প্রিয় NEKKU

প্রিয় NEKKU I am a video creator।।plz see my profile and help me to grow up।।।
(1)

পুরুষের জীবনে সবচেয়ে কঠিন যু*দ্ধটা চলে তার নিজের মগজের ভেতর। সংসার, দায়িত্ব, ভবিষ্যৎ, সমাজ—সবকিছুর হিসাব কষতে কষতে সে ভে...
26/08/2025

পুরুষের জীবনে সবচেয়ে কঠিন যু*দ্ধটা চলে তার নিজের মগজের ভেতর। সংসার, দায়িত্ব, ভবিষ্যৎ, সমাজ—সবকিছুর হিসাব কষতে কষতে সে ভেতরে ভেতরে ভে'ঙে যায়, কিন্তু বাইরের মানুষ তা টেরও পায় না। তার ক'ষ্টে'র কোনো প্রকাশ নেই, নেই কোনো আড়ম্বরপূর্ণ কান্না কিংবা অভিযোগ। কারণ সমাজ পুরুষকে চোখের জল দেখার অধিকার দেয় না।

সংবাদপত্রে আমরা নানা ঘটনার খবর পাই, কিন্তু একজন পুরুষ প্রতিদিন যে মানসিক লড়াই লড়ে, তার কোনো উল্লেখ থাকে না। সে হে'রে গেলেও তার পরাজয়ের কথা লিখে রাখে না কেউ। তাই পুরুষের যু*দ্ধটা থেকে যায় নীরব, অদৃশ্য অথচ ভয়ংকর বাস্তবতায় ভরা।

আসলে পুরুষের এই নীরব সংগ্রামকে বুঝতে পারাটাই আমাদের মানবিক দায়িত্ব। কারণ, প্রতিটি হাসি-খুশি মুখের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে এক অদৃশ্য যু*দ্ধের গল্প।

#প্রিয়nekku


পুরুষের সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা চলে তার নিজের মাথার ভেতরেই।এই লড়াই চোখে দেখা যায় না,কোনো খবরের কাগজেও ছাপা হয় না।দিনের পর দিন,...
21/08/2025

পুরুষের সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা চলে তার নিজের মাথার ভেতরেই।
এই লড়াই চোখে দেখা যায় না,
কোনো খবরের কাগজেও ছাপা হয় না।
দিনের পর দিন, নিজের চিন্তা আর দ্বন্দ্বের সাথেই সে যুদ্ধ করে।

ক্যারিয়ার তৈরী করতে ব্যর্থ। যোগ্য ছেলে হয়ে উঠতে পারার ক্ষেত্রে ব্যর্থ। নিজের শরীরিক আকার আকৃতিও ঠিক রাখতে পারোনি। প্রত...
21/08/2025

