Priya Vlogs

Priya Vlogs যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায়, সেই প্রকৃত রূপবতী
— হুমায়ূন আহমেদ
❤️🧿🧿🧿❤️

মধ্যবয়স মানে কেবল বয়সের সংখ্যা নয়, এটা একান্ত ব্যক্তিগত এক যাত্রা—যেখানে নারী তার জীবনের অনেক কিছুই দেখে ফেলেছে, বুঝে ফে...
16/07/2025

মধ্যবয়স মানে কেবল বয়সের সংখ্যা নয়, এটা একান্ত ব্যক্তিগত এক যাত্রা—যেখানে নারী তার জীবনের অনেক কিছুই দেখে ফেলেছে, বুঝে ফেলেছে, আর অনেক কিছুই গভীরভাবে অনুভব করতে শিখেছে। বাইরে থেকে তাকে দেখে হয়তো মনে হবে সে শান্ত, স্থির, কিন্তু তার ভেতরে এক সমুদ্র ঢেউ খেলছে—কখনো নরম, কখনো জোরালো।

এই বয়সে এসে নারী আর কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় থাকে না। সে নিজের মতো করে বাঁচে, নিজের মতো করে ভালোবাসে। তার সৌন্দর্য এখন আর চেহারায় আটকে নেই, সেটা ছড়িয়ে থাকে তার চোখের চাহনিতে, কথার ভঙ্গিতে, হাঁটার ছন্দে। সে জানে, কীভাবে নিজের শরীরকে সম্মান করতে হয়, কীভাবে নিজের মনকে আগলে রাখতে হয়।

তরুণ বয়সের ভালোবাসা হয় ঝড়ের মতো—আবেগের তুফান, না বুঝে ছুটে চলা। কিন্তু মধ্যবয়সে ভালোবাসা হয় অনেক বেশি স্পষ্ট, অনেক বেশি সচেতন। সে জানে, কার ছোঁয়ায় সত্যিকারের প্রশান্তি আসে, আর কার সঙ্গে সময় কাটানো মানে আত্মার ক্লান্তি।

তার কামনা এখন আর শুধু দেহের খিদে নয়—তা আত্মার তৃষ্ণা। সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার চোখে সে নিজেকে নিরাপদ ভাবে, যার স্পর্শে ভালোবাসার ভাষা থাকে, কোনো লোভ নয়, কোনো শর্ত নয়। সে এমন একজনকে চায়, যে তার সঙ্গে হাঁটে, না যে টেনে ধরে বা দূরে ঠেলে দেয়।

এই বয়সের নারী যখন ভালোবাসে, তা হয় নিরব শব্দের মতো গভীর, আর যখন সে দূরে সরে যায়, তাতেও থাকে একধরনের সম্মান—কোনো চিৎকার, কোনো তিক্ততা নয়। সে জানে, ভালোবাসা মানেই সবসময় ধরে রাখা নয়, মাঝে মাঝে ছেড়ে দেওয়াও এক রকম ভালোবাসা।

সে কাউকে নিজের জীবনে টানতে গেলে তার ভেতরটা আগে পড়ে নেয়। সে জানে, বাহ্যিক সৌন্দর্য কেমন সহজে ফুরিয়ে যায়, আর মানসিক সংযোগ কেমন গভীরে গেঁথে থাকে। সে নিজেকে আর ছোট করে না, আর কারো জন্য বদলাতে চায় না—বরং যাকে পায়, তার সঙ্গে নিজের আসল রূপেই থাকতে চায়।

সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃস্পৃহ, তার দিন ফুরিয়েছে। কিন্তু তারা জানে না, এই বয়সেই একজন নারী সবচেয়ে বেশি জীবন্ত হয়, সবচেয়ে বেশি সত্য হয়। তার চোখে থাকে না বলা গল্প, তার হাতে থাকে শক্তি, আর তার বুক জুড়ে থাকে ভালোবাসার উষ্ণতা।

সে আজ আর নিজের ইচ্ছের জন্য কাউকে জিজ্ঞেস করে না। সে নিজের সবটুকু বুঝে নিয়েছে, জেনে নিয়েছে কার জন্য দরজা খুলে দিতে হয় আর কার জন্য দরজা বন্ধ রাখাই ভালো।

মধ্যবয়স আসলে এক নতুন ভোর—যেখানে আলোটা হয়তো নরম, কিন্তু ঠিক ঠিকভাবে আলো ছড়ায়। এক নদীর মতো, যে জানে কখন শান্ত থাকতে হয়, কখন ছলাৎ ছলাৎ করে নিজের ভাষায় কথা বলতে হয়।







ও সোমা দি কী ব্যাপার একসঙ্গে দুটো মাইক্রোওভেন নিয়ে নিলে যে ফ্রিতে পেলে নাকি? নাগো মনিদি, একটা আমার জন্য আর একটা ছেলের ব...
14/07/2025

ও সোমা দি কী ব্যাপার
একসঙ্গে দুটো মাইক্রোওভেন
নিয়ে নিলে যে
ফ্রিতে পেলে নাকি?
নাগো মনিদি, একটা আমার জন্য আর একটা ছেলের বউ জন্য। বা..বা.. ছেলের বউ তো এখনো আসেনি
ছেলের বউ আসতে এখনো কয়েক মাস বাকি ,
আজ থেকে তুমি হাড়ি আলাদা করার ব্যবস্থা করছো।
হ্যাঁগো করছি কারন আমি চাই ওরা বিয়ের পর আলাদা থাকুক আলাদা থেকে ওরা নিজেদের মতন করে সময় কাটা।
আমি চাইনা প্রথম থেকে আমাদের সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা আসুক ।
আসলে কি জানো
শাশুড়ি মা কখনো মা হয় না।
আমরা যতই মনে করি
শাশুড়ি মা
মা হয় কিন্তু আসলে তা হয় না।
তখন মনিদি বলতে লাগলো
কেন?
আমার মা কি তোমাকে ভালোবাসে না?
আমার মাও তো তোমাকে খুব ভালবাসে
মায়ের মত করে।
আসলে মনিদি হল সোমার ননদ।
এরপর সোমা বলল
এই যে তুমি বললে মায়ের মত
মা নয়।
দেখো আমি তোমাকে কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝাচ্ছি
তোমার যখন প্রথম প্রথম বিয়ে হল
মা বলল তুমি নাকি বাচ্চা মেয়ে
বাড়ির সব কাজ করতে পারবে না
তাই বাড়িতে একটা কাজের লোক অবশ্যই রাখতে হবে।
কিন্তু আমার বেলা কোন কাজের লোক ছিল না
উপরন্তু কোনো কাজে ভুল করলে আমার মা-বাবা কেমন শিক্ষা দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন আসতো।
তুমি যখন বিয়ের পর প্রথম ভাত রান্না করতে গিয়ে ভাত পুড়িয়ে ফেলেছিলে তখন মা বলেছিল তুমি নাকি ছেলে মানুষ।
কিন্তু আমার বেলায় একদিন তরকারিতে নুন বেশি হয়ে গেছিল বলেই মা আমাকে অলক্ষী বলেছিলেন।
একবার পূজোতে শাশুড়ি মায়ের থেকে যখন মায়ের জন্য একটা দামি শাড়ি কিনেছিলাম
তাই শুনে শাশুড়ি মা খুব রাগ করেছিল,
কিন্তু আমার মাকে যখন আমি দামি শাড়িটা দিতে গেছিলাম
মা তখন বলেছিল
কেন এত বেশি বেশি টাকা খরচ করছিস?
আমার দামি শাড়ি চাইনা,
আমি দামি শাড়ি সামলাতে পারি না
আমাকে একটা ছাপা শাড়ি কিনে দে।
কিন্তু তুমি তোমার মায়ের জন্য সবথেক দামি শাড়িটাই কিনতে
তখন দেখতাম কোন প্রতিবাদ হত না। সব ঠিকই থাকতো।
তোমার বিট্টু হওয়ার সময় তুমি আমাদের এখানে ছমাস কাটিয়ে গেলে।
কিন্তু আমার বেলা আমাকে আমার বাবার বাড়ি
যেতে দেওয়া হয়নি ।
আরো অনেক কথা আছে সেগুলো নাইবা বললাম....

