Premananda gosai

Premananda gosai love God

👉   * #দীক্ষা_কি*   ?👉   * #দীক্ষা_গ্রহণ_করার_আবশ্যকতা_কোথায়*   ?দীক্ষা সর্বকার্যে শুদ্ধিকারক। অদীক্ষিত কোন ব্যক্তি যদি ...
06/07/2025

👉 * #দীক্ষা_কি* ?
👉 * #দীক্ষা_গ্রহণ_করার_আবশ্যকতা_কোথায়* ?

দীক্ষা সর্বকার্যে শুদ্ধিকারক। অদীক্ষিত কোন ব্যক্তি যদি আধ্যাত্মিকতার যেকোন কার্য করুক না কেন? তৎসমুদয়ের কোন মূল নেই। তাই প্রত্যেকে দীক্ষা গ্রহণ করা অবশ্যই উচিত। দীক্ষা ব্যতীত কোন ভক্তকে ভগবান নিজেও দর্শন দেন না তা শাস্ত্রে বিধিত আছে।

👉দীক্ষা কি?

দীয়ন্তে জ্ঞানমত্যন্তং ক্ষীয়তে পাপসঞ্চয়ঃ।
তস্মাদ্‌ দীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ত্বদর্শিভিঃ।।
দিব্যজ্ঞানং যতো দদ্যাৎ কৃত্যা পাপস্য সংক্ষয়ম্‌।
তস্মাদীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ত্ববেদিভিঃ।।
(রুদ্রযামল ও যোগিনী তন্ত্রে)

অনুবাদঃ যে কার্য পাপক্ষয় করিয়া দিব্য জ্ঞান প্রকাশ করে, তাহাই দীক্ষা। প্রকৃতপক্ষে দীক্ষার অর্থ বর্ণ বা শব্দ বিশেষ, শ্রবণ করা নহে। বর্ণ বা বর্ণগুলি শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম বলিয়া পরিকীর্তিত আছে। সেই শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্মই বর্ণ। সেই বর্ণই ভগবানের নাম। নাম এবং নামী অভেদ, কিছুই প্রভেদ নাই। এইভাবে যেই নাম বা মন্ত্র গ্রহণ করা হয় তাহাই দীক্ষা। যিনি নামে এবং মন্ত্র এ মন্ত্রের অভীষ্ট দেবতাকে এক ভাবেন, তিনি প্রকৃত দীক্ষিত। দীক্ষামন্ত্র গ্রহণ করিলে শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম অভীষ্ট দেবতার না হয় এবং হৃদয়ে নিজ ইষ্ট দেবতার ভাব উদ্দীপন না হয়, তবে সেইরূপে মন্ত্র বা দীক্ষা গ্রহণ করিয়া দীক্ষা বা মন্ত্র গ্রহণ শব্দ প্রয়োগ না করাই শ্রেয়ঃ। দৃঢ় বিশ্বাস বা ভক্তিই মূল।

👉দীক্ষা গ্রহণ করার আবশ্যকতাঃ

অদীক্ষিতাং লোকানাং দোষং শৃনু বরাননে।
অন্নং বিষ্ঠা সমং তস্য জলং মূত্র সমং স্মৃতম্‌।
যৎ কৃতৎ তস্য শ্রাদ্ধং সর্বং যাতিহ্যধোগতিম্‌।।১
(তথাহি মৎস্যর্সূক্তে)

অর্থঃ অদীক্ষিত ব্যক্তি অন্ন বিষ্ঠার সমান, জল মূত্রতুল্য। তাহারা শ্রাদ্ধাদি কার্য যাহা কিছু করে, তাহা সমস্তই বৃথা।

ন দীক্ষিতস্য কার্যং স্যাৎ তপোভির্নিয়মব্রতৈ।
ন তীর্থ গমনে নাপি চ শরীর যন্ত্রণৈঃ।।২
অদীক্ষিতা যো কুর্বন্তি তপো জপ পূজাদিকাঃ।
ন ভবতি ক্রিয়া তেষাং শিলায়ামুপ্ত বীজবৎ।।৩

অর্থঃ দীক্ষা গ্রহণ না করিলে কোন কার্য করিবার অধিকার জন্মে না। সেই জন্য জপ, তপ, নিয়ম, ব্রত, তীর্থ, ভ্রমণ উপবাসাদি শারীরিক কষ্ট দ্বারা কোন ফল দর্শিবে না।

