Video creator

15/06/2025

https://youtube.com/?si=nUl-ZNEowzw6zh5U

14/06/2025

Israel wor updet

11/06/2025

Big shout out to my newest top fans! 💎 Basiruddin SAgim, Sabbir Khan

Drop a comment to welcome them to our community,

10/06/2025

নিচে সেলিম ও সাবানার একটি হৃদয়বিদারক বিবাহবিচ্ছেদের গল্প উপস্থাপন করা হলো — বাস্তবতার ছোঁয়া থাকলেও এতে ভালোবাসা, ব্যর্থতা ও জীবনের কঠিন সিদ্ধান্তের প্রতিফলন আছে।

---

সেলিম ও সাবানার ভাঙা বিবাহের গল্প

(একটি সত্যের মুখোমুখি প্রেমকাহিনী)

সেলিম ও সাবানা—দু’জনেই ছিল একে অপরের প্রথম প্রেম। ছেলেবেলায় একসাথে স্কুলে যাওয়া, হাত ধরে বইমেলা ঘোরা, প্রথম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে একে অপরের চোখে তাকিয়ে হেসে ওঠা—সব কিছু যেন ছিল পরির গল্পের মতো।

তাদের প্রেমের গল্পে সবাই মুগ্ধ ছিল। পরিবারের সম্মতিতেই অবশেষে চার বছর প্রেমের পর বিয়ে হয়েছিল। চারদিকে হাসি, খুশির রোশনাই, আর তারা দুজন—স্বপ্নে ভাসছিল।

বিয়ের পর প্রথম কয়েক মাস ছিল স্বপ্নময়। সকালে একসাথে নাশতা, বিকেলে ছাদে চা, রাতে একে অপরের পাশে ঘুমিয়ে পড়া। সেলিম ছিল দায়িত্ববান, আর সাবানা ছিল যত্নশীল। একে অপরের ছোট ছোট খেয়াল রাখত তারা।

কিন্তু জীবনের বাস্তবতা ধীরে ধীরে গল্পকে বদলাতে শুরু করল।

সেলিম একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করত, দিনে ১০-১২ ঘণ্টা অফিস। সাবানা শুরুতে বুঝত, সহ্য করত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একাকিত্ব তাকে গিলে খেতে লাগল। সকাল থেকে সন্ধ্যা—একাই কাটত সময়। সে সেলিমের জন্য অপেক্ষা করত, কিন্তু সেলিম ফিরত ক্লান্ত হয়ে, অনেক সময় মন খারাপ নিয়ে।

একদিন রাতে সাবানা জিজ্ঞেস করল,
— "তুমি কি আগের মতো আর ভালোবাসো না আমাকে?"
সেলিম বিরক্ত হয়ে বলল,
— "সব সময় ভালোবাসা ভালোবাসা করে থাকলে তো সংসার চলে না, সাবানা। আমি চেষ্টা করছি, তুমি সেটা দেখো না?"

সেই রাত থেকেই শুরু হলো দূরত্ব।

ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়া, কথা কাটাকাটি, একে অপরকে না বোঝার যন্ত্রণা জমতে লাগল। সেলিম অফিস থেকে ফিরত দেরি করে, ফোনে কথা বলত কম, সাবানা সন্দেহ করতে শুরু করল।
কখনো বলত,
— "তুমি কি কাউকে ভালোবাসো?"
সেলিম রেগে বলত,
— "তোমার সমস্যা তুমি শুধু কল্পনায় থাকো। বাস্তবতা বোঝো না!"

একদিন সব সীমা ছাড়িয়ে গেল। সাবানা অফিস থেকে ফিরে দেখে সেলিম সোফায় বসে, মুখ গম্ভীর। সে বলল,
— "আজকে আমার প্রমোশন হয়েছে, তুমি একবারও জানতে চাওনি আমার দিন কেমন গেল?"

সেলিম ধীরে বলল,
— "তুমি কি চাইছো বলো, সাবানা? তুমি কি খুশি এই সংসারে?"

সাবানা কেঁদে ফেলল। তারপর সে যা বলল, তা ছিল সম্পর্কের শুরুটা ভাঙনের সুরে:

— "আমি শুধু চেয়েছিলাম তুমি আমাকে একটু সময় দাও। একটু বোঝো। কিন্তু তুমি তো শুধু নিজের দিকটাই দেখো।"

সেলিমও থেমে থাকেনি।

— "তুমি কি ভেবেছো আমি ইচ্ছে করে সময় দেই না? এই সংসার, তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিচ্ছি আমি!"

