সুকেশিনী-Sukasini

সুকেশিনী-Sukasini সৌন্দর্য কোন ধ্রুব ব্যাপার না। ক্ষণে ক্ষণে বদলায়,আজ তোমাকে অপূর্ব লাগছে তার মানে এই না যে কালও লাগবে।

🌄 Start Your Day the Right Way!A morning walk isn’t just a habit—it’s a gift to your body and mind. Just 30 minutes of w...
31/07/2025

🌄 Start Your Day the Right Way!
A morning walk isn’t just a habit—it’s a gift to your body and mind. Just 30 minutes of walking every morning can improve your heart health, boost your mood, and set the tone for a productive day. 🌿💪

Don't wait for motivation. Put on your shoes and take that first step today!

07/07/2025
08/11/2024

যারা আপনার প্রয়োজনে প্রিয়জন ওরা এক একটা চুদানির পোলা/ মাইয়া 🙃

ড. ইউনূস  এবার  টের  পাচ্ছেন, কত  বড়ো  অজ্ঞ, নির্বোধ  আর  অকৃতজ্ঞ  জাতির  ভাগ্য  পরিবর্তনের  ভার  নিজ  কাঁধে  তুলেছেন। এ...
22/08/2024

ড. ইউনূস এবার টের পাচ্ছেন, কত বড়ো অজ্ঞ, নির্বোধ আর অকৃতজ্ঞ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের ভার নিজ কাঁধে তুলেছেন।

একদিকে সারাদেশ বন্যায় আক্রান্ত,
মানুষের হাহাকার,

১৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের বোঝা,

সাবেক স্বৈরাচার সরকারের ষড়যন্ত্র,

একটার পর একটা অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র,

হসপিটালগুলোতে আহত মানুষগুলোর আর্তনাদ,

এখনো মানুষ মরছে, আজকেও একজন মরলো,

রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই ।

এরমধ্যে অকৃতজ্ঞ, নির্বোধ ও নির্লিপ্ত এক জাতি নেমে গেছে দাবি আদায়ে। এদের মধ্যে বিরাট এক অংশ শিক্ষক সমাজ, ছি! তাঁদের নাকি দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দাবি না মানলে তাঁরা কর্মবিরতিতে যাবেন।

বলি এতদিন আপনাদের কর্মবিরতি নেয়ার হেডম কই আছিলো? সদ্যো জন্মগ্রহণ করা নবজাতকের কাছে এত প্রত্যাশা কেমনে করেন? তাঁকে দিয়ে হালচাষ করানোর চিন্তা মাথায় আসে কেমনে?

১৬ বছরে শেষ করে দেয়া একটা দেশকে ১৬ দিনেই মেরামত করা যায়? একটু সময় দেয়া যায় না?

আপনাদের এখন উচিৎ ছিলো, হসপিটালগুলোতে যে যোদ্ধারা কাতরাচ্ছে তাঁদের অন্তত একবার দেখতে যাওয়া, গেছেন? নতুন সরকারকে অভিবাদন জানানোর জন্য সারাদেশ থেকে একটা প্রতিনিধিদল সরকারের সাথে দেখা করা। অন্তত একটা সম্মেলন করে সরকারের পাশে থাকার একটা আয়োজনও তো করেন নাই।

লজ্জা হয় না? এতটুকু আত্মসম্মানবোধ না থাকলে চলে? শিক্ষকতা পেশা শুধু আপনাকে দু পয়সা উপার্জনের মস্তিষ্কই দিয়েছে? জাতির ক্রান্তিলগ্নে জাতির বিবেক হয়ে জাতির হাল ধরার ব্যক্তিত্ব শেখায় নাই?

10/07/2024

ফেইসবুক চালানো নারী কখনো ভালো স্ত্রী হতে পারে না! আর ফেইসবুক চালানো স্বামী হলো শাহ্ সুফী পীরে কামেল মুর্শিদে মোকাম্মেল অলীয়ে আ'যম নেওয়াযে আকরাম মুহাদ্দিসে আলা কুতুবে তাম শাইখিয়া হাফেজিয়া আলহাজ্ব হযরত মাওলানা! :)

I have reached 2.5K followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉
27/04/2024

I have reached 2.5K followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉

বাগান বিলাসের শহর 😊💜
27/04/2024

বাগান বিলাসের শহর 😊💜

21/02/2024

ভালো থাকুক প্রত্যেকটা গলির প্রত্যেকটা ভাই বন্ধু গুলো 🖤

মায়েরা সন্তানদের সুখের জন্য সব করতে পারেন।আজ বলবো তেমন একটা ঘটনা। একজন মায়ের গল্প -তিনি হলেন মেরি অ্যান বেভান যিনি "পৃথি...
11/02/2024

মায়েরা সন্তানদের সুখের জন্য সব করতে পারেন।

আজ বলবো তেমন একটা ঘটনা। একজন মায়ের গল্প -তিনি হলেন মেরি অ্যান বেভান যিনি "পৃথিবীর সবচেয়ে কুশ্রী মহিলা" হিসাবে পরিচিত ছিলেন কিন্তু আপনি তার সমন্ধে জানবেন, তখন আপনি তাকে "পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ব্যক্তি" এবং সুন্দরী মা বলে ডাকবেন।"(প্রজাপতি)