অদীক্ষিতোহপি মরণে রৌরবং নরকং ব্রজেৎ।
অদীক্ষিতস্য মরণে পিশাচত্বং ন মুঞ্চতি।।
অদীক্ষিত ব্যক্তিগণ মৃত যদি হয়।
রৌরব নরকে বাস জানিবে নিশ্চয়।।
স্কন্ধ পুরাণেতে তার আছয়ে বর্ণন।
মৃত্যু পরে হবে তার পিশাচে জনম।।
দীক্ষা মূলং জপং সর্বং দীক্ষা মূলং পরং তপঃ।
দীক্ষামাশ্রিত্য নিবসেৎ কৃত্রশ্রমে বসদ্‌।।
জপ, তপ, তন্ত্র, মন্ত্র, দীক্ষা মূল হয়।
দীক্ষা ভিন্ন সর্বকার্য হইবেক ক্ষয়।।

* #বাঞ্ছাকল্পতরুভ্যশ্চ_কৃপাসিন্ধুভ্য_এব_চ*
* #পতিতানাং_পাবনেভ্যো_বৈষ্ণবেভ্যো_নমো_নমঃ*

🌿🌹💚 #জয়_জগন্নাথ_অনন্ত_কোটি_প্রনাম💚🙏👉🌻রথ যাত্রা কি ?         👉🌻 জগন্নাথ কে ?🌿🌹১)  প্রশ্ন রথ যাত্রা কি? উত্তর:  রথ এর আক্...
03/07/2025

🌿🌹💚 #জয়_জগন্নাথ_অনন্ত_কোটি_প্রনাম💚🙏
👉🌻রথ যাত্রা কি ?
👉🌻 জগন্নাথ কে ?
🌿🌹১) প্রশ্ন রথ যাত্রা কি?
উত্তর: রথ এর আক্ষরিক অর্থ "রথে যাত্রা" বা "রথে ভ্রমণ"। মূলত এটি ভগবান জগন্নাথের উদ্দেশ্যে পালিত একটি উৎসব। শ্রী জন্নাথায় নমঃ “জগন্নাথ স্বামী নয়ন পথগামী ভবতু মে” রথযাত্রা আমাদের সনাতন ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহোউৎসব। জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা প্রথম শুরু হয়েছিল ওড়িশার পুরী শহরে। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের আমলে এই রথযাত্রা শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এই যাত্রা শুরু হয় এবং দশমী তিথি পর্যন্ত চলে। পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে এই রথযাত্রা শুরু হয়ে গুন্ডিচা মন্দির পর্যন্ত যায়। সেখানে সাত দিন থাকার পর আবার জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসে।
এই উৎসবটি "রথযাত্রা" বা "রথ উৎসব" নামে পরিচিত। রথযাত্রার মূল উদ্দেশ্য হল, জগন্নাথ দেব কে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে আসা, যারা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারে না, যারা মন্দিরের বিগ্রহ দর্শন থেকে বঞ্চিত তাদের কে দর্শন লাভের সুযোগ করে দেওয়া। সুতরাং, রথযাত্রা একটি ধর্মীয় উৎসব, যা রথে চড়ে জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা কে নগর প্রদক্ষিণের মাধ্যমে পালিত হয়।
জগন্নাথ পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথের মাহাত্ম্য : রথযাত্রা মুলত তিনটি প্রধান রথে হয়ে থাকে ১. জগন্নাথ, ২. বলদেব, ৩. সুভদ্রা মহারাণীর রথ তাদের নাম এবং বর্ণনা:

🌿🌹১. নন্দীঘোষ - শ্রীজগন্নাথদেব এই রথে থাকেন। (এই রথ রথের শেষে থাকে )
রথের রং: লাল ও হলুদ
চাকা: ১৬টি উচ্চতা: প্রায় ৪৫ ফুট
ধ্বজা: কপিলধ্বজ
রথ টানার দড়ির নাম: শঙ্কচূড়া

🌿🌹২. দর্পদলন - শ্রীমতী সুভদ্রা মহারাণী এই রথে থাকেন। (এই রথ রথের মধ্যে খানে থাকে)
রথের রং: কালো ও লাল
চাকা: ১২টি উচ্চতা: প্রায় ৪৪ ফুট
ধ্বজা: নাড়ীধ্বজ
রথ টানার দড়ির নাম: স্বর্ণচূড়া

