
31/08/2025
রাধাষ্টমী ব্রত ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমি তিথিতে পালন করা হয়। শ্রী রাধিকা এই দিন পৃথিবীর বুকে আবির্ভুত হয়েছিলেন। জেনে নেওয়া যাক এই ব্রতের পেছনে প্রচলিত কাহিনী।
সূর্যদেব একসময় পৃথিবী ভ্রমণ করতে এসে পৃথিবীর রূপ,আনন্দ দেখে আকৃষ্ট হয়ে মন্দর পর্বতের গুহায় গভীর তপস্যায় মগ্ন হন।এইভাবে অনেকদিন কাটলে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।তখন স্বর্গের দেবতারা ভীত হয়ে শ্রীহরির কাছে সাহায্যের জন্য যান।শ্রীহরি সূর্যের সামনে উপস্থিত হলে সূর্যদেব খুব আনন্দিত হন।সূর্যদেব বলেন আপনার দর্শন পেয়ে আমার তপস্যা সার্থক হলো।
শ্রীহরি তাকে বর দিতে চাইলে,সূর্যদেব বলেন আমাকে এমন একটি গুণবতী কন্যার বর প্রদান করুন যার কাছে আপনি চিরকাল বশীভূত থাকবেন।শ্রীহরি তথাস্ত বলে তাই বর দিয়েছিলেন। শ্রীহরি বলেছিলেন পৃথিবীর ভার লাঘবের জন্য আমি বৃন্দাবনের নন্দালয়ে জন্মগ্রহণ করব। তুমি সেখানে বৃষভানু রাজা হয়ে জন্মাবে।
শ্রীমতি রাধা তোমার কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করবে।এই ত্রিলোকে আমি একমাত্র শ্রী রাধিকারই বশীভূত থাকবো। রাধা ও আমার মধ্যে কোনো প্রভেদ থাকবে না। আমি সবাইকে আকর্ষণ করি কিন্তু একমাত্র রাধিকাই আমাকে আকর্ষণ করবে।
এরপর শ্রীহরি নন্দালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। সূর্যদেব বৈশ্যকুলে জন্মগ্রহণ করে বৃষভানু রাজা হলেন এবং গোপকন্যা কীর্তিদা সঙ্গে তার বিবাহ হল তারপর যথাকালে ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষে অষ্টমী তিথিতে ধরিত্রীকে পবিত্র করে কীর্তিদার গর্ভে শ্রীমতি রাধারানী জন্মগ্রহণ করেন।এই রাধারানীর আবির্ভাব তিথিই রাধাষ্টমী নামে পরিচিত।
অন্য এক বর্ণনায় বলা হয় সেই সময়ে যমুনা নদী বর্ষাণার রাভেল স্থানটির পাশ দিয়ে বয়ে যেত। একদিন রাজা বৃষভানু নদীতে স্নান করতে গিয়ে দেখলেন হাজার সূর্যের আলোর মত জ্যোতির্ময় এক সোনার পদ্ম ঠিক যমুনা নদীর মাঝখানে ফুটে আছে, যার মধ্যে আছে একটি ছোট শিশুকন্যা।
তারপর ভগবান ব্রহ্মা এসে বিস্মিত রাজাকে জানালেন যে রাজা বৃষভানু ও তাঁর পত্নী কীর্তিদা পূর্বজন্মে ভগবান বিষ্ণুর পত্নীকে কন্যারূপে লাভ করার জন্য কঠোর তপস্যা করেছিলেন। তার ফলস্বরূপই এই জন্মে রাজা স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর পত্নীকে কন্যারূপে পেয়েছেন।এরপর রাজা বৃষভানু সেই শিশুকন্যাকে নিয়ে এসে তার পত্নী কীর্তিদার হাতে তুলে দিলেন।
কিন্তু তারা দেখলেন শিশুটি কিছুতেই চোখ খুলছে না। তারা ভাবলেন শিশুটি বোধহয় অন্ধ! তখন নারদমুনি রাজা বৃষভানুর কাছে এসে রাজাকে শিশুটির জন্মের জন্য আনন্দের উৎসব করতে বললেন। নারদমুনীর কথা অনুযায়ী রাজা বৃষ্ণভানু উৎসবের আয়োজন করলেন। সেই উৎসবে নন্দ মহারাজ শিশু কৃষ্ণসহ সপরিবারে এসেছিলেন।
ঐ অনুষ্ঠানে শিশু কৃষ্ণ যখন হামাগুড়ি দিয়ে শিশু রাধারাণ