এর পরে বলো
শাশুড়ি মা আর নিজের মা কি করে এক হয়?
সোমার মুখে এমন কথা শুনে
মনিদির খুব একটা ভালো লাগলো না
তা মনিদির মুখ দেখেই বোঝা গেল।
এরপর সোমা বলল
আমি ওর মা হতে চাই না ,
আমি ওর শাশুড়ি মা হয়ে সারা জীবন ভালোবাসা দেবো।
কেন শাশুড়ি হয়ে কি বৌমাকে ভালোবাসা দেওয়া যায় না?
সব সময় মা হতে হবে।
আমি ওর মা কি করে হব?
ওর মা যত কষ্ট করেছে এত কষ্ট হয়তো আমি
কোনদিন করতে পারব না।
তাই আমি ওর মা হতে চাই না
ওর শাশুড়িমা হয়ে ওকে আমার সর্ব শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবো।

আসলে শাশুড়ি মারা প্রথম থেকেই শিক্ষক হয়ে বৌমাকে সব কাজ না শিখিয়ে বন্ধুর মতো হয়ে যদি শেখায়
তাহলে মনে হয় সম্পর্কে কখনো তিক্ততা আসেনা...

একজন নারী কীভাবে ‘স্ট্রং’ হয়ে ওঠেন?চোখে চোখ রেখে কথা বললে?কোনো কিছুতে ভয় না পেলে?নাকি কারো উপর ভরসা না করে নিজেই সব সামল...
14/07/2025

একজন নারী কীভাবে ‘স্ট্রং’ হয়ে ওঠেন?

চোখে চোখ রেখে কথা বললে?
কোনো কিছুতে ভয় না পেলে?
নাকি কারো উপর ভরসা না করে নিজেই সব সামলে নিলে?

না, তার চেয়েও বেশি কিছু লাগে।

একজন নারী তখনই সত্যিকার অর্থে স্ট্রং হয়ে ওঠেন-
যখন কষ্ট পেয়ে ভেঙে পড়ার বদলে, চুপচাপ আবার নিজেকে গুছিয়ে নেন।

যখন চারপাশের না-শোনাগুলোকে হজম করে, একদিন ‘হ্যাঁ’ শোনানোর মতো হয়ে ওঠেন।

যখন সবাই বলে—তুমি পারবে না।
আর তিনি প্রমাণ করে দেন—আমি পারি।

কীভাবে আপনি সেই নারী হয়ে উঠবেন?

১. ‘না’ বলার সাহস রাখুন

সব কিছুতে ‘হ্যাঁ’ বললে মানুষ আপনাকে ব্যবহার করবে।

‘না’ বলতে শিখুন—শান্ত কণ্ঠে, কিন্তু দৃঢ়তায় ভরা।

আপনার সময়, শক্তি আর সম্মান রক্ষার জন্য এটা জরুরি।

২. আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হোন

আপনার উপার্জন আপনার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি।
ছোট হোক, নিজের হোক।

সেই টাকাটা আপনার চোখের ভাষা বদলে দেবে—চিরতরে।

৩. নিজের যত্ন নিন, মন দিয়ে

নিজেকে অবহেলা করে আপনি কাউকে সত্যিকার ভালোবাসতে পারবেন না।

নিজের চুল আঁচড়ান, আয়নায় তাকান, নিজেকে নিয়ে স‍্যাটিসফাইড হওয়ার মানসিকতা তৈরি করুন।

যত্ন নেওয়া মানে বিলাসিতা নয়—এটা নিজেকে সম্মান জানানোর বিষয়।

৪. মতামতের মূল্য দিন

আপনার কথা বলার অধিকার আছে।

চুপ থেকে ভালো মানুষ হওয়া যায়, কিন্তু স্ট্রং মানুষ হওয়া যায় না।

তাই মতামত দিতে শিখুন।

৫. সম্পর্ক নয়, আত্মসম্মান আগে

যে সম্পর্ক আপনাকে ছোট করে, তা সম্পর্ক নয়—আটকে থাকার শিকল।

ভালোবাসুন, ভরসা রাখুন, কিন্তু নিজের অবস্থান ভুলে নয়।

একটু ভেবে দেখুন…

নারী হওয়া কোনো দুর্বলতার নাম নয়।

আপনিই জন্ম দেন, গড়েন, আগলে রাখেন।
তবু এই সমাজ আপনাকে বোঝায়—তুমি তেমন কিছুই না। তোমার কোনো অবদান নাই কিছুতে।

আপনাকে ভয় দেখায়, বাঁধা দেয়, থামিয়ে রাখে।

কিন্তু আপনি থেমে গেলে তো সব থেমে যাবে।

স্ট্রং নারী মানে আবেগহীন মানুষ না।

তিনি কাঁদেন, হাসেন, ভালোবাসেন, প্রয়োজনে ছেড়েও দেন।

তবু নিজের সম্মান আর সীমানা আঁকড়ে ধরেন।

তিনি কারো করুণা চান না—চান সম্মান।

তিনি কারো সাপোর্ট চান না—চান সমতা, অধিকার।

আপনি নারী।

আপনি আগুনও—আলোর উৎসও।

আপনার ভেতরে এক বিশাল শক্তি আছে, যা জেগে উঠলে— যে কোনো কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

তাই আজ থেকে নেমে পড়ুন নিজেকে গড়ার পথে।

কাউকে দেখানোর জন্য নয়—নিজের জন্য।

_____সংগৃহীত

রাত ৩টার সেই মুহূর্ত, যখন এক নতুন মা অর্ধেক ঘুম চোখে, ভালবাসা, ভয় আর ক্লান্তিতে ভরা হৃদয়ে নিজের শিশুকে খাওয়াচ্ছেন।তার শর...
13/07/2025

রাত ৩টার সেই মুহূর্ত, যখন এক নতুন মা অর্ধেক ঘুম চোখে, ভালবাসা, ভয় আর ক্লান্তিতে ভরা হৃদয়ে নিজের শিশুকে খাওয়াচ্ছেন।

তার শরীর ব্যথায় ভেঙে পড়ছে।
হরমোনগুলো ওলটপালট হয়ে আছে।
স্তনদুগ্ধে ব্যথা করছে।
টানা দু’ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগও মেলেনি দিনের পর দিন।
তবুও… তিনি থেমে যান না।

নিজে খেতে ভুলে যান, কিন্তু শিশুর একটাও ফিডিং কখনও ভুলেন না।
চুপিচুপি শাওয়ারে কাঁদেন, তারপর হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন যেন কেউ টের না পায়।
সব ঠিকঠাক করছেন জেনেও বারবার মনে হয়, “আমি কি ঠিক করছি?”