Q🌿🌹৩. তালধ্বজ - শ্রীবলভদ্র (বলরাম) এই রথে থাকেন। (এই রথ রথের প্রথম থাকে)
রথের রং: সবুজ ও লাল
চাকা: ১৪টি উচ্চতা: প্রায় ৪৬ ফুট
ধ্বজা: উন্মত্তধ্বজ
রথ টানার দড়ির নাম: বাসুকি

এই তিনটি রথ একসঙ্গে শ্রীগুন্ডিচা মন্দির পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে জগন্নাথ - বলদেব - সুভদ্রা মহারাণী কিছুদিন অবস্থান করেন। এই শ্রীক্ষেত্র পুরীধামের রথ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ও বিখ্যাত রথ।

রথ মানবদেহের অস্থির প্রতীক : মানবদেহ বা জীবন রথ। রথের কাঠামো আমাদের মানবদেহের ২০৬টি অস্থির প্রতীক এই রথ। সংক্ষিপ্ত ভাবে রথের চাকা-রশি-সারথি-পথ নিয়ে আলোচনা করা যাক। রথের ১৬টি চাকার সাথে আমাদের দেহের এই প্রতীক গুলো কে তুলনা করা হয় : ১) পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়, ২)পাঁচটি কর্মেন্দ্রিয় এবং ৩) ছয়টি রিপুর প্রতীক।

🌿🌹১) পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়: ১) চোখ, ২) কান, ৩) নাক, ৪) জিহ্বা, ৫) ত্বক।

🌿🌹২)পাঁচটি কর্মেন্দ্রিয়: ১) বাক্ (কথা বলা), ২) পাণি (হাত),৩) পাদ (পা),৪) পায়ু (মলদ্বার),৫) উপস্থ (প্রজননাঙ্গ)

🌿🌹৩) ছয়টি রিপু : ১) কাম, ২) ক্রোধ, ৩) লোভ, ৪) মোহ, ৫)মদ, ৬) মাৎসর্য ।

🌿🌹৪)রথের রশি: মানুষের মন।

🌿🌹৫) রথের সারথি (নিয়ন্ত্রক): বুদ্ধি।

🌿🌹৬)পথ: ইন্দ্রিয় দ্বারা ভোগ্য বিষয়।
সুতরাং, রথযাত্রা কেবল একটি উৎসব নয়, এটি মানব জীবনের প্রতীক, যেখানে রথ একটি গাড়ির মতো, যা মন ও ইন্দ্রিয় দ্বারা চালিত হয় এবং বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ।


🌿🌹২) প্রশ্ন জগন্নাথ কে ?🌹🌿
উত্তর: জগন্নাথ শব্দের অর্থ হল ‘জগতের নাথ’। বৈদিক শাস্ত্রানুসারে জগন্নাথ হলেন কৃষ্ণ, বলদেব হলেন তাঁর ভ্রাতা ও সুভদ্রা হলেন তাঁর বোন। যদিও কৃষ্ণ হলেন পরম ও অপ্রাকৃত তবুও তাঁর ভক্তদের সেবা গ্রহণার্থে তিনি কাঠ, পাথরের তৈরি বিগ্রহ রূপে মন্দিরে আবির্ভূত হন। যদিও জগন্নাথের রূপ কৃষ্ণের মতো নয়, তাই সাধারণ লোকেরা অবাক হতে পারে, “কিভাবে তিনি কৃষ্ণ হতে পারে?” জগন্নাথের এরকম অদ্ভুত রুপের পেছনে শাস্ত্রে অনেক কাহিনি রয়েছে। জগন্নাথদেবের আরেকটি নাম দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দারুব্রহ্ম জগন্নাথ হলেন ভগবান বিষ্ণুর একটি রূপ, যিনি কাঠের মূর্তিতে পূজিত হন। এটি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা এই ত্রিমূর্তির একটি অংশ। "দারুব্রহ্ম" শব্দটি এসেছে "দারু" (কাঠ) এবং "ব্রহ্ম" (চূড়ান্ত বাস্তবতা) থেকে, যা নির্দেশ করে যে এই মূর্তিটি কাঠের তৈরি হলেও এটি ব্রহ্মের প্রতীক।
"দারুব্রহ্ম জগন্নাথ" কথাটি মূলত ভগবান জগন্নাথের একটি বিশেষ নাম, যা তার কাঠের মূর্তিকে বোঝায়।
পুরাণে বর্নিত আছে, বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতার কাঠের স্তম্ভ ভেঙে বেরিয়েছিলেন। তাই জগন্নাথকে দারুব্রহ্ম রূপে নৃসিংহ স্তোত্র পাঠ করে পূজা করা হয়। জগন্নাথকে এককভাবে পূজা করার সময় বলা হয় "দধিবামন"। প্রতি বছর ভাদ্র মাসে এই জগন্নাথকে বিষ্ণুর বামন অবতারের বেশে পূজা করা হয়।

