Sara Creation

Sara Creation Everything is possible.
(2)

*"শিশুকে রাগ দেখালে রাগ শিখবে, ভালোবাসা দেখালে ভালোবাসা।” এটা একটা লাইন না, এটা প্রতিটা শিশুর বেড়ে ওঠার সবচেয়ে বড় সত্য। ...
16/08/2025

*"শিশুকে রাগ দেখালে রাগ শিখবে, ভালোবাসা দেখালে ভালোবাসা।” এটা একটা লাইন না, এটা প্রতিটা শিশুর বেড়ে ওঠার সবচেয়ে বড় সত্য। আপনার বাচ্চা জেদ করে? খেয়াল করেছেন কখন জেদ বাড়ে?"*..........
!
— যখন ওর চাওয়া আপনি বারবার থামিয়ে দেন।
— যখন ওর আগ্রহকে আপনি “না” বলে চেপে দেন।
— যখন ওর চোখের সামনে আপনি রেগে যান।.........

শিশু তখন ভাবে,
🧠 "আমার কথা কেউ শোনে না"
🧠 "চিৎকার করলে, কান্না করলে, রাগ করলে তবেই সবাই শুনবে"........

👉 এভাবেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জেদি স্বভাব, রাগী মন, অস্থির আচরণ। কিন্তু আপনি চাইলে এটা বদলাতে পারেন। শিশুরা কথা নয়, আচরণ দেখে শেখে ।
আপনি যেমন, সেও তেমন হবেই।"......
!
🔹 আপনি যদি তাকে সময় দেন — সে নিরাপত্তা শেখে
🔹 আপনি যদি তাকে ভালোবাসেন — সে ভালোবাসা দিতে শেখে
🔹 আপনি যদি ধৈর্য ধরেন — সে ধৈর্য শেখে
🔹 আপনি যদি তার আগ্রহে সাড়া দেন — সে আত্মবিশ্বাস পায়........

"একটা কথা মনে রাখবেন, না” বলাটা সহজ। কিন্তু “না”-এর জায়গায় ভালোভাবে বোঝানো শেখানো অনেক কঠিন — কিন্তু সবচেয়ে জরুরি।".....

🔸 শিশুর ইচ্ছে মানে তাকে উড়িয়ে দেওয়া না
🔸 ওর কৌতূহল মানে শাস্তি না
🔸 ওর চোখে জেদ মানেই রাগের জবাব না

"বরং বুঝিয়ে দিন, ধরিয়ে দিন, পাশে থাকুন।"...........

💥 তাহলে কী করবেন?
✔ কোন কিছু ধরলে না বলার পরিবর্তে বিকল্প কিছু দিন
✔ যতটা সম্ভব বাচ্চাকে ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিতে দিন
✔ সবকিছুতে না নয়, কিছু জিনিস বুঝিয়ে বলুন
✔ রেগে গেলে থামুন, কারণ আপনার রাগ ওর শেখার জায়গা
✔ প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় রাখুন শুধু ওর জন্য
✔ ওকে বলুন: “তুমি গুরুত্বপূর্ণ”, “তোমার কথা আমি শুনি”, "তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি "...........
💥 মনে রাখবেন, বাচ্চারা যা দেখে, তাই হয়। আপনি যদি শান্ত থাকেন, ভালোবাসা দেন — সে-ও তাই শিখবে।

💥 এই পোস্টটা সব মা-বাবার সঙ্গে শেয়ার করুন, যিনি হঠাৎ একটু রেগে যান হয় হয়তো এই লেখা তার মনটা নরম করে দেবে।".............



Collected Post
゚ ゚ ゚ #চন্দ্রবিন্দু_ট্রাভেল_এন্ড_ট্যুরিজম

The biggest snakes are not found in the grass.They are often hiding in your family and friend groups.
15/08/2025

The biggest snakes are not found in the grass.
They are often hiding in your family and friend groups.

