26/10/2025
রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) এশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ট্রাম্প। তার আগে সমাজমাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দাবি, ভুয়ো তথ্য প্রচার করা হচ্ছে ওই বিজ্ঞাপনে।
এশিয়া সফরের আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোপে পড়শি দেশ কানাডা। এক ধাক্কায় তাদের পণ্যে আরোপিত শুল্কের পরিমাণ ১০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, কানাডার একটি বিজ্ঞাপনের কারণে এই পদক্ষেপ। ওই বিজ্ঞাপনে ভুয়ো প্রচার চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প।
রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এশিয়ায় দীর্ঘ সফর রয়েছে তাঁর। দক্ষিণ কোরিয়ায় এশীয়-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন শীর্ষর আলোচনাচক্রে যোগ দেবেন তিনি। সেখানেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক করতে পারেন। এই সফরে রওনা হওয়ার আগে সমাজমাধ্যমে কানাডার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ট্রাম্প। দাবি, ভুয়ো তথ্য প্রচার করা হচ্ছে জেনেও বিজ্ঞাপনটি তুলে নিতে পদক্ষেপ করেনি কানাডা সরকার।
সম্প্রতি কানাডায় মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। সেখানে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা রক্ষণশীল নেতা রোনাল্ড রিগানের একটি পুরনো ভাষণের কিছু অংশ ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ভাষণ ভুল ভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্সিয়াল ফাউন্ডেশন অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের তরফেও বিজ্ঞাপনটিকে ভুয়ো বলা হচ্ছে। দাবি, এটি তৈরির সময় তাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
বস্তুত, ১৯৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল রেডিয়োতে শুল্কের বিরুদ্ধে পাঁচ মিনিটের একটি ভাষণ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড। মুক্ত ও স্বচ্ছ বাণিজ্যের কথা তিনি বলেছিলেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সেই ভাষণ নতুন করে সম্পাদনার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়েছে, দাবি আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যমে। কানাডা সরকার এই বিজ্ঞাপনটি কিনে নেয় এবং অনেক মার্কিন চ্যানেলে তা সম্প্রচার করা হয়।
ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘রোনাল্ড রিগানের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তৃতা নিয়ে একটি ভুয়ো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে কানাডা। রিগান ফাউন্ডেশনও জানিয়েছে, এই বিজ্ঞাপন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে বিকৃত করছে। ওই বক্তব্য ব্যবহার করার জন্য বা এডিট করার জন্য সংগঠনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি।’’
কানাডা সরকারকে তুলোধনা করে তিনি আরও লেখেন, ‘‘এই বিজ্ঞাপনের একটাই উদ্দেশ্য ছিল। কানাডার সরকার ভেবেছিল, আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট ওদের বাঁচিয়ে দেবে। কিন্তু কানাডার উচ্চ শুল্কের মোকাবিলা এখন আমেরিকা করতে পারে। জাতীয় স্বার্থে শুল্ক রিগানও পছন্দ করতেন।’’
আমেরিকা এবং কানাডা উত্তর আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির (USMCA) অধীনে রয়েছে। এই চুক্তির শর্ত অনুসারে, ৮৫ শতাংশ বাণিজ্যিক লেনদেন বিনা শুল্কে হয়ে থাকে। বাকি পণ্যের ক্ষেত্রে কানাডার বিরুদ্ধে গত অগস্টেই ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামের মতো পণ্যে আমেরিকার শুল্কের কারণে কানাডার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আরও ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এ বার শুল্ক দাঁড়াল ৪৫ শতাংশে।