মাতৃত্বে কোনো ছুটি নেই।
আছে ফাটা স্তনবৃন্ত, এলোমেলো খোঁপা, শিশুর কান্না আর একরাশ অপরাধবোধ।
তবে তার সঙ্গে থাকে—
এক জোড়া ছোট্ট আঙুল তার হাত আঁকড়ে ধরা…
ঘুম জড়ানো এক নিষ্পাপ হাসি…
আর এমন এক ভালবাসা, যা সব ব্যথাকেই অদ্ভুতভাবে সার্থক করে তোলে।

প্রতিটি নতুন মাকে জানাই—
তুমি একা নও।
তুমি দুর্বল নও।
তুমি অসম্ভব রকম শক্তিশালী— এমন এক শক্তি, যা দুনিয়া সবসময় দেখে না। 💛❤️❤️

যারা বেরসিক স্বভাবের সঙ্গী পায়, তারা কখনো দাম্পত্য জীবনের সুখ উপভোগ করতে পারে না! একজন রসিক স্বভাবের মানুষ কখনোই তার সঙ্...
13/07/2025

যারা বেরসিক স্বভাবের সঙ্গী পায়, তারা কখনো দাম্পত্য জীবনের সুখ উপভোগ করতে পারে না! একজন রসিক স্বভাবের মানুষ কখনোই তার সঙ্গীকে অকারণে কষ্ট দিতে পারে না। তারা আর যাই হোক, সঙ্গীর মূল্য বোঝে, গুরুত্ব বোঝে, সঙ্গীকে ভালোবাসে, সম্মান দেয়।

আত্মকেন্দ্রিক এবং বেরসিক স্বভাবের মানুষগুলো সঙ্গীর প্রতি নিতান্তই উদাসীন হয়! তারা সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করে না, সঙ্গীর চাওয়া-পাওয়ার কোনো মূল্য দেয় না। তার কাছে কেবল গুরুত্ব পায় নিজের ভালো লাগা।

পক্ষান্তরে একজন রসিক স্বভাবের মানুষ তার সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হয়। সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করে। একজন রসিক স্বভাবের মানুষ সঙ্গী হিসাবে যে পায়, সে কখনোই দাম্পত্য জীবনে অসুখী হয় না।

বেরসিক এবং আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষ শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় সঙ্গীকে চায়। দিনের পর দিন সঙ্গীকে মানসিক যন্ত্রণা দেয়া, সঙ্গীর সাথে দুর্ব্যবহার, সঙ্গীকে অবহেলা করাই তাদের স্বভাব!

দাম্পত্য জীবন মানেই শুধু নিজে সুখী হওয়া নয়। নয় কেবল নিজের চাহিদা মিটানো। দাম্পত্য জীবন কিংবা সংসার হলো সেই চুক্তি, যেখানে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের ভালো থাকার দায়িত্ব নেয়, পরস্পরের চাহিদা পূরণ করার দায়িত্ব নেয়।

সঙ্গীকে ভালোবাসতে কিংবা সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হতে যারা কৃপণতা করে, তাদের চাইতে স্বার্থপর মানুষ পৃথিবীতে আর হয় না। দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চাইলে সবার আগে সঙ্গীর সাথে আচরণ থাকতে হয় বন্ধুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হতে হয়, সঙ্গীকে ভালোবাসতে হয়। যারা দাম্পত্য জীবনকে শুধুমাত্র দায়বদ্ধতা কিংবা দায়িত্ববোধ হিসাবে দেখে, তাদের সাথে অন্তত সুখে–শান্তিতে সংসার করা যায় না! বেরসিক এবং আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষদের খুশি রাখতে হয়, নিজের সব আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে!

খুব হালাল ইনকাম ওয়ালা ক্লাসি ধনী মানুষ, গুনীজন আবার   ভদ্রলোক,  হাম্বল মানুষ দেখলে আমার শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়তে ইচ্ছে করে৷ তা...
13/07/2025

খুব হালাল ইনকাম ওয়ালা ক্লাসি ধনী মানুষ, গুনীজন আবার ভদ্রলোক, হাম্বল মানুষ দেখলে আমার শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়তে ইচ্ছে করে৷ তার এক্সপেরিয়েন্স, স্ট্রাগল, জীবনদর্শন আয়ত্ত করতে ইচ্ছে করে। মনে হয় হা করে তাকিয়ে থাকলেও কিছু শেখা হয়। কিন্তু এইরকম লোকজন খুব কম। আজকাল আরও দেখিনা৷ যত ছোটলোক ততই কাঁচা টাকা। ততই নোংরামি! কি অদ্ভুত সমীকরণ। এইভাবেই চলছে তাইনা?

 #মেয়েদের_জীবনের_পরিবর্তনশীলতা।✍সংগৃহিত।সেদিন তোমার দেওয়া সিঁদুর বদলে দিয়েছে আমাকে।বদলে দিয়েছে আমার সকল চিন্তাধারাকে...
13/07/2025

#মেয়েদের_জীবনের_পরিবর্তনশীলতা।
✍সংগৃহিত।

সেদিন তোমার দেওয়া সিঁদুর বদলে দিয়েছে আমাকে।
বদলে দিয়েছে আমার সকল চিন্তাধারাকে।।

এখন আর শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবি না। যদিও বিয়ের পর শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবাটা খুব একটা শোভা পায় না।।

কত তাড়াতাড়ি স্কুল, কলেজ,ইউনিভার্সিটি গণ্ডি পার করে ফেললাম বুঝতেই পারলাম না।
কতবার বাবা-মাকে শুনতে হয়েছে,মেয়ে যে বড় হয়ে গেছে বিয়ে দেবেন না।

সেদিনের ছোট্ট আমিটা কখন যে বড় হয়ে উঠলাম।
ধীরে ধীরে সকলের খেয়াল রাখতে শুরু করলাম।

ভালোবাসা দিলাম,বদলে ভালোবাসা আরেকটুখানি কেয়ার আশা করলাম।
কিছুটা অবহেলা, কিছুটা ভালোবাসা পেয়ে আবারো এগিয়ে চললাম।।

প্রতিটা মেয়েই বিয়ের পরের জীবন নিয়ে একটা আশা রাখে।
মনের মধ্যে একটা সুখের সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখে।।

সেদিন যেই মেয়েটি নিজের প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ কড়ায়-গণ্ডায় চুকিয়ে দিত।
এখন তার অনেকটাই গায়ে মেখে নিতে হয়, কারণ যতই হোক শ্বশুরবাড়ি তো।।

সেদিন যে মেয়েটি নিজের পছন্দের খাবার রান্না হলে মায়ের প্রতি বিরক্ত হতো।
আজ তাকে সেসব খাবার রান্না করে করতে হয়, কারন নিজের জন্য কে রান্না করে অত।।

সেদিন যে মেয়েটির রাগ করলে বাড়িসুদ্ধ লোক রাগ ভাঙ্গা তো।
এখন তার নিজে রাগ করা তো দূরের কথা, অন্যের রাগ ভাঙাতে ব্যস্ত।।

একটু আঘাত পেলে চোখের জল আসতো।
এখন তার অনেকটাই গা সওয়া হয়ে গেছে কারণ সময় বদলেছে তো।

অভিমানের পাহাড় মনের মধ্যে জমে থাকে।জানি সেসব কেউ বুঝবে না তাই মনেই তা জমে থাকে।।

তুমি যত ভালো হও কিংবা ভালো হওয়ার চেষ্টা করো।
সকলের মন রাখার চেষ্টা করো।।

তোমার একটা ভুল তোমার সব ভাল গুনগুলোকে নিমিষেই মুছে দেবে।
সেটা মনে রেখো।

কিছু না বললেও যেমন ভালোবাসার ভাষাটা বোঝা যায়।
তেমনি ভাবেই অবহেলার ভাষাটাও বোঝা যায়।।

ভালোবাসা দিলে তবেই সে ভালোবাসা পাওয়া যায়।
সম্মান দিলে তবেইত সম্মান পাওয়া যায়।।

জানিনা মানুষ কেন বারবার ভুলে যায়।
তবু মেনে এবং মানিয়ে নেওয়াটাই বেশিরভাগ মেয়েদের ধরন।
আরে পরিবর্তনশীলতার মধ্যেই রয়েছে মেয়েদের জীবন।।

জীবনের অভিজ্ঞতা মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়।
তাই পরিবর্তন কিংবা বদল মানুষের জীবনে প্রয়জন আছে বলেই মনে হয়।।
সমাপ্ত।


゚viralシfypシ゚viralシalシ

এক লোক খুব সুন্দরী এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর ঐ ব্যক্তি তার বউকে প্রচন্ড ভালবাসতো। তাদের সংসার খুব সুখের ছিল। দু...
13/07/2025

এক লোক খুব সুন্দরী এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর ঐ ব্যক্তি তার বউকে প্রচন্ড ভালবাসতো। তাদের সংসার খুব সুখের ছিল। দু’জন দু’জনকে প্রচন্ড ভালবাসতো।
কিন্তু হঠাৎ এলাকায় এক ধরনের “চামড়ার রোগ” মহামারী আঁকার ধারণ করলো।
হঠাৎ একদিন সুন্দরী মেয়েটার শরীরে ঐ রোগের লক্ষণ দেখা দিল। মেয়েটা বুঝতে পারলো এই রোগ তার পুরো শরীরের চামড়ায় ছড়িয়ে পড়বে এবং সে তার সৌন্দর্য হারাবে। যেদিন মেয়েটার শরীরে এই লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। সেই দিন মেয়েটার স্বামী অফিস থাকে বাড়ি ফেরার পথে এক্সিডেন্ট করলো। এই এক্সিডেন্টের পর লোকটা তার দু’চোখের দৃষ্টিশক্তি হারায়। দৃষ্টিশক্তি না থাকা সত্যেও লোকটার সাথে মেয়েটার সংসার সুন্দর ভাবে চলতে থাকে। এদিকে রোগের কারণে দিনের পর দিন মেয়েটার চেহারা কুৎসিত হতে থাকে। কিন্তু অন্ধ স্বামী বুঝতে পারে না, তার স্ত্রী দেখতে কতটা বিশ্রী হয়েছে। এভাবে চল্লিশ বছর তাদের সংসার সুখে শান্তিতে চলতে থাকে। তাদের চল্লিশ বছরের সংসারে ভালবাসা, সুখ, পরস্পরের নির্ভরশীলতা একই রকম রকম ছিল, যেন তারা সদ্য বিবাহিত দম্পতি। এভাবে চলতে চলতে, একদিন বৃদ্বা মহিলা মারা গেল। স্ত্রীর মৃত্যুতে অন্ধ লোকটা খুবই দুঃখ পেল, ভেঙ্গে পড়লো। কিন্তু দুনিয়াবী জীবনে কোন কিছুই চিরস্থায়ী না। সবাইকেই একদিন না একদিন ইহকালের জীবন ছেড়ে আখিরাতের জীবনে চলে যেতে হবে। অন্ধ লোকটা যখন তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে কবরে শায়িত করে ফিরে আসছিল। তখন পিছন থেকে একজন ব্যক্তি অন্ধ লোকটাকে প্রশ্ন করলো, “কোথায় যাচ্ছ?”
অন্ধ লোকটি উত্তর দিল, “সে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে যে বাড়িতে তার স্ত্রী এতো বছর তারসাথে সংসার করেছে।” এই কথা শুনে, প্রশ্নকারী লোকটি অন্ধ লোকটিকে বললো, “তুমি কিভাবে একা একা বাড়ি ফিরবে! তুমি তো অন্ধ!”
অন্ধ লোকটি উত্তর দিল, “

সে একাই বাড়ি ফিরতে পারবে কারণ আদতে সে অন্ধ নয়। সে সব কিছুই দেখতে পায়।” এতো বছর সে তার স্ত্রীর সামনে অন্ধের অভিনয় করেছিল। কারণ সে যখন জানতে পেরেছিল তার স্ত্রী স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছে, তখন সে এটা ভেবে ভয় পেয়েছিল যে, তার স্ত্রী হয়তো হীনম্মন্যতায় ভুগবে। হয়তো মনে মনে ভাববে তার স্বামী তাকে আগের মতো ভালবাসে না। নিজের অবস্থার জন্য কষ্ট পাবে।
তার স্ত্রী যেন নিজেকে কখনো ছোট অযোগ্য না ভাবে তাই সে চল্লিশ বছর একই ভাবে স্ত্রীকে ভালবেসেছে অন্ধের অভিনয় করে।

একজন মানুষ যখন হাটে তার পেছনে ছায়াও হাটে সবাই জানে🙂 তবে আপনি জানেন কি?একজন মা যখন হাটে তার পেছনে শুধু ছায়া নয়❌ সারাক্...
12/07/2025

একজন মানুষ যখন হাটে তার পেছনে ছায়াও হাটে সবাই জানে🙂 তবে আপনি জানেন কি?
একজন মা যখন হাটে তার পেছনে শুধু ছায়া নয়❌ সারাক্ষণ তার বাচ্চাও হাঁটে😅 রান্না ঘরে গেলে রান্নাঘরে যায়, বারান্দায় গেলে মুহূর্তেই সেখানে চলে যায়, আপনি যদি খাটের তলায় ঢোকেন কোন কিছু বের করতে সেখানেও তাকে পাবেন🤣 মোটকথা আপনি যেখানে যাবেন সেখানেই আপনার পেছনে আপনার বাচ্চা হাজির। এমনকি সে যেখানে খেলাধুলা করছে আপনি যদি সেখান থেকে অন্যখানে চলে যান, সে তার খেলনার বস্তা নিয়ে টানতে টানতে আপনার পেছন পেছন সেই জায়গায় এসে খেলাধুলা করবে😌 সেটা যে জায়গায়ই হোক না কেন, তার শুধু সারাক্ষণ আপনাকেই চাই💕
এভাবেই প্রত্যেকটা বাচ্চা ২৪/৭ মাকে পাহারা দিতে থাকে😬 ওয়াশরুমে গেলে তো কথাই নাই😒 একবার যদি তাকে না বলে যান, ভুল করে তাহার পারমিশন ছাড়া চলে যান এবং সে যদি দেখতে না পায় তাহলেই এমন কা'ন্না জুড়ে দেয় মনে হয় যেন তাহার আম্মাজান দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে গেছে🥲🥹

বেণুবালার বয়স সদ্য চৌদ্দ। তবে এই সদ্য চৌদ্দটিই বেণুবালার বাবার চিন্তার কারণ হলো। বেণুবালার বয়সী প্রায় সকল মেয়েদেরই এখন এ...
12/07/2025

বেণুবালার বয়স সদ্য চৌদ্দ। তবে এই সদ্য চৌদ্দটিই বেণুবালার বাবার চিন্তার কারণ হলো। বেণুবালার বয়সী প্রায় সকল মেয়েদেরই এখন একটি-দু'টো ছেলেমেয়ে আছে। অথচ এদিকে, বেণুবালার বাবা- নন্দন ঘোষাল মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছেন, পাত্র মিলছে না। বেণুবালার গায়ের রঙ বিয়ের বাজারে টিকছে না যে!
প্রতিদিনের মতন আজকেও বেণুবালার ভোর হলে ঠাকুমায়ের গালি-গালাজে। বৃদ্ধা মহিলা হাঁক-ডাক করে বলছেন,
"মুখপুরী, তুই ডুবে মর। আমার ছেলের অন্নধ্বংস না করে ডুবে মর। মর, মর।"

সেই কথা গায়ে লাগে না বেণুবালার। সে দাঁত ঘঁষছে আপন মনে ছাঁই দিয়ে। মাথার দু'পাশে ঝুলছে বেণী। চুলে চুপ চুপে করে দেওয়া তেল। দেখে মনে হচ্ছে তেলের শিশির সবটুকু তেল ঢেলে দিতে কোনো কৃপণতা করেনি।
বেণুবালার ঠাকুমা নাতনির এমন গা-ছাড়া ভাব দেখে আরও রাগলেন। উঠোনে বিছিয়ে রাখা চৌকির উপর থেকেই চ্যাঁচিয়ে উঠলেন,
"দাসের বাড়ির শিউলি বয়েস সবে চৌদ্দ, এখনই কোলে দুইটা বাচ্চা। মুখুজ্জে মশাইয়ের নাতনিটা বারো বছরেই বিয়ে হলো। আর তুই কি-না ধিঙ্গি হয়ে বাপের ঘাড়ে বসে আছিস?"

