Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন

  • Home
  • India
  • Bolpur
  • Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন

Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন Santiniketan (Santiniketôn) is a small town near Bolpur in the Birbhum district of West Bengal, It

২০২৫ সালের দুর্গাপুজোর সময়সূচী...
31/08/2025

২০২৫ সালের দুর্গাপুজোর সময়সূচী...

‼️রাতের উপাসনা গৃহ‼️
30/08/2025

‼️রাতের উপাসনা গৃহ‼️

অবনীন্দ্রনাথ-রবীন্দ্রনাথ : খামখেয়ালের যুগলবন্দি...ঠাকুরবাড়ির কাকা-ভাইপো--রবি ঠাকুর আর অবন ঠাকুর। দশ বছরের ছোট-বড়। যে সময়...
29/08/2025

অবনীন্দ্রনাথ-রবীন্দ্রনাথ : খামখেয়ালের যুগলবন্দি...

ঠাকুরবাড়ির কাকা-ভাইপো--রবি ঠাকুর আর অবন ঠাকুর। দশ বছরের ছোট-বড়। যে সময়ের কথা বলছি, তখন বয়সের কোঠায় অবন সবে সাতের ঘরে পা দেবেন, আর রবি শেষ করবেন সাতের ঘর। অবন তখন কলকাতায় আর রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে। সে-বার তাঁর খেয়াল হল, অবনের জন্মদিন করতে হবে--"অবন কিছু চায় না, জীবনে চায়নি কিছু। কিন্তু একটা লোক যে শিল্পজগতে যুগপ্রবর্তন করেছে, দেশের রুচি বদলে দিয়েছে। সমস্ত দেশ যখন নিরুদ্ধ ছিল, এই অবন তার হাওয়া বদলে দিলে। তাই বলছি, আজকের দিনে এঁকে যদি বাদ দাও তবে সবই বৃথা।" সুতরাং, ঠিক হল বেশ ঘটা করে অবনের জন্মদিন করতে হবে। ব্যস, অবন-শিষ্য নন্দলাল আর স্নেহধন্যা রাণী চন্দকে আয়োজনের ভার দিলেন রবীন্দ্রনাথ। জন্মদিন আসতে তখনও মাস খানেক বাকি। কিন্তু, বুড়ো বয়সে জন্মদিনের ঘটা!--এ কিছুতেই অবনের মনে সায় দিল না। তিনি তখন নিজস্ব খামখেয়াল কুটুম কাটাম পুতুল গড়ায় মজেছেন, তাই নিয়েই মগ্ন থাকেন সারাদিন। জন্মদিনের প্রস্তাবে তাঁর 'নেতি' কিছুতেই 'ইতি' হয় না। অবশ্য তাঁকে সাধে সাধ্য কার! শিষ্য নন্দলাল ঘুর ঘুর করেন, স্নেহধন্য রাণী বুঝিয়ে বলতে যান--কিন্তু, কে শোনে কার কথা! বেশি বলতে গেলে এমন ধমক লাগান যে, তাঁরা আর পালাবার পথ পান না। ওদিকে রবীন্দ্রনাথও তাড়ায় কমতি দিলেন না। সমানে রাণী সকাশে তাঁর খোঁজ চলতে লাগল, "অবনের জন্মোৎসব কতদূর কী এগোল?" জন্মদিন যত ঘনিয়ে আসতে লাগল, রাণী ততই বুঝলেন অবনকে বাগে আনা অন্তত তাঁদের কম্মো নয়। সে-কথা কবুলও করলেন। রবীন্দ্রনাথের মাথায় কিছু একটা চাপলে--আর সবাই হাল ছাড়লেও তিনি যে সে-পাত্র নন--এ তো আর কারও জানতে বাকি নেই! ফলে, যা হওয়ার হল। তিনি সশরীরে সটান হানা দিলেন ভাইপোর দরবারে--"অবন, তোমার এতে আপত্তির মানে কী। দেশের লোক চায় কিছু করতে তোমার তো তাতে হাত নেই।" আর সবার কাছে হম্বিতম্বি করলেও কাকার কাছে সেটি করার জো নেই। কাকার কথার ওপর কথা কোনদিন বলেননি অবন। বুড়ো বয়সেও পারলেন না। বরং, বাধ্যবালকের মতো লজ্জিত হয়ে বললেন, "তা আদেশ যখন করেছ মালাচন্দন পরব, ফোঁটানাটা কাটব, তবে কোথাও যেতে পারব না কিন্তু।" বলেই তড়িঘড়ি প্রণাম করে খেয়ালি কাকার পাল্লা থেকে যেন পড়িমরি করে কেটে পড়ে বাঁচলেন। ভাইপোর সেই কাণ্ড দেখে রবীন্দ্রনাথও হেসে ফেললেন, "পাগলা বেগতিক দেখে পালালো।" পাগলামিই হোক বা খামখেয়ালি কাণ্ডকারখানা--কাকা-ভাইপোর কেউই কম যান না। সে এসরাজে সুর তোলাতেই হোক, স্বদেশিয়ানার হুজুগেই হোক, রাখী-বন্ধনেই হোক কিংবা শিল্প-সাহিত্য-নাটকচর্চাতেই হোক। সবেতেই কাকার দোসর ভাইপো।