ক্যারিয়ার তৈরী করতে ব্যর্থ। যোগ্য ছেলে হয়ে উঠতে পারার ক্ষেত্রে ব্যর্থ। নিজের শরীরিক আকার আকৃতিও ঠিক রাখতে পারোনি। প্রতিটা ছোটখাটো বিষয় দুশ্চিন্তা করো। যাদের নিজের বলে ভাবতে, তারা একে একে সবাই ছেড়ে গেছে। কোথাও সেভাবে সম্মান, ভালোবাসা পাও না। যাকে ভালোবাসতে, সেও তোমাকে যোগ্য মনে করেনি। জীবনের সবকিছুর থেকেই প্রায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছো। কোথায় যাবে, কি করবে কিছুই স্পষ্ট নয়। তোমার মনে হচ্ছে যে বয়স হয়ে যাচ্ছে, আর সেভাবে কিছু করে ওঠা যাবে না। ঘরের ভেতর চুপচাপ পড়ে থাকাতেই কিছুটা শান্তি খুঁজে পাও।
ওপরের সবকটা বা কয়েকটা যদি তোমার সঙ্গে হয়ে থাকে, তাহলে নিজের সম্পর্কে একেবারেই ঠিক ভাবছো। তোমার দ্বারা কিছু হবার নয়। সম্ভবই না। কোনোভাবেই না।
কাট টু: আর নাহলে যদি পরিস্থিতি বদলাতে চাও, বসে বসে মার না খেয়ে, সবকিছু ছিনিয়ে নিতে শেখো। নিজের জীবনের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নাও। ঘাড় নীচু করে পরিশ্রম করো। একটা পথেই অন্ধের মতো টিকে থেকো না। কোনো কোনো পথে নিজের সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখতে পারো, সেই সমস্ত পথ আবিষ্কার করো। কষ্ট হবে, যন্ত্রণা হবে, একদম ভালো লাগবে না। কিন্তু মনে রেখো, জীবনে কড়া ওষুধ তোমায় খেতেই হবে। কেউ এসে তোমায় চামচে করে দুর্দান্ত একটা জীবন উপহার দিয়ে যাবে না। আজ অব্দি তুমি অনেককিছুই পারো নি মানে আজ পর্যন্ত পেরে যেতে যেটা লাগে, সেই অব্দি পৌঁছাতেই পারোনি তুমি। লজ্জা লাগে না নিজেকে এভাবে পড়ে পড়ে মার খেতে দেখে! বাইরেটা দেখো, দুনিয়া ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। তোমার থেকেও যারা দূর্বল ছিল কখনো, জাস্ট পরিশ্রমের জোরে তারাও নিজেদের জন্য একটা সম্মানজনক জায়গা তৈরী করে নিতে পেরেছে নিজেদের জন্য। আর তুমি বসে বসে হতাশা বিলাস করছো! গায়ে অস্বস্তি হয়না এই জীবনটা নিয়ে! মনে হয়না অনেক হলো এবার কিছু করতেই হবে!
নিজেকে দূর্বল ভেবে বসে থাকলে কেউ তোমার সাহায্যে উঠে আসবে না। নিজেকে ভাঙো। নতুন স্কিল শেখো। একটু একটু করে উন্নতি করো। ভালো লাগুক না লাগুক, অবিরাম লেগে থাকো। আর শোনো, যে বয়সেই থাকো না কেন, আজই যদি নিজেকে না বদলাতে শুরু করো, জীবনকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে না দেখতে শুরু করো, এই হতাশার উপলব্ধি যেটা আজ করছো না, আগামী দশ বছর পরেও করবে, আর সম্ভাবনা আছে পুরো জীবনই করবে।
তাই ওঠো। নিজেকে জেনুইন একটা ঝাঁকুনি দাও। দেখো, এতগুলো বছর ধরে কি মারাত্মক ক্ষতিটা তুমি নিজের সাথে করে এসেছো। এসব আর করা যাবে না। নিজের আত্মসম্মান, মর্যাদা, সাফল্য সবকিছু অর্জন করতে হবে এবার। সবকিছু। আর তুমি পারবেও। বিশ্বাস রাখো আর লেগে থাকো। কারণ তুমি না বদলালে, তোমার পরিস্থিতি কোনোদিন বদলাবে না। তোমার বর্তমান পরিস্থিতিটা তোমার এখনকার অবস্থা মাত্র, ভবিষ্যতের বাস্তবতা নয়, মানুষ চেষ্টা করলে সব হয়।
লেগে থাকো। জেদে থাকো।
゚ #বাস্তবগল্প

❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️আমাদের ছোটবেলায় বেশিরভাগ বাড়িতেই ছিল কেরোসিন স্টোভ আর কয়লার উনুন। ভোরবেলা বাবা কাজে বেরিয়ে...
19/08/2025

❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️

আমাদের ছোটবেলায় বেশিরভাগ বাড়িতেই ছিল কেরোসিন স্টোভ আর কয়লার উনুন। ভোরবেলা বাবা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার আগে মা স্টোভে বাবার জন্য চা, আমাদের জন্য হরলিকস বানাত৷ এরপর শুরু হত উনুন ধরানোর কাজ। কয়লা দিয়ে তারপর ঘুঁটে দিয়ে উনুন ধরানো হত। বর্ষাকালে ভেজা ঘুঁটে দিয়ে ধরাতে প্রাণান্তকর অবস্থা হত৷ তাও ঠিক সময়ে খেয়ে স্কুলে ছাতা মাথায় জল ঠেলে স্কুলে যাওয়ার আলাদাই মজা ছিল।

