
08/07/2025
🇮🇳🇺🇸
#শ্রীকৃষ্ণপৃথিবীতেআসেন৮৬০কোটিবছরেএকবার
#শ্রীকৃষ্ণপ্রকটহয়েছেনভারতে১৯৭৬সালে
#আত্মউপলব্ধি
#আত্মউপলব্ধিরফল
#ভূমিকা : ব্রহ্মাণ্ডের শব্দ-ভাণ্ডারের সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দ হল '"আত্ম-উপলব্ধি"। আত্ম-উপলব্ধির উদ্দেশ্য হল ; নশ্বর দেহ বা ডিএনএ নয়, শুধুমাত্র "আত্মাকে" উপলব্ধি করা। আত্ম-উপলব্ধির দর্শনে "দেহ এবং ডিএনএ" সম্পূর্ণ মূল্যহীন এবং যুক্তিহীন "দুটি শব্দ" মাত্র। এককথায় নশ্বর দেহের আত্ম-উপলব্ধির জন্ম হলে, বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে, উক্ত দেহকে অন্য কারোর উপর নির্ভর করতে হয়না। নিজের দেহের মধ্যে অবস্থিত পরমাত্মা শ্রীকৃষ্ণ ব্যতীত।
#ব্যাখ্যা : আত্ম-উপলব্ধি বা ব্রহ্মজ্ঞান বা পরমবিদ্যা, বিদ্যার রাজা, যা অতীব দুর্লভ শিক্ষা। সারাজীবন ধরে পদ্মাসনে বসে ধ্যান করলেও আত্ম-উপলব্ধির বিন্দুমাত্র জন্ম হয় না, যদি না আত্মা ; পরমাত্মা শ্রীকৃষ্ণকে আবিষ্কার করতে না পারে।
#জগতেরপাঁঠাছাগলযোগীরা : বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে ধ্যানে মগ্ন " #মানবদেহেরকৃষ্ণকে" আবিস্কার করতে না পারা কোন যোগী'ই ; প্রকৃতপক্ষে যোগী নন। #আন্তর্জাতিকসাক্ষ্যআইনেরআলোতেই এবং #ব্রহ্মাণ্ডেরসাক্ষ্যআইনেরআলোতে তারাই সবচেয়ে বড় প্রতারক। তারা নিজেদের দেহের মধ্যেই অবস্থিত আত্মা-পরমাত্মাকে খুঁজে পায় নি।এই প্রত্যেকটি যোগী এক-একটি আধুনিক পাঁঠা ছাগল মাত্র। কারণ তারা সারাজীবন ধরে কৃষ্ণের মূর্তির সামনে উপবিষ্ট হয়ে উপসনায় রত। অথচ শ্রীকৃষ্ণ যখন ২৫শে ডিসেম্বর ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষের মাটিতেই ৮৬০ কোটি বছর বাদে আবির্ভূত হলেন, তখন " #অর্জুনআমেরিকা" ব্যতীত কেউ তাঁকে খুঁজেই পায় নি।
#আত্মউপলব্ধিরদর্শনহল " #শ্রীকৃষ্ণেরআবির্ভাবকেআবিস্কারকরা "। যা একমাত্র মহাত্মা ঋষি গর্গ এবং বেদব্যাস করতে পেরেছিলেন। যার ফল স্বরূপ ব্রহ্মজ্ঞানের প্রস্ফুটিত আলোতে আন্তর্জাতিক সাক্ষ্য আইনের আলোতেই ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে " #শ্রীমদ্ভগবতগীতা" রচিত হয়েছিল।
সেই লিপিবদ্ধ আত্ম-উপলব্ধির যোগ্য উত্তরসূরী হতে পেরেছেন কেবলমাত্র "উক্ত জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে" যথাক্রমে - চৈতন্যপ্রভু, সনাতন গোস্বামী, স্বামী প্রভুপাদ, তুলসী গাবার্ড প্রমুখ।
আত্ম-উপলব্ধির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন-আমেরিকাকে বলছেন -
রাজবিদ্যা রাজগুহ্যং পবিত্রমিদমুত্তমম্ ৷
প্রত্যক্ষাবগমং ধর্ম্যং সুসুখং কর্তুমব্যয়ম্ ৷৷২
[জেআরসিগীতা ১৮. ৯.২]
অর্থ : এই জ্ঞান সমস্ত বিদ্যার রাজা সমস্ত গুহ্যতত্ত্ব থেকেও গুহ্যতর, অতি পবিত্র এবং প্রতক্ষ্যরুপে আত্মউপলব্ধি প্রদান করে বলে ইহাই প্রকৃত ধর্ম। এই জ্ঞান অব্যয় এবং সুখসাধ্য
আত্ম-উপলব্ধির প্রচুর ফলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফলের দর্শন নিম্নে বর্ণিত হল :
১.আত্মউপলব্ধি সন্তান মোহমুক্ত।
[জেআরসিগীতা ১৮. ১৩.১০-১১]