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তখন নাটকচর্চার ধুম লেগেছে। দ্বিজেন্দ্রনাথ ও জ্যোতিরিন্দ্রের কাল পেরিয়ে নাট্যচর্চার রাশ ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ। আগেই গড়ে উঠেছিল 'ড্রামাটিক ক্লাব'। চেয়েচিন্তে তার জন্য ফান্ডও তৈরি হয়েছিল। তা, একদিন রবীন্দ্র-প্রস্তাবে সে ক্লাবের মৃত্যু হল, এবং অবনের প্রস্তাবে ফান্ডের টাকায় সেই ক্লাবের শ্রাদ্ধ হয়ে গেল। কাকা দিলেন নতুন সভাগঠনের প্রস্তাব, ভাইপো নাম দিলেন, "খামখেয়ালী সভা"। এ-ওর বাড়িতে ভোজসভা করাই ছিল মূলত এ-সভার কাজ। বলাবাহুল্য, সাহিত্যপাঠও হত। রবীন্দ্রনাথের 'বৈকুণ্ঠের খাতা'-নাটকটি এই সবারই ফসল। তা একদিন ঠিক হল, নাটকটি অভিনয় করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ নিলেন 'কেদার'-এর পার্ট, আর অবন হলেন 'তিনকড়ি'।

বলাবাহুল্য, নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে মাঝে মাঝেই রবীন্দ্রনাথ অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটিয়ে বসতেন। তার মধ্যে একটি বিশিষ্ট বিষয় ছিল, পার্ট ভুলে যাওয়া। নিজেরই লেখা নাটক, তবুও বিপত্তি যেন তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ফিরত। 'বৈকুণ্ঠের খাতা' অভিনয়ের সময় একবার তো মঞ্চে ঢুকে তিনি ভুলে একটা গোটা সিন বাদ দিয়ে ডায়লগ ধরে ফেললেন; অবন ভাগ্যিস ছিলেন স্টেজে, তিনি ফিসফিস করে সেটা ধরিয়ে দিতে নিজেই নাটকের লেখক কি না--তাই সামলে নিলেন। ব্যাপারটা সে-যাত্রা তেমন কেউ টের পেল না বলে লোকহাসাহাসির হাত থেকে রক্ষা পেলেন।

তবে আর এক মজার ঘটনা ঘটেছিল এই নাটকের অভিনয়েই। সেবার নাটক দেখতে এসেছিলেন স্বয়ং গিরিশ ঘোষ। নাটকে অবন ঠাকুরের চ্যাংড়া ছোঁড়ার রোল। রংদার পোশাক। বুকে পানের পিকের দাগ। হাতে সন্দেশের হাঁড়ি। খেতে খেতে ডায়লগ। কিম্ভুতকিমাকার বেশে চরিত্রে তিনি এমন জমে গেলেন যে, কাকার লেখা ডায়লগ তো বললেনই সেইসঙ্গে এনতার বাই-ডায়লগ দিতে শুরু করলেন। চরিত্রে ঢুকে গেলে যা হয় আর কী! এদিকে রবীন্দ্রনাথ তো মহামুশকিলে পড়লেন, কিছুতেই ধরাছাড়ার খেই খুঁজে পান না! অথচ ভাইপোকে থামানোও যায় না। সে যাত্রায় টরেটক্কায় ভাইপোকে টেক্কা দিয়ে বেরোতে রবীন্দ্রনাথকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। তবে, ব্যাপারটা এত স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছিল যে, অভিনয় জমে একেবারে ক্ষীর হয়ে গিয়েছিল। নাটক শেষে গিরিশ ঘোষ তো ঘোষণাই করে বসলেন : "এ-রকম অ্যাকটার সব যদি আমার হাতে পেতুম তবে আগুন ছিটিয়ে দিতে পারতুম।"

