
10/08/2025
যারা বেরসিক স্বভাবের সঙ্গী পায়, তারা কখনো দাম্পত্য জীবনের সুখ উপভোগ করতে পারে না! একজন রসিক স্বভাবের মানুষ কখনোই তার সঙ্গীকে অকারণে কষ্ট দিতে পারে না। তারা আর যাই হোক, সঙ্গীর মূল্য বোঝে, গুরুত্ব বোঝে, সঙ্গীকে ভালোবাসে, সম্মান দেয়।
আত্মকেন্দ্রিক এবং বেরসিক স্বভাবের মানুষগুলো সঙ্গীর প্রতি নিতান্তই উদাসীন হয়! তারা সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করে না, সঙ্গীর চাওয়া-পাওয়ার কোনো মূল্য দেয় না। তার কাছে কেবল গুরুত্ব পায় নিজের ভালো লাগা।
পক্ষান্তরে একজন রসিক স্বভাবের মানুষ তার সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হয়। সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করে। একজন রসিক স্বভাবের মানুষ সঙ্গী হিসাবে যে পায়, সে কখনোই দাম্পত্য জীবনে অসুখী হয় না।
বেরসিক এবং আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষ শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় সঙ্গীকে চায়। দিনের পর দিন সঙ্গীকে মানসিক যন্ত্রণা দেয়া, সঙ্গীর সাথে দুর্ব্যবহার, সঙ্গীকে অবহেলা করাই তাদের স্বভাব!
দাম্পত্য জীবন মানেই শুধু নিজে সুখী হওয়া নয়। নয় কেবল নিজের চাহিদা মিটানো। দাম্পত্য জীবন কিংবা সংসার হলো সেই চুক্তি, যেখানে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের ভালো থাকার দায়িত্ব নেয়, পরস্পরের চাহিদা পূরণ করার দায়িত্ব নেয়।
সঙ্গীকে ভালোবাসতে কিংবা সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হতে যারা কৃপণতা করে, তাদের চাইতে স্বার্থপর মানুষ পৃথিবীতে আর হয় না। দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চাইলে সবার আগে সঙ্গীর সাথে আচরণ থাকতে হয় বন্ধুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হতে হয়, সঙ্গীকে ভালোবাসতে হয়। যারা দাম্পত্য জীবনকে শুধুমাত্র দায়বদ্ধতা কিংবা দায়িত্ববোধ হিসাবে দেখে, তাদের সাথে অন্তত সুখে–শান্তিতে সংসার করা যায় না! বেরসিক এবং আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষদের খুশি রাখতে হয়, নিজের সব আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে!