Priya Vlogs

Priya Vlogs যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায়, সেই প্রকৃত রূপবতী
— হুমায়ূন আহমেদ
❤️🧿🧿🧿❤️

যারা বেরসিক স্বভাবের সঙ্গী পায়, তারা কখনো দাম্পত্য জীবনের সুখ উপভোগ করতে পারে না! একজন রসিক স্বভাবের মানুষ কখনোই তার সঙ্...
10/08/2025

যারা বেরসিক স্বভাবের সঙ্গী পায়, তারা কখনো দাম্পত্য জীবনের সুখ উপভোগ করতে পারে না! একজন রসিক স্বভাবের মানুষ কখনোই তার সঙ্গীকে অকারণে কষ্ট দিতে পারে না। তারা আর যাই হোক, সঙ্গীর মূল্য বোঝে, গুরুত্ব বোঝে, সঙ্গীকে ভালোবাসে, সম্মান দেয়।

আত্মকেন্দ্রিক এবং বেরসিক স্বভাবের মানুষগুলো সঙ্গীর প্রতি নিতান্তই উদাসীন হয়! তারা সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করে না, সঙ্গীর চাওয়া-পাওয়ার কোনো মূল্য দেয় না। তার কাছে কেবল গুরুত্ব পায় নিজের ভালো লাগা।

পক্ষান্তরে একজন রসিক স্বভাবের মানুষ তার সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হয়। সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করে। একজন রসিক স্বভাবের মানুষ সঙ্গী হিসাবে যে পায়, সে কখনোই দাম্পত্য জীবনে অসুখী হয় না।

বেরসিক এবং আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষ শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় সঙ্গীকে চায়। দিনের পর দিন সঙ্গীকে মানসিক যন্ত্রণা দেয়া, সঙ্গীর সাথে দুর্ব্যবহার, সঙ্গীকে অবহেলা করাই তাদের স্বভাব!

দাম্পত্য জীবন মানেই শুধু নিজে সুখী হওয়া নয়। নয় কেবল নিজের চাহিদা মিটানো। দাম্পত্য জীবন কিংবা সংসার হলো সেই চুক্তি, যেখানে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের ভালো থাকার দায়িত্ব নেয়, পরস্পরের চাহিদা পূরণ করার দায়িত্ব নেয়।

সঙ্গীকে ভালোবাসতে কিংবা সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হতে যারা কৃপণতা করে, তাদের চাইতে স্বার্থপর মানুষ পৃথিবীতে আর হয় না। দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চাইলে সবার আগে সঙ্গীর সাথে আচরণ থাকতে হয় বন্ধুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হতে হয়, সঙ্গীকে ভালোবাসতে হয়। যারা দাম্পত্য জীবনকে শুধুমাত্র দায়বদ্ধতা কিংবা দায়িত্ববোধ হিসাবে দেখে, তাদের সাথে অন্তত সুখে–শান্তিতে সংসার করা যায় না! বেরসিক এবং আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষদের খুশি রাখতে হয়, নিজের সব আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে!

মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়! অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।সেদিন এক ধনকুব...
10/08/2025

মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়! অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।

সেদিন এক ধনকুবের মারা গেলেন। ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন। সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বলল, এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!

নিরেট সত্যটি হচ্ছে, অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে সুস্থ শরীর এবং দীর্ঘজীবন লাভ করা অনেক বেশি জরুরি।

তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা উচিত।

আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। যেমন:

* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

* আপনার সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্য। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না।

তাহলে করণীয় কী?