"শারদোৎসব"-নাটকের সময় অবন আর রিস্ক নিতে চাইলেন না। দু'জনেরই বেশ বয়স হয়েছে তখন। ডায়লগ মনে থাকছে না কিছুতেই। তাই অবন প্রস্তাব দিলেন যে, এবার দু'জন প্রম্পটারকে স্টেজে তোলা হবে। তারা ডায়লগ এনতার কানে দিয়ে যাবে--তাহলেই ডায়লগ ভুলবার আর জো থাকবে না। কিন্তু, দু'দুটো লোক নাটকের খাতা হাতে স্টেজে পিছন পিছন ঘুরে বেড়াবে শুধুমাত্র ডায়লগ ধরিয়ে দেওয়ার জন্য--এটা কি ভালো দেখাবে? শেষ পর্যন্ত লোকে না হাসাহাসি করে! অবন কাকাকে অভয় দিলেন। তারপর ভেবে ভেবে বের করলেন এক দৃষ্টিনন্দন উপায়। ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দুই প্রম্পটারের জন্য মোটা কালো ও নীল কাপড়ের আগাপাশতলামোড়া পোশাক তৈরি করালেন। শুধু চোখের আর মুখের ফোঁকরটুকু রাখলেন। ভেতরে লোকগুলো নাটকের খাতা নিয়ে যাতে পড়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা রাখলেন।

শুরু হল নাটক। স্টেজের দুপাশে কাকা ও ভাইপোর পেছন পেছন ঘুরে নীল-কালো কাপড়মোড়া দুই প্রম্পটার ফিস ফিস করে ডায়লগ ধরিয়ে যেতে লাগল। ফলে, ডায়লগ ভুল হল না, অভিনয়ে সমস্যা হল না, ডায়লগ ধরিয়ে দেওয়ার ফিকিরটিও কেউ বুঝল না; উপরন্তু দর্শক দেখল দুই ছায়ামূর্তি যেন দুটো চরিত্রকে যমদূতের মতো অনুসরণ করছে--এটা নাট্যপরিস্থিতির সঙ্গে এমন খাপ খেয়ে গিয়েছিল যে, নতুন এক ব্যঞ্জনা তৈরি করল।

এক শ্রাবণে জন্ম অবনীন্দ্রনাথের; আর এক শ্রাবণে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু। শুধু খামখেয়ালে নয় , শুধু সৃষ্টিশীলতায় নয়; শ্রাবণসূত্রেও এই দুই কৃতি দোসর...

তথ্যঋণ: ঘরোয়া- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রাণী চন্দ।

28/08/2025

‼️উপাসনা গৃহ ‼️

🚨 রেলওয়ে এখন একদম এয়ারপোর্ট স্টাইলে! 🚨বিশ্বাস করবেন? 😳 ট্রেনে চড়ার আগে এবার লাগেজ ওজন মেপে ঢুকতে হবে! ✈️➡️🚆👉 First AC...
28/08/2025

🚨 রেলওয়ে এখন একদম এয়ারপোর্ট স্টাইলে! 🚨

বিশ্বাস করবেন? 😳 ট্রেনে চড়ার আগে এবার লাগেজ ওজন মেপে ঢুকতে হবে! ✈️➡️🚆

👉 First AC – 70 কেজি
👉 AC 2-Tier – 50 কেজি
👉 AC 3-Tier / Sleeper – 40 কেজি
👉 General – 30–35 কেজি

