28/09/2025
🌍 মুর্শিদাবাদের লালগোলা – এক নজরে
পদ্মার কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা মুর্শিদাবাদের এক ঐতিহ্যবাহী নাম লালগোলা। ভৌগোলিক সৌন্দর্য, ইতিহাস, সীমান্ত জীবনের টানাপোড়েন—সব মিলিয়ে লালগোলা আজ শুধু একটি শহর নয়, বরং এক জীবন্ত গল্প।
---
📍 অবস্থান
🔹 মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ উপবিভাগে অবস্থিত।
🔹 পদ্মা নদীর তীরে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন।
🔹 লালগোলা রেলস্টেশন সিয়ালদহ–লালগোলা লাইনের শেষ প্রান্ত।
🔹 আশ্চর্যের বিষয়—লালগোলা ও কৃষ্ণপুর রেলস্টেশনের দূরত্ব মাত্র ১.৭ কিমি, যা ভারতের অন্যতম ক্ষুদ্রতম রেল দূরত্ব।
🔹 পিন কোড: 742148
---
👥 জনসংখ্যা ও সামাজিক চিত্র
📊 ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী—
মোট জনসংখ্যা: ৩১,৬৯৮ জন
পুরুষ: ১৬,১৪৭ | মহিলা: ১৫,৫৫১
শিশু (০–৬ বছর): ৪,২৯০ জন
সাক্ষরতার হার: ৭২.২৩%
🕌 ধর্মভিত্তিক গঠন:
মুসলিম: প্রায় ৮০%
হিন্দু: প্রায় ১৯%
ভাষা: বাংলা (প্রধান), স্থানীয় উপভাষা সহ।
---
🏛️ প্রশাসন ও রাজনীতি
লালগোলা থানা এখানকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে।
বিধানসভা কেন্দ্র: লালগোলা
লোকসভা কেন্দ্র: জঙ্গিপুর
---
💼 অর্থনীতি ও জীবনধারা
কৃষি ও স্থানীয় বাণিজ্য এখানে প্রধান জীবিকা।
পদ্মার তীরবর্তী হওয়ায় মাছ ধরা ও জলাশয় নির্ভর জীবনযাপনও প্রচলিত।
লালগোলা ওপেন এয়ার কারেকশনাল হোম (১৯৮৭ সাল থেকে) এখানে অবস্থিত, যা একসময় রাজবাড়ী ছিল।
---
🌊 সমস্যা ও পরিবেশ
পদ্মার ভাঙন লালগোলার মানুষের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন—প্রতি বছর নদী গ্রাস করছে বহু ভিটেমাটি, রাস্তা ও চাষের জমি।
ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক দূষণ বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
নদীমাতৃক এলাকা হওয়ায় বন্যার আশঙ্কাও সর্বদা বিদ্যমান।
---
🎓 শিক্ষা ও সংস্কৃতি
Mahesh Narayan Academy (1914) – এক ঐতিহ্যবাহী স্কুল।
লালগোলা কলেজ – উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র।
আরও রয়েছে Sekhalipur High School, Sailaja Memorial Girls’ High School প্রভৃতি।
সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশের সংস্কৃতির মেলবন্ধন এখানে স্পষ্ট।
বলা হয়, আনন্দমঠের কিছু অংশ লেখা হয়েছিল এখানকার মহাকালী মন্দিরে বসে।
---
✨ লালগোলা শুধু সীমান্ত শহর নয়—এখানে আছে ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নদীর টানাপোড়েন আর মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই।