09/05/2025
ভাঙা শব্দের চিঠি পর্ব ২: '
চোখের কোণে জমে থাকা চিঠি
(তিথির দৃষ্টিকোণ থেকে)
রাতের এই নিঃসঙ্গতা-একটা সময় ছিল, যেটাকে অর্ণবের কণ্ঠস্বর ভরিয়ে রাখত।
এখন সব চুপ।
তিথি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।
চাঁদটাকে দেখে অকারণে মনে পড়ছে-অর্ণব কখনো চাঁদ পছন্দ করত না, বলত 'চাঁদ একা, তাই মানুষ
তার দিকে তাকায়।"
আর আজ তিথিও তাকিয়ে আছে একা।
তিথির হাতে এক টুকরো কাগজ।
তিনবার ভেঙে রাখা হয়েছে।
লিখতে বসেছিল বহুদিন আগে, কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনি।
তবু কিছুটা লেখা হয়েছিল-আজ আবার চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে।
"অর্ণব,
আমি জানি তুমি ভাবছো, আমি চলে যাচ্ছি।
কিন্তু আসলে আমি ভেঙে পড়েছি, আর সেটা তোমাকে দেখাতে চাইনি।
তুমি যেভাবে আমাকে ভালোবেসেছিলে, আমি তেমনভাবে তোমাকে ধরে রাখতে পারিনি।
তুমি ফুলের মতো দিতে চেয়েছিলে আশ্রয়, আর আমি প্রতিবার ছায়া হয়ে গেছি।
যদি ফিরে তাকাও একদিন, জেনো তোমার নিরব ভালোবাসার মাঝেই আমি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ
ছিলাম।
আমি চলে যাচ্ছি না... আমি নিজেকে তোমার জন্য হারিয়ে ফেলেছিলাম।'
চিঠিটা অসম্পূর্ণ, আর হয়তো এমনই থাকবে।
কারণ তিথি জানে, যাওয়া মানেই ফিরে না আসা উচিত।
অর্ণবের কাছ থেকে সে শিখেছে-ভালোবাসা মানে ছুঁয়ে থাকা নয়, কখনো কখনো ছেড়ে দেওয়াও
ভালোবাসা।
তবু, তিথির চোখের কোণে জল জমে।
ভাঙা চিঠিটা সে বুকের ডায়েরির মধ্যে রেখে দেয়।
না পাঠানো এই চিঠিই তার শেষ ছোঁয়া... অর্ণবের জন্য।
পার্ট 3 আসছে