
13/10/2023
রাত পেরোলেই মহালয়া। আরও একটা উৎসবের অফিশিয়াল শুরু। কিন্তু, এবারে, অন্তত কয়েকজনের কাছেই হয়ত কিছু বিষয়ের অভাব বোধ হয়ে থাকতে পারে।
শহরতলির কথাই বলছি, শহরতলির ডায়েরি, আমাদের পত্রিকা এবং সাথে পুজোর অনুষ্ঠান Anjumann
কয়েকজনই হয়ত মনে রেখেছেন, কয়েকজন হয়ত তাদের বুকশেলফে রাখা পুরোনো সংখ্যাগুলো একবার তাকিয়ে দেখে নিলেন এখন। বা কয়েকজন শহরতলির ইউটিউব ঘেঁটে বা নিজের মেমরি থেকে ঘুরে আসবেন অনুষ্ঠানের পুরোনো এপিসোডগুলোয়। আমরা এই এতদিন কোথায় ছিলাম? লেখা নেবো না এইবার? কি হল শহরতলির? বন্ধ হয়ে গেল?
এই প্রশ্নগুলো আমাদেরও তাড়া করে বেরিয়েছে। অনেক সময়, অনেক কথার ভীড়ে কোনো কথাই আর বলা হয়ে যেমন ওঠেনা; তেমন জনসমক্ষে বলাই হয়নি যে শহরতলির উৎসব সংখ্যা বা যেটাকে অনেকে পুজোসংখ্যা বলে জানেন, সেটা ২০২৩ এ প্রকাশ হচ্ছেনা। বিশ্বাস না করতে করতে পুজো চলে এসেছে কিন্তু Anjumann এবারে হচ্ছেনা, এইটা জানানো হয়নি।
কেন? অন্যান্য ছোটবড় ম্যাগাজিনের মত এটাও তলিয়ে গেল? কি কারণ? লবি? ক্যাঁচাল? ‘গ্রাম পতনের শব্দ’?
১০-১২ জনের টিমে এইসব ফালতু লোক দেখানো মশলাদার কোন্দলের জায়গা নেই; এইটা শুরু থেকেই ক্লিয়ার ছিলাম আমরা। এসব মাথাতেও আসেনি কারো। তাহলে?
আসলে, সবটা অনেকসময় যেমন ভাবা হয়, তেমনটা হয় না। আমরা টাইম~ নিয়েছি তাই। প্রত্যেকে টাইম নিয়েছি, প্রত্যেকে প্রতিদিন নিজেদের কাজ ব্যস্ততা থেকে দুমুঠো সময় সঞ্চয় করে ভেবে চলেছি, কীভাবে শহরতলিকে ফের ট্র্যাকে আনা যায়। কীভাবে টিম নিয়ে এগোনো যায় টিমকে বড় করা যায়। কিভাবে পাঠকের কাছে আরও সুন্দরভাবে, সুদৃঢ়ভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় আমাদের লেখক-শিল্পীদের চিন্তাকে।
আমাদের মনে হয়, প্রতিটি পুনর্জাগরণের জন্যে সময় দরকার, আর আমরা তো শ্রমিক মাত্র। যখন মার্কেটে আর কেউ ছিল না, শহরতলি যেভাবে একদিন অনলাইন পিডিএফ পত্রিকা হিসেবে শুরু করে এবং পরে পাঠকের দাবিতেই ছাপাখানায় যায়; তেমনই আরও এক বিনির্মাণ অপেক্ষা করছে শহরতলির জন্য।
তাই, আপাতত বিরতি চলছে। গল্পের পরবর্তী অংশ ব্রেকের পর।
উৎসবের শুভেচ্ছা জানাই
টিম শহরতলির ডায়েরি