🌹🌿বেদের বর্ণনায় জগন্নাথঃ স্কন্দ পুরাণ শাস্ত্রের বিষ্ণু খন্ড,পুরুষোত্তমক্ষেত্র মাহাত্ম্য,১-২১ তম অধ্যায়ের বর্ণনা অনুযায়ী, বিষ্ণুভক্ত ইন্দ্রদ্যুম্নের প্রার্থনায় স্বয়ং বিষ্ণু দারুরুপে উড়িষ্যার দক্ষিণ সাগরের তটে অবস্থান করেন। পরে ইন্দ্রদ্যুম্ন সেবকগন কতৃর্ক সেই দারুকে মহাবেদীতে স্থাপন করেন।ইন্দ্রদ্যুম্নের প্রার্থনায় ভগবান বিষ্ণু যিনি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তিনি দারু থেকে জগন্নাথ( শ্রীকৃষ্ণ), বলদেব (বলরাম), সুভদ্রা এবং সুদর্শনরুপে প্রকাশিত হয়েছিলেন। বেদ শাস্ত্রে সমুদ্রের তীরবর্তী দারুব্রহ্ম জগন্নাথের কথা বর্ণিত আছে।

🌹🌿যদ্ দারু প্লবতেসিন্ধোঃ পারে অপূরুষম্।
তদা রভস্ব দুর্হণো তেন গচ্ছ পরস্তরম্।। (ঋগ্বেদ সংহিতাঃ ১০/১৫৫/৩)

🌹🌿অনুবাদঃ ঐ দূরদেশে, সমুদ্রের পারে কোন প্রযত্ন ছাড়াই প্রকাশিত অপৌরুষেয় দারু ভাসছে– হে চিরঞ্জীবী স্তুতিকর্তা– তাঁর উপাসনা কর। সেই দারুময় বিগ্রহের উপাসনায় তুমি শ্রেষ্ঠতর দিব্যলোক প্রাপ্ত করবে।

তাছাড়া মহাভারতে বহুবার শ্রীকৃষ্ণকে শ্রীবিষ্ণু নামে সম্বোধন করা হয়েছে
(“অনুগ্রহার্থং লোকানাং বিষ্ণুলোক নমস্কৃতঃ।বসুদেবাত্তু দেবক্যাং প্রাদুর্ভূতো মহাযশাঃ।।”
“ত্রিজগতের পূজনীয় মহাযশস্বী স্বয়ং বিষ্ণু লোকের প্রতি অনুগ্রহ করিবার জন্য বসুদেব-দেবকীতে আবির্ভূত হইয়া ছিলেন৷” -মহাভারত আদিপর্ব, ৫৮/১৩৮)। সে শ্রীকৃষ্ণ বা বিষ্ণু হলেন স্বয়ং দারুব্রহ্ম জগন্নাথ।দারুব্রহ্ম জগন্নাথ রুপে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ উৎকল বা উড়িষ্যায় সমুদ্রের তীরবর্তী শ্রীক্ষেত্র পুরুষোত্তম ধাম জগন্নাথ পুরীতে নিত্য বিরাজমান।