ম্যারি অ্যান অ্যাক্রোমেগালিতে ভুগছিলেন যার কারণে তার মুখের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ছিল এবং মুখ ছিল লম্বা আকৃতির

তার স্বামীর মৃত্যুর পর, ঘরে কোন উপার্জনকারী না থাকায়, ঋণ জমা এবং তার চার সন্তানের আর্থিক চাহিদার কারণে, তিনি অপমানজনক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এবং "বিশ্বের সবচেয়ে কুশ্রী মহিলা" এর আপত্তিকর খেতাব জিতেছিলেন।

পরে তাকে একটি সার্কাস পার্টিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।, যেখানে তিনি বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করতেন এবং লোকেরা তাকে হাসতে এবং অপমান করতো তাকে দেখলেই। মানুষ সন্তানদের জন্য কিনা করতে পারে ভাবুন তো।

তিনি তার সন্তানদের লালন-পালন করতে এবং তাদের একটি উন্নতমানের জীবন দেওয়ার জন্য অন্যদের উপহাস, অপমান রোজ সহ্য করেছিলেন। তিনি 1933 সালে মারা যান। .."(প্রজাপতি)

আজ অবধি, সমাজ মানুষকে তাদের শারীরিক গঠনের উপর বিচার করে, আমাদের চোখ যদি দেহের অসুন্দর চেহারার পরিবর্তে তার আত্মা সৌন্দর্য দেখতে পেত, তবে মেরি অ্যান বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হতেন। আমার চোখে তিনি সবচেয়ে সুন্দর মানুষ এবং মা। মায়েরা কখনও অসুন্দর হয়না....

তপ্ত দুপুরে ক্লান্ত  মুখে কলেজ থেকে বেড়িয়ে রিকশায় উঠে বসলো মেয়েটি। উদ্দেশ্য তার আপন নীড়ে ফেরা।  এই মূহুর্তে বর্ষণ হলে ভা...
14/01/2024

তপ্ত দুপুরে ক্লান্ত মুখে কলেজ থেকে বেড়িয়ে রিকশায় উঠে বসলো মেয়েটি। উদ্দেশ্য তার আপন নীড়ে ফেরা। এই মূহুর্তে বর্ষণ হলে ভালো হতো। মনে প্রাণে জেনো বর্ষণের এক ফোঁটা নীর স্পর্শ করার মিনতি। ব্যস্ত শহর,
একটু নিস্তব্ধ হয়ে গেলে মন্দ হতো না। মূহুর্তে জেনো অন্ধকার হয়ে গেলো আকাশ। শীতল বাতাস চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে মেঘ ।হঠাৎ করে বর্ষণ মূখর হয়ে গেলো পরিবেশ। এই বর্ষণের সময় বর্ষণ বিলাশ না করলে জেনো মনটা ভরবে না। যেই ভাবা সেই কাজ মাঝ পথেই রিকশা থেকে নেমে গেলো মেঘ। তার বাসা আরেকটু সামনে তবে সে বর্ষণ বিলাশ করবে। রিকশা ওয়ালা মামাকে পুরো ভাড়াটা দিয়েই খুশিতে লাফিয়ে,লাফিয়ে চলে গেলো সামনের দিকে। এই রাস্তাটা ফাঁকা, ফাঁকা লাগছে বললে ও ভুল হবে। গাড়ী আসছে যাচ্ছে। তবে হালকা - পাতলা। (মারশিয়া জাহান মেঘ। এবার ইন্টার সেকন্ড ইয়ারে পড়ে। বাবা, মা আর বড় ভাই এই নিয়ে তাদের পরিবার। বড় ভাই ইন্জিনিয়ারিং শেষ করেছে সবে মাত্র বাকীটা গল্পে জানতে পারবেন)।
বর্ষণের নীর স্পর্শ করছে আর নিজের মতো করে ভিজছে মেঘ। পরনে তার হোয়াইট কালারের কুর্তি, বর্ষণের নীরে এলোমেলো চুলগুলো সরু হয়ে গেছে।

