Bengali Golpo

Bengali Golpo good

ভৌতিক গল্প: “আয়নার ওপারেLiton ইন্টারনেটে একটি প্রাচীন বাড়ির ছবি দেখে খুব উৎসাহিত হয়ে উঠল। বাড়িটি শহর থেকে দূরে, বনবেষ...
04/07/2025

ভৌতিক গল্প: “আয়নার ওপারে

Liton ইন্টারনেটে একটি প্রাচীন বাড়ির ছবি দেখে খুব উৎসাহিত হয়ে উঠল। বাড়িটি শহর থেকে দূরে, বনবেষ্টিত অঞ্চলে। শোনা যায়, ৫০ বছর আগে সেখানকার এক মহিলা আয়নার দিকে তাকিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

Liton বলল Vidya-কে:
“এই বাড়ি নিয়ে অনেক রহস্য আছে। আমি ব্লগের জন্য একটা রাত্রি কাটাতে চাই।”
Vidya একটু দ্বিধা করেও রাজি হয়ে গেল।
বাড়িটা ছিল ধ্বংসপ্রায়, কিন্তু আশ্চর্যভাবে একটা ঘর একদম অক্ষত ছিল—ঘরের মাঝখানে একটা বিশাল পুরনো আয়না।
Vidya ঘরে ঢুকেই বলল,
“এমন আয়নার মধ্যে অদ্ভুত কিছু আছে… যেন আমাকে দেখছে।”

Liton মজা করে বলল,
“হয়তো আয়নার অন্যপাশে আরেকটা জগত আছে!”

তখনই আয়নাটা হালকা কেঁপে উঠল… আর তাতে Vidya-র প্রতিবিম্ব হঠাৎ একটু আলাদা লাগল—চোখ দুটো যেন একেবারে ফাঁকা!
রাত বারোটা বাজতেই Liton ঘুম থেকে উঠে দেখল Vidya পাশে নেই। হঠাৎ সে আয়নার সামনে গিয়ে দেখে, Vidya ওর পাশে দাঁড়িয়ে… কিন্তু!
Vidya বলল না কিছু, শুধু একটা হালকা হাসি…

Liton তার হাতে হাত রাখতেই দেখল—আয়নার ভিতরে Vidya আছে, কিন্তু আয়নার বাইরেরটা আসল Vidya না!

Liton পিছনে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠল—Vidya আয়নার ভিতরে, কান্না করছে! আর বাইরেরটা ধীরে ধীরে আয়নার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসছে… মুখ নেই, চোখ নেই, শুধুই ছায়া।

Vidya আয়নার ভিতর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“আমাকে ও বন্দি করে রেখেছে… কেউ যদি আয়নার ভিতর ঢুকে আমার জায়গায় আসে, তাহলেই আমি মুক্তি পাব।”

Liton বোঝে, ওকে আয়নার মধ্যে ঢুকে ওর জায়গায় যেতে হবে।
বাইরের ছায়া-বিদ্যা ফিসফিস করে বলছে:
“তুমি কি সত্যিই নিজের ভালোবাসার জন্য আত্মত্যাগ করতে পারো?”

Liton বলল,
“Vidya ছাড়া আমি কিছু না। আমি যাবো।”
আর সে আয়নার দিকে এগিয়ে গেল…

Liton আয়নায় হাত রাখতেই ওর শরীর কাঁপতে লাগল… হঠাৎ সে ভিতরে ঢুকে গেল।
Vidya আয়নার ভিতর থেকে ছিটকে বেরিয়ে এল, মুক্ত!

কিন্তু আয়নার ভিতরে Liton শেষবার চোখে জল নিয়ে বলল:
“ভালো থেকো, Vidya… আমি সবসময় আয়নার ওপারে থাকবো…”

Vidya চিৎকার করল,
“না! না Liton! ফিরে এসো!”

কিন্তু আয়নার ওপাশে এখন শুধু একটা মেঘলা প্রতিবিম্ব… Liton আর কখনো ফিরে আসেনি।

বছর পাঁচেক পর, কেউ একটা ভিডিও তে Vidya কে দেখে বলল,
“তোমার আয়নায় কে যেন মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে… চেনা চেনা লাগে…”

Vidya শুধু বলল,
“ও আমার স্বামী… আয়নার ওপারে থাকে…”

আয়নার কোণে হালকা এক ছায়া হাসে…
Liton এখন সবার গল্প লেখে… আয়নার ভিতর থেকে…

🕯️ “অভিশপ্ত লালবাড়ি”চরিত্র: Liton, Vidya, বৃদ্ধা রত্না, ও "সে"Liton আর Vidya নবদম্পতি। শহরের কোলাহল ছেড়ে তারা সপ্তাহখান...
25/06/2025