🌹🌿জগন্নাথ দেবের কেন এমন রূপ :
রাজা ইন্দ্রদুম্ন যখন নীলমাধবের স্বপ্নাদেশ পেয়ে রাজদরবারে কারিগর কে ডেকে পাঠান, তখন সেই কারিগর অর্থাৎ বিশ্ব সৃষ্টিকারী বাবা বিশ্বকর্মা তাদেরকে শর্ত দেন 'যতদিন আমি এই ঘরে মূর্তি তৈরি করব ততদিন এই ঘরে যেন কেউ ভুল করেও প্রবেশ না করে' আর এই শর্ত মাথা পেতে নেন পুরীর রাজা। কিন্তু একদিন হঠাৎই রাজার স্ত্রী গন্ডিচা নীলমাধবের মূর্তি দেখার জন্য বিচলিত হয়ে পড়েন এবং বারণ সত্বেও সেই ঘরে তিনি প্রবেশ করেন। আর যাহা মাত্র তিনি ঘরে প্রবেশ করেন অমনি চোখের পলকে ভ্যানিস হয়ে যাই মূর্তি নির্মাণকারী কারিগর। আর সেই অসম্পূর্ণ মূর্তি ছোট্ট একটি ভুলের কারণে অসম্পূর্ণই থেকে যায়। সেই রাতে নীলমাধব আবারো রাজাকে স্বপ্না দেশ দেন এই অসম্পূর্ণ মূর্তি পুজো করার জন্য, আর যার নাম হবে জগন্নাথ। আর প্রভু জগন্নাথ দেবের বড় বড় চোখ হওয়ার পেছনে কারণ হলো, তিনি জগতের নাথ অর্থাৎ প্রভু জগন্নাথ। যিনি এক সেকেন্ডের জন্যেও চোখের পলক ফেলেন না। কারণ, তার এই দুটি নয়ন দিয়ে সদা সর্বদা মহাবিশ্বে তিনি নজর রাখেন। আর সেই কারণেই জগন্নাথ দেবের চোখ কখনো বন্ধ হয় না ও তার চোখ এত বড় বড়। তাই আজ প্রভু জগন্নাথ দেবের এই রহস্য

“বাসুদেব ঘোষ বলে করি জোড় হাত যেই গৌর- সেই কৃষ্ণ - সেই জগন্নাথ” আমরা সবাই জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে যেন জগন্নাথ দেবের লীলা মাহাত্ম শুনে জগন্নাথ দেবের কৃপা লাভ করতে পারি ও জগন্নাথ দেবের রথ স্পর্শ করে অপ্রাকৃত আনন্দ ও জগন্নাথ দেবের বিশেষ কৃপালাভ করতে পারি । তাই আমাদের সকলকেই এই জগন্নাথের রথ যাত্রায় অংশগ্রহন করা উচিত।

Joy nitai হ্যাভেলক দ্বীপ কিছু সময় ভগবানের সৃষ্টির সৌন্দর্য্য দর্শন করলাম  সমুদ্র সৈকতে.........হরি বল
22/06/2025

Joy nitai হ্যাভেলক দ্বীপ কিছু সময় ভগবানের সৃষ্টির সৌন্দর্য্য দর্শন করলাম সমুদ্র সৈকতে.........হরি বল

*✤শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের লীলা✤*                   *পর্ব - ৩৪*   *❝জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা❞*   ꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂🍃🌸 *আজ ...
11/06/2025

*✤শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের লীলা✤*
*পর্ব - ৩৪*
*❝জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা❞*
꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂꧁͜͡꧂