"ঘাড়ে কোথায় বসলাম গো, ঠাম্মা? সারাদিন বসি বিছানায় নয়তো মাটিতে! চোখে ন্যাবা হলো নাকি তোমার?" কথাটি বলেই খিলখিল করে হাসলো মেয়েটা।
রান্নাঘর থেকে বেণুবালার মা চ্যালাকাঠ ছুঁড়ে মারলেন। বেণুবালাকে আর পায় কে? সে এক ছুটে বেরিয়ে গেলো বাড়ি থেকে। এখানে থাকলেই বিপদ। মা কখন এসে যে দু ঘা লাগিয়ে দিবেন, বলা দুষ্কর।

মেয়ের এমন হেঁয়ালিপনায় মাথায় হাত দেন দীপালী দেবী। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, "ওর কী হবে, মা? এ মেয়ের তো বুদ্ধিশুদ্ধিই হচ্ছে না এখনো!"

বৃদ্ধাও পুত্র বধূরের চিন্তার শ্বাসে মাথা নাড়েন। নাতনিটা তার এমন যে কেন! কোনো চিন্তাভাবনা নেই!

পেটের খিদে নিয়ে বেণুবালা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সকাল বেলা একটু না খেলে হয় নাকি! খাবারের কথা মনে পড়তেই বেণুবালা পশ্চিমের দিকে হাঁটা ধরল।
লাল পুকুরটির পাশ কেটে হাতের বামদিকে একটি বাড়ি আছে৷ বাড়িটি বেণুর বন্ধু এবং দূর সম্পর্কের ভাই নয়নের। বেণুবালা বাড়িতে ঢুকল না। বাড়ির পেছন দিকে গিয়ে নয়নের শোবার ঘরের জানালায় টোকা দিলো। খুব ধীরে। এবং কিছু সেকেন্ডের মাঝেই ঘুম ঘুম চোখে জানালা খুলে দিল নয়ন। বেণুবালাকে দেখে সে মোটেও চমকালো না। কারণ এই ঘটনা তার জন্য নতুন নয়।

পেছনের জঙ্গলটা থেকে বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচির শোনা যাচ্ছে। পাতা পত্তর ভেদ করে আসা সূর্যের রশ্মিটা ঠিক বেণুর গালে এসে আড়াআড়ি ভাবে পড়ছে। কালো মিশমিশে গায়ের রঙ মেয়েটার। গাল ভর্তি ব্রণ। চেহারায় মায়া, শ্রী বলতে কিছুই নেই। থাকার ভেতর আছে কেবল সবসময়ের হাসিটা। সে হাসি-হাসি মুখটি নিয়েই বলল,
"এই নয়নদা, মুড়ি-মোয়া কিছু থাকলে দে না। খিদে লেগেছে যে বড়ো!"

নয়ন ঘুমঘুম চোখ নিয়েই কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে বলল, "বাড়ির পেছনে জঙ্গল দিয়ে এসে মুড়ি-মোয়া চাচ্ছিস কেন? বাড়ির ভেতরে আসতে পারিস না?"

"তুই কি তোর মা'কে চিনিস না? জেঠি আমাকে দেখলেই তো দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। যেন আমি সুমন কাকাদের বাড়ির পোষা কুকুরটা।" কথাটা বলে হাসল মেয়েটা। ওদিকে নয়নের মুখটি অন্ধকার হয়ে এলো। কেমন বিষাদ সুন্দর চোখ মেলে বলল,
"তোর খারাপ লাগে মায়ের আচরণে, তাই না বেণু?"

"খারাপ লাগবে কেন? এগুলো কি নতুন দেখছি না-কি? তুই এত কথা বলিস না তো। কিছু খাবার থাকলে দে নয়তো আমি গেলুম।"
কথার মাঝে রাজ্যের ব্যস্ততা যেন মেয়েটার।
নয়ন তাড়াতাড়ি উঠে বসলো। বিছানার নিচ থেকে প্লাস্টিকের কৌটা বের করে আলগোছে বাড়িয়ে দিলো জানালার বাহিরে। প্রায় ফিসফিসিয়ে বলল,
"নে, নাড়ু আর মুড়ি আছে। খেয়েনে।"

বেণুর চোখগুলো খাবার দেখতেই চকচক করে উঠল। নাড়ু নিয়ে রীতিমতো ক'টা মুখেও ঢুকিয়ে ফেললো। হাত ভর্তি করে মুড়ি নিতে নিলেই খপ করে তার হাতটা ধরে ফেলে কেউ।
ভয় পেয়ে যায় বেণু ও নয়ন। চোখ ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখল নয়নের মা দাঁড়িয়ে আছেন অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে। মাথায় গামছা প্যাঁচানো। মুখে, গলায় ঘামের আভাস। সদ্য স্নান সেড়ে এসেছেন বোধহয়।

জেঠিকে দেখেই পিলে চমকে উঠল বেণুর। কিছু বলার আগেই পরপর কয়েকটা চড় বসে গেলো তার গালে।
নয়ন আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে পারল না। ওরও তো বয়স কম! অন্তরটা ভীতু।

"অলক্ষ্মী, আমার ছেলের কাছ থেকে সবসময় কিছু না কিছু হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দা তোর। ভাগ্যিস পুকুরপাড় থেকে দেখেছিলাম এখানে তোকে আসতে। নয়তো আমি জানতামই না আমার ছেলের কাছ থেকে সব চুরি করে গিলছিস।"

বেণুর হাত থেকে মুঠোয় নেওয়া মুড়িগুলো পড়ে গেলো। সে আঁতকে উঠল। বলল, "আমি চুরি করে খাইনি, জেঠি। নয়নদা-ই তো দিলো আমায়।"
কিন্তু বেণুর কথা কানে নিলেন না ভদ্রমহিলা। চুল ধরে টানতে টানতে নিয়ে উপস্থিত হলেন বেণুদের বাড়িতে। চুলের টানে, ব্যথায় মেয়েটা আর্তনাদ করে উঠল। সদা হাসি মুখেও দেখা দিল বেদনা।

অঞ্জনা দেবীর কণ্ঠ তখন সর্বোচ্চ। পাড়া-পড়শীকে শোনানোর জন্যও বোধকরি কণ্ঠ উপরে তুলেছেন। বেণুর মা'কে ডেকে হৈ-হল্লা করে বললেন,
"কিগো বেণুর মা, মেয়ে একটা তো ধরেছো পেটে। খাবার দিতে পারো না না-কি? আমার ছেলের ঘরের খাবার চুরি করে খেতে হয় তোমার মেয়ের। ছি ছি! আমার দেবরের বুঝি এমন দূর্দশা হলো!"

হাঁক-ডাকে দীপালী দেবী ততক্ষণে ছুটে এসেছেন উঠোনে। বেণুর ঠাকুমাও বিচলিত ভঙ্গিতে উঠে বসেছেন। প্রতিবেশীর অনেকেই ঘটনা দেখতে এগিয়ে এসেছেন।
মেয়ের কাণ্ড দীপালী দেবীর কাছে স্পষ্ট হতেই তিনি মেয়েকে লাগিয়ে দিলেন কয়েক ঘা। নয়নদের বাড়ির সাথে এমনিই জায়গা-জমি নিয়ে একটু বাঁধাবাঁধি তাদের হয়ে আছে। তার উপর মেয়েটার এমন কাজ মানালো?
রাগে-ঘৃণায় চ্যালাকাঠ দিয়ে মারতে শুরু করলেন মেয়েকে। বেণু তখন বিস্ময়ে নির্বাক। সে তো চুরি করে খায়নি! মা একটাবার জিজ্ঞেসও করার প্রয়োজন মনে করল না? সুমন কাকার বাড়ির কুকুরটাও তো খাবার নিলে এত মার খায় না, সে যতটা খাচ্ছে!

