27/10/2025
হাজারের বেশি অনিচ্ছুক বিএলও’কে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ কমিশনের, শো-কজের পরের পদক্ষেপ
শো-কজ করার পর এবার হাজারের বেশি বুথ লেভেল অফিসারকে (বিএলও) অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
শো-কজ করার পর এবার হাজারের বেশি বুথ লেভেল অফিসারকে (বিএলও) অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। দিল্লির স্পষ্ট বার্তা, অনিচ্ছুক বিএলও-দের কাজে ফেরাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য নির্বাচনী অধিকারিকের দপ্তরকে (সিইও অফিস)। সেইমত প্রত্যেকটি জেলাকে নির্দেশও পাঠিয়েছে সিইও অফিস। ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের উল্লেখ করে অনিচ্ছুক বিএলওদের প্রতি কমিশনের কড়া বার্তা, নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে তাঁরা বাধ্য। প্রত্যেক সরকারি কর্মীকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, কমিশনের কাজে যুক্ত থাকাটা বাধ্যতামূলক। কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনে গাফিলতি হলে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসআইআর-এর কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করতে তাই কোনও রকমের যুক্তি, অজুহাত, ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না—স্পষ্ট বার্তা কমিশনের। এসআইআর সংক্রান্ত ট্রেনিংয়ের জন্য বিএলওদের সাতদিন সময় দেওয়া হবে। প্রত্যেক জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের। ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন যুগ্ম নির্বাচনী আধিকারিক পর্যায়ের আধিকারিকরা। এই মর্মে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর কমিশন সূত্রে।
তবে শুধু কড়া বার্তাই নয়, এসআইআর-এর কাজে যুক্ত কর্মী, আধিকারিকদের একাধিক আশ্বাসবাণীও দিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়ায় কর্মরত কাউকে অন্য কাজ করতে হবে না। তাঁদের বদলি করা যাবে না। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু রাজ্যের বিএলও-দের তরফে কমিশনে নিরাপত্তা-সহ বেশ কিছু অভিযোগ করা হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। বিএলওদের একাংশের অভিযোগ, নির্বাচনের কাজ করতে গিয়ে তাঁদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। বিএলও-দের যাতে এই ধরনের সমস্যাগুলি না হয়, তা দূর করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলেও কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।