছে যে তাদের বাড়ীর সামনে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বড়ো অঙ্কন প্রতিযোগিতা হবে অনেক বড়ো বড়ো শিল্পীরা আসবে, যে এই প্রতিযোগিতা তে প্রথম স্থান অর্জন করতে পারবে তাকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে এবং বিনামুল্যে আর্ট কলেজের ভর্তির সুযোগ পাবে। এটা শুনা মাত্রই , মীরা আনন্দে আত্মহারা, এটাই তার সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না, সে ভাবে যে সে সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। যদি সে প্রথম হতে পারে তার ভাইয়ের চিকিৎসাও করতে পারবে, আর তার ইচ্ছেপূরণ করতে পারবে। সেই মতোই সে কাজ করলো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য নাম নথিভুক্ত করে দিলো, আর দুদিন পরই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে মীরা ভয়ও পাচ্ছে সে পারবে কিনা, দেখতে দেখতে দুদিন পার হয়ে গেল মীরা গিয়েছে সেই প্রতিযোগিতায়, বাইরে থেকে অনেক নামকরা সব শিল্পী এসেছে, এবং তার মতো আরো কতো প্রতিযোগী , এইসব দেখে মীরা একটু নার্ভাস হয়ে যায়, আর ভাবতে থাকে আমি কি পারবো?তারই মধ্যে সেখানের একজন শিল্পী মীরাকে লক্ষ করে আর দেখে যে সে ভয় পাচ্ছে, তিনি মীরার কাছে এগিয়ে গিয়ে তাকে বলে, মামনি তুমি কি ভয় পাচ্ছো? মীরা হালকা মাথা নেড়ে বললো নাহ, সেই শিল্পীর নাম দিলীপ মল্লিক, তিনি তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেলেন তুমি ভয় পেওনা, তুমি পারবে, তারপর তার নাম জিজ্ঞেস করলো এবং বললো তুমি বাড়ি যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে একবার দেখা করবে, এই বলে তিনি চলে গেলেন, প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলো সবাই আঁকতে শুরু করে দিয়েছে, অঙ্কন শেষের পর, সেই ব্যক্তির কথা মতো মীরা তার সাথে দেখা করতে যায়, লোকটি মীরা তার সাথে দেখা করতে গিয়েছে দেখে তিনি খুব খুশি হলেন, তিনি কলকাতার একজন নামকরা শিল্পী, তার স্ত্রী সন্তান একটা অ্যাকসিডেন্ট এ মারা গেছে এখণ তিনি একাই থাকেন। তার ইচ্ছে ছিলো তার মেয়েকেও সে তার মতো একজন চিত্র শিল্পী করবে কিন্তু সে ইচ্ছে তার পূরণ হলো না, তিনি মীরার মধ্যেই যেনো তার মেয়ে কে দেখতে পেলো, মীরার প্রতি তার কেমন যেন একটা মায়া কাজ করছিলো, মনে হচ্ছিলো তার মিঠাই যেনো তার বাবার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, দিলীপ মল্লিক এর মেয়ের নাম ছিলো মিঠাই, মীরা যেনো হুবহু তার মেয়ে মীরার মতোই দেখতে, তার চোখে একটু হালকা জল এলো মীরা কে দেখে এবং তার পরিবার সমন্ধে জানতে চাইলে মিরা তার পরিবার এর কথা বললো, তিনি বললেন মা তুমি আমার ফোন নাম্বার টা রাখো যদি কখনো তোমার প্রযোজন হয় আমার এই নম্বরে যোগযোগ করবে , কখনো যদি কোনো সাহায্যর প্রয়জন হয় আমাকে জানিও, ,মিরা লোকটির দিকে অদ্ভুদ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল এবং একটি প্রণাম করলো, তারপর তিনি মীরাকে হাত নাড়িয়ে বিদায় দিলো, মীরাও হালকা হেসে হাত নাড়িয়ে বিদায় দিলো, ওই প্রতিযোগীতার ফলাফল ঘোষণা করা হবে দুই সপ্তাহ পর, তাদের মধ্যে কি সে সেরা হতে পারবে? জানতে হলে শুনতে থাকুন,
তারপর মীরা বাড়ী ফিরে আসার সময় দেখে রাস্তার একটা অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছে , দেখে সেই গাড়ির পেছনে তার পাড়ার দুজন কাকু বাইক নিয়ে সেই গাড়ীর পেছনে যাচ্ছে, হটাত তাকে দেখে গাড়ি থামিয়ে দেয়, আর বলে মিরা তুই তাড়াতা়রি বাড়ি যা, এই কথা শুনে মিরা কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেল আর তাড়াতাড়ি করে বাড়ি গেলো, বাড়ি তে গিয়ে দেখে তাদের বাড়িতে অনেক লোক জড়ো হয়ে ছে, আর তার মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে মাটিতে আর তার ভাই কাঁদছে, আর কয়েক জন পাড়ার মহিলা তার মায়ের চোখে মুখে জল ছিটাছে, জ্ঞান ফেরাবার জন্য, এইসব দেখে সে তো আরো ঘাবড়ে যায় আর ভয় পেয়ে যাই, কি হয়েছে বুজতে পারছে না, আর তার বাবাকেও সে বাড়িতে