১৯৪৮ সাল।  রাশিয়ার শান্ত ছোট শহর পুলিয়ানিতের এক প্রাইমারী স্কুল। সে স্কুলে পড়ে দশ বছর বয়সী এক ছেলে নাম ছিল জোসেফ ব্রড...
15/08/2025

১৯৪৮ সাল। রাশিয়ার শান্ত ছোট শহর পুলিয়ানিতের এক প্রাইমারী স্কুল। সে স্কুলে পড়ে দশ বছর বয়সী এক ছেলে নাম ছিল জোসেফ ব্রডস্কি। পড়ালেখায় খুবই অমনোযোগী। বারবার পরীক্ষায় ফেল করে। ফলে ক্লাস টীচার তার রিপোর্টের খাতায় লিখলেন-

জেদি এবং অলস। ক্লাসে অমনোযোগী। হোমওয়ার্ক ঠিকমতো করেনা। খাতাগুলো নানা রকমের কল্পনাপ্রবণ লেখায় ভর্তি। সে চমৎকার ভালো ছাত্র হতে পারতো। কিন্তু সে এ ব্যাপারে কোনো চেষ্টাই করে না।

কোনো শিক্ষকই তাকে পছন্দ করতেন না। ব্রডস্কি তার শিক্ষাব্যবস্থাকে ঘৃণা করতো। সে বুঝতে পারতো না- বই পড়া যার নেশা তাকে কেন অংক করেই সময় পার করতে হবে। কিংবা যার ব্রেণ জুড়ে শুধুই ইতিহাস তাকে কেন দুর্বোধ্য ব্যাকরণ শিখতে হবে।

স্কুলের নানা বিষয়ে পাশ করার জন্য মুখস্থ শিক্ষায় সে খুবই বিরক্ত বোধ করতো। এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে পালিয়ে বেড়াতে লাগলো। এভাবে চলতে চলতে কোনো রকমে অষ্টম শ্রেণি পাশ করেই সে একেবারেই পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। প্রতিজ্ঞা করে আর কখনও সে স্কুলে ফিরে যাবে না।

তবে পাঠ্যবই তাকে ছুঁতে না পারলেও লেনিনগ্রাদের রাস্তাঘাট, মানুষের জীবন চারণ, গাছপালা , প্রকৃতি তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। পরে সে লিখেছিলো: লেলিনগ্রাদের ভবনের সম্মুখভাগ, রাস্তাঘাট, মানুষের জীবনাচারণ আমাকে মিশরীয়, গ্রিক আর রোমানদের সম্পর্কে যে শিক্ষা দিয়েছে তা কোনো শ্রেণিকক্ষ শিখাতে পারে নি।

ফলে কোনো রকমের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া এক রকমের অস্পষ্ট ভবিষ্যৎ নিয়ে কিশোর ছেলেটি ছুটে বেড়ায় শহর থেকে শহরে। কাজ করে জুতো সেলাই থেকে রান্নার। মুঠে শ্রমিক থেকে বিজ্ঞাপন লেখার। কোনো রকমে দিনের খাবারের টাকা জুটাতে পারলেই সে খুশি।

কিন্তু একটা কাজই সে মনোযোগ দিয়ে করে গেছে বিরামহীন ভাবে। সে উন্মাদের মতো পড়েছে আর নীরবে নিভৃতে লিখে গেছে প্রবল ভালোবাসা নিয়ে। কবিতা হয়ে উঠেছিল তার দিক নির্দেশক। যা সত্য ভেবেছে সে তাই লিখেছে। কে ভালো বলবে , কে মন্দ বলবে, কোন পক্ষে গেলো কিংবা বিপক্ষে গেলো এর কোনো তোয়াক্কা সে করেনি।

এভাবে অনেকটা কবি নজরুলের মতো ভবঘুরে জীবনে তার সাহিত্যিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটে মূলত স্বশিক্ষা এবং ব্যক্তিগত পাঠ থেকে। উচ্চশিক্ষিত না হয়েও সে ইংরেজি, পোলিশ এবং লাতিন ভাষায় অকল্পনীয় দক্ষ হয়ে ওঠে।

ক্লাস রুমের ছাত্র হিসাবে না দেখে সে নিজেকে "জীবনের ছাত্র" হিসেবে দেখা শুরু করে এবং এই অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকেই সে হয়ে ওঠে একজন প্রভাবশালী কবি ও প্রাবন্ধিক।

তাঁর ঝাঁজালো আর শ্লেষাত্মক লেখার কারণে সোভিয়েত সরকার তাকে সমাজবিরোধী আখ্যা দিয়ে ১৯৬৪ সালে তার বিচার শুরু করে এবং ৫ বছরের কারা দণ্ডে দণ্ডিত করে। পরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার কারণে এক বছর পরেই সে মুক্তি পায়।