বর্ষায় বাড়ির সামনের মাঠে চলত খালি পায়ে, ইট দিয়ে গোলপোস্ট তৈরি করে ফুটবল খেলা। খেলা কম, এ ওকে পদাঘাত করে ফেলা, গায়ে উদোম কাদা লাগানোই মূল উদ্দেশ্য। ঝিঝি বৃষ্টি হচ্ছে, জলে কাদায় মাখামাখি মাঠে শামুকের খোল দিয়ে পা কেটে একাকার- তাও সমানে খেলা চলছে। বাড়ি এসে মায়ের সাদর অভ্যর্থনা পেতাম পিঠে গুদুম গুদুম শব্দে।

একবার প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছে। সম্ভবত শ্রাবণ মাসই হবে। দু তিন দিন ধরে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি। তার মাঝে পাশের বড় পুকুরের জল মাঠে ঢুকে গেছে। আর কয়েকশো সোনা ব্যাঙ পরিত্রাহী ডাকছে। মাঠ ভর্তি হলুদ হলুদ বড় সোনা ব্যাঙ৷ একসাথে অত ব্যাঙ কোনদিন দেখিনি। পাড়ার আশেপাশের ছেলেবুড়ো আরামসে ঝুড়ি চাপা দিয়ে বেশিরভাগ সোনা ব্যাঙ ধরে খাওয়ার জন্য নিয়ে গেল। খুব কষ্ট হয়েছিল। নিরীহ প্রাণীগুলির উপরেই যত অত্যাচার মানুষের৷ সাথে থাকত প্রচুর কাঁকড়া, সেগুলিও মানুষের কল্যাণে যেত। গেঁড়ি গুগলির তো অন্ত নেই। মাঠের ধারের কচুবন থেকে নীচুমাঠের বিন্দেকাকার মা কচুশাক, লতি নিয়ে গিয়ে আমাদের বাড়ি বাড়ি বিক্রি করত৷ আমাদের বাগানের পাশের পুকুরের কইমাছও পেতাম। আর বেশিরভাগ দিনই সন্ধ্যায় লাইট থাকত না। ল্যাম্প জ্বালিয়ে দুলে দুলে পড়া। মা শালিমার নারকেল তেলের কৌটো দিয়ে কুপি বানিয়ে সেটার আলোয় রাতের রান্না করত। সেদিন আর লাইট আসবে না বাবা বাড়ি ফিরে জানাত। পুরো ভিজে যাওয়া বাবা বাড়ি ফিরে কুয়োর জলে স্নান করে এসে আমাকে পাশে নিয়ে বসত। মুড়ি আর চপ দিয়ে সন্ধ্যার জলখাবার শেষ হত৷ রাত্রে ল্যাম্পের অল্প আলোতেই মাটিতে বাবু হয়ে বসে খাওয়া৷ রাত্রে শুয়ে পড়ে বাগানে ঝিঝির ডাক, ব্যাঙের আওয়াজের ঐকতান শুনতে শুনতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়তাম৷

নাহ, এখন সেই বর্ষা আসে না৷ এখন বর্ষা এমনিতেই কমে গেছে, একটাই ঋতু সারাবছর চলে গ্রীষ্ম। টানা দুই তিন দিনের বৃষ্টির কথা এখন ভাবাই যায় না। তাও আকাশ থেকে মাঝে মাঝে কিছু মণিমুক্তো ঝরে পড়ে। কিছু পুরাতন অম্ল-মধুর স্মৃতি মনে পড়ে। কত বন্ধু ছিল স্কুল জীবনে, খুব কমের সাথেই যোগাযোগ আছে এখন। সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত৷ আসলে আমাদের এই যুগে তো থেমে থাকার উপায় নেই।

❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️

(সংগৃহীত)❣️🌹❣️

“সব দোষ ছেলেদের ঘাড়ে চাপানোটা এখন ট্রেন্ড!” “ছেলেরাও গার্হস্থ্য হিংসার শিকার, মুখ খুললেই টক্সিক তকমা জোটে!”আজকাল সম্পর্...
01/08/2025

“সব দোষ ছেলেদের ঘাড়ে চাপানোটা এখন ট্রেন্ড!” “ছেলেরাও গার্হস্থ্য হিংসার শিকার, মুখ খুললেই টক্সিক তকমা জোটে!”