সেদিন তারা প্রথমবার ‘বিচ্ছেদ’ শব্দটা উচ্চারণ করেছিল।

পরের দিনগুলোতে তারা এক ছাদের নিচে থেকেও একে অপরের থেকে বহু দূরে ছিল। ঘরের মধ্যে যেন দু’জন ভিন্ন জগতের মানুষ বাস করছিল। কথা হতো কেবল দরকারে। একসময় তারা বুঝে গেল—এই সম্পর্ক কেবল খোলস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মনের বন্ধন নেই।

এক সন্ধ্যায়, ছাদের ধারে দাঁড়িয়ে, সাবানা বলল,
— "চলো, আর নিজেকে কষ্ট দিই না। আমরা দুজনেই হেরে গেছি। কিন্তু এই হার মানে হয়তো মুক্তি।"

সেলিম মাথা নিচু করে ছিল। চুপচাপ।

এক সপ্তাহ পরে তারা ডিভোর্স ফাইল করল। আদালতের ঘরে যখন বিচারক বলল, "আপনারা একে অপরকে শেষবারের মতো কিছু বলবেন?"—তখন সেলিম শুধু বলেছিল,
— "তোমাকে আমি ভালোবাসতাম। এখনও বাসি। কিন্তু ভালোবাসাই সব কিছু সামলাতে পারে না সব সময়।"

সাবানার চোখে জল ছিল, মুখে শুধু একটিই কথা,
— "আমরাও তো চেয়েছিলাম বাঁচাতে। কিন্তু সময় আমাদের বুঝিয়ে দিল, কেবল ইচ্ছে থাকলেই হয় না।"

তারপর জীবন আবার চলতে শুরু করল।

সেলিম একা থাকে, অফিস শেষে নিজের ছোট্ট ফ্ল্যাটে ফিরে পুরনো ছবিগুলো দেখত মাঝে মাঝে।
সাবানা এখন অন্য শহরে, শিক্ষকতা করে, মাঝে মাঝে ডায়রিতে কিছু লেখে—‘ভালোবাসা মানেই পাওয়া নয়, কখনো কখনো হারিয়েও ভালোবাসতে হয়।’

তাদের কেউই দ্বিতীয়বার বিয়ে করেনি।

অনেকে ভাবে, ভালোবাসার শেষ মানেই ঘৃণা। কিন্তু সেলিম আর সাবানার গল্প বলে—ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না, শুধু রূপ পাল্টায়। তারা হয়তো একে অপরের জীবনে নেই, কিন্তু মনে এখনো আছে—অন্য রূপে, নীরব ভালোবাসায়।

---

শেষকথা:
বিবাহ মানে কেবল দুটি মানুষ একসাথে থাকা নয়, বরং প্রতিদিন একে অপরকে বোঝা, সময় দেওয়া, এবং একসাথে কঠিন সময় পেরিয়ে যাওয়া। সেলিম ও সাবানার গল্প আমাদের শেখায়, কেবল ভালোবাসা থাকলেই সম্পর্ক টিকে না, সেখানে প্রয়োজন বোঝাপড়া, সহনশীলতা ও সময়ের সঠিক ব্যবহার।

তাদের ডিভোর্স হয়তো সম্পর্কের ইতি, কিন্তু তাদের ভালোবাসা এক হৃদয়ের গভীরে গেঁথে থাকা নিঃশব্দ আর্

10/06/2025

সেলিম ও সাবানার ভাঙা প্রেমের গল্প
(একটি হৃদয়ছোঁয়া বাংলা প্রেমকাহিনী)

সেলিমের প্রথম দেখা সাবানার সঙ্গে হয়েছিল কলেজের লাইব্রেরিতে। বইয়ের খোঁজ করতে গিয়ে তাদের হাত একসাথে ছুঁয়ে গিয়েছিল। সেই ছোট্ট মুহূর্তটুকুই যেন সময়কে থমকে দিয়েছিল। সাবানার চোখে এক ধরনের নীরব যাদু ছিল, আর সেলিমের চোখে ছিল এক নিঃশব্দ ভালবাসা। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো।

প্রতিদিনের দেখা, পড়াশোনার গল্প, ক্লাস শেষে একসাথে হাঁটাহাঁটি—সব কিছুতেই যেন অদৃশ্য এক বাঁধনে জড়িয়ে যাচ্ছিল তারা। সাবানা একটু গম্ভীর স্বভাবের হলেও সেলিম ছিল খুব হাসিখুশি, রসিক। ওরা ছিল দুই ভিন্ন মেরুর মানুষ, কিন্তু তাদের বন্ধন ছিল দৃঢ়।

একদিন কলেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সেলিম সাহস করে সাবানাকে বলেই ফেলল,
— "তুই জানিস, তোর চোখের দিকে তাকিয়ে আমি সব ভুলে যাই। তুই থাকলে আর কিছু লাগে না আমার।"