🍃🌸 *আজ ১১ ই জুন ভগবান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা।*
💢✦💢 শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহোৎসব তথা জগন্নাথদেবের শুভ আবির্ভাব তিথি
যেই গৌর,
‌ সেই কৃষ্ণ,
সেই জগন্নাথ
💢✦💢 ভগবান জগন্নাথদেব হলেন শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং যিনি জগতের নাথ বা জগদীশ্বর। সংস্কৃতি ভাষায় জগত অর্থে বিশ্ব এবং নাথ অর্থে-ঈশ্বর বোঝায়। সুতরাং জগন্নাথ শব্দের অর্থ হলো জগতের ঈশ্বর বা জগদীশ্বর।
💢✦💢 স্কন্ধ পুরাণে রথযাত্রার মহিমা বর্ণনা করে বলা হয়েছে- যিনি গুন্ডিচা মন্দিরে (জগন্নাথের মাসীর বাড়ী) ভগবানের শ্রীবিগ্রহকে দর্শন করার সৌভাগ্য অর্জন করেন, তিনি সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ করেন।
💢✦💢 জগন্নাথদেবের আবির্ভাব তিথিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ দেবের এক বিশেষ স্নান যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। স্কন্ধ পুরাণ অনুসারে রাজা ইন্দ্রদুম্ন যখন জগন্নাথ দেবের কাঠের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করলেন তখন থেকে এই স্নানযাত্রা উৎসব শুরু।
💢✦💢 স্নান যাত্রার দিনটিকে জগন্নাথদেবের আবির্ভাব তিথি বা জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। স্নান যাত্রার আগের দিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাদেবী এবং সুদর্শনদেবকে বেদী থেকে বিশেষ ভাবে তৈরি করা স্নান বেদীতে নিয়ে আসা হয়।
💢✦💢 পুরীর মন্দির প্রাঙ্গনে বিশেষ ভাবে তৈরি করা এই মণ্ডপকে বলা হয় স্নান মণ্ডপ। এটা এত উঁচু যে মন্দির প্রাঙ্গনের বাইরে থেকেও বেদিতে উপবিষ্ট বিগ্রহ সমূহ অবলোকন করা যায়। অনুষ্ঠানের দিন স্নান মণ্ডপকে ঐতিহ্যবাহী ফুল, বাগান ও গাছের চিত্রকলা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
💢✦💢 তোরণ এবং পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর বিগ্রহ ফুল দিয়ে সাজানো হয়। এর পর বিগ্রহের উদ্দেশ্যে ধুপ, ধুনা অর্পণ করা হয়। পুরীতে স্নানের জন্য সোনার তৈরি এক ধরনের কুয়া থেকে জল আনা হয়।
💢✦💢 জল আনার সময় পুরোহিতরা তাদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন যাতে জল তাদের মুখনিঃসৃত কোন কিছু দ্বারা এমনকি তাদের নিঃশ্বাস দ্বারা দূষিত না হয়।
💢✦💢 স্নান মহোৎসবের পূর্বে জগন্নাথ,বলরাম এবং সুভদ্রা দেবীকে সিল্কের কাপড় দ্বারা আবৃত করা হয় এবং তারপর লাল এক ধরনের পাউডার দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়। ১০৮ টি স্বর্ণ পাত্র জল দ্বারা পূর্ণ থাকে।
💢✦💢 এই জল দ্বারা অভিষেক করা হয়। অভিষেকের সময় বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, কীর্তন এবং শঙ্খ বাজানো হয়। এরপর জগন্নাথদেব এবং বলদেবকে গজ বেশে সাজানো হয়। এই সময় সুভদ্রাদেবীকে পদ্ম সাজে সাজানো হয়।
💢✦💢 স্নানযাত্রা উৎসবের পর ১৫ দিন ভগবানকে জনসাধারণ থেকে দূরে রাখা হয়। এই ১৫ দিন মন্দিরে কোন অনুষ্ঠান করা নিষেধ। এই সময় ভগবান জগন্নাথ , বলরাম এবং সুভদ্রা দেবীকে রতন বেদী নামে এক বিশেষ বেদীতে রাখা হয়।
💢✦💢 এই সময়কে বলা হয় অনবসর কাল মানে পূজা করার জন্য অযোগ্য সময়। স্নান করানোর ফলে বিগ্রহ সমূহ বিবর্ণ হয়ে যায়। এই ১৫ দিনে জগন্নাথ দেবকে আগের সাজে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৬ তম দিনে জগন্নাথদেবকে আবার সবার দর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

*"নীলাচলে নীল মাধব প্রভু জগন্নাথ"*
*"ভক্ত জনে কৃপা করো দওগো আশীর্বাদ।"*

' •──✦ রথযাত্রা মহোৎসব ✦──•
*🔴 জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা─* আজ ১৭ই জৈষ্ঠ (১১.৬.২০২৫) বুধবার
*🟠 শ্রীগুন্ডিচা মন্দির মার্জন─* ১১ই আষাঢ় (২৬.৬.২০২৫) বৃহস্পতিবার
*🟡 জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা─* ১২ই আষাঢ় (২৭.৬.২০২৫)
*🟢 উল্টো রথযাত্রা─* ২০ই‌ আষাঢ় (৫.৭.২০২৫) শনিবার

রথযাত্রা উৎসবের প্রতিটা পর্বের
আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ❤️
সবাইকে রথযাত্রার অগ্রীম শুভেচ্ছা ।
🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻

*হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,*
*হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।।*
___________

*─━⊱♦️আগামী পর্বে♦️⊰━─*

09/06/2025

Ajker onusthney...joy nitai

দীক্ষা মানে শুরু। এমন নয় যে, দীক্ষার পর তৎক্ষণাৎ কেউ নিখুঁত হবে।শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ ব্রহ্মচারী বলেছেন যে    * পয়েন্ট ১...
06/06/2025

দীক্ষা মানে শুরু। এমন নয় যে, দীক্ষার পর তৎক্ষণাৎ কেউ নিখুঁত হবে।

শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ ব্রহ্মচারী বলেছেন যে

* পয়েন্ট ১: প্রাথমিক ধাপ: দীক্ষা হলো আধ্যাত্মিক পথের একটি সূচনা। এটি কোনো চূড়ান্ত গন্তব্য নয়, বরং একটি যাত্রা শুরু করার প্রথম পদক্ষেপ। যেমন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া মানে পড়াশোনা শুরু করা, ডিগ্রি অর্জন নয়।

* পয়েন্ট ২: প্রতিজ্ঞা ও সংকল্প: দীক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি আধ্যাত্মিক জীবনযাপনের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিজ্ঞা করে। এটি গুরু বা আধ্যাত্মিক শিক্ষকের কাছে নিজেকে সমর্পণ করার এবং তাঁর নির্দেশিকা অনুসরণ করার একটি সংকল্প।

* পয়েন্ট ৩: নতুন পরিচয়: দীক্ষার মাধ্যমে শিষ্যের একটি নতুন আধ্যাত্মিক পরিচয় তৈরি হয়। তাকে গুরুকুলের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং একটি নির্দিষ্ট পরম্পরা বা ধারার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

* পয়েন্ট ৪: জ্ঞানার্জনের প্রবেশদ্বার: দীক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং অনুশীলনের গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেয়। গুরু কর্তৃক প্রদত্ত মন্ত্র, শিক্ষা এবং নির্দেশনার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।

* ২. "এমন নয় যে, দীক্ষার পর তৎক্ষণাৎ কেউ নিখুঁত হবে।"

* পয়েন্ট ১: দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া: আধ্যাত্মিক উন্নতি একটি ধীর এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। দীক্ষা নেওয়ার সাথে সাথেই কেউ রাতারাতি সিদ্ধ বা নিখুঁত হয়ে যায় না। এটি সময়, প্রচেষ্টা, অনুশীলন এবং ধৈর্য দাবি করে।

* পয়েন্ট ২: মানবিক সীমাবদ্ধতা: মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক অপূর্ণতা, ত্রুটি এবং পূর্ব সংস্কার থাকে। দীক্ষা এই সমস্ত সীমাবদ্ধতা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেয় না, বরং সেগুলোকে ধীরে ধীরে অতিক্রম করার পথ দেখায়।

* পয়েন্ট ৩: অনুশীলনের গুরুত্ব: দীক্ষার পর নিয়মিত সাধন-ভজন, নাম জপ, শাস্ত্র অধ্যয়ন, সেবা এবং গুরু-বৈষ্ণবের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অনুশীলনগুলির মাধ্যমেই ধীরে ধীরে শুদ্ধি ও পূর্ণতা অর্জিত হয়।

* পয়েন্ট ৪: পতনের সম্ভাবনা: দীক্ষা নেওয়ার পরেও একজন ব্যক্তি ভুল করতে পারে বা আধ্যাত্মিক পথ থেকে বিচ্যুত হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা এবং গুরুর নির্দেশ মেনে চলা অত্যাবশ্যক। এটি একটি চলমান সংগ্রাম যেখানে প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করতে হয়।

উপসংহার:
এই উক্তিটির মাধ্যমে শ্রীশ্রী নিত্যানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ দীক্ষার প্রকৃত অর্থ এবং এর পরবর্তী সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে দীক্ষা একটি নতুন শুরু, চূড়ান্ত পরিণতি নয়, এবং আধ্যাত্মিক অগ্রগতি একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও অনুশীলনের ফল।

10/03/2025

শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ ধামে বাসন্তী পূজা উপলক্ষে হবে ভূমি কুম্ভ মেলা

09/02/2025

20/12/2024

#মোহাউৎসব

Address

Sri Sri Nityananda Dham Foundation
North 24 Parganas
74223

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Premananda gosai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Premananda gosai:

Share

Category