23/08/2025
বহরমপুর এক ধরনের পরিবর্তনের মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে।
১. ডাক্তারকেন্দ্রিক শহর থেকে পরিবর্তন
আগে বহরমপুরকে “ডাক্তারের শহর” বলা হতো। প্রায় সব বড় ডাক্তার এখানেই বসতেন।
কিন্তু এখন অনেক ডাক্তার ছোট শহরে (সাগরদিঘি, লালবাগ, জঙ্গিপুর, কান্দি) চেম্বার খুলে বসছেন। ফলে রোগীদের চাপ ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
২. ব্র্যান্ড দোকানের উত্থান
এখন বড় বড় ব্র্যান্ড খাবার, জামাকাপড়, জুতো, ইলেকট্রনিক্স নিয়ে বহরমপুরে দোকান খুলছে।
কারণ— মুর্শিদাবাদের মানুষ এখন লাইফস্টাইল শপিং-এর জন্য বহরমপুরকে বেছে নিচ্ছেন।
এছাড়া বিদেশে থাকা পরিবার (NRIs) ও বাইরে কাজ করা মানুষের পাঠানো টাকা অনেকটাই এখানে খরচ হচ্ছে।
৩. ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
যদি শুধু ডাক্তার ও ব্র্যান্ড শপের উপর নির্ভরশীল থাকে, তবে বহরমপুর হয়ে যাবে একেবারে “সার্ভিস-ভিত্তিক, ইন্ডাস্ট্রি-শূন্য শহর”।
এখানে কোনো বড় শিল্প, IT হাব বা ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট নেই—এটাই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।
৪. আয়ের সম্ভাব্য পথ
• শিক্ষা কেন্দ্র: আগে থেকেই অনেক স্কুল-কলেজ আছে, ভবিষ্যতে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ও পেশাদার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলে বহরমপুর একেবারে এডুকেশন হাব হয়ে উঠতে পারে।
• চিকিৎসা কেন্দ্র (২.০): আগের ডাক্তার-শহরের ইমেজকে আধুনিক হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সুপার-স্পেশালিটি পরিষেবার মাধ্যমে আবারও শক্তিশালী করা সম্ভব।
• রিটেইল ও ব্যবসা কেন্দ্র: জেলার বিভিন্ন শহরের মানুষ শপিং, ব্যাংকিং ও পরিষেবার জন্য বহরমপুরে আসতেই থাকবেন।
• পর্যটন ও সংস্কৃতি: হাজারদুয়ারি, রেশম, নদীভিত্তিক পর্যটন ও খাবার সংস্কৃতি ব্যবহার করলে শহরে বড় অর্থনীতি তৈরি হতে পারে।
• কৃষিভিত্তিক শিল্প: রেশম, আম, মাছ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প তৈরি হলে নতুন কর্মসংস্থান হবে।
👉 তাই সত্যিই, যদি শিল্প না আসে তবে বহরমপুর কেবল “ইন্ডাস্ট্রি-লেস মহল্লা শহর” হিসেবেই থেকে যাবে।
Post Credit: Sagardighi Town ,Murshidabad