𝙹𝚞𝚗𝚐𝚕𝚎𝚖𝚊𝚑𝚊𝚕 𝚃𝚒𝚖𝚎𝚜

08/08/2025

"খুন তো খুন" হে টপকতা হে তো জম জাতা হে ।।।
"জুল্ম তো জুল্ম" হে বাড়তা হে তো মিট জাতা হে ।।
-: বীর শহীদ নির্মল মাহাত :-
🙏🙏🙏

𝙹𝚞𝚗𝚐𝚕𝚎𝚖𝚊𝚑𝚊𝚕 𝚃𝚒𝚖𝚎𝚜

28/06/2025

"বান্দোয়ান রূপকার মদন মাহাত"
কুড়মি সেনার পক্ষ থেকে বার বার করে ডি এম এর নিকট আবেদন করা হয়েছে কুড়মিদের দান করা জমিতে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানে জমিদাতার মূর্তি কিম্বা নামের ফলক বসাতে হবে।
আমাদের লড়াই চলছে।
শুধু ডি এম এর নিকট নহে শুশুনিয়া কলেজ,বলরামপুর কলেজ,মানভূম কলেজ, পুরুলিয়া সভাধিপতি, পৌর সভার চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন জায়গায় কুড়মিদের মহান ব্যক্তিদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য লড়াই দিয়ে চলেছে কুড়মি সেনা।
এবার বান্দোয়ান রূপকার মদন মাহাতকে সম্মান জানাতে মূর্তি স্থাপনের দাবী কুড়মি সেনার।
এবার মাননীয় মদন মাহাত নিয়ে দুচার কলম লেখার চেস্টা করছি।

জন্ম-১৪ই আষাঢ়,১৩৪৭
মৃত্যু-১৩ই আশ্বিন,১৪০৪ ইংরেজি-: 30/09/1997

পরিবার পরিচয়:- বান্দোয়ানের এক কৃষক পরিবারে জন্ম। পিতার নাম অর্জুন মাহাত,তিনি ছিলেন পিতার এক মাত্র ছেলে। স্ত্রী বর্তমান।নাম বেহুলা মাহাত।বয়স আনুমানিক 70 বছর।মদন বাবুর তিন সন্তান। দুই মেয়ে এক ছেলে।বড় মেয়ের নাম সন্ধ্যা মাহাত ও ছোটো মেয়ের নাম তারা মাহাত। ছেলের নাম বিপ্লব মাহাত।

শিক্ষা:- বরাবাজার বরাভূম হাই স্কুল থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা।

রাজনৈতিক জীবন :- কৃষক-শ্রমিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ।তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ছিল কেন্দুপাতা আন্দোলন।পরবর্তী কালে বাম সংগঠনে যোগ এবং 1977 সলে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায়
আসার পর 1978 এর পঞ্চায়েত নির্বাচনেই জেলা পরিষদের মেম্বার হন।পরবর্তীতে দলের সাংগঠনিক স্বার্থে আর নির্বাচনে দাঁড়ান নি তিনি।সেই সময় দলের মানবাজার জোনাল কমিটির সম্পাদক ছিলেন বেশ কিছুদিন। পরে বান্দোয়ান লোকাল কমিটির সম্পাদক ছিলেন বহুদিন। ব্যক্তিত্ব হিসাবে কি শাসক কি বিরোধী সকলের কাছেই ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয়।
ছৌ,ঝুমুর,যাত্রা,বাউল ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মধ্যেস আনন্দে মিশে থাকতেন এলাকার মানুষদের সঙ্গে।