ওজন বেশি হলেই জরিমানা বা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। Oversize ব্যাগ হলে পার্সেলেও পাঠাতে হতে পারে! 📦

📍 প্রথমে শুরু হচ্ছে উত্তর ও উত্তর-মধ্য রেলের বড় স্টেশনগুলোতে (প্রয়াগরাজ, ক্যানপুর, আলিগড়, মির্জাপুর ইত্যাদি)।
🎯 ২০২৬ সালের মধ্যে রেলস্টেশনগুলো পুরোপুরি এয়ারপোর্ট-মোডে: টিকিট হবে boarding pass, প্ল্যাটফর্মে ঢোকার জন্য visitor pass লাগবে!

🔥 এক কথায়—এখন থেকে ট্রেনে চড়া মানেই এয়ারপোর্টের মতো অভিজ্ঞতা!
আপনার কী মনে হচ্ছে—এটা যাত্রীদের জন্য ভালো পদক্ষেপ, নাকি বাড়তি ঝামেলা? 🤔👇

● কবিগুরুর শেষের দিনগুলো : ৭৭ বছর আগে এই দিনটিতেই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা যান। ক্যালেন্ডারের হিসাবে দিনটি ছিল ২২ শ্রা...
25/08/2025

● কবিগুরুর শেষের দিনগুলো :

৭৭ বছর আগে এই দিনটিতেই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা যান। ক্যালেন্ডারের হিসাবে দিনটি ছিল ২২ শ্রাবণ, ৭ আগস্ট। তাঁর অসুস্থতা প্রথম ধরা পড়ে ১৯৩৭ সালে যখন তিনি একবার কিডনির সমস্যায় ভোগেন। তার আগে পর্যন্ত তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন। ১৯৪০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। "শান্তিনিকেতন থেকে সে বছরের ১৯শে সেপ্টেম্বর পূত্রবধূ প্রতিমা দেবীর কাছে গিয়েছিলেন দার্জিলিং পাহাড়ের কালিম্পং-এ। সেখানেই ২৬ তারিখ রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি। দার্জিলিংয়ের সিভিল সার্জন বলেছিলেন তখনই অপারেশন না করলে কবিকে বাঁচানো যাবে না। প্রতিমা দেবী এবং মৈত্রেয়ী দেবী তখনই অপারেশন না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন," জানিয়েছেন বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগের অধ্যক্ষ ও সাহিত্যিক রামকুমার মুখোপাধ্যায়।
একটু সুস্থ হওয়ার পরে পাহাড় থেকে নামিয়ে কবিকে কলকাতায় আনা হয়। তারপরে তিনি ফিরে যান শান্তিনিকেতনে।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, "সেই ১৯১৬ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথের চিকিৎসা করছিলেন যে কিংবদন্তী ডাক্তার নীলরতন সরকার, তিনি কখনই কবির অপারেশন করানোর পক্ষে ছিলেন না। কবি নিজেও চাননি অস্ত্রোপচার করাতে। ডা. সরকার যখন স্ত্রী বিয়োগের পরে গিরিডিতে চলে গেছেন, সেই সময়ে আরেক বিখ্যাত চিকিৎসক বিধান চন্দ্র রায় শান্তিনিকেতনে গিয়ে অপারেশন করিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে দেন।"
"রাণী চন্দের 'গুরুদেব' বইটিতে উল্লেখ রয়েছে যে কবিকে বলা হয়েছিল ছোট্ট একটা অপারেশন; এটা করিয়ে নিলেই তাঁর আচ্ছন্নভাবটা ঠিক হয়ে যাবে, পরের দশ বছর আবার আগের মতোই লিখতে পারবেন। নীলরতন সরকারকে একবার জানানোও হয়নি এত বড় একটা সিদ্ধান্ত।"
"পেনিসিলিনবিহীন যুগে ওই অপারেশনের ফল যে খারাপ হওয়ারই সম্ভাবনা বেশী ছিল, সেটা একবারও বলা হয়নি কবি বা তাঁর পরিবারকে। ওইভাবে অপারেশন করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ভাল করে না বুঝিয়ে সম্মতি আদায় করাটা মেডিক্যাল এথিক্স বিরোধী," জানিয়েছেন চিকিৎসক শ্যামল চক্রবর্তী।
সারা জীবন চিকিৎসকের কাঁচি থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছেন, এবার বুঝি আর তা সম্ভব নয়। হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি চলছেই। কিন্তু কিছুতে কিছু হচ্ছে না। শান্তিনিকেতনে ছিলেন তখন। এরই মধ্যে অবনীন্দ্রনাথ বেশ কিছু গল্প লিখেছেন। সেগুলো পড়ে দারুণ আনন্দ পেলেন কবি। বললেন, আরও লিখতে। অবন ঠাকুর রানী চন্দকে গল্প বলে যান, রানী চন্দ সে গল্প শুনে লিখে ফেলেন। তারই কিছু আবার দেওয়া হলো রবীন্দ্রনাথকে। তিনি পড়লেন, হাসলেন এবং কাঁদলেন। রানী চন্দ এই প্রথম
এমন করে রবিঠাকুরের চোখ থেকে জল পড়তে দেখলেন। রানী চন্দ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রিয়ভাজন, শান্তিনিকেতনের শিক্ষার্থী ও চিত্রশিল্পী এবং রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সচিব অনিল চন্দের স্ত্রী।
রবীন্দ্র গবেষক রামকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই অসুস্থতার মধ্যেও কবির সৃষ্টি কিন্তু বন্ধ হয়নি। "এই সময়ে তাঁর সৃষ্টিশীলতা একটা অন্য মাত্রায় পৌঁছে যাচ্ছে। মৃত্যুটাকে মানুষ কীভাবে দেখে, সেই দর্শন প্রকাশ পাচ্ছে তাঁর 'রোগশয্যায়', 'আরোগ্য' এবং 'জন্মদিনে' এইসব রচনার মাধ্যমে। শেষ একবছরে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-ভাবনার আরও তথ্য পাওয়া যায় প্রতিমা দেবীর 'নির্বান' এবং নির্মল কুমারী মহলানবীশের '২২শে শ্রাবণ'-এ।"

চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের কথাই বললেন। রবীন্দ্রনাথের তাতে মত নেই। তিনি বললেন, ‘মানুষকে তো মরতেই হবে একদিন। একভাবে না একভাবে এই শরীরের শেষ হতে হবে তো, তা এমনি করেই হোক না শেষ। মিথ্যে এটাকে কাটাকুটি ছেঁড়াছেঁড়ি করার কি প্রয়োজন?’
কিন্তু যে যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন তিনি, তার উপশমের জন্য দেহে অস্ত্রোপচার করতেই হবে এই হলো চিকিৎসকদের মত। আর সেটা করতে হলে শান্তিনিকেতনকে বিদায় জানিয়ে চলে আসতে হবে কলকাতায়। তাই শেষবারের মতো শান্তিনিকেতন ছাড়লেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জন্মদিন পালিত হওয়ার কিছুদিন পরেই সাধের শান্তিনিকেতন থেকে শেষবারের মতো রওনা হন রবীন্দ্রনাথ। আধশোয়া অবস্থায় তাঁকে নামিয়ে আনা হয় বাসভবন থেকে। চারপাশে তাঁর প্রিয় আশ্রমিকেরা। ২৫ জুলাই বেলা তিনটা ১৫ মিনিটে রবীন্দ্রনাথ এলেন জোড়াসাঁকোর বাড়িতে।
জোড়াসাঁকোর যে বাড়িতে কবি ফিরে এলেন শেষবারের মতো, সেই বাড়িরই ভেতরের দিকে একটি ঘরে প্রায় ৮০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
খবরটা গোপন রাখায় স্টেশনে কিংবা বাড়িতে ভিড় ছিল না। পুরোনো বাড়ির দোতলায় ‘পাথরের ঘর’-এ তিনি উঠলেন। স্ট্রেচারে করে দোতলায় নিতে হলো তাঁকে। ২৬ জুলাই রবিঠাকুর ছিলেন প্রফুল্ল। ৮০ বছরের খুড়ো রবীন্দ্রনাথ আর ৭০ বছর বয়সী ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ অতীত দিনের নানা কথা স্মরণ করলেন। হাসলেন প্রাণখুলে।