কিন্তু তাঁর লেখা থেমে থাকেনা। ফলে ১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে নির্বাসিত করা হয় এবং নতুন ঠিকানা হয় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে সে কোনো আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি ছাড়াই কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যলয়ে অধ্যাপনা শুরু করে এবং প্রমাণ করে উচ্চশিক্ষা কেবলমাত্র উচ্চ সার্টিফিকেট অর্জন করা না।

এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ।

যে ছেলে একদিন খারাপ খাতা আর স্কুলে অনাগ্রহের জন্য তিরস্কার পেয়েছিল সেই ছেলেটিই ১৯৮৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করে।

কিন্তু এখানে কথা হলো স্কুল পালালে কিংবা ক্লাসে খারাপ ছাত্র হলেই সবাই যে সফল হবে এমন কোনো কথা নেই। আসল কথা হলো যাকে যে বিষয়টি টানে সে বিষয়ে তার নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে লেগে থাকা। আর কোনো ছাত্র যদি কোনো বিষয়ে বাজে রেজাল্টও করে তার জীবন যে একেবারে ব্যর্থ হয়ে গেছে এরকম ভেবে তাকে নিয়ে হাসি ,তামাশা, বিদ্রুপ, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করা।

জোসেফ ব্রডস্কি প্রমাণ করেছিলেন যে অনেক মেধা স্কুল রিপোর্টের সীমা ছাড়িয়ে যায়। আর কিছু প্রতিভা নিয়ম মানার জন্য নয় বরং নিয়মকে নতুন করে গড়ার জন্যই জন্মায়।
Collected from:
-Arif Mahmud

 #আপনি_কি_জানেন ✅✅হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে একবার এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিল  সবচেয়ে সুরেলা গলা কোন গায়িকার, এক মুহূর্ত না ভে...
15/08/2025

#আপনি_কি_জানেন
✅✅হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে একবার এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিল সবচেয়ে সুরেলা গলা কোন গায়িকার, এক মুহূর্ত না ভেবে জবাবে বললেন প্রতিমা বন্দোপাধ্যায়। সাংবাদিক পাল্টা প্রশ্ন করেন, লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের চেয়ে আপনি প্রতিমাদিকে এগিয়ে রাখছেন!’ এবার হেমন্ত বলেন ‘প্রতিমার গানের কলি লতা নিজের বিশেষ সংগ্রহে রেখেছে। সবাই বলে, প্রতিমা মানুষই নয়। ও তো পাখি।'

শুধু হেমন্ত নয় সঙ্গীত জগতের অনেক দিকপালই বলতেন, আটপৌরে চেহারা, কপালে টিপ, তাম্বুল রাঙা ঠোঁট, সাদামাটা শাড়ির এই মানুষকে সাধারণ ভেবো না, সে অনন্যা। তাঁর গাওয়া গান দেখতে একসময় রেকর্ডিং রুমে হুড়োহুড়ি পরে যেত। 'কঙ্কাবতীর কাঁকন বাজে ইছামতীর কূলে’ গেয়ে মেলোডির মহারথী শ্যামল মিত্রের সুরের সে গানে প্রতিমার ছন্দতালে সকলে তো মন্ত্রমুগ্ধ। শুনলে মনে হয় ইছামতীর পাড়ে কোনও বালিকা যেন নাচতে নাচতেই গানখানি শোনাচ্ছেন।

প্রতিমার বাবা মণিভূষণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে। মণিভূষণ কলকাতার ‘কক্স অ্যান্ড কিং’-এ চাকরি করতেন, সপরিবার থাকতেন ভবানীপুরে। তিনি উস্তাদ বদল খানের শিষ্য অর্থাৎ পণ্ডিত ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের গুরুভাই। মণিভূষণ চট্টোপাধ্যায় গজল, ঠুমরি, দাদরায় ছিলেন ওস্তাদ। প্রতিমা যে বছর জন্মালেন, সেই ১৯৩৪-এই তাঁর গানের রেকর্ড বার হয়েছিল। অজয় ভট্টাচার্যের কথায় ও শচীন দেববর্মণের সুরে ‘যৌবনে হায় ফুলদলে পায়’, হিমাংশু দত্তের সুরে ‘স্বপনে কোন মায়াবী’। কিন্তু বিধি বাম! তখন তাঁর বয়স সবে সাতাশ, মারা গেলেন মনিভূষণ। স্ত্রী কমলা আঠেরো। শিশু প্রতিমা তো মাত্র এক!