সমাজসেবা:- মদন বাবু ছিলেন একজন অত্যন্ত বিচক্ষণ, বুদ্ধিদীপ্ত ও দূরদর্শী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রথমেই লক্ষ্য করেছিলেন বান্দোয়ানের উন্নয়ন করতে হলে সবার আগে দরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন। উদ্যোগী হলেন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায়। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় নিজে দান করলেন ১২বিঘা জমি।গড়ে উঠল বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।আজকে যে জমির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বান্দোয়ান ব্লক অফিস সেই জমিও মদন বাবুর ই দান।এলাকায় মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে বান্দোয়ান গার্লস হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মদন বাবুর।এছাড়াও বান্দোয়ানের ধাদকা আঞ্চলিক হাই স্কুল সহ এলাকায় বহু হাই ও প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মদন বাবুর।
**যাইহোক,আপনার এলাকার মহান ব্যক্তিদের জমি দানের কথা কমেন্ট বক্সে লিখতেই পারেন।

28/05/2025

🌱🌿 রহৈন পরব এর শুভেচ্ছা সকলকে 🌱

এই প্রচলিত সমাজে থেকেও যাদের ভিন্নতর সমাজ, ভিন্নতর ভাষা বৈভব ও সংস্কৃতি। তাদের নেগ-নেগাচার, আচার-বিচার, কথ্য-অকথ্য সবকিছু নিয়ে আদিবাসী টোটেম ও টোটেমিক ভাবধারা। যারা আজও নিজেদের অক্লেশে সমর্পন করে প্রকৃতির কোলে। তাদের চোখে প্রকৃতির বাইরে কোনও কিছুই নয়, না দেব-দেবী না পরব তেওহার আর না নেগ-নেগাচার। তাই তাদের জীবন বোধ ও শৈলী আবর্তীত হয় এই একক কুণ্ডলি জুড়ে। অখণ্ড মানভূম সিংভূম ও বরাভূম জুড়ে যে জনজাতি সুদীর্ঘ কাল ধরে তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন তারাই এই অঞ্চলের মূল আদিবাসী। তারা কুড়মি। আদিম জনজাতিগুলির মধ্যে কুড়মি উল্লেখ্যনীয় কারণটা অবশ্যই তাদের একান্ত নিজস্বতা, নিজস্ব রীতি নীতি, পরব-তেওহার ও নেগ-নেগাচার। বর্তমানে অবশ্যই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতির পর তা পঠনপাঠনের বিষয় হিসাবে চালু করে হয়েছে ঠিকই কিন্তু এই জনজাতিটি রয়ে গেছে সেই তিমিরেই। এদের রহন-সহন, খাদ্যাভ্যাস, আদব কায়দা এবং সর্বোপরী জীবনযাপনের একটা বড় অংশ জুড়ে বয়ে চলেছে প্রকৃতি প্রেম। অনেক গবেষকের মতে এই জনজাতিটিও অন্যান্য আদিম জনজাতির মতোই টোটেমিক। অর্থাৎ এরা গোত্রে বিবেচিত নন, এরা গোষ্ঠীতে বিশ্বাসী। তাই এদের জীবনযাপন ও সংস্কৃতিতেও স্পষ্টভাবে ছাপ ফেলে প্রকৃতি। নানান ট্যাবু ও টোটেমদের মধ্যে প্রকৃতি তার গভীর প্রভাব আচ্ছাদিত করে রাখে। হাবার্ট একেই ‘প্রেতবাদ’ বলে চিহ্নিত করেছেন।
কুড়মিদের জীবন জল, জঙ্গল ও জমির মধ্যেই আবর্তিত হয়। তাই পার্বণগুলিও এদের ব্যাতিরেকে নয়। মূল কথাটা হল এরা প্রকৃতি প্রেমিকের সাথে সাথে প্রকৃতি পূজারিও। কুড়মিদের নিজস্ব ক্যালেন্ডারো বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রিন্টেড মেটিরিয়াল হিসেবে পাওয়া যায়। তবে সেটা যৎসামান্যই। তাছাড়া বাকী সব কিছুই স্মৃতি ও পরম্পরায় প্রায় তিনহাজার বছর ধরে বহন করে আসছেন এরা। কোন প্রামাণ্য কোনও লিখিতরূপ ছাড়াই।

"বার দিনে বারনি,তের দিনে রহনি।
দে ন দাদা ঠেঙা কাট্যে,বহু যাবেক বাগালি।।"

