18/02/2024
আমি একজন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ইতি মধ্যে social media কিংবা news এ শোনা যাচ্ছে যে আমরা বাংলা পরীক্ষার যেই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছি সেটা নাকি পরীক্ষার 3rd সেট এর প্রশ্নপত্র ছিল অর্থাৎ গতকাল রাতে 1st সেট এর প্রশ্ন ফাঁস হয় এবং আজকে সকালে দ্বিতীয় সেট এর প্রশ্ন ও leak করা হয়। যথারীতি 3 নং প্রশ্নের সেট এই আমাদের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রশ্নপত্র সোজা না কঠিন সেই বিষয় এ আমার কোনো বক্তব্য নেই,এটা জার জার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তবে আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে যে আজকে ২০২৪ উচচমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিন বাংলার মতো বিষয় এ পর পর দুবার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পর তৃতীয় সেট এর প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হলে অপেক্ষাকৃত কঠিন যেই সাবজেক্ট গুলো আছে, physics, chemistry, mathematics, biology, pol science, history Education, philosophy ,Accountency ,costing tax and আরও যে বিষয় আছে সেগুলো তে তাহলে কত নং সেট এ পরীক্ষা দিতে হবে? সরকারের কাছে অডিও সেই পরিমাণ পর্যাপ্ত সেট কি উপস্থিত আছে না পরীক্ষা বাতিল করে নতুন সেট বানিয়ে আবার পরীক্ষা নিয়ে হবে? ভাববার বিষয়।
সত্যি কথা বলতে আমরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রা একটা সীমিত সময় পাই একটা সাগরসমান syllabus শেষ করার জন্য। প্রায় ৮-৯ মাস সময় আমাদের হাতে থাকে এবং তার মধ্যে আমাদের প্রতিটা সাবজেক্ট এর প্রতিটা বই এর প্রত্যেক টা লাইন পরে মনে রাখা একটা অসম্ভব ব্যাপার, it's next to impossible. তাই আমরা সবাই একটা suggestion ভিত্তিক পড়াশোনা ই করে যাই,যে এখান থেকে এই বছর প্রশ্ন আসতে পারে or এই পার্ট টা এইবছর exam এর জন্য important. কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার জন্য যেই অপ্রস্তুত পরিস্থিতির মধ্যে সবাই কে পড়তে হলো অর্থাৎ একটা নিদির্ষ্ট বিষয় suggestion করে পরে যাওয়া এবং প্রশ্নপত্র দেখা যে সেখান থেকে প্রশ্ন আসে নি কিংবা প্রশ্নের কোনো pattern ই follow করা হয় নি তখন একটা অসস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে সবাই কে পড়তে হয়। পর্ষদের একটা নির্দিষ্ট pattern আছে এবং সেই অনুযায়ী ই প্রশ্ন সেট করা হয় এবং কিছু বিকল্প ও থাকে যেখান থেকে নম্বর তোলার জায়গা টা থেকে। কিন্তু আজকের সেট এ সেরকম কোনো নিয়ম follow করা হয় নি। ভেঙেছে প্রশ্নের pattern. দুটি chapter এর প্রশ্নের মধ্যে কোনো বিকল্প ছিল না এবং কয়েকটা chapter থেকে নির্ধারিত নং এর বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে। তো এবার অনেক কেউ বলুক যে এই পরিস্থতিতে পরে যাদের পরীক্ষা খারাপ হলো তাদের কম নং পাওয়ার দায় ত কে নেবে? ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যিক জীবনের সবচে বড় পরীক্ষা। এখানে পাওয়া নম্বর সারাজীবন ধরে বহন করতে হবে। কিন্তু এই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় কেউ কম নম্বর পেলে তার দায় কে নেবে?
সত্যি কথা বলতে কোনো ছাত্র বা ছাত্রীর পক্ষে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন leak করা সম্ভব নয়। তাহলে কি 'সর্ষের মধ্যেই ভুত লুকিয়ে আছে?' তাহলে কেন কেউ কোনো করা পদক্ষেপ নিচ্ছে না? এই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া immediately বন্ধ হওয়া দরকার কারণ এতে কারোর লাভ হচ্ছে না বরং ক্ষতি হচ্ছে ও পরীক্ষার হলে অপ্রস্তুত হতে হচ্ছে। এটা যেনো না হয় তাই এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। যারা এই কাজ করছে তাদের সনাক্ত করুন এবং একটা স্টেপ নিন
লেখা টা বেশি করে সবাই share করো যাতে সবার কাছে এই প্রশ্ন গুলো পৌঁছায়।