দূরে গাড়ী থেকে চোখ ভোলাতেই জেনো আটকে গেলো রুদ্রর। এক শুভ্রময়ী বর্ষণের নীরে নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে। এক অদ্ভুত অনুভূতি জাগ্রত হলো। কে এই শুভ্রময়ী? তাকে দু"চোখ ভরে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছেটা জেনো বেড়েই চলছে। কাঁপা ঠোঁটের দিকে এক পলক তাকাতে ইচ্ছে করছে। রুদ্রর অনুভূতি জেনো জানান দিচ্ছে একটু সামনে থেকে দেখে নেও এই অচেনা,অজানা শুভ্রময়ীকে। একগুচ্ছো কাঠগোলাপ হাতে গাড়ী থেকে বাইরে বের হলো রুদ্র। কাঠগোলাপ তার বরাবরই পছন্দ,কলেজের সামনের বাগান থেকে নিয়েছে সে। দৃঢ় পায়ে এগোচ্ছে সে। শুভ্রময়ীর সামনে পৌঁছানোর আগেই সে চলে গেলো রিকশায় উঠে। রুদ্র ফিরে যায়নি, অচেনা শুভ্রময়ীর বর্ষণ বিলাশের স্থানে যেতেই নুপুর পেলো। হাঁটু গেঁড়ে বসে নুপুরটা হাতে নিলো সে। এক পলকে সে কাঠগোলাপ আর নুপুরের দিকে তাকালো আর মুচকি হাসলো। অচেনা শুভ্রময়ী মিশে আছো ❝ #কাঠগোলাপের_শুভ্রতায়_তুমি❞। মুচকি হেঁসে গাড়ীতে গিয়ে বসলো সে। জারিফ আনান চৌধুরী রুদ্র। কলেজে ইংলিশ টিচার পদে নতুন জয়েন হয়েছে। আজকে কলেজে গিয়েছে তবে ক্লাস করেনি। কলেজের প্রিন্সিপাল ওর বাবার বন্ধু। ওর বাবা একটা ভার্সিটির প্রিন্সিপাল। রুদ্রকে বলেছে ওর বাবা যেই ভার্সিটিতে আছে সেটাতে জয়েন করতে। রুদ্র শোনেনি, ওর অনেক দিনের ইচ্ছে আংকেল যেই কলেজের প্রিন্সিপাল ওটাতে জয়েন করবে এক মাস হলে ও সময় দিবে। আংকেল জেনো রুদ্রর বাবার পর তার দ্বিতীয় আইডল।

মেঘ ভেজা শরীর নিয়ে বাসায় ঢুকতে না ঢুকতে তার আম্মুর বকা শুরু হয়ে গেছে। ভেজা শরীরে কাঁপছে সে। ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার নিয়ে বাইরে আসলো। পায়ের দিকে নজর যেতেই জিভে কামড় দিলো। একটা নুপুর পেলে এসেছে সে। নুপুর গুলো তার দাদীমার দেওয়া। দু" বছর আগে সে পরলোক গমন করেছে তার দেওয়া নুপুর জোড়া মেঘের কাছে স্মৃতি-স্বরুপ।
'কেনো যে বৃষ্টিতে লাফাতে গেলাম, আম্মু যে আমায় কত গুলো বকা দিবে কে জানে?'
নুপুরটা খুলে ড্রয়ারে রেখে দিলো মেঘ। ড্রয়িং রুমে গিয়ে খাবার খেয়ে মেহরাবের রুমে চলে গেলো মেঘ।তার ভাইকে না জ্বালাতে পারলে যে তার শান্তি নেই। দরজার সামনে দাড়িয়ে ডাক দিলো 'ভাইয়া' বলে।

--"মেঘের বাচ্চা এতো ঢং করা লাগে নাকী? আয়।'

--"মেহরাবের বাচ্চা আমি ঢং না করলে কে করবে?'

--"একটা ডা'ইনি আছে যার সব কিছুতে ঢং করার অভ্যাস আছে। আর সেই ডা'ইনিটা হলি তুই।'

--"আরে ভাই একটা হেল্প করনা?"

--"কী হেল্প?"

--"আমার নুপুর!"

--"কী হয়েছে?"

--"একটা হারিয়ে গেছে। আম্মু দেখলে আমার খবর আছে। তুই এক কাজ করিস যেই নুপুরটা আছে ওইটা দোকানে নিয়ে একই ডিজাইনের আরেকটা বানিয়ে আনবি প্লিজ।"

--"আহ্ আমি মনে হয় টাকার গাছ নিয়ে বসে আছি?"

--"আচ্ছা টাকা 50% আমি দেব। এমনিতে এই মাসে সব টাকাই ফিনিশ করে ফেলেছি।"

--"আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে।"

--"থাংকু।"

--"দেখ তো আমার মতো ভাই পেয়ে তোর জীবনটা ধন্য।"

--"ধন্য না একটু উপকার হয় মাঝে,মাঝে।"

--"মাঝে,মাঝে?"
মেহরাব হাত তুললো মেঘকে থা'প্পড় দেওয়ার জন্য।
মেঘ মুখ ভেংচি কেটে দৌড়ে বেরিয়ে আসলো মেহরাবের রুম থেকে। নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লো মেঘ।

মেহরাব মেঘের রুমে এসে দেখলো বেঘোরে ঘুমোচ্ছে সে। ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে পারফিউমের বোতলটা নিতে দেখলো 'বৌদি' নামে সেভ করা নাম্বার থেকে একটা কল আসছে। মেহরাব ব্রু কুচকালো এই বৌদি টা আবার কে? তার বউ না তো? আমার বোন তো দেখি আমার থেকে ও বেশী কর্মোঠ নিজের ভাই বউ খুঁজতে, খুঁজতে হয়রান কিন্তু সে তো পাক্কা বৌদি বানিয়ে পেলেছি। একটু কথা বলে দেখা যাক বউয়ের সাথে। কল রিসিভ করে কানে দিতেই একটা মিষ্টি মেয়েলি ভয়েস ভেসে আসলো "ননদিনী কই তুই?জানিস একটা মা/ল থুক্কু হ্যান্ডসাম ইংলিশ টিচার এসেছে।"