আজকাল সম্পর্ক খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। পুরুষদের উদাসীনতা যেমন দায়ী, তেমনি নারীরাও সব কিছু মেনে নেওয়ার যুগে নেই। বর্তমান সময়ে ছেলেদের প্রতি সমাজের যে ধারণা তৈরি হয়েছে, সেটি একপেশে, এবং অনেকটা অভিযোগের দায় চাপানোর মতো। তাঁর ভাষায়, “সব দোষ ছেলেদের ঘাড়ে চাপানোটা খুব সহজ হয়ে গেছে।

আজকাল মেয়েরা অনেক সাহসী, সচেতন— সেটাই উচিত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ছেলেরা সবসময়ই ভুল। ছেলেরাও আজ অনেক জায়গায় অসহায়তার মুখোমুখি হচ্ছে, সেটা কেউ দেখে না।” তিনি আরও বলেন, “একদিকে ছেলে তার মায়ের মতো বউ চায় না, যে ত্যাগ করে সংসার সামলাবে। আবার চায়, সেই বউ যেন সবার সঙ্গে মিশে থাকতে পারে। এই দুই বিপরীত চাওয়ার মধ্যে পড়েই ছেলেরা অনেক সময় সমস্যায় পড়ে।”

বন্ধুত্ব হলো মানুষের জীবনের এক অনন্য সৌন্দর্য, এক নিঃস্বার্থ সম্পর্কের নাম। রক্তের সম্পর্ক না হয়েও এই সম্পর্ক হৃদয়ের গভী...
30/07/2025

বন্ধুত্ব হলো মানুষের জীবনের এক অনন্য সৌন্দর্য, এক নিঃস্বার্থ সম্পর্কের নাম। রক্তের সম্পর্ক না হয়েও এই সম্পর্ক হৃদয়ের গভীর টানেই গড়ে ওঠে। একজন প্রকৃত বন্ধু মানে এমন একজন, যার পাশে দাঁড়ালে মনের ক'ষ্টগুলো হালকা হয়ে যায়, জীবনের পথচলাটা হয় সহজ, সুন্দর ও সাহসী।

বন্ধুত্ব শুধু একসাথে সময় কাটানোর নাম নয়, বরং এটি এমন একটি সম্পর্ক যেখানে আছে বিশ্বাস, সহানুভূতি, ভালোবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা। দুঃখে যে কাঁধ বাড়িয়ে দেয়, বিপদে যে হাত ধরে, আর সফলতায় যে খুশিতে উদ্বেল হয়ে পড়ে—সেই তো আসল বন্ধু।

এই ব্যস্ত, স্বার্থপরতার যুগে যেখানে মানুষ স্বার্থ ছাড়া এক পা এগোয় না, সেখানে একজন নিঃস্বার্থ বন্ধু পাওয়া মানে এক অমূল্য রত্নের সন্ধান পাওয়া। প্রকৃত বন্ধুত্ব কেবল সুখের নয়, বরং দুঃখ, ক'ষ্ট, লড়াই আর জীবনের চড়াই-উতরাইয়ে পরিপূর্ণ সমর্থন।

বয়স, ধর্ম, জাতি কিংবা অবস্থান—বন্ধুত্বের কোনো সীমারেখা নেই। স্কুলের বেঞ্চ থেকে শুরু করে জীবনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত বন্ধুত্ব মানুষকে সাহস, আশ্রয় ও আনন্দ দিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কৃত্রিম বন্ধুত্বের ভিড়ে আজ যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো– একজন সত্যিকারের বন্ধু, যে পাশে থাকবে সময়ের পরতে পরতে।

বন্ধুত্ব এমন এক আশীর্বাদ, যা টাকা দিয়ে কেনা যায় না, অথচ এর মূল্য অপরিসীম। জীবনের ঝড়ঝাপটায় পাশে দাঁড়ানো একজন সত্যিকারের বন্ধুই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে ওঠে। তাই বন্ধুকে কখনো অবহেলা নয়, বরং ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর সময় দিয়ে সম্পর্কটাকে আরও গভীর করে তুলুন। কারণ, জীবনের শেষ সময়ে আমরা যাদের কথা সবচেয়ে বেশি মনে করি—তারা হলো সেই মানুষগুলো, যাদেরকে আমরা বলেছিলাম, “তুমি আমার বন্ধু।”



#জীবন_চক্র

27/07/2025
🔥 আজকের ‘স্বাধীন নারী’—একটি সম্পর্কের মৃতুভয়ী ছায়া?সবাইকে ভালো লাগবে না, তবু বলতেই হয়।একটা সময় ছিল, মেয়েরা যখন সংসা...
27/07/2025

🔥 আজকের ‘স্বাধীন নারী’—একটি সম্পর্কের মৃতুভয়ী ছায়া?

