15/07/2025
সরকারি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তপ্ত কৈলাসহর। উত্তপ্ত পরিবেশ সামাল দিতে গোটা কৈলাসহরে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে কৈলাসহরের প্রবীন ঠিকাদার তেরা মিঞা জানান যে, বিগত দেড় বছর পূর্বে জেলা হাসপাতালের পাশে আব্দুল মান্নান সম্পুর্ন অবৈধভাবে বিটুমিনাস প্ল্যান্ট গড়ে তোলেছিলেন। সেই বিটুমিনাস প্ল্যান্টটি সাম্প্রতিক কালে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেন। বিটুমিনাস প্ল্যান্টটি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে ঠিকাদার আব্দুল মান্নান জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভয় ভীতি দেখাতে থাকেন এবং এমনকি প্রাননাশের হুমকিও দিয়েছেন বলে জানান তেরা মিঞা। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা ভয়ে হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে বের হচ্ছেন না এবং চিকিৎসকরা নিয়মিতভাবে হাসপাতালে রোগী দেখতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান তেরা মিঞা। আব্দুল মান্নান কি কারনে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন সে ব্যাপারে কৈলাসহর মহকুমার ছোট বড় সমস্ত ঠিকাদাররা একত্রিত হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কৈলাসহরের হকার্স কর্নার এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার আব্দুল মান্নানের বাড়িতে গিয়ে আব্দুল মান্নানকে খোঁজেন। তাছাড়া ইদানীং কালে কৈলাসহরের বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ নিয়ে আব্দুল মান্নান তালবাহানা শুরু করছেন এবং কাউকে না জানিয়ে বিশেষকরে ঠিকাদার এসোসিয়েশনকে ঘুমে রেখে ক্রশ টেন্ডার করে শহর এলাকার ঠিকাদারদের ক্ষেপিয়ে তোলেছেন বলেও জানান তেরা মিঞা। আব্দুল মান্নানকে বাড়িতে না পেয়ে ঠিকাদাররা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে আব্দুল মান্নান বাড়িতে এসে ঠিকাদারদের উপর ধারালো দা লাঠি নিয়ে আক্রমণ করতে শুরু করেন। দুই পক্ষের মধ্যে ঠেলা ধাক্কায় আব্দুল মান্নানের পাশের বাড়ির এক মহিলা আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং অপরদিকে প্রবীণ ঠিকাদার তেরা মিঞা এবং উনার ছেলে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ঠিকাদার আব্দুল মান্নান নিজেও ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। জেলা হাসপাতালে দুই পক্ষের মানুষেরা চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় দুই পক্ষের অনুগামীরা মারামারিতে লিপ্ত হবার পর উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেলে প্রবীণ ঠিকাদার তেরা মিঞার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়াতে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তেরা মিঞাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করে দেন। তেরা মিঞা এবং উনার ছেলেকে আক্রমণ করেছেন আব্দুল মান্নান নিজেই বলে জানান তেরা মিঞা। তবে, বিকেল ৫টা অব্দি কৈলাসহর থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। এই ঘটনায় গোটা কৈলাসহর শহর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে, ঠিকাদার আব্দুল মান্নান এবং উনার ছেলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং আব্দুল মান্নানের পাশের বাড়ির ফারুক মিঞার স্ত্রীর মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার আব্দুল মান্নান। আব্দুল মান্নানকে কৈলাসহর থানার ওসির গাড়ি দিয়ে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে পাঠানোয় কৈলাসহরের ঠিকাদাররা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার আহবান জানিয়েছেন ঠিকাদাররা
বাইট- তেরা মিঞা।