২.আত্মউপলব্ধি আত্মাতেই তৃপ্ত থাকে। তাই সে কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে অন্যের উপর নির্ভরশীল নয় বিন্দুমাত্র। [জেআরসিগীতা ১৮.৩.১৭]
৩.আত্মউপলব্ধির পছন্দ নির্জনতা ; অর্থাৎ জনাকীর্ণ স্থানে অরুচি।
[জেআরসিগীতা ১৮.১৩.১০-১১]
৪.আত্মউপলব্ধির পিতা-মাতা জগতে একমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণ , অন্য কেউ'ই নয়।
[জেআরসিগীতা ১৮.১৪.৩-৪]
৫.আত্মউপলব্ধি সম্পদের মোহমুক্ত।
[জেআরসিগীতা ১৮.৩.৯]
৬.আত্মউপলব্ধি শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের চরণে স্বতঃস্ফূর্ত আত্মসমর্পণের শিক্ষায় দীক্ষিত।
[জেআরসিগীতা ১৮.১৮.৬৬]
৭.আত্মউপলব্ধি পরমাত্মার প্রতি কর্ম সম্পাদনের দীক্ষায় দীক্ষিত। [জেআরসিগীতা ১৮.৩.৯]
৮.আত্মউপলব্ধি সাত্ত্বিক আহার গ্রহনের শিক্ষায় দীক্ষিত। [জেআরসিগীতা ১৮.১৭.৮]
৯.আত্মউপলব্ধি আত্মার অতীত জানে। তাই আত্মউপলব্ধি বর্তমান দেখে কোন সিদ্ধান্ত নেয় না বা বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় না।[জেআরসিগীতা ১৮. ৪.৫]
১০.আত্মউপলব্ধি সাত্ত্বিক শ্রদ্ধার শিক্ষার আলোতে দীক্ষিত। [জেআরসিগীতা ১৮.১৭.৪]
১১.আত্মউপলব্ধি সাত্ত্বিক দানের শিক্ষায় দীক্ষিত।
[জেআরসিগীতা ১৮.১৭.২০]
১২.আত্মউপলব্ধি দেহের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন না। [জেআরসিগীতা ১৮.২.১১]
১৩.আত্মউপলব্ধি কৃষ্ণ প্রাপ্তির দীক্ষায় দীক্ষিত।
[জেআরসিগীতা ১৮.৮.১৬]
১৪.আত্মউপলব্ধি ভগবানের আবির্ভাবকে আবিস্কার করতে পারে। [জেআরসিগীতা ১৮.৮.১৭]
#উপসংহার : "আত্ম-উপলব্ধির ফলকে" উপলব্ধি করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন-আমেরিকাকে বলছেন :
অমানিত্বমদম্ভিত্বমহিংসা ক্ষান্তিরার্জবম্ ৷
আচার্যোপাসনং শৌচং স্থৈর্যমাত্মবিনিগ্রহঃ ৷৷৮
ইন্দ্রিয়ার্থেষু বৈরাগ্যমনহঙ্কার এব চ ৷
জন্মমৃত্যুজরাব্যাধিদুঃখদোষানুদর্শনম্ ৷৷৯
অসক্তিরনভিষ্বঙ্গঃ পুত্রদারগৃহাদিষু ৷
নিত্যং চ সমচিত্তত্বমিষ্টানিষ্টোপপত্তিষু ৷৷১০
ময়ি চানন্যযোগেন ভক্তিরব্যভিচারিণী৷
বিবিক্তদেশসেবিত্বমরতির্জনসংসদি ৷৷১১
অধ্যাত্মজ্ঞাননিত্যত্বং তত্ত্বজ্ঞানার্থদর্শনম্ ৷
এতজ্জ্ঞানমিতি প্রোক্তমজ্ঞানং যদতোন্যথা ৷৷১২
[জেআরসিগীতা ১৮.১৩.৮-১২]
অর্থ : অমাণিত্য, দম্ভশুণ্যতা, অহিংসা, ক্ষমা, সরলতা, গুরুসেবা, শৌচ, আত্মসংযম,ইন্দ্রিয়বিষয় বৈরাগ্য, অহংঙ্কারশুন্যতা,জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধি-দুঃখ প্রভৃতির দোষ দর্শন, পুত্রাদিতে আসক্তিশুন্যতা, পুত্রাদির শোক দুঃখে ঔদাসিন্য, সর্বদা সমচিত্ত্বতা, আমার প্রতি অনন্যা ও অব্যভিচারিণী ভক্তি, নির্জন স্থান প্রিয়তা, জনাকীর্ণ স্থানে অরুচি,আধ্যাত্ম্যজ্ঞানে নিত্য বুদ্ধি এবং পরম তত্ত্ব অনুসন্ধানে ঐকান্তিক আগ্রহ - এইগুলিই আত্মজ্ঞান বা ব্রহ্মজ্ঞান এর বিপরীতে যা কিছু আছে ; সবই অজ্ঞান।
এককথায় " #আত্মউপলব্ধিরফল পূর্ণ হলে -
আত্মার আশ্রয়স্থল হয় ওঠে শুধুমাত্র পরমাত্মা শ্রীকৃষ্ণ ; অন্য কেউ নয়।
সূত্র
#হরেকৃষ্ণ___হরেকৃষ্ণ___কৃষ্ণকৃষ্ণ___হরেহরে
#হরেরাম____হরেরাম____রামরাম____হরেহরে