সবাইকে ভালো লাগবে না, তবু বলতেই হয়।

একটা সময় ছিল, মেয়েরা যখন সংসারে আসত, তখন ঘর আলো করে তুলত। এখন তারা আসে স্লোগান আর ইগো নিয়ে—‘আমিও মানুষ’, ‘আমারও স্বপ্ন আছে’, ‘পার্সোনাল স্পেস চাই’।

আর এভাবেই শুরু হয় এক নিষ্প্রাণ সংসারের যাত্রা।

আজকের শিক্ষিত নারী কি সত্যিই সফল?

তার চাকরি আছে, নিজের গাড়ি আছে, ফ্ল্যাট আছে, কিন্তু নেই একটা ভালোবাসার সংসার, নেই এক মমতাময়ী ছোঁয়া, নেই এক গরম জল হাতে নিয়ে ক্লান্ত স্বামীর পাশে বসার সময়।

শুধু ডিগ্রি আর দম্ভ নিয়ে গড়ে উঠছে এক ‘প্রফেশনাল নারী’, যে অফিসে বসকে ইমপ্রেস করতে পারে, কিন্তু স্বামীর ব্যথা বুঝে পাশে দাঁড়াতে জানে না।

এই নারীবাদ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমাদের?

নারী এখন মিটিং রুমে দক্ষ, কিন্তু শিশুর কান্না শুনলে বিরক্ত হয়। সে হাই-হিল পরে পার্টিতে যায়, কিন্তু নিজের সন্তানকে পিঠে নিয়ে ঘুম পাড়াতে জানে না। সে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ‘সেল্ফ লাভ’ পোস্ট দেয়, কিন্তু ঘরের মানুষটাকে একটু আদর দিয়ে বলতে পারে না—"তুমি কেমন আছো?"

স্বামী এখন প্রেমিক নয়, বরং এক সহকর্মী বা প্রতিদ্বন্দ্বী।
সম্পর্কে আর কোমলতা নেই, আছে শর্ত আর যুক্তি।

সংসার এখন ‘টাইম ম্যানেজমেন্টে’র প্রজেক্ট।
ভালোবাসা এখন ‘ইমোশনাল লেবার’।
আর নারী? সে এখন আর ঘরের লক্ষ্মী নয়, বরং এক ‘স্মার্ট প্যাকেজিং’-এর ভেতরে অফিসিয়াল দায়িত্বে আবদ্ধ মানবদেহ।

এমনটা তো আমাদের সনাতন শিক্ষা শেখায়নি।

একটা সংসার বাঁচে যখন স্ত্রী হয় কোমল, সংযমী, স্নেহশীলা। স্ত্রী যদি ঘরে প্রেম, যত্ন, নারীত্ব নিয়ে আসে—তবে স্বামী হয় রাজার মতো। আর স্ত্রী যদি হয় প্রতিদ্বন্দ্বী, তবে সংসার হয় যুদ্ধক্ষেত্র।

আজকাল নারীর ‘স্বাধীনতা’ মানে— ✅ বিয়ে না করেও সুখী থাকা ✅ মাতৃত্ব ছাড়াও জীবন উপভোগ ✅ সম্পর্ক ছাড়াই নিজের শর্তে বাঁচা

কিন্তু বাস্তব বলছে— 🔻 মানসিক অসুস্থতা বাড়ছে 🔻 বিবাহবিচ্ছেদ আকাশ ছুঁয়েছে 🔻 বন্ধ্যাত্ব এখন নতুন ‘নর্মাল’ 🔻 সম্পর্ক শুধু শরীর কেন্দ্রিক, আত্মা অনুপস্থিত

এই তো আমাদের ‘উন্নত নারী’-র জীবন।

পশ্চিমারা এখন ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে—নারীকে ঘরে ফেরানোই আসল সমাধান।
কিন্তু আমরা? আমরা এখনো সেই ফাঁদে ঢুকছি, যেখানে নারী নিজের নারীসত্তা হারাচ্ছে—চাকরি, স্বাধীনতা আর ইগোর নামে।

তাই সময় থাকতে ভাবুন—
আপনার কন্যাকে কেবল ডিগ্রিধারী বানাবেন, নাকি একজন গৃহলক্ষ্মীও করবেন, যে ঘরে ঈশ্বরের ছায়া নিয়ে আসে?