✓ অসুস্থ না হলেও সুযোগ থাকলে মেডিকেল চেকআপ করুন।

✓ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

✓ মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

✓ রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

✓ পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন। শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এর বিকল্প নেই।

✓ সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

✓ যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসঙ্গীর সাথে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও হাত ধরে হাঁটুন, রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যান। তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

✓ ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

✓ সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশকে এমনকি ভিনদেশে বেড়াতে নিয়ে যান।

✓ ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন। মনে রাখবেন, সকল ধনী লোক কিন্তু মানসিক শান্তিতে থাকে না।

✓ মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না।

✓ বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১বার গায়ে রোদ লাগান।

✓ মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে হাসবেন।

জীবন তো একটাই, তাই পরিপূর্ণভাবে বাঁচার চেষ্টা করুন।

রাত ৩টার সেই মুহূর্ত, যখন এক নতুন মা অর্ধেক ঘুম চোখে, ভালবাসা, ভয় আর ক্লান্তিতে ভরা হৃদয়ে নিজের শিশুকে খাওয়াচ্ছেন।তার শর...
09/08/2025

রাত ৩টার সেই মুহূর্ত, যখন এক নতুন মা অর্ধেক ঘুম চোখে, ভালবাসা, ভয় আর ক্লান্তিতে ভরা হৃদয়ে নিজের শিশুকে খাওয়াচ্ছেন।

তার শরীর ব্যথায় ভেঙে পড়ছে।
হরমোনগুলো ওলটপালট হয়ে আছে।
স্তনদুগ্ধে ব্যথা করছে।
টানা দু’ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগও মেলেনি দিনের পর দিন।
তবুও… তিনি থেমে যান না।

নিজে খেতে ভুলে যান, কিন্তু শিশুর একটাও ফিডিং কখনও ভুলেন না।
চুপিচুপি শাওয়ারে কাঁদেন, তারপর হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন যেন কেউ টের না পায়।
সব ঠিকঠাক করছেন জেনেও বারবার মনে হয়, “আমি কি ঠিক করছি?”

মাতৃত্বে কোনো ছুটি নেই।
আছে ফাটা স্তনবৃন্ত, এলোমেলো খোঁপা, শিশুর কান্না আর একরাশ অপরাধবোধ।
তবে তার সঙ্গে থাকে—
এক জোড়া ছোট্ট আঙুল তার হাত আঁকড়ে ধরা…
ঘুম জড়ানো এক নিষ্পাপ হাসি…
আর এমন এক ভালবাসা, যা সব ব্যথাকেই অদ্ভুতভাবে সার্থক করে তোলে।

প্রতিটি নতুন মাকে জানাই—
তুমি একা নও।
তুমি দুর্বল নও।
তুমি অসম্ভব রকম শক্তিশালী— এমন এক শক্তি, যা দুনিয়া সবসময় দেখে না। 💛❤️❤️

⚡একজন ধনী ব্যবসায়ী দামি গাড়িতে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। হঠাৎ চোখ পড়ে ফুটপাতের এক কোণে — ইটের ওপর মাথা রেখে গভীর ঘুমে আচ্ছন্...
09/08/2025

⚡একজন ধনী ব্যবসায়ী দামি গাড়িতে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। হঠাৎ চোখ পড়ে ফুটপাতের এক কোণে — ইটের ওপর মাথা রেখে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন এক ব্যক্তি। প্রচণ্ড রোদ, ধুলাবালি, গাড়ির আওয়াজ এতকিছুর মধ্যেও ঘুম কেমন করে আসে লোকটার?

জানালা নামিয়ে তিনি এগিয়ে গিয়ে ডাকলেন, "এই যে শুনছেন?"

ধড়মড় করে উঠে লোকটি বলে, "কি হয়েছে স্যার?"

- এই গরমে, এই জায়গায় ঘুমোচ্ছেন কেন? ঘর নেই তোমার?

লোকটি হেসে জবাব দেয়, "ঘর আছে স্যার, গ্রামে। ভোরে উঠে শহরে পেন বিক্রি করতে আসি, বিকেলে ফিরে যাই। ক্লান্ত ছিলাম, তাই একটু চোখ লেগে গিয়েছিল।

ব্যবসায়ী জানতে চান, "আজ কেমন বিক্রি হলো?"