২৭ জুলাই সকালে রবীন্দ্রনাথ মুখে মুখে বললেন একটি কবিতা, টুকে নিলেন রানী চন্দ। কবিতাটির প্রথম কয়েকটি পঙ্ক্তি হলো: ‘প্রথম দিনের সূর্য প্রশ্ন করেছিল সত্ত্বার নতুন আবির্ভাবে, কে তুমি, মেলে নি উত্তর।’
৩০ জুলাই ঠিক হয়েছিল তাঁর দেহে অস্ত্রোপচার হবে। কিন্তু সেটা তাঁকে জানতে দেওয়া হয়নি। তিনি ছেলে রথীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কবে অপারেশন হবে’। রথীন্দ্রনাথ বললেন, ‘কাল-পরশু’। আবার রানী চন্দকে ডাকলেন কবি, লিখতে বললেন: ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি/ বিচিত্র ছলনাজালে/ হে ছলনাময়ী।’ ডা. ললিত এলেন একটু পরে। বললেন, ‘আজকের দিনটা ভালো আছে। আজই সেরে ফেলি, কী বলেন?’ হকচকিয়ে গেলেন কবি। বললেন, ‘আজই!’ তারপর বললেন, ‘তা ভালো। এ রকম হঠাৎ হয়ে যাওয়াই ভালো।’
বেলা ১১টায় স্ট্রেচারে করে অপারেশন-টেবিলে আনা হলো কবিকে। লোকাল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অপারেশন করা হচ্ছে। ১১টা ২০ মিনিটের দিকে শেষ হলো অস্ত্রোপচার। ভারী আবহাওয়া উড়িয়ে দেওয়ার জন্য কবি রসিকতা করলেন, ‘খুব মজা, না?’
শরীরে যথেষ্ট যন্ত্রণা হয়েছিল অপারেশনের সময়। কিন্তু তা বুঝতে দেননি কবি। সেদিন ঘুমালেন।

পরদিন ৩১ জুলাই যন্ত্রণা বাড়ল। গায়ের তাপ বাড়ছে। নিঃসাড় হয়ে আছেন।
১ আগস্ট কথা বলছেন না কবি। অল্প অল্প জল আর ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে। চিকিৎসকেরা শঙ্কিত।
২ আগস্ট কিছু খেতে চাইলেন না, কিন্তু বললেন, ‘আহ! আমাকে জ্বালাসনে তোরা।’ তাতেই সবাই খুশি।
৩ আগস্টও শরীরের কোনো উন্নতি নেই।

৪ আগস্ট সকালে চার আউন্সের মতো কফি খেলেন। জ্বর বাড়ল।
"অপারেশনের পরে ধীরে ধীরে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, জ্ঞান নেই তাঁর। সকলেই যখন বুঝতে পারছে কী ঘটতে চলেছে, তখনই গিরিডি থেকে খবর দিয়ে আনানো হয় কবির সুহৃদ ও বিশিষ্ট চিকিৎসক নীলরতন সরকারকে। তিনি এসে নাড়ি দেখলেন, পরম মমতায় কপালে হাত বুলিয়ে দিলেন, তারপরে উঠে দাঁড়ালেন। হেঁটে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে ডা. সরকারের দু'চোখে ছিল জল," জানিয়েছেন গবেষক শ্যামল চক্রবর্তী।

৫ আগস্ট ডা. নীলরতন বিধান রায়কে নিয়ে এলেন। রাতে স্যালাইন দেওয়া হলো কবিকে। অক্সিজেন আনিয়ে রাখা হলো।

৬ আগস্ট বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড়। হিক্কা উঠছিল কবির। পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী ডাকছিলেন, ‘বাবা মশায়!’ একটু সাড়া দিলেন কবি। রাত ১২টার দিকে আরও অবনতি হলো কবির শরীরের।