অভাব অনটনেও কমলা মেয়েকে গানের জন্য হারমোনিয়াম কিনে দিলেন। বাবার ফেলে যাওয়া গান কণ্ঠে তুলে নিলেন প্রতিমা। ১১ বছর বয়সেই প্রথম রেকর্ডিং বের হয়। তাঁর কণ্ঠ শুনে সম্ভ্রান্ত যুবক অমিয় বন্দোপাধ্যায় তাঁকে বিয়ে করেন।

সব গোত্রের গানে প্রতিমা সফল তাঁর অপাপবিদ্ধ কণ্ঠের ঐশ্বর্যে। হেমন্তের স্নেহধন্যা তো তিনি ছিলেনই, কাজ করেছেন সে দিনের সমস্ত বরেণ্য সঙ্গীতকারের সঙ্গে। আলি আকবর খান, রামকুমার চট্টোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরী, নচিকেতা ঘোষ, শ্যামল মিত্র, ভূপেন হাজারিকা, সুধীন চট্টোপাধ্যায়, মানস চক্রবর্তীর সঙ্গে।

হেমন্ত তাঁকে হিন্দি সাহারা সিনেমায় গান গাইতে বোম্বে নিয়ে যান। কিন্তু সংসার ছেড়ে বোম্বে থাকতে চাইলেন না। বিদেশে আমন্ত্রণ পেয়েও যাননি। বললেন, প্লেনে ওঠতে ভয় লাগে। আর ওখানে পান পাওয়া যায় না।

উনি যে কী বিরাট শিল্পী ছিলেন, নিজেই জানতেন না,” বললেন গায়িকা হৈমন্তী শুক্লা। ‘‘প্রথম যখন তাঁকে সামনে দেখি, তখন আমি বেশ ছোট। ‘মায়ার সংসার’ ছবিতে রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সুরে উনি আর হেমন্তদা গাইবেন, তার মাঝে শিশুকণ্ঠ লাগবে। সেই অংশটা আমি গেয়েছিলাম। সেই গানটাই ‘আমার প্রভাত মধুর হল’। তো আমি গিয়ে দেখি, কে বলবে, অত নামী গায়িকা! কেমন মুখটি নামিয়ে চুপটি করে বসে আছেন। গান শুরু হল আর একটুও না নড়েচড়েও তিনি যে ভাবে সুরের নাচন লাগিয়ে দিলেন, তাতেই বোঝা গেল, তিনি কে! মনে আছে, আমি দাদার সঙ্গে রিহার্সালে গেছি একদিন আর সাইক্লোন এল। আমরা ভেউভেউ করে কাঁদছি। এ বার বাড়ি ফিরি কী করে? এগিয়ে এলেন তিনি। সরু সরু গলায় মিষ্টি করে বললেন, ‘ওরে তোরা কাঁদিস না, আমি বাড়ি পৌঁছে দেব।’ তা তো দিলেনই, আবার বাড়ি ঢুকে আমার বাবার (পণ্ডিত হরিহর শুক্লা) সঙ্গে দেখা করে বলেও গেলেন, ছেলেমেয়েকে দিয়ে গেলাম। রাস্তাতেও মজা হল। এক রিকশাওয়ালাকে ওঁর গাড়িচালক বকছিল। উনিও তাঁকে বকুনি দিলেন।

একটা গান লিখ ও আমার জন্য, বড় সাধ জাগেসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী প্রতিমার জন্মদিন ১৯৩৪ সালের ২১ ডিসেম্বর। ২৯ জুলাই, ২০০৪ সালে মারা যান।

ঋণস্বীকার : আনন্দবাজার।।
Collected

Happy independence day
15/08/2025

Happy independence day

অন্যকে বোঝানোর চেয়েও নিজেকে বোঝানোটা বেশী কঠিন
13/08/2025

অন্যকে
বোঝানোর
চেয়েও
নিজেকে বোঝানোটা
বেশী কঠিন

🔴 যদি মৃত্যু না হত... ‼️ভাবুন তো, যদি এমন হতো যে “আমার” মৃত্যু হবে না, আমি “অমর”—তাহলে কি হতো?দুনিয়ার অনেক ক্ষমতাধর ব্যক...
12/08/2025

🔴 যদি মৃত্যু না হত... ‼️
ভাবুন তো, যদি এমন হতো যে “আমার” মৃত্যু হবে না, আমি “অমর”—তাহলে কি হতো?