নারী মানেই অফিস নয়। নারী মানে কোমলতা, সহমর্মিতা, আর একটা পরিপূর্ণ সংসার গড়ার দক্ষতা।

এই লেখা সবার মন জয় করবে না। কিন্তু যারা এখনো মনে একটু সত্যি ধারণ করেন—তারা নিশ্চয়ই বুঝবেন, আজকের নারীর মুক্তি কীভাবে ঘরেই সম্ভব।







"ভাই এ মাসের মাইনেটা দিতে একটু দেরি হবে, তোমার দাদা টাকাটা রাখতে দিয়েছিল কিন্তু একটা সোনার গয়না কিনতে গিয়ে টাকাটা খরচা...
24/07/2025

"ভাই এ মাসের মাইনেটা দিতে একটু দেরি হবে, তোমার দাদা টাকাটা রাখতে দিয়েছিল কিন্তু একটা সোনার গয়না কিনতে গিয়ে টাকাটা খরচা করে ফেলেছি। আবার চাইতে গেলে তোমার দাদা অশান্তি করবে। তাই পরে এক বন্ধুর থেকে নিয়ে দেবো তোমায়।"

আমি চুপচাপ ঢোক গিলে বললাম আচ্ছা বৌদি ঠিক আছে। খুব চেঁচিয়ে বলতে ইচ্ছে করছিল আপনার ওই টাকাটা না পেলে আমার মায়ের ওষুধ কেনাটা বন্ধ হয়ে যাবে, ছেলেটাকে কিনে খাওয়ানো দুধের দামটুকুও মেটাতে পারবো না। কিন্তু কিছু বলতে পারলাম না, বললে হয়তো ছাড়িয়ে দেবে আমায়, নতুন মাষ্টার রাখবে। তাদের কাছে এটুকু মানিয়ে নেওয়া হয়তো কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু ওইটুকু টাকার দিকে তাকিয়েই চলে আমার পুরো পরিবার, ওরা সেটা বোঝে না।

আমি ছোট্টু, আমার পরিচয় আমি একজন গরিব টিউশন মাষ্টার। হ্যাঁ আমি গরিবই বটে। কয়েক মাস হয়ে গেল মা প্রচন্ড অসুস্থ সুগারে আক্রান্ত তাই ওই মাইনেতে সংসার চালানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পড়ালে যে সবার থেকে মাইনে পাই এমনটা নয়। অনেক ছাত্রছাত্রীই আছে যারা নিয়মিত মাষ্টারমশাইয়ের বেতন দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না, এমনকি তাদের বাবা মায়েরাও হয়তো। মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না খারাপ লাগে, তাই ভাগ্যে জোটে অভাব‌।

ছোট বেলায় স্কুলে যখন জিজ্ঞাসা করতেন স্যার ম্যাডামরা -"বড় হয়ে কি হতে চাও?"

আমি বলতাম -"একজন শিক্ষক হতে চাই।"
আচ্ছা সেদিন কি আমি টিউশন টিচার হতে চেয়েছিলাম?
হয়তো না।

তারপর বড় হলাম অভাবের সাথে লড়াই করে। আমারও দুচোখ ভরা স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবো। এখন মাঝে মাঝে মনে হয় যারা টিউশনি পড়ায় তাদের কি কেউ আদৌ শিক্ষক ভাবে?

বাজারে গিয়ে চড়া জিনিসপত্রের দাম দেখে এক কেজি আলু নিয়ে সাইকেল চেপে বাড়ি ফিরছিলাম। পাড়ার মোড় থেকে আসার সময় শুনলাম জোর আলোচনা চলছে সেখানে।

"ছোট্টু মাষ্টারের কাছে যে কটা ছাত্রছাত্রী পড়তো একজনও ভালো রেজাল্ট করলো না! আমি তো আর ওনার কাছে আমার ছেলেকে পাঠাবো না।"

বাকিরাও দেখলাম বেশ সায় দিলো। দুঃখে অপমানে আমার চোখে জল চলে এলো। আচ্ছা আমি তো এতো চেষ্টা করেছি যাতে ছেলেমেয়েরা ভালো ফল করে। এতো পরিশ্রমের এই মূল্য?

ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে না বেশিরভাগেরই হাতে স্মার্টফোন। তারা ভীষণ ব্যস্ত ইন্টারনেটের জগতে। যারা স্কুলের শিক্ষক তাদের কাছে পড়া ছেলেমেয়ে ভালো রেজাল্ট করলো কি খারাপ কেউ সেটা বিচার তো কেউ করেননা। কিন্তু একজন টিউশন মাষ্টারের যোগ্যতা বিচার হয় ছাত্রছাত্রীদের ফলের হিসাবে। তবেই লোকজন সিদ্ধান্ত নেন তাদের ছেলেমেয়ে কে পড়ানোর যোগ্য কিনা ওই মাষ্টার।

একসময় আমি ছিলাম স্কুল কলেজের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে একজন। ফাস্ট ক্লাস পেয়ে মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর আর পড়া হয়নি। অভাবের সংসারে এতোদূর পড়িয়েই বাবা মা ভেবে বসেছিলেন যে ছেলে এবার আমাদের রোজগার করবে।

কিন্তু এই পড়াশোনাতে যে এ জগতে কিছু হয় না, সেটা বোঝেননি তারা। তারপর শুরু করি টিউশনি পড়ানো‌। ভেবেছিলাম টাকা জমিয়ে আবার পড়াশোনা করবো কিন্তু ভাবনাটা সত্যি হয়নি আর। টিউশনি পড়িয়ে আর নিজের পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম আমি।

। অসুস্থ মাকে নিয়ে আমার সংসার। মায়ের ওষুধ কেনার টাকা জোগাতেই আমার সব টাকা প্রায় শেষ হয়ে যেতো।

প্রথম দিকে যখন আমার কাছে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফলাফল করেছিল, তখন অনেকেই বলেছিল মাষ্টার ভালো পড়ায়‌। আর ছেলেমেয়েরা খারাপ ফল করলেই শুনতে হয়েছে মাষ্টার ঠিক মতো পড়ায়নি। অনেকে রাগের বশে বলেও গেছেন ছেলের রেজাল্টের এই ছিরি? মাস গেলে টাকাটা কি এমনি এমনি দিয়েছি? তখন মনে হয়েছে দায়িত্বটা কি আমার একার?

চরম অপমানিত হয়েও চুপ থেকেছি কিছু বললে হয়তো বলবে মাষ্টার অভিভাবকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসলে আমার সব কিছুই সহ্য করতে হতো কারণ আমি একজন গরিব টিউশন মাষ্টার।

। বছরের পর বছর টাকা দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করেছি, পরীক্ষা দিয়েছি কিন্তু চাকরি জোটেনি। কখনো লেখা পরীক্ষাতে পাশ করে আশার আলো দেখেছি কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় আমি কখনো মনোনীত হতে পারিনি, কারণ আমি যে গরীব। আমার কাছে যে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস টাকাটাই নেই।

মায়ের বয়স বেড়েছে মায়ের কথাতেই বিয়ে করলাম শ্রাবনীকে। ওকে আমি কিন্তু মিথ্যে স্বপ্ন দেখাইনি বলেছিলাম -"পারবে মানিয়ে নিতে এই অভাবের সংসারে?"

বিয়ের এক বছর পর ছোট্ট দুষ্টু সৌনক এলো আমাদের বাড়িতে। তাও যাহোক করে সংসার চলছিল কিন্তু এখন আমাদের দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। ছোট ছেলেটা যখন খিদেয় কাঁদে, ভালো খাবার ওর মুখে তুলে দিতে পারি না।

মাঝে মাঝে মনে হয় শেষ করে দিই নিজেকে। সবাই বলে হেরে গিয়ে নিজেকে শেষ না করে লড়াই করা উচিত। তাহলে আমিতো সেই ছোটবেলা থেকেই লড়াই করে বেঁচে আছি কি পেয়েছি বলো শুধু অভাব আর যন্ত্রণা ছাড়া? আমাদের কষ্ট যন্ত্রণা দুর্দশা বুঝবে কারা?