ব্যথায় জর্জরিত বেণুর ধুম জ্বর এলো রাতে। হারিকেনের নিভু নিভু আলো ঘর জুড়ে ছড়িয়ে আছে। বাহিরে তখন নিস্তব্ধ-নিশ্চুপতা। বেণুর কপালে কেউ হাতটুকু দিয়ে দেখল না শরীর খারাপ কতটা।
বেণুর পাশেই শুয়ে ছিলেন ঠাকুমা। বেণু পা নাড়াতে নাড়াতে বৃদ্ধাকে প্রশ্ন করল,
"আচ্ছা ঠাম্মা, যদি আমার বিয়ে নাহয় সেটা কি আমার দোষ?"

বৃদ্ধার তখন চোখে-মুখে তন্দ্রার ঘোর সামান্য। সেই ঘোরেই জবাব দিলেন, "তোর কপালের দোষ।"

"আমার কপাল কি আমি লিখেছি, ঠাম্মা?"

"না।"

"কে লিখেছেন তাহলে?"

"ঈশ্বর।"

"তাহলে তোমরা আমাকে কেন সবাই মরতে বলো? তোমাদের তো ঈশ্বরকে মরতে বলা উচিত। কেন তিনি আমার ভাগ্যে বিয়ে লিখলেন না!"

সৃষ্টির এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি বেণুবালার যেই ভয়াবহ অভিযোগ তা বৃদ্ধা টের পেলেন না। কেবল তন্দ্রাঘোরেই বললেন, "ধূর ধূর। পাপ লাগবে।"

"তোমরা আমাকে এতকিছু বলো সে বেলা পাপ লাগে না। ঈশ্বরকে বললে কেন পাপ লাগবে? ঈশ্বর কি অনেক সুন্দর? কালো হলে নিশ্চয় তোমরা ঈশ্বরকেও ছাড়তে না।"
নাতনির কথার আর জবাব দিলেন না বৃদ্ধা। ঘুমিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু বেণুর চোখে ঘুম এলো না। সে নিজের প্রশ্নদের নিয়ে নাজেহাল। এই প্রশ্নের উত্তর তাকে দিবে কে? কোথায় গেলে ঈশ্বরকে পাওয়া যাবে? সে না-হয় সেখানে গিয়েই বলতো, তার ভাগ্যে যেন বিয়েটা লিখে দেওয়া হয়। নয়তো সবাই সব দোষ তাকেই দিয়ে যাবে চিরকাল।



বহুত খোঁজাখুঁজির পর বেণুর জন্য পাত্রের সন্ধান পাওয়া গেলো। পাত্রের বয়স বেণুর বাবা নন্দন ঘোষালের মতনই কিংবা তার চেয়ে আরেকটু বেশি হবে! বিপত্নীক ভদ্রলোক। স্ত্রী তার চার ছেলেমেয়ে জন্ম দিয়েই পাড়ি জমিয়েছেন পরকালে।
মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ আসতেই দীপালী দেবীর মুখ জুড়ে হাসি নেমে এসেছিলো। কিন্তু হাসি স্থায়ী হলো না বেশিক্ষণ। পাত্রের বিবরণ শুনতেই মহিলার মুখ কালো হয়ে গেলো। চিন্তিত কণ্ঠে বললেন,
"বেণুর বয়স মাত্র চৌদ্দ আর লোকটার বয়স আটচল্লিশ। সাথে চার ছেলে-মেয়ে। বেণু তো সংসারই বুঝবে না। এতগুলো মানুষের দায়িত্ব নিবেই বা কীভাবে? তাছাড়া বয়েসে লোকটা এত বড়ো!"

নন্দন ঘোষাল স্ত্রী'র চিন্তাকে বাড়তে দিলেন না। সপ্রতিভ হেসে বললেন,
"বিয়ে না করলে সংসার চিনবে কীভাবে? ওসব বিয়ে হলে ঠিক মানিয়ে নেবে আমাদের বেণু। তাছাড়া কম তো খোঁজ করিনি। পাত্র না পেলে কী করবো বলো?"
স্বামীর কথাটিও যুক্তিসঙ্গত বিধায় দীপালী দেবী আর রা করলেন না। ভালোই ভালোই এবার বিয়েটা হলেই বাঁচেন। চারপাশে লোকজন যা ছি ছি করছেন! মেয়েটার বয়স তো বাড়ছেই দিন দিন। রূপ বলতেও কিছু নেই। এই পাত্র মিলেছে তাও বা কম কীসে!

পাত্রের কথা বেণু জানতে পারলো কিছুক্ষণের মাঝেই। মা যখন পইপই করে বলে গেলেন, "শোন বেণু, সুন্দর করে আজ স্নান-টান করিস, মা। এই পাত্র যেন হাতছাড়া না হয়।"

মধ্যাহ্নের শেষ ভাগেই পাত্রপক্ষ এলো। পাত্র বলতে বয়স্ক একজন লোক। পান চিবিয়ে যাচ্ছিলেন অনবরত। বেণু নিজেকে পরিপূর্ণ রূপে সুন্দর দেখানোর চেষ্টা করেও শেষমেশ ফলাফল মিললো- শূন্য।
পাত্রপক্ষ বেণুর শ্রীহীনতা নিয়ে কটুক্তি করলেন। ধিক্কারের সর্বোচ্চ ভাষা ব্যবহার করে বুঝালেন বেণুকে তাদের কতটা অপছন্দ হয়েছে।

পাত্রপক্ষের বলে যাওয়া কথা গায়ে মাখালো না বেণু। ওরা যেতেই ওদেরকে দেওয়া খাবারের দিক হাত বাড়ালো সে। তার যে এদিকে নজরটা ছিলো। কিন্তু সে-ই খাবারটাও বেণুর ভাগ্যে রোচেনি। এর আগেই তাকে প্রহার করলেন কার বাবা। তার জীবনের সবচেয়ে পছন্দের মানুষটি।
কেবল প্রহার নয় সাথে উগ্র, অকথ্য ভাষা— সারাজীবন কেবল খাই খাই করলি। তোকে জন্ম দেওয়া পাপ ছিলো। কেন মরিস না তুই? তাহলে সমাজের কথার বাণে আমাদের মরতে হতো না। রূপ, গুণ বলতে কিছু আছে তোর ভেতরে? নেই।

বাবা ছিলেন বেণুবালার জীবনের অন্যতম মানুষটি। কিন্তু আজ বাবার চিরপরিচিত রূপ বদলে যাওয়াটাই বেণুবালার জীবনের নির্মম স্মৃতিটি হয়ে গেলো। বেণুবালা তাজ্জব কণ্ঠে বলল, "আমার কি দোষ, বাবা?"

"তোর দোষ, তোর জন্ম। তুই না জন্মাতিস, নিঃসন্তান থাকতাম তাহলেও মনকে স্বান্তনা দিতে পারতাম।"

দীপালী দেবী স্বামীকে থামাতে এলে সে-ও খেলেন কয়েক ঘা। লজ্জায়-অপমানে যেন পাগল হলেন লোকটা।

-

পদ্মার কিনারায় ফুরফুরে বাতাস। বেণুর শাড়ির আঁচলটি উড়ছে। তখন অপরাহ্ণ যায়, যায় ভাব। বেণুর পাশাপাশি এসে দাঁড়ালো নয়ন। ওরও বয়স সামান্য তবে একটু হলেও এই দুনিয়ায় যদি বেণুর দুঃখ কেউ বুঝে তাহলে এই ছেলেটিই।

নয়ন এসে বেণুর মাথায় হাত বুলিয়ে নরম কণ্ঠে শুধাল, "তোকে পাত্র পছন্দ করেনি, বেণু?"