দেখতে পাচ্ছে না, তারপর সে সেই মহিলা দের জিজ্ঞেস করলো কি হয়ছে? তাদের মধ্যে একজন কাদতে কাদতে বললো সর্বনাশ হয়ে গেছে রে তোর বাবার accident হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাঁচানো যাবে কিনা জানি না, আর তোর মা এই শুনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেচ্ছে, এই শুনে মিরা কাদতে শুরু করে দিলো, কি করবে সে এবার ভেবে পাচ্ছে না, কিছুক্ষন পর তার মায়ের জ্ঞান ফিরলো , তারপর তারা হাসপাতালে গেলো তার বাবাকে দেখতে, হাসপাতালে গিয়ে দেখে তাদের পাড়ার সেই দুটো কাকু অপ্রেশন থিয়েটার এর বাইরে বসে আছে, মীরা ছুট্টে গিয়ে বলে আমার বাবা কোথায়, তারা বললো যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার একটু পর ডক্টর বেরিয়ে এসে বললেন I'm sorry, মীরা বললো কি হয়েছে ডক্টর বাবু আমার বাবা কেমন আছে, ডক্টর বললেন আমি দুঃখিত very critical condition ছিলো, উনাকে বাঁচাতে পারলাম না, এটা শুনে সে কান্নায় ভেঙে পড়লো, তার বাবাকে সে খুব ভালোবাসত, তারপর তারা তার বাবাকে বাড়িতে নিয়ে গেলো, আর শেষকাজ করলো,তার ভাই অসুস্থ থাকার জন্য তাকেই তার বাবার শেষ কাজ করতে হলো, আর কিছুদিন পরই তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, তারপর আবার তার মা, ভাই কে দেখতে হবে এইসব নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে যায় সে, কি করে কি করবে, সে ভাবলো যে তার বাবার ব্যাবসা টা সে শুরু করবে নাহলে সংসার টা কীভাবে চলবে, তারপর সে তার পড়াশোনার পাশাপাশি তার বাবার ব্যাবসা টাও দেখতো, আর কালকেই তার সেই অঙ্কন প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হবে, তারপর দিন সকালে সে সেইখানে পৌঁছে যায় আর ভাবে এতো জন প্রতিযোগীর মধ্যে আমি মনে হয় প্রথম স্থান অর্জন করতে পারব না, আজকেও সেইদিনের সব শিল্পীরা এসেছে, আর সেই দিলীপ মল্লিক মহাশয় ও এসেছেন। এবার ফলাফল ঘোষণার পালা, আগে তৃতীয় স্থান অধিকারীর নাম ঘোষণা করা হলো, তারপর দ্বিতীয় জনের, এবার প্রথম স্থান অধিকারীর নাম ঘোষণা করা হবে মীরার বুক ধক ধক করছে, কে প্রথম হয়েছে ভাবছে, আর তারই মধ্যে ঘোষণা হলো প্রথম স্থান অধিকার করেছে মিরা সরকার। মীরা শুনে পুরো কান্না করে দিয়েছে, সে ভাবতেই পারেনি এটা, আর সে 1 লক্ষ টাকা পুরস্কার পেলো এবং সঙ্গে বিনামূল্যে আর্ট কলেজে ভর্তির সুযোগ। এ যেনো দুঃখের মধ্যেও একটা আনন্দের সংবাদ, তারপর তার সামনে এসে দাঁড়ায় দিলীপ মল্লিক, তিনি বললেন মা আমি সব জানি তোমার ব্যাপারে, তোমার উপর দিয়ে কতো টা ঝড় গিয়েছে আমি সব জানি, আসার সময় এই এলাকার মানুষদের মুখে শুনেছি, এবং তোমার প্রতিভা সম্পর্কেও শুনেছি, তুমি চিন্তা করো না, আমি তোমার পাশে আছি তুমি আমার মেয়ের মতন। মা রে তোর মধ্যে আমি আমার মেয়ে কে খুঁজে পেয়েছি, আজ থেকে তুই আমার মেয়ে, এটা শুনে মীরাও কেঁদে ফেললো, তারপর তিনি মীরাকে বললেন তোর আর তোর পরিবারের দায়িত্ব আমি নিলাম, তুই আমার সাথে কলকাতায় চল, মিরা তার মা আর তার ভাইকে নিয়ে কলকাতায় চলে গেল এবংসেখানে একটি বাড়ী ভাড়া করে তার মা ও ভাইকে নিয়ে থাকার জন্য, দিলীপ বাবু তার মায়ের জন্যে একটি চাকরির ব্যাবস্থা করে দেয়, তার মা একটা চাকরী পেয়ে গেলো এবং সে আর্ট কলেজে ভর্তি হয়ে গেল, আর তার সেই পুরস্কারে টাকায় এবং দিলীপ বাবুর সাহায্যে তার ভাইয়ের চিকিৎসাও করালো , এবং তার ভাইকে একটি ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলো। কিছু বছর পর সে একজন নামকরা শিল্পী হয়ে যায়, তারপর সে একজন ডক্টর কে বিয়ে করে নেয়, তাকে এখণ এক ডাকে সবাই চিনে চিত্রশিল্পী মিরা সরকার। সত্যি এইসব কিছু সম্ভব হলো সেই ভগবান রূপি সেই দিলীপ মল্লিক এর জন্য, নাহলে আজ সে এই পর্যায়ে আসতে পারতো না, উনার মধ্যে সে তার বাবাকে দেখতে পায়।
Written by-Hira Bid

Address

Medinipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dream world of Hira posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share