দুনিয়ার অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি চেয়েছেন এই অমরত্ব।
সম্রাট আলেকজান্ডারও সেই দলে ছিলেন। ইতিহাস বলছে, তিনি ভারতে এসেছিলেন অমরত্বের সন্ধানে। অনেক ঘুরে তিনি এক যোগীর খোঁজ পান।

সম্রাটের আদেশে সৈন্যরা সেই যোগীর কাছে গিয়ে বললো,
👉 "চলুন, আমাদের সাথে সম্রাটের দরবারে যেতে হবে।"

যোগী হেসে বললেন,
👉 “আমি কোথাও যাই না। সম্রাট যদি চান, তিনিই এসে দেখা করুন।”

সৈন্যরা রাগে তরবারি বের করে বলে,
👉 "তাহলে তোমার মাথা কেটে নিয়ে যাব।"

যোগী হেসে বললেন,
👉 “তাহলে তাই করো।”

সৈন্যরা স্তম্ভিত! এমন নির্ভীক মানুষ!
সম্রাট নিজেই যোগীর কাছে এলেন।

আলেকজান্ডার জিজ্ঞাসা করলেন,
👉 "তুমি কি আমাকে অমরত্বের সন্ধান দিতে পারো?"

যোগী বললেন,
👉 "তোমার জন্য এক সরোবর আছে, স্বচ্ছ জলে ভরা। সেই জল পান করলেই তুমি অমর হয়ে যাবে।"

সম্রাট সেই পথে যাত্রা করলেন, এবং অবশেষে পৌঁছালেন সেই রহস্যময় সরোবরের ধারে।
তৃষ্ণায় ক্লান্ত সম্রাট যখন জল পান করতে যাবেন, ঠিক তখনই

🔊 “খেও না! খেও না!”

আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে দেখলেন, এক কাক তাকে সতর্ক করছে।

👉 “আমি এই জল পান করেছিলাম বহু শতাব্দী আগে,” কাক বললো।
👉 “আমি অমর, কিন্তু এই অমরত্ব এখন অভিশাপ।
আমি ক্লান্ত, একাকী, অবসন্ন।
বন্ধু নেই, প্রিয়জন নেই, ভালোবাসার মানুষ নেই।
প্রতিদিন নতুন সূর্য দেখি, কিন্তু কিছুই আর নতুন লাগে না।
মৃত্যুর অভাবেই জীবন হারিয়েছে তার রঙ।”

সম্রাট স্তব্ধ হয়ে গেলেন।
জলটা হাতে নিয়ে থমকে দাঁড়ালেন... তারপর সেই জল পড়ে গেল মাটিতে।
চোখে ভয়, মনে অনিশ্চয়তা নিয়ে ধীরে ধীরে ফিরে গেলেন।

🔹 মৃত্যু—এক আশীর্বাদ

মৃত্যু যদি না থাকতো, জীবন হতো নিরর্থক।
সমাপ্তি না থাকলে, কোনো গল্পই তো অর্থবোধক হয় না।

👉 মৃত্যু না থাকলে কেউ ক্ষমা করতো না, কেউ বিদায় বলতো না,
👉 কেউ ভালোবাসার গভীরতা বুঝতো না,
👉 কেউ সময়ের মূল্য দিতো না।

যারা শেষ বয়সে দীর্ঘ জীবন নিয়ে ক্লান্ত হন, তারাই বোঝেন মৃত্যুর প্রাসঙ্গিকতা।

আমরা জন্মাই আধা মৃত্যু নিয়ে প্রথম শ্বাস (inhalation) নিয়ে।
শেষ নিঃশ্বাসে (exhalation) শেষ হয় আমাদের যাত্রা।

মৃত্যু মানেই শেষ নয়,
মৃত্যু মানেই পূর্তি।
মৃত্যু আছে বলেই জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান।

🔹 চিরঞ্জীব হবার অর্থ কী?

অমর হই ভাবনায়, কর্মে, ভালোবাসায়, সৃষ্টিতে, অনুভবে, চেতনায়
শরীরে নয়।

যোগ মানে অমরত্ব নয়,
যোগ মানে সচেতন, সংবেদনশীল জীবন।
👉 Yoga is not about eternal life. Yoga is about sensible life.

🔹 যুধিষ্ঠিরের সেই উত্তর

যক্ষ একবার যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা করেছিল,
👉 “পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্য জিনিস কী?”