বেণুর গালে কালশিটে দাগ তখনও স্পষ্ট। মৃদু কণ্ঠে সে বলল, "আমাকে পছন্দ করবে কীভাবে বল? আমারে তো রাতের বেলা দেখা-ই যায় না। এমন মানুষরে কে পছন্দ করবে?"
কথাটি বলেই খিলখিলিয়ে হাসল মেয়েটা। যেন তার কোনো দুঃখই নেই এ জীবনে।

নয়ন হতাশ কণ্ঠে বলল, "তুই ভীষণ সুন্দর, বেণু।"

"সেটা তো তোর চোখে, নয়নদা। আমি কেবল ভাবি, ঈশ্বর কেন তোর মতন চোখ সবাইরে দিলো না বল?"

"কী জানি!"

এরপর এই বাচ্চা মনগুলো নিশ্চুপ হয়ে গেলো। হুট করেই বেণুর কিছু একটা মনে পড়তেই বলল, "আচ্ছা নয়নদা, ঈশ্বরকে কোথায় গেলে পাওয়া যাবে?"

বেণুর বাচ্চামো প্রশ্নে নয়নও বাচ্চামো জবাব দিয়ে বলল, "আকাশে।"

"আকাশে কীভাবে যাওয়া যায়?"

"মরে গেলে। শুনেছি মানুষ মরলে আকাশে যায়।"

বেণুর মুখ চকচক করে উঠল। সে নদীর কিনারায় ছুটে যেতে যেতে বলল,
"নয়নদা, তাহলে আমি ঈশ্বরের কাছেই যাচ্ছি। তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করব, তার দুনিয়া এত কঠিন কেন। ভাগ্য লিখলেন তিনি, অথচ সমস্ত মার জুটলো আমার কপালে। কেন তার দোষে আমি মার খাবো? কালো, রূপহীন তো তিনি আমারে বানাইলো অথচ বাবায় বললো, দোষ নাকি আমার জন্মের। আমি তারে জিজ্ঞেস করবো, কেন আমার জন্ম হলো। কেন এই দুনিয়ার সকল মার আমার কপালে লিখলেন। সব আমি জিজ্ঞেস করে আসবো।"

নয়ন চমকে গেলো। বেণুর পেছন ছুটতে ছুটতে বলল, "বেণু তুই সাঁতার জানিস না। নদীতে নামিস না তুই। মরে যাবি যে।"

বেণু দাঁড়ালো। হাসতে হাসতে বলল, "কে বলেছে বেণুবালা বাঁচতে চায়? পরের জন্মে ঈশ্বর যেন আমারে সুমন কাকার বাড়ির কুকুরটি বানায় সেটাও আমি বলবো, নয়নদা। মেয়ে হয়ে খুব খিদেয় কেটেছে। খেলেও পাপ লেগেছে। পরের জন্মে কুকুর হবো। ঈশ্বরের সাথে আমার অনেক কথা বলার আছে। অনেক অভিযোগ জমা। এই দুনিয়া অনেক কঠিন। অনেক।"

কথা থামল। অতঃপর ঝুপ করে শব্দ হলো স্রোতস্বিনী পদ্মায়। উজানের স্রোতে কতক্ষণ বেণুবালাকে হাবুডুবু খেতে দেখা গেলো। নয়ন চিৎকার করে ডাকতে লাগলো। চারপাশে তখন কেউ নেই। বেণুবালার ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার সবরকমের পথই যেন খোলা ছিল।
এরপর নয়ন দেখলো, কীভাবে মৃত্যু রূপহীন বেণুবালাকে আগলে নিয়েছে তার বুকে। মৃত্যু কীভাবে শেষমেশ ভালোবেসেছে মেয়েটাকে। সে কালো-ফর্সার ভেদাভেদ করেনি মোটেও। শ্রীহীন বলে ছুঁড়ে মারেনি।
যাক! অবশেষে কেউ তো একটা ভালোবাসলো বেণুবালা

অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানলে কপাল উঠবে চোখভিক্টর ব্যানার্জি বাঙ্গালী হিন্দু জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহ...
12/07/2025

অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানলে কপাল উঠবে চোখ
ভিক্টর ব্যানার্জি বাঙ্গালী হিন্দু জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যে পরিবার উত্তরপাড়ার রাজা এবং চাঁচলের রাজা বাহাদুরের বংশধর। তিনি শিলং থেকে স্কুল পাশ করেন। পরে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি এমন একজন অভিনেতা যিনি একাধারে ইংরেজি ভাষা, হিন্দি ভাষা, বাংলা ভাষা এবং অসমীয়া ভাষায় অভিনয় করেছেন। তিনি বিশিষ্ট পরিচালক যেমনঃ রোমান পোলান্‌স্কি, জেমস আইভরি, স্যার ডেভিড লিন, জেরি লন্ডন, রোনাল্ড নিয়েম , সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, শ্যাম বেনেগাল এবং রাম গোপাল বর্মা, এদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
২০২২ সালে তিনি পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন।
তথ্যসূত্র - উইকিপিডিয়া
তো বন্ধুরা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত কোন সিনেমাটি আপনাদের খুব পছন্দের ?
Collected

শহরের বড়লোক বাবার একমাত্র ছেলে আরিয়ান কয়েকদিনের জন্য গ্রামে এসেছে।নেশা, দেহলোভ আর উদ্দাম জীবনে অভ্যস্ত এই ছেলেটা সব সময় ...
12/07/2025

শহরের বড়লোক বাবার একমাত্র ছেলে আরিয়ান কয়েকদিনের জন্য গ্রামে এসেছে।নেশা, দেহলোভ আর উদ্দাম জীবনে অভ্যস্ত এই ছেলেটা সব সময় মদে ভাসে।

তাকে গ্রামের মানুষেরা সমীহ করে, ভয়ে কথা বলে।
কারণ সবাই জানে—এই ছেলে টাকা ছুঁড়লে মানুষ বাঁচে, আর না দিলেই মরেও যেতে পারে।

সেদিন সন্ধ্যায় গ্রামের এক ছোট্ট রাস্তার মোড়ে হঠাৎ তার চোখ আটকে যায়...একটা মেয়ে, সাদা সালোয়ারে, চোখে কাজল, বাজারের ব্যাগ হাতে রাস্তা পার হচ্ছে।

মেয়েটার নাম — মেঘ।নাম যেমন, রূপও তেমন। মুখে এক অপার্থিব সরলতা, চোখে কষ্টের ছায়া।

আরিয়ান দাঁড়িয়ে যায়।দাঁড়িয়ে থেকে একবার তাকায়... তারপর আর নিজেকে থামাতে পারে না।

রাত গভীর হলে, মেঘ যখন পুকুরঘাট থেকে বাসায়ফিরছিল—ঠিক তখনই ঘটে সেই অন্ধকার ইতিহাস।
আরিয়ান, নেশায় অচেতন নয়,নেশায় উন্মাদ।

সেই রাত্রে, মেঘের সাদা পোশাক ভেসে যায় নীরব চিৎকারে, অসহায়তায়, আর পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর রক্তে।
সে রাত বদলে দেয় দুজনেরই জীবন।

পরদিন সকালসব খবর ছড়িয়ে পড়ে।মেঘের মা ছুটে এসে অজ্ঞান হয়ে যায়।গ্রামের লোকজন রাস্তায়, মেঘের নামে কান্না, অভিশাপ, প্রতিবাদ...

আরিয়ান?চুপচাপ দাঁড়িয়ে সিগারেটে শেষ টান দিয়ে বলে—
আমি করলেও তোমরা কিছু করতে পারবা না। কারণ আমি আরিয়ান। আর আমার বাবার টাকা গিলে তুমরা বাঁচো!