--" আপনার ননদিনী বেঘোরে ঘুমোচ্ছে আমি আপনার জামাই বলছি।"

--"আপ..পনি কে?"
কিছুটা ভিতু কন্ঠে বললো রাখি। রাখি মেঘ দু'জনে বেস্টফ্রেন্ড। তারা একই কলেজে
পড়াশোনা করে।

--"আমি আপনার জামাই বলছি। যাকে ননদিনী ডেকেছিলেন তার ভাই মানে আপনার হবু জামাই।"

--"এ.. এএই শুনুন আমি ভেবেছিলাম আপনি মেঘ তাই বলেছি। নাহলে আপনাকে জামাই বলতে রাখির বয়েই গেছে।"

--"আহারে আমার তো বয়ে গেছে আপনাকে বউ বানাতে। কী ভেবেছেন? আমি ও মিষ্টি, মিষ্টি কথা বলে আপনাকে তেল মারবো? শুনুন এসব অন্য ছেলেদের সাথে গিয়ে বলুন তারা সুন্দর ভাবে বউয়ের উপর দিয়ে 'ওগো বউ' লাগাবে কিন্তু মেহরাব এরকম না।

--"আমি আবার এসব ফালতু ভাবনা কম ভাবি আমার তো গেছে আপনার বউ হতে আর আপনার সম্পর্কে জানতে।"
রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে রাখির। কীভাবে ইনসাল্ট করছে এই মেহরাব।

--"না জানলে আমার বোনকে ননদিনী ডাকেন কেন? আমি কী আপনার বিয়ে করা জামাই নাকী যে আমার বোনকে ননদিনী ডাকবেন?"

--"ও আমার বেস্টফ্রেন্ড আমার যা মন চায় তাই বলে ওকে ডাকবো। আপনার কী?"

--"ও আমার বোন আর আমার বোনকে যেই সেই মানুষ ননদিনী ডাকবে আমি কীভাবে সেটা মেনে নেব?"

--"দেখুন আপনি কিন্তু কথায়,কথা লাগিয়ে ঝগড়া করতে এসেছেন। আপনি তো দেখি মেঘের চেয়ে ও বড়টা। মানুষকে এই ভাবে ইনসাল্ট না করলে ও পারেন। সন্মান দিলে সন্মান পাবেন কথাটা মাথায় রাখবেন।" রাখি রেগে কল কেটে দিলো।

--"এই.. "
মেঘ ফোন টান দিয়ে নিয়ে গেলো। মেহরাব পেছন ফিরে তাকালো।
"দেখ তোর বান্ধুবী এটা কী ঝগড়ুটে। ওর সাথে থেকে তুই ও এমন ঝগড়ুটে হয়েছিস।"

--"তুই কেমন ভাই? কোথায় একটু ভাব মারতি কীভাবে পটানো যায়,দেখ কত সুন্দর রাস্তা ক্লিয়ার করে দিলাম পুরো বৌদি। আসলে তুই একটা অকর্মা ঢেঁকি শাক।"

--"এহহ, আমার তো গেছে ঝগড়ুটে মেয়েদের সাথে ভাব মারতে।"

--"জানা আছে,ঢং করতে হবে না। ভাইয়া চল না সন্ধ্যার দিকে একটু বাইরে যাই। ঘুরবো আর ফুসকা,বেল পুড়ি খাবো।"

--"টাকা নেই আমার কাছে।"

--"ঠা'ডা পড়বো তোর টাকার উপর।"

--"এই একদম এসব বলবি না তোর যা মুখ লেগে ও যেতে পারে।"

--"তাহলে চল না সন্ধ্যায় যাই।"

--"আচ্ছা ঠিক আছে যাব।"
দু'ভাই বোন মিলে কিছুক্ষণ দুষ্টমি করে রেডি হয়ে নিলো। মেহরাব তার আম্মুকে বলে রেখেছে সন্ধ্যায় মেঘকে নিয়ে বের হবে। তার আম্মু কিছুই বলেনি। মেঘ প্রায় সময় মেহরাবের কাছে এই আবদারটা করে কমন ব্যাপার। রেড কালারা কুর্তির সাথে ব্লাক কালার হিজাব পরিধান করলো মেঘ। মেহরাবের সাথে নিচে গেলো। রিকশায় দু'জন উঠতেই মেহরাব রুদ্রকে কল দিলো। রুদ্র মেহরাবের কলেজ লাইফের ফ্রেন্ড এখন ও তাদের বন্ধুত্ব আছে।রুদ্রর সাথে দেখা করবে। মেহরাব যেখানে যাবে সেখানের এড্রেস রুদ্রকে দিলো। ফুসকা,বেল পুড়ি, হাবিজাবি খেয়ে আইসক্রিম কিনতে গেলো মেঘ। মেহরাব রাস্তার সাইডেই দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। দু'টো চকলেট আইসক্রিম নিলো মেঘ। নিজেরটা খাচ্ছে আর মেহরাবের আইসক্রিম হাতে নিয়ে মেহরাবের কাছেই যাচ্ছে সে। কোথা থেকে একটা কার আসলো। মেঘ কিছুটা ভয় পেয়ে সামনের দিকে চলে গেলো। হাত থেকে একটা আইসক্রিম পরে গেছে তার। আইসক্রিম নিচে পড়তেই মেজাজ সপ্তম আকাশে উঠে গেলো মেঘের । রুদ্র গাড়ী থেকে নেমেই মেহরাবের সাথে কথা বলছে। খুব এক্সাইডেট সে।