- দেড়শো টাকা। সন্ধ্যায় আবার এক গ্যারাজে কাজ করি, কিছু টাকা আসে। দুইয়ে মিলে সংসার চলে যায় কোনমতে। মেয়েটা আমার কয়েকদিন ধরে অসুস্থ, জ্বর যাচ্ছে না!

ভদ্রলোক পকেট থেকে পাঁচশো টাকা বের করে বলেন, "এই নাও, মেয়ের জন্য কিছু ফল কিনে নিও।

লোকটি টাকা নিতে অস্বীকার করে বলে, "এমনি এমনি টাকা নেব কেন? আপনি বরং আমার কাছ থেকে একটা পেন কিনুন। এই পেনে খুব সুন্দর গন্ধ আছে।"

লোকটির আত্মসম্মানবোধ দেখে ব্যবসায়ী মুগ্ধ হন। একটু ভেবে বলেন, "তুমি সৎ মানুষ। আমি তোমাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে চাই। এমনি নয়, আমার হোলসেল কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় নিয়ে বিক্রি করো। যদি মন দিয়ে কাজ করো, তিন মাস পর তোমাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেব। তখন দোকান দিতে পারবে।"

লোকটি বিস্মিত হয়ে বলে, "আপনি তো আমাকে চেনেন না, তবুও আমাকে এত টাকা দেবেন?"

ভদ্রলোক হাসেন, "এই সামান্য টাকায় আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু তোমার জীবনে যদি এই সামান্য দিয়েই পরিবর্তন আসে, তবেই তো এর মূল্য!"

এরপর কয়েক বছর কেটে গেছে।

সেই পেনওয়ালা এখন সফল ব্যবসায়ী। শহরে তিনটি দোকান, ফ্ল্যাট, গাড়ি সবই আছে। একদিন হঠাৎ ডাক্তারের চেম্বারে দেখা হলো সেই উপকারী ভদ্রলোকের সঙ্গে।

— এই যে ভাই! তুমি এখানে ?

— স্যার, কিছু চেকআপ করতে এসেছি। ব্লাড সুগার, প্রেশার ধরেছে। ঘুম হয় না মোটেও।

ভদ্রলোক মুচকি হেসে বললেন, "সেদিন তো রাস্তায় দেড়শো টাকা নিয়েও নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলে! আজ এত কিছু নিয়েও ঘুম আসছে না?"

পেনওয়ালার চোখে ক্লান্তি, "সত্যি স্যার, আগে হারানোর ভয় ছিল না। এখন কোটিপতি হয়ে স্ট্যাটাস হারানোর ভয়। আগে এক বউ আর এক মেয়ে ছিল। এখন অনেক আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব। সবাইকে খুশি রাখতে হয়। আগে ডাল-ভাতে চলত, এখন বাসমতি চাল, মাছ, মাংস চাই। আগে ছোট জিনিসে খুশি হতো সবাই, এখন বড় বড় জিনিসেও খুশি হয় না। এত চাহিদা, এত চিন্তা, ঘুম আসে কীভাবে?

ভদ্রলোক শান্ত গলায় বললেন, "আমি তো এই সমস্যায় বহুদিন ভুগেছি। একদিন আমার এক শিক্ষক বললেন, "একজন সৎ, গরিব অথচ নিশ্চিন্ত মানুষকে সাহায্য করো, দেখবে শান্তি পাবে। ঘুম আসবে। সুস্থ থাকবে।"

পেনওয়ালার চোখে বিস্ময়, "তাহলে স্যার, সেই কারণেই আপনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন?"

ভদ্রলোক শুধু একটু হেসে চুপ করে রইলেন। আর পেনওয়ালা দ্রুত গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পড়ল, তার চোখ এখন শুধু ফুটপাতের দিকে।

কথার আঘাতে ভেঙে পড়লে, আপনি কখন গড়বেন নিজেকে?মানুষ আপনাকে কথায় আঘাত করবে—এটাই স্বাভাবিক।পরিবারে কেউ খোঁটা দেবে, বন্ধুরাও ...
09/08/2025

কথার আঘাতে ভেঙে পড়লে, আপনি কখন গড়বেন নিজেকে?

মানুষ আপনাকে কথায় আঘাত করবে—এটাই স্বাভাবিক।
পরিবারে কেউ খোঁটা দেবে, বন্ধুরাও কথা শুনাবে।
এই সবের পরও ধৈর্য ধরতে হবে।

শুনে খারাপ লাগবে, কষ্ট হবে—তবুও আপনাকে নিজেকে সামলে নিতে হবে।
কারণ, যে যত বেশি ধৈর্য ধরে, সে তত বেশি শক্ত হয়।

জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে যদি নিজেকে শক্ত করতে না পারেন, তাহলে কবে পারবেন?

পরিস্থিতি ভালো হোক বা খারাপ—নিজেকে শক্ত রাখতে শিখুন।
ধৈর্য না থাকলে আপনি কোনো লড়াই জিততে পারবেন না।

চলার পথে কাঁটা থাকবেই।
কিন্তু কাঁটা ছাড়া যদি রাস্তা পান, তাহলে সেটা আসলে কোনও "রাস্তা"ই না।

তাই যতই কষ্ট হোক, ভেঙে না পড়ে নিজেকে গড়ুন।
কারণ ধৈর্যই হবে আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।

এই পৃথিবীটা অনেক কঠিন। এখানে সহজ সরল মানুষের কোনো দাম নেই। যতদিন আপনি কারো বাজে ব্যবহারের বিপরীতে তার মুখের উপর উচিত জবা...
08/08/2025

এই পৃথিবীটা অনেক কঠিন। এখানে সহজ সরল মানুষের কোনো দাম নেই। যতদিন আপনি কারো বাজে ব্যবহারের বিপরীতে তার মুখের উপর উচিত জবাব দিতে না শিখবেন, ততদিন মানুষ আপনাকে অপমান করেই যাবে।

অতিরিক্ত ভালোমানুষী দেখাতে গেলেই বিপদ। সবাই আপনার ঘাড়ে কাঁঠাল ভেঙে খাবে। মুখের উপর উচিত জবাব দিলে লোকজন আপনাকে হয়তো খারাপ বলবে, কিন্তু কেউ আপনাকে ঠকাতে সাহস পাবে না।

Straight-forward এবং স্পষ্টবাদী হোন। কেউ আপনাকে Rude বলবে, কেউ আপনাকে Arrogant বলবে, কেউ বলবে বেয়াদব। বলুক! মাঝে মাঝে নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখতে একটু Rude, Arrogant, বেয়াদব হওয়া ভালো। দুনিয়ার সব কিছুর সাথে আপোষ চলে, কিন্তু নিজের আত্মসম্মানের সাথে আপোষ চলে না।

আপনার ভালোমানুষীর যোগ্য সবাই না। নরম মানুষকে সবাই পেয়ে বসে। যে যেমন ব্যবহারের যোগ্য তাকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিন, দিনশেষে আপনি ভালো থাকবেন।

----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
লেখা : সংগৃহীত
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿







ডিভোর্স থেকে সংসারে ফেরা: বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে, তাদের মধ্যে প্রায় কোনো কথাবার্তা ছিল না।দু’জনেই বলেছিলেন, এই সম্পর্ক ...
08/08/2025

ডিভোর্স থেকে সংসারে ফেরা:

বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে, তাদের মধ্যে প্রায় কোনো কথাবার্তা ছিল না।
দু’জনেই বলেছিলেন, এই সম্পর্ক আর বাঁচানো যাবে না।
ডিভোর্স ফাইল করা হয়ে গিয়েছিল, শুধু সই করাটাই বাকি।

শেষ চেষ্টা হিসেবে কাউন্সেলিং
তারা ভাবলেন, একবার শেষ চেষ্টা করে দেখি।
প্রথম কয়েকটা সেশনেও আবেগ ছিল অনেক, কান্না, রাগ, চুপচাপ থাকা।