🕯️ “অভিশপ্ত লালবাড়ি”
চরিত্র: Liton, Vidya, বৃদ্ধা রত্না, ও "সে"

Liton আর Vidya নবদম্পতি। শহরের কোলাহল ছেড়ে তারা সপ্তাহখানেকের ছুটি কাটাতে বেরিয়েছিল এক পুরনো পাহাড়ি গ্রামে। Google-এ খুঁজে পেয়েছিল একটা পুরনো কিন্তু সুন্দর লাল ইটের বাংলো—নাম “লালবাড়ি”।

গল্প বলে সেই বাড়ি একসময় জমিদারের ছিল। লোকেরা বলে, রাত ১২টার পর নাকি কেউ থাকেনা সেখানে… আর যারা থেকেছে, তারা ফিরে আসেনি।

Liton হাসছিল—
“এগুলো গাঁজাখুরি কথা! আজকাল ভূতের গল্পে কেউ বিশ্বাস করে?”

Vidya যদিও কিছুটা ভয় পাচ্ছিল, কিন্তু Liton-এর উৎসাহ দেখে রাজি হয়ে গেল।

প্রথম দিন ঠিকঠাক কাটলেও, রাত ১টার সময় Vidya হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখে দরজাটা একটু ফাঁকা। বাইরে থেকে কেমন যেন শুঁ…শুঁ… করে আওয়াজ আসছে। সে Liton-কে ডেকে তোলে। Liton গিয়ে দরজা বন্ধ করতে যায়—কিন্তু তখনই দেখে…

দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে এক বৃদ্ধা—চুল এলোমেলো, চোখ লাল, গলা জড়ানো জং ধরা একটা লোহার শিকল!
সে ফিসফিস করে বলল—
“তোমরা এলেই বুঝতে পারবে… এই বাড়ি কার…”

Liton ভয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।

পরের দিন সকালে Liton গ্রামের এক বয়স্ক দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে। তিনি কাঁপতে কাঁপতে বলেন—

“ওই লালবাড়ি? বাবা গো, ওখানে জমিদারবাড়ির শেষ মালকিন রত্না আত্মহত্যা করেছিল ৮০ বছর আগে। তার পর থেকেই বাড়ির প্রত্যেক অতিথি অদৃশ্য হয়ে যায়। কেউ আর ফিরে আসে না।”

Vidya তখন পুরনো পাণ্ডুলিপি ঘেঁটে পায়, এক চিঠি—
“যে আমার নাম জানবে, সে-ই আমাকে মুক্তি দিতে পারবে। নইলে আমি চিরকাল এই গৃহে বন্দি…”

রাতে Liton আবার সেই বৃদ্ধাকে দেখে। এবার সে বলল—
“আমার নাম বলো… বলো, আমি কে?”

Liton বুক ঠুকে বলল, “তুমি রত্না দেবী!”

এক মুহূর্ত চুপ… তারপর বিদ্যুৎ চমকে আকাশ ফেটে পড়ে। বৃদ্ধার চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেল, তারপর হঠাৎ চিৎকার—
“তুমি জানলে! এবার আমি... মুক্ত!”

Liton হালকা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে… কিন্তু তখনই ঘরের ভেতর থেকে Vidya চেঁচিয়ে ওঠে—
“Liton! আমার শরীরটা… কেমন লাগছে... আমার হাত কাঁপছে!”

Vidya ধীরে ধীরে মাটিতে পড়ে গেল… আর তার মুখ রত্নার মতো হতে শুরু করল…

“সে” ফিরে এলো
Liton চিৎকার করে বলল—
“না! তুমি আমার Vidya… তুমি রত্না নও!”

কিন্তু ততক্ষণে Vidya পুরোপুরি বদলে গেছে। সে হাঁসতে হাঁসতে বলে—

“Vidya তো আমার জায়গা করে দিল… এখন আমি আবার এই বাড়ির মালকিন!”

Liton পেছনে পালাতে যায়, কিন্তু দরজাগুলো নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যায়। গলা জড়িয়ে ধরা লোহার শিকল মাটিতে পড়ে গুঞ্জন তোলে—

“তুমি জানলে… এখন তুমিও বন্দি…”

পাহাড়ি গ্রামের সেই লালবাড়ি আবার নতুন ভাড়াটে খুঁজছে।
আর ভিতরে?
এক খোলা জানালার পাশে বসে আছে Vidya… না, রত্না…

আর নিচে লেখা—

“Rooms Available. Only for the brave.”

