শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু - Sri Chaitanya Mahaprabhu

  • Home
  • India
  • Nabadwip
  • শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু - Sri Chaitanya Mahaprabhu

শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু - Sri Chaitanya Mahaprabhu হরি নাম বিনে কিছু নাহি শুনিতে পাই...
(1)

May the most compassionate and blissful Lord Krishna make everyone's life beautiful, prosperous and auspicious.❤️পরমকরুন...
07/07/2025

May the most compassionate and blissful Lord Krishna make everyone's life beautiful, prosperous and auspicious.❤️
পরমকরুনাময় সচ্ছিদানন্দ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সবার জীবন সুন্দরময়,কল্যাণময় আর মঙ্গলময় করুণ।❤️

06/07/2025

তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো ।। অদিতি মুন্সি ❤ 🎶

06/07/2025

আমরা ভগবানকে কখন ভালোবাসি ? - সম্পা গোস্বামী

06/07/2025

আমরা যেই ছেলে মেয়ে নিয়ে জীবন কাটাচ্ছি তাদের নিয়ে শম্পা দিদি কি বললো শুনুন!

23/03/2024

"জয় রাধামাধব জয় কুঞ্জবিহারী" ♥️
রঙে রঙে – বর্ণময় হয়ে উঠুক সবার হৃদয়;
আসন্ন দোলপূর্ণিমায় সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে উঠুক সবার জীবন। 💕

"দোল পূর্ণিমার শুভেচ্ছা ও হ্যাপি হোলি"🌸

#হরেকৃষ্ণ #শ্রীকৃষ্ণ #ভগবানশ্রীকৃষ্ণ

#জয়শ্রীরাধাকৃষ্ণ #রাধেরাধে #হরিবল

25/09/2022

Shuvo Mahalaya ❤️

18/08/2022

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সবার প্রতি রইলো কৃষ্ণপ্রীতি ও শুভেচ্ছা।

Address

Nabadwip

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু - Sri Chaitanya Mahaprabhu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category

মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের সংক্ষিপ্ত জীবনী

মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য ।। Mahaprabhu Sree Chaitanya


  • চৈতন্য, শ্রী (১৪৮৬-১৫৩৩) প্রকৃত নাম বিশ্বম্ভর মিশ্র। কৃষ্ণ চৈতন্য নামেও তিনি পরিচিত। তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণ থেকে রূপান্তরিত এক ধর্মবেত্তা, যিনি তাঁর স্বকীয় ভক্তির মাধ্যমে বাংলা ও উড়িষ্যার বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্যে দারুণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন। বৈষ্ণব বংশ পরম্পরার পঞ্চম পর্যায় অর্থাৎ গৌড়ীয় সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব তাঁর, যা বর্তমানে উত্তর ভারত ও বাংলাদেশের বৈষ্ণব সমাজের ধর্মজীবনে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে।

  • চৈতন্যের জীবনের প্রথমার্ধ নদীয়া জেলার (পশ্চিমবঙ্গের) নবদ্বীপে অতিবাহিত হয়। সন্ন্যাস গ্রহণের পরে তিনি ভারতের সকল তীর্থ ভ্রমণ করেন, তারপর ফিরে আসেন উড়িষ্যায়, যেখানে শুধু ব্রজ অঞ্চলে একটি সংক্ষিপ্ত সফর বাদ দিলে তাঁর জীবনের বাকি সময় স্থায়িভাবে কাটান। পুরীতে বাসকালে তিনি ক্রমশ জড়ো হওয়া বহু সংখ্যক পন্ডিত, গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী, এমনকি প্রজাপতি রাজা প্রতাপ রুদ্রের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতেন। বাংলার ভক্তবৃন্দ তাঁকে ধরাধামে আবির্ভূত স্বয়ং ভগবান অর্থাৎ কৃষ্ণ হিসেবে জ্ঞান করে প্রতিবছর, তাঁর কাছে আসত। এ মাহাত্ম্যে তাঁর জীবনকাহিনী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্যে দুটি উদ্দেশ্য সম্পন্ন করেছে। প্রথমত, আধ্যাত্মিক উপস্থিতির মূর্ত প্রকাশরূপে এবং দ্বিতীয়ত, ভক্তির আদর্শ হিসেবে। কারণ, তাঁর শিক্ষা ও ব্যক্তিগত আদর্শই ধর্মতত্ত্ব ও ধর্মীয় আচারাদির মৌলিক নীতিসমূহ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে এবং বর্তমানে সেগুলি গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মে প্রাধান্য লাভ করেছে। ষোল শতকে বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় আড়াই লক্ষেরও বেশি চরণে রচিত পুঁথিগুলিতে তাঁর কর্মকান্ড লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং এসব বিবরণে বিধৃত ঐতিহ্য তাঁর জীবনের মূল রূপরেখার সাথে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

