07/11/2024
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।আশা করি ম্যাম আপনি ভালো আছেন। আপনার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন ছিল এক নাম্বার হল আমার স্ত্রীর দুইটি সন্তান হয়েছে দুইটা সিজারে হইছে এরপরে দুইটা বাচ্চা নষ্ট হয়েছে এখন যদি আমি বাচ্চা নিতে চাই তাহলে কি আবার সিজার করতে হবে না কি নরমালের সম্ভব ? এবং স্বাভাবিকভাবে যাতে স্ত্রীর ক্ষতি না হয় আর কয়টা বাচ্চা নিতে পারব কতটুকু সময় গ্যাপ দিয়ে দিয়ে?
আর একটা প্রশ্ন হল আমার স্ত্রীর যখন প্রথম সন্তান হয় তখন বুকে দু-ধ কম ছিল এরপর মেডিসিন খাওয়ানো হয়েছিল এরপর থেকে স্ত-ন অনেকটা বড়। ছোট করার কোন মেডিসিন আছে? কিছুটা আগের মত হবে? থাকলে প্লিজ জানাবেন আমাদের সংসারী জীবন ১২ বছর তবে আমি প্রবাসে থাকি। আর আমার এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়ের বয়স ৯ বছর এরপর দুইটা বাচ্চা নষ্ট হয়েছে এর পরের বাচ্চা নেওয়া হয়নি।
পরামর্শ: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ!
আপনার স্ত্রী এখন বাচ্চা নিতে চাইলে আর কোনভাবে নরমালে সম্ভব নয়, সিজারই করতে হবে। সাধারণত ২ টি সিজার করলে স্বাস্থ্যের উপর খুব বেশি বিরূপ প্রভাব ফেলে না।তবে এই তৃতীয় নাম্বার সিজারও কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।কিন্তু এমন নয় যে তৃতীয় সিজার হয়না, হয় তবে সেটা রিস্কি। এখন বাচ্চা নিতে চাইলে আর একটি নিতে পারেন তবে বাচ্চা নেওয়ার আগে অবশ্যই নিকটস্থ গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করে সবকিছু ঠিক থাকলে তবেই নিবেন।আর একবার বাচ্চা নষ্ট হওয়ার ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে আবার বাচ্চা নেওয়া যায়।
দ্বিতীয় যে সমাধানটি চেয়েছেন স্ত-ন ছোট বা আগের মতো করার কোনো ওষুধ আছে কিনা। এরকম কোনো ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আর বাজারে যেসব ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলো কোনো কাজ করেই না ক্ষতি ছাড়া। আপনাকে বুঝতে হবে যে দুইটি শিশুকে বুকের দু-ধ খাইয়েছে আপনার স্ত্রী। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া সন্তান জন্মদানের পর একজন মায়ের শারীরিক পরিবর্তন হবেই। এটাকে মেনে নিতেই হবে। আপনি বাচ্চাও চাইবেন আবার স্ত্রী আগের মতো শারীরিক গঠনে থাকবে বা আগের মতো শরীর করার চেষ্টা করবেন এটা একদমই অযৌক্তিক চিন্তাভাবনা।
তাই যেকোনো স্বামীর উচিত সন্তান জন্মদানের পর বা বয়স বাড়ার কারণে তাদের স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তনকে মেনে নেওয়া এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা ও তাকে আগের মতোই ভালোবাসা।
আপনার সমস্যা পেইজে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খয়রন ফিদদুনিয়া ওয়াল আখিরহ!