--"সমস্যা কী আপনার? দেখে তো গাড়ী চালাতে পারেন না এখন আমার আইসক্রিম টা ও আপনার জন্য পরে গেছে। আর মেহরাব এই কা'না ছেলের সাথে তোর কী কথা?"

রুদ্র কথার মাঝে মেঘের দিকে খেয়াল করলো। কিঞ্চিৎ রাগ দেখিয়ে বলে,
"এই মেয়ে মাথা ঠিক আছে তোমার? কাকে কী বলছো?"

--"শোনতে পান না নাকী?"

--"পেয়েছি তো তুমি বাজে বকছো কেন?"

--"বকবো না আমার আইসক্রিম আপনি সরি আপনার গাড়ী পেলে দিয়েছে।"

--"আর ইউ ম্যাড? গাড়ী কীভাবে আইসক্রিম ফেলবে?"

--"আপনি পা'গল। দেখে শুনে গাড়ী চালাতে পারেন না একটুর জন্য তো আমার গায়ে লাগিয়ে দিচ্ছিলেন গাড়ী এখন আবার চড়া,চড়া কথা বলছেন?"

--"এই মেহরাব এই পাগলটা কে?"

--"আরে বোন একটা আইসক্রিম পরেছে তো কী হয়েছে আরেকটা আছে না ওই টা খেয়ে নে তুই। তা ও ঝগড়া করিস না।"

মেহরাব কথাটা বলে।

--"এই পাগল মেয়ে তোর বোন হয় কীভাবে মেহরাব?"

--"এটাই আমার ডা'ইনি বোন।"
মেহরাব জিভে কামড় দিলো। মেঘ বেশ চটে আছে এমনিতে রুদ্র তাকে পাগল বলেছে আবার মেহরাব এই পাবলিক প্লেসে তাকে ডা'ইনি বলেছে। 'মেহরাবের বাচ্চা তোকে আর এই অন্ধ ছেলেটাকে আমি বকা না শুনিয়েছি তাহলে আমার নাম ও মেঘ না।'

--"আরে বোন ভুল হয়েছে। তুই বাবাকে কিছু বলিস না নাহলে আমার খবর আছে।"

--"বলবো না কী করে ভাবলি? এই অচেনা ছেলেটা আমাকে পাগল বলেছে আর তুই ও তার সাথে আমায় ডাই'নি বলেছিস।"

--"আরে ও রুদ্র আমার ফ্রেন্ড।"

--"গোল্লায় যাক রুদ্র। এমন বন্ধুর সাথে থেকে তোর এই অবস্থা হয়েছে। এই ছেলেটার কারণে আমার ভাই আমার সাথে ঝগড়া করে। এই ছেলেটা আমার ভাইকে ঝগড়া শিখিয়েছে"।

--"আরে বোন চুপ থাক না। প্রয়োজনে আবার আইসক্রিম কিনে দেব। ও আমার ফ্রেন্ড অনেক মাস পর ওর সাথে দেখা আমার আর তুই আমার মান-সন্মান সব শেষ করে দিলি। "

--"আর মেহরাব তোর বোন এতো ঝগড়ুটে আগে জানতাম না। তুই কত শান্ত শিষ্ট আর এটা তো দেখি আগুন।"

--"রুদ্র তোর সাথে পরে কথা বলবো এখন এটাকে নিয়ে বাসায় যাই। বেশী রেগে গেলে আবার সমস্যা বাবার কাছে উল্টা-পাল্টা বলবে। আর বাবা ওর সব কথা বিশ্বাস করে নিবে আর বাঁশ ঢলা যা যাবে সব আমার উপর দিয়ে।"

--আচ্ছা। তাহলে বাসায় গিয়ে কল দিস আগে এই আগুনকে নেভা।"

মেহরাব মেঘের মুখ চেপে ধরে রিকশায় উঠালো। রুদ্রকে বায় জানিয়ে চলে আসলো। মেঘর মুখ থেকে হাত সরাতেই আবার ও বকবক শুরু করলো।

--"তোকে নিয়ে আর বাইরেই বের হবো না। তুই আমার সব সন্মান শেষ করে দিবি।"

--"ওই ছেলেটার জন্য তুই আমায় বাইরে ঘুরতে নিয়ে আসবি না?"