সাবানা অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল সেলিমের দিকে। তারপর চোখ নামিয়ে শুধু বলল,
— "সেলিম, তুই অনেক ভালো। কিন্তু আমি ভয় পাই… এতো বেশি ভালোবাসা টিকিয়ে রাখা যায় না সব সময়।"

তবুও, ভালোবাসা থেমে থাকে না। সাবানাও ধীরে ধীরে সেলিমকে ভালোবাসতে শুরু করেছিল, কিন্তু তার ভয়টা কখনো কাটেনি। সেই ভয় একদিন সত্যি হয়ে ধরা দিল।

কলেজ শেষ হওয়ার কিছুদিন পর সেলিম ঢাকায় একটি ভালো চাকরি পেয়ে গেল। যাওয়ার আগে সে সাবানাকে বলল,
— "আমি তোর জন্য একটা জীবন গড়তে যাচ্ছি। তুই আমার জন্য অপেক্ষা করবি, তো?"

সাবানা মাথা নাড়ল, কিন্তু চোখে ছিল দ্বিধা।
— "আমি জানি না, সেলিম। সময় আমাদের কতটা পাল্টে দেবে…"

ঢাকায় গিয়ে সেলিম দিনরাত কাজ করত, সাবানাকে নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনত। ফোনে প্রতিদিন কথা হতো না, কিন্তু যখনই হতো, ওরা যেন আবার কাছাকাছি চলে আসত।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকল। সেলিমের ব্যস্ততা, সাবানার একাকিত্ব—সব মিলে একটা অদৃশ্য দেয়াল গড়ে উঠল। সাবানা প্রায়ই ফোনে বলত,
— "তুই আমাকে বুঝিস না আর আগের মতো। সবকিছুই কেমন মেকি লাগে এখন।"

সেলিম ব্যথিত হতো, কিন্তু কাজের চাপে কিছুই করতে পারত না। একদিন হঠাৎ সাবানা ফোনে বলল,
— "সেলিম, আমরা যদি আর একসাথে না থাকি, তুই কি বাঁচতে পারবি?"

সেলিম স্তব্ধ হয়ে গেল। শুধু বলল,
— "তুই এমন কথা বলিস না। আমি তোকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারি না।"

কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। সাবানার পরিবার তাকে বিয়ে দিতে চাইছিল। এক ধনী ব্যবসায়ীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে গিয়েছিল তার মা-বাবা। সাবানা চাইলেও সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেতে পারেনি।

সেলিম জানতে পারল এক বন্ধুর কাছ থেকে। ফোন করেও সাবানাকে পায়নি। শুধু একটি ছোট্ট মেসেজ এল,
— “ভালো থেকো, সেলিম। আমাদের ভালোবাসা কেবল সময়ের কাছে হেরে গেছে। আমি চেয়েও পারিনি তোকে ধরে রাখতে।”

সেলিম কিছুক্ষণ ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ছিল। চোখের কোণ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। বুকের ভিতরে শূন্যতা—একটা কষ্ট যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

এরপর কেটে গেছে অনেক বছর। সেলিম এখন বড় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। সফল একজন মানুষ। কিন্তু যখনই সে সন্ধ্যায় জানালার ধারে দাঁড়িয়ে, পুরনো গান বাজে, তখন আবার ফিরে যায় সেই কলেজের বারান্দায়। মনে পড়ে সেই প্রথম স্পর্শ, সেই একসাথে হাঁটাহাঁটি, সাবানার সেই চোখের ভাষা।

সেলিম অনেকবার চেয়েছে আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে। কিন্তু সে জানে, হৃদয়ের এক কোণায় আজও সাবানা বসে আছে, এক অনন্ত প্রতীক্ষায়। আর সেই অপেক্ষা শেষ হবার নয়।

ভালোবাসা সবসময় মিলনের গল্প হয় না। কিছু কিছু ভালোবাসা ভাঙনের মধ্যেও থেকে যায়—একটা স্মৃতি হয়ে, একটা গভীর অনুভব হয়ে।

---

শেষকথা:
সেলিম ও সাবানার গল্পটা আমাদের শেখায়—ভালোবাসা শুধু পাওয়া নয়, ত্যাগের মধ্যেও তার গর্ব আছে। সময় যদি ভালোবাসাকে ভেঙে দেয়, তবুও সেই অনুভব কখনো মুছে যায় না। এমন অনেক প্রেম আছে, যারা একসাথে থাকতে না পারলেও সারাজীবন একে অপরের মনের মধ্যে বেঁচে থাকে।

10/06/2025

09/06/2025