চাষের ক্ষতিতে চাষীর মৃত্যু বা ডিপ্রেশনে অভিনেতার আত্মহত্যাতে হাঁকডাক পড়ে যায় নিউজ চ্যানেলে চ্যানেলে। কিন্তু আমাদের কথা কারা ভাবে? আমাদের মৃত্যুর খবর ক'জন রাখে? কজন ভাবে যে আমরাও মানুষ আমাদের সংসার সন্তান আছে আমরাও যে একটু বাঁচতে চাই।

আপনাদের বাড়িতে যে ছেলেমেয়ে গুলো টিউশন পড়াতে আসে। আপনাদের দেওয়া পারিশ্রমিকে ওদের কারো সংসার চলে, কেউ একটার পর একটা চাকরির ফর্ম ফিলাপের জন্য টাকা জমায়। কেউ আশা করে থাকে একদিন ভালো রেষ্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার বা একটা নতুন জামা কেনার।

বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে টিউশনি পড়িয়ে নিজেদের লেখাপড়ার খরচ চালায় সংসার খরচ চালায় আমার আপনার দেওয়া মাইনেটুকুতে। তাই ওদের পারিশ্রমিকটুকু সঠিক সময়ে দেওয়া আপনাদের কর্তব্য। আপনারা চাইলেই পারেন ওই ছেলেমেয়ে গুলোর স্বপ্নভঙ্গ হওয়া থেকে আটকাতে, চাইলেই পারেন একটা পরিবারকে একটু ভালো রাখতে।
✍️ Chhottu সিংহ

তোমার টাকা নেই, সমাজে তোমার কোন সন্মান নেই। তোমাকে টাকার পিছনে ছুটতেই হবে। টাকা কেই ভালোবাসতে হবে। নইলে...নিজের পরিবার, ...
20/07/2025

তোমার টাকা নেই, সমাজে তোমার কোন সন্মান নেই। তোমাকে টাকার পিছনে ছুটতেই হবে। টাকা কেই ভালোবাসতে হবে। নইলে...

নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজন, ও বন্ধু মহলে তোমার কোন মূল্য নেই। যতই তুমি সুদর্শন হও না কেন? তোমার আসল সৌন্দর্য তোমার ইনকাম। যতই তুমি উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি গলায় ঝুলিয়ে রাখো। তোমার আসল ডিগ্রি তোমার রোজগার।

যতই তুমি মহান প্রেমিক হও, টাকা না থাকলে তোমার বেলা বোস অন্যের ঘরণী। যতই তুমি গন্ধহীন ফুল হও, তোমার পকেট ভর্তি থাকলে, অনেক ভ্রমর তোমার চারদিকে ঘুরবে।

তোমার টাকাই বলে দেবে তুমি কোন আত্মীয়র বাড়িতে নিমন্ত্রণ পাবে। তোমার টাকাই ঠিক কবরে, কোন বংশের কেমন সুন্দরী তোমার জীবন সঙ্গী। তোমার টাকাই ঠিক করবে, তোমার ছেলে মেয়ে কোথায় কতটা আদর পাবে।

মৃ*ত্যুর পরে তোমার উত্তরসূরি তোমাকে কতটা গালাগালি দেবে, সেটা নির্ভর করছে তোমার জমানো টাকার পরিমানের উপর। তুমি জন্মেছ টাকা রোজগারের জন্য। পরিবারের সবার সুখ ও হাসি কেনার জন্য, তাই তোমার টাকার প্রয়োজন, অনেক অনেক টাকা।

তোমার পরিশ্রম, তোমার ঘাম, তোমার রক্তর হিসাব কেউ রাখবে না। শুধু তোমার টাকার হিসেব রাখা হবে। তোমার আবেগ, তোমার ক্ষিদে, তোমার চাহিদা কেউ বুঝবে না। বুঝবে শুধুই তোমার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স।

টাকা থাকলে তুমি সবার নজরে মহা পুরুষ, আর না থাকলে কাপুরুষ। টাকা থাকলে তোমার সব কথাই বাণী। আর না থাকলে নর্দমার পানি।

তাই তোমাকে টাকা জোগাড় করতে হবে। কারণ তুমি পুরুষ। তুমি মানুষ নও তুমি শুধুই একটা র*ক্ত মাংসে গড়া টাকা উৎপাদনের মেশিন।
বুঝলে বন্ধু এটাই বাস্তবতা।
- সংগৃহীত
, , ,

Address

Tamluk

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রিয় NEKKU posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share