এই রহৈন বাংলা ক্যালেন্ডারের হিসেবে ১৩ই জ্যৈষ্ঠ্য অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তিকাল সবচেয়ে বড়। তাই অনুষ্ঠানটি কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে। ‘বার অনি’ যা ১২ই জ্যৈষ্ঠ্য ‘বার’ বা প্রস্তুতির দিন এবং ১৩ই জ্যৈষ্ঠ্য ‘রহৈন’ দিন।
এই রহৈন উৎসব চলে এক সপ্তাহ জুড়ে। ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠেই দিনাদি কর্ম না করেই গোবর দিয়ে ঘরের সীমানুযায়ী দেওয়ানল বেড়ি টানতে হয় (রেখা টানা)। আকাশ আর একটু পরিস্কার হলে ঘর দোর উঠোন খামার পরিস্কার করে গোবর লরানো হয় (গোবর লেপা)। এরপর প্রবেশদ্বারে ও তুলসী থানে, চৌকাঠে, খামারে, চালের গুঁড়ি গুলে আলপনা দিতে হয়। বেলা বাড়লে বীজধান বেছে রাখেন বাড়ীর মহিলারা। সন্ধ্যার মুখে গৃহকর্তা সম্পূর্ণ শুদ্ধ হয়ে ধুতি পরে নতুন টোঁকায় (বাঁশের তৈরি ঝুড়ি) করে নির্বাচিত বীজধানগুলি নিয়ে নিজের জমিতে ‘আখ্যাইন যাত্‌রা’-র দিন যেখানে হাল পুইন্যাহ্‌ করেছিলেন সেখানকার মাটিতে প্রতীকি বীজবপন করে। ফিরে এসে বাড়ির সকলের সাথে রহৈন ফল, রহৈন পিঠা ও রহৈন মাটি ভক্ষন করে। তাদের বিশ্বাস এই মাটি তাদের মা, আর এই মাটি পচন নিবারক। বহুবীজ যুক্ত স্বাদে ঈষৎ তেতো রহৈন ফল বা আষাঢ়ী ফল (Capparis zeulanica) বিষক্ষয়ী। লাল ল্যাটেরাইটের বুকে জন্মানো প্রকৃতির এক মহৌষধ।
এই উৎসবে মেয়েরাও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তারা বিকেলে রহৈন মাটি সংগ্রহ করে এনে খামার গোয়াল সহ নানা জায়গায় রেখে দেয় আর বীজধানে মিশিয়ে দেয়। আর এই রহৈন মাটি যে টুপাতে (বাঁশের তৈরি ছোট ঝুড়ি) করে আনা হয় সেটিরও বিশেষত্ত্ব লক্ষণীয়। এই টুপাটিকে সিঁদুর মাখিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় তারপর তাতে লোহার পেরেক বিঁধিয়ে দেওয়ার রীতি। যাতে অন্য কারোর নজর বা কু-দৃষ্টি না পড়ে।
এর এক সপ্তাহ পর থেকে অর্থাৎ ২০শে জ্যৈষ্ঠ্য থেকে সাতদিন চলে বিশ্রাম পর্ব। যাকে বলা হয় ‘ডা’। এই ‘ডা’ এর সময়পর্ব দুপুরথেকে। তার আগে অর্থাৎ সকাল থেকে দুপুর অবধি চলে মাঙ্গন। এই মাঙ্গন হল সময়ের যাচ্ঞা। অতিরিক্ত সময় চাওয়া বা প্রার্থনা করা। এই রীতি চলে টানা এক সপ্তাহ। এর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ২৬শে জ্যৈষ্ঠ্য থেকে শুরু হয় ‘কোৎকাহ ই’। এই শব্দটি এসেছে ক্ষেতকারী শব্দ থেকে। এই সময়কালটি ক্ষেত প্রস্তুতের জন্য সুবর্ণ সময়। কারণ এর কয়েকদিন পর থেকেই আষাঢ় মাস অর্থাৎ বর্ষার সমাগম। তাই এই দৈনন্দিন কাজটিও প্রথা মেনে কুড়মিরা করে থাকেন উৎসব উদ্‌যাপনের মাধ্যমে, সানন্দে। এই পরবের একটি উল্লেখযোগ্য অত্যন্ত আনন্দপূর্ন দিক হল ছোটদের নানা ধরনের মজাদার খেলা। যেমন "ছোলা বাঁদরি" বা "রহৈন নাচ"। ছোট ছেলেরা মুখে কালি ঝুলি মেখে, গায়ে ন্যাকড়া জড়িয়ে নকল দাঁড়ি গোঁফ লাগিয়ে সেজে ভাঙা টিন বাজিয়ে বাজিয়ে ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়ায় এবং আলু কলা চাল টাকা মাগন হিসেবে আদায় করে। এই সম্পূর্ন প্রারম্ভিক কৃষি পার্বনই হল রহৈন। মোট কথা জঙ্গলমহল জুড়ে চলে সারা বছরের উৎসব বাতাবরণ। এই আনন্দ এই নেগাচার কুড়মিদের রন্ধ্রে রক্তে মজ্জায়। এর কোনও লিপিবদ্ধ নিয়মাবলীও নেই। নেই বাধ্যবাধকতাও। তবুও তারা হৃদয়ের টানে মেতে ওঠে উতসবগুলিতে। এই উৎসব চলে আসছে পুরুষানুক্রমিক।

তথ্যসূত্র :
1. Medical Plant Resources of south Bengal - Research Wing, Directorate of Forests, Govt of WB
2. মানভূম সংস্কৃতি - ক্ষীরোদ চন্দ্র মাহাতো
ভিডিও : কুড়মি সমাজের মা,কাকি মা রহৈন পরব যেদিন সেই দিন ভোরে ঘরের চারিদিকে গোবরের রেখা টানার একটা নেগের চিত্র ।।

15/05/2025

"আপন মাটি আপন দানা, পেট কাটি নিহি দেবঁ খাজনা"... হুল বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক শহীদ চানকু মাহাতকে শহীদ দিবসে প্রণাম জানাই

07/05/2025

Proud to Indian army 🪖⚔️ 🇮🇳😍
. Operation Sindoor 🎇..Bharat Mata ki joy 🇮🇳💪❤️❤️

05/04/2025

"আপনা গাঁও আপনা রাজ".,
"দুর ভাগাও ব্রিটিশ রাজ" ।।

কোটি কোটি প্রণাম বীর শহীদ #রঘুনাথ_মাহাত 🙏🙏

26/01/2025

18/12/2024

#লড়না_হে_তো_পড়_না_শিখো,
ঝাড়খণ্ড এর পিতামহ,.. বিনোদবিহারী_মাহাত।
শত কোটি প্রণাম 🙏