  • নদীয়া জেলায় নবদ্বীপ শহরে ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দের (১৪০৭ শকাব্দ) ফাল্গুন মাসের (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) চন্দ্রগ্রহণের রাতে এক শুভ লগ্নে চৈতন্য জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জগন্নাথ মিশ্র সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ গ্রাম থেকে আগত, আর তাঁর মা শচী ছিলেন নীলাম্বর চক্রবর্তী নামের এক সিলেটি ব্রাহ্মণের কন্যা। প্রথাগতভাবে চৈতন্য লালিত-পালিত হন। বেশ কিছু আখ্যানে শ্রী কৃষ্ণের শৈশবের সঙ্গে চৈতন্যের শৈশবের বেশ মিল দেখানো হয়েছে। তাঁর ডাক নাম রাখা হয় নিমাই (অপদেবতার অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার জন্য ব্যবহূত নিম পাতা থেকে জাত একটি আদুরে ক্ষুদ্র নাম) এবং গৌর বর্ণের জন্য গৌর অথবা স্বর্ণ কান্তি রঙ, যা পরবর্তী সময়ে রাধার স্মারক রূপে গৃহীত হয়েছে। বিষ্ণু পন্ডিত চৈতন্যকে হাতেখড়ি দেন এবং উচ্চতর পড়াশোনার জন্য তিনি গঙ্গা দাসের সংস্কৃত টোলে যান। সেখানকার ঐতিহ্য তাঁকে বড় পন্ডিত হিসেবে গড়ে তোলে। বিভিন্ন তথ্য থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, অতি অল্প বয়স থেকেই তিনি অনন্য সাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন এবং যেখানেই তিনি গেছেন সেখানেই লোকজনকে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। স্থানীয় পন্ডিত বল্লভ আচার্যের কন্যা লক্ষ্মীর সঙ্গে তাঁর পরিণয়ের অল্প দিন পরেই তিনি তাঁর নিজের টোল খোলেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই পূর্ববঙ্গে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে যান। তাঁর বড় ভাই বিশ্বরূপ ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ন্যাসব্রতে দীক্ষা নিয়ে ‘শঙ্করারণ্য’ নাম গ্রহণ করেছেন এবং তাঁর গৃহত্যাগে নিঃসন্দেহে বিশ্বম্ভরের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। যখন বিশ্বম্ভর পূর্ববঙ্গে ভ্রমণরত তখন তাঁর তরুণী স্ত্রী সাপের কামড়ে মারা যান। ফিরে আসার অল্পদিনের মধ্যে চৈতন্য স্থানীয় পন্ডিত সনাতন মিশ্রের কন্যা বিষ্ণুপ্রিয়ার সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। বাইশ বছর বয়সে যুবক চৈতন্য তাঁর মৃত পিতার পিন্ড দানের জন্য গয়া তীর্থে যান। সেখানে প্রখ্যাত বৈষ্ণব সাধক ও সন্ন্যাসী ঈশ্বরপুরীর সঙ্গে বিশ্বম্ভর একাকী সাক্ষাৎ করেন এবং সে সাক্ষাতের পর তিনি কৃষ্ণপ্রেমের উন্মাদনায় শিহরিত এবং চিরদিনের জন্য রূপান্তরিত এক নতুন মানুষরূপে উদ্ভূত হন।