--"এই যে কী সুন্দর ভাবে আপনি আমার মান-সন্মানে
বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন।"

--"আমি কী ইচ্ছে করে করেছি নাকী?"

--"না তুই তো ঝগড়ায় নোবেল প্রাপ্ত। আল্লাহ তোকে এতো রাগ দিয়েছে কেন?"

--"রাগী হলে কী হবে আমার মনটা অনেক ভালো হুহ! আই এম প্রাউড অফ মাই ফ্রেশ মাইন্ড। যা শত খুঁজলে ও পাওয়া যাবে না। "

--"হয়েছে জানা আছে। "
বাসার সামনে এসে মেহরাব ভাড়া মিটিয়ে দিলো।
"আর শোন আজকের পাবলিক প্লেসে ঝগড়ার কথা বাসায় কাউকে বলবি না বিশেষ করে বাবার কাছে তো এক বারেই না। নাহলে আর তোকে বাইরে নেব না।"

--" আচ্ছা ঠিক আছে।"
মাথা নাড়িয়ে ভেতরে চলে গেলো মেঘ।

#চলবে

#রিপোস্ট
#কাঠগোলাপের_শুভ্রতায়_তুমি🌸
#পর্বসংখ্যা_১(সূচনা পর্ব)
#শার্লিন_হাসান

24/12/2023

আসসালামুয়ালাইকুম 💜
প্রিয় পাঠক পাঠিকারা 💞

23/12/2023

#প্রেম_রাঙানো_ক্যানভাস💜
#লেখিকা: #ইশা_আহমেদ
#পর্ব_২

রাতের আকাশে পূর্নিমার চাঁদ জ্বলজ্বল করছে। চাঁদের আলোয় আলোকিত চারপাশ। অরিন বারান্দার এক কোণে বসে চাঁদ খানা নিজের রং তুলিতে ফুটিয়ে তুলতে চাইছে। তবে তার মন মতো হয়ে উঠছে না। আশেপাশে কতগুলো আর্ট পেপার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যেখানে অর্ধেক চিত্র আঁকা। অরিন শেষ মেশ না পেরে সেগুলো সেখানে রেখে রুমে আসলো। হাতে মুখে রং লেগেছে। সেগুলো ধোঁয়ার জন্য ওয়াশরুমে গেলো।

“আপপপপপু কোথায় তুই?সবাই নিচে সন্ধ্যার নাস্তা করছে। বড় ফুপি ডাকছে তোকে। অরিন আপু কোথায় তুই?”

অরিন ওয়াশরুম থেকে বের হতেই হায়াতকে দেখলো। হায়াত বিরক্তি নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। অরিন নিজেও বেশ বিরক্ত। এই মেয়ে এতো জোরে চিল্লায়। তার কান শেষ। অরিন কিছুটা ধমকের সুরে বলে,,
“এতো জোরে কেউ চিল্লায়? তুই কি পাগল। আস্তে বললে কি আমি শুনতাম না নাকি? বেয়াদব। আর কখনো আমাকে ডাকতে আসলে এতো জোরে চিল্লাবি নাহ, বুঝেছিস?”

হায়াত ভেংচি কেটে বলল,,,“আমার গলা এমন ডাকতে বললে এভাবেই ডাকবো। আসলে আয় না আসলে নাই। আমি গেলাম। তোকে কি আমি ডাকতে আসতাম নাকি শুধু মাত্র বড় ফুপি বলল তাই আসলাম হুহ”

হায়াত বেরিয়ে যেতে নিলে আবার ফিরে এসে বলে,,,“জানিস আপু ধূসর ভাইয়া আছে না উনি অনেক হ্যান্ডসাম। দেখেছিস তুই তাকে? আমি যদি তোর মতো বড় হতাম নির্ঘাত তাকে টুস করে বিয়ে করে নিতাম”

অরিন চোখ রাঙিয়ে বলে,,,
“যাবি তুই?নাকি আম্মাকে এই কথা গুলো বলবো?”

হায়াত দৌড়ে বের হয়ে গিয়েছে। অরিন চমকে উঠেছে ধূসর নাম ব্যক্তির কথা শুনে। তখন কি বাজে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেই না পরেছিলো সে। যদিও ধূসর নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার রুম ত্যাগ করেছিলো। পাশাপাশি রুম হওয়ায় ধূসর তার রুমে চলে এসেছিলো। তবে অরিন একটা ব্যাপারে ভীষণ অবাক হয়েছে লোকটা তাকে একটি বারের জন্যও সরি বললো নাহ। এটা ভেবে ধূসরের প্রতি অরিনের ক্ষোভ জন্মালো। ধূসরকে মনে মনে ধুয়েও দিয়েছে সে। সে রুম ছেড়ে নিচে আসে। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে দেখতে পায় সবাই বসে গল্প করছে। অরিন নিজের বয়সী কাজিন গুলোকে মিস করছে।

