15/09/2025
#স্কুলের #শৈক্ষিক পরিবেশ #লাটে ,ডিসির দৃষ্টি আকর্ষণ
#সাউথ #পয়েন্ট #হাই #স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব ট্রাষ্টের হাতে দেওয়া হোক ,
শিলচর,১৫ সেপ্টেম্বর: #সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব ট্রাষ্টের হাতে দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের ডিরেক্টর কৃষ্ণা দে ও ডেপুটি ডিরেক্টর মধুস্মিতা দেকে স্বপদে বহাল রেখে সুষ্ঠু ভাবে স্কুল পরিচালনা করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাছাড়ের জেলাশাসক সহ এবং শিক্ষা বিভাগের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।ডিরেক্টর কৃষ্ণা দে ও ডেপুটি ডিরেক্টর মধুস্মিতা দে দুজনই স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ডিরেক্টর কৃষ্ণা দে স্কুলের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বভার সামলেছেন। সোমবার শিলচর ন্যাশনাল হাইওয়ে এলাকায় এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একথা জানান সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের ডিরেক্টর কৃষ্ণা দে ও ডেপুটি ডিরেক্টর মধুস্মিতা দে, শিক্ষিক মালবিকা ভট্টাচার্য ও শিক্ষক অনুপম কান্তি চক্রবর্তী ।
এদিন তাঁরা জানান, বর্তমান কোনো ধরনের বৈধতা ছাড়াই সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের অধ্যক্ষ পদ পরিচালিত হচ্ছে। স্কুলের শৈক্ষিক পরিবেশ লাটে উঠেছে। স্কুল পরিচালনা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে। স্কুলের ৩০০ জন ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা লাটে উঠেছে। স্কুলে অস্থায়ী, স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থাপনার কারণে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিমজ্জিত হয়েছে। এই সংকট কেবলমাত্র বিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধ নয়, শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং সমাজের ভিত্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। উচ্চ আদালত ইতোমধ্যেই তাদের অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি বাতিলের প্রচেষ্টা খারিজ করেছে, তবুও এই অস্থায়ী ব্যবস্থাপনা অনৈতিক ও ক্ষতিকর পদ্ধতিতে বিদ্যালয় চালিয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা বিঘ্নিত করতে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এখনো দেওয়া হয়নি, ফলে ছাত্রছাত্রীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে এবং তাদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে।
শিক্ষার প্রতি অবহেলা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও নিয়মিত ক্লাস চলছে না। শিক্ষার্থীরা দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না, আর কেউ তাদের দায়িত্ব নিচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে । অবহেলিত ও হতাশ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুর করছে। আশ্চর্যের বিষয়, তাদের শিক্ষিত বা শাসন করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। পরীক্ষার আগে সাসপেনশন করা হচ্ছে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, যারা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মুখোমুখি, তাদের বিনা কারণে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বড় ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ছোটদের শারীরিকভাবে আঘাত করছে।
ডিরেক্টর কৃষ্ণা দে ও ডেপুটি ডিরেক্টর মধুস্মিতা দে আরো জানান,সুপ্রতিক দে, লিপিকা ধর , মধুছন্দা দে ও মৃদুল ধর আদালতে মিথ্যা বক্তব্য পেশ করে পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছেন। জমির সঙ্গে স্কুলের কোনো সম্পর্ক নেই। স্কুল পরিচালনায় ট্রাষ্ট রয়েছে। এছাড়া বর্তমান প্রশাসনের স্কুল পরিচালনায় অক্ষমতা প্রকাশ্যে এসেছে এবং স্কুলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।যা কেবল প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতাই নয় বরং তরুণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে। তাঁরা আরও জানান, স্কুলের শিশুদের ভবিষ্যত অনিশ্চিতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে । সাউথ পয়েন্ট স্কুল বিশৃঙ্খলার যুদ্ধক্ষেত্র নয়, শিক্ষার স্থান হওয়া উচিত। তাঁরা আরও জানান যে, সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে গত ২১ জুলাই কাছাড়ের জেলাশাসকের কাছে একটি স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। ওই পত্রে
স্কুলের শিক্ষাগত স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এসিএস-এর আদেশ অনুসারে ২০ জুলাই স্কুল প্রাঙ্গণে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে কয়েকজন অভিভাবক এবং জমির মালিকরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বৈঠকে শিক্ষক এবং বর্তমান স্কুল ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এছাড়া বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ পক্ষগুলিকে বাদ দেওয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভ্রান্তি, অসন্তোষ এবং স্বচ্ছতার অভাব দেখা দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বেশির ভাগ অভিভাবকরা, সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেন যে তাঁরা বর্তমান স্কুল ব্যবস্থাপনার সাথেই চলতে চান এবং যেকোনো পরিবর্তন বা কোনও বেসরকারি সত্তা বা তৃতীয় পক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরোধিতা করেন। তাঁরা জানান, গৌহাটি হাইকোর্টে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। জমির বিষয় ও স্কুল পরিচালনার বিষয়টি পৃথক ভাবে দেখার কথা বলা হয়েছে বলে জানান তাঁরা। এব্যাপারে শিলচরের জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্কুলের অস্থায়ী ব্যবস্থাপনার বেআইনি কার্যকলাপ এবং অবহেলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। পাশাপাশি স্কুলের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুরক্ষার আহ্বান জানান তারা। এব্যাপারে জেলাশাসক ও শিক্ষা বিভাগের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা।