05/06/2024
|| মাতাঠাকুরাণীর স্মৃতিচারণায় ষোড়শীপূজা(মায়ের আত্মকথা) ||............................................................
"দক্ষিণেশ্বরে মাস দেড়েক থাকবার পরেই ষোড়শীপূজা করলেন (১২৭৯,জ্যৈষ্ঠ)। আমি তখন ষোল বছরে পড়েছি। (সম্ভবত:ফলহারিণী কালীপূজার) রাত্রে প্রায় নটায় আমাকে তাঁর ঘরে আনালেন। পূজার সব জোগাড় ভাগ্নে করে দিয়েছে। আমাকে বসতে বললেন। আমি তাঁর চৌকির উওর পাশে (গঙ্গাজলের)জালার পানে মুখ করে (পশ্চিম মুখে)বসলুম। ঠাকুর পূর্বমুখ হয়ে পশ্চিমদিকের দরজার কাছে বসেছেন। দরজা সব বন্ধ। আমার ডান পাশে সব পূজার জিনিস।"
ভক্ত- পূজার সময় কি করলে?
মা- "আমি একটু পরেই বেহুঁশ হয়ে গেলুম। পূজার মধ্যে কি হয়েছে জানতে পারিনি।"
ভক্ত- "হুঁশ হতে তুমি কি করলে?"
মা-"আমি মনে মনে প্রণাম করলুম। পরে চলে এলুম।"
ভক্ত- "কালীপূজার রাত, এত লোক, কেউ এ পূজা টের পায়নি?"
মা- "দরজা যে বন্ধ! কালীবাড়িতে গানবাজনা, হৈ রৈ। সবাই তা নিয়ে ব্যস্ত। আর তাঁর সঙ্গে তাঁদের অন্য সম্পর্কই বা কি?-একমাত্র দর্শন-স্পর্শন,আর তো কিছু না।"
ভক্ত- "পুজার সময় আর কেউ ছিল?"
মা- "দীনু বলে একটি ছেলে, আমার ভাসুরপো হয়, মুকুন্দপুরের জ্ঞাতির ছেলে, ঠাকুরের কাছে থাকত। তিনি খুব ভালবাসতেন। সে সব ফুল বেলপাতা যোগাড় করে এনে দিতে লাগল। হৃদয় সব ঠিকঠাক করে দিলে। পূজার সময় আর কেউ ছিল না,একা তিনি ছিলেন। পূজার শেষাশেষি হৃদয় এসেছিল।"
আজও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ফলহারিণী কালীপূজার দিন ঠাকুরের ঘরে মায়ের পূজার সেই বেদী সাজানো হয়, ঠিক সেই স্থানে যেখানে ঠাকুর তাঁকে 'ষোড়শীপূজা' করেছিলেন। মা যে সদা জাগ্রত, তিনি নিত্য অবস্থিতা ভক্তের হৃদয়ে। এই মহাঘটনার কি সরল ব্যাখ্যা করেছেন মা আদ্যাশক্তি নিজ শ্রীমুখে তাঁর শরণাগত ভক্তের কাছে, এই তো আমাদের মা!!! (সাবর্ণ)
মায়ের নামে জয়ধ্বনি দিন....................
জয় মহামাঈ কী জয়!!!
জয় মা।
Repost