অরিনকে দেখে অনামিকা ইসলাম তাকে কাছে ডাকলেন। অরিন তার পাশে বসলো। ধূসর তার সামনের সোফাতেই বসে ফোন দেখছে। তার ধ্যান জ্ঞান সব ফোনের ভেতরে। আশেপাশের কিছুই খেয়াল নেই। অনামিকা ইসলাম বলেন,,
“অরিন মা তোর জন্য উপহার এনেছি। সবাইকে দেওয়া শেষ তুই লেট করে আসায় এখনো দিতে পারিনি। দাঁড়া মা আমি নিয়ে আসছি।”

অরুনি শেখ বলেন,,,“আপা তুমি বসো আমি দিচ্ছি”

অরুনি শেষ অনেকগুলো প্যাকেট এনে অনামিকা ইসলামের দিকে এগিয়ে দিলেন। তিনি সেগুলো অরুনি শেখের হাত থেকে নিলেন। অরুনি শেখ নিজ জায়গায় গিয়ে বসলো। অনামিকা ইসলাম শপিং ব্যাগগুলো থেকে একটা হাতে নিয়ে বাকিগুলো পাশে রাখলেন। এরপর প্যাকেট খুলতেই বের হলো মেরুন রঙা পাকিস্তানি একটা ভারি সেলোয়ার-কামিজ। অনামিকা আহমেদ ওড়নাটা বের করে পরিয়ে দিলেন অরিনকে। অরিন চুপচাপ তার ফুপির কাজ পর্যবেক্ষণ করছে।

“ মাশাআল্লাহ আমার মেয়েটাকে এই থ্রি-পিস এ অপূর্ব সুন্দর লাগছে। তোর গায়ে এটা খুব সুন্দর মানিয়েছে অরিন মা”

অরিন লাজুক হেসে উত্তর দেয়,,,“ধন্যবাদ ফুপি”

ধূসর চোখ তুলে একবার তাকিয়ে দেখলো অরিনকে তারপর আবার নিজের ফোনে মনোযোগ দিলো। অনামিকা ইসলাম আরো কয়েকটি শপিং ব্যাগ খুলে দেখালেন অরিনকে। অরিনের বেশ ভালো লেগেছে থ্রি পিস গুলো। পছন্দ আছে বলতে হবে তার বড় ফুপির। রাতের খাবার সবাই হৈ হুল্লোড়ের সাথে খেলো। অরিন জানতে পেরেছে তার বাকি কাজিনরা আগামীকাল আসবে। এতে অবশ্য সে দারুন খুশি।

-

রাত বারোটার কাছাকাছি। যদিও গভীর রাত নয়, তবে গ্রামে এই সময়টাকে গভীর রাত বলেই আখ্যায়িত করা হয়। অরিন ছাদের কোনায় দাঁড়িয়ে আছে। হাতে রং তুলি। চুলগুলো হাত খোঁপা করা। সে বেশ মনোযোগ দিয়েই ক্যানভাসে নিজের দেখা দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুলতে চাইছে। ধূসর নিঃশব্দে ছাদে উঠলো। ছাদে উঠতেই চোখে পরলো অপর পাশে দাঁড়িয়ে নিজ কাজে ব্যস্ত থাকা এক অষ্টাদশীকে। ধূসর ফোনটা পকেটে পুরে ট্রাউজারের পকেটে হাত গুঁজে সেদিকে এগোলো। অরিন তাকে এখনও খেয়াল করেনি।

“হেই বোম্বায় মরিচ তুমি এতো রাতে এখানে কি করছো?”

অরিন চমকে উঠলো। হাত থেকে রং তুলি পরে গেলো। বেশ ভয় পেয়েছে সে। প্রায়ই সে এখানে বসে নিজ মনে আঁকে। কেউ আসে না এই সময় তবে আজ হঠাৎ কারো গলা শুনে ভয় পেয়েছে। ধূসরকে দেখলো সে, নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,,
“আপনি কানা? চোখে দেখেন না? দেখছেন না কি করছি?”

“কানা নই আমি তবে এতো রাতে এখানে একা আসা ঠিক নয়। আমি তোমাকে এটাই বলতে চেয়েছি! বাট নামটা কি যেনো তোমার?”

“অরিন, অরিন ওয়াসিনাত আমার নাম বুঝেছেন?এখন যেতে পারেন মিস্টার ধূসর”

ধূসর ভ্রু কুঁচকে বলল,,“তুমি কি আমায় তাড়িয়ে দিচ্ছো? ইউ ফরগেট দ্যাট আজাদ শিকদার আমার নানা হয়। তোমার কোনো রাইট নেই আমাকে এখান থেকে বের হয়ে যেতে বলার”

“আমার মনে হয় আপনার ইংরেজিটা আগে ভালো করে শেখা উচিত। এতো বছর কানাডা থেকে কি করলেন যে অর্ধেক ইংরেজি তো অর্ধেক বাংলা বলতে হয়”

ধূসর রেগে বলল,,,“ইউ! তুমি কিন্তু এবার বেশি বেশি বলছো”

“আমি জানি আমি বেশি বেশি বলি। আবারও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ধূসর সাহেব”

