24/08/2024
যে বাংলাদেশকে "স্বাধীন বাংলাদেশ " বানানোর পিছনে ভারতের এতো বিশাল অবদান, সেই বাংলাদেশ কেন আজ কট্টর ভারত বিদ্বেষী! না, আমি বাংলাদেশিদের বলিদান কে ছোট করে দেখছি না। বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে যে ত্যাগ, যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলো তা সত্যি অতুলনীয়। কিন্তু বর্তমানের ভারত বিদ্বেষী মনোভাবের পিছনে দুটি কারন ই বেশি কাজ করেছে। প্রথমত : কট্টর মোল্লা দ্বারা তরুণ মস্তিষ্কে "কুরআনের কিছু স্পেশাল আয়াত'এর বীজ বুনে দেওয়া"। আর দ্বিতীয়ত : আমেরিকা, isi ও চীন দ্বারা ফান্ডিং পাওয়া রাজনৈতিক দল ও দালাল social media ইনফ্লুয়েন্সর"।
Social media তে গাঁজাখোরের মতো বাংলাদেশিরা কিছু ব্যাপার নিয়ে কামড়া কামড়ি করেই যাচ্ছে। যেমন ধরেন - ইলিশ মাছ, বিদঘুটে নতুন বাংলাদেশের মানচিত্র, বাংলাদেশে ১০-২০ লক্ষ ভারতীয় চাকরিজীবী, dam এর গেট খুলে কৃত্তিম বন্যা ঘটানো ইত্যাদি। সবথেকে হাস্যকর হলো তারা 'চা বিক্রি করা মোদী'র সঙ্গে তাদের নোবেল পাওয়া ইউনুস'এর তুলনা করতে মানা করছে'। নিজেরাই তুলনা শুরু করে আবার তুলনা করতে মানাও করছে। এসব দেখে একটা দেশের কথা মনে পড়ে। পাকিস্তান। আর আজকের এই লেখ টির বিষয়বস্তু হলো "পাকিস্তানের দেখানো পথে অগ্রসর বাংলাদেশ"।
প্রথমে শুরু করি তাজা খবর দিয়ে। নোবেল বিজয়ী ইউনুস ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে ভিক্ষার থালা নিয়ে উপস্থিত হয়েগেছে। অনতিবিলম্বে তাদের ১বিলিয়ন us ডলার দরকার দেশ চালাতে। আবার বাংলাদেশ central ব্যাংক এর গভর্নর বলেছেন ১ বিলিয়ন নয়, বরং ৬.৫ বিলিয়ন দরকার এই ক্রাইসিস থেকে উঠে আসতে। অর্থাৎ দেশ চালানোর জন্য ভিক্ষার থালা নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘোরা শুরু করেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো।
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় স্তম্ভ হলো গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি।এই ইন্ডাস্ট্রির কাচা মাল ভারত থেকেই যায়। এরা তো ভারতের প্রোডাক্ট ব্যবহার করবে না। তাই এখনথেকে মাল আসবে চীন থেকে। আর চীন নিজের বাপ কেও লোনের জালে ফাঁসাতে ছাড়েনা। তাও ধরে নিলাম বাংলাদেশ চীনের ওরসজাত সন্তান। বেশি টাকা নেবে না। কিন্তু পরিবহন খরচ তো লাগবে, না কি? আর এবার এই গার্মেন্টস প্রোডাক্ট এর দাম বাড়লে বিশ্ব বাজারে কম্পিটিশন থেকে বেরিয়ে যেতে থাকবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে এখানে বেশিরভাগ কর্মচারী হলো মহিলা। জামায়েত ও হেফাজত যে ভাবে শরিয়া কানুন আনতে চলেছে তাতে করে নারীদের স্বাধীনতা শেষ হবে। সস্তা শ্রম শেষ হবে। মার্কেট থেকে ছিটকে পড়বে বাংলাদেশ।
আর এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস মালিকেরা তাদের কারখানা ভারতের বিহারে শিফট করার প্ল্যান কে বাস্তবায়ন করতে শুরু করে দিয়েছে। তারা জানে বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ ওতো সহজে আর ঠিক হবে না।বিনা গার্মেন্টস'এর বাংলাদেশ বিনা পয়সার ভিখারি পাকিস্তানের মতোই হবে।
এখন বলি বাংলাদেশের "রাজনৈতিক বন্যা " সম্পর্কে। বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই আবহাওয়া দফতরের বরাত দিয়ে হাসিনা বলেছিলেন এবারে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার এবং বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তথাকথিত স্বাধীনতা পাওয়ার পর বাংলাদেশিরা যে যার সুবিধা মতো হিন্দুদের হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, হিন্দু শিক্ষক বা কর্মকর্তাদের জোরকরে পদত্যাগ করানো ইত্যাদি করায় এতটাই ব্যাস্ত ছিল যে নিজেদের বড় একটা ভূ ভাগ বন্যায় তলিয়ে যাবে সে সম্পর্কে কোনো হুঁশ ছিলোনা। এমনও হতে পারে যে বন্যা হলে এটাকেও ভারতের কর্ম বলে চালিয়ে দিলে জনগণ ইউনুস সরকারকে দায়ী করবে না তার উপর আবারো anti india সেন্টিমেন্ট চালু হয়ে যাবে। হয়েছেও সেটা। কিন্তু বাংলাদেশের এতো বড় বড় ফেইসবুকীয়ান বুদ্ধিজীবীরা একটিবারও ভাবলো না যে এই বন্যা
