16/06/2025
“শুধু একটা মেসেজের অপেক্ষা”—পাইলট স্বামীকে নিয়ে আতঙ্ক, তাই কলম দিয়ে কি লিখলেন গায়িকা?
ফ্লাইটে উঠলেই তিনি শুধু ‘স্বামী’ নন, হয়ে ওঠেন ক্যাপ্টেন প্রবাহ নন্দী। পেশায় পাইলট। প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরনোর সময় স্ত্রী ও মায়ের মনে শুরু হয় উৎকণ্ঠার হিসেব। একটুখানি দেরি হলেই ফোন করেন স্ত্রী। কিন্তু প্রবাহ পেশার নিয়মের বাইরে একচুলও যান না। শুধু একটি ছোট্ট মেসেজ—"পৌঁছে গেছি", সেটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় স্বস্তি।
গত বৃহস্পতিবার যে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার খবর দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ফেলে দেয়, সেই মুহূর্তে প্রবাহের স্ত্রী ছিলেন শুটিংয়ে। হঠাৎ ফোন করে স্বামী বলেন,
“খুব খারাপ একটা খবর আছে।”
দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটির পাইলট ছিলেন প্রবাহের সহকর্মী ও সিনিয়র, একই এয়ারলাইন্সে কাজ করেন তাঁরা।
কোনও কিছু বুঝতে দেননি ক্যাপ্টেন প্রবাহ
ঘটনার পরও প্রবাহ নিজের মনের কষ্ট চেপে যান। স্ত্রী বলেন,
“জানি ও-ও কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু ও ভাবছে, ভয় দেখালে আমরা আরও ভেঙে পড়ব। পেশার প্রতি ওর দায়বদ্ধতাই ওর মুখের অভিব্যক্তিতে ঠাঁই পায় না।”
প্রতিদিন একটাই প্রার্থনা—ঠিকমতো নামুক প্লেনটা
স্ত্রী জানান, ফ্লাইট ছাড়ার আগে ও অবতরণের পরে প্রবাহ তাঁদের দু’জনকে (স্ত্রী ও মা) একসঙ্গে মেসেজ পাঠান।
“মেসেজ না এলে আমিও ফোন করি, ওর মা-ও ফোন করতে থাকেন। দুর্ঘটনার দিন টিভি দেখার সময় মনে হচ্ছিল, ওই ফ্লাইটের যাত্রীরাও নিশ্চয়ই কাউকে একটা খবর দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি।”
অপরের কষ্ট যেন নিজের হয়ে ধরা দেয়
এই ঘটনার পরে প্রবাহের স্ত্রী উপলব্ধি করেন,
“জীবন যে অনিশ্চিত—এটা আমরা জানি। কিন্তু অন্যের কষ্টও যে নিজের হৃদয়ে এতটা গভীর হয়ে গাঁথা থাকে, সেটা এত তীব্র ভাবে আগে অনুভব করিনি।”