ভুল বোঝাবুঝির মুখোমুখি হওয়া
কাউন্সেলিংয়ে তারা ধীরে ধীরে বুঝলেন। তাদের ভেতরের কথা কেউ কখনো পুরোপুরি শুনেনি।
তাদের ঝগড়ার পেছনে ছিল বহুদিনের জমে থাকা কষ্ট।

দোষারোপ নয়, বোঝার শুরু
তারা শিখলেন, তুমি দোষী বলার বদলে, নিজের অনুভূতি বোঝানো কতটা জরুরি।
ধীরে ধীরে তারা একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে শুরু করলেন।

তারা প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট সময় রাখলেন একে অপরের সঙ্গে কথা বলার জন্য।
তারা পুরনো দিনের ছবি দেখলেন, একসাথে রান্না করলেন, আবার নতুন করে চেনা শুরু করলেন।

শেষে তারা নিজেরাই বললেন, আমরা এখনো একে অপরকে ভালোবাসি, শুধু পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম।
ডিভোর্স ক্যানসেল করা হলো এবং সম্পর্ক শুরু হলো নতুন শর্তে, নতুন বোঝাপড়ায়।

আজ তারা বলেন...
কোনো সম্পর্কই পারফেক্ট না। কিন্তু ইচ্ছা আর চেষ্টায় অনেক কিছু ফিরে পাওয়া যায়।

07/08/2025
07/08/2025

Good night

স্ত্রী—এই শব্দটির ভেতর যেন লুকিয়ে থাকে এক অব্যক্ত দায়িত্ব, এক নিঃশব্দ সংগ্রাম।যাকে কেউ বলে না “প্রিয়তমা”, কেউ গর্ব করে ভ...
07/08/2025

স্ত্রী—এই শব্দটির ভেতর যেন লুকিয়ে থাকে এক অব্যক্ত দায়িত্ব, এক নিঃশব্দ সংগ্রাম।
যাকে কেউ বলে না “প্রিয়তমা”, কেউ গর্ব করে ভাবে না—“এই নারীই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ”।
তার প্রতিটি কাজ যেন স্বাভাবিক ধরে নেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়।
সে যতটা দেয়, ঠিক ততটাই চুপচাপ গ্রহণ করা হয়, কৃতজ্ঞতা ছাড়াই।

ছোটবেলায় আমরা শিখি, মা-ই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী।
তারপর মেয়ে এসে হৃদয় ভরে দেয় ভালোবাসায়।
বোন হয় নির্ভরতার প্রতীক।
কিন্তু যখন সেই মেয়েটাই হয়ে ওঠে একজন স্ত্রী,
তখন তার স্বীকৃতি যেন হারিয়ে যায় সমাজের নীরব নিয়মে।

স্ত্রী হয়ে ওঠে ঘরের ছায়া, খাবারের স্বাদ, সন্তানের দায়িত্ব।
তাকে কেউ আলাদা করে দেখে না।
তাকে দেওয়া হয় সংসারের সবচেয়ে জটিল দায়িত্বগুলো,
তবুও তার কাছে চাওয়া হয় অভিযোগহীন, নিঃশব্দ সহানুভূতি।

কেউ ভাবে না—
এই মেয়েটাও একদিন ছিল কারো আদরের সন্তান।
একটা ছোট আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হয়তো স্বপ্ন বুনতো।
সে একদিন নিজের পরিচয় ছেড়ে এসে
কারো নামের পাশে জুড়ে নেয় নতুন পরিচয়—“স্ত্রী”।

নতুন পরিবেশ, অচেনা মানুষ, নতুন নিয়মের ভেতর
সে নিজেকে প্রতিদিন একটু একটু করে গড়ে তোলে।
তার হাসি, রান্না, সাজগোজ—সবই হয় বিচারযোগ্য বিষয়।
ভুল করলে হয় “অযোগ্য”,
ভালো করলেও তার তুলনা হয় “মা”-এর সাথে।