🌧️👻 গল্পের নাম: “বৃষ্টির রাতে অচেনা যাত্রী”সময়: রাত ১১টাজায়গা: রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা ফেরা পথLiton বাইক চালিয়ে ফিরছিল বা...
23/06/2025

🌧️👻 গল্পের নাম: “বৃষ্টির রাতে অচেনা যাত্রী”
সময়: রাত ১১টা
জায়গা: রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা ফেরা পথ

Liton বাইক চালিয়ে ফিরছিল বাড়ি। রাস্তায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, চারপাশ ফাঁকা। হেডলাইট ছাড়া কিছু দেখা যায় না।

হঠাৎ রাস্তার পাশে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে – ভিজে গেছে পুরো। সাদা শাড়ি, লাল পাড়। চোখে-মুখে অন্ধকারে স্পষ্ট দেখা যায় না।

সে বলে,
— “দাদা, একটু এগিয়ে দেবেন? আমার বাস মিস হয়ে গেছে…”

Liton একটু দ্বিধায় পড়ে গেলেও বলে,
— “বসুন পেছনে।”

মেয়ে চুপচাপ বসে পড়ে, কিছুই বলে না।

কিন্তু ৫ মিনিট পর Liton পিছনে তাকিয়ে দেখে — সিট ফাঁকা! কেউ নেই!

বাইক থামিয়ে সে চারপাশ দেখে — কেউ নেই, শব্দ নেই, শুধু বৃষ্টির ঝরঝর।

বুক ধুকপুক করতে করতে আবার বাইক স্টার্ট দেয়।

কিন্তু হঠাৎ মেয়েটার গলা কানে আসে —
“আমার গন্তব্য এখনো বাকি…”

আয়নায় চোখ পড়তেই দেখে মেয়েটা আবার পেছনে বসে আছে! এবার তার মুখটা পুরো কালো, চোখ দুটো রক্তের মতো লাল!

ভয়ে Liton চিৎকার করে জ্ঞান হারায়।

পরদিন ভোরে, লোকজন রাস্তার ধারে একটা বাইক পড়ে থাকতে দেখে, চালক নেই। শুধু সিটে একটা সাদা শাড়ি পড়ে ছিল... ভেজা… এক ফোঁটা রক্তে লাল।

🩸 শেষ কথা:
বৃষ্টির রাতে, কেউ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে — জিজ্ঞেস করো না সে কোথায় যাবে…
হয়তো সে... কখনোই নামবে না

গল্পের নাম: আয়নার ওপারেরাত তখন ১২টা। বিদ্যা নামের এক মেয়ে একা ছিল তার পুরনো দাদুর বাড়িতে। চারদিকে নিশুতি রাত, শুধু ঘড়ির ...
20/06/2025

গল্পের নাম: আয়নার ওপারে
রাত তখন ১২টা। বিদ্যা নামের এক মেয়ে একা ছিল তার পুরনো দাদুর বাড়িতে। চারদিকে নিশুতি রাত, শুধু ঘড়ির টিকটিক শব্দ শোনা যায়।

হঠাৎ… আয়নার দিকে তাকাতেই সে চমকে উঠল।

সে দেখল, আয়নায় তার প্রতিবিম্ব এক সেকেন্ডের জন্য হাসলো... কিন্তু বিদ্যা নিজে হাসেনি।

সে চোখ কচলিয়ে আবার তাকাল।

প্রতিবিম্ব তখনো তাকিয়ে আছে তার দিকেই, কিন্তু এবার মুখটা একটু বাঁকা… আর চোখ দুটি লালচে, যেন রক্ত জ্বলছে।

বিদ্যা ভয় পেয়ে আয়নার সামনে থেকে সরে গেল। কিন্তু তখনই আয়নার ভেতর থেকে একটা গলা ভেসে এল —

"তুই তো বলেছিলি, আর কখনো একা আসবি না..."

বিদ্যা আতঙ্কে চিৎকার করে দরজা খুলে দৌড় দিলো বাইরে।
পেছনে তাকিয়ে দেখল — আয়নার ভেতরের ছায়াটা ধীরে ধীরে আয়নার কাঁচ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে...

শেষ কথা:
পুরনো বাড়ির আয়নাগুলো কিন্তু সবসময় সত্যি দেখায় না... কিছু কিছু আয়নার পেছনে লুকিয়ে থাকে অতীত... আর কিছু প্রতিশোধ।

Hasibur Rahaman
03/03/2025

Hasibur Rahaman

Address

Raiganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bengali Golpo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category