ত্রিপুরা তেও কিভাবে হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে বাংলাদেশের একজন বড় প্রফেসর (বুয়েট ) আইনুন নিশাত স্বীকার করেছেন "এটা রাজনৈতিক বন্যা নয় "। তাই এটা বলাই যায়, নিজেদের গাফিলতির জন্য যখনি দেশে অরাজকতা ছড়ায় তখনই যেমন পাকিস্তানিরা বলে "এ ইহুদিও কা সাজিস হ্যায় ", এখন থেকে বাংলাদেশিরা বলবে "এর পিছনে ভারতের হাত "।
নিজেদের দোষ অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ফেসবুকে status দিয়ে কিছু like, share, comment- আলহামদুল্লিলা, সুবহানাল্লাহ, ইনশাআল্লাহ ইত্যাদি ও কিছু টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু তার ভবিষ্যত পরিনাম হলো পাকিস্তান, আফগানিস্তান। সৌদি আরব, UAE নয়।
তালিবান যখন power এ এসেছিলো, সবথেকে বেশি খুশি হয়েছিলো পাকিস্তান। আর এখন তালিবান ও TTP রোজ মন খুলে কুটাই করছে পাকিস্তানিদের। সেরকমই যখন হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালো তখন জামাত -BNP তো বটেই, সুশীল সমাজের একাংশ খুবই খুশি হয়েছিলো। এখন ধীরে ধীরে তাদের টনক নড়ছে। আগের পরিস্থিতি ছিল "সরকারের বিরুদ্ধে বেফাঁস কথা বললে পুলিশের ডান্ডার বাড়ি"। আর এখন হলো "মাথা ধড় থেকে আলাদা হওয়ার ভয়ে টু শব্দ না করা "। আর এই পরিস্থিতি তোমরাই চেয়েছো। কারন তোমাদের আদর্শ হলো পাকিস্তান।
গত কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশিরা যে পরিমান ইলিশ নিয়ে post করেছে তার ৪ভাগের ১ ভাগও যদি ইউনুস'এর নোবেল মেডেল নিয়ে করতো তাহলে আমেরিকা খুশি হয়ে মনেহয় আর একটি নোবেল দিয়ে দিতো। যায় হোক, কেউ তো আপনাদের কাছে ইলিশ চাইনি, তাও দেবোনা দেবোনা বলে ছেবলামো করেই যাচ্ছেন। আর এই রকম ছেবলামো করে পাকিস্তান। তারা বলে ভারতের সাথে আলোচনায় বসলে কাশ্মীর নিয়ে কথা বলবে। আরে আহম্যকের দল, তোদের সাথে আমরা আলোচনা করতেই চাই না, আলোচনার বিষয় টা তো পরের কথা!
একটা সময় ছিল যখন পাকিস্তান বলতো "দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের সাপ্লাই চেইন এর দরজা হলো পাকিস্তান "। পাকিস্তানকে বাইপাস করে ভারত কিভাবে বিশ্বের সাথে এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট করবে! সেই পাকিস্তানকে ভারত এমন বাইপাস করেছে যে এখন তারা একঘোরে হয়ে বসে আছে। রুটি খাওয়ার আটা ও নেই। ঠিক সেই পথে হাটছে বাংলাদেশ। তাও আবার সবকিছু জেনে শুনে।
পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশিরা নিজেদের দেশকে ধ্বংস করতে যা যা ইচ্ছা করুক, আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবো। কেউ যদি পাগল সেজে থাকে তার কি বা চিকিৎসা করবেন। কিন্তু পাগল সেজে যদি seven sisters এর দিকে কু নজরে তাকান তাহলে ভারত পাগল গুলোকে "কুকুর মারা ইনজেকশন " লাগিয়ে দিতে ২য় বার ভাববে না! জানেনই তো চীনা covid এর ভ্যাকসিন আমরাই দিয়েছিলাম বিশ্বকে।
যাইহোক, পাকিস্তান যেমন কিছু হলেই 'পোয়া পোয়া ' বা 'কিলো কিলো ' পারনবিক বোমার ভয় দেখায়। সেই ভাবে বাংলাদেশিরা পরমাণু বোম তো নেই তাই নোবেল নিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে "আমরা নোবেল জাতি। আমাদেরকে ভিক্ষা দাও। নইলে নোবেল ছুড়ে মারবো কিন্তু।"
বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম দেখে একটা প্রবাদ মনে পড়ছে ---
"রতনে রতন চেনে, অমুকে* চেনে কঁচু।"
সম্পূর্ণ লেখ টি পড়ার পরে আপনাদের মতামত comment করে জানাবেন। ভালো লাগলে plz page টি follow করবেন এবং বেশি বেশি share করবেন যাতে সেই পর্যন্ত পৌঁছে যায় যেখানে এই লেখ টির গন্তব্য......
🙏🙏🙏