25/04/2020
#জরুরী_বিষয়
** অবশেষে রাজ্য সরকার ঘোষিত “ প্রচেষ্টা “ প্রকল্পের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করলো সরকার ।
***১০ই এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তি হিসাবে প্রকাশ হলেও, আজই আমাদের হাতে এসেছে ।
এই প্রকল্পটি ১৫ই এপ্রিল, ২০২০ থেকে ১৫ই মে, ২০২০ পর্যন্ত চালু থাকবে ।
★কারা এবং কিভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা অর্থাৎ এককালীন ১০০০ টাকা পেতে পারেন ?
১) যিনি পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা ।
২) যিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ।
৩) যিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোন প্রকার পেনশন প্রকল্প যেমন- বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা, অক্ষমতাভাতা ইত্যাদী এবং সামাজিক সুরক্ষা যোজনা ( SSY ) প্রকল্পের সুবিধা পান না ।
৪) পরিবারের মধ্যে একজন দরখাস্ত করতে পারবেন । ( পরিবার= স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানগণ ) ।
৫) জেলার ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শরাঞ্চলে এস. ডি. ও এবং গ্রামাঞ্চলে বি. ডি. ও , কলকাতা কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে কমিশনার যারা দরখাস্ত গ্রহণ করবেন, তারা পরীক্ষা ও যাচাই করবেন - দরখাস্তকারী বা দরখাস্তকারিনী করোনা মহামারীজনিত কারণে লকডাউনের ফলে প্রকৃতপক্ষে কাজ হারিয়েছেন কিনা, তার অন্য কোন আয়ের উৎস যদি না থাকে এবং আর্থিকভাবে চূড়ান্তভাবে পীড়িত কিনা ইত্যাদী ।
৬) উপরের সমস্ত বিষয়গুলি বিবেচনার পর তারা যদি মনে করেন - দরখাস্তকারী বা দরখাস্তকারিনী আর্থিকভাবে চূড়ান্তভাবে পীড়িত তাহলে, তার দরখাস্ত বিবেচিত হবে ।
৭) বিবেচিত দরখাস্তগুলি ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পেমেন্ট করবার জন্য রাজ্য সরকারের “ প্রচেষ্টা “ প্রকল্পের লিঙ্কে আপলোড করা হবে ।
8) সবশেষে নোডাল ডিপার্টমেন্ট হিসাবে শ্রমদপ্তর দরখাস্তকারীদের প্রদত্ত ব্যাঙ্কে ঐ অর্থ সরাসরি পাঠিয়ে দেবে ।
★দরখাস্ত কিভাবে করবেনঃ
১) আবেদনকারীকে ইংরাজী বা বাংলা যে কোন একটি ভাষায় নির্দিষ্ট ফর্মে দরখাস্ত করতে হবে ।
২) নাম, বাবার নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ, বয়স ঠিকভাবে পূরণ করতে হবে ।
৩) ভোটার কার্ডের নং, ডিজিটাল রেশন কার্ডের নং এবং আধার কার্ডের নং দিতে হবে ।
৪) ঠিকানা ঠিকভাবে পূরণ করতে হবে ।
৫) মোবাইল নং দিতে হবে ।
৬) ব্যাঙ্কের নাম, ব্রাঞ্চের নাম, Account নং এবং IFS কোড সতর্কতার সাথে ঠিকভাবে পূরণ করতে হবে ।
৭) দরখাস্তের সাথে ভোটার কার্ড, ডিজিটাল রেশন কার্ড, আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্কের ক্যান্সেল চেক বা ব্যাঙ্কের Account বই এর প্রথম পাতা যেখানে নাম, Account নং এবং IFS কোড ইত্যাদি আছে- এই চারটি ডকুমেন্টের জেরক্স কপি দিতে হবে |