17/10/2024

#জিহুড়_পরবের_শুভেচ্ছা

জিহুড় শব্দের আক্ষরিক অর্থ কি হবে, তা ভাষাবিজ্ঞানীদের আলোচনার বিষয়। আমার মতে, জি অর্থে জীবন ও হড় অর্থে মানুষ। অর্থাৎ মানুষের জীবন যে বাঁচিয়ে রাখে। শব্দের অর্থ যাই হোক না কেন, তা দিয়ে পরবের গুরুত্ব একটুও ম্লান হয় না।
শস্য দেবী ডিনিমাই বা ঠাকুর মাইকে ঘরে আনার প্রস্তুতি কেন্দ্রিক রাঢ়ভূম তথা ছোটনাগপুরের কৃষি কেন্দ্রিক পরব হল জিহুড়।
আশ্বিনের সংক্রান্তিতে ডিনি মাইকে জানান দেওয়া হয়, মা গো তুমি শক্তি সঞ্চয় করে পরিপূর্ণতা লাভ করো, আমার ঘর খালি হয়েছে, আগামী অঘন সাঁকরাইতে তোমাকে ঘরে তুলবো।
অর্থাৎ, এই সময় ক্ষেতের ধানে দুধ ভরে, আগামী দু মাসে যাতে তা পূর্ণভাবে ধানে পরিণত হয়, সেজন্য শস্যদেবীর অধিষ্ঠান ক্ষেত্র খামার পরিষ্কার করে পুজা করে মাকে জানান দেওয়া হয়, তোমার অধিষ্ঠান ক্ষেত্র বিপদমুক্ত, আজ থেকে পোকা মাকড় নিদ্রায় যায় - বিজ্ঞানের ভাষায় শীতের শুরু হয় এবং পোকা মাকড় শীত ঘুমে চলে যায়।
পূজার উপকরণ দেখলে দেখা যাবে - ঠুটকু বাঢ়ইন, ভাঙা কারাহি, বড়ঢেলা দেওয়া হয়। ঠুটকু বাঢ়ইন দিয়ে জানানো হয়- ধানকে আগলে রাখতে গিয়ে ঝাঁটা শেষ হয়ে গিয়েছে, এরপর থেকেই শুরু হয় ঝুড়গুন্ডা তোলার কাজ। ভাঙা কারাহি দিয়ে জানান দেওয়া হয়, রান্না করে করে কারাহিও শেষ আর ধানও শেষ। বড়ঢেলা দিয়ে জানান দেওয়া হয়, যে বড়ঢেলা দিয়ে কুঁচড়ি বেঁধে রেখেছিলাম ধানের, সেই কুঁচড়ি শেষ, এই যে সেই বড়ঢেলা সাক্ষউপকরণ হিসেবে গ্রহন করো। সাথে থাকে, চিরচিটি, কেন্দ ইত্যাদি পোকা মাকড় তাড়াতে। দিনের শেষে প্রদীপ জ্বালিয়ে ঘরে তুলে নেয় ঘরের কর্তা।

ভাদ্র -আশ্বিন মাস কৃষি জনজাতির কাছে খুব কষ্টের মাস - কথায় আছে ভাদরেক টান।
অর্থাৎ এসময় কৃষি পরিবার গুলির কাছে ধানের অভাব দেখা দেয়। আগের বছরের চাষের ধান প্রায় শেষ হতে থাকে, এবং নতুন বছরের চাষের ধান তখনও পূর্ণতা লাভ করে নি। সেজন্য পরিবার গুলিতে বিহা, শাঙ্ঘা, ভুজনার মতো খরচ সাপেক্ষ বা খাওয়ানোর রীতি মূলক সামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকে এই ধানের টানের জন্য।

এরপর দুমাস ক্ষেতের ধান পূর্ণ হয়ে উঠে, অঘন সাঁকরাইতে ঘরে তোলা হয়। সেদিন থেকে ঘরে তুলে একমাস সেই শস্যদেবী ডিনিমাইকে ত্রিশ দিন ত্রিশ রকম ফুল দিয়ে পুজা করা হয় এবং মকর সংক্রান্তিতে ডিনিমাই এর প্রতিকি টুসু বানিয়ে বিদায় জানানো হয়। পরের দিনই আবার আখাইন যাত্রা - নতুন কৃষি বছরের সূচনায় ক্ষেতে আড়াই পাক লাঙ্গল করে আসার দিন।
সত্যিই কি অভাবনীয় কৃষি দর্শন, কৃষিকে কেন্দ্র করেই কৃষিজাতি গুলোর বেঁচে থাকার কি অভাবনীয় সমাজ দর্শন!
কোনো একটা পরবে কৃষি দেবীকে আবাহন, কোনটায় তার ক্ষেতে গমন, কোনটায় বন্দনা, কোনটায় প্রাণ সঞ্চার, কোনটায় শক্তি সঞ্চার - সত্যিই সব যেন এক সূত্রে গাঁথা।
সূর্য, চন্দ্র, মাটি, বৃষ্টি ইত্যাদি বা বৃহদার্থে প্রকৃতি যেন নিজেই লিখেছে তার সারা বছরের পঞ্জিকা - কৃষিভিত্তিক জনজাতি গুলো শুধু তার পূজারী মাত্র, উপাসক মাত্র।

Sujit Kumar Mahato