স্বামী অসুস্থ হলে, এই “অযোগ্য” স্ত্রীই রাত জেগে পাশে বসে।
ক্লান্ত মুখ দেখে এক কাপ চা বাড়িয়ে দেয়।
অথচ তাতেও সে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে না,
কারণ সমাজের চোখে সে শুধু—“স্ত্রী”।

স্ত্রীকে ভালোবাসার কথা বলতে পুরুষেরা সংকোচ করে।
ভাবেন—যদি কেউ ভাবে “বউয়ের পায়ে মাথা নত করেছে”!
কিন্তু ভুলে যায়,
এই স্ত্রীই একদিন তার সবকিছু ছেড়ে এসে তাকে জীবন বানিয়েছে।

একদিন যদি কোনো পুরুষ বুক ফুলিয়ে বলতে পারে—
“আমার স্ত্রীর মতো প্রিয় কেউ নেই”
তবে সে মুহূর্তেই বদলে যাবে সমাজের মুখচ্ছবি।

ভালোবাসা চাই কেবল প্রেমে নয়,
স্বীকৃতিতেও।
যেন এক নারীর আত্মত্যাগ শুধুই দায়িত্ব না হয়ে,
হয় ভালোবাসার নিঃশর্ত গান।







আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উনি মেয়েকে বললেন, তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাব থেকে ১০ মিন...
07/08/2025

আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উনি মেয়েকে বললেন, তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাব থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে আসছি। উনি চার্চে ফিরে এলেন না। মেয়ের বিয়ে হয়ে গাড়িতে চড়ে হানিমুনে গেলেন। ৭ দিন পর মেয়ে ফিরে এসে মাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বাবা কোথায়? তখন মা বললেন, ওই যে গেছেন আর আসেননি। তখন মেয়ে নিজে ল্যাবে গিয়ে দেখলেন, বাবা গভীর চিন্তায় মগ্ন। বাবা, কি ব্যাপার! উনি বললেন, মা তুমি চার্চে যাও, আমি কাজটা ১০ মিনিটের মধ্যেই শেষ করে আসছি। এরকমই গভীর ছিল তাঁর ধ্যান, অধ্যাবসায়।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানি স্যার আলবার্ট আইনস্টাইনকে নিয়ে কিছু মজার গল্প। ১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল,"গবেষণার জন্য আপনার কী কী দরকার?" আইনস্টাইন বললেন,"একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ আর একটা পেনসিল। সঙ্গে দরকার বড় একটা ডাস্টবিন, যেখানে আমার সব ভুলে ভরা সব কাগজগুলো ফেলব।"

বেলজিয়ামের রানি আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ করেছেন। তাঁকে নিতে স্টেশনে হাজির হল গাড়ির বহর। কিন্তু স্টেশনে আইনস্টাইনকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। কিছুক্ষণ পর সাদাসিধে পোশাকে বেহালা বাজাতে বাজাতে রাজপ্রাসাদে হাজির হলেন আইনস্টাইন। রানি লজ্জিত হলেন। জানালেন যে, তাঁকে আনতে গাড়ি রেলস্টেশনে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ফিরে এসেছে। আইনস্টাইন বললেন,"আমি ইচ্ছে করেই গাড়ি বহরকে এড়িয়ে গেছি। পায়ে হেঁটে বেহালা বাজাতে বাজাতে এসেছি। যদি গাড়িতে আসতাম, তবে কি এভাবে বেহালা বাজাতে পারতাম? সাধারণ মানুষের মত শহরটাকে দেখতে পারতাম?" এমনই সহজ সরল আর সাধারণ ছিলেন তিনি।