যুধিষ্ঠির বলেছিলেন
👉 “মানুষ জানে সে একদিন মরবে,
তবুও সে ভালোবাসে, আনন্দ করে, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে!”

শেষ কথা:
জীবন দীর্ঘ নয়
আনন্দময় হোক, অর্থবহ হোক,
এই কামনাতেই যাত্রা হোক প্রতিদিন নতুন,
জানা থাকুক
👉 মৃত্যুর মাঝে লুকিয়ে আছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য।
Collected

Golden words
11/08/2025

Golden words

The biggest comeback is making yourself happy again.
10/08/2025

The biggest comeback is making yourself happy again.

বিজ্ঞান বলে, প্রিয় মানুষ বিশ্বাস ভেঙ্গে চলে গেলে যে পরিমাণ কষ্ট হয়, তা মানব দেহের ১০টা পাঁজরের হাড় একসাথে ভাঙার সমান। ক...
08/08/2025

বিজ্ঞান বলে, প্রিয় মানুষ বিশ্বাস ভেঙ্গে চলে গেলে যে পরিমাণ কষ্ট হয়, তা মানব দেহের ১০টা পাঁজরের হাড় একসাথে ভাঙার সমান। কিংবা হার্ট এ‍্যাটাক করলে যে পেইন হয়, মস্তিষ্ক সেটা অনুভব করে। ততটাই ক্ষতির সম্মুখীন হয় একজন মানুষ, যতটা বড় কোনো এক্সিডেন্টে হয়ে থাকে।

অথচ কি আশ্চর্য, ভয়ঙ্করভাবে কারো হৃদয় ভেঙে ব‍্যথা দেওয়ার পরও নিজের প্রতি সামন‍্য লজ্জাবোধ বা রিগ্রেট না নিয়ে বেঁচে থাকে কিছু মানুষ! মাঝে মাঝে আমার জানতে ইচ্ছে করে কারো জীবনে এতটা অসহনীয় ব‍্যথা উপহার দিয়ে কীভাবে রাতে শান্তিতে ঘুমায় তারা। মানুষ বলেই বোধহয় সম্ভব। কারো হৃদয় ভাঙার মতো অপরাধ করতে তাদের বিবেকে বাধে না!

আদালত কাউকে হৃদয় ভাঙার অপরাধের জন্য সাজা দিতে পারে না। কারণ লোকচক্ষুর অন্তরালে ঘটে যাওয়া সাক্ষী ছাড়া অপরাধগুলোকে আমরা অপরাধ বলেই মনে করি না। কিন্তু যে মানুষ নীরবে সবকিছু সয়ে যায়, একমাত্র সে-ই জানে প্রতিটা মিনিট সেকেন্ড কীভাবে ব‍্যাথা লুকিয়ে বাঁচতে হয়! নিজের ভিতরে কতটা ট্রমা নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার অভিনয় করে যেতে হয়!

কিছু মানুষ তো অবশ‍্যই আছে যারা কমার্শিয়াল, হৃদয়ের সম্পর্কটাকে তারা বিজনেস হিসেবেই নেয়। তারা প্রেম প্রেম গেমটা খুব ভালো খেলে! সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় সেনসেটিভ মানুষগুলো। তারা না পারে সহ্য করতে, না পারে কাউকে বলে হালকা হতে।

দিনশেষে কিছু মানুষ রিকভার করে হয়তোবা, তবে কেউ কেউ চিরদিনের জন‍্য মানসিক রোগী হয়ে বেঁচে থাকে। তাই কারো সাথে নিজেকে জড়িয়ে, পরে তার মন ভাঙার আগে একবার চিন্তা করবেন, সেই মানুষটা আপনার দেওয়া মিথ‍্যা ভালোবাসার যন্ত্রণা সহ‍্য করতে পারবে কিনা! কারো জীবনটা ছারখার করার আগে একটু ভেবে দেখবেন, আপনার দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতির অদৃশ‍্য আঘাত তাকে পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে দেবে কিনা!
Collected

🌟 খান স্যারআসল নাম: ফয়জল খান (কথিত)পেশা: ভারতীয় শিক্ষাবিদ এবং ইউটিউবার, পাটনার খান জিএস রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতাজ...
06/08/2025

🌟 খান স্যার

আসল নাম: ফয়জল খান (কথিত)

পেশা: ভারতীয় শিক্ষাবিদ এবং ইউটিউবার, পাটনার খান জিএস রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা

জনপ্রিয়: সাধারণ শিক্ষা এবং বর্তমান বিষয়গুলি সহজ এবং হাস্যরসাত্মক স্টাইলে পড়ান

ইউটিউব চ্যানেল: লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার সহ খান জিএস রিসার্চ সেন্টার

শিক্ষণশৈলী: জটিল বিষয়গুলিকে সহজ ব্যাখ্যায় বিভক্ত করার জন্য পরিচিত, বিশেষ করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার (যেমন ইউপিএসসি, এসএসসি, রেলওয়ে ইত্যাদি) জন্য

🔹 তিনি তার দেশপ্রেম, হাস্যরস এবং গ্রামীণ ভারতের শিক্ষার্থীদের পড়ানোর প্রতি নিষ্ঠার জন্য প্রিয়।

---

🌸 নীতু ম্যাম

পেশা: ইংরেজি শিক্ষক

জনপ্রিয়: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ব্যাকরণ এবং কথ্য ইংরেজি শেখানো

শিক্ষণশৈলী: স্পষ্ট, ব্যবহারিক এবং শিক্ষানবিস-বান্ধব—শিক্ষার্থীদের ইংরেজি যোগাযোগ এবং পরীক্ষার পারফর্ম্যান্স উন্নত করতে সহায়তা করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে

প্রায়শই অনলাইন বা কোচিং প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত এবং তার সরলতা এবং প্রেরণাদায়ক পদ্ধতির জন্য প্রশংসিত।
Collected

এত বছর পর্যন্ত জানতাম এই 'হাট্টিমা টিম টিম' ছড়াটা ৪ লাইন। আসলে এটারোকনুজ্জামান খানের ৫২ লাইনের অসম্ভব সুন্দর একটি ছড়া।'...
06/08/2025

এত বছর পর্যন্ত জানতাম এই 'হাট্টিমা টিম টিম' ছড়াটা ৪ লাইন। আসলে এটা
রোকনুজ্জামান খানের ৫২ লাইনের অসম্ভব সুন্দর একটি ছড়া।
'
'টাট্টুকে আজ আনতে দিলাম
বাজার থেকে শিম
মনের ভুলে আনলো কিনে
মস্ত একটা ডিম।
বলল এটা ফ্রি পেয়েছে
নেয়নি কোনো দাম
ফুটলে বাঘের ছা বেরোবে
করবে ঘরের কাম।
সন্ধ্যা সকাল যখন দেখো
দিচ্ছে ডিমে তা
ডিম ফুটে আজ বের হয়েছে
লম্বা দুটো পা।
উল্টে দিয়ে পানির কলস
উল্টে দিয়ে হাড়ি
আজব দু'পা বেড়ায় ঘুরে
গাঁয়ের যত বাড়ি।
সপ্তা বাদে ডিমের থেকে
বের হল দুই হাত
কুপি জ্বালায় দিনের শেষে
যখন নামে রাত।
উঠোন ঝাড়ে বাসন মাজে
করে ঘরের কাম
দেখলে সবাই রেগে মরে
বলে এবার থাম।
চোখ না থাকায় এ দুর্গতি
ডিমের কি দোষ ভাই
উঠোন ঝেড়ে ময়লা ধুলায়
ঘর করে বোঝাই।
বাসন মেজে সামলে রাখে
ময়লা ফেলার ভাঁড়ে
কাণ্ড দেখে টাট্টু বারি
নিজের মাথায় মারে।
শিঙের দেখা মিলল ডিমে
মাস খানিকের মাঝে
কেমনতর ডিম তা নিয়ে
বসলো বিচার সাঁঝে।
গাঁয়ের মোড়ল পান চিবিয়ে
বলল বিচার শেষ
এই গাঁয়ে ডিম আর রবে না
তবেই হবে বেশ।
মনের দুখে ঘর ছেড়ে ডিম
চলল একা হেঁটে
গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে
ডিম গেলো হায় ফেটে
গাঁয়ের মানুষ একসাথে সব;
সবাই ভয়ে হিম
ডিম ফেটে যা বের হল তা
হাট্টিমাটিম টিম।
হাট্টিমাটিম টিম-
তারা মাঠে পারে ডিম
তাদের খাড়া দুটো শিং
তারা হাট্টিমা টিম টিম।'
Collected

Address

Old Malda

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sara Creation posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sara Creation:

Share