৭ আগস্ট ছিল ২২ শ্রাবণ। "বেলা ন'টায় দেওয়া হল অক্সিজেন। শেষবারের মতো দেখে গেলেন বিধান রায় ও ললিত বন্দ্যোপাধ্যায়। কানের কাছে অবিরাম পড়া হচ্ছিল তাঁর জীবনের বীজমন্ত্র 'শান্তম, শিবম্, অদ্বৈত্যম'। খুলে দেওয়া হল অক্সিজেনের নল। ধীরে ধীরে কমে এল পায়ের উষ্ণতা, তারপরে একসময়ে থেমে গেল হৃদয়ের স্পন্দন। ঘড়িতে তখন বাজে ১২টা ১০ মিনিট,"।

জনারণ্যে পরিণত হয়েছে তখন ঠাকুরবাড়ি। কবিকে বেনারসি-জোড় পড়ানো হলো। কোঁচানো ধুতি, গরদের পাঞ্জাবি, চাদর, কপালে চন্দন, গলায় মালা দিয়ে সাজানো হলো। রানী চন্দ কবির বুকের ওপরে রাখা হাতে ধরিয়ে দিলেন পদ্মকোরক। কবি চললেন চিরবিদায়ের পথে।
সাহিত্যিক ও বিশ্বভারতীর গ্রন্থনবিভাগের অধ্যক্ষ রামকুমার মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলছিলেন কবি নিজে এই ভাবে নিজের শেষটা চাননি। "তাঁর ইচ্ছা ছিল কোনও জয়ধ্বনি ছাড়া সাধারণভাবে শান্তিনিকেতনে প্রকৃতির কোলেই তিনি যেন মিশে যেতে পারেন। তাঁর শেষ ইচ্ছাটা আর রাখা যায়নি।"
কবিগুরু হয়ত তাঁর নশ্বর দেহ ত্যাগ করেছেন, কিন্তু তিনি অমর। আমরা সেই কবির কথা বললাম, যিনি প্রকৃতি, প্রেম ও জগৎকে দেখার জন্য আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন। বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যের প্রতিটি বিভাগেই দেখি তাঁর শক্তিমান উপস্থিতি। প্রয়াণ দিবসে বিশ্বকবি, আপনার জন্য রইল আমাদের শ্রদ্ধা।

(কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি তে বিশ্বভারতীর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্রদের সাথে কবিগুরু। ১৯৩০ এর দশকের ছবি।)

24/08/2025
🌿আনন্দ সংবাদ 🚍 আনন্দ সংবাদ 🌿বোলপুর_শান্তিনিকেতন থেকে ডাইরেক্ট নগর, মোরগ্রাম, সাগরদিঘী বাস পরিষেবা সকাল দিকে, এবং বোলপুর ...
24/08/2025

🌿আনন্দ সংবাদ 🚍 আনন্দ সংবাদ 🌿

বোলপুর_শান্তিনিকেতন থেকে ডাইরেক্ট নগর, মোরগ্রাম, সাগরদিঘী বাস পরিষেবা সকাল দিকে, এবং বোলপুর থেকে বিকেল 5:40pm লাস্ট বাস পানাগর, দুর্গাপুর রেলস্টেশন ও সিটি সেন্টার যাওয়ার।।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানুনঃ-♦রবীন্দ্রনাথের বংশ= পীরালি ব্রাহ্মণ। ♦রবীন্দ্রনাথের শ্বশুর বাড়ি=খুলনায়...
24/08/2025

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানুনঃ-
♦রবীন্দ্রনাথের বংশ= পীরালি ব্রাহ্মণ।
♦রবীন্দ্রনাথের শ্বশুর বাড়ি=খুলনায়।
♦ছদ্মনাম=ভানুসিংহ ঠাকুর।
♦প্রাপ্ত উপাধি=বিশ্বকবি।
♦নাম বদল=ভবতারিণী কে মৃণালিনী দেবী।
♦প্রতিষ্ঠাতা= বিশ্বভারতী,,ব্রহ্মচর্যাশ্রম।
♦জনক= ছোট গল্প।
♦প্রাপ্ত পুরষ্কার= নোবেল (১৯১৩),ডি.লিট, নাইটহুড(১৯১৫)।
♦নোবেল চুরি=২০০৪ সাল।
♦নাইডহুড ত্যাগ=১৯১৯।
♦একমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ= বিশ্ব পরিচয়।
♦প্রথম কবিতা= হিন্দু মেলার উপহার।
♦প্রথম কাব্য= বনফুল[১৫ বছর বয়সে]
♦প্রথম নাটক= বাল্মীকি প্রতিভা(১৮৮১)।
♦প্রথম উপন্যাস= বৌ ঠাকুরাণীর হাট(১৮৮৩)।
♦প্রথম ছোটগল্প= ভিখারিনী(১৮৭৪)।
♦সর্বশেষ কাব্য= শেষকথা(১৯৪১)।
♦অসমাপ্ত উপন্যাস= করুণা।
♦শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম= গীতাঞ্জলি।
♦গীতাঞ্জলির ইংরেজী অনুবাদ= Songs offerings.
♦সার্থক গল্প= দেনা-পাওনা।
♦শ্রেষ্ঠ উপন্যাস= গোরা।
♦রোমান্টিক উপন্যাস= শেষের কবিতা।
♦মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস= চোখের বালি।
♦রাজনৈতিক উপন্যাস= গোরা,,ঘরে বাইরে।
♦ভ্রমণ কাহিনী= রাশিয়ার চিঠি,, জাপান যাত্রী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষটি এক্কেবারেই রাশভারী ব্যক্তি ছিলেন না। বরং বেশ রসিক মানুষ ছিলেন বলেই জানা যায়। যার প্রমাণ পাওয়া ...
19/08/2025

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষটি এক্কেবারেই রাশভারী ব্যক্তি ছিলেন না। বরং বেশ রসিক মানুষ ছিলেন বলেই জানা যায়। যার প্রমাণ পাওয়া যায় বেশকিছু ঘটনায়। জানা যায়, একবার রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজি একসঙ্গে খেতে বসেছিলেন। গান্ধীজি লুচি খেতে এক্কেবারেই ভালোবাসতেন না। তাই তাঁকে ওটসের পরিজ খেতে দেওয়া হয়। আর কবি খাচ্ছিল গরম গরম লুচি। এটা দেখে গান্ধীজি তাঁকে বলে বসলেন, 'গুরুদেব তুমি জানো না যে তুমি বিষ খাচ্ছো।' এর উত্তরে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, 'বিষ হবে তবে এর অ্যাকশন খুব ধীরে, আমি বিগত ষাট বছর যাবৎ এই বিষ খাচ্ছি।'

18/08/2025

"আমি দূর-দূরান্তে ভ্রমণ করে অনেক টাকা খরচ করেছি এবং উঁচু পাহাড় এবং সীমাহীন সমুদ্র দেখেছি, তবুও আমার বাড়ি থেকে কয়েক কদম দূরে ঘাসের এক ফোঁটার শিশিরবিন্দু দেখার সময় পাইনি।"

____ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

Address

Santiniketan
Bolpur
731204

Telephone

+913463262751

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন:

Share

SANTINIKETAN

At Santiniketan the environment is always present in one"s consciousness. It becomes a part of one"s being here, more than anywhere else, which is why it grows on you and having lived here once it is difficult to forget. The Santiniketan environment has changed, grown and evolved with its community.

Santiniketan is situated at an elevation of 200 feet above sea-level giving it a slight bulge in an otherwise flat landscape. The ground slopes gradually to 100 feet above sea-level near the Ajay river about 3 miles to the south and the Kopai stream some 2 miles to the north. The southern boundary of Santiniketan merges into a vast plain of rice fields. On its northern fringes were the khoai lands with deeply indented gullies caused by erosion over denuded land. The District Gazetteer of Birbhum records that in pre-British days, Birbhum had an extensive forest cover. Progressive denundation of forests played havoc with the porous laterite soil. During the hot months, fierce dust storms scattered the loose soil far and wide. During the rains heavy erosion took place as after every downpour water rushed through undulating land creating gullies and gorges in its relentless march.

In the middle of the 19th century, Maharshi Devendranath Tagore found solace and serenity in this barren land. He purchased the land and started the construction of a house rightaway. This house, named, Santiniketan, was built in the early 1860s; the name later came to denote the entire area. A beautiful garden was laid out on all sides of the house. The top-layer of gritty dry soil was removed and filled with rich soil brought from outside. Trees were planted for fruit and shade. Change in the environment had begun.