03/11/2025
খোয়াইয়ে ফের তিন বাংলাদেশি আটক
খোয়াই শহর ফের সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ও মানব পাচার চক্রের অভিযোগে। স্থানীয় নাগরিকদের তৎপরতায় ফের তিন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় খোয়াই শহরের সুভাষপার্ক এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন তিন ব্যক্তি। এলাকার সচেতন নাগরিকরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কথাবার্তায় অসংগতি ধরা পড়ে। পরে জনগণই তাঁদের আটক করে সুভাষপার্ক আউটপোস্টে খবর দেয়।
ধৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের পরিচয়— শংকর (ঠাকুরধন) দাস (৩৫), রাতুল চন্দ্র দাস (১৯) এবং হৃদয় চক্রবর্তী (২৫)। তিনজনই বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার নিবাসী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকার করেন যে, শিলচর থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরার উদ্দেশ্যে স্থানীয় এক দালালের সহযোগিতা নিয়েছিলেন। তবে পুলিশের জেরায় তাঁদের বক্তব্যে একাধিক অসামঞ্জস্য দেখা দেয়, যা নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঘটনার সময় ট্রাফিক বিভাগের কর্মী সমীর বাবুকে ঘটনাস্থলে দেখা গেলেও, সংবাদমাধ্যম পৌঁছাতেই তিনি দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন বলে অভিযোগ। এতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ধৃত বাংলাদেশী নাগরিকরা জানায় যে তারা শিলচর থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশ নিজ বাড়ীর দিকে যাওয়ার জন্য স্থানীয় দালালের সহযোগিতা নিয়েছিল। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথোপকথনে অনেক অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। এমনকি বাগে পেয়েও একমাত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের অসহযোগিতায় দালাল চক্রকে জালে তোলা সম্ভব হয়নি এখনও। দালাল সৈকত দাস ফোন করে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবস্থান জানতে চাইছিলো। যদি তারা পুলিশকে সহযোগিতা করতো সৈকতের সাথে আরও একটু কথাবার্তা চালিয়ে যেত তাহলেই একটা বড়ো দালাল চক্র পুলিশের জালে উঠতো। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। অবাক করার বিষয় সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ধৃতরা নিজেদের বাংলাদেশী বলে দাবি করছে, কিন্তু তাদের কাছে বৈধ ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ যাবতীয় ভারতের প্রমাণাদি রয়েছে বলে পুলিশকে জানায়। ত্রিপুরা থেকে গোপাল সিং এর প্রতিবেদন।