তবে সবচেয়ে মজার গল্পটা হল, আইনস্টাইন আপেক্ষিকতা তত্ত্ব(The Theory of Relativity) আবিষ্কারের জন্য পৃথিবীতে সর্বাধিক পরিচিত। মজার ব্যাপার তিনি কিন্তু তাঁর এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরষ্কার পাননি। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে হাতে গোণা কয়েকজন মাত্র বিজ্ঞানী তাঁর এই তত্ত্বটি বুঝতে পারেন। আর তাই হয়ত রয়েল সুইডিশ একাডেমির জুরিবোর্ড আইন্সটাইনের তত্ত্বটির নিগূঢ় অর্থটি বুঝাতে পারেনি। তাই সে বছর নোবেল তাঁর কপালে না জুটলেও ১৯২১ সালে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া(Photo Electric Effect) ব্যাখ্যা করে, তিনি পেলেন পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ।

আমরা জীবনে কত টাকা জমাই, কত কিছু কিনি, কত ভবিষ্যতের চিন্তা করি—কিন্তু সত্যিটা খুব নির্মম!যে টাকা গুনে গুনে জমিয়েছিলাম নি...
07/08/2025

আমরা জীবনে কত টাকা জমাই, কত কিছু কিনি, কত ভবিষ্যতের চিন্তা করি—কিন্তু সত্যিটা খুব নির্মম!
যে টাকা গুনে গুনে জমিয়েছিলাম নিজের সুখের জন্য, সেগুলোর বেশির ভাগই থেকে যায় মৃত্যুর পর।

একজন ধনী লোক মারা গেলেন হঠাৎ। তার রেখে যাওয়া ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন তার স্ত্রী।
আর কিছুদিনের মধ্যেই সেই স্ত্রী বিয়ে করলেন স্বামীর ড্রাইভারকে।
নতুন বর ড্রাইভার মনে মনে বলল—
“সারা জীবন ভাবতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করছি, আজ বুঝলাম মালিক আমার জন্যই ধন জমিয়ে রেখে গেছেন!”

জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যটা এখানেই—ধন নয়, দরকার সুস্থ জীবন, দরকার ভালোবাসা, দরকার সময়।

আমরা বুঝি না—

▪ দামি ফোনে যত ফিচার, তার অর্ধেকও ব্যবহার করি না
▪ বিলাসবহুল গাড়ির ৭০% গতি ব্যবহার করি না
▪ বিশাল বাড়ির বেশিরভাগ ঘর খালি থাকে
▪ কাপড়ের আলমারির অর্ধেক জামা জীবনেও গায়ে দেই না
▪ আর জীবনের উপার্জনের বড় একটা অংশ খরচ করে অন্য কেউ, যাকে আমরা রেখে যাই… সে কি আদৌ আমাদের কথা মনে রাখে?

তাই এখনই ভাবুন, আপনি কার জন্য বাঁচছেন?

আপনার জীবনের জন্য এই ছোট ছোট জিনিসগুলো অনেক জরুরি:

✓ আপনি অসুস্থ না হলেও, নিজের শরীরকে অবহেলা করবেন না
✓ মনের ভিতরে জমে থাকা রাগ, দুঃখ, ক্ষমা করে দিন
✓ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আপনাকে ধ্বংস করে দেবে, সেটা আজই থামান
✓ একটা ভালোবাসার মানুষ থাকলে, সময় দিন তাকে—হাত ধরে হাঁটুন, দু’জনে চুপচাপ বসে থাকুন
✓ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, হাসুন, গল্প করুন
✓ অনেক ধনী না হলেও, তৃপ্ত থাকার অভ্যাস করুন
✓ বছরে অন্তত একবার প্রকৃতির কাছে যান—সূর্যোদয় দেখুন, বৃষ্টিতে ভিজুন, সমুদ্রের কাছে দাঁড়িয়ে ভাবুন
✓ আর হ্যাঁ, হাসুন… এমনভাবে হাসুন, যেন আপনি সত্যিই বেঁচে আছেন

জীবন একটাই।
এটা দৌড়ে শেষ করার জন্য নয়, ভালোবেসে বাঁচার জন্য।
যতটা পারেন—সত্যিকারের মানুষের মতো বাঁচুন।

Address

Tinsukia

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Priya Vlogs posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Priya Vlogs:

Share

Category