মেঘ নিজেকে আর সহ্য করতে পারে না।সে নদীর কিনারে গিয়ে ঝাঁপ দিতে চায়।তবে সময়মতো কয়েকজন মেয়ে তাকে ধরে ফেলে, কান্নায় ভেঙে পড়ে।মেঘ একবার ফুঁসে উঠে বলে—আমি কিছু করিনি, আমি শুধু বাঁচতে চেয়েছিলাম!

সেদিন বিকেলে আরিয়ান আসে ঘটনাস্থলে—সবাই তাকে দেখে ভয় পায়, কেউ কিছু বলে না।কিন্তু হঠাৎ…মেঘ সামনে এসে দাঁড়ায়।তার চোখে আগুন।সে সবার সামনে আরিয়ানকে একটা, দুইটা, তিনটা থাপ্পড় মারে।আর বলে—

তুই যদি সত্যিকারে পুরুষ হোস, তবে আমার চোখে তাকিয়ে বল— আমি শুধু একটা রাতের জন্য বাঁচি? আমি কি মানুষ না?

আরিয়ান থমকে যায়।সবাই চুপ।সে আরিয়ান,তবু ঐ চোখের সামনে কিছু বলতে পারে না।সে চুপচাপ মেঘের চোখের গভীরে ডুবে যায়।

সেই মুহূর্তে,মেঘের রাগ, তার সাহস, তার মুখ, তার থাপ্পড়—
সবকিছু যেন এক অদ্ভুত ভালোবাসায় রূপ নেয়
আরিয়ানের মনে।

সে চুপ করে থাকে।ভেতরে কেবল একটাই আওয়াজ:এই মেয়েটা আমার। হোক না ঘৃণায়, তবুও আমার। আমি তাকে চাই।

সেই ঘটনার পরদিন সকালেই মেঘর বাড়িতে লোক আসে।
পিছে গাড়ি, সামনে কাজি সাহেব।আর গাড়ি থেকে নামে আরিয়ান… মাথায় সাদা পাগড়ি, চোখে ঠাণ্ডা আগুন।

গ্রামের সবাই ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে, কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করে না।মেঘর মা অজ্ঞান, আর ভাই বোন কাঁদছে।

মেঘ চিৎকার করে উঠে তুই কি পাগল? আমার সর্বনাশ করেছিস, এখন আবার আমার জীবনও নষ্ট করবি?আরিয়ান ঠাণ্ডা গলায় বলে,তোর জীবন আমি শেষ করিনি। আমি এবার শুরু করতে এসেছি।

কাজি সাহেব কাগজ খুলে ফেলে।আরিয়ান জোর করে মেঘের আঙুলে স্বাক্ষর নেয়।মেয়েটা কাঁপছে, চোখে ঘৃণা, মনে বিষ।তবুও…বিয়ে হয়ে যায়।

বিয়ের পরদিনই মেঘকে নিয়ে শহরে চলে আসে আরিয়ান।
তবে নিজের বাড়িতে নয়।তার বাবা, শফিক চৌধুরী, মেয়ে দেখতে না চাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দেয়—ছোটলোকের মেয়ে আমার বউ নয়, এই বাড়ির দরজায়ও পা দেবে না।

আরিয়ান রাগে বাবার গাড়ি, ব্যবসা, সব ছেড়ে এক ছোট্ট, আধা-ভাঙা কুঁড়েঘরে গিয়ে ওঠে।মেঘ সেই ঘরে গিয়ে বসে থাকে নিঃশব্দে…আর চোখে ঘৃণায় পোড়া অশ্রু জমে।

মেঘ কিছুই করে না, রান্না না, কথা না, একটুও না।শুধু চোখে আগুন নিয়ে বসে থাকে।আরিয়ান সব কাজ করে— রান্না, বাজার, মেঝে মোছা…আর রাতে শুধু জানলার পাশে বসে সিগারেট ফোঁকে।

আমার প্রতি তোমার ঘৃণা আমি বুঝি মেঘ…কিন্তু আমি এখন ভালোবাসি,হয়তো অন্যায়ভাবে শুরু করেছি,
কিন্তু শেষটা ঠিক করব… যদি তুমি একটু ভরসা করো।

মেঘ চিৎকার করে বলে—ভরসা? তোর মতো জানোয়ারের প্রতি?
আরিয়ান শুধু হাসে,জানোয়ারই তো বলেছিলি… এখন প্রমাণও তো পেতে হবে না?

রাত গভীর হলে, মেঘ ঘরের একপাশে শুয়ে থাকে আর কাঁদে।আরিয়ান জানলায় বসে পেছন ফিরে তাকায় না, শুধু চোখ বন্ধ করে ফিসফিস করে বলে—

তুই ঘৃণা কর, আমি ভালোবাসব…তোর কান্না আমি বুঝি, কিন্তু আমি জানি,একদিন তুই আমাকে মাফ করবি… শুধু একটু সময় দে।তোর চোখে ঘৃণা আছে,কিন্তু আমার বুক ভরা ভালোবাসা…আমি মরব, কিন্তু তোকেই ভালোবেসে যাব।

শহরের অভিজাত পরিবার চৌধুরী ভিলা এখন অশান্ত।
শফিক চৌধুরী, কোটি টাকার মালিক,যার একমাত্র ছেলে তার কথায় চলে না এখন!একটা ‘গ্রামের মেয়ের জন্য’ তার আরিয়ান সব ছেড়ে দিয়েছে—এই অপমান সে সহ্য করতে পারছে না।

তুই যদি ওই মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখিস,তাহলে তুই আমার ছেলে না!আরিয়ান ফোন কেটে দেয়।আরিয়ান আর কিছু চায়না।শুধু চায় সে—মেঘ।যে এখনও তাকে ঘৃণা করে।

শফিক চৌধুরী চুপ করে বসে না।একদিন রাতে কয়েকজন মাস্তান পাঠায়—ওই মেয়েটা যেন থাকে না।আমি তার মুখ দেখতে চাই না।আরিয়ানকে ফিরিয়ে আনতে হলে, ওকে সরাতে হবে!কিন্তু আরিয়ান সেটা টের পায়।

রাত দশটা।মেঘ ঘরের ভেতর একা।আরিয়ান বাইরে একটা দোকানে।ঠিক তখনই তিনজন মুখ ঢাকা লোক এসে ঘরে ঢোকে।মেঘ ভয়ে কেঁপে ওঠে।তার চিৎকার করার আগেই একজন মুখ চেপে ধরে।

কিন্তু…আরিয়ান ঝড়ের মতো এসে হাজির।তার হাতে লাঠি।
তিনজনের ওপর এমন মার—একজনের হাত ভেঙে যায়, আরেকজন রক্তাক্ত হয়ে পড়ে।

আর একটা লোক পালাতে গেলে,আরিয়ান তার গলার কাছে লাঠি ঠেকিয়ে বলে—যারাই আমার বউর গায়ে হাত দিতে আসবে,আমি তার হাড্ডি ভেঙে ছাই করে দেবো।
আর শোন…আমি জানোয়ার, এখনো মানুষ হইনি,

সেই রাতে মেঘ ভয়ে কাঁপছিলো।আরিয়ান তার পাশে বসে বলে—আমি বাঁচাতে পারছি তোকেই,কিন্তু বিশ্বাসটা এখনো পাইনি।মেঘ প্রথমবার ফুপিয়ে কাঁদে,তবে মুখে এখনো তীব্র কণ্ঠে বলে,

তুই যা করছিস, সেটা তোর প্রাক্তন পাপ মোচনের চেষ্টা।
আমি তোকে কখনো ক্ষমা করবো না।আরিয়ান মাথা নিচু করে বলে—তুই যত ঘৃণা করবি, আমি তত ভালোবাসব।
(চলবে..?)

Address

Tinsukia

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Priya Vlogs posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Priya Vlogs:

Share

Category