ধূসর রেগে স্থান ত্যাগ করে। অরিন হেসে ফেললো। তাকে রাগাতে এসেছিলো এখন নিজেই রেগে গিয়েছে। অরিন নিজের কাজে মনোযোগ দিলো। সে এখন তার চিত্রটি আঁকাতে মনোযোগ দিতে চায়। আগামীকাল থেকে আবার আঁকতে পারবে না, ভাই বোনদের সাথে সময় কাটাতেই সে বেশি ভালোবাসে। তার জন্য এখন যা আঁকার আছে আঁকছে। আঁকা তার নেশা, শখ।

ধূসর রুমে এপাশ থেকে ওপাশে পায়চারী করছে। তাকে ওই পুচকি মেয়েটা নিজের কথার জালে ফাসিয়ে দিলো। তাকে ইংরেজি শিখতে বলছে! এর চাইতে অপমানের আর কি হতে পারে। ধূসর লাইট বন্ধ করে বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে পরলো। কপালে হাত দিয়ে চিন্তা করছে অরিনের করা কাজের কথা। রাগটা পুরো প্রিয়তার উপর পরছে। মেয়েটা তাকে কতগুলো কথা শুনিয়ে দিলো। ধূসর শান্তি মতো ঘুমাতে পারছিলো না। তাই সে আবারও ছাদে যাওয়ার চিন্তা করলো। ছাদে আসতেই খেয়াল করলো অরিনের আঁকা প্রায় শেষ। ধূসর এগিয়ে যেতেই অরিন পিছনে ফিরলো। বেশ অবাক হলো ধূসরকে আবারও আসতে দেখে।

“আপনি আবারও কেনো এখানে এসেছেন?”

ধূসর উত্তর দিলো না। কোনার পাশটাতে গিয়ে দাঁড়িয়ে পরলো। অরিন বেশ অপমান বোধ করলো। আফসোস করতে লাগলো কেনো সে বেয়াদব ছেলেটাকে প্রশ্ন করলো! না হয় তো এমন অপমানিত হতে হতো নাহ। সে দ্রুত নিজের জিনিসগুলো গুছিয়ে ছাদের চিলেকোঠার রুমটাতে ঢুকলো। ধূসর আড়চোখে সব পর্যবেক্ষণ করছিলো এবং হাসছিলো। অরিনের গোমড়া মুখ দেখেই সে বুঝেছে প্রিয়তাকে এবার সে টক্কর দিতে পেরেছে। এতেই তার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে।

অরিন রুমের লাইট অন করে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখলো। অন্যসব চিলেকোঠার মতো তাদের চিলেকোঠা নোংরা জিনিস দিয়ে ভর্তি নয়। অরিন এখানটা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে। সেখানে সব কিছু রেখে বের হলো অরিন। অরিন বের হবে বুঝতে পেরে ধূসর উল্টো দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে রইলো। অরিন বের হয়ে ধূসরকে এখনো ছাদে দেখে মুখ বাঁকায়। তার মাথায় ধূসরকে জব্দ করার বুদ্ধি আসে। সে দ্রুত সিঁড়ি ঘর দিয়ে নেমে ছাদের লাইট বন্ধ করে দেয়। অরিন কিছুক্ষণ চুপ করে সেখানে দাঁড়িয়ে রয়। সে ভেবেছিলো ধূসর ভয়ে চিৎকার করবে তবে অনেক সময় পেরিয়ে গেলো চিৎকারের শব্দ তার কান অব্দি পৌঁছায় না।

সে ধূসরকে দেখতে চুপি চুপি ছাদে আসে। কোথাও ধূসরকে না দেখে ঘাবড়ে যায় সে। আর তখনই পেছন থেকে ধূসর হেসে উঠে। অরিন লাফিয়ে উঠে। পেছনে ঘুরে ধূসরকে দেখে রেগে তাকায়। বিরক্তিকর কন্ঠে বলে,,,

“আপনি তো ভারি বেয়াদব। এই গভীর রাতে ভুতের মতো হেসে তো এখনই আমায় মেরে ফেলছিলেন”

“নিজে আমায় ভয় দেখাতে এসে এখন নিজেই ভয় পেয়ে গিয়েছো। এখব আমার দোষ দিচ্ছো? আমায় অপমান করেছিলে আমিও তার শোধ তুলে নিলাম মিস অরিন ওয়াসিনাত”

অরিন বুঝলো সে ধূসরের সাথে পারবে না। তাই কিছু না বলে ধূসরকে রেখে নিজের রুমে চলে গেলো। ধূসর হাসলো কতক্ষণ। সে নিজের প্রতিশোধ তো নিতে পেরেছে। তাকে অপমান করেছিলো সেও করে দিয়েছে। এখন শান্তি শান্তি লাগছে তার। তাকে কেউ কিছু বলবে আর সে তার জবাব দিবে না তা কখনো হয়। ধূসর নিজেও ছাদ থেকে নেমে পরলো। ঘুমানো প্রয়োজন। আবার আগামীকাল বাকি বাদর গুলো আসবে। তখন সে মোটেও ঘুমাতে পারবে নাহ।

#চলবে

Address

Nodakhali

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সুকেশিনী-Sukasini posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company in Nodakhali?

Share